৩২ নং খাতায় যারে আমি দেখি, সে-ই তপন মালিথা কিনা এ নিয়া সন্দেহ নাই। ওদিকে গতকাল কুষ্টিয়ায় র্যাবের ক্রসফায়ারে বান্ধবীসহ মরে কেতরে পড়ে থাকা মধ্যবয়স্ক লোকটাও নিশ্চয় তপন মালিথাই হবে। এবং র্যাবের কথা মতো তপন মালিথা-ই যদি সে হয়, তাহলে ক্রসফায়ার ছাড়া আর কোন ভাবে সে মরতে পারে? পিছনে গুলি খায়া বা হার্ট বন্ধ হয়া কিংবা মৃত্যুর যতগুলান পদ্ধতি আছে, তার কোনোটাই তপন মালিথার সঙ্গে যায় না। তারা ক্রসফায়ারে মরার জন্য বাঁচে আবার ক্রসফায়ারেই মইরা বাঁচে। বিচার-জেল-হয়রানি এগুলান তাদের পোষায় না। র্যাবেরও পোষায় না। এই বন্দোবস্তের জন্য মাটির তলাকার ইন্দুর আর কালা চশমা পরা শিকারি বিড়ালের দলগুলা অস্ত্র নিয়া ঘোরে, অস্ত্র নিয়া ঘুমায়, সশস্ত্র সঙ্গম করে এবং সশস্ত্র মরণ মরে।
তাই ৩২ নং খাতায় এক দুপুরে হাতপায়ে জিঞ্জির পরায়া যারে আনা হয়, সে যদি তপন মালিথা না হয়া থাকে, তাহলে সে কে? যার জন্য বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের কোন বাঁধ, হাইওয়ে, পাহাড় বা গলি-ঘুঞ্জির চিপায় গুলি খায়া মরার কপাল মঞ্জুর হয়া আছে? সে হয়তো তপন মালিথা-ই, নয়তো শামীম, নয়তো কামরুল। কারণ সে তার নাম বলেছিল, আর এরকম নাম ফাটলে কি বউয়ের কোলে মাথা রাইখা, পুতের বা মাইয়ার হাতের পানি খাইয়া মরার হাউস কারো থাকে? ওইসব তারা ভুইলা যায়।
তো সেই তপন বা কামরুল বা শামীম লোকটা ৩২ নং খাতায় আসে এক দুপুরে। সেইটাই নিয়ম। জেলে নতুন চালান আসে সাধারণত সন্ধ্যার পর। কোর্টে উঠানো, তার বাদে হাজতে কয়েক ঘন্টার নকশাবাজি শেষ হইতে হইতে সন্ধ্যা পারায়। তারপর ৩০ জনের গা-পাছা-মুখ ঘষটাঘষটির জায়গায় ৭০/৮০ জন মজুদ মানুষ নিয়া প্রিজন ভ্যান সাতটা-আটটার দিকে জেলের বিরাট দরজার সমুখে থামে। তার আগে নওয়াবপুর রোডের দুইপাশের পাবলিক চায়া চায়া দেখে, জ্যালখানার গাড়ি যায়। প্রতিদিনই তারা দ্যাখে। গাড়ির মানুষেরাও প্রিজন ভ্যানের বোরখার মুখের কাছের জালির মতো ছোট্ট খুপরি দিয়া দেখে; কী দেখে তা তারাই জানে। তখন গাড়ির চৌকার ভিতর যার যার হাত-পা-পাছা-পিঠ-উরাতের সঙ্গে তার তার হাত-পা-পাছা-পিঠ-উরাতের ল্যাপ্টানির মধ্যে বোঝা মুশকিল, প্রায় উলঙ্গবাহার হয়া কার পায়ে কে দাঁড়ায়া থাকে আর কার গোয়ায় কে হাতায়। এই ধারা ঘটে, যতক্ষণ না গাড়ি জেলগেটে থামে আর যার যার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গোছগাছ করার পর তারা নামতে পারে।
এরকম হালে তপন মালিথা কিংবা তার যে কোনো ভাই-বেরাদরেরা জেলগেটে আইসা খাড়ায়। ঐভাবে আমরাও আসছিলাম। জেলগেটের ডাইন-বাঁমের ঘরগুলায় প্রক্রিয়াজাত হয়া, খাতা-কাগজ মেলানো সাইরা পরে আমদানীতে পৌঁছতে রাত নয়টাই বাজে মনে হয়। কিংবা আরো কম। সাঁঝবেলাতেই যেইখানে মধ্যরাত সেইখানে রাত আটটা কি নয়টা তো সুনসান নিকষ নিশি।
এবং আমাদের কি তপন মালিথা কি কামরুল-মকবুলদের প্রথম রাত কাটে আমদানিতে। পরদিন বিকালের মধ্যে সবাই ভাগাভাগি হয়া ৩২ নং খাতা, ছয় নং দালান, পুরান বিল্ডিং বা সন্ধ্যামালতি নামের কয়েদখানায় গিয়া দ্যাখতে পায়, খাঁচার থেকে গলা বাড়ানো মুরগীর মতো শত শত গলার ওপর ফিট করা শত শত মুখ নতুন চালানের হেঁটে আসার দিকে একদৃষ্টে চায়া আছে।
তো যখন তপন মালিথা কি কামরুল না শামীম হাতে পায়ে জিঞ্জির নিয়া ৩২ নং খাতায় আসে, তখন মকবুলের মধ্যে চিত্তচাঞ্চল্য দেখা যায়। সে দিনের খয়খর্চা, পানি যোগানো ইত্যাকার কাজ রাইটারের হেল্পার রাজুর হাতে দিয়া থুয়া রাইটার রাজ্জাককে নিয়া ওয়ার্ডের এককোণায় চিত-কাইত-উবুত হয়া থাকা দঙ্গলটারে লাত্থাইয়া জায়গা বানায়। তারপর দুইজনে বইসা কী কী আলাপ করে। কথা বেশি মকবুলই বলে। তার বাড়ি রাজবাড়ি। রাজবাড়ির পোলাপান একসময় পূর্ববাংলা-সর্বহারা কিংবা লাল পতাকা কি জনযুদ্ধ দলে নাম লেখায়। সেইসূত্রে তপন তার আপন বা পর যে দলেরই নেতা হোক; তার একটা দায়িত্ব থাকে। ধরে কয়ে সে তপনকে রাজ্জাক ভাইয়ের জিম্মায় আনে। আমরা তার জিম্মাদারির পুরানা খাতক বিধায় এইভাবে তপনের সঙ্গে আমাদেরও চিনপরিচয় ঘটে। দ্যাশে তখন জননিরাপত্তা আইনের জারিজুরি চলে, পত্রিকায় এ নিয়া মেলা ল্যাখাল্যাখি হয়। সাহেবদের মানবাধিকার গোস্যাও হয়। গাবতলির শ্রমিক নেতা কাম ঢাকাই ছবির ফালতু ভিলেন কাদেরের বগলে হান্দানো রেডিওতে আমরা এইসব খবর শুনি।
তপনের গল্প মকবুলই দুপুরের হাঁটাহাঁটির সময় আমাদের শোনায়। ৩২ নং খাতার সামনের খোলা জায়গায় বিশ কি পঁচিশ চক্কর খাওয়ার পরও সেই গল্প শেষ হয় না। কিন্তু তপন কিছু বলে না। সে আমাদের এবং ৩২ নং খাতার যাবতীয় কাহিনী-কীর্তি নিয়া নিরাসক্ত থাকাই সাব্যস্ত করে। রাজ্জাক রাইটারের জিম্মায় থাকা কিংবা চরমপন্থি নামের গুণেই কেউ তারে ঘাঁটায় না। কিন্তু খবরের কাগজ আমাদের প্রশ্ন করতে শিখায়। তাই আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করি। আমি বা বিশ্বজিতই প্রশ্নটা করি,
: মার্কসবাদ বা শ্রেণীসংগ্রাম নিয়ে আপনার কী ধারণা?
তপন মালিথা আমাদের মুখের দিকে চায়া কিংবা প্রশ্নের মেরিট হিসাব কইরা হেসে ফেলে। তার সুন্দর মুখ, সুপুষ্ট দাড়ি আর বলশালী দেহের দিকে তাকায়া আমরাও হাসি। আমরা তাকে সিগারেট সাধি। সে হাত নাড়ায়া বলে, আছে আমার কাছে, এখন লাগব না। তখন আবারো আমরা আন্তরিকভাবে জিজ্ঞাসা করি, বিপ্লব নিয়া কী ভাবেন আপনেরা?
তপন আবারো হাসে আর চায়া থাকে। তারপর দুই পা মেলে দিয়া পেছনের দুই হাতের ওপর গতরের ভর রেখে গরাদের বাইরের অন্ধকারের দিকে তাকায়। অন্ধকারের সীমানায় জেলের উঁচু দেয়াল। তার ওপারে নাজিমুদ্দীন রোড, রাস্তা ঘেঁষা বালিকাদের উচ্চ বিদ্যালয়। দিনের বেলা আমরা সেই বালিকাদের কক্ষের বন্ধ জানালার দিকে তাকায়া থাকি। এদিকের জানালা গুলান মাতারিরা ক্যান যে খোলে না? কী হয়! আমরা কি চোখ দিয়েই লিয়ে লিব নাকি?
তপন কিন্তু অন্ধকারের দিকে চায়াই থাকে। সে হয় তো কিছু বলবে মনে হয়, কিন্তু তার আগেই তার মকবুল আমাদের মুখের দিকে চায়া মিটিমিটি হাসি দিয়া বলে,
মার্কসও কয়াছে, লেলিনও কয়া গেছে; আরমস ছাড়া বিপ্লব হবেনানে।
আমি একমত হয়া মাথা নাচাই। বিশ্বজিতের বোধহয় এ নিয়া ভিন্নমত আছে। সে গম্ভীর মুখে দাড়িতে আঙুল চালায়া তিন প্যাঁচ দিয়া বলে, হুমম!
সেদিকে খেয়াল না দিয়ে তপন বলে, যান ঘুমান। কাইল কতা কবনে।
আমরা ইলিশ ফাইলে রাশি রাশি মানবমাংস আর সারিসারি ঘুমন্ত কয়েদিদের মাঝে বুড়া আঙুলে ভর দিয়া নিজ নিজ কম্বলের কাছে চইলা আসি, কিন্তু ঘুমাই না। আমাদের বালিকা বিদ্যালয়ের কথা মনে হয়। কী কী হাবিজাবি কথা মনে হয়। তারপর রমজান পাহারার হাঁকে কথার ঘুড্ডি গোত্তা খায়া কৈ যেন হারায়া যায়।
তপন মালিথা বা কামরুল বা শামীমের কাছ থেকে বিপ্লব নিয়া তাদের চলতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়া আর কিছু জানা হয় না। অনেক পরে, সে বা কামরুল বা শামীম যখন র্যাবের ক্রসফায়ারে বান্ধবী রিক্তাসহ কুষ্টিয়ার কোনো এক কবুতরঅলা বাড়ীতে ভোররাতে ক্রসফায়ারে মারা যাবে এবং দৈনিক প্রথম আলোতে তার সচিত্র বিবরণ সিনেমার কাহিনীর মতো বিশ্বাস্য করে পরিবেশিত হবে, তখন আমার আবার মনে হবে মকবুলের ওই কথাখান যে, আরমস ছাড়া বিপ্লব হবেনানে। এই তত্ত্ব সম্বল করে তারা খুলনা বা বাগেরহাটের চিংড়ি ঘেরের বন্দুকবাজ হয় কিংবা ওপরমহলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আরমস রক্ষা করে। লাল পতাকা দিয়ে লাল পতাকা ঢাকার কায়দার কথাও আমরা নানানভাবে জানতে পারি।
পরদিনই তপন মালিথা ৩৬ সেলে অসম লিবারেশন ফাইটার্স-এর প্রধান অনুপ চেটিয়া ওরফে পরেশ বড়ুয়ার আশেপাশে কোথাও চালান হয়া যায়। তাকে আমরা আর দেখতে পাই না।
পরের সাত বছর সে কোথায় কোথায় কাটায়, তার খবর পত্রিকায় আসে না। হয়তো সে র্যাবের হেফাজতে থাকে কিংবা ঢাকা বা কোনো জেলা শহরের জেলখানার কোনো একলা সেলে বসে দিন গুজরান করে। কিংবা সে হয়তো অনেক আগেই কোথায় ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টার বা নিজের দলের লোকের হাতে মরে যায়। অথচ র্যাবের দপ্তর থেকে আজই তার মৃত্যু নিয়া গল্পটা আসে এবং মিডিয়ায় প্রচার হয়। ৩২ নং খাতার গল্পের সঙ্গে সেই গল্পের নাম-নিশানায় এত ফারাক যে, আমার গল্পটাকে কেবল গল্পই মনে হয়।
৩২ নং খাতার দিনগুলিতে তপন মালিথার দলের সাবেক ক্যাডার মকবুল দিনে যাই যাই করুক, রাতে আমাদের পাশাপাশি ঘুমায়। তখন আমাদের আর তার মন কৈ কৈ যায়, কী কী ভাবে!
এরকম এক নিকষ নিশিতে_ রাত নয়টার দিকে_ চিত হয়া শোয়া মকবুলের যশোরের কোন পগারপারে লুকিয়ে থাকার কথা মনে আসে। তার চোখের তারায় খিয়াল করলে দেখা যায়, এক বিরান পগারের পারে ভুতুড়ে ইটের ভাটা। এমনিতে মনুষ্যবর্জিত সেই ভাটার চুল্লির নীচের ঘরে তারা একমাস কাটায়। তার আগে তারা ছিল কুষ্টিয়ার পলিকেটনিকের মোশাররফ হোসেন হলের ৩২৩ নং রুমে। সেরকম এক ঝাঁ ঝাঁ রোদের দিনে হোস্টেলের গেটের সামনে তিনটা নীল পিক আপ আর একটা সাদা মাইক্রোবাস আইসা থামে। থামাথামির বালাই নাই তার আগেই মাইক্রোর পেট আর পিকআপের পশ্চাদ্দেশ থেকে ঠোল্লারা লাফিয়ে নামে। ফির মকবুলদের বুঝতেও একটু দেরি হয়া গেছিল। কিছুই করার নাই, তারা সাতজন সোজা হোস্টেলের গেট দিয়াই বাইর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ওদিকে কুষ্টিয়ার ছাত্রদলের ক্যাডারেরাও জায়গায় জায়গায় পজিশন নিয়া আছে দেখা যায়। তপনকে কিংবা কামরুল কিংবা শামীমকে মাঝখানে নিয়া সামনে ২ পেছনে ২ আর দুই পাশে ২ জন ফায়ার করতে করতে গেট দিয়া বাইর হয়া পুলিশের সাদা মাইক্রোর দিকে দৌড়ায়। ঠোল্লারা তো আর র্যাব না, অপরারেশন ক্লিন হার্টও তখন স্তিমিত। তাই তারা পালাতে পারে। মাইক্রো ফালায়া তারা গিয়া ওঠে যশোরের এই ইটভাটার চুল্লির নীচের গোপন কুঠুরিতে। দিনে বেরয় না। ভাটায় আসার পথের মাইল খানেক উজানে তাদের লোক বসানো থাকে। ফলে ঠোল্লা আসার আগেই তারা খবর পায়। এইভাবে তাস খেলে আর মুরগির ঝোল খেয়ে তাদের দিন কাটে। সেখানেই তপন তাকে বলে, অস্ত্র ছাড়া বিপ্লবের আর কোনো পথ নাই। সেই পথেই একদিন র্যাব আসে...
ভোররাতের ঘটনা হওয়ায় পত্রিকার পাঠকেরা একদিন পরে বন্দুকযুদ্ধের সচিত্র বিবরণ পড়ে আর শিহরিত হয়। আগের রাতে যারা টেলিভিশনের খবরে ঘরের মেঝেতে উপুর হয়া থাকা লুঙ্গি পরা খালি গায়ের মধ্যবয়স্ক লোকটা এবং তার পাশে ৩০ বছরের রিক্তা নামের মেয়েটিকে চোখ খোলা রেখে মরে পড়ে থাকতে দ্যাখে, তারা সন্ত্রাসদমনে সাফল্য নিয়া খুশি হয়। খালি মেয়েটার খোলা চোখের দৃষ্টি তাদের মনের কোথায় যেন একটা খেজুরের কাঁটা বিঁধিয়ে রাখে। তারা সেদিকে ২য়বার তাকায় না। কিন্তু তাদের কেউ যদি মর্গে যায়া তপনের লাশটাকে সোজা করে চোখের দিকে তাকায়, তাইলে দেখে যে, চোখের তারাটা তখনও শান্ত ও জ্বলজ্বলে। আর তার চারপাশের মায়াবি শাদা অংশে অজস্র রাতের অনিদ্রার পরও কোনো মলিনতা জমে নাই। এবং তারা আরো বোঝে যে, এই চোখ কখনোই কালো সানগ্লাসে ঢাকা থাকে নাই।
৩২ নং খাতার মেঝেতে শোয়া মকবুল কড়িকাঠ থেকে ঝোলা একশ ওয়াটের বাতির দিকে তাকায়া তাকায়া এইসব ভাবে। ভাবে খিলগাঁও রেলক্রসিংয়ের টেম্পো স্ট্যান্ডে তাদের ছিনতাইয়ের দিনগুলার কথা। আর ওদিকে কুষ্টিয়ার কোনো এক গ্রামে লোহার গেটওয়ালা বাড়ীর ভেতরে অজস্র কবতুরের ভোরবেলার সোহাগি ডাকের মধ্যে তপন কিংবা শামীম কিংবা কামরুল টের পায়, তারা ধরা পড়ে গেছে। তখন সে আর তার দীর্ঘদিনের সঙ্গীনী রিক্তা পরস্পরের দিকে তাকায়। তারা হয়তো তখন ফিকে একটা হাসি হাসে। কিংবা তারা একে স্বাভাবিকভাবেই নেয়। এরকম কত কত চক্করই তো তাদের পেরুতে হয়েছে। আজ নাহয় আবার...জিন্দা লাশের আবার ভয়?
কিংবা তারা আসলে এক যুদ্ধক্লান্ত দম্পতি, রাতের প্রেম শেষে ভোরের দিকে ঘুমাতে যায় আর গিরিবাজ কবুতরের দল তখনই বাসা ছাড়া হয়া পুরা গ্রামকে জাগায়া কোনো ইটভাটার দিকে কিংবা কোনো মর্গের ঘ্রাণের রেখা ধরে ধরে উড়তে লেগেছে।
কে জানে?
মন্তব্য
আপনে তো ভাই ফাটাফাটি লেখেন ।
একদমে পড়লাম ।
-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।
ফাটাফাটির চেয়েও বেশি কিছু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
৩২ নং খাতার অন্য বিষয় নিয়া লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সকাল বেলার সংবাদ দেখে বিষয় পাল্টে ফেলি। আমার ধারণা জেলে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। আর এটাকে কেবল গল্পের মুকুল হিসাবেই বিবেচনা করার অনুরোধ করি।
................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে। আমাদের মা আজো লতাপাতা খায়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
জীবনের কি অসহ্য অপচয় ।
এই লোকটা মোফাখখর চৌধুরীর বানানো ছিলো!
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দুর্দান্ত লিখছেন ফারুক ভাই!
আরামস ছাড়া বিপ্লব হবেনানে...
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
কীসের?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- যেটা জিগাইলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"পুরান বিল্ডিং বা সন্ধ্যামালতি নামের কয়েদখানায় গিয়া দ্যাখতে পায়, খাঁচার থেকে গলা বাড়ানো মুরগীর মতো শত শত গলার ওপর ফিট করা মুখ নতুন চালানের হেঁটে আসার দিকে একদৃষ্টে চায়া আছে। "
এত চমতকার তুলনা।
এত চমতকার গল্প
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা আপনাকে অনেক কম দেখি, ব্যাপার কী?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
৩২ নম্বর খাতার প্রথম লেখাটা মিস করেছিলাম, এটা পড়ার পর সেটাও পড়ে নিলাম।
দুর্দান্ত ! এক কথায় দুর্দান্ত !
ডায়লগটা অনেক দিন খেয়াল থাকবে। এত চমৎকার লেখার জন্য (বিপ্লব)
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ফারুক - ব্যাপার কিছু নারে ভাই।
কামলা খাটি।
খেটে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চমৎকার! পরের পর্ব ... ?
থাইম্যা থাইম্যা আসপে...
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সকালে ঢাকার কাগজে খবরটা দেখেই ভাবছিলাম ফারুক ওয়াসিফের কাছ থেকে একটা পোস্ট পাওনা হয়ে গেছে সবার,সচলায়তনের । ফারুক বিমুখ করলেন না ; ধন্যবাদ কমরেড ।
কর্পোরেট-বাণিজ্যের পয়গামপত্র আমাদের দৈনিকগুলো কি, বিদ্যুতমিডিয়াওলারা তপনের চোখের আয়তজমিন,আর তার সাদা অংশের অমিলনতা দেখে না, দেখেই না !
হাসান মোরশেদ উল্লেখ করলো বলেই মনে পড়লো,মোফাখ্খর চৌধুরী'র মৃত্যুদৃশ্য ও আসে নি সেল্যুলয়েডের কোন ফিতাবন্দি হয়ে ! অথচ আরও এক মৃত্যুঞ্জয়ী কর্নেলের মতো তাঁর বলবার কথাটাও ছিলো ' নি:শংক চিত্তের চেয়ে বড়ো কিছু নেই, জীবনের '
তপন মালিথা র গল্প বলিভিয়ার রং-রস মাখবে কি না কোনওদিন, কে জানে ; কিন্তু কোনও স্বপ্নই তো জ্বলমল করেনি বারুদ ছাড়া !
আরামস ছাড়া বিপ্লব হবেনানে...
মানতেই হয় !
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ধন্যবাদ সুমন সুপান্থ। কোনো এক দিন মোফাখখর চৌধুরীর ওপর লিখতে পারব আশা করি। আগে তাঁকে আরো জেনে নিই!
আরেকটা কথা, এই লেখাটায় সদ্যপ্রয়াত শহীদুল জহীরের স্টাইলের ছাপ আছে। এটা তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমার সময়হীনতার মধ্যে অফিসে এডিটোরিয়াল নামক চোথা লিখতে লিখতে দ্রুত লেখা শেষ করতে চাওয়ার ফল।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
খেয়াল করেছেন তাহলে, ফারুক ওয়াসিফ ?
দু'জনেই এতো প্রিয় লেখক,দু'জনেই কাছের মানুষ ছিলেন/আছেন , আর আমি তাদের দু'জনেরই ( একজন জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে, আরেকজন কে ক্যাথারসিস-কাল থেকে ) এতো এতো মনযোগী পাঠক - চোখে তাই লেগেছিলো ই !
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
খেয়াল করবো কি, ব্যাপারটা সচেতনই ছিল, আর আমি তাকে কতটা বুঝেছি সেটাও দেখার ইচ্ছা ছিল। শহীদুল জহীরের লেখায় কন্টেন্টই ফর্ম আর ফর্মই কন্টেন্ট। জীবনটা যেমন।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমারো শহীদুল জহিরের কথা মনে হচ্ছিলো পড়তে গিয়ে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
৬৯ পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিয়ে ইলিয়াস লিখেছিলেন চিলে কোঠার সেপাই
৭১ এর পরের বাংলাদেশকে নিয়ে আপনি একটা উপন্যাস লেখেন
আমার ধারণা বাংলাদেশকে মহাকব্যিক পটভূমিতে তুলে আনা আপনার পক্ষে সম্ভব
০২
দুর্বল মানুষের বিপ্লবকে আমরা বলি বিদ্রোহ
আর শক্তিশালী মানুষের বিদ্রোহকে বলি বিপ্লব
প্ঙ্গুরা না করতে পারে বিদ্রোহ - না করতে পারে বিপ্লব
বিদ্রোহ কিংবা বিপ্লব দুটোর জন্যই দরকার হাত কিংবা হাতল
যাকে অনেকেই আর্মস নামে চেনে
অসম্ভব জোরালো কথা।
আর মহাকাব্য, হাঁসালেন ভাই। খুবই কাতর আছি। একটু দম নিই আর একটু চলি। অক্সিজেন কমে আসছে দিনকে দিন। এইসব লিখলে একদিন ভাল থাকি, তারপর যেই কি সেই।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
জেলখানায় কাঁচি ফাইলের কথা জানতাম, কিন্তু ইলিশ ফাইল কি বস্তু ভাইসাব?
লেখা যথারীতি দুর্দান্ত। (বিপ্লব)
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
মানুষ স্থিতিস্থাপক প্রাণী, সব অর্থেই।
ধরেন, যেটকু জায়গায় দশজন ঘুমাতে পারে কাইত হয়ে, সেখানে যদি ব্যাপক চাপ দেন তো দেখবেন মাঝখানে আরো তিনজনের জায়গা হয়ে যাবে। সেখানে প্রতি রাত সাড়ে আটটার পর দেখা যেত বেশ কয়েকজনের জায়গা হয় নাই। তখন বলশালী কাউকে আনা হয়। সে বসে দুই পা দিয়ে এমন চাপে ঐ কাত হয়ে শোয়া লোতগুলোকে এমন ঠেলে ঠেলে মাঝখানে মাঝখানে আরো কয়েকজনকে ঢুকিয়ে দেয়। মাছের বাজারে একটা একটা ইলিশ যেভাবে কাত করে রাখা হয়, সেভাবে মানুষ রাখা হলে সেটা হয় ইলিশ ফাইল।
এইবার টিনের বাক্সে দশ টাকা দ্যান।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই নেন দশ টাকা।
প্রশ্নখান আমারো ছিলো।
জিউ যেটি যেন্কা হলেও আপনার লেখনীর গুনে সেটা অসাধারণ হয়ে উঠেছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি ভাবতাসি ফারুক ওয়াসিফ ৩২নং খাতায় জমাপড়লো কেমনে? নাকি সংবাদ কালেকশন করতে গেসিলেন? খুবই ধন্দে আসি।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
আমরা মরা ঘাঁটি, সংবাদ পুরানা হলে সেইটা নিয়া জ্ঞানের কথা বলি, কাহিনী ফাঁদি। কালেকশনে যাওয়া আর হয় না। আর যাহা তাহা পরের পর্বে বলিতব্য।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমার একেবারেই অজানা একটা বিষয় নিয়ে লেখা এই সিরিজটির ভক্ত হয়ে পড়ছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এটা আমার একটা প্রিয় সিরিজ হয়ে থাকবে। আমি জানি পরের পর্বগুলো আরো দূর্দান্ত হবে।
আরো বহুবার পড়া হবে এটা
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আজকের প্রথম আলো লিখেছে, তপন মালিথা শেষ সময়ে চেষ্টা করেছিল সবগুলো মাওবাদী গ্রুপগুলোর মধ্যে সমঝোতা আনার। এর জন্য ফরিদপুরের এক ইটভাটায় তারা বৈঠকও করে।
গল্পের বাইরেও গল্প তার নিজের মতো চলতেই থাকে...
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
৩২ নং খাতার ভক্ত আমি প্রথম লেখা থিকাই, লেখা ফাটাফাটি হইসে কইলে কম বলা হইয়া যায়, আপ্নে কিছু সময় পার করসেন যা আপনেই লেখতে পারেন, লাল সালাম ।
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হ্যাঁ, কিছু সময় আমি পার করসি, আর গত বছরের আগস্টের ছাত্র অভ্যুত্থানের বেশ ক'জন অনেক কিছু পার করেছে। সালামটা তাদের দিকে পাস করে দিলাম।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- ভাইরে, আল্লায় দেক আপনে বড় হৈলে যেনো দুই হাতেই এমন লেখতে পারেন।
আমরা বেশি বেশি কইরা খামু।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কি বলবো! আমি বাকরুদ্ধ।
আমি যে বাকরুদ্ধ শুধু এটুকুই জানিয়ে গেলাম তাই।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
দুর্দান্ত লাগলো। কত অজানারে ...
আপনার লেখার ঢং অসাধারন তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো যে ব্যক্তি আপনার সাবজেক্ট তাকে যেভাবে লেখায় ও মন্তব্যে এক ধরনের গরীবের হিরো হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে তা বিস্ময়কর! এই তপন মালিথা সম্পর্কে খুব যে বেশী কিছু জানি তা না, কিন্তু যতটুকু জানি তাদের আন্দোলন সংগ্রাম সম্পর্কে, তাতে তাকে অন্যান্য সিরিয়াল খুনি থেকে আলাদা করাটা বেশ কষ্টকর! শুধুমাত্র কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের দিকেও যদি তাকাই আমরা তাতে কি চরিত্রের লোক সে ছিলো তা বেশ বোধগম্য; যদিও এরাই অনেকের আবার বিপ্লবের প্রেরণা...!
শুধু খুন নয় এদের বিপ্লবের রসদের যোগান আসে বিপুল পরিমানের চাঁদাবাজি থেকে! এসব তথাকথিত বীরদের আবার বীরগাঁথা লেখেন আমাদের শহুরে কোন বুদ্ধিজীবি!
তাইলে ভাই আমি ব্যর্থ হইছি।
এরা আমার বীর না। আর আমি শহুরে বুদ্ধিজীবীও না।
বিনাবিচারে যে কাউকেই মারা হোক না কেন, তারে যে অপরাধই থাকুক না কেন, আইনী খুনেদের অস্ত্রের সমুখে ঐ ব্যক্তিটির পরিণতি বিচারের দাবি রাখে। এই মামলা তার অপরাধের বিচারের নয়, এই মামলা ক্রসফায়ার কর্মের বিরুদ্ধে একজন ফরিয়াদির।
ঘটনা আর পত্রিকার ভাষ্যের মধ্যে যা কিছু সেন্সরের ক্রসফায়ারে মারা পড়ে, কথাকার সেই হারানো অর্থগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করে। বুঝলাম আমার সেই চেষ্টা সফল হয় নাই।
জিনিষটা কি আরেকবার পইড়া দেখবেন?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনার সাথে কথা বলে ফোনটা রাখার পরে মনে হলো বুঝি মুগ্ধতাটা পুরো প্রকাশ করতে পারিনি...
এখানেও কি পারবো?
আমরা মাঝখানে একটা সংগঠন বানায়েছিলাম... বারবেলা... প্রতি বৃহস্পতিবর সন্ধ্যায় বসে একটু জলপান সাথে সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়া আলাপ। বেশিরভাগ আসরই বসতো সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ (গল্পকার) এর বাড়িতে, মাঝে মাঝে আহমেদ মাজহার বা পারভেজ হোসেনের বাড়িতেও... পারভেজ ভাই করা বারটেন্ডার... নিয়ম ছিলো চার পেগের বেশি কেউ নিতে পারবে না... আমি বিরোধিতা করলাম... যে তারচেয়ে পানি সেভেনআপ খাওয়া ভালো। তখন নিয়ম হইলো ঠিকাসে... যদি কেউ বেশি নিতে চায় তার জন্য অতিরিক্ত দুই পেগ বরাদ্ধ করা যাবে। আমি আমার সেই ছয়পেগ শেষ কইরা অন্য যারা কম খায় তাদের দুইটা কইরা ধার নিতাম...
এইখানে আমি কি কেবল পাঁচই দিতে পারবো? অন্যদের থেকে ধার নেওয়ার বা ক্ষেত্রবিশেষে বেশি দেওয়ার রেওয়াজ আছে?
যা হোক... ভালো লাগলো অসম্ভব...
গাবতলী শ্রমিক নেতা কাদেরের কথা যে বললেন সেইটা কি শুকনা পাতলা ফর্সা কইরা?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেই ফন্দিবাজ শ্রমিক নেতা কাম ভিলেন কাম আমাদের ফুর্তিদাতা কাউলা মোটকা আর এটিমের সেই মোটকা কালো লোকটার মতো।
তারাবাজি কইরেন না, ঈদ তো সামনে আসছেই, খালি আপনার ঐ বাড়তি ঝোলগুলা আমারে পাস কইরা দিয়েন সময়মতো। দেইখেন ক্যামনে মুগ্ধতারে পান্তা বানাই
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
১। ফারুকের সাথে একমত তার এই বক্তব্যে "বিনাবিচারে যে কাউকেই মারা হোক না কেন, তারে যে অপরাধই থাকুক না কেন, আইনী খুনেদের অস্ত্রের সমুখে ঐ ব্যক্তিটির পরিণতি বিচারের দাবি রাখে। "
আমার বক্তব্য পরিস্কার
আমি বিনাবিচারে
ক্রসফায়ারের নামে (সিরাজ সিকদার থেকে তপন মালিথা )
কু'দেতার নামে ( সপরিবারে শেখ মুজিব /জেনারেল জিয়া ) কাউন্টার কু'দেতা/বিপ্লব/বিদ্রোহ নামে (মুক্তিযোদ্ধা আর্মী অফিসার খালেদ-হায়দার-হুদা -মনজুর -মতিউর -মাহবুব প্রমুখ )
প্রহসনমুলক বিচারে ( কর্নেল তাহের, কর্নেল নওয়াজেস , লে কর্নেল মাহফুজ প্রমুখ ) সকল প্রকার হত্যার বিরোধী ।
আমার এই অবস্থানের জন্য যে কোন গালি শুনতে আমার আপত্তি নেই ।
২। ফারুক তার এই ব্লগে সদ্য প্রয়াত শহিদুল জহিরের প্রভাব এর কথা উল্লেখ করতে দ্বিধা করেনি
তার লেখায় অনেকেরই মত ,পথ, স্টাইল এর প্রভাব দেখা যায়
এবং এটা দোষের নয়
তবে শেষ বিচারে তার সব লেখাই (বর্তমান ব্লগ সহ) হয়ে উঠে স্বতন্ত্র
বলা যায় 'ফারুক ওয়াসিফীয় "
৩। মাহবুব লীলেন এই মতের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করছি "৬৯ পর্যন্ত বাংলাদেশকে নিয়ে ইলিয়াস লিখেছিলেন চিলে কোঠার সেপাই
৭১ এর পরের বাংলাদেশকে নিয়ে আপনি একটা উপন্যাস লেখেন
আমার ধারণা বাংলাদেশকে মহাকব্যিক পটভূমিতে তুলে আনা আপনার পক্ষে সম্ভব "
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বেশ দেরিতে পড়লাম। আগেরটার তুলনায় এই পর্বটাকে কিছু মলিন লাগলো। তাড়াহুড়ার কথা জানিয়েছেন। কী এমন তাড়া ছিলো? তপন মালিথার সংবাদ টাটকা থাকা অবস্থায় পোস্ট করার তাড়া? দরকার ছিলো না, একটু সময় নিতে পারতেন।
নিহত তপন মালিথা সম্পর্কে একটা সংশয়ের জায়গা লেখায় পাওয়া গেলো। অর্থাৎ মৃত ব্যক্তি আসলেই তপন কি না। সংশয়টা পাঠকের মধ্যে ঢোকাতে পেরেছেন বলে আমার ধারণা।
আরেকটা কথা। আসলে আমার ব্যক্তিগত মত, সুতরাং উপেক্ষাও করতে পারেন। এই লেখায় আপনি শহীদুল জহিরের স্টাইলটা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কোনো প্রয়োজন ছিলো বলে মনে হয়নি। আপনার আগের লেখালেখি পড়ে আমার এই ধারণা হয়েছে যে, আপনি নিজের স্টাইল তৈরি করতে সম্পূর্ণ সক্ষম। আর ছোটো মুখে বড়ো কথার মতো শোনালেও বলি, শহীদুল জহিরের স্টাইলটা কী খুব নিজস্ব তাঁর? কী জানি!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমারো তা-ই ধারণা, এইটাতে বিষয়ের কারণে একটা তীব্রতা এসেছে কিন্তু তা বর্ণনাকে পিচ্ছিল করার কারণে পাঠক পড়তে পড়তে পিছলে গল্পের বাইরে অনায়াসে চলে যেতে পারেন।
শহীদুল জহীরের স্টাইলটা মার্কেজিয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তাঁর শেষ বই, মুখের দিকে দেখিতে তিনি উতরে গেছেন। এটা আমাদের জাতীয় জীবনীর একটা খণ্ড হওয়ার দাবি রাখে, দাবি রাখে অনজ্ঞাত তুচ্ছ সব মানুষের বিষাদভরা জীবনের উদযাপনের স্মারক হয়ে ওঠার।
গল্পটায় একটা কুহক-ফাঁদ রাখার কারণ আমাদের সময়টাকে এভাবে বুঝতে চাওয়ার চেষ্টা। যা ঘটে আমরা কি আসলেই তা জানতে পারি? মিডিয়া-পারসিভড চেতনা কি কুহকে আচ্ছন্ন থাকে না? ক্রসফায়ারের কাহিনী কি নিজেই একটা ধাঁধাঁ নয়? কি জানি!
আমার ব্লগ লেখার আলাদা সময় নাই। বাসায় অন্য কাজ করি। তাই অফিসে বসেই এসব করতে হয় কাজের ফাঁকে ফাঁকে। এভাবে না হলে এখন এই গল্পটা লেখা হতো না। আবার আমি রসিয়ে রসিয়ে ছক কেটে লিখতে পারি না, একটা আবছা অনুভূতি থাকে। সেটা লিখতে গিয়ে মোড় নেয়, যাত্রা ঠিক করে। এক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
" মাটির তলাকার ইন্দুর আর কালা চশমা পরা শিকারি বিড়ালের দলগুলা অস্ত্র নিয়া ঘোরে, অস্ত্র নিয়া ঘুমায়, সশস্ত্র সঙ্গম করে এবং সশস্ত্র মরণ মরে। "
"এই চোখ কখনোই কালো সানগ্লাসে ঢাকা থাকে নাই। "
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ দুর্দান্ত।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
কাঙালের কথা.....
ধন্যবাদ ওয়াসিফ...... চলতে থাকুক......৩২ নং খাতা.....
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
ধন্যবাদ।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
লেখার সাথে সাথে কমেণ্টস গুলোও ভালো লাগে । এই ওয়েবসাইট পেয়ে, আমার মনে হয় এত দিনে আমি আমার স্বপ্নকে ছুঁতে পেরেছি । ধন্যবাদ সবাইকে
**************************
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
নতুন মন্তব্য করুন