আমার কাঠিলজেন্সে তোমারো ভাগ ছিলো,
ছিলো আমার তেপান্তরের মাঠেও,
যদিও ডালিমকুমারের সাথে আড়ি ছিলো একা আমারই -
তোমার শিয়রের আইসক্রিমের কাঠি বদলাতে সাহস হয়নি কখনো,
চোখ খুলে যদি দ্যাখো, আমি ডালিমকুমার নই।
কাধে বাক্স নিয়ে আইসক্রিমওয়ালা আর আসেনা,
শিয়রের জায়গা দখল করেছে সেলফোন,
কুমারদের অপেক্ষা তোমার - জানি কাটেনি এখনো,
তেপান্তরের মাঠ যে এতো বড় হতে পারে,
তাই বা কে জানতো?
শুনুন, আপনি না চাইলেও
আমরা ঠিকই হাজির হবো
আপনার জন্মদিনে -
অনামন্ত্রিত, রবাহুত।
শিশির বলেছে, আপনার জন্য,
সে তার আঁকা একটা ছবি নিয়ে যাবে,
আমি, আমার লেখা একটা কবিতা,
শাহেদ, তার গিটার, এবং বোধকরি নতুন কোন গানও,
সুমিতা এবং অলক কিছুই না,
দিতে হলে যতটুকু পাওয়া দরকার,
ওরা বলেছে, ততটুকু কষ্ট ওরা এখনো পায়নি।
আপনার নাগরিক সমাগমে
আমাদের বেমানান লাগবে জানি,
আমাদের তাতে কিছুই আসে যায়না,
এ আমা ...
আকাশের কাছে বৃষ্টিকে সাবলেট দেয়া ছিলো,
তারপর থেকেই গ্যাছে দখলীস্বত্ব,
এখন কখন বৃষ্টি পড়ে, পড়েনা,
রংধনু ওঠে, ওঠেনা,
তার ‘পর আর কোন হাত নেই;
শুধু ভিজে যাবার জন্য এখনও দারুণ তৃষ্ণায়
কদমফুলের ঠোঁটের মতো শত শিহরণে
জেগে থাকি অপার অপেক্ষায়।
মানিব্যাগ থেকে ছলকে পড়ে তেমনই,
একটুকরো মেঘ কখন হারিয়ে গ্যাছে ফুটপাতে,
নাকি তাকেও আকাশ কুড়িয়ে পেয়েছে কখন কে জানে,
এখন আকাশের রোমশ বুকে কখন সে আসে, ...
তোমার মাধুকরী পেতে আবার কাঙাল হতে পারি,
সারাটা শীতের রাত তোমার দরোজায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারি,
তুমি যাবে বলে অষ্টপ্রহর চৌ্রাস্তায় অপেক্ষা করতে পারি,
তোমার জন্য রমনা থেকে সব ফুল পেরে আনতে পারি,
বুকের রক্ত দিয়ে দেয়াল পর দেয়াল তোমার শ্লোগানে ভরে দিতে পারি।
তোমার প্রসাদ পেতে ফের গুন্ডা হতে পারি,
তোমার চলার পথে ফুল ছাড়া অন্য সব দোকান বন্ধ করে দিতে পারি,
বলতে পারো এও একধরনের পর্যটনই,
ধরো, সমুদ্রের সাথে আমরাও বেড়াতে গেছি সৈকতে –
কিছু ফটো তোলা হবে,
রোদছাতার দাম নিয়ে খানিকটা দরদাম হবে,
হয়তো কেনা হবে কিছু ঝিনুকের মালা,
হয়তো কেউ বলেও বসবে এ মালা তোমারই জন্য,
তূমিও হয়তো অবাক হয়ে তাকাবে তার চোখে,
কিংবা তার আগেই কোথায় বড় রূপচাঁদা পাওয়া যায়
সে আলোচনায় কারোই কিছু হবেনা বলা,
হয়তো আঙুল ছড়িয়ে কেউ কেউ বালির বুকে
নিজেদের নাম লিখে অপেক্ষা করবে ...
এখানে গোধূলি আসে না,
এখানে সন্ধ্যা নামে না মন্দ মন্থরে।
এখানে প্রদীপ জ্বলে না,
জ্বলে না ধূপকাঠি, বাজে না আজানের সুর।
এখানে হাঁ করা প্রকাণ্ড বিকেল কেমন
ক্লান্তিতে ঢুকে যায় কৃশ রাত্রির ক্ষীণ স্তনে -
এখানে সন্ধ্যা নামে না।
যেই দেশে সন্ধ্যা নামে -
যেই দেশে কবি প্রার্থনা করে বিহঙ্গের পাখা না-বন্ধের,
যেই দেশে সন্ধ্যা এলে পাখীদের সাথে সেও ফেরে বাড়ী,
যেই দেশে কুপির আলোয় ফিরে আসে রমণী ...
কার ডাকে ঘরে ফিরি?
কে দেয় সেই ঘর ছাড়া ডাক?
সেই পথে হাঁটা
বিকেলের বুক চিরে -
হাত ছুঁয়ে গেলো, ছুঁলো বুঝি?
এই পথ চলা, এই হাঁটাহাঁটি, চলা নাকি?
নাকি প্রতি পায়ে আরও দূরে চলে যাওয়া?
এই বুঝি শেষ হাঁটা?
দূর দেশে?
যেই পথ গুটায় প্রতি পায়ে,
সেই পথ, পথ বুঝি?
কার ডাকে ঘরে ফিরি?
কে দেয় সেই ঘর ছাড়া ডাক?
তুমি চলে যাবার পর,
আমাদের এক অদ্ভুত অচিন অবসাদ গ্রাস করে।
যে দুটো বক উড়ে গ্যালো, সায়াহ্নে,
কিংবা তাড়িত দুপুরে তারস্বরে যে কাক চেঁচাচ্ছিলো,
আমাদের মতো তাদেরো তোমার বিদায়ের সাথে
কোন সম্পর্ক আছে কিনা, সে প্রশ্নে আমাদের
দার্শনিক বন্ধুর কপালকুঞ্চন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে।
আর আমাদের মধ্যে যে কবি,
স্বপ্ন নিয়ে যার জীবনযাপন,
তার স্থির বিশ্বাস হয় যে - তুমি ফিরে আসবেই;
সে বলছিলো, কব ...
অর্হনিশ কার্নিশে দুটো শালিক
আসছে, যাচ্ছে, কিশোরী চন্দ্রার মতো
অমন হলুদ পায়ে জলতরঙ্গ ।
বইয়ের পাতা উল্টে কার চোখ
জানালার আরও ওপারে
কলেজপড়ুয়ার পড়ার টেবিলে
আছঁড়ে পড়ে ?
সিলিং এর হাওয়ায় উড়ছে -
এক্স স্কয়ার প্লাস ওয়াই স্কয়ারের ফর্মূলা,
হুমায়ুন আহমেদের কিশোরী উপন্যাস,
আর আমাদের পাঠিকার শালিক হৃদয় ।
বই তুলতে সাড়ে দশটায় কলেজ
যাবার আগে, যদি সে তাকায় -
রাস্তা পেরিয়ে, এপারে জানালায়,
শালি ...
বন ও লতাকে নিয়ে জীবনের আনন্দ আঁকতে চেয়েছিলেন কবি। সেই অর্বাচীনতাই কাল হয় বুঝি, তাই নিরানন্দ এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায় রেল রাস্তায়, শেষ ট্রেনে, দূরে। হাইড্রান্টের কবি জানেনা শ্রাবস্তী থেকে অদ্যাবধি, আবহমান একমাত্র মৃত্যুকেই উজানে ধারাবাহিক করে তোলে, বাকি সব কেবলি অপভ্রংশ মাত্র।
রূপসী বাংলা ডেভেলপ করলে কতগুলো প্লট হবে সে সাধনায় দু’জন ঠিক করে খায়; ফেরাতো দূরের কথা, যারা কখনো সূর্যো ...