মনটা এমনিই খিচে আছে। সচলে ঢুকেও দেখি, একটি দুটি তারা জ্বলছে মাত্র! হোয়্যার হ্যাভ অল দ্য সোলজারস গান? গতকাল ছিল সাঁওতাল মহাবিদ্রোহের যেন কতশততম বার্ষিকী। তাতে কি? কোথাও কেউ কিচ্ছুটি করেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ৩০ বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে গ্রামীণ ফোন ওরফে টেলিনরের কাছে। তাতেই বা কি? সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষাকে ব্র্যাকের হাতে তুলে দেয়ার পাইলট প্রজেক্ট ফাইনাল। আপাতত প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব তারা নিচ্ছে দয়া করে। স্বাস্থ্যসেবাটাও দিনে দিনে গ্রামীণ বা এরকম কারো হাতে চলে যাবে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান তছনছ করছে শেভ্রন। আমাদের মতো দুর্মুখেরা নয়, সকলেই বলছে, বনটা ধ্বংস হলো। কিন্তু ওরা ডিনামাইট ফাটিয়েই চলছে। প্রতিবাদে লোকদেখানো মানববন্ধন করছে ঐ বন প্রশাসনের দায়িত্ব পাওয়া নিসর্গ নামের ইউএসএইডপুষ্ট সংস্থা। পৃথিবীর সবখানেই যেখানেই মার্কিন কোম্পানির থাবা ফেলা সাব্যস্ত হয় সেখানেই ইউএসএইডপুষ্ট নিসর্গদের দেখা যায়। এরা বন, বনের প্রশাসন ইত্যাদি এমনভাবে সাজায় যে বাইরের হস্তক্ষেপের জন্য তা পুরো উদোম হয়ে যায়। কেউ যদি বলেন ব্যাপারটা তা না। আমি কিছু কব না। পাঁচ বছর পরে আপনাকে কোথায় পাব ভাই, সেই ঠিকানাটা চাব শুধু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দ্বিতীয় একটা ক্যাম্পাস গড়া হবে নাকি ঢাকার বাইরে। ধারণা করি সেটা প্রাইভেটই হবে, কর্পোরেট শাসিতই হবে। আইয়ুব খানের পরিকল্পনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল সেকালের বনজঙ্গল সাভার এলাকায়। এখনকার খানসাহেবরাও একই পথের পথিক। ঢাকার চারদিকেই ক্যান্টনমেন্ট: উত্তরায়, মীরপুরে, পোস্তগোলায় ও সাভারে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দূরে দূরে। সাভারে, ময়মনসিংহে। হোক না, কার কি?
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২/১৪ লাখ নারী বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। ভারতেই আছে চার লাখ বা আরো বেশি। পাকিস্তানে তিন লাখ বা আরো বেশি। চল্লিশ হাজার বাঙালি বালক প্রতিদিন পোঁদ মারা খাচ্ছে পাকিস্তানের যৌনশিবিরে। তাতে কি? ওদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের লোকেরা এসে আমাদের সীমান্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে, চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনও করা সারা। কেন ভাই? তোমরা কি বাংলাদেশের নিরাপত্তা দেবে? সমুদ্রে ঘাঁটি বসাবে? সীমান্তকে নিজের মনে করে ব্যবহার করবে? করো, তোমাদের মুরগি তোমারা পাছায় জবাই করবে না গলায় জবাই করবে, সে তোমাদের ব্যাপার।
দেশটার প্রাণ-প্রকৃতি-মানুষের যে ক্ষতি হচ্ছে, ইংরেজের দুইশ বছরেও বোধ করি তা হয় নাই। কিন্তু এটাকেই উন্নয়ন বলতে হবে। কর্পোরেট-এনজিও-সামরিক বাহিনী মিলে নতুন ত্রীবেণী বাঁধছে। এই ত্রিবেণী সঙ্গমে যে পুত্র পয়দা হবে, সেই চালাবে আগামীর বাংলাদেশ। এর জন্যই রাজনীতিকে নিঃসার করা হচ্ছে। সকল দায়দায়িত্ব থেকে রাষ্ট্রকে ছুটি দিয়ে, তার হাত-পা-মুখ-মাথা-হৃদয়-চক্ষু সব কেটে কেটে ভাড়া দিয়ে কেবল এক বিরাট লিঙ্গসর্বস্ব দেহ বানানো হচ্ছে। সেই লিঙ্গই এখন দেশ চালাচ্ছে। একে নিরাপদ রাখতে নানান আরামের রসে ভেজানো হচ্ছে মধ্যবিত্ত ও তরুণকুলের গা-গতর। এত আরাম এত আরাম যে, তার লোভে পরিবর্তনের আশাকে কোরবানি দিতে সাধ হয়। আশা মরলেই সুবিধাবাদ জন্মায়। যার যার চারপাশে কচ্ছপের খোলের মতো শক্ত ঢাকনা বানিয়ে সেই সুবিধাবাদ বসত করা শুরু করে। নিজের চারপাশেও সেরকম একটা খোল আবিষ্কার করছি। তার ভেতর থেকে মাঝে মাঝে আরামের লোভে গলা বাড়াই, মাঝে মাঝে ব্যারামের জ্বালায়ও গলাটা বের করি। ওটুকুই সার। খালি ভয়, কোনো অ-সিভিল বুনো কিশোরের দল যদি কচ্ছপটা উল্টিয়ে দেয়? যদি নাজুক অংশটা আকাশের দিকে চার হাতপা মেলে পড়ে থাকে, আর তারা তা খোঁচাতে থাকে?সেই উল্টানো দশা থেকে যদি নিজে নিজে আর সোজা হতে না পারি?
না পারি তো কি, আর পারলেই বা কি? কিছুতেই কিছু না হওয়ার দেশে কচ্ছপ হতে পারাটাও তো বিরাটা কম্ম। আবুল-কাবুল-মকবুলরা কিংবা সেই সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়কেরা কিংবা ফুলবাড়ী কিষাণ-কিষাণিরা তো তা পারবে না। আমরা ভদ্রলোকেরা পারি।
প্রতিদিন টের পাই কচ্ছপের খোলটা আরো শক্ত হচ্ছে। হয়তো বা তাকে ভালও বেসে ফেলছি।
মন্তব্য
"যার যার চারপাশে কচ্ছপের খোলের মতো শক্ত ঢাকনা বানিয়ে সেই সুবিধাবাদ বসত করা শুরু করে।"
আমরা সবাই নিজেদের চারপাশে এইরকম একটা সুরক্ষাবর্ম তৈরী করে আসলে কি নিজেদের ধ্বংসের পথেই এগুচ্ছি না?
চোখ বন্ধ করেই আমরা ভাবতে চাই, কই...কোথাও কোনো প্রবলেম নেই তো !
সমাধানটা কি আসলে?
....................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
খোলটা ভাঙ্গা।
যে ঝুঁকিতে নাই, তার কোনো গতিও নাই। সে কচ্ছপ হয়ে গেছে। এই যেমন আমিও হয়ে যাচ্ছি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
বিশ্লেষণী লেখা। ভাল্লাগলো।
...বেছে বেছে কিছু এনজিওর পোঁদ মারা হচ্ছে আর কিছুকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বানানো হচ্ছে। কর্পোরেট-এনজিও -সামরিক খেলা চলছে ভালোই। প্রাথমিক শিক্ষা নাকি চলে যাচ্ছে ব্রাকের হাতে..শালার জলপাই শাসন!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
জলিল ভাই, আপনার সেই জীবনের গল্পগুলো পাই না কেন?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
টিএসসি লিজ দেয়া হইছে মানে কি? আমার ঠিক হজম হচ্ছে না, বারবার পড়েও বুঝছি না। আরেকটু ক্লিয়ার করে বলবেন কেউ?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ঘটনার শুরু এভাবে: প্রথমে টিএসসি থেকে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাজকর্ম সরানো হলো জরুরি অবস্থার প্রথম দিকে। কেউ আর সেখানে রিহার্সেল করে না। তারপর ক্যাম্পাসে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য হল বরাদ্দ চাইলে ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দেয়ার নিয়ম চালু হলো। শেষে টিএসসিকে তিরিশ বছরের জন্য লিজ দেয়ার বন্দোবস্ত চলতে লাগলো। গ্রামীণ এর মধ্যেই সেখানে টেলিনরের লোগোর আদলে এক ঝাঁক পাখির ভাস্কর্য বসিয়েছে। দেখা যাক কী হয়! আমার মনে হয় না, এত সহজে তারা এটা পারবে।
কিন্তু জরুরি অবস্থার সুবাদে মধুর পেছনে ও লাইব্রেরির সামনে যে গাছগাছালি ঢাকা চত্বরটা ছিল, যেখানে দলে দলে আড্ডাবাজি চলতো সে জায়গাটায় ভবন উঠছে। এর আগে বারবারই ছেলেমেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই এক চিলতে সবুজ বাঁচানোর জন্য আন্দোলন করেছে, গত বছরের আগস্ট উত্থানের সময়ও নির্মাণ কাজের জন্য টিনের ঘেরাও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। এখন সেখানে দিব্যি বিল্ডিং উঠছে। আর নাকি জায়গা নাই।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।
এই জায়গার গাছ কাটার পাঁয়তারা অনেক আগে থেকেই চলছিলো, আমরা সম্ভবত ফার্স্টইয়ারে তখন। অনেক চেষ্টা চরিত্র করসিলাম গাছ কাটা ঠেকাইতে। প্রথমদিকে সীমানা দিয়া বাঁশ পুতে রাখছিলো। এক সন্ধ্যায় আমি আর তিথি মধু থেকে ফিরার পথে ঐদিক দিয়া আসার সময় হঠাৎ কি হইলো, তিথি মাথা খারাপের মত ঠেলে-ঠুলে একটা বাঁশ তুলে ফেললো। ওরে দেইখা আমরা আরো কিছু বন্ধু, সবার মাথা গেলো আউলাইয়া, সবাই মিলে অনেকগুলা বাঁশ তুলে ফেললাম ঐ রাতেই। পরে হলে ফিরে পোস্টার বানাইলাম অনেকগুলা, পরদিন সেইগুলা ঝুলাইয়া দিলাম গাছে গাছে। প্রথমে আমরা আমরাই ছিলাম, পরে আরো অনেকে যুক্ত হইলো এই আন্দোলনে। খুব বেশি কিছু করা যায় নাই। একদিন ওইখানে পোস্টারিং/লিফলেট দেয়ার সময় মধু থেকে বের হওয়া ছাত্রদলের নেতারা হেবি ঝাড়ি দিলো, অত্যুৎসাহী দুয়েকজনরে রীতিমতন আটকাইয়া রাখতে হইলো যেন আমাদের না মারে!
শেষমেষ গাছ কাটে নাই, যতদিন ছিলাম, ভাবছিলাম ব্যাপারটা মিটে গেছে!
এখন তাইলে দেখা গেলো, রাক্ষস বদলায়, খিদা মরে না!
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কিছুই মেটে না, বানের জল দিনে দিনেই বাড়ে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ঢাবিতে আন্দোলনের মুখে
জিপি-টিএসসি চুক্তি
বাতিলের সিদ্ধান্ত
সুত্র bdnews24.com
একটু আগে আমিও খবরটা দেখলাম। যতবারই ভাবি, এই মুমুর্ষু সময়ে ওরা পারবে কি? ততবারই দেখি ওরা পারে।
কিন্তু গল্পের শেষ এখানেই নয়, এদিকে ভাঙ্গন ঠেকলেও ওদিক দিয়ে আবার আঘাত আসবে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই ঢালাও আন্দোলনের যুক্তিটা বুঝলাম না।
বন্ধ্যা জীবনযাপন করতে করতে স্মৃতি ও বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করেছে । ভুলে যাই অনেক কিছু,ভুলে গেলেই আপাতঃ স্বস্তি ।
বছর দুয়েক অন্য ব্লগে এইদিন একটা পোষ্ট করেছিলাম । সচলায়তনের আর্কাইভে খুঁজে পেলাম ।
আমি জানতাম তারিখটা ৩০ জুন । ভুল ও হতে পারে । পুরনো পোষ্ট এর লিংক রাখলাম
সাবাস যদি দিতেই হবে,সাবাস দেবো তার
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এখনও তো দিতে পারেন, নতুন করে একটা লেখা। অসুবিধা কি?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
কনফুসিয়াস - আপনার (এবং তিথিরও) খারাপ লাগা কেমন হতে পারে, খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি। ঢা বি তে কাটানো সময়গুলো আমার জীবনে এত গাঢ়ভাবে আঁকা যে তার একটা গাছের এদিক ওদিক হওয়াও আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। সব বাদ দিয়ে কেন টি এস সি তেই গ্রামীণের থাবা বসাতে হবে সেটাও কিন্তু বুঝলাম না।
ফারুক ওয়াসিফ - লেখাটা ভালো লেগেছে। আর আপনার ডিকলোনাইযেশন নিয়ে লেখাটা সময়াভাবে এখনো পড়া হয় নি, তবে ওই ব্যাপারে যেহেতু আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ আছে, আশা করছি অচিরেই পড়ে ফেলবো এবং মতে না মিললে অকপটে প্রকাশ করবো ....
ঢাবি একটা প্রতীক। প্রতীক বিজয় হলে, যার প্রতীক সেও বিজিত হতে শুরু করে।
ওইটা ছিল একটা মৌখিক আলোচনার দ্বিতীয় অংশ। প্রথম অংশটা আগে অন্যনামে দেয়া আছে। বলার জন্য অস্পষ্ট রয়ে গেছে বেশ কিছূ জায়গা। ধরিয়ে দিলে পুনর্লিখনে যাব।
তিতাস, ঢোঁড়াই, কুরপালা, পদ্মা নদীর মাঝি, হাঁসুলি বাঁকের উপকথা আর খোয়াবনামার মধ্যে একটা সংযোগ পাই। সেটা এখানে আসেনি। তিস্তাপারের বৃত্তান্ত আর কাঁদো নদী কাঁদোকে রেখেছি রেফারেন্স হিসাবে।
আপনার অকপটতার প্রতি আমার অনেক ভরসা। আপনি চাইলেও কপট হতে পারবেন না মনে হয়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
কমেন্ট করতে গিয়ে ভাষা হারাচ্ছি....
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খটকা লাগলো। শব্দটা কি 'বিজিত', না কি ....। এই শব্দটা নিয়ে সবসময়েই আমার একটা খটকা লাগে। কেন যেন অভিধান থেকেও স্পষ্ট হতে পারি না।
আপনি কি যার প্রতীক সে পরাজিত হতে শুরু করে বোঝাতে চাচ্ছেন ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আসলে প্রতীক বিজয় না বলে প্রতীক-বিজয় কিংবা প্রতীক জয় করা হয়ে গেলে মানেটায় ধন্দ লাগতো না মনে হয়। বিজিত মানে কি যাকে জয় করা হয়েছে নয়? আর যে জয় করেছে সে বিজেতা। একটু খেয়াল করে জানায়েন তো?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমিও তো তাইই জানতাম! না কি সেটা ঠিক নয়?
হ্যাঁ, আমিও তো তাই জানতাম।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
যতদূর জানি বিজিত মানে পরাজিত পক্ষ; কিন্তু আপনি সম্ভবত বিজয়ী অর্থে বাক্যটি লিখেছেন? ব্যাপারটা কি এরকম-
প্রতীক বিজয় হলে, যার প্রতীক সেও বিজয়ী হতে শুরু করে।
দুঃখিত আমারো ভুল হতে পারে...
ফারুক যা বলেছেন বলে, আমি অন্তঃত বুঝেছি সেটা হলো - ঢা বি আন্দোলনের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক, মেনে না নেয়ার প্রতীক, তারুণ্যের প্রতীক, সংগ্রামের প্রতীক, এবং আরো ইত্যাদি ......
যার প্রতীক সেও বিজিত হয় মানে, ঢা বি তে কর্পোরেট কালচারের জয়ধ্বজা ওড়াতে সফল হওয়ার অর্থ দাঁড়ায় - ঐ সব কিছুকে পরাজিত করে পূঁজিবাদ/ একনায়কত্ব ইত্যাদির আধিপত্য নিশ্চিত করা -
তাই কি, ফারুক ?
অনেকটা। আবার এও তো সত্যি, এটা কোনো দেবালয় নয়। প্রতীক তৈরি হতে অনেক দিন লাগে, ঢাবি এ গুরুত্বটা অনেক দিন থেকে আলঙ্কারিক ভাবে পাচ্ছে। কিন্তু ঐ আমরা যাকে বলি আধিপত্য, পুঁজি, কর্পোরেট, ক্ষমতার খয়ের খাঁ গিরি_ তা থেকে ঢাবি কবেই আর মুক্ত ছিল! কিন্তু আমরা আমাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসাবে একে গরিমা দিই। কয়েক যুগ ধরে মধ্যবিত্তের রোমান্টিক আত্মমহিমা এমন ভাব ভালবেসেছে। এখন আর বাসছে না বোধ হয়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সেইইই!
বিজিত শব্দের মানে ঠিকই আছে। যাকে জয় করা হয়েছে। আসলেই বাংলাভাষাটা জটিল ও মজারও।
মূলতঃ প্রতীক বিজয় কে আমি প্রতীককে বিজয় ধরে পড়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছিলাম। প্রতীক-বিজয় হলে বিজয়টা বাস্তবে নয়, প্রতীকী পাওয়া অর্থে পড়লে আপনার বক্তব্যের সাথে একমত না হওয়ার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে একমত আমি। চমৎকার পোস্ট !
একটা অভিজ্ঞতাও আমার জন্য, ছোট্ট একটা হাইফেন সংযুক্তি কী করে বাক্যের পুরো অর্থটাই পাল্টে দিতে পারে তা প্রত্যক্ষ করে আমার মায়ের সমৃদ্ধ ভাষাটার জন্য আবারো গর্ববোধ করছি।
ধন্যবাদ ফারুক ওয়াসিফ ভাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ফারুক, কেন অযথা কচ্ছপকে খাঁটো করলেন? ওর স্বভাব কি আদৌ ওরকম? আর যদি সেরকম হয়ও, তাহলে ওটাতো প্রকৃতিদত্ত।
কিন্তু আমরা? আজকের আমরা? দয়া করে, কচ্ছপকে মুক্তি দিন, তুলনা টানার মতো কিছুই আমাদের জন্য বোধ হয় আর অবশিষ্ট নেই।
সেটাই বোধ হয় ঠিক মাসুদা। একটা ইমেজারি চোখে ভাসে: অজস্র কচ্ছপের মিছিল। তারা পা টেনে টেনে ভারি শরীর নিয়ে যাচ্ছে। অন্য প্রাণী দেখলেই গুটিয়ে নিচ্ছে মাথাটা। কী ইনোসেন্ট! আমি আমাদের আপত্তিকর ইনোসেন্সকেও দুষতে চেয়েছি!
পুনশ্চ : নাম ধরে বললাম বলে কিছু মনে করলেন না তো? এটাই সহজ হয় এবং সাধারণও হয়। সামনা সামনি হয়তো আরো কিছু সম্ভাষণ যোগ করব।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সবতো টিএসসি লীজ দেবার পায়তারা চলছে। কিছুদিন পর নিজের পুটকিও লীজ দেয়া লাগবে।
কচ্ছপের খোলস সেই কবেই শক্ত করে ফেলেছি। এখন আর কিছুতেই কিছু যায় আসে না।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ফারুক ভাই, আপনার লেখাগুলো পড়ে ভাবতে ভাবতেই দিন চলে যায়, মন্তব্য আর করা হয়ে ওঠে না। আজকের লেখার বিষয়গুলো ভাবনার চেয়ে ক্রোধের সঞ্চার করলো বেশি। ভাঙা রেকর্ডই বাজিয়ে যাই আবারো। সময় বদলাতে বাধ্য। শুধু একটাই চাওয়া, সেই সময়টা আসলে যেন আমরা বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠতে পারি।
তবে আমাদের ছাড়াই বোধ হয় তা হবে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
রেটিংদিলাম। শুধুই পড়লাম। মন্তব্য করতে পারলামনা।
----------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ধন্যবাদ থার্ড আই।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
উফ... এক লেখায় এতসব প্রসঙ্গ ধরে দিলেন? অবশ্য প্রসঙ্গ বোধহয় একটাই... আমাদের অসহায়তা।
ভালো লাগলো বেশ...
মধুর পিছনের জায়গাটাকে আমরা বলতাম জঙ্গল... সেইখানে জালাল মামার চায়ের দোকানে সহস্র কাপ চা-এর কথা মনে পড়ে। আমার অনেকটা আনন্দ বিষাদের সময় কাটছে সেখানে। মসজিদের পেছনের খাটো দেয়ালটার ওপর শুয়ে এক বিকেলে ঘন্টাখানেক ঘুমিয়েছিলামও... এখন গেলে তাই খুব খারাপ লাগে।
এটা নিয়ে যখন প্রথম হৈ চৈ হয় তখন জনৈক বুদ্ধিজীবী শিক্ষক বলেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাকি বোটানিক্যাল গার্ডেন না। এখানে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ব্যহত করে গাছ টিকিয়ে রাখার কোনও মানে নেই। প্রস্তাব করেছিলেন প্রয়োজনে ঢাকার অন্যত্র অনেক গাছ লাগানোর।
এখন ছাত্ররা এটা মেনেই নিয়েছে। আর কোনও উচ্চবাচ্চ নেই।
TSCর ব্যাপারটা নিয়া জোট আমল থেকেই ভেজাল চলতেছে। এইটা একটা জামাতী ষড়যন্ত্র। আলমগীর হোসেন যুগযাবত এই TSC নিয়া যেই দূর্নীতি করছে তার হিসাব দুদক নেয় না। নিবো কি?
এখন তা দখলে নামছে GP... এইটারে ঠেকানো টাফ হবে মনে হয়। আপাতত চুক্তি বাতিল হইলেও আমি তত আশা দেখি না। খুব নীরবে তারা ঢুকতে পারবে। ঢাবি অঞ্চলে GPর নেটওয়ার্ক খারাপ। অথচ কাস্টমার সবচেয়ে বেশি। এইখানে টাওয়ার বসানোর লোভ, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বসানোর লোভ, তৎসঙ্গে চাকরির মূলা... স্টুডেন্টদেরে খাওয়ানো সহজ হবে মনে হয়। আর চুক্তিকালে একটা বড় মূলা ঝোলানো হইছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অনুষ্ঠান স্পন্সরের। ঢাবির সবগুলা সংগঠন এই এক জায়গায় অসহায় বান্ধা বান্দা। এইগুলা প্রভাব বিস্তারিব মনে হয়। কি জানি। এখন আর আগের মতো এত ভরসা পাই না।
ফারুক যে কচ্ছপের কথা বলছেন... তার প্রেক্ষিতে মনে এলো কাফকার কথা... মেটামরফোসিসের কথা... আরশোলাটার কথা... আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ভাষাতেই বলি...
কদিন আগে সচলেই কার এক ব্লগে মন্তব্য লিখেছিলাম কবে না বাংলাদেশের নাম হয় গ্রামীন ফোন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার... আজও সেই কথাটাই মনে হলো।
অনেক বড় মন্তব্য হয়ে গেলো... স্যরি। আপনার আখতারুজ্জামান সিরিজটা এখনো সময়াভাবে পড়া হলো না... কবে যে হবে সময়???
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার এই তথ্য কতটুকু সত্য জানিনা। চলতি বছর মেলার সময় ঢাকা গিয়েছিলাম, আমার প্রিয় ফুলার রোডে গিয়ে বসতে চাইলাম। রীতিমত মাইক দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলো। সন্ধ্যার পর নাকি এখানে বসা নিষেধ !!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ঢাবিতে শিবির প্রকাশ্যে আসতে পারতেছে না... কিন্তু ভিতরে ভিতরে ব্যাপক প্রস্তুতি আছে তাদের। কাঁটাবন সাম্রাজ্য আছে। তবে তারচে বহুগুণে আগায়া গেছে প্রশাসনে আর শিক্ষক মহলে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে এখন অনৈসলামিক কোনও ছাত্ররে ফার্স্টক্লাশ পারতপক্ষে দেওয়া হয় না, শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়াতেও একই কথা প্রযোজ্য। সেদিনও বিতর্ক উঠলো সমাজ বিজ্ঞান না কোন এক সাবজেক্টে এক টিচার পাঠ্য করছেন ইসলামে নারীর পোষাক নামক তার লিখিত বই। শিক্ষক হওনের ইন্টারভিউতে জবাব দিতে হয় নামাজ পড়ে কি না... আরো নানান খেইল আছে... সবই চলতেছে গুফনে গুফনে... আল্লা ভরসা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের একটি লেখায় পড়েছিলাম যে, ট্রেনে বোরখা পড়া এক পর্দনশীন মহিলা মেঝেতে বসেছিলেন। বস্তা মনে করে এক সাহেব তার ঘারের উপর বসে পড়লেও মহিলা টু-শব্দ করেন নি পর্দা নষ্ট হবে বলে। বেগানা পুরুষ কন্ঠস্বর শুনতে পাবে বলে।
আমাদের উচ্চাভিলাষী সুবিধাবাদী ভদ্র-সমাজ এমনই। পেছন দিয়ে তাকে যাই কিছু করা হোক না কেন, সামনে দিয়ে মুখ বিকৃত করবেন না বা উহ আহ করবেন না। অভদ্রতা হবে।
খুব ভালো লিখেছেন ওয়াসিফ। আপনাকে ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
লেখাটা খুব ভা ল লাগল।
কচ্ছপ তার চারপাশের শক্ত খোলের মধ্যে নিজেকে যেমন গুটিয়ে রাখে তেমনি তার কামড় ও তো নাকি ভয়াবহ! কোনকিছু কামড় দিয়ে ধরলে নাকি আর ছাড়ে না । আমরা যেমন কচ্ছপের বর্ম নিয়ে চলাফেরা করি তেমনি তো প্রয়োজনে কিছু কামড়ে ধরলে সেটা ও কখনো ছাড়ি না। কচ্ছপের এ ব্যাপারটা আমাদের মধ্যে আছে বলে তো এখনও আমরা টিকে আছি ।
১। @ ফারুক
আপনার লেখা পড়ে ইশতিয়াকের মত আমারও ভাবনার চেয়ে ক্রোধের সঞ্চার করল বেশি।
২। @মাসুদা আপার সাথে একমত যে তুলনা টানার মতো কিছুই আমাদের জন্য বোধ হয় আর অবশিষ্ট নেই।
৩ । @রণদীপম বসু
প্রতিক বিজয়
আমারও খটকা লেগেছিল
আপনাদের আলোচনায় উপক্রিত হলাম
অফটপিক ঃ আমার ছোট ভাই ইশতিয়াক
তার ছড়ার বইয়ের জন্য আমার কাছে প্রবন্ধ চেয়েছিল
আমি বলেছি মিঃ রণদীপম বসুর ছড়ার ছন্দশাসন নিয়ে দুর্দান্ত রচনা আছে তার সাথে যোগাযো্গ কর
আপনি ত' সময় নিয়েছেন নতুন করে লেখার কারন ঐটা আপনার একটা বই এ যাবে তাই না
তা লেখা কতদুর এগুলো
৪। @ নজরুল ইসলাম
সমাজ বিজ্ঞান না
সাদা দলের রাস্ট্রবিজ্ঞান এর প্রফেসার ড.হাসানুজ্জামান চৌধুরি
এর কান্ড
তাকে সম্ভবত বহিস্কার করা হয়েছে
আর আপনার অন্যসব কথার সাথে একমত
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- রাগে গজগজ করে মগজ। অথর্ব-বন্ধ্যা রাগ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন