জর্ডানের রাজধানী আম্মানের এক গির্জার মাটির তলার ঘরে পাঠশালা বসেছে। দেয়াল ও জানালা জুড়ে ঝুলছে রঙ্গিন কাগজে বানানো অজস্র সারস। ইরাক থেকে পালিয়ে আসা পরিবারগুলোর শিশুদের জন্য এ বিদ্যালয়। যে শিশুরা আগে এসেছে তারা জানে ঐ সারসের মানে। পাঠশালাটি চালু হয় ইংল্যান্ড থেকে আসা ক্লডিয়া লেফকো'র চেষ্টায় । সে হিরোশিমার মেয়ে সাদাকোর গল্প সবাইকে শুনিয়েছে।
পারমানবিক বোমার কবল থেকে সাদাকো বেঁচে গেলেও বোমার তেজষ্ক্রি য়া থেকে সে রেহায় পায়নি। জাপানের এক হাসপাতালে শুয়ে থেকে সে চাইল এক হাজার কাগজের সারস বানাবে। ওর বিশ্বাস, তা করলে ওর মনের বিশেষ একটি ইচ্ছা পূরণ হবে। সাদাকো চেয়েছিল, পৃথিবীর আর কোনো শিশুর যেন এমন না হয়। সাদাকোর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। এক হাজার সারস বানাবার আগেই ও চিরতরে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু ওর অসম্পূর্ণ সারসগুলো জাগিয়ে তোলে জাপানের শিশুদের। তারা তখন হাজার হাজার সারস বানায় এবং সবখানে শোনায় সাদাকোর গল্প। সেই থেকে সাদাকোর ঐসব কাগজের সারস বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রতীক।
আজ আগস্টের ছয় তারিখ, হিরোশিমা দিবস। আজ আম্মানের ঐ পাঠশালায় নতুন আসা শিশুরা সাদাকোর গল্প শুনবে। তারা পেরিয়ে এসেছে যুদ্ধ, মৃত্যু, মৃত্যুর হুমকি ও উচ্ছেদ। তারা ভাল করে জানে সাদাকোর ঐ ইচ্ছা পূরণ করা কত বড় চ্যালেঞ্জ। আজ আমার মনে আসছে সাদাকো-কে নিয়ে লেখা গানটি :
'আমি এসে দাঁড়াই প্রতিটি দরজায়
আমার নীরব হেঁটে চলা শোনে না কেউ
করাঘাত করি আমি দোরে দোরে, শোনে না কেউ
ওগো আমি যে মৃত, আমি যে মৃত!'
গানটি বলে এক শিশুর কথা, যার রুটির দরকার নেই, দরকার নেই দুধ কিংবা পানি_কারণ সে মৃত। তার ফরিয়াদ কেবল শান্তির জন্য,
'যাতে সারা পৃথিবীর শিশুরা
ছুটোছুটি করে, যেন গায় ও হাসে।'
এক বছর আগে অন্যদের দানে পাঠশালাটি তৈরি হয়েছে। ফেলে রাখা ঘরগুলোর দেয়ালে আস্তরণ পড়েছে, রং লেগেছে, জানালা বসেছে। যে বাগানটি তারা বানিয়েছিল সেখানে এখন ফুলের কোলাহল। গতবছর যখন আমি এখানে আসি, তখন কারোম ও কার্লা নামে তালিকার অতিরিক্ত দুটি শিশুর জায়গা হচ্ছিল না। তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার দেখে আনন্দ হলো, ছোট্ট কার্লা অন্যদের সঙ্গে খেলতে ছুটছে, বেশ গর্বিত ভঙ্গিতে সরলাঙ্ক কষছে। ওর ভাই কারোম সমবয়সীদের থেকে ভাল দৌড়ায়। ওর খাতায় অতি যত্নে কত কী লেখা!
ওদের দুজনের কী সৌভাগ্য, অসংখ্য ইরাকি শিশুর পরিণতি থেকে ওরা রেহাই পেয়েছে। হিরোশিমার মেয়ে সাদাকো আজ তাদের সবার প্রতীক, সবার প্রতিনিধি। সে নিঃশব্দে এসে দাঁড়াচ্ছে আমাদের সবার দরজায়। আমরা কি শুনতে পাই, ও আমাদের ডাকছে!
ক্লডিয়া এই পাঠশালাটির ৩৫ জন শিশুর জন্য চাঁদা তোলে। অনুমান করি, তার প্রতিটি ৩৫ ডলারের বিরুদ্ধে পেন্টাগন বরাদ্দ করছে ৩৫ মিলিয়ন, বিলিয়ন অথবা ট্রিলিয়ন ডলার। এ টাকা খরচ হবে ইরাক ও আফগানিস্তানে। অস্ত্র, সৈন্য, গোলাবারুদ, বোমারু বিমান এবং ঐ অঞ্চলে দখলদারিত্ব বজায় রাখার কাজে। এই টাকায় চালু থাকবে অস্ত্র প্রতিযোগিতা, বাড়বে মার্কিন অস্ত্র কোম্পানির মুনাফা।
হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা আনবিক বোমাগুলো আমরা আর ফেরাতে পারবো না, আমরা আমাদের শিশুদের বোঝাতে পারবো না চলতি যুদ্ধের কূটচক্র। তা হলেও 'হিরোশিমার ছোট্ট মেয়েটি'র গান কল্পনায় আনে ছোট্ট এক শিশুকে। সবার দরজায় গিয়ে করঘাত করছে ও, কিন্তু কেউ শুনছে না। দেখছে না কেউ। বাস্তবে আমরা তো যেতে পারি সব দরজায়, বলতে পারি থামাও এ যুদ্ধ। আমরা অস্তিত্বমান এবং আমাদের কথা শোনা যায়। যারা নিহত হয়েছে তাদের স্মরণে নিরীহ প্রাণের অপচয় ঠেকাতে জোরালো বাধা তৈরি করতে পারি আমরা। হিরোশিমার ঐ ছোট্ট মেয়েটি আমাদের এসব শিখিয়েছে।
আবার সে এসে দাঁড়িয়েছে তার হাজার সারসের স্বপ্ন নিয়ে। গোটা পৃথিবীর শিশুদের জন্য সে তার সারসদের উড়তে দিতে চায়।
কাউন্টারপাঞ্চ থেকে ভাষান্তরিত। গত বছরের ৬ আগস্টে হিরোশিমা দিবসে দৈনিক সমকালের সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত।
ক্যাথি কেলি : আমেরিকান শান্তিবাদী, আদার ল্যান্ডস হ্যাভ ড্রিমস বইয়ের রচয়িতা
মন্তব্য
আপনি আবার ইংরেজী লেখাটার লিঙ্ক না দিয়েই পালিয়ে গেলেন? আমি এই লিঙ্কগুলো ফোরামে আর ইংরেজী ব্লগে ব্যবহার করি ।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এইটা করেছিলাম গত বছরের ৬ আগস্টে হিরোশিমা দিবসে। ব্যক্তিগত আর্কাইভ থেকে বের করলাম সকালবেলা। এখন খুঁজে দেখতে হবে লিংকটা। বের করে দিচ্ছি।:-)
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
" আমরা দৃশ্যমান এবং আমাদের কথা শোনা যায়। যারা নিহত হয়েছে তাদের স্মরণে নিরীহ প্রাণের অপচয় ঠেকাতে আমরা জোরালো বাধা তৈরি করতে পারি। "
কিন্তু করছি কই?
-------------------------------------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
জাতকের গল্পে বুদ্ধের হংস নাকি দুধসরোবর থেকে পানি ফেলে ননীটুকু চুষে নিতে পারতো, আমরাও ধ্বংস ও হত্যার এই 'সভ্যতার' রক্তসাগর থেকে রক্ত সরিয়ে চর্বিটুকু চুমুক দিয়ে নিয়ে পুষ্ট হচ্ছি না, করছি না কে বললো, এটাই তো আমরা করছি...
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
নাড়া দেয়া লেখা। হিরোশিমা একটি নাম, আমাদের বুকের ভেতর যার অন্যরকম একটি স্থান।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
..এলোমেলো করে দিল বুকের ভেতরটা ! পড়তে গিয়ে আমার একুশ মাসের ছোট্ট মেয়েটার নিস্পাপ মুখটা ভেসে উঠছিল বারবার !
ধন্যবাদ ফারুক ওয়াসিফ ।
কিচ্ছু বলার নেই ...... আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য !
হায় যদি আমার একটি চিৎকার, শুন্যে উঠানো মুষ্টিবদ্ধ হাত থামিয়ে দিত এইসব যুদ্ধ,হত্যা আর ধ্বংসের উৎসব
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
প্রতি বছর ৬ অগাস্টে আমেরিকার টিভিতে একটা মজার জিনিস দেখি। দিনটিকে তারা প্রথম আণবিক বোমা ব্যবহারের দিবস বলে উল্লেখ করে, কিন্তু বোমাটি ফেলেছিলো কে সে বিষয়টি উহ্য থেকে যায়।
আপনার এই লেখাটি পড়তে গিয়ে মনে পড়ে গেলো, অনেক বছর আগে হিরোশিমার বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শীর লেখা একটি ছোটো বই অনুবাদ করেছিলাম। ছাপা হয়েছিলো 'হিরোশিমা, আমার হিরোশিমা' শিরোনামে সাপ্তাহিক রোববারে। মূল লেখকের নাম মনে নেই, বইটি হারিয়েছি, অনুবাদের কপিও আমার কাছে নেই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
- ট্রুম্যান ছিলো না এর দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে?
এই ভদ্রলোকই তো খুব সম্ভবতঃ বলেছিলেন, "নিক্ষেপিত বোমাটির বিকিরিত শক্তি সংরক্ষিত আছে সূর্য কেন্দ্রে"।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কষ্ট লাগলো লেখাটা পড়ে।
শিশুদের স্বাভাবিক আর সুস্থ একটা পরিবেশ নিশ্চিত করা, আমরা যে কবে পারবো?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
Dire straights এর Brothers in arms গানের কিছু লাইন মনে পড়ছে....
There's so many different worlds
So many different suns
And we have just one world
But we live in different ones
যুদ্ধ চাই না।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
এই লেখাটা কি আগে কোথায় ছাপছিলেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এটা প্রথম ছাপা হয়েছিল সমকালের সম্পাদকীয় পাতায় গত বছরের হিরোশিমা দিবসে। এখানে তা থেকে কিছুটা ছোট করে দিয়েছি। আপনি কি আগে পড়েছেন?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হু... সেজন্যই... সমকালেই পড়েছিলাম... যদিও তখন আপনাকে চিনতাম না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মানব সভ্যতা টিকে আছে একধরনের হিপোক্রেসির মধ্য দিয়ে।
পৃথিবীর সবচাইতে মেধাবী কয়েকজন মানুষ "ম্যানহাটান প্রজেক্ট" হাতে নিয়ে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করবে। সেই বোমায় ঝলসে যাবে মানুষ।
ঠিক একই সময়ে কিছু মানুষ "বিবেকবান" তকমা ধারণ করে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে।
কেবলমাত্র মানুষই পারে একইসাথে বোমা বানাতে এবং বোমা বানানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
- আশ্চর্যজনক ভাবে খেয়াল করে দেখেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি টাকা ঢালা হয় মানুষ মারার কাজে। আবার এই মানুষকে বাঁচানোর জন্যই কতো সংগ্রাম। শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনা রীতিমতো একটা চ্যালেঞ্জ! বয়ষ্কদের নিরাপত্তা দেয়াও একটা লীডিং কনসার্ন।
শালার, এতোদামী দামী রণতরী ভরা যে যুদ্ধবিমান গুলো স্ট্যান্ডবাই হয়ে আছে সেগুলো কি কাঠের মূর্তিতে "হাতসই" খেলা খেলার জন্য? আর এইসব যুদ্ধ সরঞ্জামের মূল পারপাস বাস্তবায়ন করার ইচ্ছা থাকলে শিশুমৃত্যু নিয়ে এতো টেনশনের কী দরকার? বেড়ে উঠলে তো এরাই শিকার হবে একেকটা কামানের কিংবা এম টুয়েন্টি নাইনের গোলায়! আগে থাকতেই সামহাউ মাইরা ফেললেই হয়। তাইলে আর অত পয়সা খরচ করে মহাসাগরে মহাসাগরে পারমাণবিক সাবমেরিন কিংবা ফ্লীট পাঠানো লাগে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাইলে তো মজা নাই বস... শিশুকে বড় হতে দিতে হবে... তারপরে তার সাতে বন্ধু বন্ধু শত্রু শত্রু খেলতে হবে... তারপরে বলতে হবে চমৎকার... ধরা যাক দুএকটা ইঁদুর এবার...
তা নাইলে মজা কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- নজু ভাই, ঐ মজাদার বিষয়েই তো জগতের সকল ধ্বংস-যজ্ঞের মূল প্রোথিত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাতসীরা কিন্তু আর্য জাতির বলবৃদ্ধি ও রাজত্ব কায়েমের জন্য অজস্র জর্মান শিশু-কিশোরকে নিজস্ব একাডেমীতে নিয়ে তাদের শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অঢেল যত্ন নিয়েছিল। একইসঙ্গে লাখ লাখ ইহুদী শিশুকে ঢুকিয়ে দিয়েছিল গ্যাস চেম্বারে এবং তাদের হাড় ও চর্বি থেকে বানিয়েছিল চিরুনী, পিয়ানোর চাবি ইত্যাদি।
ড. জেকিল এন্ড মিস্টার হাইড কিন্তু একদেদেহই বাস করতো।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- ড. জেকিল এন্ড মিস্টার হাইড-এর এই টম এণ্ড জেরী খেলাটাই আসলে মানব সভ্যতার এভারলাস্টিং গেইম। কোনো বিবর্তন নাই।
ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে বোমা ফেলা যে বোমারু পাইলট একটা সফল বোম্বিং মিশন শেষ করে ঘরে ফিরেছে সে-ই তার নিজের সন্তানের যেকোনো বিপদ বুক দিয়ে মোকাবেলা করে। অথচ তার ফেলা বোমার আঘাতেই কতো বাবা তার সন্তানকে হারিয়েছেন।
কমান্ডার ইন চীফকেই ধরা যাক। তার কথাতেও বলা হয় তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার জন্যই অন্যের সন্তানের ওপর ঐ আক্রমন চালানো হয়েছে। হাউয়ার পো আর কারে কয়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইটারেই কয় "Having a cake and eating it too!"
মুখার ভাষায়, "গোয়া মারিয়া টিস্যু দান।"
কি মাঝি? ডরাইলা?
গোয়া মারিয়া টিসু দানের প্রবক্তা মনে হয় আমাদের ধর্মবীরেরা। মারিয়া কাটিয়া রক্তিয়া ভাসায়া দেশ দখল কইরা তারপরে লেলায়ে দিছে যাজক পাদ্রী এবং মোল্লাদেরে... মম এক হাতে ধর্মকিতাব আর হাতে মলম দিয়া...
যা... এইবার শান্তির ধর্ম বিলা গিয়া...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিক, তবে এই হালারা মনে করে তারা ছাড়া, বাকিসব নিম্নতর মানব অতএব তাদের পোঙ্গানোর একটা ন্যাচারাল রাইট তাদের আছেই। তারা তাদের নিজেদের সভ্যতা ও সমাজে কোনো সমস্যা দেখতে পায় না। যা আছে সেগুলোর জন্ম নাকি আমাদের জন্য। আমেরিকান জাতীয়তাবাদ একটা পর্যায় থেকেই তার অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে আন্তর্জাতিক বানায় এবং আন্তর্জাতিক বিবাদকে নিজেদের ঘরের সমস্যা মনে করে। এদের নিয়াই বোধহয় সুকুমার রায় মহাশয় লিখেছিলেন,
ধেড়েটার বুদ্ধি দ্যাখ
চড় মেরে সে নিজের গালে
কে মেরেছে দেখবে বলে,
চড়েছে গিয়ে টিনের চালে।
এখন এই বেকুবদের সেখান থেকে নামায় কে?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- গুঁতায়াগাতায়া আরেকটা হিটলুরে মাঠে নামায়া দেওয়া যায়। কিন্তু আলটিমেট পোঙ্গামারা খাবে সেই হাভাইত্যা জনগণই। যে হয় রাবন সে যায় লঙ্কায়।
এইটা একটা এণ্ডলেস মিউটেশনাল লুপ। মুক্তি নাই, মুক্তি নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাইলে আসেন, চাপায় সুপারি পুরিয়া চাপা মারা চালাইয়া যাই!
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
গুরু, সেই রকম একটা লেখা হইছে। সালাম লন।
নতুন মন্তব্য করুন