১।
পাহাড়ী পাথর ধরে প্রস্রবণ,
অথচ প্রস্রবণেও থাকে পাথর শীতল সব।
ব্যাপারটা বেশ কঠিন ও কোমল,
নাকি এতোটা পথ একা যাওয়া ঠিক নয়,
গন্তব্যে পৌঁছালে যখন সকলেই আবার একাকী একলা।
২।
একবার কোন নদীকে ভালোবাসো
দেখবে আর কাউকে ভালোবাসা সহজ নয়।
একটা নদীকে ভালোবেসেছিলাম,
তাই তোমাকে আর ভালোবাসা হয়ে ওঠেনি,
তুমি কাছে এলেই মনে হতো কতো জনপদ
ঘুরে তবে জলেশ্বরী এসেছিলো কাছে -
এনেছিলো কত শত পুন্ড্রনারীর সৌরপূজার প্রভাতী প্রার্থণা
আর বেহুলার সকরুণ দীর্ঘশ্বাস!
৩।
আমাকে ভাব সম্প্রসারণ করতে বলে
দাড়ালে জানালায়,
বাইরে তখন আকাশ ভাঙ্গা কান্না
তার একটুকু ছাঁট লাগলো কি গায়?
নাকি শ্রাবণও আজ পথ হারালো এই জানালায়?
৪।
এক এক করে অনুভূতি সব
খুঁদকুড়োর মতো রাখছি বিছিয়ে কলাপাতায়,
যেন অনেক দূরের কাকেরাও আজ টের পেয়ে যায়,
এ বারান্দায়,
আজ বিছানো এক মানুষের জীবন লিপি,
পোহাচ্ছে রোদ বিনা পাহারায়।
৫।
ইচ্ছে ছিলো দু;খটুঃখগুলো খাবো সব তাড়িয়ে তাড়িয়ে,
ছোটবেলার মিনুদি যেমন খেতো চালতার আচার,
তা আর হলো কই? দুঃখও এ শহরে ফাস্টফুড হয়ে গ্যাছে,
এক দামে তার কম্বি প্যাকেজ। অথচ দুঃখ ব্যাপারটা বেশ
জরুরী, বলি কি সুখের চাইতেও বেশী, কেননা সেখানে সাঁতরে
এলেই বুঝি, জীবন বলে একটা ব্যাপার আছে, আর নয়তো
সবি দশটা-পাঁচটা, কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যাকে খুশী তাকে ছোঁ।
মন্তব্য
বাহ্ বাহ্ ! মজা পেলাম ! চলুক।।।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ দাদা।
ভালো লাগল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ।
পাঁচে এসে থমকে গেলাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
পাঁচ কি ভাল্লাগ্লো? নাকি না?
ভালো লেগেছে। ইনফেক্ট খুবই ভালো লেগেছে। কোন কোন সময় এই না বলা কথাগুলি পড়তে ভালোই লাগে। গেঁথে যায় কখনো কখনো।
ডাকঘর | ছবিঘর
???
শুধরে নিলাম। ধন্যবাদ।
বস্ পাঁচ নাম্বারে "চালতার আচার" "আলতার আচার" হয়ে গেছে। ঠিক করে দিন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ।
আপনার এর চেয়ে ভাল লেখা পড়েছি। এগুলো দাগ কাটে নি, দুঃখিত।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম। ভালো লাগেনি জানিয়ছেন বলে, চেষ্টা করে যাবো ভালো লিখবার।
ফাহিম বেশি কথা বলে।
ভালো না লাগলে চুপ চাপ বসে থাকেন। কথা কম।
দারুন তো ।
নতুন মন্তব্য করুন