ছায়া নাই, শুধু কিছু পোড়া ছাই জমে আছে,
সাঁকোর ওপারে পূরবী পথেও কোনো পদচিহ্ন জমে নাই।
আজ নয় গান, গান গেয়ে চলে গেছে সে বৈরি বাউল
কণ্ঠি ছিঁড়ে ফিরে গেছে সে বৈষ্ণব পাখি
তবু সুরস্মৃতি ভাসে কুয়াশার নদীর ভেতর
কুয়াশা তো আবেগেরি অন্তরিত রসায়ন।
তবু দ্যাখো লখিন্দরসম চিহ্ন ভাসে অবশেষে,
অবশেষে তারাদের চোখের কুশ বিঁধে মনে;
কুহুরাতে চিনে আসি গৃহস্থলি মানুষের।
পুরনো বন্ধুর প্রেত যেমন মাঝে মাঝে,
কবর থেকে বাড়ানো হাতে_
মেপে নিতে আসে সখ্যতার ঈপ্সিত পারদ।
এটি ১৯৯৯ সালে লেখা, কোনো এক দেয়ালপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। আজ সেটাকে জুবায়ের ভাইয়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রণত করলাম।
মন্তব্য
আপনার এটা কবিতা না গান?
যারা গান করে তাদের কাউকে একটু দেখান তো
(আমি জানি না আপনি গান করেন কি না)
আমার ধারণা এটাকে এটু নাড়াচাড়া করলে একটা দুর্দান্ত গান হয়ে উঠবে
একবার একজন একটা গান লিখিয়ে নিয়েছিল, গেয়েওছিল সুরে। তবে শুনে আমার মনে হল, আমি দিয়েছিলাম তরবারি তিনি বানালেন বেতস লতা। তো এই হল অবস্থা?
তবে গান কি এক বিমূর্ত হলে লোকে নেবে? জানি না।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সব গানই একেকটা কবিতা। কখনও কখনও কবিতাও গান হয়ে যায়।
আর এলিজি আক্রান্ত কবিতা আসলে তো গানই।
কাব্যের বর যে হাত রেখেছে ছুঁয়ে
তাঁকে কি কেবল গদ্যে মানায় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সাঁকোর ওপারে পূরবী পথেও কোনো পদচিহ্ন জমে নাই।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
সাঁকোর ওপারে পূরবী পথেও কোনো পদচিহ্ন জমে নাই।
হ্যাঁ, আমারও প্রিয় লাইন এটি।
ধন্যবাদ লীলেন, রণদীপম এবং জুলিয়ানকে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
নতুন মন্তব্য করুন