আমারই পাশে শুয়ে থাকে সে
আমারই সাথে হাসে, কাঁদে, গায়
ভরদুপুরে ভাতঘুমে শারদ সংখ্যায়
আমারই সাথে তারও ভারী হয়ে আসে চোখ।
সকালে হেডলাইনে অহেতুক উত্তেজনায়
সেও খুঁজে কবিতা আমার, সাহিত্যপাতায়।
কড়কড়ে মুড়ি আর গরম চায়ের পেয়ালায়
তারো মনে হয় আহা, শুধু তুইই নাই।
টক শোতে দেরী হলে - আঙুল ছুঁয়ে হাতে
সেই বলে এই যে ঘুমুচ্ছো বেশী রাতে,
ভোরে স্বপ্নের দলে সে কি আর ধরা দেবে?
আমিও ভাবি, তারই মতো,
কোনদিন আর, সত্যি কি ছোঁয়া যাবে তোকে?
খুঁজে খুঁজে তবে বুঝি শেষ হবে আমাদের
দুজনার, এই শিউলী মাখানো রাত।
নিসঃঙ্গ শুয়ে থাকে পাশে একাকী অপেক্ষায়
একাকী সেও আমারই সাথে বুঝি ব্যাথা পায়?
প্রবল শ্রাবণে বর্ষা মাখা বিরহ কবিতায়
আমারই মতো তারও বুঝি মনে পড়ে তোকে?
যেদিন ভাবলি যথেষ্ট হয়েছে থাকা,
কিংবা কি যে মনে হলো তোর কে জানে,
সেই থেকে তুই রেখে গেলি বলে
আমি আর তোর ছায়া, অথবা তোরই শোক আর আমি -
আমরা দুজনে আছি বেশ, বহুদিন - একসাথে।
মন্তব্য
ভালো লাগলো।
ছুঁয়ে যায়।
ডাকঘর | ছবিঘর
পুরোন দিনের আর আধুনিক কালের লেখনশৈলীর এক অদ্ভুত মিশ্রণ খুঁজে পেলাম।
ভাল লাগল।
খুব ভালো লাগলো।
একাকী সেও আমারই সাথে বুঝি ব্যাথা পায়?
ব্যথা বানানে া কার হবে না।
আহা! এমন একটা কবিতা কোন শিরোনাম পাবে না!
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি, কবিতাটি কি ঠিক বুঝতে পারলাম? বস্তু, সময়, অবস্থানের গাণিতিক হিসাব দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম। নিজের চিন্তার সীমাবদ্ধতায় নিজেই বিরক্ত হলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কবিতাটি আমাকে বিস্ময়াভিভূত করেছে। সুচয়িত অন্ত্যঃমিল এটিকে যেমন দিব্যকান্তি করেছে, সুকারু বাক্যচয়ন তেমনি একে দিয়েছে নির্মল স্নিগ্ধতা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সূর্যে রাহুর দাঁতের কালো ছায়া।
সন্ত্রাসের মেঘ চিরে
প্রসবব্যাথার চোখে নক্ষত্রেরা তাকিয়ে রয়েছে
কবিতার দিকে,
গায়ত্রী মন্ত্রের আলো চেয়ে।
পাসওয়ার্ড জটিলতায় ঢোকা হচ্ছিলোনা,
পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন