এখানে গোধূলি আসে না,
এখানে সন্ধ্যা নামে না মন্দ মন্থরে।
এখানে প্রদীপ জ্বলে না,
জ্বলে না ধূপকাঠি, বাজে না আজানের সুর।
এখানে হাঁ করা প্রকাণ্ড বিকেল কেমন
ক্লান্তিতে ঢুকে যায় কৃশ রাত্রির ক্ষীণ স্তনে -
এখানে সন্ধ্যা নামে না।
যেই দেশে সন্ধ্যা নামে -
যেই দেশে কবি প্রার্থনা করে বিহঙ্গের পাখা না-বন্ধের,
যেই দেশে সন্ধ্যা এলে পাখীদের সাথে সেও ফেরে বাড়ী,
যেই দেশে কুপির আলোয় ফিরে আসে রমণীয় রহস্য সব,
সেই দেশে যেতে মন চায়, মন কাঁদে, মন পো-ড়া-য় ।
মন্তব্য
ভালো লাগে সব সময়ই। আজকেরটা আবার দারুণ লাগলো।
আহহা মন "পোঁড়ায়" না পোড়ায় হবে। বেশ লাগছিল কবিতাটা, এক্কেবারে শেষে এসে হোঁচট খেলাম।
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
শুধরে নিলাম, ধন্যবাদ।
এই কবিতায় বোঝা যায় কবি দীর্ঘ পরবাসে আছেন।
আসেনা, নামেনা, জ্বলেনা, বাজেনা - এভাবে লিখেছেন কেন? "না" গুলো আলাদা হবার কথা না? ক্ষীণ আর রমণীয় হবার কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
শুধরে নিলাম, ধন্যবাদ।
গোধুলী > গোধূলি
ধুপকাঠি > ধূপকাঠি
প্রকান্ড > প্রকাণ্ড (এইটা নিয়ে একটু সন্দেহ হচ্ছে যদিও)
প্রার্থণা > প্রার্থনা
পাখি আর বাড়ি লেখা হয় আজকাল হ্রস্ব-ই কার লাগিয়ে।
বাড়ী/পাখী কি চলেই না? অভ্যাস বদলানো কঠিন হবে। বাকীটা শুধরে নিলাম, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার ধারণা দু রকমই চলে, তবে হ্রস্ব-ই বেশি চলে।
আর গোধূলি-তে দীর্ঘ ঊ কার।
কবিতাটা পড়ে মুগ্ধ হলাম। ঠিক একই অনুভুতিতে আক্রান্ত আমি নিজেও--আর সেইজন্যেই যেন একটু বেশি করেইভাল লাগল।
কবি কে শুভেচ্ছা!
কবিতাটা পড়ে ভালো লাগলো।আবার মনটাও খারাপ হলো।আমি সামনে আমার ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি।
নতুন মন্তব্য করুন