• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আমার যতো কথা

ফারহানা এর ছবি
লিখেছেন ফারহানা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৫/২০০৯ - ৭:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাষা ব্যর্থ। আমরা পরস্পরের ভাষা বুঝিনা। তোমার ঘৃণা আর আমার ক্রোধ যেখানে আমাদের পৌঁছে দেয় সেখানে কিছুই নেই। তুমি আমার কাছে এবসোলিউট লয়ালিটি চাচ্ছো,যেমন আমি চাচ্ছি তোমার কাছ থেকে। যেমন রাষ্ট্র চায়।কেউ কি লয়াল হতে পারে এই অর্থে? আমার ক্রোধ কমে গেলে আমি ভাবি আমার অসম্ভব দাবির কথা।

তুমি বলো তোমার জীবন তোমাকে ভিকটিম করে রেখেছে কার কাছে? তুমি স্পষ্ট করে কিছু বলো না, যেনো চিঠি লেখার কথা বলা ঠিকানা না দিয়ে। আমরা এভাবে দরজা বন্ধ করে দেই আর চুপচাপ নিজের নিজের কাজ করি। শুধু স্মৃতির পাতা কুড়োই বদ্ধ ঘরে।

এবসোলিউট লয়ালিটি থেকে রক্তপাত হয়। আমাদের হৃদয়ে, প্রত্যেকের হৃদয়ে লোহার ফলার মতো বিধেঁ আছে।লোহর ফলা টেনে বার করে নিলেও রক্ত ঝরে,রক্ত শুকিয়ে পুরানো হত্যার মতো হয়। ভালোবাসা কি রক্তপাত?রাষ্ট্র কি রক্তপাত? ধর্ম কি রক্তপাত? রক্তপাতে ভরে যায় হৃদয়, রক্তপাতে ভরে যায় জায়নামাজ, রক্তপাতে ভরে যায় সকল জমিন।যার ভিতর তুমি সাধীন নও, আমিও নই, এখানে এভাবে রক্তপাত ভরা জমিনে কি ঘর তোলা যায়? এখন বিষণ্ণতার ভারে সকল সম্ভাবনা মরে যায় হররোজ। অথচ আমি সবসময় খুঁজি ধলপহর, অনুভব করি নদী, আলোক, মাঠের মধ্যকার অন্ধকার, রোজানা সাধীনতা, গেঁথে তুলি ওস্তাগরের মতো নক্ষত্রের পর নক্ষত্র; আমার সকল হারানো সংগ্রহ থেকে। লয়ালিটি চাই বলেই তো বিশশাসঘাতকতা রোজকার শব্দ হয়ে ওঠে, বিশশাসঘাতকতা সাভাবিক, লয়ালিটি নয়।

আমি ফিরে যাই শীতের সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে, সকল শিশির, সকল কুয়াশার উৎসে।


মন্তব্য

পলাশ দত্ত এর ছবি

চলুক।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভালো লাগল। বিশেষ করে শেষ লাইনটা।
বেশ কিছু বানান ভুল আছে।

লিখুন আরো।

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগলো।

নিবিড় এর ছবি

চলুক (চলুক)


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

চলবে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হুম...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এবসোলিউট লয়ালিটি থেকে রক্তপাত হয়।

কিন্তু তারপরেও কিছু মানুষ লয়াল হতে চায় কিংবা নিজেকে রক্তাক্ত দেখতে পছন্দ করে কিংবা লয়াল না হতে পারলে ভাবে কী যেন হতে পারলাম না এই জীবনে

০২

মানুষ লয়ালিটি বেশি চায় না লয়াল হতে চায় বেশি?

০৩

সচলে স্বাগত

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

মানুষ লয়ালিটি বেশি চায় না লয়াল হতে চায় বেশি?

মানুষ লয়াল হতে চায় বেশি কারণ সে লয়ালিটি চায়।।।।।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

মানুষ লয়ালিটি বেশি চায় না লয়াল হতে চায় বেশি?

মানুষ লয়াল হতে চায় বেশি কারণ সে লয়ালিটি চায়।।।।।


পুরোপুরি একমত।
লয়ালিটির কারণে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলেও মানুষ ভালবাসার ক্ষেত্রে বিনা বাক্যব্যয়ে লয়ালিটি মেনে নেয়। কারণ এ লয়ালিটি বড় মধুর।
এটা অবাস্তব নয় মোটেও।

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

গোলাপের কাছে আজ আর কেউ গান শুনতে চায় না বন্ধু।

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

এবসোলিউট লয়ালিটি থেকে রক্তপাত হয়।

কিন্তু তারপরেও কিছু মানুষ লয়াল হতে চায় কিংবা নিজেকে রক্তাক্ত দেখতে পছন্দ করে কিংবা লয়াল না হতে পারলে ভাবে কী যেন হতে পারলাম না এই জীবনে

এই রকম লয়াল মানুষ আমি কখনো দেখিনি। তাই আমিও ভাবি কি জেনো দেখলাম না এই জীবনে।।।।।।।

কীর্তিনাশা এর ছবি

শেষ লাইনটা আমারো মনে গেঁথে গেল।

সচলে স্বাগতম !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ফারহানা,

সচলে তোমার প্রথম লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। নিয়মিত লিখো প্লিজ। (চলুক)

এইসব আত্নপীড়নের কবল থেকে যেনো কোনো মুক্তি নেই..সেই রকম করে বলতে ইচ্ছে করে,

আমাদের জীবনে কোনো সূর্যোদয় নেই,
শুধুই বাদুড় ডানার কৃষ্ণ-চুম্বন,
আমদের ঘর নেই, বাড়ি নেই,
আকাশ আমাদের ঠিকানা।...
___

লীলেন ভাইয়ের কথার সূত্র ধরে বলি,
মানুষকে লয়াল-বন্ডেজ/ বন্দি করেছে কে? মানুষই তো।..আর স্বেচ্ছা রয়াল-বন্ডেজ/বন্দিত্বও তো আছে, নাকী?...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

বিপ্লব তোমাকে ধন্যবাদ। তোমার কাছ থেকেই লেখার উতসাহ পেয়েছি।আমার জীবনের প্রথম লেখাও তুমি ই পত্রিকায় ছেপে দিয়েছিলে।আমার লেখা যদি ভালো হয়ে থাকে এর প্রশংসাও তোমার ই। আমার খারাপ সময় গুলোতে তুমি ই আমাকে লেখার কথা প্রথম বলেছিলে। তোমার মতো একজন খ্যাতনামা লেখকের সান্নিধ্যই আমার লেখার মূল উতস।

ধন্যবাদ।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ফারহানা,

তুমি ভালো লেখো, তোমার যোগ্যতা বলেই...সেখানে আমি এমনকী নিমিত্তও নই!

কিন্তু তাই বলে আমি খ্যাতনামা লেখক?? (মমিন)


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

Farheen এর ছবি

Good but ame kesue bujhe nae.

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

কমোন্ট করাার যোগ্যতা নেই, তাই শুধু ভালো লাগাটুকু বলে গেলাম :-)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌সুন্দর হয়েছে লেখাটা।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

উজানগাঁ এর ছবি

আমরা একসময় আমাদের পত্রিকায় "ভিন্নগদ্য" নামে একটা বিভাগ রেখেছিলাম। অবশ্য সেটা নিজেদের সুবিধার্থে। সুবিধার্থে এইজন্যে যে, ডাকে অনেক ধরনের লেখা আসতো, এর মধ্যে কিছু লেখা আসতো "আমি তাকাই মুখের দিকে: ভাসুর তাকায় পাছার দিকে।" টাইপ। কিছু লেখা ছিল এতই উচ্চমার্গীয় যে, বিষয় ধরতে গিয়ে আমরা হিমশিম খেতাম আবার ঠিক ফেলা দেবার মতোও ছিল না ঐ লেখাগুলো। তো নিজেদের গা বাঁচানোর জন্যে ঐসব লেখাগুলোকে আমরা ভিন্নগদ্যের তকমা দিয়ে ছাপাতাম।

ভূমিকার বিষয়গুলো এইজন্যে টানলাম। আপনার লেখাটাকে কী বলা যায়? আপনি ট্যাগ দিয়েছেন "আমার যত কথা"। তার মানে কিছুটা আত্মজৈবনিক।

লেখকমাত্রইতো আত্মজৈবনিক। সর্ববিষয়ে--সর্বক্ষেত্রে। সেটা চিন্তার দিক দিয়েই হোক কিংবা বিষয়ের দিকে।

ভালো লেগেছে। তবে কিছু অংশ আমার কাছে অপরিষ্কার। অবশ্য এজন্যে আমি আমার ব্যর্থতাকেই দায়ী করছি। আপনার আরো লেখা পড়তে আগ্রহী।

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। লেখাটা লিখেছি একান্তই আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে।তাই যে অংশটুকু অপরিস্কার সে অংশটুকু অপরিস্কারই থাকুক। কোনো নবপ্রাতে হয়তো এর ঊত্তর মিলতেও পারে।
ধন্যবাদ জন্যে আবারও ধন্যবাদ।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম, ফারহানা।

আপনার কবিতাময় গদ্য পড়লাম। ভাল লাগল আপনার প্রকাশভঙ্গির কাব্যময়তা, যদিও আমি মনে করি লয়্যালটি হল বন্দিত্বেরই প্রতিশব্দ।

লিখতে থাকুন। আর বানানের বিষয়ে আরেকটু সচেতন হতে অনুরোধ করছি। বাংলা বানানে স্বেচ্ছাচারিতা দেখলে কষ্ট পাই। এই ভাষার জন্যই না আমরা রক্ত দিয়েছি!

আরো লেখা চাই।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ
আসলে যে বানান গুলো ভুল ছিলো তার কারণ হলো কিছু কিছু অক্ষর আমি অভ্র লিংকে কিভাবে টাইপ করতে হয় তা বুঝতে পারছিলাম না।তাই ওভাবে লিখেছি।

টীটূ এর ছবি

ফারহানা লিখেছেন:

ভাষা ব্যর্থ। আমরা পরস্পরের ভাষা বুঝিনা। তোমার ঘৃণা আর আমার ক্রোধ যেখানে আমাদের পৌঁছে দেয় সেখানে কিছুই নেই। তুমি আমার কাছে এবসোলিউট লয়ালিটি চাচ্ছো,যেমন আমি চাচ্ছি তোমার কাছ থেকে। যেমন রাষ্ট্র চায়।কেউ কি লয়াল হতে পারে এই অর্থে? আমার ক্রোধ কমে গেলে আমি ভাবি আমার অসম্ভব দাবির কথা।

তুমি বলো তোমার জীবন তোমাকে ভিকটিম করে রেখেছে কার কাছে? তুমি স্পষ্ট করে কিছু বলো না, যেনো চিঠি লেখার কথা বলা ঠিকানা না দিয়ে। আমরা এভাবে দরজা বন্ধ করে দেই আর চুপচাপ নিজের নিজের কাজ করি। শুধু স্মৃতির পাতা কুড়োই বদ্ধ ঘরে।

এবসোলিউট লয়ালিটি থেকে রক্তপাত হয়। আমাদের হৃদয়ে, প্রত্যেকের হৃদয়ে লোহার ফলার মতো বিধেঁ আছে।লোহর ফলা টেনে বার করে নিলেও রক্ত ঝরে,রক্ত শুকিয়ে পুরানো হত্যার মতো হয়। ভালোবাসা কি রক্তপাত?রাষ্ট্র কি রক্তপাত? ধর্ম কি রক্তপাত? রক্তপাতে ভরে যায় হৃদয়, রক্তপাতে ভরে যায় জায়নামাজ, রক্তপাতে ভরে যায় সকল জমিন।যার ভিতর তুমি সাধীন নও, আমিও নই, এখানে এভাবে রক্তপাত ভরা জমিনে কি ঘর তোলা যায়? এখন বিষণ্ণতার ভারে সকল সম্ভাবনা মরে যায় হররোজ। অথচ আমি সবসময় খুঁজি ধলপহর, অনুভব করি নদী, আলোক, মাঠের মধ্যকার অন্ধকার, রোজানা সাধীনতা, গেঁথে তুলি ওস্তাগরের মতো নক্ষত্রের পর নক্ষত্র; আমার সকল হারানো সংগ্রহ থেকে। লয়ালিটি চাই বলেই তো বিশশাসঘাতকতা রোজকার শব্দ হয়ে ওঠে, বিশশাসঘাতকতা সাভাবিক, লয়ালিটি নয়।

আমি ফিরে যাই শীতের সন্ধ্যার মধ্য দিয়ে, সকল শিশির, সকল কুয়াশার উৎসে।


গড় রেটিং
( ভোট)

টিটূ এর ছবি

আপনার লেখা গুলো খুব কঠিন। অনেক বেশি আবেগ। আমি খুব ভাল বুঝি না। তবে আপনার এই গুন্টা আমার খুবই পছন্দ। কয় জনায় পারে এমন লিখতে। লিখতে থাকবেন সারা জীবন। থাম্বেন না, যতই বাধা আসুক। ভাল থাকবেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা সহ টিটু।

ফারহানা [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ টিটু ভাই। আপনি আমার লেখার মন্তব্য করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগছে। লেখা পড়ার জন্যে আবারও ধন্যবাদ ।

ফারহানা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।