আজ রাতে আমি সেইসব কবিতার কাছে চলে যেতে পারি, যাদের বস্তায় পুরে নদীর ওপারে বেড়াল ছেড়ে আসার মতো করে ফেলে এসেছি। সাথে তোমাকেও হে শৈশবিক কুহক। ওরা এখন বাঘ হয়ে শ্বাসাঘাতে ধোঁয়া থেকে জ্বালায় হস্ত-পদ-স্কন্ধ-মাথাহীন আগুন_ আজ রাতে পরপারে। সেই আগুনে চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়ার আগেই তোমার মার্বেলগুলো আমি তুলে আনি। তুমি অন্ধের মতো আমাকে চেলেছিলে ওইসব মার্বেলের সাথে। আমি তার মধ্যে রাঙা হয়ে ফুটতে ফুটতে এখন ফুটো পয়সার ছিদ্রে আটকে গেছি।
এখানে হল্লা আর উল্লাসের মাতোয়ারা। এখানে কবিতা কি, আগুন কি? বেড়ালেরা এখন মাছ খাবে বলে কালো চশমা পরে বেরিয়েছে। এই রাতের বেলা।
সব কিছু ঘটে রাতের বেলা। দিনের বেলা রাজ্য জয় করা পাবলিক এখন রাতের কার্ফিউ ঠেসে ঘুমায়। ঘুমাও বাছারা, দেশ স্বাধীন হলে ডেকে দেব। ডেকে দেব ঈষাণের মেঘ গলে গেলে। ডেকে দেব কাকদ্বীপের চিতকার কানে এলে।
আর ছেলেবেলার কুহক, খবর্দার এমুখ মাড়িও না। খুলি উপুড় করে তোমাকে ঢেলে দিয়েছি স্বপ্নসম্ভবা। সেসব শূন্য খুলি পাড়ার সোনার ছেলেরা মার্বেলের মতো চালে। খেলে খুলিতে মদ ভরে নিয়ে।
তোমাকে আর প্রয়োজন নাই হে কবিতাপ্রতিম। কাছে এলে ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম মেখে পুরাতন লালিমা ফর্সা করে দেব। তার আগে দেখা চাই বস্তা গলে কোনো বেড়াল রয়ে গেল কি না। হয়তো মধ্যরাতের বৃষ্টিতে ভিজে একশা হয়ে সে তোমার কোল খুঁজে না পেয়ে ফুটপাথের মেয়েটির স্রাবের লালে মুখ গুঁজে আছে। মুখে রক্তকোষ লেগে আছে দেখে ওকে খুন ভেব না।
২৬-২-০৮
মন্তব্য
কবিতা-বেড়াল নদী সাঁতরাতে জানে, স্বস্তি দেবে না। মাঝরাতে খাঁমচে-আঁচড়ে জাগিয়ে দেবে ঘুম থেকে। ফের 'বেড়াল' আঁকো রে, ফের বস্তায় ভরো রে-- এরকম চলতেই থাকবে।
.................................................................
...ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু গড়া এ ফেব্রুয়ারি...
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আপনার ওই তেরছা চাহনি মেশানো কথা মান্য না করে উপায় কি মহাজন?
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
বাজার যতদিন ঠিকে আছে এই খেলা রবে বহমান। তবে প্রকাশের ঢংটা ভালো লাগলো খুব, বিশেষ করে এই জায়গাটা ভীষন বোল্ড, " হয়তো মধ্যরাতের বৃষ্টিতে ভিজে একশা হয়ে সে তোমার কোল খুঁজে না পেয়ে ফুটপাথের মেয়েটির স্রাবের লালে মুখ গুঁজে আছে। মুখে রক্তকোষ লেগে আছে দেখে ওকে খুন ভেব না।"
- অরে বাবা!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার লেখা বুঝতে অনেক কষ্ট হয়। তবে ভালো লাগে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার দশাও গৌতম এর মত । বুঝিনা তবে ভালো লাগে।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অত:পর পরের কথা পরের মুখে-
পরান্নভোজনের এঁটোকাটা থেকে বিতাড়িত মেকুর
ঢেঁকুরে বিপ্লব দেখে ।
দেখে
অট্টহেসে
ব্রহ্মসকাশে মশকরা চোদায়-
ভাঁগাড়ে ষাষ্টাঙ্গ সমাবেশ শুঁকে
ডিগবাজীকথকতা ফুরিয়েছে বহুদিন
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ভাই, তুমি দেখি এক কাঠি সরেস। এইবার একটু বুঝাইয়া কও।
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
একই স্থির চিত্রের ভিন্নতর বর্ননা, বেশ লাগল,,,,,
..ফেলে দিলেই হয়? রিসাইকেল হয়ে আবার ফিরে আসে ঘরে!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
সত্যি বলতে অনেক দিন পরে মধ্যরাতে সচলে ঢুকে আমার বিবমিষা ও বিষন্নতা চালান করা ছাড়া আর কি করা যেত জানি না। দেশ, ব্যক্তি, হারানো শৈশব মিলিয়ে ওটা একটা অ্যাবসার্ডিটি। এই অ্যাবসার্ডিটির ডাক নাম বাংলাদেশ অথবা ব্যক্তি মনের বিকার। একটি পাঠালাম আকারবানদের সমীপে....
একটি শিশুকে দেখেছিলাম, সে যে ব্যথা পাচ্ছে তা বোঝাতে বারবার ব্যথার জায়গায় হাত রেখে উহ করে আর বলে, টের পাচ্ছ। সে বোঝেনি তার শরীরের ব্যথা তারই ব্যথা। ওখানে শত আঘাত করলেও অপরে কেবল উহ্-টাই শুনবে ব্যথার মার্সিয়া শুনবে না। আমি হয়তো সেভাবেই উহ্ করে উঠেছিলাম...
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
নতুন মন্তব্য করুন