এক. পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়ানো পাথর পতন চূড়ান্ত হওয়া বিনা থামে না। দুই বছর আগে নির্বাচনী সংঘাতের ধাক্কায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার যে পাথর গড়াতে শুরু করেছিল, তা বোধ করি এখন তলায় পৌঁছাতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের মঞ্চে অভিনীত হচ্ছে শেষ অঙ্কের শেষ দৃশ্যাবলি। কিন্তু কী আছে পথের শেষে, সেই প্রশ্ন এখন আগের থেকে অনেক বেশি করেই জাগ্রত।
রাজনীতিবিদেরা পায়ের তলার হারানো মাটি আবার ছুঁতে পারছেন মনে হচ্ছে। ৪ আগস্টের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল হাতে আওয়ামী লীগ এখন আত্মবিশ্বাসী। বিজয়ী প্রার্থীদের বিগলিত হাসির মধ্যে শেখ হাসিনার হাসির ছায়াপাতও আমরা খেয়াল করেছি। একপক্ষে আশা আর আরেক পক্ষে হতাশার মাঝখানে বড় হয়ে উঠেছে গত দুই বছরের খতিয়ান: কী পেলাম আর কী হারালাম। আমলনামা হাতে নিয়ে আজ এর উত্তর আমাদের খুঁজতে হচ্ছে বৈকি! বিশেষত, চোর-পুলিশ খেলায় উভয়পক্ষই যখন কান্ত ও রিক্ত, তখন ভাবতে হচ্ছে, এ কি ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’ জাতীয় কোনো গল্প?
৪ আগস্টের নির্বাচনী রায় অনেককেই নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। ঘটনাটি একটি সন্ধিক্ষণ, এর মধ্যে জড়াজড়ি করে রয়েছে পরিস্থিতির মধ্যকার নানামুখী মাত্রা। এখানে ভোট দেন সারা দেশের মোট ভোটারদের ১.৫ শতাংশ। নগণ্য হলেও এই দেড় শতাংশের মধ্যেই বিশ্লেষকেরা সমগ্র ভোটারের মনোভাবের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন। ৪/৮ (সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন) সংস্কার কর্মসূচিকে যেভাবে নড়বড় করে দেয়, গত দুই বছরের আর কোনো ঘটনায় তা ঘটেনি। কেননা এতে প্রমাণ হলো জনগণের ঝোঁক এখনো সাবেকি রাজনীতির প্রতি। তাই যদি হবে, তবে সংস্কারের নৈতিক শক্তি ফুরালো বলে। তার জেরেই বন্দী নেতা-নেত্রীদের কারাগার থেকে বের হওয়ার তোড়জোড় শুরু হলো। এটা একটা দিক। অন্যদিকে নির্বাচনী আয়োজনের সাফল্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলবার ভিত্তি পেল যে, জরুরি অবস্থাতেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। পাশাপাশি, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয় সত্ত্বেও দল দুটি বুঝতে পারে, এই জয়টা আসলে রাজনীতিবিদদেরই। শেখ হাসিনার জামিনে মুক্তিকেও তাঁরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির ওজর হিসেবে ব্যবহার করছেন। এভাবেই খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা এবং তাঁদের ধারার অনেক হর্তাকর্তার দুর্নীতির অভিযোগের ধার য়ে যেতে দেখা গেল। দৃশ্যত, সরকার এখন তাঁদের বিচারের থেকে আপসে মুক্তির জন্যই বেশি তৎপর। কাজে কাজেই বিএনপি জোট হেরেও জিতল আর আওয়ামী জিতেও হারল। জরুরি অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি আর খাটল না। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রায়ে নৈতিকভাবে পরাজিত সরকারও জয়ী হলো অন্যভাবে। তারাও এখন দাবি করতে পারে যে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন যারা করাতে পারে, জাতীয় নির্বাচনও তারাই করতে সম। এ বাস্তবতায় দুটি প্রধান দল এবং সরকারের মধ্যে জটিল সম্পর্কের পট রচিত করে দিল ৪/৮। সেই পটের ভূমিতে পরস্পরবিরোধী তিনটি পক্ষই রেষারেষি সত্ত্বেও হয়ে উঠল পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল। ১/১১-এর রাজনীতির শুদ্ধিকরণ ৪/৮-এর পরে গতি হারিয়ে হয়ে গেল অভিযুক্ত নেতৃত্বের ‘দায়মুক্তকরণ’। এর বিনিময়ে ক্ষমতাসীনরা জরুরি অবস্থায় করা সব কাজের দায় থেকে অব্যাহতি চাইবে। এই লেনদেনের মধ্য দিয়ে ৪/৮ এক অর্থে ১/১১-এর খণ্ডন হয়ে উঠল।
দুর্নীতি দূর ও রাজনৈতিক সংস্কারকে ‘অভীষ্ট’ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ জনপ্রতিনিধি উপহার দেওয়াকে ‘ল্ক্ষ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল এই সরকার। অভিযুক্ত রাজনীতিবিদদের মুক্তির কলরোলে সেই অভীষ্ট হারিয়ে না গেলেও দূরে সরল। আর ল্যটি রয়ে গেল ক্ষতবিক্ষত ও অমীমাংসিত। তবে কি সংস্কার হোক বা না হোক, দুর্নীতিবাজরা সবাই সাজা পাক বা না পাক, যেনতেন নির্বাচনের দিকেই পরিস্থিতি ধাবিত হতে চায়? সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিন্দুতে যে এই সিন্ধু জন্মাবে, তা কে ভাবতে পেরেছিল? এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে পুরোনো রাজনৈতিক শক্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রাণভোমরা।
কিন্তু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ঘোঁটের বিরুদ্ধে যে পরিবর্তনের আকাক্সা জনমনে ঢেউ তুলেছিল, কানসাট-ফুলবাড়ী-শনির আখড়ার গণবিস্ফোরণ যে রদবদলের ডাক দিয়েছিল, তা কি বিফল হবে? সরকারই তো সেই স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল মানুষের মনে। সরল চোখে ১/১১ ছিল সেই ডাকেরই সাড়া। কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক মহলের অসহযোগিতায় আর সরকারের নিজস্ব দোলাচলে সেই অন্তিম আকাক্ষ অপূরিতই রইল। কি রাজনীতিতে কি অর্থনীতিতে, কোনো প্রতিশ্রুতিই তারা সম্পূর্ণ করতে পারেনি। বরং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বন্দী রেখে জনগণের সহানুভূতি আকর্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর এখন বিনা প্রায়শ্চিত্তে তাঁরা পার পেতে যাচ্ছেন। যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ায় অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে ওই সহানুভূতির বাষ্প উবে যেত। তা হবে কি না তা আজ অনিশ্চিত। তাই ১/১১ পরিবর্তনের সাড়া না হয়ে হলো তারই ট্র্যাজেডি। আবার এই ট্র্যাজেডিকে ‘বিজয়ে’ পরিণত করার নামে নামে নবযৌবন পাওয়া রাজনীতিবিদেরা যা করবেন, তা হবে দেশের সঙ্গে নতুন মশকরা। তাঁরা ‘যেমন আছি তেমন রব’ গোঁ ধরে টিকে গেলেন। জনগণের কোনো আকাঙ্ক্ষাই তাঁদের কাছে দাম পেল না। তাঁরা এখনও নিজেদের ধোয়া তুলসিপাতাই গণ্য করবেন এবং বাকি সকলকেও তা মানতে হবে বলে জেদ ধরেছেন। তাঁদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মহিমা রক্ষাই হয়ে উঠলো দেশের থেকে বড়। তাঁরা জিতলেই নাকি দেশ জেতে, এ কেমন কথা? তাঁরা একে গণতন্ত্রের বিজয়ও বলবেন। কিন্তু কোন গণতন্ত্র? দুই বছর আগে যা আমরা দেখেছিলাম? এ-ই যদি হবে, তবে গত দুই বছরে সকল পক্ষই কি আমাদের নিয়ে থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড় খেলাই চালালেন? পরিবর্তন ওপর থেকে আসে না। তার চাহিদা ও যোগ্যতা সমাজের ভেতর সৃষ্টি হতে হয়, করতেও হয়। এ ব্যাপারে জনসমাজকেও আÍসমালোচনায় বসতে হবে যে, যে পরিবর্তন তাঁরা চেয়েছিলেন, তাঁর জন্য তাঁরা কতদূর যেতে রাজি? কথায় আছে, জনগণ যেমন তেমন নের্তৃত্বই তাঁরা পান। সুতরাং দায় আমাদেরও কম নয়। এই সকল কার্যকারণের ফলেই রাজনীতির গঠন ও গতি পাল্টানোর কর্মযজ্ঞ কেবল সংষ্কারের কুচকাওয়াজ দিয়েই শেষ হলো, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্ত রাজনীতির বিরুদ্ধে সত্যিকার লড়াই আর হলো না। ওপরের থেকে আসা পরিবর্তন যে আখেরে প্রহসন কিংবা ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়, সেই বুঝ এখন আসা উচিত।
দুই. এই পরিবর্তনের দার্শনিক ধাত্রীকুলে অনেকের সঙ্গে সুশীল সমাজের বিরাট অংশও ছিল। ডাকনামে ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়’ বলে পরিচিত ব্রিটেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার কূটনীতিকদের ভূমিকাও সর্বজনবিদিত। আমাদের ব্যবসায়ী এলিটরাও বসে থাকেননি। বিশ্বের অভিজাততম চিন্তাশালা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনের বরাতে এই তিন অংশের অবস্থান তুলে ধরা যাক: ক. সুশীল সমাজের এক প্রখ্যাত সদস্য বলেছেন: ‘আমাদের এই সামরিক সরকারকে সমর্থন করা দরকার। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।’ খ. ‘ব্যবসায়ীরা গড়পড়তাভাবে জরুরি অবস্থাকে স্বাগত জানান। গোড়ার দিকে অর্থনীতি গতিপ্রাপ্ত হয় এবং ঢাকা শেয়ারবাজার চাঙা হয়।’ গ. ঢাকাস্থ এক পশ্চিমা রাষ্ট্রদূত স্বীকার করেন, ‘জানুয়ারির ঘটনা সংঘটনে আমরা (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) কলকবজার ভূমিকা পালন করেছি...সেনাবাহিনীকে ক্ষমতায় আনায় ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলীয় এবং কানাডীয়রা বিরাট আকারে জড়িত ছিল...এমনকি জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকেও অভ্যুত্থানের পক্ষে নিচুমাত্রার সমর্থন দেওয়া হয়েছিল।’ আরেক বিদেশি কূটনীতিক বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নকাজের স্বার্থ রক্ষায় এটাই ছিল একমাত্র পথ।’
রাজনীতির দশ পাকে প্রায়শই ভগবান ভূত হন আর ভূত হয়ে যান ভগবান। অচিরেই হয়তো আবার দেখতে পাব সেই ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়’, সেই সুশীল সমাজ এবং সেই ব্যবসায়ীরা আবার ‘গণতন্ত্র রায়’ দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্ত করা, নির্বাচন দেওয়া এবং তার আয়োজনে বাঘে-মোষকে এক ঘাটের পানি খাওয়ানোর যজ্ঞে দূতিয়ালি করছেন। সেই যজ্ঞের শেষে কারা থাকবেন, কারা যাবেন তা নিশ্চিত না হলেও এটা নিশ্চিত যে, দাগি হয়ে ফেরত আসার পর, যজ্ঞে নাকে খত দেওয়া শেষে, রাজনীতিবিদদের দর্প অনেকটাই লোপ পাবে। মতার সংকীর্ণ সুড়ঙ্গপথ দিয়ে তাঁরা হয়তো মসনদের কাছাকাছি হবেন, কিন্তু তাঁদের মাথা থাকবে নিচু। অন্যদিকে এই দুই বছরে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অগণতান্ত্রিক বিভিন্ন শক্তির প্রভাব বিস্তৃত হয়েছে, তার ছাপও সহসা মুছে যাবে না। আরও নিবিড় হয়ে রয়ে যাবে এর মধ্যে জেঁকে বসা দেশি-বিদেশি বেনিয়াদের মুনাফার ডাঁট ও দাপট। কোণঠাসা ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদেরা থাকবেন এই ত্রিপীয় শক্তির মুখাপেক্ষী। সেই দুর্বল ও পরাস্ত নেতৃত্ব বিশ্বের আধিপত্যশীল মতার দাপটে আর অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনে কাবু হয়ে মৌলিক ভূমিকা পালনে অক্ষম হবেন। সুতরাং দ্বন্দ্বের মীমাংসা তাই হবে না, তলায় তলায় তা আরও জোরদার হয়ে আরেকটা ১/১১ও যে ঘনিয়ে আনবে না, তার ভরসা কী?
অন্যদিকে যখন সব দিকে ‘সামনে আসছে শুভ দিন’ জাতীয় স্লোগান উঠবে, তখনো জনগণ প্রতারিত বোধ করবে। নির্বাচন হবে, প্রার্থীরা বিজয়মালা গলায় পরবেন, কিন্তু সেই জয়ের শরিক জনগণ হবে না। আগে তারা ছিল রাজনীতির দ্বারা প্রবঞ্চিত, এখন হবে ওই ত্রিশক্তির দ্বারা প্রতারিত। বাংলার দুঃখী মানুষ জয় চায়নি, চেয়েছিল অভীষ্ট পূরণ হোক। দেশ তাদের আপন হোক, সরকার তাদের প্রতিনিধি হোক, আর রাষ্ট্র হোক জনস্বার্থের রক। ১/১১-এর পৌনে দুই বছর পর সেই আশা দুরাশাই হয়ে রইল। আর এ সুযোগে বিপর্যয়ের নতুন চক্র শুরু হওয়াও বিচিত্র নয়। অসম্ভব নয় নতুন খলনায়কের আবির্ভাব।
তিন. গণিতের সমীকরণে সব সময় একটা অজানা রাশি ‘এক্স’ ধরে নেওয়া হয়। নইলে অঙ্ক মেলে না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দিগন্তে বারবারই এ রকম অজানা ঘটনা ‘এক্সের’ আবির্ভাব ঘটতে দেখা যায়। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো অকস্মাৎ শেখ মুজিবের সপরিবারে নিহত হওয়া, ক্ষমতার মধ্যগগনে অকস্মাৎ জিয়াউর রহমানের বিলয়, কিংবা সাম্প্রতিক সময়ের পাঁচ শ বোমা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ইত্যাদি হলো তেমনই এক একটি ‘এক্স’ জাতীয় ঘটনা। যাকে আগে থেকে জানা যায় না, কিন্তু যাকে হিসাবে নিতেই হয় এবং যার আবির্ভাবের পর রাজনীতি আর আগের মত থাকতে পারে না। বিপরীতে রাজনীতির অপর একটি ধ্রুবককেও হিসাবে নিতে হবে। সেই ধ্রুবক হলো জনগণ, তাঁরা আছেন এবং থাকবেন। তাঁদের উত্থানও কিন্তু অপশক্তির ‘এক্স’-কে কাটাকাটি করে ভারসাম্য রা করতে পারে, অতীতে বারবার করেছে।
এই ‘এক্স’ জাতীয় ঘটনাই বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক মুক্তিকে বারবার জটিল করে তুলেছে। নইলে জনগণ নিজেই নিজেদের সত্যিকার রাজনীতির পথ রচনা করে নিতে পারত। সেটা হতো দুর্বৃত্ত রাজনীতির বিপরীতে জনগণের গণতান্ত্রিক রাজনীতির সুদিন। ঘনঘটার মধ্যে এখন দেখার অপো, সামনের ‘শুভদিনটি’ কার নামে আসে এবং কাকে তা জয়ী করে।
আমাদের জয়ে কাজ নাই, আমরা চাই জনগণের শাসনের অভীষ্ট অর্জন।
পুনশ্চ: ১/১১ ছিল ভুল, বিপর্যয়কর এবং গণবিরোধী এই অবস্থানের বিপরীত পক্ষরা বলে থাকেন, সেনাবাহিনী সেসময় হস্তক্ষেপ না করলে আরো রক্তপাত হতো। হ্যাঁ হয়তো হতো। কিন্তু তাঁরা এটি আড়াল করেন যে, সংঘাতের জমি তৈরিতে আজ যারা ত্রাতা সেজেছেন তাঁদের অনেকেরই হাত ছিল। বাংলাদেশে ইরাক-আফগানিস্তানের ধারায় কারজাই টাইপের সরকার প্রতিষ্ঠা করে, রাষ্ট্রটাকে পরাশক্তির ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের ঘুঁটি বানানো এবং ওয়ার অন টেররে সামিল করানোর পরিকল্পনা ১/১১ এর বেশ কয়েক বছর আগে থেকে বাস্তবায়িত হওয়া শরু হয়। ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাদেরও হাত আছে। পরাশক্তির থেকে মদদ না পেলে বিএনপি ওভাবে চলতো না। বাবর কার লোক, তারেক কার আশীর্বাদপুষ্ট? আর হাসিনা ভাবলেন, যেহেতু তাঁরা অনেক বেশি মার্কিন ঘেঁষা অতএব জয় তাদেরই। ১/১১ এসবেরই মধ্যবিন্দু। এখন যখন সেই পরিকল্পনা পুরো কাজ করছে না, তখন আসবে আরো বিপর্যয়কর পরিকল্পনা। সেটাই নতুন এক্স। এবং তাতে আরো রক্তপাত বিপর্যয়ের সম্ভাবনাই কেবল বাড়ে। যারা অল্প রক্ত দেখে ভয় পেয়েছিলেন এবার তাদের অনেক বেশি রক্ত দেখতে হতে পারে।
ইতিহাসের যে সমস্যা রক্তপাত ছাড়া সমাধান হবার নয়, তা রক্ত নেবেই। জনগণের উত্থান না হলে তা হবে দাঙ্গা, বিপ্লব না হলে তা হবে প্রতিবিপ্লব, আন্দোলন না হলে তা হবে চক্রান্ত। রক্তের পথেই হয়তো যাবতীয় অনাচারের দায় আমাদের শুধতেই হবে। হয় জনগণ তা করবে, নইলে তা জনগণের ওপর চড়াও হবে। কোনোদিকেই তাই আশা নাই। ইতিহাসের দেবতা কখনো কখনো রক্ত ছাড়া শান্ত হয় না।
মন্তব্য
আপনার নামটা এখানে দেখে শান্তি লাগলো- শুধু এটাই জানিয়ে গেলাম। লেখার ওপর কোনো মন্তব্য করবো পরে।
আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগলো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খুব ভালো লাগতেছে ফারুক ভাই।
লেখার মন্তব্য একটু পরে আসতাছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
থ্যাঙ্কস ফর কামিং ব্যাক।
মূর্তালা রামাত
ধন্যবাদ গৌতম, মূর্তালা রামাত এবং পরিবর্তনশীল এবং অন্যদেরও। সকল কৃতিত্ব নিঝুমের, ও আমাকে একটি কথায় কিনে নিয়েছে। আর কৃতজ্ঞতা আমার সচল বন্ধুদের।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ব'দ্দিন ফরে অন'র লেহা পাইলম.. কী যে বালা লাগের অন'রে বুজই হইত পাইত্তম ন !
অনে ক্যান আচন বদ্দা ? বালা আচন্নি ?
সুস্বাগতম ফারুক ভাই। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। মন্তব্য করার মতো ভাষা পাচ্ছি না। কেবল মনের কোনে জমে থাকা সংশয়ের মেঘ আরেকটু ঘনিভুত হলো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অভিনন্দন ফারুক ভাই, ফিরে আসার জন্য। ধন্যবাদ নিঝুমকে, আপাত অসম্ভব কাজটি সম্ভব করে তোলার জন্য
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অনেক ধন্যবাদ, ফারুক ওয়াসিফ।
স্বাগতম ফারুক ভাই।
(তালিয়া)
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আকতারই ভাই : ফইর গিয়ে ফইর গিয়ে, চাই দেই মন।
কীর্তিনাশা, রাফি, রেনেট, অনিন্দিতা নির্ভার হওয়ার চেষ্টায় আছি। শুভেচ্ছা জানবেন।
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
Welcome back Faruque Vai........Great Analysis.
১/১১ নিয়ে আমার একটি বিশ্লেষণ ছিলো যাকে অনেকেই বাতিল করে দিয়েছেন আওয়ামী-ঘেষা তত্ব হিসেবে অভিধায়িত করে।
আমার হিসেবে সেনা-সমর্থিত এই সরকার আসলে চারদলীয় জোটেরই মিত্র সরকার। পাঁচ বছরের শাসনামলে চারদলীয় জোট দেশব্যাপী এমন এক অরাজকতার আমদানী করেছিল যে, এর দাম চুকানোর জন্য তাদের অনেক চড়া মূল্য গোনা লাগতো । ভোটে তো তারা হারতোই, সেই সাথে জনরোষের কারণে আরো বড় কোন দুর্ঘটণা ঘটাও বিচিত্র ছিলো না। সেই মূহুর্তে এই সেনা-সমর্থিত এই তত্বাবধায়ক সরকার, এক অর্থে তাদের পিঠ বাঁচিয়েছে। সে মূহুর্তে এ সত্য সহজে বোঝা যায়নি, বরং মনে হয়েছে কোন ধরণের জন-বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু সরকারের মেয়াদের এখন যখন দেড় বছরাধিক পার হয়ে গিয়েছে, এখন অনেক সমীকরণই সরলীকৃত হয়ে ভিন্ন এক সমাধানেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গনবিজয় নিয়ে। এর উত্তর নিশ্চিতভাবে না দিতে পারলেও, একে ছেলে ভোলানো "ললিপপ" ভাবাটাও মনে হয় দোষের কিছু হবে না; পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনে লীগের ভরাডুবি হলে যখন তারা এ নিয়ে অভিযোগ করবে, তখন যাতে মানুষের কাছে হাস্যাস্পদ বিবেচিত হয়। আর এ ধরণের "ধারালো যুক্তি" দিয়ে দেশের সুশীল সমাজের কাছে তাদের অসার প্রমাণ করার জন্য মতিউর রহমানের মত কলম-পেষা স্কোয়াডও নিশ্চিত ভাবেই প্রস্তুত থাকবে। এ থিয়োরীটা নিয়ে আমি আগে অনেক সন্দিহান হলেও, উপদেষ্টা মন্ডলীর অনেকেরই রাজনৈতিক মতাদর্শ অনেকটুকু সন্দেহ দূর করে দিচ্ছে। এ প্রকল্পে বি এন পি সাথে থাকলেও, সত্যিকারের গোল দিবে জামাত, এ ব্যাপারেও নিশ্চিত থাকা যায়।
তবে উপসংহার পর্যন্ত আমরা কোন রুট দিয়ে পৌছাবো তা নিয়ে অবশ্য আমি ঠিক নিশ্চিত নই। হতে পারে নির্বাচনের রাস্তা দিয়ে না যেয়ে, কোন এক উত্তেজনার মধ্য দিয়েই আমরা পৌছে গেলাম উপসংহারে। কেননা যেভাবে খোড়া অজুহাতে দেশের স্বায়ত্বশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ করে দিচ্ছে, তাতে এ ব্যাপারে এখনোই দুঃশ্চিন্তা মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না।
আপাতত দেখার ব্যাপার এটাই জামিন কিংবা প্যারোলের মেয়াদ অনেকেরই শেষ যখন হয়ে আসবে কিছু দিনের মধ্যে, তখন কী হয়? তারা আর জেলে ঢুকতে চাবেন বলে মনে হচ্ছে না। ঘটণার মোড় তখনো নিতে পারে।
যাই হোক, অসংখ্য ধন্যবাদ ফারুক ভাই, আপনার লেখার জন্য। আর তার চেয়ে কয়েকশ গুন বেশি ধন্যবাদ, আপনি যে আমাদের ছেড়ে যাননি তার জন্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
যারা পরাশক্তির হাবিলদারি করে, যারা কর্পোরেটের চাকুরে তাদের কাছে আলীগ-বিএনপির থেকে প্রভুরা বড়। আমার মনে হয় বিষয়টাকে 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের' দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়। তারাই হোতা, অন্যরা যোগানদার। এবং তাদের হিসেবের মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের স্বার্থও ধর্তব্য। আলীগ-বিএনপি এই গেমের মধ্যেই খেলে। সেকারণে এদের কারো লাভ বা ক্ষতি দেখে কেবল বলা যায় না, সরকার এদের কারো পক্ষে। সরকারের নিজস্ব এজেন্ডা আছে, তাদের সেই কাজেই আনা হয়েছে। যে পথে তা হয়, সে পথেই তারা যাবে। আর তাতে দুই দলের কারো ক্ষতি কারো লাভ হবে। সেই বৃহত ডিজাইনটাই এখানে গুরুত্বপূর্ণ, যার কথা ওপরে বলেছি।
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনার কথাটা জেনেরালাইজড সেন্সে সঠিক। তবে আমি বলতে চেয়েছি শুধু মাত্র এই সময়টুকুর জন্য।
সৌদি-পাকি গোষ্ঠীর একমাত্র প্রীতিভাজন সংস্থা জামাতে ইসলামী, এবং কিছুটা বি এন পি। যেহেতু জামাত-বিএনপি গাঁটছড়া বেঁধেছে, কাজেই এই বৃহৎ গোষ্ঠীর কৃপা মূলত চারদল লাভ করবে।
ভারতের সুবিধার ঘুঁটি কে সেটা অবশ্য বলা মুশকিল- আওয়ামী লীগের সাথে বেশ মাখামাখি, বিশেষত কেন্দ্রীয় সরকার কংগ্রেসের সাথে। কিন্তু সরকার বুঝে ব্যবসা, আর বিগত পাঁচ বছরে ভারত, আওয়ামী আমলের চেয়ে ঢের বেশি ব্যবসা করেছে। তাই তারাও যদি চারদলেরর প্রতি আস্থা রাখে অবাক হবো না, বিশেষত টাটা'র মতো বড় কোম্পানীদের সাথে জোটের অনেক নেতারই ব্যবসায়িক সম্পর্কের কথা শোনা যায়, কাজেই ভারত সরকারের আনুকূল্য সম্পর্কেও নিশ্চিত মন্তব্য করা কঠিণ। এসব দিক বিবেচনা করেই বলা যায়, সরকারের পাল্লা খুব সম্ভবত চারদলীয় জোটের দিকেই ঝুঁকে আছে।
অবশ্য পাল্লা যে দিকেই ঝুঁকুক, তাতে কিছু আসে যায় না। বৈদেশিক আনুকূল্য আর ধর্মান্ধদের ভোট পাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ যে একচুলও পিছে থাকবে না পা চাটাতে, সেটাও প্রমাণিত।
সাধারণ জনতা একটা বাঁশ খাবো নিশ্চিত, শুধু সেটার ব্যাস কত আর কবে খাবো, সেটা নিয়েই তর্ক হতে পারে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তার সাথে একমত।
সামনে শুভদিন আসছে "জায়মা রহমানের" জন্য। কালকে পেপারে সানগ্লাস পড়া ছবি দেখলাম। আর আমরা তারাপদ রায়ের দরিদ্র রেখা কবিতার মতো দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হওয়ার নতুন সংজ্ঞায় আখ্যায়িত হবো।
আমি এই সরকার আসার পর একটা অভিনন্দন লেখা লিখেছিলাম "এমন যদি হতো" নামে। "এমন" কিছুই হয় নাই। যা ছিল সব তাইই আছে এবং থাকল। শুধু বাংলার জনগন আর আমি কতো বড় বেক্কল আমরা সেটাই আবার প্রমান হলো। সাপকে আবার রজ্জু বলে ভুল করলাম।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমার সামান্য উপলব্ধি -
আমাদের জনমানুষের স্মৃতিশক্তি গোল্ডফিশের মতোন এবং সেই সাথে তারা অসহায়। হাতের সামনে কোন উপায় নেই।
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, মানুষের দুর্ভোগে অস্থায়ী সরকারের নির্লিপ্ততা, শাসনকার্যের অস্বচ্ছতা মানুষকে এই চিন্তা করতে বাধ্য করছে যে, হয়তো আসবে কোন নির্বাচনী সরকার, যাদের কাছে অন্তত নিজেদের অনুযোগগুলো উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।
শুভদিনের আশায় হয়তো জনমানুষ বুক বাঁধবে না। কিন্তু এর থেকে হয়তো ওইটাই ভালো ছিলো, কিংবা ওইটার থেকে অন্য কোনটা - অধিকতর ভালো পছন্দের সুযোগ না থাকায় - শেষ পর্যন্ত ঘুণে ধরা রাজনীতিবিদদেরই বেছে নেবে এই স্মৃতিহীন গণশক্তি। এবং সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচন সেই প্রবণতাই তুলে ধরেছে।
আর, দুর্নীতি বা অন্যকিছুর কথা যদি বলেন, সেক্ষেত্রে বলবো, আগের অস্থায়ী তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতাদের দুর্নীতির খবর যখন বেরিয়ে আসছে, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মতোই সাধারণ বলবে - তাহলে রাজনীতিবিদরাই বা কী দোষ করলো? অন্তত, গালিটা তো দিতে পারতাম। ফেরেশতাদের তো গালি দিতে পারি না।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
দারুন!
দারুণ!
ইতিহাসের যে সমস্যা রক্তপাত ছাড়া সমাধান হবার নয়, তা রক্ত নেবেই। জনগণের উত্থান না হলে তা হবে দাঙ্গা, বিপ্লব না হলে তা হবে প্রতিবিপ্লব, আন্দোলন না হলে তা হবে চক্রান্ত। রক্তের পথেই হয়তো যাবতীয় অনাচারের দায় আমাদের শুধতেই হবে। হয় জনগণ তা করবে, নইলে তা জনগণের ওপর চড়াও হবে। কোনোদিকেই তাই আশা নাই। ইতিহাসের দেবতা কখনো কখনো রক্ত ছাড়া শান্ত হয় না।
এটাই আসলে মূল কথা । রক্তই আমাদের নিয়তি । কাউকে না কাউকে নূর হোসেন হতেই হবে ।
ফারুক ভাইকে আর কি বলব ? কি ধন্যবাদ দিব ? আপনার জন্য শুধু শ্রদ্ধা । আপনি ভালো থাকবেন ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আহা রাজনীতি
পাণ্ডুলিপি ছাড়াই কত নাটক দেখতে দেয়
সমস্ত শুভাশীষ আজ তোমার জন্য নিঝুম : তোমার সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
লেখাটা আজ সকালে প্রথম আলোতে পড়েছিলাম।
তখন মনে হয়েছিলো ফারুক ওয়াসিফের কথা- আহা, এরকম লেখা যদি সচলেও পেতাম।
আমার আশা পূর্ণ হয়েছে।
ধন্যবাদ প্রিয় লেখক, সাংবাদিক।
সচলে নিয়মিত লিখুন।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আজকে প্রথম আলো ওয়েবে আপডেট হয় নাই, মনে হচ্ছে ফারুকই এই জন্য দায়ী। দায়ী ব্যাক্তির শাস্তি চাইইইইইইইইইইইইইই
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
চাইইই-চাই।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সবাই তো সব বলে দিলো।!
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
লেখাটা পড়লাম ,,, খানিকটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে আমার এব্যাপারে
তার আগে আপনার কাছে যেটা জানতে চাই,
১/১১ থেকে গত দেড় বছরে যেটা ঘটেছে সেটা না ঘটে গত দেড় বছরের সিনারিওটা কিরকম হলে ভালো হতো বলে সাজেস্ট করেন?
ধরে নিন ১/১০ পর্যন্ত দেশে যা ঘটেছে সেটা সেরকমই থাকবে, সেটাকে বদলানো যাবেনা।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
যা আসছে তা দৃশ্যত: ভোটের রাজনীতির প্রত্যাবর্তন হলে তার চরিত্র কিন্তু ১৯৯১-২০০৬ থেকে আলাদাই হবে। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচন ছিল ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক শাসন বিতাড়িত হবার ফলাফল। জেনারেল এরশাদ গণঅভ্যুত্থানের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বিচারপতি শাহবুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পেছনে অভ্যুত্থানকারী জনতার প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল। পলিটোলজির দৃষ্টিতে তাঁকে একধরণের বিপ্লবী সরকার বলা যেতে পারে, যে সরকার দীর্ঘ জলপাই শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠাণ বিনির্মাণের জন্য সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠাণে অভ্যুত্থানকারী জনতার কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন। সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দৃষ্টিভঙ্গীর বাইরে, পথে নামা জনগণের জায়গা থেকে দেখলে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে সংগঠিত আন্দোলন ১৯৯০ এর ধারাবাহিকতাতেই ঘটেছে। ২০০১ নির্বাচনের আগে চারদলীয় জোট কোন গণআন্দোলন সংগঠিত করতে না পারলেও জনগণ আওয়ামী লীগ আমলে বিকশিত অ্যান্টি থিসিসের জবাব ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে।
১/১১ পরবর্তী সরকার গত পৌনে দুবছরের নানা ধরণের নিরীক্ষা পেরিয়ে সামনে (সম্ভবত:) যে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন সেটার পেছনে কিন্তু কোন গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিত নেই। জনগণের ক্ষোভের আনাড়ি ব্যবহারকারী ১৪ দল যাই করুক না কেন, জোট সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা(জনগণ) যে আক্ষরিক অর্থেই ক্ষেপে উঠেছিলেন সেটা ঘটনা। ১/১১ পরবর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলি কিন্তু সেই ক্ষোভকে ধারণ করে না। বরং জনগণের সামনে রাজনৈতিক নেতাদের ঢালাও গ্রেফতারের ফুটেজ ঝুলিয়ে বন্দর ইজারা বা প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনসহায়ক কর্মকান্ড তাঁদের ধ্রুপদী জলপাই শাসকচরিত্রকেই নির্দেশ করে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে সামনে যা আসছে সেটা আরেকটা ফেইজ। সেটা ১৯৯০এর গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকল্পে সংগঠিত গণজাগরণের ধারাবাহিকতা নয়। তাঁর চরিত্রে বেশ কিছু নবসংযোজন থাকবে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
যথাযথ বিশ্লেষণ। সুতরাং যার উত্থানের পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র আর দেশি-বিদেশি শক্তির ভূরাজনৈতিক পরিকল্পনা, তাদের দ্বারা এটাই হবার কথা। তবে তাদের মূল কাজগুলি এখনো সম্পূর্ণ হয় নাই, সেজন্য জণগণের বিভিন্ন অংশের অসহযোগিতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর তৈরি করা জটিলতা দায়ি। সেই কাজ সম্পূর্ণ করবার জন্য তাদের দরকার হবে আরেকটা নৈরাজ্য' এবং তৎপরবর্তী নতুন অভিযান। সেটাই হবে নতুন 'এক্স' যা বাংলাদেশের ভবিতব্য অনেকটা ঠিক করে দেবে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
প্রশ্ন হচ্ছে কে এই হুরায়রাহ্...যে পরবর্তী সফলকাম বাসরে নিহত হতে যাচ্ছে
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- অরুন্ধতী রায় ( ভারতের জায়গায় বাংলাদেশ পড়তে হবে)
আগামীদিন গুলোতে রাষ্ট্রকাঠামোর সাথে নাগরিকের মিথস্ক্রিয়াটুকু পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন হতে পারে ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
= বিশ্বরাজনীতি/geo-politics
এক কথায় প্রকাশ, আর কিছুর দরকার আছে কি?
এটাই তো বলতে চাইছি। তারাই এখন নির্ধারক শক্তি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আজকে এই লেখাটা প্রথম আলোতে প্রকাশ হয়েছে । সচলায়তনের নীতিমালা অনুযায়ী এটা প্রথম পাতাতে কি থাকা উচিত ?
সাহস থাকলে জবাব দেন আর কমেন্টটা ছাপেন ।
প্রিয় অতিথি লেখক,
আমাদের সাহস আপনার তুলনায় বোধ করি কিছুটা কমই হবে। তারপরও ভয়ে ভয়েই উত্তর করি।
সচলায়তন একই সময়ে বা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অন্য কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ করে না, কখনও কখনও প্রকাশই করে না। শুরুর দিকে মূলধারার মুদ্রিত মাধ্যমে প্রকাশিত লেখার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসৃত হতো। এখন তা কিছুটা শিথিল হয়েছে সচলের সদস্যদের জন্য। তাঁদের কোন লেখা যদি মুদ্রিত মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তাঁরা তা সচলে ইচ্ছে করলে প্রকাশ করতে পারেন।
আপনি যদি ইচ্ছা করেন, মন্তব্যের শেষে আপনার নাম বা নিক উল্লেখ করতে পারেন। আপনার সাহস নিয়ে আমাদের মনে কোন সংশয় নেই। ধন্যবাদ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সাহস নাই। ভয় পাইসি।
মডুদের জন্যে সহানুভূতি ও শুভ কামনা।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আহ, শান্তি!! ফারুক ভাইকে ফেরার জন্য ধন্যবাদ। আর বিশেষ ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্য। যুবরাজের মুক্তি পর ১/১১ নামক এই বিশাল ধাপ্পাবাজিটা নিয়ে একটা লেখার অভাব বোধ করছিলাম।
১/১১ আগা-গোড়াই ছিল একটা "ছালা-বাঁধা প্রকল্প"। দিনে দশ বার করে "সেনা-সমর্থিত" বলে পাবলিককে ভয়ে ভয়ে রাখা হয়েছিল প্রতিবাদ রুখতে।
আজকে মখা জেলে, হাসিনাকে মান্থ-টু-মান্থ এক্সটেনশন নিতে হয়, অথচ তারেক মুক্ত। ফাজলামির একটা সীমা-পরিসীমা থাকে।
ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ বিপুল ভোট পেত নির্বাচন হলে। সেটা বুঝেই বিচারপতি কে এম হাসান-কে মেনে নিতেও তারা রাজি ছিল একসময়। কিন্তু এরশাদকে টানা, এবং এরশাদের কারণে নির্বাচন বাদ দেওয়ার মত সিদ্ধান্তের ঘানি আওয়ামী লীগকে টানতে হবেই।
যা-সবার, তা সবজান্তাই বলে দিয়েছেন। বিএনপি-আলীগকে এক কাতারে নামানোই এই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল। দুর্নীতির পর পিঠে ছালা বাঁধার জন্য বিএনপিকে ২ বছর দেওয়া হল। সাধারণ নির্বাচন তো দূরের কথা, ঢাকার মেয়রও আওয়ামী লীগ থেকে হয় কিনা দেখুন আগে!
অবশ্য, বাবরের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত পুলিশ রেডিও এবং সাজানো প্রশাসনই বলে দেয় যে আলীগ নির্বাচনে গেলেও জিততে পারতো না।
ঘুরে-ফিরে শুরুতে যেখানে ছিলাম, এখনও সেখানেই। দুই বড় দলই অন্য দলকে ক্ষমতায় দেখার চেয়ে মার্শাল ল' চাইবে বেশি।
ঘটনাটা সেরকমই ঘটেছে মনে হচ্ছে। শোনা যায় বর্তমান অধিপতি অভ্যুত্থানের হোতা ছিলেন না, ছিলেন আরেকজন। তিনি এখন বিগত এবং তিনি বিএনপি মনাই ছিলেন। আর এই দুই বছরে বিএনপি যে নিজের ভাবমূর্তির সঙ্গে 'আপসহীন' নির্যাতিত ইত্যাদি অভীধা লাগাবারও সুযোগ পেল। যাদের দেশ চালানোর ঠিকাদারি দিয়েছে প্রভূরা, তাদের কিছু স্বার্থ তো তাদের মেনে নিতেই হয়। যদিও মনে হয়, তাদের পছন্দ আলীগ। এটাই সেই খেলার মাঠ সমতল করার কৌশল।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ফারুক ভাই,
আপনাকে এখানে দেখে আমার যুগপৎ আনন্দ এবং ক্ষোভ---দুইটাই হচ্ছে।
আনন্দ হচ্ছে---আপনি ফিরে এসেছেন, লিখছেন আগের ধার নিয়ে।
ক্ষোভের কারন----আপনি আপনার ফিরে আসার যে কারন দিয়েছেন, সেটা। আপনি লিখেছেন, নিঝুম আপনাকে নাকি কি একটা বলে 'কিনে' নিয়েছে। কিন্তু আমরা দুই জনে তো আসলে জানি মূল ঘটনাটা কি।
আপনি ফিরে এসেছেন, কারন আমি বলেছিলাম আপনাকে 'কঠিন মাইর দিমু'। আপনি সেই ভয়ে ফিরে এসেছেন। কিন্তু সবার সামনে সেটা লুকিয়ে, নিরীহ নিঝুমের উপর কৃতিত্ব চাপিয়ে দেয়াটা কি ঠিক হল??
জাতির বিবেকের কাছে আমার এই প্রশ্ন------
('সাহস থাকলে উত্তর দেন'---জনৈক অতিথি লেখকের ভাষ্যরীতিতে অনুপ্রানীত হয়ে---)
এ দেখি রীতিমতো ফৌজি জোশ। যারপরনাই ভীত হলাম। ভাই মডুগণ বাঁচান।
সব কিছুর জন্যই বিষয়টার সরল সমাধান সম্ভব হয়েছে। সবার জন্যই, মডুদের জন্য, সহব্লগারদের জন্য, এবং অবশ্যই সচলদের জন্য। এর বেশি আর কী বলা যায়?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
অনেক সময় নিরবতাই অনেক কিছু বলে দেয়। (পোস্ট সম্পর্কে নয়।) আমার মন্তব্য সম্পর্কে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
- এক. এটা একটা বিশাল ষড়যন্ত্রের একাংশ। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে জনগণকে সেই পুরাতন কাসুন্দি খাওয়ানোটাই অভীষ্ট। ১১/১ কিংবা ৪/৮ অথবা সংস্কার সংস্কার খেলা- এসবই ভানুমতির খেল। লাগ ভেলকি লাগ বোলে জনগণের চোখে ঠুলি সেঁটে দেওয়া।
দুই. ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। ১৭৫৭ সালে যে ইতিহাস রচিত হয়েছিলো বাংলার আকাশে সেই একই ইতিহাসের আধুনিক রূপের বাস্তবায়ন হওয়াটাই মনেহয় এখন বাঞ্ছনীয়। এবং কে জানে হয়তো সে পথেই আমরা মৃদু, রোগা পায়ে হেলেদুলে যাচ্ছি কবর-শ্মশান থেকে উঠে আসা প্রাণহীন দেহের মতোন।
তিন. জনগণ আর ক্ষমতার উৎস হিসেবে নেই। সিংহের সেই নিনাদ আর নেই। সামষ্টিকভাবে জনগণ এখন মিনিক্যাট অর্থাৎ মেনিবিলাই। এই যখন অবস্থা তখন আপনার বটমলাইনটাই সত্যি বলে ধরে নিতে হয়, "ইতিহাসের দেবতা কখনো কখনো রক্ত ছাড়া শান্ত হয় না।"
আর কতগুলো সাগর রক্ত দেখলে তবে একটি বাংলাদেশ সত্যিকার বাংলাদেশে পরিণত হবে বলেন তো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ইতিহাসের পরীক্ষায় নকল করে পাশ করা যায় না, সেখানে গ্রেস মার্কেরও সুযোগ নাই। একাত্তরে যে গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন হবার কথা ছিল, তা সম্পন্ন না হওয়ায় সেই অসম্পূর্ণ কাজগুলো, একটি জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জাতীয়তাবাদী অর্থনীতি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, অধিকার ভিত্তিক সমাজ ইত্যাদি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এখানকার অশান্তির অবসান হবে না। ফলত, তার চাপ কখনো গণআন্দোলন হয়ে কখনো তাকে দমনের দাঙ্গা, সেনাঅভ্যুত্থান, স্বৈরতন্ত্র হয়ে ফিরে ফিরে আসবেই। এবং বারবার ভুল নেতা ও ভুল কর্মসূচিতে মাতবার খেসারত বারবার জনগণকেই দিতে হবে।
তাই যতবার ভুল ততবার রক্তপাতে তার প্রায়শ্চিত্ত হবে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
উফ... কি কি যেন লেখছিলাম চলে গেলো... আর পারবো না... শুধু ধন্যবাদ দিয়ে যাই ফারুক ভাইকে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কিন্তু রক্ত দিয়ে জনগন কি পাবে বলবেন কি? কম তো আর রক্ত ঝরে নাই। আশেপাশের দুনিয়াটা একবার আল্লাহ্ র ওয়াস্তে তাকিয়ে দেখুন। এক এই বাংলাদেশ ছাড়া কেউ কিন্তু বসে নেই। থাইল্যান্ডে গিয়েছিলাম একটা কনফারেন্সে। ওদের মনোভাবই অন্যরকম। কে ক্ষমতায় থাকলো না থাকলো তা থেকে কি চমৎকার অর্থনীতিটাকে আলাদা রেখেছে। তারপর মালোএশিয়াকে দেখুন, ইন্দোনেশিয়াকে দেখুন অর্থনীতিকে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে দুদশকের মধ্যে দেশগুলি দারিদ্রের তকমা ঘুচিয়েছে। এ থেকে কি আমাদের কিছুই শেখার নাই? আমরা আর কতো কাল কুপমন্ডুক হয়ে থাকবো?
সেটাই তো শিখতে বলছি, তারা কিন্তু এরকম পরজীবী ও লুটেরা চরিত্রের ছিল না, কাজে অকাজে পরাশক্তি ও মাঝারি শক্তিদের পা তাদের শাসকশ্রেণী চাটতো না।
আর আপনি যে মনোভাবের কথা বললেন, সেই মনোভাব কি আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের আছে? আমরা কেবল শাসকদের দোষ দেই, আমাদেরও কি দোষ নাই?
রক্ত দেয়াটা কোনো নীতির বিষয় নয়, আমাদের এখানে তা অপচয়ের বিষয়। আমি সেটা ডেকে আনার কথা বলছি না। বলিছি যে, যে দেশে সংকটের সমাধানটা অনেকটা আমেরিকার মতো কেবলই বলপ্রয়োগের মাধ্যমে করা হয়, সে দেশে রক্তের হোলি বারবার ছুটবেই। বলপ্রয়োগ এখানে শাসনের তরিকা, লুন্ঠন এখানে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের একমাত্র কায়দা। সেখানে জনগণের দিক থেকে পাল্টা বলপ্রয়োগ ছাড়া সমাধানটা কীভাবে আসতে পারে বলবেন কি?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
জাহাংগীরনগর নিয়ে একটা আপডেট রিপোর্ট দেবেন প্লিজ
Nice writing for a reading pleasure.
These "political" games are nothing new in Bangladesh. It didn't start in 1/11, it is a century old drama staged by the same actors with different masks.
The fortune of our farmers, workers and hard working citizens would never be changed. Because, we don't care except for "me". To get rid off this "me" "me" is not possible, its our national attribute.
No matter how "sharp" your pen is, we can't expect any change in the near centuries. Whoever comes and go by the name of "by the people, of the people, for the people", they are all pirates.
নতুন মন্তব্য করুন