যে মুক্তিযোদ্ধা গতপরশু জামাতি মুক্তিযোদ্ধা সংষ্করণের সম্মেলনে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন এই তাঁর ছবি, এই তাঁর সাক্ষাতকার দৈনিক সমকাল। ভাল করে খেয়াল করে দেখুন চেহারাটা আর বক্তব্যটা। লোকটা কি পেইড? সন্দেহ করা, প্রশ্ন করা আমার পেশা এবং অভ্যাসও বটে! সে কি সম্মেলন ভণ্ডুল করতে গিয়েছিল? হতে পারে না? অবশ্যই পারে।
মুক্তিযুদ্ধের দেশে যখন মহান সেক্টর কমান্ডাররা মিউমিউ করে বিচার চান ঘরোয়া চায়ের মজলিশে, যখন ক্যামেরা ছাড়া আর মিনারেল ওয়াটার বিনা তারা সভা করতেই পারেন না। যখন ক্ষমতার জবরদখলকারীদের কাছে গিয়ে আব্দার করেন, 'অরা খারাপ স্যার, অগো বিচার করেন স্যার!', যখন বাবু মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগই সফল হতে হতে আকাশে উঠে চলেছেন, আর সেই আকাশে দৃষ্টির অগোচরে জামাতি রাজাকার আর একাত্তরে দখলদারদের সখা মার্কিনীদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, তখন নব্বই-এর পরের কয়েক বছরের মতো, হাজার হাজার মানুষ নিয়ে সাঈদি আর গোলাম আজমের সভা প্রতিরোধ করার সময় ও সুযোগ কোথায় তাঁদের? তখন মিছিল না পাঠিয়ে অনুপ্রবেশকারি পাঠানোই সহজ রাস্তা। তাতে কাজের কাজ কিছু না হোক, মিডিয়া মৌতাত চলবে, ইস্যু চাঙা হবে, আখেরে ভোটের বাক্সে কুদরত ফলবে। তাই উড়িয়ে দিই না যে, ওই মুক্তিযোদ্ধা ভণ্ডদের সমাবেশে আরেকজন 'নব্য ভণ্ড' হতেই পারে।
কিন্তু খবরটা পড়েন, আর লোকটার চেহারা দেখেন। লোকটি সভায় বিরাট হৈ চৈ করে নাই, প্রতারিত বোধ করে বেরিয়ে এসে ক্ষোভের কথা বলেছে। লোকও ডাকে নাই, গরম হয়েছে নিজের গরজে। আর সাংবাদিক মওকা বুঝে ব্যবস্থা নিয়েছে, খবর রটেছে। ব্যস, মাঠ গরম করা সংবাদ তৈরি হয়ে গেল! এখন বিবৃতিবাজরা বিবৃতির বোমা মারতে থাকবেন, আর কোথাও না পত্রিকা অফিসে! মিডিয়ায় না উঠলে এদের অনেকের টিকিটিও দেখা যেত না। এরা মিডিয়ার জন্য বিবৃতি দেন, নরম-গরম কথা ছাড়েন!
কিন্তু ওই সাক্ষাতকারটি যারা পড়বেন এবং যাদের এরকম দরিদ্র-বিষন্ন-ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কখনো কথা হয়েছে, তারা বুঝবেন, এই চোখ, এই আঙুল তুলে কথা বলা, এবং এইরকম উত্তাপ মনে ধারণ করা, একজন খাঁটি যোদ্ধাকেই মানায়। শরীরও একটা দলিল, ভাষাও একটা সার্টিফিকেট। একে পাঠ করতে হয়। সেই পাঠ যদি করতে পারি তো মন বলছে, এই লোক আবারো এই কথা বলবে। এরা সুযোগ খোঁজে আবার যুদ্ধ শুরু করার। এরা ভাল করেই জানে, যুদ্ধ ছাড়া কোনো প্রতিকার নাই। তাই এলিট মহলের যে কেউ ডাকলেই এরা আশার পিঁপড়ার মতো গুটিগুটি পায়ে আসে। আসে বিষ ঢালতে, আসে মনের ঘৃণার লাভা উগড়াতে। আমরা বড় জোর লিখতে পারি একটি কবিতা!
এবং খেয়াল করলে দেখবেন, যত সমাজের তলার দিকে যাবেন, তত এই ঘৃণার ঝাঁঝ বাড়তে থাকবে, জেদের উত্তাপ সেখানেই বেশি। আর যত ওপরে উঠবেন, তত মধু আর মিলন। কেন? কারণ বুঝি বা, তাঁরা সব অর্থেই আজো নিজেদের পরাস্থই বোধ করেন। যেটা একাত্তরে যারা তাদের নেতা ছিল তারা করে না। তাই যত ওপরে যাবেন, ঘৃণা, জেদ, দায়বোধের মাত্রা সেখানে ফিকে। নানান আরামের রসে তাদের চেতনা ভিজে আছে। তাতে আর দহন ঘটে না, আরামের পুলক ঘটে। ক্ষমতা-বিত্তের স্বাদ তাদের মধ্যে অর্গ্যাজম ঘটায়। আর কে না জানে, অর্গ্যাজমের সময় তলায় মা না নানী, দেশ না মাটি, একাত্তর না বিরাশি কিছুই খেয়াল থাকে না। তাদেরও আর আজ কিছুই খেয়াল নাই। তারা একাত্তরেও বেশ্যাবাজি, ধান্দাবাজি, ফূর্তিবাজি করেছে ওপারে- ওপারে। আজো তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সেই ফিকিরই চালাচ্ছে। খেয়াল করেছেন, একাত্তরে কোনো থানা বা মফস্বল পর্যায়ের আ লীগের নেতা মারা যান নাই (অনুসন্ধানটি মাহবুব লীলেনের, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা)!
তাই ওই বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা পথ হাতড়ে বেড়াবেন। যাবেন ভুল সম্মেলনে, ভুল জমায়েতে, ঘুরবেন পত্রিকা অফিসে। চায়ের দোকানে হঠাত ক্ষেপে উঠে চিতকার করবেন। বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল? তার এই ঘুরে বেড়ানোকে তখন তাকে বেচবে মিডিয়া, তাকে বেচবে সুখী সেক্টর কমান্ডাররা। তাকে বেচবে লেখক-সাংবাদিকেরা। এবং কয়দিন পর ভুলে যাবে। তখন হয়তো জামাতিরা আসবে তার বাড়িতে। টাকার লোভ দেখাবে, ভয় দেখাবে। তিনি বিক্রি যদি নাও হন, ভয় পাবেন। চুপ করে যাবেন। মিডিয়া আর ভদ্রবাবুরা তাঁকে আর খুঁজতে যাবে না। তারা তখন বেচার জন্য আরেকজন মুক্তিযোদ্ধাকে খুঁজে বার করবে। ব্যবসা চলবে।
কিন্তু শতবার বেচা হলেও, তাঁদের মূল্য ফুরাবে না। তাঁরা শেষ হবেন, কিন্তু তলার শ্রেণী থেকে আবারো মানুষ জাগবে কানসাটে, ফুলবাড়ীতে। কানসাটের ২৭ টি মানুষ, ফুলবাড়ীর তিনটি কিশোরের লাশ গ্রামের মানুষেরা শহীদি মর্যাদা দিয়েই আগলে রেখেছিল। সেই ঘটনাকেও তারা মুক্তিযুদ্ধই বলে, তুলনা করে একাত্তরেরই সঙ্গে। এভাবে একাত্তর বারবার জীবন্ত হবে, কেবল ইতিহাস হয়ে থাকবে না। সামনে সেই অবস্থা আবার তৈরি হবে। কেননা, তাদের যুদ্ধ ফুরায় না। কেননা একাত্তর এত ঠুনকো নয়। তারা আগে শরণার্থি হয়ে সীমান্ত পেরুতেন। এখন দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়ান উদ্বাস্তু হয়ে। একাত্তরে উদ্বাস্তু ছিল এক কোটি এখন ছয়/সাত কোটি ভূমিহীন, দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা মানুষ ঘুরে বেড়ায় প্রেতের মতো সারাদিন। একাত্তরে গোটা বাংলাদেশে এই পরিমাণ মানুষই বাস করতো! এইসব শিবিরে আবারো লোক সংগঠিত হবে। কিন্তু দুঃখ তাদের হয়তো আমরা চিনব না। ভাবব, বিশৃঙ্খলাকারী, জঙ্গি বা মাওবাদী। ড্রাগনের পূজারিও ড্রাগন দেখলে পালায়।
আমাদের ভদ্রলোকি মুক্তিযুদ্ধে এদের ঠাঁই নাই, তাদের মুক্তিযুদ্ধেরও কোনো সঙ্গি নাই, নেতা নাই। কিন্তু তারা আছে বলেই প্রশ্নটা আছে, সম্ভাবনাটা আছে। সেই কথাটাই জানিয়ে দিয়ে গেল এক অখ্যাত হতদরিদ্র রং মিস্ত্রি। কত দূর্বল সে, দল নাই, অর্থ নাই, পেছনে সমর্থন নাই কিন্তু কতভাবে নাড়া দিয়ে গেল। কতভাবে প্রশ্ন তুলে গেল। এই ক্ষমতা আজো তাদেরই আছে। কারণ তারা সব হারিয়ে বুঝেছে, তাদের আর হারাবার কিছু নাই। তাই তারা ঝুঁকি নিতে পারে, রাজাকারের মার খেয়েও বলতে পারে, 'আমি বিচার চেয়েই যাব।' আমাদের মৌসুমি সেক্টর কমান্ডারেরা আর তাদের সঙ্গিসাথী আলোকিত মহাত্মন আর সিফিলিস সোসাইটির ব্যাঙাগুলান তাও বলতে পারে না। ছিহ্!
মন্তব্য
সমাজের সব ক্ষোভ তলানীতেই জমা হয়। নিচের মানুষেরা সেই গরল ধারণ করে নীলকন্ঠ। আমরা শুধু ব্লগে বসে বলতে পারি যুদ্ধের কথা কিংবা নিজেদের পরিচিত পরিমন্ডলে। কেউ কি পারি, অচেনা কোন পরিস্থিতিতেও এই কথাগুলি বলতে ? আমরা অধিকাংশই ভাবি, কী দরকার রাজনৈতিক আলাপ করার, ঝামেলা বাড়ানোর।
আমরা সবাই চাই, বিপ্লব শুরু হোক, আমরা অংশ নিবো। কিন্তু সবাই যদি দাউ দাউ আগুনের প্রতীক্ষায় দিন কাটাই, তাহলে খড়ের গাদায় দিয়াশলাই এর কাঠিটা জ্বালাবে কে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
চোখ ভিজে গেলো এই লেখাটা পড়ার পর।
ধিক আমার জন্ম।
কার ঋণে আমার এই জীবনযাপন, মাঝেমধ্যে ভুলে বসি।
প্রিয় যোদ্ধা, আমায় ক্ষমা করে দিও।
আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সৌরভ, আজ কেন জানি আমারো এরকমটাই হলো লিখতে গিয়ে। আমি গতকাল খবর পড়েছিলাম। ভাবিত হইনি। আজ লোকটার ছবি দেখলাম, ফলোআপ নিউজ পড়লাম। আর নাড়া খেলাম। তার মার খাওয়ায় আমি বিন্দুমাত্র কষ্ট পাইনি। পরাজিত পক্ষ পরজয়ের বেদনা প্রতিদিন পায় না। হয় সেটা অভ্যাস হয়ে যায়, নয়তো বেদনা সঙ্কল্পে গিয়ে জমাট হয়। আউলা হয় না। আমি নড়ে গিয়েছিলাম, তার ওই তাতক্ষণিক প্রতিবাদে। মানুষের সত্যিকার রূপটা চকিতেই বেশি প্রকাশ হয়। ওই লোক কোনো সহায়-সমর্থন ছাড়াই একা আলোড়িত হয়ে যা করা দরকার মনে করেছে, করেছে। এবং সেটা রাজাকারদের বিরাট ব্লো দিয়েছে। আমরা হাজার জনে মিলেও এটা পারতাম না। তার মার খাওয়া নয়, প্রতিবাদ দিয়েই প্রমাণ হয়েছে, সবাই 'নপুংসক' নয়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ফারক ওয়াসিফ,
আপনি কি বলতে চান ১৯৭১এ আওয়ামি লিগ ও আওয়ামি লিগারদের কোনো ভুমিকাই ছিলনা?
তাদের বর্তমানের কাজ বিতর্কিত হতে পারে, কিন্তু এই ধরনের propagandaতো ধীরে ধীরে ইতিহাসটাই পালটে ফেলছে।
মুক্তিযুদ্ধকে ভদ্রলোকি আর ছোটলোকি মুক্তিযুদ্ধ বলে দুই ভাগ করা কি একটি সুদুরপ্রসারী জামাতি পরিকল্পনার অংশ নয়?
এভাবেই কি সবাই আস্তে আস্তে জামাত মতাদর্শকে শক্ত সমর্থনযোগ্য করে তুলছে না?
@অতিথি
আমার মনে হয় না, ফারুক ওয়াসিফ এরকম কোন কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগারদের কোন ভূমিকা নেই - এই কথাটা তো বলে নাই।
এটা একটা ফ্যাক্ট হিসেবে এসেছে। ফ্যাক্ট থেকে ফারুক ওয়াসিফ কোন উপসংহার টানেন নাই। কিন্তু আপনি একটা উপসংহার টেনে একটা কমেন্ট করলেন।
যুদ্ধ তো আওয়ামী লীগ করে নি। বাঙালি জাতি করেছে। এইখানে তাদের আলাদা করে দেখার প্রশ্ন আসে কেনো?
এখনকার আওয়ামী লীগ এর সাথে সেই সময়ের আওয়ামী লীগকে এক করে দেখলে তো চলবে না।
আজকের এই পরিণতি তো একদিনে আসে নি। ৯১ এই যাদের কবর দেওয়া যেতো, তারা আওয়ামী লীগ-বিএনপির বদৌলতে খুব ভালোরকম ফ্রাংকেনস্টাইনে পরিণত হয়েছে। হ্যা, ঘাতকদের কথাই বলছি। ঘাতকদের এই দুঃসাহস একদিনে তৈরি হয় নি। আপনি এর জন্যে দায়ী। আমিও। আর সবচেয়ে বেশি দায়ী সুযোগসন্ধানী রাজনীতিবিদেরা।
থু সবাইকে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এ বিষয়ে আমার আগের লেখাগুলায় কিছুটা বলেছি। এখানে সংক্ষেপে বলি:
১. মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক আওয়ামী লীগ। কিন্তু সে সেই কাজ যোগ্যতার সঙ্গে করেনি। আর আওয়ামী লীগের যারা আপসহীন, তাদেরও দলটি ধ্বংস করে দিয়েছে।
২. আওয়ামী ইতিহাস, একাত্তরকে রক্ষা করতে পারেনি। তার অন্তর্নিহিত ত্রুটির জন্যই। যুদ্ধ করেছে গোটা জাতি, দুই যুগের আন্দোলনের চূড়ায় যুদ্ধ হয়েছিল। এর একচ্ছত্র দাবিদার কোনো দল বা গোষ্ঠী নয়।
৩. ভুল-ত্রুটি উন্মোচিত হলে ইতিহাস আরো সবল হয়, চেতনাও সবল হয়। আ লীগ আর একাত্তর যতদিন একাকার থাকবে ততদিন আ লীগের অপকর্ম দেখিয়েই একাত্তরের সঙ্গে তাকে সমার্থক করে দুষতে পারবে জামাতিরা।
৪. বিভিন্ন শ্রেণীর মুক্তিযুদ্ধ তো ভাই তখনও এবং এখনও যে আলাদা। যা ইতিহাসে নাই তা দেখাই কী করে? এটা যদি জামাতি চক্রান্ত হয়, তাহলে ইতিহাস মানে কি রূপকথা বলা?
৫. জামাতি মতাদর্শের বিরুদ্ধে আজো সবচে' বড় বাধা একাত্তর। মানুষ আ. লীগ সম্পর্কে মোহচ্যুত হলেও একাত্তরকে ফেলেনি।
ধন্যবাদ অতিথি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনার যুক্তির সাথে আমি অনেকটাই একমত ।কেউ আওয়ামীলীগের গঠনমূলক সমালোচনা করলে ওরা বলে মধ্যপন্থী সুবিধাবাদী শ্রেনী। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধটা যে একা কোন দলের বা গোষ্ঠীর ছিলোনা সেটা কট্টর আওয়ামী পন্খীরা মানতে রাজী না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন আওয়ামীলীগ ও আর শেখ মুজিবুর রহমান সে সময়ে না থাকলে হয়তো ইতিহাস অন্যভাবে লিখিত হতো।
অণ্যদিকে রাজাকারদের বিচার চাইতে গিয়ে আমরা কখনই টু দ্যা পয়েন্টে থাকিনি। বরং আগে নির্বাচন, রাজাকারদের দল জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ এই সব টেনে এনে একটা প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়ে আর গিট্টু খুলতে পারিনা। তারা সেই সুযোটাই নিয়ে নেয়।
টু দ্যা পয়েন্ট হলো শুধু মাত্র ১৯৭১ সনে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে সুস্পষ্ট অভিযোগ আছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বাকী সব কিছু এমনি চলে আসবে।
চমৎকার লেখা উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিকে সার্বজনীন করতে হলে, সেটাকে রাজনীতির বিচারের বাইরে এমনভাবে হাজির করা দরকার যাতে, তা রাষ্ট্র গ্রহণ করতে পারে এবং বিদ্যমান আইনেই বিচার করা সম্ভব হয়। সেটাই সঠিক কর্মকৌশল হবে। এটুকু অর্জিত হলে, যুদ্ধাপরাধীদের দলকে কোণঠাসা করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সাত কোটি বাঙালির হে মুগ্ধ জননী
রেখেছ বাঙালি করে মানুষ কর নি।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধন্যবাদ রেনেট।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
@অতিথি
বাস্তবের মুক্তিযুদ্ধতো অবশ্যই ছোটলোকের যুদ্ধ ছিল। এইটা হইল ইতিহাস, এর সাথে জাতিরে বিভক্ত করা না করার কি সম্পর্ক? জামাতি প্রোপাগান্ডা মানে? জামাতরে টিকাইয়া রাখছে পয়সাওয়ালা মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীরা। প্রকাশ্যে আইসা ঐভাবে জামাতের বিরুদ্ধে বা রাজাকারগো বিরুদ্ধে কথা কেউ কইয়া তাকলে ছোটলোকরাই কইছে। তাতে আমার নিজের গালেও একটা চটকানা পড়ে। তো সেইটা তো চুপচাপ কিল চুরি করলেও পড়ে তাই না?
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
আমার ম্যাট্রিক কাল বা তারও আগের কথা বলি। জাহানারা ইমাম বগুড়ায় এসেছিলেন, সেটাই আমার প্রথম জনসভায় যাওয়া। সেখানে বেশিরভাগই ছিল মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত। বগুড়ার আলতাফুন্নেসা মাঠ ভরে গিয়েছিল। হাসিনা-খালেদা ছাড়া অত বড় জমায়েত মফস্বলে হতো না। এবং সেটাই ছিল মধ্যবিত্তের শেষ জমায়েত। এদের বেশিরভাগই ছিল নির্দলীয়। জাহানারা ইমাম ছিলেন নব্বইয়ের পরে এই শ্রেণীর শেষ প্রতিনিধি, যিনি জাতির হৃদয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন। একজন ব্যক্তি কত ক্ষমতাধর হতে পারে, যদি সত হয়, যদি ভিশনারি হয়। তিনি একাই সেটা দেখিয়েছেন। তিনি না উদ্যোগ নিলে আন্দোলন হতো হয়তো, কিন্তু এত ব্যাপক হতো না।
তার কিছু পরে বগুড়ায় গোলাম আযম আসতে চায়। সেদিন শহরে হরতাল ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে শহরের কেন্দ্রে সাতমাথায় হোটেল শ্রমিকদের সঙ্গে শিবির ক্যাডারদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে এক রাইফেল কাঁধে, হাতে শান্তির পায়রা নেয়া মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য ছিল। একপর্যায়ে শিবিরের ছেলেরা সেই ভাস্কর্যের হাত ভেঙ্গে ফেলে। দেখামাত্র এক শ্রমিক দৌড়ে গিয়ে যে ভেঙ্গেছে তাকে ধরে মাটিতে ফেলে চিতকার করে ওঠে, 'আমারে একটা দাও দে, আমারে একটা দাও দে।' কেউ দ্যায়নি। দিলে শিবির ছেলেটি জীবিত থাকতো না এটা নিশ্চিত। ওই হোটেল শ্রমিকরা ছিল জাসদভুক্ত। জাসদ ওদের স্বপ্ন দেখিয়ে বেচে দিয়েছে। তা হোক, কিন্তু যতদিন ওরা সংগঠিত ছিল ততদিন বগুড়ায় জামাত বাড়তে পারেনি। মারামারির সময় ওরাই থাকতো সবার আগে। কেননা, শ্রেণী সংগ্রাম কেবল অর্থনৈতিক নয় , আদর্শিক রূপও নেয়।
এরও পরে, একদিন বগুড়ার রাস্তায় দেখি গো আযমের গাড়ি বহর যায়, দেখে অবাক লেগেছিল, এত সোজা একে মারা। একটা বোমা নিয়ে শুয়ে পড়লেই হয় রাস্তায়। কেউ করেনি।
আমি কেন এখন করি না? কারণ গোলাম আযমকে হত্যা করলে সে বীর হবে এবং কিন্তু জনতার শক্তিতে বিচার করলে বা রাষ্ট্রকে বাধ্য করলে তার রাজনীতির সমাধি হবে।
তারপরও ভাবি, একক কোনো ঘটনা ঘটিয়ে যদি সংগ্রামের বিরাট অগ্রগতি ঘটানো যায়, তাহলে করব কি না? নিশ্চিত নই, কিন্তু তার জন্য সাহস সঞ্চয় করতে চাই। তবে তারপরও মনে করি, সংগঠিত হওয়া, জনতার সঙ্গে যোগসাধন করা এবং মুক্তির মতাদর্শ নির্মাণ করা এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ব্যক্তির বিচারের চেয়ে রাজনীতির বিচার বেশি দরকার। ব্যক্তির বিচারের কথা তোলার মাধ্যমে আবার সেই রাজনীতিরও বিচারের কথা তোলা হয়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
দ্যাটস দ্য পয়েন্ট
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
একদিন বগুড়ার রাস্তায় দেখি গো আযমের গাড়ি বহর যায়, দেখে অবাক লেগেছিল, এত সোজা একে মারা। একটা বোমা নিয়ে শুয়ে পড়লেই হয় রাস্তায়। কেউ করেনি।
আমি কেন এখন করি না? কারণ গোলাম আযমকে হত্যা করলে সে বীর হবে এবং কিন্তু জনতার শক্তিতে বিচার করলে বা রাষ্ট্রকে বাধ্য করলে তার রাজনীতির সমাধি হবে।
মন্তব্যে আপনাকে বিপ্লব ফারুক ওয়াসিফ
বিপ্লব দিয়েন না আকতার ভাই। কাজটা তো করিনি সাহসের অভাবে। তখন তো এত পাকা চিন্তা ছিল না। তখন ওটা করাই সঙ্গত হতো। আর এখন যা মনে করি, ওপরে বলেছি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
যা বলতে চাইছিলাম সবই বলা শেষ। বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছিলাম। ঘেন্নায় লিখিনি। আমার খুব কষ্ট হয়।আমার প্রয়াত বাবা স্বীকৃতিহীন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর ১৩ বছরের ছেলেটি এসএলআর হাতে বাংকারে বাংকারে ছুটে বেড়াত।একদিন বাংকারে খাবার পৌছানোর সময় এ্যাম্বুশে পড়ে গেল। সেকেন্দার নামের এক ইপিআর সদস্য ছেলেটিকে এর পর দায়িত্ব দিল আর্মস-এ্যামুনিশন টেন্টের । ক্লান্ত ছেলেটি একদিন গোলাবারুদের স্তুপের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছিল.....ঘুম ভাঙার পর শুনল লন্ডনের কোন সাংবাদিকরা তার ছবি তুলে নিয়েছে। ক্যাপটেন মাজহার বলেছিল 'লন্ডনের কাগজে ছবিটা ছাপা হয়েছিল....." আ লিটল ফাইটার স্লিপিং উইথ আর্মস "শিরোনামে। আরো পরে ছেলেটি মেজর জলিল,মেজর আবু ওসমানদের সংস্পর্শে এসেছিল। সেই একাত্তরের দেখা আর তার পরের ৩৫ বছরের দেখা ভীষণ ভাবে কন্ট্রাডিক্ট করেছে। ঘৃনায় কষ্টে বাবা তো মরেছে.....ছেলেটা আজো বেঁচে আছে ...তার বুকের ভেতরে
উদগিরণ হওয়া গলিত লাভা গলে গলে পড়ছে কাগজের পাতায় পাতায়......স্লিপিং উইথ আর্মস এর সেই মনজুরুল হকের আর কি-ই বা করার ক্ষমতা আছে...?
ফ্যাশনদার সেলিব্রেটি মুক্তিযোদ্ধাদের এই পশ্চাদ্দেশের ধাক্কাটার খুব দরকার ছিল।
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ।
-------------------------------------------------------------
আমরা একদিন পেট্রোল ঢেলে সব জ্বালিয়ে দেব....
আমরা একদিন পেট্রোল ঢেলে সব আগুন নিভিয়ে দেব..................
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
স্যালুট...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অভিবাদন মঞ্জু ভাই। আপনিই সেই কিশোর মুক্তিযোদ্ধা? কী ভয়ানক, জানতাম না। আমার দাবি এবং সচলের অধিকার রয়েছে 'লন্ডনের কাগজে ছবিটা ছাপা হয়েছিল....." আ লিটল ফাইটার স্লিপিং উইথ আর্মস " এর ছবিসহ একটা পোস্ট পাওয়ার। এ বিষয়ে কোনো ছাড় নাই, আপনাকে দিতেই হবে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
দাবীর প্রতি জোর সমর্থন জানালাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অভিবাদন আপনাকেও। দুক্ষিত ফারুক,কাগজ ছবি কোনোটাই আমার কাছে নেই। কাগজটা ফাতাফাতা হয়ে ছিল বাবার কাছে । ৭২ এর জানুয়ারির প্রথম দিকে আমরা মেহেরপুর দিয়ে দেশে ফিরি । কয়েক মাস পরেই 'ফটিক" হিসেবে আমার ট্রান্সফার হয় মামার কাছে,দর্শনায় । বাবা-মা চুয়াডাঙ্গায় । তারপর ৭২ এ বাবা-মা চলে যান দিনাজপুর । আমার সঙ্গে ৫ বছরের ছাড়াছাড়ি। সেই কাগজ শুধু নয়, ওই সাংবাদিকরা আমার কান্না রেকর্ড করা একটা ছোট ওয়াকম্যান ও দিয়েছিল । সব হারিয়েছে । মা বলেন তাদেরকে ৭৬ এ আ্যালোটমেন্ট বা অনুদান পাওয়া বাড়ি থেকে যেদিন উচ্ছেদ করা হয় সে সময় নাকি বাবা কষ্টে রাগে তার-আমার সব স্মৃতিই নষ্ট করে ফেলেছিলেন ! বাবা বলতেন ...থাক কষ্ট বাড়ে । জীবন বাঁচাতে ওই সময় এত বেশী কষ্ট করতে হয়েছে যে প্রাণ ধারণের বাইরে সবকিছুই গৌণ হয়ে গেছিল ।
মুক্তিযুদ্ধ কাকে কী দিয়েছে জানি না, তবে আমাকে দিয়েছিল ম্যাচ্যুরিটি । ১২/১৩ বছর বয়সেই তিন বোন আর মা'কে বাঁচাতে অন্য এ যুদ্ধ করতে হয়েছিল । ২০টাকা ভাতা পেতাম । একাধারে পিতামাতাহীন কিশোরদের ক্যাম্প চালানো,থানা শহর তেহট্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের রেশন আনা,বাংকারে রসদ পৌঁছানো ...........।
এ নিয়ে দু'টো লেখা আছে। সেটা সচলের বন্ধুদের জন্য দিতে পারি।
এই সঙ্গে নজরুলকেও ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, এই অনুরোধ রইলো ......
নাড়া দেয়া লেখা। সাহসের সাথে সত্য উচ্চারণ করেছেন সেজন্য সালাম।
উদ্ধৃতি
প্রতিবাদ দিয়েই প্রমাণ হয়েছে, সবাই 'নপুংসক' নয়।
ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
Faruq bhai,
Apnar lekha amar borabor e bhalo lage. Onno shomoi shudhu por e chole jai. Shudhu ei lekha niye ekta kotha bolte chai. Amar moton jara english-medium e, private institution gulo te poreche, tader jonno Muktijuddhe'r chetonar baparta khub e ambigious. Ami school pash kori 2000 shal e. 12 bochor er formal education e 1971 er History temon kono gurutto rakheni. Jokhon porano hoyeche, amra 12-13 bochor boyosh eo bujhechi je ei eetihash ta amader k moddhe koto chetona jagabar jonno shekhano hoi ni. Nitantoi jante hobar jonno jana. Amar monehoi na..prithibi te ar kono desh e school er chatro-chatri der boro hoye, text-book baad diye onno boi pore nijer desh er eetihash jante hoi. Kheyal korle dekhben, amader moton shobar eetishash baap-ma, bhai-bon, gurujon der mukh e shona. Kajei, ek ek jon er kache muktijuddhor chetona ek ek rokom.
Apni jei celebrity muktijoddha class er kotha bollen, aamra kintu tader e shontan. Apni ekhon chinta kore dekhen, aamra ki dhoroner ideology niye boro hocchi?
Gotobochor JI Muktijuddho k civil war hishebe label korar cheshta koreche. Nijeder role ta k o awshshikar korbar cheshta koreche. Ebar ghotalo ei ghotona. Dui bochor por e jodi Bangladesh er e kono chatro/chatri Kennedy School of Government theke ekta paper publish kor e bole 1971 was ' a seperatist conspiracy by Mujib and India', apni ki surprised hoben??? Amader desh er mainstream media ki ei aaghaat tar jonno prostut? Amader ki JI er proshar ba 'spehere of influence' niye ekhon full knowledge ache?
Personally, I think not.
ধন্যবাদ ফারিহা,
আমি একসময় ভেবেছি, না জানার জন্য কাউকে কি দায়ি করা যায়? যে না জেনে ভুল করে, তার জন্য কি তাকে দোষি করা যায়? এখন আমার অবস্থান হচ্ছে, নিজের গরজে আমরা তো যা দরকার তা জানতে যাই, তাহলে ইতিহাসের দরকার হচ্ছে না কেন? এখানেই আপনার মন্তব্যের ভেতর দিয়ে একটা সত্য বেরিয়ে এসেছে, মা-বাবারা ভুল-সঠিক যা-ই হোক ইতিহাস জানাবার প্রয়োজন বোধ করেছে। অর্থাত সমাজ ইতিহাস নিয়ে সচেতন থাকতে চায়, সেকারণে সমাজে ইতিহাস নিয়ে বিরোধি-বিবাদ হয়। কিন্তু রাষ্ট্রের ইতিহাসের দরকার নাই, কারণ এই রাষ্ট্র জানে একাত্তরের সত্যচিত্র বেরিয়ে আসলে তার অনেক কিছুরই সমস্যা হবে। কিন্তু সমাজ তার বেদনা-স্মৃতি-অর্জন ভুলতে পারে না, তাই সে পরের প্রজন্মকে বলার চেষ্টা করে।
এখন ইংলিশ মিডিয়ামের জগত মোটা দাগে আমাদের সাধারণ সমাজের বৃত্তের বাইরের জগত। সেকারণে সাধারণ মানুষের সমাজের কথা সেখানে পৌঁছে না। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়ামে ঠিকই ইংল্যান্ড আমেরিকার ইতিহাস পড়ানো হয়। বাংলা ভাষা পড়ালে বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে যে ধারণা হয়, কেবলই ইংরেজি পড়লে তা হওয়ার সুযোগ কম। আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন জাতি ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে। কারণ অতীতই তাকে প্রেরণা দেয়, বলে যে, তোমার একজীবন বা তোমার একার অভিজ্ঞতা কেবলই একার নয়, তা তোমার জাতির জাতীয় অভিজ্ঞতার অংশ। তাকে জানাই নিজেকে জানা। কিন্তু আজকের শিক্ষাদর্শন হলো, পটভূমিহীন মানুষ বানানো। যাদের দেশ-ভাষা-সমাজ দরকার হবে না, যাতে করে তারা যে কোনো দেশে, যে কোনো ভাষায় এবং সমাজে কাজ করতে পারে। এই যেকোনো দেশ-সমাজ-ভাষা কিন্তু ইংরেজি শাসিত। দেশের ভেতরেও তাই আমরা পরবাসী। আর প্রবাসে শেকড়হীন। আপনার মন্তব্যের প্ররোচনায় এত কথা বলে ফেললাম, কিছু মনে করবেন না।
আর আপনি চাইলে আপনাকে কিছু বইপত্রের খবর দিতে পারি।
ভাল থাকবেন।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
"কিন্তু সমাজ তার বেদনা-স্মৃতি-অর্জন ভুলতে পারে না, তাই সে পরের প্রজন্মকে বলার চেষ্টা করে।"
হমম। কিন্তু যে যার মতন করে বলে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় এই নিজের মতন করে ইতিহাস বলাই হচ্ছে the original sin. May be this is what ultimately leads to revisionism. I don't know, I could very well be wrong. কিন্তূ আমার এটাই মনে হয়।
"এখন ইংলিশ মিডিয়ামের জগত মোটা দাগে আমাদের সাধারণ সমাজের বৃত্তের বাইরের জগত। সেকারণে সাধারণ মানুষের সমাজের কথা সেখানে পৌঁছে না।"
এটাও সত্য। কিন্তূ এ ও সত্য যে ঊলটোটাও হয়। মাঝে মাঝে আমাদের কচুরিপানা হবার কাহিনী কেউ শুনতে চায় না, বুঝতে ও চায় না । আমার মনে হয়, জীবনের প্রতিটি khetre যদি এই self vs other dichotomy চলে আসে তাহলে.......। কি আর বলব : আমাদের ও মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে করে, আপনাদের "সাধারণ সমাজের " শ্রোতা পাওয়া যায় না।
"আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন জাতি ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে। কারণ অতীতই তাকে প্রেরণা দেয়, বলে যে, তোমার একজীবন বা তোমার একার অভিজ্ঞতা কেবলই একার নয়, তা তোমার জাতির জাতীয় অভিজ্ঞতার অংশ। তাকে জানাই নিজেকে জানা। "
আমি আপনার সাথে একমত। No one in France would ever be told by a Frenchmen that the French Revolution was actually an American consipiracy. That's the success of the French. They were able to preserve history in it's truest form.
(Ar par chi na, Mouse e click kore kore Bangla lekha khub e koshtokor. Phonetic keyboard thakle shubidha hoto)
Kintu tao monehoi, je amader ei 'grand narrative of nationalism', ei "you versus we discourse" jeikhane amra nijeder k compartmentalize korar sheshta kori, this is what ultimately obstructs the preservation, conservation and glorification of history.
Sorry, eta thik jobab holo na উদ্ধৃতি holo, bujhte parchi na. Asha kori kichu mone korben na. As I said, when we want to talk, about a country that also happens to be ours too , it's difficult to find people to engage with from the "other" side.
ফারিহা
CTRL + ALT + P চাপলেই ফোনেটিকে লিখতে পারবেন। ওপরে কম্বোবক্সে ইউনিজয় থেকে সরে গিয়েও ফোনেটিক বাছাই করা যায়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ধন্যবাদ।
ফারিহা আপনার প্রতিক্রিয়া পরে আমার আগের কথাগুলো সংশোধন করে নেয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। এ মুহূর্তে মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগলা অবস্থা। কয়েখ ঘন্টা পরে পরে আসছি।
দেখবেন আশা করি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ইতিহাসের প্রিসারভেশান বা কথনের যে ডিসকোর্স, সেটা কি কখনো নৈর্বত্যিকতা পাবে? টেক্সট মানেই তো সাব্জেক্টিভ ন্যারাশান কাপল্ড উইথ হিউম্যান ইন্টারেসটস...।
নয় কি?
জিওলিজিক্যাল ন্যাশান-স্টেইট ব্যবস্থায় 'other' বলে কোনো ডিসকোর্স থাকতে পারে না। টেক্সটের গঠনই তাকে অসম্ভাবনায় পরিণত করে।
এও মনে হয় যে, লিখিত ইতিহাসের কোনো গ্লোরিফিকেশান সম্ভব নয় শেষাবধি। নোমেনক্লেচারের ইতিহাসকেই সবচেয়ে বড় পলিটিক্যাল প্যারাবল্ মনে হয়।
ফারুক ভাই, এই যে এই ঘটনাটি, একটা ইভেন্ট, এইটা নিয়া টেক্সটগুলান পড়লেই তো ইতিহাসের একটা থিসিস পাওয়া যায়।
ফারিহা - এখানে 'আমরা' আর 'তোমরা' মানে কি ইংরেজী মধ্যমে পড়াশোনা করা (অর্থাৎ অনুমিত উচ্চবিত্ত সমাজ) আর বাংলা মাধ্যমে শিক্ষিত (অর্থাৎ -মধ্যবিত্ত) দের বোঝানো হচ্ছে ? সাধারণভাবে শ্রেনী অনুযায়ী দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য কিন্তু থাকবেই, তা সে ইতিহাসই বলুন বা বর্তমান সময়ের কোন বিবরণই বলুন, যে ক্ষেত্রেই দেখি না কেন। যে কোন narration ই কিন্তু আপেক্ষিক। যে বর্ণনা করে তার একটি বিশেষ অবস্থান, মূল্যবোধ, সচেতনতা, রাজনীতি বা মতামতকে উপস্থাপন করে। কাজেই value neutral বা objective কোন ইতিহাস হওয়া তো সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি যে grand narrative of nationalism এর কথা বলছেন - যখন কোন একটা বৃহত্তর আহ্বানে সমাজের সব স্তরের মানুষ একীভূত হয়েছিলো, বা কোন একটা common cause বা বিশ্বাসের কারণে একসাথে লড়াই করেছিলো - সেটার ক্ষেত্রে হয়তো যেভাবে লড়াইটা সংঘটিত হয়েছিলো তার comparatively less divergent views পাওয়া সম্ভব, কিন্তু সেই লড়াইয়ের 'কারণ' বা 'প্রস্তুতি' বা catalyst কি বা কিরকম ছিলো, সেটা কিন্তু আবার সেই subjective perception এর আওতায় পড়ে যায় বলে আমি মনে করি।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কাদের বিরুদ্ধে হয়েছিলো সেটা নিয়ে তো কোন দ্বিমতের অবকাশই নেই। কিন্তু কি কি কারণে ২৬শে মার্চ এসেছিলো, কারা সবচেয়ে বেশী শোষণের শিকার হয়েছিলো, কারা সবচাইতে বেশী কস্ট স্বীকার করেছিলো, কারা তখন (রাজাকার বা দালালদের কথা বলছি না) রাজনৈতিকভাবে কি অবস্থানে ছিলো, তা নিয়ে ইতিহাসে বিতর্ক নাহয় থাকলোই। তাতে করে ইতিহাসের বহমানতাও বজায় থাকে - সেটা একটা অজর, অমর, অপরিবর্তনীয় প্রস্তরখন্ডে পরিণত হয় না।
আর তা হলে কিন্তু বেশ ভয়ংকর হতো। অনেকসময়ই তো ইতিহাস 'নতুন' করে লেখার দরকার পড়ে। আজকে যদি বাংলাদেশে পাঠ্যবইগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একাধারে বিকৃত করে ফেলা হয়, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আশা করি তা আবার নতুন করেই লিখবে। আর সেই প্রক্রিয়ার সুযোগ রাখার জন্যই অনেক সময় 'আমি' (তা সে যে দলই হোক) vs 'তুমি' (তা সে যে দলই হোক), এই খোলা জায়গাটুকু রাখতে হয়। এটা যতটা না ideological তার চাইতে বেশী বোধহয় pragmatic ।
"ফারিহা - এখানে 'আমরা' আর 'তোমরা' মানে কি ইংরেজী মধ্যমে পড়াশোনা করা (অর্থাৎ অনুমিত উচ্চবিত্ত সমাজ) আর বাংলা মাধ্যমে শিক্ষিত (অর্থাৎ -মধ্যবিত্ত) দের বোঝানো হচ্ছে ?"
হা্য। শুধু টাই। "আমরা" আর "তোমরা" বোলতে তাই বুঝিয়েছি। আওয়ামি/ জামাত narrative এর ডাইকোটোমি নয়।
জানার আগ্রহটাই যেন বেচেঁ থাকে আজীবন। ওটাই পথ দেখাবে বহুদূর পর্যন্ত! আমাদের আমৃত্যু সংগ্রামই বোধহয় নিজের চারপাশ ও নিজের বিরুদ্ধেই! যে শিল্প নিজে বানাই তাকেই আবার নিজেই ভাংগি, আবার নিজেই গড়ে তুলি নতুন স্বাদে(আবার তা ভাংতে ইচ্ছে জাগে); এমন কি যে অতীত তাকেও! আপনার মন্তব্য পড়ে কুরোশাওয়া'র 'রশোমনের' কথা মনে পড়লো।
দুঃখিত, এই অনুসন্ধানটি ভুল ।
আমি অন্ততঃ চারজন শহীদের নাম বলে দিতে পারবো যারা এই রাজনৈতিক দলটির মফস্বল পর্যায়ের নেতা ছিলেন ।
তথ্যের দরকার হলে জানাবেন ।
এইরকম এভারেজ মন্তব্য লেখার গুরুত্বকে বিভ্রান্ত করে ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মন্তব্যটি লীলেন ভাইয়ের হলেও আমি একাত্ম বোধ করেই ব্যবহার করেছি। এজন্য লীলেনের অনুমতি নেওয়ায় হয়নি।
একাত্ম বোধ করার কারণ, আসলেই তাদের সংখ্যা নগণ্য। তাজউদ্দীন তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন আওয়ামী নের্তৃত্ব সম্পর্কে যে, 'দে ফ্লিউ এজ ফাস্ট এজ দেয়ার লেগস ক্যান'। ব্যাপারটা এরকমই ছিল। যুদ্ধের সামরিক প্রস্তুতি বিষয়ে দলটির কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতাদের এমনকি জেলা পর্যায়ের নেতাদের সামান্য সংখ্যকই যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। এ কথা বলার ভিত্তি, একাত্তরের ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত এবং মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের অন্যতম সংগঠক আফসান চৌধুরীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের কথোপকথন। তারপরও আমি আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁকে মেইল করেছি। দেখা যাক কী উত্তর আসে!
আপনিও যদি পারেন, তথ্য দেন, যাতে আমরা একটা যথাযথ জায়গায় আসতে পারি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমার মনে হয় আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের জানা জরুরি। কারা কারা মধ্য একাত্তরের সেই "উপ নির্বাচনে" অংশ নিয়েছিলেন এবং কারা কারা মালেকের মন্ত্রীসভায় ছিলেন। সেই উপনির্বাচনে অংশ নেওয়াদের মধ্যে বেশ কিছু ডিগবাজী মারা আওয়ামী লীগার ছিলেন যারা ১৬ ডিসেম্বরের পরে সিক্সটিন্থ ডিভিশানের কৃপায় বেঁচে যান।
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
গোলাম আযমের চোখে নল ঠেকিয়ে গুলি করতে যদি পারতাম, তাহলে মনে করতাম এই বিষয়ে আমার কমেন্ট করার যোগ্যতা আছে!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ফারুক ভাই, আপনাকে সশ্রদ্ধ সালাম, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা,শুভেচ্ছা ।
আমি একজন দূর্বল মানুষ । চোরের মত এই লেখা পড়ে বাম হাত দিয়ে কান্না মুছে আবার ব্যাস্ত হয়ে গেলাম । আমার তো কিছু করার নেই রে ভাই । কিচ্ছু না ।
আপনাকে আবারো শ্রদ্ধা । আপনার ভালো হোক ।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
ফারুক ভাইকে আমারো শ্রদ্ধাবনত সালাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মোহাম্মদ আলী আমান ভাইয়ের কথার শক্তি দেখে বুঝলাম কত সাহসী এই মানুষগুলো। স্যালুট। আমাদের দরকার সাহসী হওয়া। যার যার আয়ত্বের মধ্যে কাজ করলেই অনেক। দরকার আন্তরিকতা আর একটু সাহস।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ফারুক ভাই,
অধমের একটা স্যালুট কি নেবেন?
.... ...
এই ঘৃণা ছড়াক সবখানে!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
না, নেব না, কারণ ওটা সামরিকীয় কায়দা। তার থেকে আসেন কোলাকুলি করি। আর কেউ সালাম দিলে মুখে কিছু বলতে পারি না, কেবল মাথাটা একটা নত করি, তা-ই করলাম।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
কেউ না কেউ শেষ পর্যন্ত রুখে দাঁড়ায়...
পুরো লেখাটা পড়ে,মন্তব্যগুলো পড়ে গলার কেমন কাছে ব্যথা ব্যথা ঠেকলো ! খুব সরলীকরণ হয়ে যায় হয়তো , কিন্তু খেয়াল করলে কেন জানি মিলে যায় _ বুকে শক্ত পাঁজর রেখে একদিন যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলো; দলে দলে কলকাতা না গিয়ে, ফিরে এসে দালালদের তো বটেই,গরীব মুক্টিযোদ্ধা আর সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি-বউ-মেয়ে
দখলকরনেওয়ালা দেশপ্রেমিকদের (!) দলে না ভীড়ে - আজীবন মুক্তিযোদ্ধা থেকে যাওয়াদের শেষ প্রতিনিধি এই মোহাম্মদ আলী কি ৭১'র ইতিহাস নতুন করে তুলে ধরলেন না ?
'কোন দলের কোন নেতা মাঠ পর্যায়ে মারা যায় নি ' তার ও একটা উত্তর মনে হয় পাওয়া যায় এখান থেকে ।
লেখাটার জন্য স্যালুট ফারুক ওয়াসিফ ।
---------------------------------------------------------
আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
অসাধারণ লেখা। অনেক কিছু জানলাম।
অনেক পরে লেখাটি পড়ার সময় পেলাম। আপনাকে স্যালুট জানাচ্ছি।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ফারুক ভাই দারুন লিখছেন।
মনজুরুল হকের লেখা দুটো খুব তাড়াতাড়ি পড়তে চাই।
********************
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
- পড়লাম আজকে প্রথম আলোর এই খবর।
আসলেই কি বিচিত্র ধান্দাবাজ লোক এই জামাতীরা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি অবাক হই না।
কি ব্লগার? ডরাইলা?
ফারুক ওয়াসিফ ভাই
শুধু ধন্যবাদ দিলে কম হয়ে যাবে তাই সেটা দিলাম না
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে এবং গোটা যুদ্ধ নিয়ে যে খেলা চলছে সেটা অনেকটাই আপনার লেখায় আসে
আরো ভয়ের কথা কি জানেন
৭১ এর দেশ বিরোধিদের এখনই রুখতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে তারা যে ইসলামের নামে দুই মুলুক জোড়া লাগানোর জন্য তাদের বাবা দের ডাকবে না তার কিন্তু নিশ্চয়তা নাই।
আর জাতিসংঘ রে শান্তির মধ্যাংগুলি দেখায়া যে আরেক দেশ দখল করা যায় সেটা ত আমেরিকা প্রমান করে দেখিয়েই দিয়েছে
সেই হিসেবে সামনে কোনো পাকি জেনারেল যদি কায়দা করে খায়েশ করেন তাদের হারানো দেশোদ্ধারের
তখন আমাদের এই দেশীয় কুত্তা গুলা সবার আগে আজকে যারা তাদের সহায়তা করছে তাদের উপরই ঝাপিয়ে পড়বে
আর ইসলামের নামে দুই দেশ যদি এক করতেই হয় তাইলে আরব দেশ গুলির এক হওয়া দরকার সবার আগে।
ওরা যদি এক দেশ না হইয়া ও এক ইসলাম নিয়া থাকতে পারে আমরা বাংলা ভাষাভাষীরা কেনো পাকি দের থেকে আলাদা থাকতে পারবো না।
এই কমন সেন্স টুকু যে কবে বাংলাদেশের মানুষের হবে
নতুন মন্তব্য করুন