বলতে পারো এও একধরনের পর্যটনই,
ধরো, সমুদ্রের সাথে আমরাও বেড়াতে গেছি সৈকতে –
কিছু ফটো তোলা হবে,
রোদছাতার দাম নিয়ে খানিকটা দরদাম হবে,
হয়তো কেনা হবে কিছু ঝিনুকের মালা,
হয়তো কেউ বলেও বসবে এ মালা তোমারই জন্য,
তূমিও হয়তো অবাক হয়ে তাকাবে তার চোখে,
কিংবা তার আগেই কোথায় বড় রূপচাঁদা পাওয়া যায়
সে আলোচনায় কারোই কিছু হবেনা বলা,
হয়তো আঙুল ছড়িয়ে কেউ কেউ বালির বুকে
নিজেদের নাম লিখে অপেক্ষা করবে কখন এসে ধুয়ে নিয়ে যাবে ক্লান্ত সব ঢেউ,
কিংবা ধরো, এতসব ঘটে ওঠবার আগেই আমরা পেয়ে যাবো
কবিতার কিছু লাইন এবং উপমা,
অথবা ভ্রমণ এবং পর্যটনের কোনটার ব্যবহার যুতসই হয়
ভাবতে ভাবতে হেলে যাবে বেলা,
সূর্যের সাথে অস্ত যাবে লাইনে দাঁড়ানো বাকি সব লাইন,
অস্ত যাবে অন্য সব ভ্রমণ কিংবা পর্যটন,
ঝিনুকের মালা, রোদেদের বুকে ছাতাদের চুম্বন,
ঝলসানো হয়ে মেন্যুতে ওঠার আগে পুরো একজীবন সাঁতারের স্মৃতি।
কিংবা যতক্ষণ ফের জোয়ার না আসে
ততক্ষণ ঢেউদের ঠোঁট অভিমানে দূরে সরে রবে,
অথবা বালির বদলে আমরাই বুকে লিখে নেবো আমাদের প্রিয়সব নাম,
প্রিয় ঢেউ, ঝিনুকের মালা, কিংবা রূপচাঁদা। হয়তো অনাগত কবিতার
জন্য আমাদের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘতর হবে,
বাসী হয়ে যাবে আমাদের জমানো বিরহ সব।
অথবা ধরো, পূরাতন জীবনে ফিরে এসে আমাদের জিন্সের ভাঁজে খুঁজে পাবো
কিছু সামুদ্রিক বালি, বোতামের সমান ঝিনুক, লবনাক্ত স্মৃতি,
কে জানে, হয়তো তাদেরই মনে হবে পুরো না-লেখা কবিতা এক,
হয়তো মনে হবে সেও ছিলো একধরনের পর্যটন।
মন্তব্য
কবিতাটা কেমন যেন! অদ্ভুত, অপূর্ব!
অসাধারণ! হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে আলোড়ন তোলা আত্মকথন। টুকরো টুকরো অনুভূতিগুলো কখন যে একটা অপূর্ব সুন্দর মোহিনী ছবির রূপ পেল পড়তে পড়তে টেরই পাইনি। কবিকে কুর্ণিশ।
রোমেল চৌধুরী
ভালো লিখেছেন।
- - প্রীতি রাহা
সত্তরের শেষ আর আশির শুরুর দিকে কিছু কবি ছিলেন (যেমন, আবিদ আজাদ) যাঁদের কিছু কিছু কবিতায় এই টোনটা পাওয়া যেতো। তারপর কবিতাতে আন্দোলন-বিপ্লবের চেষ্টা আর অবোধ্য বিমূর্ততা ঢুকে কী কী যেনো হয়ে গেলো। কিছু কবিতা হয়তো উচ্চকিত হওয়া দরকার, তবে মোটের ওপর উচ্চকিত না হয়েও এই কবিতাটির মতো মেসেজটা বা গল্পটা পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। এটা কবিতার একটা শক্তি।
কিছু এক্সপেরিমেন্ট করছেন বলে মনে হচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার মন্তব্য আমাকে স্মৃতিমুখী করে, মনে পড়ে দু'টি চরণঃ
"পরস্পরকে স্বাক্ষী রেখে আমরা নরম চিকচিকে বালির উপর দিয়ে হেঁটে গেলাম.................................................
............ধলেশ্বরী তোমার শরীর জলে ভেসে সারা বাংলাদেশ হবে
তিনটি যুবক যাবে জলে ভেসে সারা বাংলায়।"
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
শিরোনাম দেখে মনে করেছিলাম বেশি হলে দু'লাইন পড়ব. কিন্তু এখন পুরাটা দু'বার পড়েনিলাম. অদ্ভুত ভয়ঙ্কর রকমের ভালো একটা কবিতা!
অসম্ভব সুন্দর একটা কবিতা। কবিতার সাথে সমুদ্র ভ্রমণ করে এলাম। দারুন!!!
-হামিদা আখতার
ভালো লেগেছে।
এরকম কবিতা আসুক আরো।
স্তব্ধতা। মুগ্ধতা।
বাহ!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কবিতার টোনটা খুবই নষটালজিক
দারুন ভালো লাগলো।
অসাধারণ... আপনার প্রতিটা কবিতাই মুগ্ধ করে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কবিতাটা আগেই পড়েছিলাম, এখন মুগ্ধতাটা জানিয়ে যাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কবিতাটা অপূর্ব লেগেছে। বিষয়-বস্তুর চেয়ে বেশী ভালো লেগেছে বর্ণণাভঙ্গি, উপমার ব্যবহার। দারূণ।
উন্মাদ কবি
আমি যদি বলি আপনার কবিতার জন্যে অপেক্ষায় থাকি তবে সেটা মিথ্যা নয়।
-হিরামন
অসাধারণ লেগেছে। আপনি আমায় নিয়ে গেলেন আপনার ভক্তকুলে...
অনন্ত
আত্মকথাকে কবিতার রূপে তুলে এনেছেন।
খুবই ভালো লাগল নতুন সাজে কবিতার মাঝে আত্মকথন।
ভালো, খুব ভালো লেগেছে।
পড়বার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ, আবারো।
নতুন মন্তব্য করুন