গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে গতে শুক্রবার ঢাকায় অনেকগুলো সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। কিন্তু মিডিয়ায় এসেছে শুধু বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশটাই। কারণ ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেবল ইসলামী ইস্যু হিসেবে দেখানো গেলে সুবিধা হয় বলে কি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাট মিছিল করেছে বাংলার সংষ্কৃতি আন্দোলন। তিরিশ ফুট উঁচু এফিজি পোড়ানো হয়েছে মার্কিন-ইসরাইল-সৌদি আরব জোটের।
প্রতিবাদী কবিতা পাঠ করেছেন কবিরা। সংহতি জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। দেখানো হয়েছে জেরুজালেম: দ্য ব্লাক হেট্রেড এবং প্যালেন্টাইন: সিটিজেন অব ইসরাইল, এ কেস স্টাডি নামে দুটি চলচ্চিত্র। চলেছে ৪ টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। হাজার খানেক মানুষ এসেছিল প্রতিবাদ জানাতে। সেসব কোথাও আসেনি, তাই এখানে কিছুটা দিলাম।
গণহত্যাকারী ইসরায়েল-আমেরিকার ক্ষমা নাই
মার্কিনিদের দালালদের চিনে নিন, প্রতিরোধ করুন
বন্ধুগণ,
১৮ মাসের দমবন্ধ অবরোধের পর ফিলিস্তিনের গাজায় আরেক দফা গণহত্যা শুরু হয়েছে। মার্কিন-ইসরায়েল-জাতিসংঘ শুরু করেছে জোট ফিলিস্তিনকে মুছে দেয়ার বর্বরতম আগ্রাসনের চূড়ান্ত পর্যায়। তাদের হত্যাযজ্ঞের প্রথম শিকার একটি শিশু। আমেরিকার দেয়া অ্যাপাচে হেলিকপ্টার, এফ সিক্সটিন যুদ্ধবিমান, মার্কাভা ট্যাংক ও রাসায়নিক অস্ত্রে খুন হচ্ছে কোলের শিশুরা, দুধের বাচ্চারা। গাজায় নিহতদের তিন ভাগের এক ভাগই শিশু। ওরাও আমাদের ভাই-বোনদের মতো মানুষেরই সন্তান। শিশুহত্যায় জল্লাদেরও বুক কাঁপে আর ইসরায়েলি ঘাতকরা উল্লাস করে। নিরীহ জনসাধারণই এখন আমেরিকা ইসরায়েলের বুলেট-বোমার প্রধান শিকার। ইরাক-আফগানিস্তানেও তারা একই বর্বরতা চালিয়েছে। পরিহাস, জাতিসংঘও এই ধ্বংসযজ্ঞের অংশীদার।
গণহত্যা যুদ্ধ নয়
পাশ্চাত্য শাসক ও তাদের মিডিয়া এই গণহত্যাকে যুদ্ধ বলে চালাচ্ছে। বিশ্বজনমতের চাপে 'যুদ্ধবিরতির' নামে ইসরায়েলকেই তারা জাতিগত নিধনের সুযোগ করে দিচ্ছে। বিবিসি-রয়টার-সিএনএনসহ বিশ্বের সকল গণমাধ্যমই একতরফা আগ্রাসনকে বলছে দুই পরে সংঘাত। দানবের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র মানুষের অসম লড়াই সংঘাত নয়, গণহত্যা। বিশ্বের সর্বাধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ভয়ংকরতম সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের আত্মরা করতে হচ্ছে ঘরে বানানো রকেট দিয়ে। ফিলিস্তিনী নেতা খালিদ মিশালের কথায়, 'ওই রকেট আমাদের অস্তিত্বের চিতকার। রকেট ছুঁড়েই আমরা বিশ্বকে জানিয়ে দিই আমরা মরে যাই নাই। আমরা মরব কিন্তু নীরব হব না। আমরা স্বাধীনতা চাই।' সুতরাং একে যুদ্ধ বলা আর কিছু নয় গণহত্যার উলঙ্গ সমর্থন। ফিলিস্তিনিদের সমগ্র ভূখণ্ড থেকে উচ্ছেদ করার আদি বাসনা থেকে ইসরায়েল এক মুহূর্তের জন্যও সরে আসে নাই। নিরীহ জনসাধারণকে মৃত্যুর মুখে মিসর ও জর্ডানে তাড়িয়ে দেয়াই তাদের আখেরি উদ্দেশ্য। তারা যদি সফল হয় তাহলে বিশ্বে ফিলিস্তিন বলে কিছু থাকবে না। এইভাবেই ইউরোপ-আমেরিকা একসময় অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী, আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান ও পেরুর ইনকাদের গণহত্যা করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। আমরা কি ফিলিস্তিনীদেরও একই পরিণতি হতে দেব?
ইওরোপ-আমেরিকা-জাতিসংঘই আজ বিশ্বের বিপদের কারণ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার ইহুদিদের গ্যাস চেম্বারে পুড়িয়ে গণহত্যা করেছিল। আর ইওরোপ তাদের নিয়ে বসায় আরবের মাটিতে। তার জন্য দখল করে নেয়া হয় ফিলিস্তিন। তখন থেকেই সেখানে একটানা চলছে গণহত্যা ও উচ্ছেদ অভিযান। গোটা ফিলিস্তিনকেই বধ্যভূমিতে পরিণত করে হলোকস্টের দায়মুক্তির খেসারত কেন আরবদের পেতে হবে? বিশ্বের আর কোনো জনগণকে এত দীর্ঘ দখলদারি সহ্য করতে হয়নি। জবরদখলের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া ইসরায়েলই এখন মধ্যপ্রাচ্যে পাশ্চাত্যের দখলদারির জঙ্গি ঠিকাদার। ফিলিস্তিনই এখন তাদের অস্ত্র গবেষণা ও প্রয়োগের ভয়ঙ্কর ল্যাবরেটরি, যুদ্ধকৌশল পরীক্ষা-নিরীক্ষার গিনিপিগ। ইরাকের মতো গাজাতেও নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে চিরতরে জাতিটিকে পঙ্গু করার কর্মসূচি চলছে। জাতিসংঘ তাদের শয়তানির ঘাঁটি, আমেরিকা তাদের অস্ত্র ও অর্থের যোগানদাতা। সুতরাং, কোন স্পর্ধায় তারা আমাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শেখাতে আসে? মার্কিন রাষ্ট্রের মোসাহেবদের হাতেও ফিলিস্তিনীদের রক্তের দাগ। বাংলাদেশেও তাদের চিনে নিন, বর্জন করুন, মুখোশ খুলে দিন এবং প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিন।
অবৈধ-দুর্বৃত্ত-মৌলবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের বন্ধুদের চিনে নিন
ইসরায়েল জবরদখলের ফসল। ইসরায়েল ঘোষিতভাবে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র। বিশ্বের কোনো আইন কোনো প্রতিবাদের তোয়াক্কা তারা করে না। শক্তির দম্ভই এর টিকে থাকার নীতি। ফিলিস্তিন ছাড়াও সিরিয়া, জর্ডান, মিসর, লেবানন, ইরাক, ইরান সকলেই ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের শিকার। দেশে দেশে সিআইএ-মোসাদ গুপ্তহত্যা, ষড়যন্ত্র, সরকার বদল, নাশকতা ঘটিয়ে চলেছে। ইয়াসির আরাফাতকেও তারা বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে। অজস্র ফিলিস্তিনি ও আরব নেতা তাদের গুপ্তহত্যার শিকার। লেবাননের শাবরা-শাতিলা শরণার্থী শিবিরের গণহত্যার পুনরাবৃত্তিই তারা করে চলেছে বারবার। তাদের বন্দিশালায় বছরের পর বছর বন্দি রয়েছে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। আজ ভারতও পরাশক্তি হওয়ার লোভে সেই ইসরায়েলের সঙ্গেই সন্ত্রাসবিরোধী চুক্তির নামে সামরিক ঐক্য করেছে। পরমাণু চুক্তি করেছে আমেরিকার সঙ্গে। উপমহাদেশে ভারতের মাধ্যমেই সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংসের হাত দিনকে দিন শক্তিশালী হচ্ছে।
আরবের রাজা-বাদশারাই ইসরায়েলের দালাল, আরবের শত্রু
সৌদি রাজপরিবারসহ আরবের শেখ-সুলতান-আমীর আর বাদশাহরা মীরজাফরের মতো ইসরায়েলিরই তাঁবেদারি করে যাচ্ছে। অঢেল ধনদৌলতের পাহাড়ে বসে জনগণ ও সম্পদকে সাম্রাজ্যবাদের খেদমতে তুলে দিয়ে আজ তারা সিংহাসন রায় মত্ত। বিকৃত কামবিলাস, অন্ধ ভোগ আর শানশওকতের পেছনে এরা যত ব্যয় করে, তার সামান্য অংশ দিয়েও ুধার্ত, চিকিৎসাহীন, অপুষ্টির শিকার নির্যাতিত ফিলিস্তিনীদের দুঃখ লাঘব করা যায়। ইরাক আক্রমণের সময় এরাই আমেরিকাকে সাহায্য করেছে। লেবাননে ইসরায়েলি হামলা কিংবা ইরান হামলায় আমেরিকা এদের ওপরই নির্ভরশীল। এরা আরবের শত্র“, মুসলমানের শত্র“, বিশ্বের শত্র“। মুসলিম দেশগুলোতে এরাই নিকৃষ্ট সেনাশাসন ও মৌলবাদের মদদদাতা। যুদ্ধাপরাধী জামাতেরও পৃষ্ঠপোষক এরাই। এদের মদদ পেয়েই ধর্মের নামে জনগণের মুক্তির সংগ্রামকে বিভ্রান্ত করছে ধর্মীয় গডফাদাররা। এসবই জ্বলন্ত চুলা থেকে ফুটন্ত কড়াইয়ে ফেলারই নতুন ফন্দিমাত্র।
সংস্কৃতিকে মুক্ত না করে এ লড়াই জয়ী হবে না
বাংলার সংস্কৃতি আন্দোলন সকল রকম আধিপত্যের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে। ধর্মীয় মৌলবাদ ও পুঁজিবাদী ফ্যাসিবাদ মানুষকে মানুষের বিরুদ্ধে, জাতিকে আরেক জাতির বিরুদ্ধে, ধর্মকে আরেক ধর্মের বিরুদ্ধে নামিয়ে সাম্রাজ্য পাকাপোক্ত রাখতে চায়। সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদী ও ভোগবাদী সংস্কৃতি তাদের এই কাজের হাতিয়ার। আমরা ওয়ার অন টেররের হাতিয়ার হবো না, 'মৌলবাদ বনাম প্রগতির' নামে বিভক্তির খেলায় আমরা নাই। আমরা কর্পোরেট উন্নয়ন ও সাম্রাজ্যবাদী গণতন্ত্রের নামে সামরিকায়নের খেলা, দেশদখল ও ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে। মানুষকে যারা কেবল পণ্য ও ভোগের নেশায় মাতাতে চায়; তারা সংস্কৃতির শত্রু। আমাদের আচার-অভ্যাস-রুচিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারা তাদের দাপট টিকিয়ে রাখতে চায়। এসবের খপ্পর থেকে মুক্ত হতে হলে আধিপত্যের সংস্কৃতির বিপরীতে দাঁড়াতেই হবে। বাংলার সংস্কৃতি আন্দোলন সেই জাগরণের ডাক দিয়ে যায়।
বাংলাদেশে আমাদের করণীয়বাংলাদেশের আজকের রাজনীতি-অর্থনীতির চালক ও সুবিধাভোগীরাই বর্বর মার্কিন-ইসরায়েলের বন্ধু ও তাঁবেদার। যে বিশ্বব্যাংক আমাদের ভূত ভবিষ্যত বাতলে দিচ্ছে তারাই গাজা ও পশ্চিম তীর ঘিরে কংক্রিটের পাঁচিল তোলার তহবিল দাতা। মার্কিন-ইসরায়েলি বহুজাতিক কোম্পানি ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাই বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানের পরো অধিপতি। আমাদের ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলোর গলার রশিও মার্কিন-ইসরায়েলের তাঁবেদার আমির-বাদশাহদের লেজের সঙ্গেই বাঁধা। এরাই মার্কিন-পাকিস্তান-সৌদি সমর্থনে একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। বিগত তিন যুগের নির্বাচিত-অনির্বাচিত সরকারগুলো এইসব গণশত্র“দের বিচার তো করেইনি বরং মার্কিন-ইসরায়েলি স্বার্থেরই দাসত্ব করেছে। সোফা-হানার মতো চুক্তি কিংবা বিদেশি বিনিয়োগ ও মুক্তবাজারের নামে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়ার কারিগর এরা। কেননা সৌদি রাজতন্ত্রের মতো তাঁবেদারির পথেই তারা রাষ্ট্রমতা ভোগ করার ছাড়পত্র পায়। তাই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ হাতে হাত মেলাতে হলে এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। যারা দেশে দেশে যুদ্ধাপরাধ ঘটায়, গণহত্যাকারীদের রা করে, মৌলবাদকে শক্তি জোগায় এবং জনগণের মুক্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তারা আজ মানবতার শত্র“, ফিলিস্তিনের শত্র“, বাংলাদেশের নিপীড়িত জনগণেরও শত্র“। এদের চিনে নিন, সংগঠিত হোন এবং রুখে দেয়ার সংগ্রামে সামিল হওয়াই মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারী আজকের আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের দায়িত্ব।
মন্তব্য
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধিক্কার মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধকে। আধিপত্যবাদ নিপাত যাক।
আমরা কোন্ পথে কীভাবে এগুবো, এর একটা স্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন জরুরি নয় কি ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মানবতার বিরুদ্ধে এ অপরাধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুগ যুগ ধরে করে আসছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকার সময় তারা যা ইচ্ছে তাই করতে পারত না। এখন তারা বিনা বাধায় গনহত্যা চালাচ্ছে, সম্পদ লুট করছে। ইজরায়েল তাদের দ্বিতীয় ফ্রন্ট ছাড়া অন্য কিছু নয়।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই নীতিহীন সম্রাজ্যবাদী দেশটিকে সবসময় সাহায্য করে এসেছে প্রায় সব বড় মুসলিম দেশ। এদের উস্কানিতে সবসময়ই সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে দারুন সক্রিয় ছিল মুসলমানরা। এদের মন্ত্র ছিল "কমিউনিষ্টরা নাস্তিক", তাই ধর্ম রক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে হবে।
আর আমাদের সমস্যাটা হচ্ছে " সম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক" বলে স্লোগান দিয়ে দুদিন না পেরোতেই আমরা আমেরিকান এম্বেসিতে গিয়ে লাইন দিচ্ছি।
গাজার অসহায় মানুষগুলোর প্রান এখন কেবল ইজরায়েলের দয়ার উপর নির্ভরশীল! আমার কেবলই মনে হয় ৭১ সালে আমাদের পাশে ইন্দিরা গান্ধীর মত নেত্রী এবং বিশ্বে সোভিয়েত ইউনিয়নের উপস্থিতি না থাকলে আমাদের দশাও গাজার মানুষদের মত হতে পারত।
"শোষিত মানুষের বিজয় একদিন হবেই" একথাটাও এখন জোর দিয়ে বলতে পারিনা। আগেতো নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে?
শক্তিশালী কোন একটি পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। গাজার অসহায় মানুষগুলো রক্ষা পাক।
ধানসিঁড়ি
ফারুক ওয়াসিফকে ধন্যবাদ এই লেখাটিসহ গাজায় ইসরাইল কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার বিরুদ্ধে লেখা অন্যসবগুলো নিবন্ধ প্রকাশের জন্য।
বর্তমান পরিস্থিতিতে কষ্ট চেপে রাখা অনেক কষ্টকর। 'পৃথিবীর সকল জাতি আজ মুসলমানের বিপক্ষে; সকলে মুসলমানদের শত্রুজ্ঞান করছে' - গাজায় সাধারণ জনগণের উপর পরিচালিত অপ্রচলিত বিষাক্ত অস্ত্রে (WMD?) নারী, শিশু নির্বিচার গণহত্যার প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া দেখে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে।
এই হিংষার, এই ঘৃণার শেষ কোথায় জানি না। ইহুদিদের উপর পরিচালিত হিটলারের গণহত্যাকে (হলোকাস্ট) যেমন কোন সুস্থ মানুষ সমর্থন করেনি, এই গণহত্যাকেও কি সমর্থন করা যায়?
ইহুদিদের উপর যুগ যুগ ধরে যারা অত্যাচার, অবিচার করেছে তাদের ঝাল ইসরায়েল মিটাচ্ছে মুসলমানদের উপর। কি অন্যায়!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা জার্মানিতে বোমা না মেরে মারল জাপানে (কারণ তারা এশিয়) - পুরনো অনেক অন্যায়ের কোন সুরাহা হয়নি। এসব অন্যায় একদিন কি তাদের দম্ভকে বিচূর্ণ করবে না!! মানুষের প্রতি এমন বিদ্বেষ কি মানুষ পোষণ করতে পারে?
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
আপনার এই লেখাটি দুর্দান্ত লাগল, যেমন লেগেছে আজ প্রথম আলোতে প্রকাশিত আপনার অনুবাদসহ এ বিষয়ে অন্য সব লেখা।স্যালুট কমরেড।ইসরাইলের অর্থনীতিকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতাকারী পণ্যগুলোর একটি নির্ভরযোগ্য তালিকা কোথায় পাওয়া যায় বলতে পারেন?
ধন্যবাদ সবাইকে। মুসলিম মানেই বধ্য, সন্ত্রাসী এবং পশ্চাদপদ জীব এমন প্রচ্ছন্ন/প্রকট ধারণার ওপরই আমাদের কলোনিয়াল আধুনিকতা আর ইউরো-মার্কিনের কলোনিয়ালিস্ট/ওরিয়েন্টালিস্ট মানস গড়ে উঠেছে। দেখা যাচ্ছে, এটা এখন পরিণত হয়েছে নিকৃষ্টরকম বর্ণবাদ ও ফ্যাসিজমে। কিন্তু সেটা নিয়ে কথা বললে ইসলামপন্থি তকমা লেগে যাওয়ার বিপদ।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ওহ! অনুবাদ যে আপনার ছিল তাতো আগে খেয়াল করিনি, অসাধারণ ভাইয়া। লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লেগেছে।
"কিন্তু সেটা নিয়ে কথা বললে ইসলামপন্থি তকমা লেগে যাওয়ার বিপদ।"- তকমা নিয়ে যারা মাথা ঘামায় তাদেরকে নিয়ে চিন্তিত হবেন না। প্লীজ লিখে যান। সত্য প্রকাশিত হোক, মানবতা মুক্তি পাক আর ফ্যাসিবাদ-বর্ণবাদ নিপাত যাক।
ঠিকই বলেছেন।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
নতুন মন্তব্য করুন