অক্ষরগুলো বসাচ্ছি আর ভাবছি, অক্ষরপিছু কতটি মৃত্যু ঘটছে ফিলিস্তিনে, গাজায়? দশ-বিশ-এক শ বা এক হাজারেও কি তা কুলাবে? মাসের পর মাস তারা ভূমিতে বন্দী, পানি ও রুটি থেকে বঞ্চিত আর আকাশ থেকে আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষুধা ও বিনা চিকিতসার মৃত্যুর পর এসেছে বিমান, ট্যাংক ও সৈন্যদের বোমা-গুলিতে মৃত্যু। ৪০ বছর ধরে ফিলিস্তিন ইসরায়েলি দখলদারির অধীন। একাত্তরের নয় মাসের দখলদারির দুঃসহ অভিজ্ঞতাকে ৫০ দিয়ে গুণ করলে যা হয়, ফিলিস্তিনে তা-ই ঘটে চলেছে। এই ৪০ বছরে তারা তাদের মাতৃভূমির পাঁচ ভাগের চার ভাগ এলাকা থেকে উচ্ছেদ হয়েছে। হারিয়েছে অজস্র মানুষ। সেখানে এখন শানদার ঝকঝকে ইহুদি বসতি, সুন্দর মানুষ ও তাদের পরিবারের শান্তির নীড়। বাইবেলের ঈশ্বর সোডোম আর গোমোরাহ নামে দুটি শহরকে আগুন আর পাথর বর্ষণ করে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আর মধ্যপ্রাচ্যের আজকের ঈশ্বর ইসরায়েল ফিলিস্তিন আর লেবাননকে ধ্বংস করে চলেছে ট্যাংক আর মিসাইলে।
এমন ত্রাস যে গর্ভের শিশুও জন্মাতে ভয় পায়। তবু তারা বন্দী মাতার জঠর থেকে বের হয়ে হাঁটতে শেখার আগেই অপমান, নির্যাতন, বন্দিত্ব কিংবা মৃত্যুর ভাগে বরাদ্দ হয়ে যায়। এই জীবন খাঁচায় বন্দী প্রাণীর জীবন। ভাগ্য বদলাতে তারা তখন পাথর, রাইফেল বা রকেট হাতে নেয় কিংবা নিজেকেই বোমা বানায়। বন্দিশালায় শৈশব বলে কিছু থাকে না। তবু সেই শিশুরা বলে না, মা, ''আমাকে তুই আনলি কেন ফিরিয়ে নে'। বোমা-বারুদ আর মৃত্যুর আবহে নারী-পুরুষের মিলন তবু হয়, সন্তানের আশায়। হায় সন্তান! এত জন্মায় তবু কমে যায় জাতির আকার। ধ্বংসপ্রায় ফিলিস্তিনি জাতিকে টেকাতে, অজস্র মৃত্যুর সঙ্গে পাল্লা দিতে তাই আরও আরও জন্ম চাই; শহীদদের শূন্যস্থান ভরাট করার জন্য। তার জন্যই বোধহয় সেখানে তরুণ-তরুণীরা ফিবছর গণবিয়ের অনুষ্ঠান করে। তাদের কেউ বাঁচে কেউ মরে। তখন আরো তরুণ এসে দাঁড়ায়। জন্ম আর মৃত্যুর এ কোন অঙ্ক কষে যাচ্ছে আজ ফিলিস্তিন ও লেবানন! কোনো কালো অক্ষর, কোনো সংখ্যা দিয়ে কি সেই হিসাব নিরূপণ করা যাবে?
ফিলিস্তিনেরই এক সাংবাদিক রামজি বারুদ লিখেছেন, 'তরুণ বয়সে যখন নির্মম ইসরায়েলি দখলদারির মধ্যে বেড়ে উঠছি, তখন আমি ও আমার বন্ধুরা বিশ্বাস করতাম, দখলদারি ও অপমানের একমাত্র নিদান আরবদের জাতীয় সংকল্প। গাজার উদ্বাস্তু শিবিরে ইসরায়েলি কারফিউর মধ্যে হামেশাই এ আশা নিয়ে ঘুমাতে যেতাম যে সম্মিলিত আরব বাহিনী হয়তো রাতের যেকোনো মুহূর্তে সীমান্ত পেরোবে। আমাদের মুক্ত করবে এই গরাদখানা থেকে। তারা আসেনি, আজও না।' এই স্বপ্ন কেবল রামজি বারুদের একার নয়, তাঁর মতোই আরও বেশুমার আরব তরুণের। কিন্তু তারা বড় হতে হতে বুঝলেন, বিষয়গুলো এত সরল আর সাচ্চা নয়। আরব-শাসকদের কেউই সালাদিন নন। বরং উল্টোটা, দু-একজন দলছুট নাসের-আরাফাত দাঁড়ান ঠিকই কিন্তু দখলদারের পয়বন্দ রাজা-বাদশাহরা তাদের ব্যর্থ করে দেন। আরব জনগণ বারবার জাতীয় নেতা ও বীর চেয়েছে কিন্তু পেয়েছে মার্কিন-ইসরায়েলের খয়েরখাঁগিরিতে মত্ত আমির-বাদশা-সুলতান। এবারও তা-ই, যখন গাজায় গোটা বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনি নিধন চলছে, তখনো তারা নীরব। বুশ কী করবেন তা যেকোনো বালকও জানে। ইসরায়েল বরাবরের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্টের পূর্ণ সমর্থনধন্য। তবে ওবামা নীরব থাকেননি। একজন 'উপযুক্ত' মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতোই তিনি বলেছেন, 'আমাদের বুঝতে হবে, ইসরায়েল কেন এটা করতে বাধ্য হয়েছে...ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া করার অধিকার রয়েছে, যদিও একই সঙ্গে তারা বেসামরিক য়তি কমিয়ে রাখায় সচেষ্ট। নিরাপত্তা পরিষদের উচিত পরিষ্কারভাবে এবং এক কণ্ঠে রকেট হামলার নিন্দা করা...তা না করতে পারলে তাদের উচিত চুপ থাকা।'
না, তারা চুপ থাকেনি। কিছু হল্লা-চিল্লার পর নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, আবার ফিলিস্তিনের দায়িত্বে আসীন হামাসের নিন্দাও করেছে। 'নিন্দা' কেবল জাতিসংঘই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নও করে আসছে। তবে সেটা ফিলিস্তিনীদের। যুগের পর যুগ সেখানে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম দীর্ঘমেয়াদি দখলদারি চলছে। আলোকিত ইউরোপ পরোক্ষে তাকে সমর্থনই করে এসেছে। ইসরায়েলের চাহিদামাফিক তারা নির্বাচিত হামাস সরকারকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করেছে। ঠিক ইরাকের মতো করে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে এবং অর্থনৈতিকভাবে ফিলিস্তিনকে অবরুদ্ধ করায় সমর্থন জুগিয়েছে। সুতরাং গাজায় যা চলছে তা একতরফা আগ্রাসন। একে যুদ্ধ বলা কূটনীতি নয়, গণহত্যার উলঙ্গ সমর্থন।
কিন্তু ফিলিস্তিনের জন্য এটা কি নতুন কিছু? সেখানেই প্রশ্ন। এক পূর্বনির্ধারিত ধ্বংসের দিনপঞ্জির পথে নেওয়া হচ্ছে ফিলিস্তিনকে। এর শুরু অসলো চুক্তি থেকে। অনেকেই সেটাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই চুক্তির মাধ্যমেই আরাফাতকে মার্কিন-ইসরায়েলি চাপের কাছে নতি স্বীকার করানো হয়েছিল। এর সুবাদেই ১৯৪৭ সালের সীমানা খোয়াতে খোয়াতে আদি ফিলিস্তিনের মাত্র এক-পঞ্চমাংশের মধ্যে আটকে থাকা জাতিটিকে টুকরো টুকরো করা হয়। তখন থেকেই ফিলিস্তিন হয়ে পড়ে পরস্পরবিচ্ছিন্ন ও অবরুদ্ধ কয়েকটি বস্তি এলাকা। এরপর সেই বস্তিগুলোকে উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলে বানানো হয় বিশ্বের সবথেকে বিরাট বন্দিশালা। অন্যগুলো থেকে পার্থক্য এখানেই যে, আকাশটা কেবল উন্মুক্ত। তার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতিটি নড়াচড়াই হয়ে ওঠে ইসরায়েলি রাইফেল আর বাইনোকুলারের নজরবন্দি। তাই যারা এমনিতেই মুমূর্ষু, তাদের আবার মারার কী কারণ? পরিষ্কার কারণটি এই যে, ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিন বলে কিছু রাখা হবে না।
ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের আদি বাসনা থেকে বিশ্বের একনম্বর ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল এক মুহূর্তের জন্য একচুলও সরে আসেনি। বর্তমানের 'অপারেশন কাস্ট লিড' এরই অংশ। এর প্রাথমিক পরিকল্পনাটি নেওয়া হয় ২০০১ সালে। আর ইসরায়েলি প্রধান দৈনিক হারেতজ-এর গত ২৭ ডিসেম্বর সংখ্যায় লেখা হয়, 'একটি প্রতিরক্ষা সূত্র বলেছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এহুদ বারাক ছয় মাস আগেই এ অভিযানের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। যদিও ইসরায়েল তখন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।' অথচ তারও আগে হামাস একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে এবং গত এক বছরে যাবত অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করে। কিন্তু ঠিক মার্কিন নির্বাচনের দিন, ৪ নভেম্বরে গাজায় বিমান হামলা চলে। বিশ্ব তখন ওবামা নিয়ে ব্যস্ত। তারও আগে থেকে অবরোধ দিয়ে ফিলিস্তিনিদের দুর্ভিক্ষ ও বিনা চিকিতসায় মারার ব্যবস্থা করা হয়। এ রকম অবরোধেই ইরাকে পাঁচ লাখ শিশু মারা গিয়েছিল। তাই ইসরায়েল বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোয় সচেষ্ট, ওবামার এই ভাষণ সত্যভাষণ নয়।
এবারের হামলার উদ্দেশ্য শুধু হামাস বা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ-আন্দোলন নয়, বরং গোটা ফিলিস্তিনিদের মনোবল এমনভাবে ভেঙে ফেলা যাতে তারা হাঁটু গেড়ে বসে প্রাণভিক্ষা চায়। তাদের সম্পদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর সর্বোচ্চ ধ্বংস ঘটিয়ে, তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলে তাদের গণহারে দেশত্যাগে বাধ্য করাই আসল ল্ক্ষ্য। তার জন্যই ফিলিস্তিনীদের শহর-গ্রাম অবরুদ্ধ করে তাদের বিদ্যালয়, হাসপাতাল ও কর্মস্থল অকেজো করা হয়। তাই অপারেশন কাস্ট লিড আসলে ২০০১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন প্রণীত 'ন্যায্য প্রতিহিংসা' বা 'অপারেশন জাস্টিফায়েড ভেনেগ্যান্স'-এরই অংশ। কেবল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ধ্বংসই নয়, সব প্রতিরোধযোদ্ধাকে নিরস্ত্র করা এবং গাজা ও পশ্চিম তীরকে পুনর্দখল করা পর্যন্ত এটা চলবে। এর জন্য কয়েক শ ইসরায়েলির মৃত্যু হলেও (ওয়াশিংটন পোস্ট, ১৯ মার্চ, ২০০২) সর্বাত্মক আক্রমণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং ইয়াসির আরাফাতকে তাড়িয়ে সব যোদ্ধাকে হত্যা করা হবে (জেনস ডিফেন্স জার্নাল, জুলাই ১২, ২০০১)।
এরই অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা আরাফাতকে হত্যার বিল পাস করে। জাতিসংঘ এর নিন্দা করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে তা ঠেকায় এবং আইনটিকে সমর্থন দেয়। মন্ত্রিসভার এক সদস্য মোফাজ বলেন, 'আমরা উপযুক্ত সময় ও সুযোগ বেছে নিয়ে আরাফাতকে হত্যা করব। কিছুদিন পর আরাফাত মারা যান। তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগের লণ দেখা দিয়েছিল। ফিলিস্তিনিরা তো বটেই, অনেক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞও ঘটনাটিকে গুপ্তহত্যা বলে সন্দেহ করে অভিযোগ তুলেছেন। আরাফাতের মৃত্যুর পর একদিকে তাঁর দল ফাতাহ ইসরায়েলিদের হাতের পুতুল বনে যায়, অন্যদিকে হামাস হয়ে ওঠে প্রতিরোধ ও সংকল্পের প্রতীক।
এর পরই শুরু হলো গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ইহুদি বসতি সরিয়ে নেওয়ার ধাপ্পা। কুখ্যাত শাবরা-শাতিলা গণহত্যার নায়ক এরিয়েল শ্যারন হঠাত ফিলিস্তিনি দরদি সাজেন। এবং বলেন, 'ভবিষ্যতে যাতে গাজায় কোনো ইহুদি না থাকে, সেই ল্েয আমি এই কর্মসূচি নিয়েছি (সিবিএস, মার্চ ২০০৪)। এখন বোঝা যাচ্ছে, সর্বাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়ে গাজা থেকে প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে নির্বাসনে পাঠানোর খাতিরেই শ্যারণ ওই 'শান্তিবাদী' কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। সাত হাজার ইহুদিকে সরিয়ে নিয়ে এভাবে ১৫ লাখ গাজাবাসীকে 'শান্তি' দেওয়া হয়। সেই শান্তিই এখন বর্ষণ করছে ইসরায়েলের এফ-১৬ বিমান আর আর্মারড ট্যাংকগুলো। যা ইসরায়েলের 'শান্তি' তাতেই আরবদের 'ধ্বংস'। বলা বাহুল্য, সেটাই আমেরিকার 'শান্তির রোডম্যাপ', বুশের উত্তরসূরি ওবামা হবেন তারই আখেরি বাস্তবায়ক।
ফিলিস্তিনিদের সহ্যের শেষ সীমায় ঠেলে নিয়ে গিয়ে উসকিয়ে কয়েকটা রকেট ছোড়াতে পারাও সেই মারণাত্মক পরিকল্পনারই অংশ। জল্লাদেরা সাধারণত কপট হয় না। ইসরায়েলের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী 'ৎজিপি লিভনি খোলাখুলিই বলেছেন, 'হামাসের ধ্বংসই আমাদের লক্ষ্য (ঠিক যেভাবে তাঁর পূর্বসূরীরা বলেছিল, হিজবুল্লাহর ধ্বংসই তাদের লক্ষ্য) কাসাম রকেট তার অছিলা তৈরি করে দিয়েছে।' মোসাদের সাবেক এই গুপ্তঘাতক এবং ইরাকের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলাসহ বেশ কটি নাশকতার এই নায়িকাই হতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের ভাবী প্রধানমন্ত্রী।
হামাস লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইসরায়েলকে আরেকটি পরাজয়ের স্বাদ দিতে পারবে কি না তা এখনো দেখার অপো। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে ফিলিস্তিনিরা হার মানবে না। ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আগ্রাসন চললেও এ রকম অনেক গণহত্যা ও ধ্বংস তারা পেরিয়ে এসেছে। এবং এ বিষয়েও নিশ্চিত, যে পাশ্চাত্য ইহুদি গণহত্যা ঘটিয়েছিল, যারা উপনিবেশবাদ কায়েমের পথে অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ও দণি আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ায় কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছিল, যারা হিরোশিমায় এক লহমায় কয়েক লাখ মানুষের জীবন নিয়েছিল, দেশে দেশে যারা স্বৈরশাসকদের গণহত্যায় মদদ জুগিয়ে আসছে, ফিলিস্তিনি শিশু-নারী-বৃদ্ধসহ অসংখ্য নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে সেই পাশ্চাত্যের গায়ের একটি রোমও কেঁপে উঠবে না। ইরাকে কাঁপেনি, আফগানিস্তানে কাঁপেনি, লেবানন-ফিলিস্তিনেও তার ব্যতিক্রম হবে না। আজ মিসর-সৌদি আরবসহ বেশির ভাগ আরব-শাসক যোগ দিয়েছে তাদেরই শিবিরে। এমনকি দুর্বল গাদ্দাফিও এই সব শাসককে কাপুরুষ বলতে দ্বিধা করেননি। অথচ আরবরা এক হলে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের জন্যই শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হতে পারতো। এখনো যদি তারা তা বুঝে থাকে, তবে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ বুমেরাং হয়ে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুদ্ধে হয়ে তাদের খাবে। আলবাত।
এই লেখাটা যতক্ষণে পড়বেন ততণে আরও শখানেক বা আরও বেশি ফিলিস্তিনির নৃশংস মৃত্যু ঘটবে। তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে শেক্সপিয়রের মার্চেন্ট অব ভেনিস নাটকের ইহুদি চরিত্রটির জায়গায় আজকের একজন ফিলিস্তিনিকে বসিয়ে দেখতে পারি। সেই ফিলিস্তিনীও হয়তো সেইসময়ের এক নির্যাতিত ইহুদির মতো করে বলবে:
আমি একজন ফিলিস্তিনি। একজন ফিলিস্তিনিদের কি চোখ নেই? নেই হাত, অঙ্গ, ভাব, অনুভূতি, বোধ ও ভালোবাসা? তুমি আমি একই খাবার খাই, আহত হই একই অস্ত্রে। একই অসুখে আমরা ভুগি এবং সেরে উঠি একই ওষুধে। ইহুদিদের মতোই একই শীত ও গ্রীষ্ম আমাদেরও ওম দেয় আর ঠান্ডায় কাঁপায়। তুমি যদি খোঁচাও, আমার কি রক্ত ঝরে না? তুমি যদি কৌতুক করো, আমি কি হাসি না? এবং তুমি যদি অন্যায় কর, আমি কি তার প্রতিশোধ নেব না? সবকিছুতেই যদি আমরা তোমাদের মতোই হই, তাহলে তুমি যা আমার প্রতি করছ; আমিও তা-ই করব। হয়তো তা হবে তোমার থেকেও কঠিন, কারণ আমি তো তোমার কাছ থেকেই শিখছি।
পুনশ্চ:
ইয়াসির আরাফাতকে কি হত্যা করা হয়েছিল?
বিতর্ক: খাঁচার পাখি উড়তে ভুলে যায়নি তো?
মন্তব্য
The tale of Israel can be very much compared to someone who was beaten, tortured, molested and raped as a boy by his family members. You don't expect someone like that to grow up to be "normal". The founding of the state of Israel right after the holocaust was a big mistake. The boy grew up, learned martial arts, amassed weapons and became extremely aggressive towards his surroundings, seeing the ghosts of his tormentors in every face that he sees around him. Now he is channeling his childhood pain towards inflicting the same pain upon others. Desensitized to human sufferings, he is now capable of enormous acts of cruelty.
http://www.reddit.com/r/worldnews/comments/7m6m4/today_i_end_my_support_of_israel/647s
খুবই মর্মস্পর্শি বর্ণনা সন্দেহ নেই। এবং একপেশেও বটে। ইসরায়েলি পক্ষের যুক্তিও জানতে চাই। যদিও আমি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনী সমস্যাকে একান্তই আরব-ইসরাইয়েল-ফিলিস্তিনী-আমেরিকা-র সমস্যা হিসেবে দেখি।যেকোন হামলা-কেই সমর্থন করি না, সে ইসরায়েল করুক আর হামাস করুক।
ইসরাইলের পক্ষের যুক্তি আপনিই দিন না, যেহুতু একপেশে বলছেন।
নিজ জন্মভূমি রক্ষার জন্য হলেও?
নিরপরাধ কাউকেই মেরে ফেলা সমর্থন করিনা।
ইসরাইলের পক্ষেও নিশ্চয় যুক্তি আছে এবং সেটি জানতে চাইছি।আলোচনা হ লে দু-পিঠ-ই আলোচনা হওয়া উচিত।
যুদ্ধে মানুষ হত্যার সময় কি অপরাধী নিরাপরাধী বিবেচনা করা হয়? আপনি বলতে পারেন নিরস্ত্র/বেসামরিক মানুষকে হত্যা সমর্থন করি না। ইসরাইলে সামরিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক, সে যুক্তিতে কোন ইসরায়েলি 'বেসামরিক' নয়। আপনার ঘর-জমি দখল করে দিল কুতুবদ্দিন, তারপর আমি সেখানে নতুন বাড়ী বানালাম। আপনি নিশ্চয় আমায় আদরে রাখবেন!
আপনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের ইতিহাস না জেনে এখানে মন্তব্য করেছেন সেটা বিশ্বাস করতে বলছেন? আপনি ব্যতিত আর কেউ কিন্তু ইসরাইলি পক্ষের যুক্তি শোনার জন্য উদগ্রীব না। সেজন্যই বলছিলাম, আপনিই শুরু করুন।
অবশ্যই জানি।এবং বাংলাদেশে বসে কখনো জানতে পারি নি।
যেটুকু জেনেছি তা বিদেশে-ই।কারনটাও নিশ্শ্চয়ই জানেন।
আপনাকে একটি প্রশ্ন “কেনো আমরা আরব-ইসরায়েল-ফিলিত্তিন সমস্যা নিয়ে এত মাথা ঘামাই? ঘরের কাছের প্রায়ই একই ধাচের তামিল-সিংহলি সমস্যা নিয়ে ততোটা মাথা ঘামাই না?”
আমার তো মনে হয়, বাংলাদেশের ইসরায়েল-কে সমরত্থন দেয়া উচিত......তাতে বাংলাদেশের-ই লাভ।
আমাদের আর কী কী করা উচিত তার একটা লিস্ট সহ ইসরাইলকে সমর্থন দিলে বাংলাদেশের লাভ কিভাবে হবে বিস্তারিত লিখবেন আশা করছি।
শুধুমাত্র মুসলমান বলেই ইসরায়েল-ফিলিত্তিন সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাব এমনটা মেনে নেয়া মুস্কিল হলেও বাস্তবতা। শুধুমাত্র মুসলমান বলেই ফিলিত্তিন-কে অন্ধ সমর্থন দিয়া কে কনোভাবেই উচিত নয়। ইসরায়েল-ফিলিত্তিন সমস্যা/ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা একটি রাজনৈতিক সমস্যা।
আর, কেন ইসরাইলকে সমর্থন দিলে বাংলাদেশের লাভ তা এই লিঙ্ককে দেখে নিন।
<ভারত-ইসরায়েল রিলেইশান>http://en.wikipedia.org/wiki/India-Israel_relations
ঠিক বলেছেন, একাত্তরে পাকিস্তানিদেরও অনেক 'অকাট্য' যুক্তি ছিল।
@ রয়, আপনি কি বলবেন তা আসলেই জানা। সেজন্যেই নিচের লিংকগুলো দিয়েছি। দয়া করে এটা পড়েন: খাঁচার পাখি উড়তে ভুলে যায়নি তো?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ইসরায়েলের আত্মরক্ষার নীতিই হলো প্রতিবেশীদের সন্ত্রস্ত করে রাখা। কারণ ইসরায়েলের সাইকির মধ্যেই একটা বিকৃতি ঢুকে পড়েছে হলোকস্টের পর। যে বিভীষিকা ইহুদিদের সহ্য করতে হয়েছিল তা তাদের মনে নিরন্তর ধ্বংস ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে। আতঙ্কিত লোকই উন্মত্তের মতো আচরণ করে। সেকারণে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে নিরন্তর আক্রমণ, ষড়যন্ত্র, অনুপ্রবেশ তার নিয়মিত কর্ম। লেবানন ও ফিলিস্তিনে তাদের অভিযান সবসময়ই প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যভাবে চলেছে।
অন্যদিকে পুঁজিবাদ আজ যুদ্ধ আগ্রাসন ছাড়া কিছুতেই চলতে পারে না। দাপট দিয়ে বাজারকে নিজের অনুকূলে সাজানো, আগ্রাসন দিয়ে রিসোর্স দখল করা, ক্যু ও প্রতিবিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোকে মদদ দিয়ে জনপ্রিয় আন্দোলন ঠেকানো ছাড়া তার রাজত্ব চলে না। ইসরায়েলের বিপুল বিনিয়োগ মিসর-জর্ডান-আমিরাতের মতো রাষ্ট্রগুলোতে আছে। আছে অন্য নামে। বাংলাদেশেও তার ব্যাত্যয় নয়। যাহোক পুঁজির আধিপত্য, বর্ণবাদী ও ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী প্রবণতার সঙ্গে জোট বাঁধবেই। এসবের মিলিত ফল হলো ইসরায়েল। ইসরায়েল সে অর্থে অবক্ষয়ী পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের আদর্শ নমুনা।
রয়, আপনি যদি বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরার ইংরাজি সংস্করণ সহ বিশ্বের মূল ধারার মিডিয়া দেখে থাকেন, তো ইসরায়েলি পক্ষের যুক্তিতে আপনি এমনিতেই ভরপুর হয়ে আছেন। এর বেশি দিলে উপচে পড়বে যে!
...........................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
অসাধারণ লেখা ভাইয়া! আল্লাহ আর কত সয্য করবে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আল্লার গায়ের চামড়া বহুত মোটা! দেখুন নীচের ম্যাপখানা, দেখলেই বুঝবেন দুনিয়ায় কেমনে কি হয়!
Landmap of Israel & Palestine
হুম মুমু, সহ্য করা যায় কিন্তু প্রতিবাদ করা কঠিন।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
স্বর্গের দরজায় আজ এত বেশী ভিড়,
(তাই)
ঈশ্বর ব্যস্ত বুঝি হুরী বন্টনে।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বড়ো মোড়লরা পাশে না দাঁড়ালে হামাস একাই ইসরায়েলের দর্প চূর্ণ করে দিতে পারত। কিন্তু মুশকিল তো ওই শূয়োরের বাচ্চারাই। এরা শান্তির গান গেয়ে পাখির মতো মানুষ মারে। যেন মানুষ মারা কোনো বীরত্ব!!!
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
বড় মোড়লদের বিরোধিতার মুখেও তো ল্যাটিন আমেরিকা স্বাধীনতার পথে যাচ্ছে। কিউবা পঞ্চাশ বছর টিকে আছে। ফিলিস্তিনের দুর্ভাগ্যের জন্য পরগাছা আরব শেখদের দায় সবচেয়ে বেশি। কতবার ফিলিস্তিনকে যে তারা বিক্রি করেছে তার ইয়ত্তা নাই।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সহমত।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মাহমুদ আব্বাস একটা কথা বলতেন (আরাফাতের আমলে):
উই আর দি জিউস অফ জিউস- আমরা ইয়াহুদিদের ইয়াহুদি।
এখন তিনি হয়েছেন ফিলিস্তিনিদের ইহুদি। ব্যাটা একটা রাজাকার।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
খবরটা শুরু থেকে ফলো করিনি তাই জানি না, হামাসের এবারকার রকেট ছোঁড়ার কারণ কি ছিলো?
ঈশ্বরের মতোই নিজের গায়ের চামড়া যথেষ্ট পুরু করে না ফেললে এই পৃথিবীতে বাস করা সম্ভব না!!
ইজ্রায়েলী মারা যায় চারজন, আর প্যালেষ্টিনীয়রা? কি অসম, অন্যায় একটা লড়াই ... !
সেটাই আমি বলছি। যেদিন আমরা হজরত ওবামা (আঃ) এর উত্থান নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, সেদিন অর্থাত মার্কিন নির্বাচনের দিন ইসরায়েল মওকা বুঝে গাজায় হামলা চালায়। তার আগের প্রায় একটি বছর গাজাকে সকলরকম ভাবে অবরূদ্ধ করে রাখে। সব সীমান্ত বন্ধ। খাদ্য সরবরাহ, তেল, মেডিকেল সরঞ্জাম সব আসা বন্ধ করে। এর আগেও এরকম হয়েছিল কিন্তু হামাস তার চ্যারিটি দিয়ে টেকাত। কিন্তু ২০০৩ থেকে ইইউ সেখানেও নিষেধাজ্ঞা দেয়। আরবরাও টাকা দেয়া বন্ধ করে। মিসর-জর্ডান তার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। সবাই এজায়গায় একমত, আরবে সব থেকে ভাল নির্বাচনে বিজয়ী একদা ইসলামিস্ট এখনকার জাতীয়তাবাদী হামাসকে ধ্বংস করা। মাহমুদ আব্বাসও একাজে ইসরয়েলিদের বন্ধু। তার সহযোগিতায়ই এর আগে ফিলিস্তিন সরকারের কর্মচারিদের বেতনের টাকা ইসরায়েল জব্দ করে।
যাহোক, এরকম অবস্থার চরমে অব্যাহত হামলার মুখে হামাস রকেট ছোঁড়া শুরু করে। সেটাকেই উসিলা করে ঢোকে আইডিএফ। আমার কাছে এ প্রশ্ন অবান্তর নয় শুধু, চক্রান্তমূলকও যে, কে আগে হামলা করেছিল। একটি দাসত্বে, গণহত্যায় নিরন্তর আটকে থাকা জাতির তো উচিত সর্বক্ষণই পাল্টা আক্রমণ চালানো। সেটা হামাস করে নাই। তারপরও পশ্চিমা মিডিয়া তাকে সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করে। যাহোক, আর কত বলা যায়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমি বলছি, হামাসের এবারের বা লেবানন আক্রমণের সময়কার ইসরায়েলি সৈন্য আটক, দুবারই তারা ওটা করেছে একটা আক্রমণাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে। প্রথম বার হামাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে মোসাদ হত্যা করে, গাজায় ঢুকে চুক্তি লঙ্ঘন করে আটক করে তাদের নেতা-কর্মীদের। আর এবারেরটা ঘটেছে লাগাতার নিশ্চিদ্র অবরোধ, যেখানে কোথাও কিচ্ছুটি নেই যে মানুষ খেয়ে বাঁচে বা খেয়ে মরে। না বিদ্যুৎ, না পানি, না রুটি। টাকা আসার পথ বন্ধ। হাসপাতালে ওষুধ নাই। সেরকম অবস্থায়ও ইসারয়েল ক্ষান্ত হয়নি। সেখানে বিমান হামলা করে যেতে থাকে। তখন তারা রকেট ছোঁড়ে।
দেখুন, এই যে আমরা প্রায়শই ইসারয়েলের পক্ষের যুক্তি ও তথ্য আগে জানি আর অন্যটা প্রায়শই জানিই না, সেটাকে আপনার মিডিয়া-যুদ্দের অংশ মনে হয় না? ওই কাজে ইহুদি মিডিয়া লবি সিদ্ধহস্ত।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আর, আমেরিকার মিডিয়া নিয়ে নতুন করে বলার কিছু তো নেই!! বাংলাদেশে এর চাইতে অনেক, অনেক বেশী আন্তর্জাতিক খবর মিডিয়াতে পরিবেশন করা হয়।
গুটিকয় সংবাদ সংস্থা ছাড়া এই মিডিয়া-যুদ্ধ/একপেশে প্রচার/ চোখের চামড়াবিহীন আচরণ, এসবও তো চলছেই। নতুন নয় মোটেই।
আমি জানতাম না যে ওরকম অবরোধ করে তারপর আবার বিমান হামলা চালাচ্ছিলো!!!
তার চাইতে, একবারে মেরে ফেললেই পারে ?!
http://cgis.jpost.com/Blogs/dershowitz/entry/israel_s_actions_are_lawful
যুক্তির কত ব্যবহারই না করেছেন এই ব্লগার !
খুবই হাস্যকর!!!
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই ব্লগারের কথাগুলোকে সমর্থন করে এরকম হাজারটা লিস্ট আপনি গুগল করলেই পেয়ে যাবেন। এভাবে একটা লিঙ্ক দিয়ে, একটা আর্টিকেল পড়ে কারো লেখাকে উড়িয়ে না দেয়াই ভাল। আপনার কাছ থেকে এ ব্যপারে একটা আপনার মতামতের উপর একটা পূর্ণাংগ পোস্ট আশা করছি
ফিলিস্তিনিদের এই অবস্থার পেছনে হামাস অনেকাংশে দায়ী। গত আট বছরে তারা ৪ হাজারেরও বেশী করে রকেট আর মর্টার ইজরায়েলের বেসামরিক এলাকায় ফেলেছে। তারা যদি সংগঠিতভাবে ইজরায়েলী সামরিক স্থাপনা বা আর্মির উপর হামলা করত তাহলে ব্যাপরটা বেশী যৌক্তিক হোত না? যদিও ইজরায়েলের বেশী লোক মরে নি, কিন্তু তাদের সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার কথা বলে এটিকেই ইজরায়েল বর্তমান অভিযানের কারন হিসেবে বলছে।
ইজরায়েলীরা তক্কে তক্কে ছিল হামাস এই ভুলগুলো করুক। অথবা হয়তা তারাই মর্টার হামলাতে উস্কে দিচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণও স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা কখনই নির্পরাধ টার্গেটের উপর গণহারে মর্টার শেল বা বোমা মারেনি। এমনকি বিহারী অধ্যুষিত এলাকায়ও নয় (আত্মরক্ষার কারন ছাড়া)।
কাজেই হামাসের এই বোমা মারার নীতি এখন ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামকে কলুষিত করে দিচ্ছে।
তবে ইজরায়েলের এই হামলা ও গণহত্যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। বেসরকারী নিরপরাধ লোকের উপর বোমা হামলার বদলা নিতে বোমা মেরে শিশু হত্যা কোন সমরনীতিতেই পরে না।
আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে ইজরায়েরে এখন নির্বাচনের সময়। এই হামলার পেছনে রাজনৈতিক কারনও রয়েছে কারন দেখা গেছে পুর্বের নির্বাচনের সময়ও এরকম অভিযান চালানো হয়েছিল - এ হচ্ছে ভোট পাবার জন্যে ইজরায়েলী জনগণের মধ্যে আতন্ক ঢোকানোর চেষ্টা।
আপনারা এ নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেসের বিশেষ কাভারেজ পাতার পোস্টগুলো পড়তে যেখানে ফিলিস্তিনি ও ইজরায়েলী ব্লগাররা এ নিয়ে তাদের প্রত্যক্ষ্যদর্শী রিপোর্ট ও দৃষ্টিভঙ্গী জানাচ্ছেন। বাংলায় যারা পড়তে চান -গ্লোবাল ভয়েসেস বাংলায় বেশ কিছু আর্টিকেল বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে -সেগুলোও পড়তে পারেন।
বিশ্বব্যাপী ইজরায়েলী হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে।
এই ইজরায়েলী যুবকের কথাই ধরুন যে তার সরকারের অভিযানের সমালোচনা করে বলছে আমি যদি আজ একজন ফিলিস্তিনি হতাম তাহলে আমি ইজরায়েলীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতাম, এমন কি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েও। কাজেই ইজরায়েলের বর্তমান অভিযান আরও কিছু সুইসাইড বোম্বার আর সন্ত্রাসীদের সৃষ্টি করবে।
আরও কিছু ব্লগের লিন্ক রইল এখানে:
এন্থনী লোয়েনস্টাইন
ফিলিস্তিনি ব্লগার হাইতাম সাব্বাহ
দ্যা অবজার্ভার্স
(উপরের গ্রাফ এই রিপোর্ট থেকে গৃহীত)
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
হামাসকে বিচার করবার দুটো দিক আছে। একটা আদর্শগত আরেকটা রণকৌশলগত। আর আছে ইতিহাস।
প্রথমত, হামাসকে প্রশ্রয় দিয়েছিল ইসরায়েল নিজেই। যাতে সেকুলার জাতীয়তাবাদী পিএলও-র প্রতিদ্বন্দ্বী সৃষ্টি করা যায়। সুতরাং একদিকে পিএলও দিনে দিনে আপসের লাইনে গিয়েছে অন্যদিকে তাকে পুঁজি করে হামাস জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু হামাস ইসরায়েলের খেলার পুতুল হয়ে থাকেনি। তারা নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় ও প্রতিরোধ কৌশল নির্মাণ করেছে। এমনকি দিনে দিনে তারা তাদের ধর্মীয় মতাদর্শের ঝোঁক থেকেও সরে এসেছে। যতই তারা জনপ্রিয় হয়েছে ততই ধর্মবাদী থেকে জাতীয়তাবাদী হয়েছে। হিজবুল্লাহর বেলাতেও তাই। এখান থেকে শিক্ষণীয় একটাই যে, জাতীয় আন্দোলনকে আদর্শের গোঁ ধরার থেকে জনগণের স্বার্থের রজ্জু ধরে থাকতে হয়।
হামাস নিয়ে অনেক ভাল লেখা আছে, আপাতত এটা দেখুন। এছাড়া লা মঁদের দুইয়েক সংখ্যা আগেও একটা ভাল লেখা ছিল।
এবারের ঘটনা নিয়ে চমৎকার এ লেখাটি লিখেছেন ইসরায়েলের শান্তিবাদী এমপি, একটি দলের নেতা ও আরাফাতের বন্ধু ইউরি অ্যাভনরির এ লেখাটি। তিনি আমার প্রিয় বিশ্লেষকদের একজন।
এবার কৌশলগত দিকটি নিয়ে কথা বলি। তার আগে একটি বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করতে হবে। আপনার মতো উপাত্ত এখন দিতে পারবো না। সেই সময়ও নাই। তবে জিনিষটাকে উল্টে নিয়েও দেখা যায় যুক্তির নিয়মে। মর্টার মেরেছে বলে মার খেয়েছে বেশি, নাকি মার খায় বলে মর্টার মারে বেশি? আপনি ঘটনাটাকে ইতিহাসের বাইরে নিছক সারণি দিয়ে বুঝতে চাওয়াতেই বিপত্তি ঘটছে। গত এক দশকে বিচ্ছিন্ন দুটো একটা ঘটনা ছাড়া (যেমন গত বছরে তেল আবিবের আত্মঘাতী হামলা। বলা হয় ওটা হামাসের কাজ। কিন্তু হামাস দাবি করেছে যারা করেছে তারা তাদের সদস্য নয়। ) এমন উদাহরণ দেখাতে পারবেন যে, যেখানে হামাস আগে গুলি বা রকেট ছুঁড়েছে? যদিও আমি মনে করি,ফিলিস্তিনীদের তাদের দেশকে মুক্ত করা ও আত্মরক্ষার অধিকার অ্যাবসলিউট। কিন্তু কৌশলগত কারণে তার চর্চা উচিত নয়, সামর্থ্যের জন্য সম্ভবও নয়। প্রতিবারই ক্রমাগত হামলার মুখে তারা প্রতিক্রিয়া করেছে। ইসরায়েল নিরন্তর তাদের জনগণ, নের্তৃত্ব, ও স্বার্থকে গুপ্তহত্যা, অবরোধ, আগ্রাসনসহ হাজারটা পথে আঘাত করছে। কিন্তু যেবারই তারা কড়া জবাব দিতে পেরেছে, সেবারই তার হার লাঘব করতে পেরেছে।
আরাফাত শেষ জীবনে শান্তির পথে গিয়েছিলেন, তার ফল ফলেছে অসলোর কলাগাছে। ফিলিস্তিনের কোন সংগ্রামটাকে আপনার বিশুদ্ধ মনে হয় জানলে আলোচনাটাকে এগিয়ে নেয়া যেত।
মুক্তিযোদ্ধাদের বাস্তবতা আর আজকের ফিলিস্তিনের বাস্তবতায় আকাশপাতাল তফাত। নিজ দেশে তারা দিনে দিনে সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছে। দেশটা তাদের কাছে বন্দিশালা। যেখানেই আঘাত করুক তারা সেটা সেই বন্দিশালার দেয়ালেই আঘাত। কারণ ইসরায়েল তাদের দশদিকেই হানা দিয়ে বসে আছে। মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের আশ্রয় পেয়েছে, দেশের ভেতর বিরাট বিচরণক্ষেত্র পেয়েছে। সর্বোপরি জনসংখ্যায় ভারি শত্রুমহল তখন বাংলাদেশে ছিল না।
আর পরাশক্তির হামলার মুখে রকেট ছোঁড়াই যদি অগত্যা হয়, সেটাই ভাল। তা নিরীহ মানুষের ওপর পড়ছে সেটা কে বলল আপনাকে? আপনি আমার বাড়ি-গ্রাম-ক্ষেতসহ সর্বস্ব দখল করে বসে থাকবেন, তারপর আমাকে মারতে থাকবেন শেষ মানুষটি পর্যন্ত; আর আমি যদি দখলদার বসতিতে হামলা করি তো বলবেন, সন্ত্রাসী। আজব তো? আমি একজনও বেসামরিক_কথাটা হবে বেসামরিক_ মানুষের ক্ষতি চাই না। কিন্তু ওই বাস্তবতায় কী করণীয়। কোন সমাধানটা ইসরায়েল মানতে রাজি, ওয়ান স্টেট সলিউশন, টু স্টেট সলিউশন?ইসরায়েল চায় অ্যানিহিলেশন, সেটা ওপরের ব্যাখ্যা করেছি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমি বিশুদ্ধ সঠিক অবস্থান নিতে না পারলেও ক্ষতি নাই, কারণ জগতে নাই কোনো বিশুদ্ধ পরিস্থিতি। আমার মেসেজটা এই যে, ফিলিস্তিনের দুর্ভাগ্যকে মেনে না নেয়ার থেকে স্থিতাবস্থা মেনে নেয়াটা কেন বেশি সহনীয়।
কিন্তু রেজওয়ান, আপনি কিন্তু ফিলিস্তিনীদের হয়ে একটা বাক্যও খরচ করেননি, এটা চোখে লাগলো।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমরা সবাই নিশ্চয়ই ফিলিস্তিনিদের কষ্ট বুঝেই কথাগুলো বলছি। এবং সবার লক্ষই তাদের অধিকার পূন:প্রতিষ্ঠা করা ও সে স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
কিন্তু এখানে পদ্ধতিটি নিয়েই যত বিতর্ক এবং একে নিয়ে যতসব রাজনীতিই আমাদের আলোচ্য। আমি শুধু আলোচনায় একটি মাত্রা যোগ করতেই মন্তব্য করেছি, আমার অবস্থান জানানোর সুযোগ পাইনি। কাজেই সেটা নিয়ে তথ্যের অভাবে কিছু অনুমান না করে নিতেই অনুরোধ করব।
এটি একটি ব্যাপক বিতর্কের বিষয়। আরাফাত ও পিওলও এক সময় সশস্ত্র সংগ্রাম করলেও পরবর্তীতে ডিপ্লোমেসীর দিকেই এগিয়েছে। ইজরায়েলের সাথে ফিলিস্তিনিদের সহাবস্থান হবে না কি একে অপরের ধ্বংস চাইবে এনিয়ে দুপক্ষেই ব্যাপক মতামত আছে। আমাদেরতো বর্তমান বাস্তবতায় বিষয়টি দেখতে হবে। আমার মনে হয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে ফিলিস্তিনি জনগণের উপরই ভারটি ছেড়ে দেয়া উচিৎ। আমাদের উচিৎ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে এবং শান্তির জন্যে ক্ষেত্রটি তৈরি করা। এবং ইজরায়েলের অতিদ্রুত গণহত্যা ও নীপিড়ন বন্ধ করা উচিৎ।
আমাদের সুযোগ হয়না মিডিয়ার একপেশে দৃষ্টিভঙ্গীর আড়ালে অন্য পক্ষের কথাও শোনা। আমরা কোন সরকারের কোন অপরাধ অপকর্মকে দিয়ে সারা জাতিকে বিচার করি। আমাদের ঘৃণার বিষ ঢেলে দেই সাধারণ জনগণের উপরও এবং কল্পনা করি একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেব (সেটা কতটা মানবিক?)। জার্মানী-ফ্রান্সের সংস্কৃতি চ্যানেল আর্টে একটি ভিডিও প্রকল্প হাতে নিয়েছিল যারা প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি ও ইজরায়েলী উভয় সীমান্তের ৬জন করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে উভয় পাশের জীবনযাত্রার মধ্যে পার্থক্যের চেয়ে সাদৃশ্যই বেশী। উভয় দিকের মানুষেরই আশা, স্বপ্ন এবং উদ্বেগ রয়েছে।
অবাক হলাম আপনি ব্যাপারটি জানেন না দেখে। এখানে হিউমান রাইটস ওয়াচের একটি রিপোর্টের অংশ:
Israel/Hamas: Civilians Must Not Be Targets
Rocket attacks on Israeli towns by Hamas and other Palestinian armed groups that do not discriminate between civilians and military targets violate the laws of war, while a rising number of the hundreds of Israeli bombings in Gaza since December 27, 2008, appear to be unlawful attacks causing civilian casualties. Additionally, Israel's severe limitations on the movement of non-military goods and people into and out of Gaza, including fuel and medical supplies, constitutes collective punishment, also in violation of the laws of war.
"Firing rockets into civilian areas with the intent to harm and terrorize Israelis has no justification whatsoever, regardless of Israel's actions in Gaza,"
ইজরায়েলের অভিযান শুরুর আগে হামাস কি করে উস্কিয়েছিল:
Israeli Towns Under Siege from Hamas Rockets - এখানে দেখা যায় তারা ইজরায়েলী স্কুলে রকেট মেরেছে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
গত কিছুদিন ধরে অপ্রত্যাশিত মূল্যহ্রাসের পর এখনই খবরে দেখলাম তেলের দাম বেড়েছে ৩'৯%।
আল কায়দা'র হাতে নিহত সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লের বাবা (ইহুদী) জুদেয়া পার্ল এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ এর চেয়ার আকবর আহমেদের ইন্টারভিউ দেখলাম। জুদেয়া পার্ল যে ঢালাওভাবে প্যালেস্টিনীয়দের বা মুসলিমদের দোষারোপ করেননি সেটা ভালো লাগলো। যদিও, ইজরায়েল কর্তৃক নিপীড়ন নিয়ে অবশ্য কিছুই বলেননি। দুজনেই দুই প্রতিবেশীকে কোন একটা সমঝোতায় এসে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য বলছেন।
শান্তিচাই আমরা সবাই।
কিন্তু সুদুর ভবিষ্যতেও কোন ধরণের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভবনা দেখিনা। আমারই হয়তো দূরদ্রৃষ্টির অভাব। আসলে শক্তির এত পার্থক্য থাকলে চুক্তি কে করতে যাবে? আমি যখন জানি যে পরের চালে জিতে যাবো আমি কেন 'স্টেল মেট' এর অফারে রাজি হব? প্যালেস্টাইন ইসারায়েল ভুখন্ড এত বেশি মিলেমিশে না গেলে ইসরাইল এতোদিনে কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল, নিউক্লিয়ার উইপন এসব কেমনে প্যালেস্টাইনীদের টাইট দিতে ব্যবহার করতে হয় সেটা হাতে কলমে দেখিয়ে দিত। ইসরায়েলীদের (গনতন্ত্রে নেতাদের দায় জনগনের উপরই বর্তায়) মানবিক গুনাবলী নিয়ে এতটা আশা করতে পারিনা যে তারা বহু বহু গুনে দূর্বল ফিলিস্তিনিদের সাথে চুক্তি করে সেইটা মেনে চলবে। তাই চুক্তি করে শান্তির সম্ভবনা দূরাশা; অন্তত কোন শক্তিশালী পক্ষ সেচ্ছায় ফিলিস্তিনিদের দায়িত্ব (কে নিবে?এই পুজিবাদি বিশ্বে কেন?) না নিলে।
ব্যপারটা কতটা প্রাসঙ্গিক জানিনা। তবুও না বলে থাকতে পারছিনা-
তেলের দাম হুঠ করে বেড়ে গেল নাকি?! হা হা হা।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্রাসঙ্গিকই তো। তেলের দাম যেভাবে কমছিলো তাতে তো সব্বাই হতভম্ব! এখন দেখলাম, সাপ্লায়াররা নাকি দাম বাড়ায় চিন্তিত!
প্রথমেই ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় সমবেদনা জানাই। কিন্তু আমি দোষ মূলত আমেরিকাকেই দিই। ১৯৪৭ সালের পার্টিশন (?) এমনই একটা প্রস্তাব (দখলদারিত্বের সরকারী তকমা) ছিল যার নিশ্চিত পরিণতি ছিল উভয়ের মধ্যে কোনো এক জাতির বিলুপ্তি - ইজরায়েলী বা ফিলিস্তিনি। কারণ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া একে অন্যের পেছনে পেছনে আসে। মূলত বিজাতীয় এক দখলদার জাতি বনাম দেশীয় জাতি। ইতিহাসে এই লড়াই আগেও হয়েছে - কোথাও দখলদার (আমেরিকা) জয়ী হয়েছে কোথাও ভূমিপুত্ররা (স্পেন)।
তাই ৪৭ এর পরে প্রথম ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, তার পরে আরব দেশগুলো থেকে ইহুদী বিতাড়ন, আবার ১৯৬৭-এর ছয় দিনের যুদ্ধ, ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরে জর্ডনের সেনাদের প্যালেস্টাইনিদের উৎখাত, অলিম্পিক চলাকালে ইজরায়েলী অ্যাথলিটদের হত্যা, ইয়ম কিপুর যুদ্ধ, ওসলো শান্তিচুক্তি ... সবই একের পরে এক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া।
প্রথমদিকে যুদ্ধে উভয়দিকই ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হত, কিন্তু দিন গেছে ইসরায়েল আধুনিক গবেষণায় পারদর্শী হয়ে অনেক ভাল ভাল মারণাস্ত্র (অ্যান্টি মিসাইল ডিফেন্সও) বানিয়ে ফেলেছে, যা ফিলিস্তিনীদের হাতে আসেনি। তাই এখন যুদ্ধ এক-তরফা হয়ে গেছে কিন্তু ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ইগোটা কমেনি।
অনেকে এর জন্য আরব দেশগুলোকে দোষ দেন। কিন্তু সব আরব দেশগুলো মিলেও ইসরায়েলের সাথে পেরে উঠবে না। ১৯৬৭র যুদ্ধের পরে তেলকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকা ইজরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করলে তাদের নিজেদের সৃষ্টি ১৯৪৭ এর পার্টিশনকে ভুল বলে মেনে নিতে হবে। তার ওপর দেশের ইহুদী-লবি তো আছেই। আমেরিকা ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো দেশ ইসরায়েলের যুদ্ধ থামাবার ক্ষমতা রাখে বলে মনে হয়না। আমি জানি না কেন ইসরায়েল হিজবুল্লার কাছে ২০০৬এর যুদ্ধে হেরে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে - হিজবুল্লা ওই ঘটনার পরে তো আর ইজরায়েলকে ঘাঁটায়নি, রকেটও ছোঁড়েনি। ইজরায়েলের জেলে আটক হিজবুল্লার লেবানিজরা ছাড়াও পায়নি। তাই যুদ্ধটা আমি ইজরায়েলের জয় বলেই দেখি। তাতে কোনো territorial occupation না থাকলেও কার্যসিদ্ধি হয়ে গেছে।
ইজরায়েল সম্পর্কে অনেকেই বলেই দিয়েছেন আমার নতুন কিছু বলার নেই। একই দেশে ধর্ম, মিলিটারী আর বিজ্ঞানের সঙ্গম হলে যা হয় তা-ই ইজরায়েল। তার সাথে এরকম এক ইতিহাস থাকলে তো আর কথাই নেই।
তবে হামাসকেও সমর্থন করার কোনো কারণ দেখি না। হামাস ইগোভিত্তিক ও ধর্মভিত্তিক দল তাই সমর্থন পায়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তারা ইজরায়েলীদের কোনো সমস্যাই সৃষ্টি করতে পারেনি, না পেরেছে দেশের লোকজনকে সুরক্ষা দিতে। ইজরায়েলে রকেট ক্ষেপণ করার পরিকল্পনা হারাকিরি ছাড়া কিছুই না। বাস্তবকে মাথায় না রেখে কাজ করলে কারও কোনোদিন সাফল্য আসে না।
ফাতা আর হামাসকে আমি চরমপন্থী আর নরমপন্থী স্বাধীনতাকামী দল হিসাবে দেখি (নেতাজী সুভাষ বোস বনাম গান্ধী)। আরাফতের মৃত্যুর পরে এই ভাগ অবশ্যম্ভাবী ছিল।
যে ব্যাপারটা আমার মাথায় ঢোকে না সেটা হল কে কি চায়। ইজরায়েল কি চায় সেটা স্পষ্ট নয়। হামাস কি চায় তাও স্পষ্ট নয়। আপাতত যুদ্ধ প্যালেস্টিনিয়ানরা চায় না এটা তো বটেই। আর এই দ্বন্দ্ব চলবে যতদিন না এক জাতি অন্যের কাছে চূড়ান্ত পরাস্ত হয়।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সহমত।
লেখাটা খুবই ভালো লেগেছে। মানবতা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে আমাদের কণ্ঠ যেন কখনও রোধ হয়ে না যায়...
ইয়াসির আরাফাত ও অসলো অ্যাকর্ড নিয়ে একটা কথা বলার ছিল। এডওয়ার্ড সাইদের "দি এন্ড অফ দ্য পিস প্রসেস" বইয়ে কিন্তু ফিলিস্তিনের খারাপ অবস্থার জন্য আরাফাতকেও দায়ী করা হয়েছে। অসলো অ্যাকর্ডে ইসরায়েল তো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি, কিন্তু ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের টিকে থাকার ব্যাপারটি মেনে নিয়েছে। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার উদাহরণ টেনে বলেছিলেন, একজন যোগ্য নেতার প্রধান গুণ হল তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। কিন্তু আরাফাতের এই গুণ নেই। তিনি বারবার নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। আমেরিকার চাপের কথা বলে এটাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চাপে পড়ে তিনি যেসব সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন তাতে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
অর্থাৎ অসলো অ্যাকর্ডকেই শান্তি প্রক্রিয়ার সমাপ্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন এডওয়ার্ড সাইদ।
আশা করব, ফিলিস্তিনে একজন দৃঢ়চেতা নেতা আসবেন...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
প্রথমেই আমার অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি... প্রাসঙ্গিক হয়তো নয়, তবু যেহেতু মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস এখানে অনেকেই আমার থেকে অনেক বেশি জানেন বিধায় আর বারবার বিষয়টা আসছে বলে মনে হল প্রশ্নটা করেই ফেলি...
ইস্রায়েল তো অনেক পুরোনো একটা জাতি... ওই এলাকা যদি পুরোটাই প্যালেস্টাইনিদের হয় তাহলে ইস্রায়েলে পৈত্রিক ভিটা আসলে কই?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
প্রিয় অবানঞ্ছিত,
আপনার অজ্ঞতা ক্ষমাকরা যায় কিনা সেইটা নিয়ে আমার মাথার সংসদে এক বিল উত্থাপন করেছি। আর কিছু না হোক, উইকিপিডিয়ার কথা মনে আসার কথা ছিলো। নাইলে গুগল। লিঙ্ক টিঙ্ক আর দিলাম না। আপনি একটু গুগল করেন প্লিজ।
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ভাই পরষ্পর বিরোধী তথ্য পাচ্ছি... ধর্মীয় ইতিহাসে আগ্রহী না.. সলিড ইতিহাস পাচ্ছি না..
যতটুকু বুঝলাম ঐ মাটিটুকু নিয়ে মারামারি একদিন দুইদিনের না... কয়েক সহস্র বছরের.. একে মেরে ও নিসে, আবার ওকে মেরে এ নিতেসে...
নিরপরাধ মানুষ হত্যা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়... তবে দুপক্ষই যদি বাপের ভিটা বলে দাবী করে, সমাধান হবে কিভাবে?
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
সবাই বাপের ভিটা বলে দাবী করলেও সবার বাপের ভিটা হতে পারে না। বাইজেন্টাইন সম্রাট ওখান থেকে ইস্রায়েলীদের সরিয়েছিলেন আর তারা জায়গা নিয়েছিল ইউরোপে। পরে ইওরোপ মারধর শুরু করলে ফিরে আসে ওই জায়গায়। ততদিনে প্যালেস্টাইনিরা ওখানে বাস করছে।
আপনি ধর্মে আগ্রহী না হলেও ব্যাপারটা অনেকটাই ধর্মীয়। ওই জমি পুণ্যভূমি তিন মূল একেশ্বরীয় ধর্মের। কেউ ছেড়ে কথা বলেনি, এখন জোর যখন যার, মূলুক তখন তার ...
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এত পিছনে কেউ যায় না। সবাই ৪৭ এর বিভাজনের কথাই বলে।
না শুধু ৪৭ দেখলেই হবে না। তার আগে ইউরোপ থেকে ইহুদীদের গণ-বিতাড়ণের ব্যাপারটাও আছে। ওরা ইউরোপে সুখে থাকলে কি আর প্যালেস্টাইনে আসত। ব্যাটা ইউরোপিয়ানদের ছাড় দেবার কোনো মানে নেই ... ওরাও সমান দোষী।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
একথা বললে আপনি ইরানি প্রেসিডেন্ট আহমেদাজানের দোস্ত বলে অভিহিত হবেন। তার কথা হলো, ইহুদি সমস্যা ইউরোপের সৃষ্টি, সমাধান তাদেরই করা উচিৎ, প্যালেস্টাইন কেন তার মূল্য দিবে? আরও একধাপ এগিয়ে তার কথা হলো, জার্মান বা অস্ট্রিয়ার কোন একটা এলাকা জুড়ে ইসরায়েল গড়ে উঠুক।
প্যালেস্টাইনিরা অবশ্য এতটা আশা করে না। তারা ৪৭ এর হিসাব মতো ভূমি পেলেই খুশী। বুশ বলেছিলেন ২০০৬ এর মধ্যে স্বতন্ত্র সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। বিনিময়ে আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরেলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। হামাসকেও ইসরেলের স্বীকৃতি দিতে হবে। হামাস বাস্তব হিসাবে সেটা প্রায় মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু ভবিষ্যত সেরকম দেখা যাচ্ছে না।
আমি ইতিহাসের ওই অংশটা আহমেদিনেজাদের থেকেই জেনেছি। এবং সমর্থনও করি। বিশেষত জার্মানি ও অস্ট্রিয়া জুড়ে ইসরায়েল গড়ে ওঠার ব্যাপারটা। আসলে এখন আর সেটা হয়ত সম্ভব নয়। এখন আমিও আপামর প্যালেস্টাইনিদের মত ওই ১৯৪৭ (এমনকি আমি ১৯৬৭র আগের সীমা হলেও মন্দের ভাল) এর সীমারেখা দিয়েই বিভাজনের পক্ষপাতি - এটাই বাস্তবসম্মত সমাধান। তাও তো ইজরায়েল ছাড়ে না ...
গাজার রাজী না হবার কারণ আছে। গাজার দাবী তাদের প্যাসেজ দিতে হবে গাজা-ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক সংযোগকারী। যথেষ্ট ন্যায্য দাবী।
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হ্যা, ৪৭ এর বিভাজন তো সবাই মেনে নিয়েছিল। কিন্তু ষাটের দশকের শুরুতে আরবরা (জর্ডান, মিশর, এবং অন্যরা) ইসরাইলরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। সে যুদ্ধে আরবরা পরাজিত হয়, আর ইসরাইল তার সীমানার বাইরে বেশ কিছু অংশ দখল করে নেয়, যেমন মিশর থেকে সিনাই পর্বতের কিছু অংশ (পরে অবশ্য মিশর সে অংশ ফেরত নেয়) । সেই দখল আর থামেনি, আরবরাও তাকে আর থামাতে পারে নি। মাঝখানে, ফিলিস্টিনদের সব ভুমি দখল করে নিয়ে তাদেরকে নিজ দেশেই শরণার্থী করে রাখে ইসরাইল। সব কিছুই হয়েছে পশ্চিমাদের নির্লজ্জ্ব মদদে।
আরব নের্তৃত্তের দূর্বলতা আজকের এ অবস্থার জন্য কিছুটা হলেও দায়ী।
তবে, আমার বিশ্বাস হয়, চাইলে এখনো বিষয়টার একটা শান্তিপূ্র্ণ রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে। কিছু ধর্মীয় স্থাপনার উপর যৌথ দখল থাকার ব্যাপারে একমত হলেই বিষয়টা সহজ হয়ে যায়। "ইসরাইল এর অস্তিত্ত্ব মানি না" হামাসের এ রকম অবস্থান বিষয়টা দীর্ঘায়িত করবে। ইসরাইলকে সে জায়গা থেকে উৎখাত করা, বর্তমান পরিস্থিতিতে, পারতই অসম্ভব।
এইতো, পরষ্পর বিরোধী হলেও কিছু 'তথ্য' পেতে শুরু করেছেন। মানুষ ভুল করে তখনই যখন তার কাছে থাকে শুধু 'ভুল তথ্য' অথবা কোন তথ্যই থাকেনা।
আমি নিজে অন্তরের পরিশুদ্ধতায় বিশ্বাসী। অনেক রকম, অনেক 'তথ্য' যখন পেয়ে যাবেন, আপনিই বুঝে যাবেন যা বোঝার। আমি এখানে কিছু বললে আমাকে "that's what you think!" বলে এড়িয়ে যাবার সুযোগ থাকবে। নিজেকে এড়াতে পারবেন না। তাই অন্য কারো মন্তব্য শোনার আগে নিজের একটা মন্তব্য গড়ে তুলুন। এইসব পরস্পর বিরোধী 'তথ্য' ঘেটেই। ব্যপারটা হয়তো কষ্ট সাধ্য। তবুও শুভকামনা রইলো।
পড়তে থাকুন...
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মানব সভ্যতার গোটা ইতিহাস জুড়ে যেখানে দখলদারী আর বিতাড়নের এত আধিক্য, সেখানে বাপের ভিটার প্রশ্নটা অবান্তর।
ধরুন ভারতবর্ষে আর্যরা প্রাগৈতিহাসিক কালে আদিবাসী দ্রাবিঢ়দের দলিত করে আধিপত্য দখল করে নিয়েছে। এখন সেই যুক্তিতে বর্তমানে শিক্ষিত দ্রাবিঢ়রা গণহারে আর্যনিধন চালাতে পারে না।
আমরা সভ্যতার অনেক স্তর পেরিয়ে এমন এক বর্তমানে পৌছেছি, যেখানে গণহত্যা, আগ্রাসন এবং জাতিগত নিপীড়ন কে অপরাধ বলে জানি। এই বর্তমান সময়ের নিরিখেই মার্কিনী দালাল রাষ্ট্র ইসরাইল ঘৃণ্য অপরাধী।
জ্বী.. সঙ্গত যুক্তি। কিন্তু মাথায় যা আসছে তা হল ব্রিটিশরা ভারতকেও ভাগ করে দিয়েছে... কত মানুষ গৃহ আর সম্পদ হারিয়েছে তা তো সবার জানা.. ভারত বাংলাদেশ বা পাকিস্তান কেউই অন্য কাউকে আজ আর ফেরত চাইতে পারে না.. তাহলে তো হিযবুল্লা / হামাস ও প্যালেস্টাইন ফেরত চাইতে পারে না সেই যুক্তিতে।
(আমার জ্ঞান অনেক কম এই ব্যাপারে... আগেই বলেছি.. আমি অবস্থান বুঝতে চাচ্ছি)
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ব্যক্তিগত মতামতে তো কাউকেই পৈত্রিক অধিকার দিতে পারছি না.. ধর্মকে বাদ দিলে তো তাহলে আসলেই জোর যার মুল্লুক তার হয়ে যাচ্ছে... আন্তর্জাতিক আইন কি বলে? বাংলাদেশ ইস্রায়েলকে তা হলে স্বীকৃতি দিচ্ছে না কেন?
ব্যাপারটা কি তবে (অনুভূতি ও সমর্থন) মূলত: ধর্মীয়ই? (দীগন্ত যেমন বলেছেন)
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এখানে একটা সারাংশ ইতিহাস পাবেন।
আন্তর্জাতিক আইনে ইসরায়েল অবৈধ ও অন্যায় কাজ করে আসছে। ইউএন ৪৭ এর সীমারেখা মেনেই সব কথা সাজায়। ইসরায়েল সরকারের যুক্তি হলো, তাদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আর সাধারণ ইসরায়েলিদের এখনকার কথা হচ্ছে গড তাদেরকে পূণ্য ভূমিতে বসত গড়তে আদেশ করেছে। তাই তারা করছে।
সব কিছুর কলকাঠি নাড়ছেন আমেরিকার কর্তারা।
আবার গডকে টানা কেনো... ঐ লোকের দোহাই দিয়ে কতলোকেই তো কতকিছু করেছে... করছে এবং করবে... তাই তো আমার সিগনেচার... যাকগে... ধন্যবাদ আপনার লিংকের জন্য।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
সবকিছুতেই যদি আমরা তোমাদের মতোই হই, তাহলে তুমি যা আমার প্রতি করছ; আমিও তা-ই করব। হয়তো তা হবে তোমার থেকেও কঠিন, কারণ আমি তো তোমার কাছ থেকেই শিখছি।
তাই ই যদি হয়, তাহলে আই ফর এন আই টুথ ফর টুথ দিয়ে দিলেই কি ঝামেলা চুকে বুকে যায়?? যাচ্ছেনা তো! কখনো যাবে বলে মনেও হচ্ছেনা তো।
বিশেষত: এই মন্দার বাজারে আমেরিকার তেলের দাম বাড়ানোর একটা না একটা স্ট্র্যাটেজি নিতেই হতো। তারা হয়তো এক ঢিলে দুই পাখি মারতে এটিই বেছে নিলো। শ্রদ্ধেয় ফারুক ওয়াসিফ কি বলেন?
শুনেছি ইসরাইলে বসে ইসরাইলের সমালোচনা করা যতটা সহজ, মার্কিন মুল্লুকে বসে ঠিক ততটাই কঠিন। কিছুদিন আগে দেশের এক নবাব পরিবারের তরুণ জান বাজি রেখে ন্যুইয়র্কে তিন ইহুদিকে রক্ষার পর মুল্লুক জুড়ে সে কি মাতামাতি। বুশ নিজে তাঁকে দাওয়াত করে রাজকীয় খাবার খাওয়ালেন, 'পালোয়ান' আখ্যা দিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃশ্যত এবং গোপনে চূড়ান্তভাবেই ইসরাইল আর ইহুদীদের পা-চাটা একটি দেশ। এর প্রধান কারণ সম্ভবত অর্থনৈতিক। মার্কিন মুল্লুকে হেভিওয়েট ইনভেস্টমেন্টের সিংহভাগ দখলে আছে ইহুদীদের। অর্থনৈতিক আর সামরিক দিক থেকে এতটা শক্তিশালী একটা দেশকে বশে রাখতে পারলে আর কি চাই? এককালের পরাশক্তি রাশিয়া কিন্তু ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের চাইতে কম নাচুনে ছিল না। ক্যাপিটালিজম কম্যুনিজম দুটোরই সমান মদত পেয়ে ইসরায়েল কার্যত একটা দানব রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
দানবের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা বাংলাদেশের জন্মের ধারণার মৌলিক বিরোধী। এছাড়া এদেশের সংবিধান পৃথিবীর সকল নিপীড়ন ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে নিন্দা জানায়।
দানবের প্রাণভোমরা কিন্তু তালপুকুরের সিন্দুকের ভেতর। ফিলিস্তিনের ডালিমকুমারেরা নিশ্চয় একদিন সেখানে এক নিঃশ্বাসে পৌঁছে যাবে।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
তেলের দাম বাড়ানোর স্ট্র্যাটেজি, সামনে ইসরেলের নির্বাচন তার জন্য মাঠ তৈরি (এই কাজ শিমন পেরেজ, বেগিনও করেছে) সবই হলো না হয়, কিন্তু কেন সেটা ফিলিস্তিনের বিনিময়ে। ইসরেল তার কর্মনীতি ঠিক করে তার অস্তিত্বের যে ভিত্তি : ১. জায়নবাদ তথা বর্ণবাদী ফ্যাসিস্ট জাতীয়তবাদ। ইসরায়েল দুনিয়ার বিশুদ্ধতম ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র, ২. আরব জাতীয়তাবাদকে তার নিরাপত্তার হুমকি মনে করা।
এই দুই মিলিয়ে যা হয়, তা এই : আরব ভূমি, ভাষা, ইতিহাস ও দেহকে দখলে রাখা। ভূমি> ফিলিস্তিন+সিরিয়ার গোলান উপত্যকা+মিসর ও জর্ডান থেকে কেড়ে নেয়া অংশ।
ভাষা> সাংষ্কৃতিক অর্থে প্রচারণা ও আদর্শিক সংক্রমনের মাধ্যমে আরবকে সন্ত্রাসী, পশ্চাদপদ বলে দেখানো ও বানানো। এডওয়ার্দ সাঈদ একে প্রাচ্যবাদ বলতেন, আমি একটু বাড়িয়ে বলতে চাই মার্কিন-জায়নিস্ট বর্ণবাদ।
ইতিহাস> ইসরেলের ইতিহাস উচ্ছেদের ইতিহাস, তাকে সে উল্টে আরবের ইতিহাস অর্থাৎ আরব উচ্ছেদের ইতিহাসে পরিণত করতে চায়। তার জন্য আদিকালের পুরাণ ও মিথকে পলিটিসাইজ করে ব্যবহার করে। এটা ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গঠনের সমস্যা। কারণ, তার জন্ম ভীতি থেকে, তার অস্তিত্ব আক্রমণের ওপর, তার বিকাশ অপরের ধ্বংসের ওপর এবং তার জাতি ধর্মের ওপর দাঁড় করানো। ফলে ইসরেল তার নিজের নাগরিকদের মুক্ত না করে আরবকে মুক্ত করতে পারে না। তার মানে, ইসরেলের কবল থেকে আরবকে ও বিশ্বকে মুক্তি পেতে চাইলে ইসরেলের রাজনৈতিক আদর্শের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। অনেক ইসরেলি এ সম্পর্কে সচেতন থেকে সেকুলার জাতীয়তাবাদী আরব অবস্থান নিতে চান।
দেহ> ইসরেল আরব দেহকে অপবিত্র ও ধ্বংসযোগ্য মনে করে আর ইহুদির দেহকে মনে করে পবিত্র (বিশুদ্ধ রক্ত_ যে কারণে কেউ ইহুদি হতে পারে না) ও সংরক্ষিত। এই চেতনাই অন্যভাবে আরব আত্মঘাতীদের মধ্যে পরিণতি পায়। যখন তার দেহ সর্বোচ্চ হুমকির মধ্যে, তখন তাকেই বোমা বানিয়ে সে হুমকিটাকে ঘুরিয়ে দেয়।
সুতরাং বিশ্বের যে কোনো নিপীড়িতের মতোই, আরব ও ইহুদির ভূমি-ভাষা-দেহ-ইতিহাসকে মুক্ত করতে হবে। (ল্যাটিন আমেরিকায় এর মধ্যেই এই সংগ্রাম বিকশিত হচ্ছে, হুগো শ্যাভেজ ও নাসরুল্লা-আহমেদিনেজাদের মৈত্রীর ভিত্তিও এটাই) তার জন্য ওদিকে আরবের বাদশাহি শাসন আর ইসরেলে বর্ণবাদী ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রগঠন; এ দুইয়েরই পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আরবের সমস্যা এই অর্থেই বিশ্বেরও সমস্যা। আরবের মুক্তি তাই বিশ্বের মুক্তিকেই ত্বরান্বিত করবে।
সাম্রাজ্যবাদ আবার জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের যুগকে ফিরিয়ে এনেছে। গান্ধি যেমন জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে মিথ-পুরান-বিশ্বাস ও পরিচয়কে রাজনীতির অস্ত্র করেছিলেন, আমাদেরও হয়তো সেটা করতে হতে পারে। তবে অবশ্যই তাকে ডিথিওলাইজ করে নিয়ে। গান্ধি সেটা না করায় রামরাজত্বের ধারণা তৈরি হয়েছিল। আরব তা না করলে ইহুদি বর্ণবাদের জায়গায় মুসলিম মোল্লাতন্ত্র কায়েম হতে পারে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
মোটামুটি এটাই বক্তব্য ছিল।
ডিথিওলাইজ করার কাজটা অন্তত আরব বিশ্বের ক্ষেত্রে বেশ শক্ত। তার দায় আরব প্রগতিশীলদের ।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সবার ক্ষেত্রেই শক্ত। ইউরোপ রেঁনেসার ও রিফর্মেশনের মাধ্যমে সেটা করেছে বলে এতকাল দাবি করেছে, কিন্তু ফ্রান্স ছাড়া সেটা কোথাও ঠিকঠাক হয়েছে বলে মনে হয় না। নইলে খ্রিস্টান-ইউরোপ রাজনীতিতে প্রবল হতো না। আর সেকুলাররা যখন বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকে না তখন এটাই ঘটে।
আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ নিজেও এখন ধর্মের রূপ পরিগ্রহ করেছে।
আর আরবে সেটা প্রধানত প্রগতিশীলদেরই দায়িত্ব। সেই কাজ মার্টিন ক্রেমার, নাসের, মাইকেল আফলাক (?) প্রভৃতি প্রথম যুগের জাতীয়তাবাদীরা এগিয়ে নিয়েছিলেন। মার্কিন-ইসরায়েলের রেসিস্ট চাপে সেটা পিছিয়ে গিয়েছে। সাদ্দাম, নাসের, আসাদ, গাদ্দাফি আর যাই হোক ধর্মবাদী ছিলেন না। এরকম আরো নেতা ও আন্দোলন ইয়েমেন, সুদান, আলজেরিয়া, সিরিয়া, লেবাননে এসেছিল। সাম্রাজ্যবাদ তাদের দুর্ভল করে দিয়ে ধর্মমেশা জাতীয়তাবাদী মায় ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীলদের সুযোগ করে দিয়েছে।
* আমি সাধারণত অফিসে বসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে আক্ষরিক ভাবেই ঝড়ের গতিতে লিখতে হয় বলে সবসময় সেগুলোর তাত্ত্বিক ভিত্তি জোরদার রাখা যায় না। এগুলো বলা যায় পপুলার লেভেলের পলেমিকস।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমি ইতিহাস, ধর্ম কিছু বুঝি না, আপাতত শুধু বুঝছি ফারুক ভাইয়ের মত করে-
এই লেখাটা যতক্ষণে পড়া শেষ করলাম ততক্ষণে আরও শখানেক বা আরও বেশি ফিলিস্তিনির নৃশংস মৃত্যু ঘটেছে।
অসাধারণ একটা পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
মানবতার জয় হোক, ইসরায়েলের হিংস্র পশুগুলো নিপাত যাক
ফিলিস্তিন মুক্ত হবে যদি বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের মিত্ররা তাকে পরিত্যাগ করে বা তাদের বাধ্য করা যায়। আমেরিকা-ব্রিটেন-রাশিয়া-ফ্রান্স কিংবা সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সমস্যাটা আরো গভীর। প্রায় সারা বিশ্বকেই দায়ী করা যায় এই অন্যায়ের জন্য। আমার বক্তব্যের সমর্থনে একটা উদ্ধৃতি -
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আমার এক আমেরিকান বন্ধুর পাঠানো একটা লিঙ্ক দিলাম। যদিও শুরুতেই বলা আছে বর্তমান পরিস্থিতির যে ধরনের সমাধান সম্ভব/কাম্য তার মধ্যে 'প্রো-ইজরায়েলি' দৃষ্টিভঙ্গি একটি, তারপরও অনেক কথা আছে যা আমার পছন্দ হয়েছে।
একদম শেষে J street এর পিটিশনে যোগ দেয়ার একটা অপশনও আছে। এরা ওবামার সাথে কথা বলছে। আমি পিটিশনে সাইন করেছি। চাইলে অন্য কেউও করতে পারে -
http://tpmcafe.talkingpointsmemo.com/2009/01/05/five_comments_on_the_gaza_crisis_and_what_to_do/index.php
সম্পাদনাঃ J street একটি প্রো-ইজরায়েলি প্রতিষ্ঠান। অতএব, বুঝতেই পারছেন তাদের অবস্থান। কিন্তু, এরা গাযার ১৮ মাসব্যাপী অবরোধের কথা বলছে, ইজরায়েলের আসন্ন নির্বাচন আর রাজনীতির খেলার কথা বলছে এবং প্যালেস্টিনীয়দের অবস্থা মানবিক দৃষ্টিতে দেখার 'চেষ্টা' করছে বলে মনে হয়েছে, লেখাটা পড়ে। তবে, এদেরকে সমর্থন করার আগে নিজে চিন্তা করে দেখবেন। এরা যে ওবামার সাথে ইতোমধ্যেই কথা বলতে শুরু করেছে, এবং আমেরিকাকে চাপ দিচ্ছে ইন্টারভিন করার জন্য - আমি এটাকে সমর্থন করি।
আর এটাও দেখুন -
=http://windowintopalestine.blogspot.com/2008/02/petition-in-support-of-pro-palestinian.html
নতুন মন্তব্য করুন