বালিকারা বলে গ্যালো তাই
বালকেরা আর খাবেনা মদ-গাঁজা-সিগ্রেট -
আজকে ওদের,
যৌ-ব-নে-র -
প্রথম পাঠ!
বালকেরা ছোঁবেনা বলে তাই
বালিকারা দ্যাখালো বৃন্ত শাদা, কদমফুলের ক্ষেত -
আজকে ওদের,
যৌ-ব-নে-র -
প্রথম পাঠ!
সূর্যের সাথে ঘুম থেকে
উঠে দেখি টেবিলে লাল খাম,
দরজায় অপেক্ষায় কিশোরী মেঘদল
তারও পিছে ঢেউয়েরা গায় প্রাতসঙ্গীত।
দুটো বালিকা জোস্ন্যা
সদ্যাগত যৌবনোষ্ণতায় এলোমেলো
আঁচলে উন্মুক্ত করে পদ্মনাভ,
পড়ে পাওয়া রাঁধাচূড়ায় মৃত কিন্নরী বোনে
বিরহের কাঁথা, কাবুলীওয়ালা ফেরী
করে ফেরে হাছনের ঘর।
কবিদের আরাধনা পাবে বলে
স্বরস্বতী ভাঙেনা মনসার পন –
যতসব চিত্রকল্প সদলে ইশকুল পালায়,
পাড়ার ই...
দুটো দুঃখ পরস্পর হাত মেলায়
আজ সন্ধ্যাটা তারা একসাথে কাটাবে।
এক দুঃখের দুঃখ ভারী, বহুদিন একখানে
থেকে থেকে বোরড্ হয়ে গ্যাছে। অন্যজনও
কষ্টে আছে; বেচারার কোথাও কোন স্থিতি
নেই, আজ এখানে, তো কাল ওখানে – রোলিং।
আমাদেরো বহুদিন পর দ্যাখা, একই সন্ধ্যায়,
তুমিও ছিলে বেশ হাসিখুশী - জোভিয়াল।
ভ্যালেন্টাইন -২
(এসএমএসের যুগে একটি টিন-এজ বোকা কবিতা)
তোমাকে খান কয় চিঠি দিয়েছিলাম
তুমি তার দু’খানা দ্যাখালে হোস্টেলে -
ইশ! কী আনন্দ হলো তোমাদের সেদিন বিকেলে!
কেউ হেসে খুন,
ছেলেরা এত সময় পায় কি করে,
এতো সময় নষ্ট করে অকাজে, বাজে-বখাটের
দল সব! কেউ নিশ্চিত, ভাষাটা চোথা মারা,
কোন বিখ্যাত কবিদের চিঠির সংকলন
হবে নিশ্চয়। কারো মনে ক্ষীন অভিমান,
তাকেতো ল্যাখেনি এখনও কেউ। কেউ
বলে ওঠে, ছেল...
মধ্যদুপুরে শ্রাবণের ফুটন্ত পুকুরে
সরীসৃপ কিশোরী সাবলীল -
বৃষ্টি কিংবা ভেজা চুল তার
কী ভীষন চমৎকার।
দ্যাখো, কইমাছের মতো নতুন
বৃষ্টির গানে তার কিশোরী শরীর
কেমন মাতাল হয় অনাগত মিলনের ঘ্রানে,
জলে খুঁজে ফেরে বাৎসায়নের বীজ।
যতটা সে চেনে শ্রাবণ
তারও চেয়ে বেশী চেনে
দীঘির আপামর লাজুক শালুক
তবু তারা যেন হতভাগা ট্যান্টালাস,
আকন্ঠ বানে, শরীরে তাদের কেন জাগেনা স্পন্দন -
নাম লিখিনি, ঠিকানা লিখিনি,
এমন কি সইও করিনি,
তোমাকে পাঠিয়েছি এক সম্পূর্ন কোডেড মেসেজঃ
‘দুঃখ ছোট, দুঃখ বড়, দুঃখ মাঝারী,
দুঃখ নীল, দুঃখ লাল, দুঃখ কালো, দুঃখ গোলাপী,
দুঃখ অশেষ, দুঃখ অসীম, দুঃখ অক্ষয়,
দুঃখ অব্যয়, দুঃখ অবিরাম, দুঃখ নিরন্তর,
দুঃখ ১, দুঃখ ২, দুঃখ ৩, দুঃখ ৪,
দুঃখ ৫, দুঃখ ৬, দুঃখ ৭, দুঃখ ৮,
দুঃখ ৯, দুঃখ ১০, দুঃখ ১১, দুঃখ ১২,
দুঃখ ১৩, দুঃখ ১৪, দুঃখ ১৫, দুঃখ ১৬,
দুঃখ টু দি পাওয়ার এন,
দুঃখ টু দ...
সাম্প্রতিক ইমেইলে জানা গেলো যে সচল হয়েছি। খুব খুশীর খবর। আমায় সচলায়তনের সাথে পরিচয় করিয়েছে ও বাংলা টাইপ শিখিয়েছে যে সচল তার প্রতি আজ অশেষ কৃতজ্ঞ্তা।
মফস্বলের যে কলেজে সে পড়ায় সেখানকার তাবত ছাত্রীই বোধকরি তার প্রেমে পড়ে একবার, হয়তো পাশ করে যাবার বহুদিন পর, অলস দুপুরে তাদের কারো কারো হঠাত মনেও পরে --কাঁচা পাকা চুল, কালো ভারী ফ্রেম, কিংবা পাঞ্জাবীতে ক্যাপস্টানের দাগ।
তবু হৈ্মন্তী পড়াতে গ্যালে মনে তার, কেন যে শুধু তোমারই মুখ ভেসে ওঠে বারবার, কে জানে!
নাহ, বড় কোন কবি সে হয় নাই, সে জানে, শুধু কষ্ট এঁকে কেউ বড় কবি হয়না, তবু কেন সে ল্যাখে ...
বহুদিন পর,
শীতের পাখীদের সাথে ফিরে
তোমার কি মনে হলো
যে ছেলেটা লিখতো কবিতা,
সে বোধহয়, অতটা পাগল নয়?
পড়লো কি মনে একমাত্র সেই বলেছিলো
ভালোবাসা সিলেবাসে না থাকলেও
মানবজীবনেরই অধীত বিষয়।
দু’চোখে মেঘ আর
দু’পকেটে দুটো চপল নদী
নিয়ে সেই লিখেছিলো, তুমি তাকে ছুঁয়ে দিলে
সে হয়ে যাবে বাহারী কদমফুলের গাছ,
আর তোমার পায়ে বিছিয়ে দেবে
পুরোটা বর্ষাকাল।
বলেছিলো -
দু’ঘন্টা জ্যাম মানে
দু’ঘন্ট...
অক্ষরগুলো কালো পিপড়ে হয়ে ওঠে,
লাইনগুলো ক্রমে শুয়োপোঁকা ।
শেষনোটে পোঁকাদের চেয়ে
বেশী কিছু থাকতে নেই,
কেননা কিছু জিনিস অমিমাংসিত থেকে
গ্যালেই মৃত্যুঞ্জয়ী হয়।
এখন শুধু মাথার মধ্যে ডবকা
ছুরির মতো গেঁথে থাকা
প্রশ্নটার মিমাংসা মাত্র -
ফুটপাথে একটা নিশ্চিত
থ্যাতলানো খুলি পেতে হলে
ক’তলা থেকে লাফ দেয়া নিরাপদ?
ঠিক কতটা ত্বরনে পতন হলে
ভয়, গলা থেকে একটা তীহ্ম আর্তনাদ
ছিঁড়ে নেবার ...