‘আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন’@ আকাশে|
ঘুপ করে উঠে, ঘ্যাঁচ করে বসে, ফোঁচ করে ঝেড়ে, কোঁত ফিল করে বুঝল, হয়েছে। তার বোধি লাভ হয়ে গেছে। কয়েকটা দিন ধামার নিচে চাপা দিয়ে থাকার ফল। তার মনে হল কিছু একটা করতে হবে, আর চেয়ে চেয়ে থাকা যায় না। কিন্তু সে আসলে দাঁড়িয়েছিল একটা টং-য়ের ওপর। বসেই ছিল কিন্তু বোধের পয়লা ধাক্কাতেই খাড়া হয়ে গেছে। খাড়া হলেই তো আর নামা যায় না! জগতের নিয়ম হইল খাড়ায়া নামতে হয়, নাইলে তাহাকে পতন বলে।
ওদিকে নশ্যির গুষ্টি হুটুপুটি খেতে লেগেছে। আর ছড়া কাটছে,
‘দ্রুম দ্রাম দ্রিদিম দাদাম কানে লাগে খটকা,
ফুল ফোটে তাই বল, আমি ভাবি পটকা।’
সুতরাং ওদিক দিয়ে নামা যাবে না। নাবতে হবে এপাশ দিয়ে, মানে পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভাবতেই মনটা ছিলিক দিয়ে ওঠে আর একটু একটু করে বাতাস চলে যাওয়া কোলবালিশের মতো সে নেতিয়ে পড়ে। নেতিয়েই থাকে। তারপর একসময় হামাগুড়ি দিয়ে বাঁশের টংয়ের থেকে নিচের পুকুরটার দিকে তাকায়। পুকুরটা যেন এক অতিকায় ক্রিস্টাল বল, যাতে অতীতও দেখা যায় আবার ভবিষ্যতও দেখা যায়। কেবল ভূত তথা বর্তমানটা দেখা যায় না। তার জন্য চোখে চোঙ লাগিয়ে দেখতে হয়।
আজ সেখানে আকাশের প্রতিবিম্বটা কেমন আবছা আবছা, তার মধ্যে নিজের মুখ আরো আবছা আবছা লাগে। তাতে মেঘের ঘন প্রতিবিম্বের সঙ্গে তলাকার শ্যাওলার মেশাল মিলে কেমন চুল তার কবেকার অন্ধকারের দিশা দিশা লাগে; মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকাজ মনে হয়। তার ওপর জলপোকারা কেমন পিছলে পিছলে ঘুরে বেড়ায়। এর মধ্যে টুপ করে মিহিবাস্তব মার্বেল মায় কদবেল আকারের স্মৃতির দলা ঘোলালে দৃশ্যগুলো বেশ শিল্প শিল্প হয়, দর্শন দর্শন হয়। ইস! কবিতা কবিতাও হয়।
এহেন জাদুর পুকুরে লাফিয়ে পড়লে স্বপ্নসাধ সব ভেঙ্গে যাবে। কত দিনের কতনা যতনে এই পুকুরখানা তকতকে রাখা হয়েছে। কোথাও কোনো পানাটানা নেই। টং-য়ে উঠে অনেক কিছু দেখেছে সে। জীবনের স্বপ্ন নয় কেবল, আস্ত জীবনকেই বসে বসে দেখেছে। ঐ পুকুরের মধ্যে জীবনের খানিকটা করে মিশিয়েও দেখেছে, অপূর্ব লাগে!
আজ অপরাহ্নের ঘুমের মটকা ভাঙ্গার পর দেখে যে কেমন মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। যেন একটা মন্ত্রপাত হবে আকাশ থেকে। কোথায় কিচ্ছুটি নড়ছে না। দূরে, পুকুরের ওই পাড়ের লেবুপাতার ডালে একটা বক বসে ছিল। সে হঠাত কী মনে করে পাখা টানটান করে একটা ঝাপটা দিয়ে বসে। তার পাখসাটে একটা কচি লেবু ঝরে গেল আকালে। সেটা টুব করে জলে গিয়ে পড়ল। এই যাহ্! ছবিটা একটা কাঁপুনি খেল যেন। হঠাত ভূমিকম্প হলে যেমন হয়। শ্যাওলাহীন টলটলে পানিতে অনাহুত ঢেউ উঠে জলরংয়ে আঁকা কাঁচা ছবিটাকে যেন জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়েই দিল। জলে আঁকা ছবি মিশে গেল জলে। তখনই বুঝল যে, সে কবি। তাই কবির কথাটা ধরতে পেরেছে। সেই যে, 'হেয়ার ওয়ান লাইজ, হ'জ নেম ওয়াজ রিটেন অন ওয়াটার'। এই অনাস্বাদিত চমকের উদ্ভাস ভাসিয়ে নিয়ে গেল তাকে। সে দেখল তার জীবন; সেই কম্পনের শিরশিরানি পুলকের মধ্যে। এবং তার হয়ে গেল। বোধি এসে গেল।
কিন্তু এখন সে নামে কী করে। ওদিকে মই সরিয়ে নিয়ে গেছে। ওদিক দিয়ে নামা মানে খবরের পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শোনার মতো হবে। ঠ্যাংও ভাংবে, উপরি নস্যির দলের ধোলাইও খেতে হতে পারে। এদিকে পুকুরে ঝাঁপালে সলিলও-মুরতি যাবে ভাসিয়া। তার গাইতে ইচ্ছা করলো,
তুমি আরেকবার আসিয়া, যাও মোরে ফুলাইয়া
আমি মনের সুখে ফুলফুলাতে চাই
তখন তার চোঙাটার কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে অন্যদের কথা। বিরাট পুকুর। তার পাড়ে পাড়ে আরো অনেকগুলি টং। সেখানে তারা কী করছে? তাদেরও কি এমন অবস্থা। পুকুরটা ইদানিং দীঘির মতো লাগে। এই লাগা নিয়ে সে লেগে ছিল কিছুদিন। আচ্ছা, ছোট পুকুর বড় হয় কী করে। পুকুরও কি ফোলে? কে তাকে ফোলায়, কারা ফোলায়? আদিরহস্য কাহিনীর নায়কের মতো হাসিটা সে ঠিক হাসিহাসি করে তুলল। চোঙাটা সে সাধারণত নামিয়েই রাখে। কিন্তু আজ মনে হয় দরকার হয়েছে। চোঙটা দিয়ে বাস্তবের কিছু দেখা যায় না। এটা দিয়ে তাকালে প্লেটোর গুহায় চলে যাওয়া যায়।
জগতটাকেই একটা গুহা মনে হয়। সেই গুহার দেয়ালে আগুনের ছায়া নড়ে। এবং কী আশ্চর্য আগুনে আলো হলেও দেয়ালে তার ছায়াগুলো কালো হয়ে নড়ে। সেভাবেই সে চোখ পাতে পুকুরের তলার দিকে, ‘মনে হয় পাহাড়ের ওপর থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্র“র নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে।’ আচ্ছা, যা কিছু নড়া-চড়া করে তা-ই কি শত্র“? তার হিসাব গুলিয়ে যায়। টং-য়ে বসে থাকতে থাকতে এখন বড় রাস্তায় উঠলে সিঁটিয়ে থাকতে হয় মানুষের নড়াচড়া দেখে। সাঁই সাঁই ফাঁত ফাঁত বোম্বাচাকের কথা সে শুনেছে। রাজপথে তার সেরকম সাঁই সাঁই ফাঁত ফাঁত লাগে। তাই হাঁটে রাস্তার ধার ঘেঁষে, সবাইরে সাইড দিয়ে।
তাও পারা গেল না, নস্যির দল পিছু নিল। কিন্তু অনেকক্ষণ ওদের সাড়া-শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না কেন? কোথাও কি ওঁত পেতে মওকা পাওয়ার আশায় বসে আছে? হবেও বা। তার আর ওসবে মন বসে না। সে চোঙটা পুকুরের দিকে আরো ভাল করে তাক করে। কারণ অন্য কিছুতে তাক করলে কিছু দেখা যায় না। পুকুর পর্যবেণের জন্যই ওটা বানানো হয়েছে। আচ্ছা, তলায় কি কোনো জট দেখা যাচ্ছে? কালো হয়ে উঠছে কেন জলের তলাটা। এবার তার মনের মধ্যে কাঁপুনি ধরে গেল। সে আরেকটু ঝুঁকে পানির দিকে চোঙটা কামানের মতো ফিট করলো। হ্যাঁ, তাইতো! কালো কালো কী যেন নড়াচড়াও করছে। রোম খাড়া হয়ে গেল ওর। হাঁটু গেড়ে টংয়ের আরো কিনারে আরো ভাল করে খিয়াল করতে যাবি তো যাহ্! পড়ে গেল।
সব ভেসে গেল, সব তছনছ হয়ে গেল। এখন সে পানিতে চিত হয়ে ভেসে অনেক কাল পরে আবার আকাশের দিকে তাকাবার অবকাশ পেল। দেখল, সেখানে অনেক মেঘ জমেছে। কালো কালো মেঘ। সেগুলো নড়াচড়া করছে, জমাট বাঁধছে। বর্ষণ হবে আজ, ঝড় উঠবে আজ। তবুও তার ভয় লাগলো না। তার বড় আনন্দই হলো জেনে যে, আকাশটা আসলে পুকুরের তলাকার জগতটার মতোই, কেবল সবকিছু কেমন উল্টা উল্টা। কিছুই পুকুরে দেখা গুহার ছবির মতো আবছা ও বিদিশা নয়। একেবারে ফকফকা।
মন্তব্য
ঘটনা কি?
জনাবের মন কি খারাপ? খুব অস্থির মনে হচ্ছে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে নাহ্, আকাশ এখন অনেক পরিষ্কার আর ফকফকা।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
প্রথমে তো অন্য লেখা দেখছিলাম... বদলাইছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ্যাঁ, সমুদ্র গুপ্ত ও মাহমুদুল হকের মৃত্যু বিষয়ে একটা এলিজি টাইপ ছিল। পরে ব্যক্তিগত পাতায় সরিয়ে নিয়েছি।
.................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনার আশা/কামনা পূর্ণ হউক, টং এর ওপর থেকে টঙ্গারূড় দের পপাত ধরণীতল/পুকুরাতল হউক - আমরা আমাদের জীবদ্দশায় 'বুদ্ধিজীবি'দের বুদ্ধির উদয়/বোধোদয় দেখে যাই ...
যাহোক, আরো ব্যাখ্যা-উপব্যাখ্যর আগেই জানাই, এই অসমর্থিত ও অপরিপুষ্ট রচনাখানিতে, কল্পনার কুতুব মিনারবাসিদিগের সঙ্গে কিঞ্চিতাধিক মশকরা করা হইয়াছে। সেইটা বুদ্ধিজীবীদের জন্যও প্রযোজ্য বটে, যদি তাহারা সেইখানে বসিয়া দেশ-সমাজ-বাস্তবকে বুঝিতে যান, তবেই। নচেত নহে।
বিষয়টা মনে হয় অসদাচরণ হইবে না। কেননা, আমি নিজেও আপাতত বুদ্ধির ব্যবসা করিয়া জীবীকা নির্বাহ করিতেছি। ইহাকে আত্মসমালোচনা বলিয়াও ভাবিতে পারেন।
এই লেখাটা পড়ছিলাম, আপনার ভাল লাগতে পারে।
http://www.eurozine.com/articles/article_2008-07-18-roaldouis-en.html
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হুমম...
হুমম...
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
‘জগতের নিয়ম হইল খাড়ায়া নামতে হয়,নাইলে তাহাকে পতন বলে’
দারুন ! একটা হিন্দি কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না-----------
‘গিরো, গিরো তো উছ ঝারণা কি তারাহ্ , যো গিরতে হুয়ে তক্ আপনা সৌন্ধয্যোকো খো নেহি দেতা--------’
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
শব্দকল্পদ্রুম!
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
জটিলস্য
নুরুজ্জামান মানিক
**********************************A life unexamined is not worthliving.-Socrates
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এই লেখার মানে বুঝতে হলে অনেক সাধনা করতে হবে। এখন মনে পড়ছে শুধু সেই কবিতাটার কথা (সম্ভবত শঙ্খ ঘোষের)-
কিন্তু তারও ভেতরে দাও শব্দের ঝংকার...
কথা কেবল মার যায় না কথার বড় ধার...
বাকি লাইনগুলো হয় ভুলে গেছি, নয়তো বলতে ইচ্ছে করছে না।
আসলেই সাধনা করতে হবে।
সাধনা না করেও পড়ে ভালো লাগলো। কেন লাগলো বুঝতে পারছি না।
- অনবদ্য...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অ্যাঁ! একি ইঙ্গিত আসিতেছে আজ মন্থরার ভাঁজে??? @ ধুগো
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- কেংকা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সিংক্যা। আচ্ছা ধুগো, আপনাক না সিদিনক্যা দ্যাকনু শুল্টির মইদ্যে অয়া আছেন? কাহিনী কী?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- আমার ভাষাজ্ঞান তো কেংকা পর্যন্তইরে ভাই।
শুল্টি মানে কী আর অয়া জিনিষটাই বা কী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা হা
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- আপনের দৌড়ও বারান্দা পর্যন্ত। কারণ আপনি নিজেও ভাষাটা জানেন না কিন্তু ভাব নেন যে জানেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শিমুলরে জিগান, সে জানে। সে এখন উত্তবঙ্গের যথার্থ প্রতিনিধি থুক্কু প্রতিনিধিনি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- সবাই খালি পিছলায়।
কেউ টাকি মাছের মতো, কেউ গুতুম মাছের মতো আর কেউ কাইক্কা মাছের মতো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আরে ভাই , এতো সহজে !
ঘুরুক না একটু !!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
- হ, আমি ঘুরি আর এই ফাঁকে আপনে অন্য কাউরে গিয়া জিগাইয়া আসেন।
পুরাতন টেকনিক জানাবা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দ্যাখছেন ধুগো,
এই মেয়ে ইংক্যা করিচ্চ ক্যা, হামাক পুছবার পারিচ্চ না, হামি কই।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- তাতিতি... তাতাতা- ছাড়া আর কিছুই বুঝলাম না। গরীবরে নিয়া মশকরা কর্তাছেন দুইজনে মিইল্যা বুঝতাছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহারে !
বেচারা গরীব !!
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আলু তো আলু অক্ ক্যা লে আলু
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
আরে !
আপনিও কি বগুড়ার নাকি !!
আর ধুগো গেলো কই?
"ধরেন, আরো ধরেন" বলে টলে পালিয়ে আছে।
দেখি এই আলু আলুর অনুবাদ করেন দেখি...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আম বগুড়ার না। এই এট্টা কথাই জান্তাম
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
আচ্ছা, বলি। এর মানে হচ্ছে, কীরে তোকে না সেদিন দেখলাম গলির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলি। বুঝছেন এবার, তাহলে আরেকটা ধরি, নাকি?
আর হ্যাঁ, আমি কিন্তু জার্মান জানি, তাই জার্মান ছাড়া অন্য যেকোনো আফ্রিকীয় ভাষা জিগাইতে পারেন।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
- আমি জার্মান পারি না। বেকায়দায় পড়লে বদ্দারে স্মরণ করি।
শুল্টি দেইখা গলিঘুপচি টাইপের কিছু একটা মনে কর্তাছিলাম কিন্তি 'অয়া' আইসা সব পেচ লাগায়া দিলো।
ধরেন, আরো ধরেন। না পারলে আমার উক্ত ভাষা জানুয়া পন্ডিত জানাপেহচানারে ফুন লাগামুনে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অথচ উপকথার সুড়ঙ্গের মুখে ডেগচি হাতা নিয়ে ঠিকই অপেক্ষায় থাকা গেছে থাকা যাচ্ছে প্রমিত অগ্নুৎপাতের আদিপর্ব আর ভীষ্মপর্বের বাছাই ঠিকুজি হাতে; বুজি বুজি ফুজিয়ামা রুটিরুজি নিরপেক্ষ চোখে সুজির হালুয়ার সুখস্মৃতি ঠাসাঠাসি দানবাক্সে গুঁজে রাখে। এখনো কোন কোন কোদালে অমাবস্যায় কোন কোন সনাতন ঢিবিতে আমাদের ভোঁতা কোদালের খাড়া কোপ অন্তত পাথরের কাঁধে স্পার্ক ঝেড়ে ভূকম্প আর লাভাদের টরেটক্কা জানান দেয়....
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
আর উঠে আসে আনারকলির কলিহীন আনারস হাতে এক ষণ্ডপ্রবর, ঘর্ষবিদ্যুত থেকে জ্বালানো মশাল নিয়ে কোদালে চেপে স্কি করতে করতে ডাকে কাদামথিতহর্ষকামঘামনামাবলি মাখা ডাক : 'অবনী বাড়ী আছো' বাবা!
কী হৈছেনাহ!
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ঠিকাছে....
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
বেশক্! ‘অবনী’ ডাকটা লখনৌ তে গিয়ে পড়ে... ... রুদালিবাঈয়ের কানে কানে বলে...‘তুম রূঠো তো জামিন সানাটা বান যাতা...তুম মুস্কুরাও তো পানি শারাব বান যাতা...গ্ল্তিছে তুম ফির মু্স্কুরায়ি... মেরি সাকি ফির ডুব গেয়ি...
ইস্মে মেরে কসুর ক্যায়া ?’
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
মুন্সীগঞ্জে গ্যান্ডারিকে কসুর বলে....
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
যশোর-খুলনায় বলে-‘কুসইর’
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
সুমন চৌধুরীর লেখা যেমন ভালো লাগে
ভালো লাগে ফারুক ওয়াসিফেরটাও।
- হিন্দি ছবির মতো কাহিনী বুঝি- ব্যাকগ্রাউন্ড বুঝি, বুঝি না কেবল সংলাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন