ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত শোকের ঊর্ধ্বে যা করণীয়

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: শনি, ২৮/০২/২০০৯ - ৬:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিডিআরের পক্ষে স্লোগান দেওয়া এরা কি ষড়যন্ত্রকারী না সহমর্মী জনতা? এরাই আজ সেনাকর্মকর্তাদের জন্য শোকার্ত। এক দেহে দুই ভাবই এই ঘটনার দ্বান্দ্বিকতা?বিডিআরের পক্ষে স্লোগান দেওয়া এরা কি ষড়যন্ত্রকারী না সহমর্মী জনতা? এরাই আজ সেনাকর্মকর্তাদের জন্য শোকার্ত। এক দেহে দুই ভাবই এই ঘটনার দ্বান্দ্বিকতা?কোনো কোনো মৃত্যু পালকের মতো হালকা, আর কোনো কোনো মৃত্যু পাথরের মতো ভারি। আমাদের সেনাকর্মকর্তাদের মৃত্যু দুর্বহ পাথরের ভার নিয়েই জাতির বুকের ওপর চেপে বসেছে। গতকাল যে মানুষ উত্তেজিত, আজ সেই মানুষই শোকে কাদামাটি। গতকাল যিনি ছিলেন ক্রুদ্ধ আজ তিনি শান্ত হয়ে ভাবার সময় পাচ্ছেন। উত্তেজনার জায়গা নিচ্ছে শোক, সহমর্মিতা ও দায়িত্ববোধ।
এরকমই এক ক্রান্তিকাল চলছিল ইংরেজ আসার ঠিক আগের বঙ্গভূমিতে। দেশ ছোটো ছোটো সামন্ত আর সেনাপতিদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। কখন কে ক্ষমতায় আছে জানাও কঠিন ছিল সে পরিস্থিতিতে। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় যাতায়াতকারী বজরা নৌকাগুলো তখন একেক রাজাধিপতির নিশান নিয়ে চলাফেরা করতো। অবস্থা ও এলাকা বুঝে নিশান উড়িয়ে অধিপতিদের মনজয় করে কাজ করতে হতো তাদের। সেটা ছিল এক সর্বময় নৈরাজ্যের বাস্তবতা। এসব দেখেই মুঘল ইতিহাসবিদ সেসময়ের বাংলাদেশের নাম দেন 'বুলঘাখানা'। এর অর্থ 'চির অশান্তির দেশ'। সেসময় নিয়ে লিখতে গিয়ে অমিয়ভূষণ মজুমদার তাঁর মধুসাধু খাঁ উপন্যাসে লেখেন, এরকম দেশে 'পুরুষ জীয়ে না'।
আমাদের সেনাবাহিনীর নের্তৃত্ব, আমাদের অনেক পরিবারের প্রধান আমাদের অনেক শিশুর পিতা, বোনের ভ্রাতা, স্ত্রীর স্বামী একসঙ্গে মর্মান্তিকভাবে মারা গেছেন। তাঁরা সবাই উদ্যোগী পুরুষ, সশস্ত্রবাহিনীর পরিচালক পর্যায়ের পুরুষ। তাঁদের এমন মৃত্যু পাষাণ ছাড়া কে সইবে? মনে পড়ছে কেবল, 'এরকম দেশে পুরুষ জীয়ে না'। অতীতেও একসঙ্গে অনেক সেনাকর্মকর্তা ক্ষমতার ডামাডোলে নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু সেইসব মৃত্যু ছিল গোপন। তাদের জন্য শোক করার অধিকারও দেশবাসীর ছিল না। কিন্তু এবারে জাতি মনের কপাট খুলে আকুল হয়ে কাঁদতে পারছে, রাষ্ট্র যথাযোগ্য শোক ঘোষণা করেছে। স্বজনহারা পরিবারগুলো আজ আর একা নয়। তাদের শোকের ভার গোটা জাতি আজ অন্তর দিয়ে বহন করতে এগিয়ে এসেছে। এর খুবই দরকার ছিল। এত বড় শোক একা একা বহন করা তিগ্রস্থদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। অথচ যা সওয়া যায় না তাই আজ তাঁদের সইতে হচ্ছে। আবার এই শোকের মধ্যেই 'আমরা' ও 'তারা' বিভাজন ঘুচে যাচ্ছে। সেনা-রাজনীতিবিদ-বেসামরিক প্রশাসন ও গণমাধ্যম একযোগে সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় লিপ্ত। জাতীয় বিপর্যয়ে এমনটা হওয়াই উচিত এবং সরকার সেই উচিত কাজটি করতে মোটেই বিলম্ব করেনি। কিন্তু যেহেতু জাতীয় বিপর্যয় সেহেতু এটাও খেয়াল করা দরকার, আমরা কেবল অনেক ক'জন সেনাকর্মকর্তাকে হারাইনি। হারিয়েছি জাতির অতি গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধাদের_ যাঁরা ছিলেন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মানব সম্পদ।

এই বেদনাবিধুর পরিবেশে মনটাকে স্থির করে বুদ্ধিকে শান্ত করে ভাবতে হবে। এটা বিভক্তির সময় নয়। পারস্পরিক অভিযোগ নিক্ষেপের সময় নয়। এদেশে কোনোদিন ঘোলা জলে মাছ শিকারে পারদর্শী ফায়দাবাজদের অভাব হয়নি! তাদের নতুন সুযোগ আর করে দেয়া যাবে না। তাই ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও হাহাকারকে যদি আমরা জাতীয় পুনর্গঠনের সংকল্পে পরিণত করতে না পারি, তাহলে নিহতদের আত্মদানের যোগ্য প্রতিদানও আমরা করতে পারব না। সেজন্যই ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও শ্রেণীগত শোকের আবহের ঊর্ধ্বে উঠে দেখতে হবে। দেখতে হবে যাতে কোনোভাবেই সত্য চাপা না পড়ে। প্রতিহিংসামূলক আচরণে সেই সুযোগটি হারিয়ে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই দুর্যোগে সেনাবাহিনী হারিয়েছে তার গুরত্বপূর্ণ অনেক কর্মকর্তাদের, আর বিদ্রোহী বিডিআররা হারিয়েছে তাদের সর্বস্ব। আজ আর তাদের কিছু নাই। তারা সব দিক থেকেই নিঃস্ব। কতিপয় ঘাতকেরা তাদের কলঙ্কিত করেছে, চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দানব হিসেবে। অথচ এই সেনাবাহিনী ছাড়া যুদ্ধ আর দুর্যোগে আমাদের আর কী আছে? অথচ জওয়ানদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছেন, তাঁদের আপনজনদের আজ যেন প্রকাশ্যে কাঁদবার অধিকারটুকুও নাই। তাঁরা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদছেন, চোরের মতো তাদের জীবিত বা মৃত প্রিয়জনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এই কান্নার মাতম দেখেই বলতে হচ্ছে, আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।
হত্যাকারীর কঠোর শাস্তিদান সরকারের দায়িত্ব। পাশাপাশি, যদি বিদ্রোহের ভেতর ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে তবে সেই ষড়যন্ত্রের শিকার যে সাধারণ বিডিআর জওয়ানরা, প্রতিও তো দায়িত্ব রয়ে যায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিদ্রোহের জলস্রোতের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের তেল মিশ খায়নি। এ দুইকে আলাদা করতে হবে এবং আলাদা আলাদা ভাবে তাদের জন্য করণীয় ঠিক করতে হবে। তাই একইসঙ্গে সাধারণ মা আর তদন্তপূর্বক অপরাধীদের শাস্তি সমর্থনীয়। যারা শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে, তাদের প্রতি আমাদের অনুকম্পা থাকা উচিত। অন্যদিকে ৬৭ হাজার বিডিআর সদস্যের ভেতর থেকে হত্যার উৎসবের নায়কদের আলাদা না করলে তো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারও সম্ভব না। শতবর্ষ প্রাচীন একটি প্রতিষ্ঠানের বিপুল অধিকাংশ সদস্যকে আমরা একদিনেই বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে পারি কি? সেটা করলেই কি দেশের ও তিগ্রস্থদের মঙ্গল হবে? এত মানুষ কোথায় যাবে? এরা আসলে বেশিরভাগই উর্দি পরা কৃষক সন্তান। দরিদ্র পরিবারের সন্তান।

স্বাভাবিকভাবেই দেশের দরিদ্র মানুষদের সহানুভূতি তাঁরা পেয়েছেন ও পাবেন। আজ তাদের প্রতি সুবিচার না করলে তাদের অনেকেই ফেরারি হবে, অপরাধী হয়ে যাবে, জঙ্গিদলে নাম লেখাবে। যাদের জন্য একটি চাকুরি জীবনের সমান, তারা কেন সেই চাকুরি ও জীবনকে তুচ্ছ করে দিল তার জবাব ছাড়া আমাদের বিবেককেও তো আমরা পরিষ্কার রাখতে পারব না। তাদের পরিবার ও গ্রামের মানুষরাও মনের দিক থেকে আহত হয়ে থাকবেন। আজ জ্বলন্ত পরিস্থিতির মধ্যেও তাই বলতে হচ্ছে, এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে 'জাতিচ্যুত' করে দেবেন না। তাদের তৈরি করতেও তো অঢেল সরকারি অর্থ ব্যয় হয়েছে। তারাই তো এতকাল সততার সঙ্গে সীমান্ত রা করে এসেছে। খাদ্যাভাবের সময় তারাই তো অমানুষিক পরিশ্রম করে অনাহার ঠেকিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তারাই তো গুলির সামনে বুক পেতে দেশের মাটিকে পাহারা দিয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনার সময় তাদেরই তো আমরা বিভিন্ন সময় আহত-নিহত হতে দেখেছি। তারা অন্য অনেকের থেকেও সত ও পরিশ্রমী এবং তাদের দেশপ্রেম প্রশ্নাতীত।

বিদ্রোহ থেকে বিপ্লবও হতে পারে। আবার বিদ্রোহ নৈরাজ্য নামক নরকের দরজাও খুলে দিতে পারে। বিডিআর বিদ্রোহের পরিণতি দ্বিতীয় রাস্তাই নিয়েছে। কারণ তাদের নের্তৃত্বহীনতা, বেশিরভাগের স্বতঃষ্ফুর্ততা আর এর রাজনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞানতা। কিন্তু পরিণতি দিয়ে শুরুকে সবসময় বিচার করা যায় না। অনেক ভালও খারাপ পরিণতি নিতে পারে। অনেক খারাপও ভাল পরিণতি আনতে পারে। যে জওয়ানরা টেলিভিশনের সামনে কথা বলেছিল, তাদের কণ্ঠে ও ভাষায় চূড়ান্ত নৈরাজ্য ছিল না। তারা তাদের অফিসারদের না মানলেও সরকারের প্রতি অনুগতই ছিল। এ বিদ্রোহের এটাই দুই মুখী প্রবণতা। একদিকে তারা ফরিয়াদি আরেকদিকে তারা অনাচারকারী। প্রশ্ন হচ্ছে, ফরিয়াদ আর হত্যাকাণ্ড কি একই সময়ে একই লোকের দ্বারা হতে পারে? ফরিয়াদি থাকে রক্ষণাত্মক আর হত্যাকাণ্ড আক্রমণাত্মক আচরণ। সুতরাং বিদ্রোহকারী আর নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা একই গোষ্ঠীর সদস্য হতে পারে না।
সেখানেই আসে বহুল প্রচারিত 'ষড়যন্ত্র' তত্ত্বের কথা। অন্তর্ঘাত বা ষড়যন্ত্র কিছু একটা থাকা সম্ভব। নইলে নির্বিচার হত্যা-জীঘাংসার কোনো ব্যাখ্যা মেলে না। আবার বিডিআরের বিদ্রোহী ৬৭ হাজার সদস্যকে আমরা খুনের অভিযোগে দণ্ডিতও করতে পারি না। সেকারণেই জল থেকে তেল আলাদা করাটাই হবে বিবেচকের কাজ। কারণ, একটি ঘটনার একাধিক ক্রিয়াশীল শক্তি (অ্যাক্টর ও ফ্যাক্টর) থাকতে পারে।
আমার এক বন্ধু তরুণ সেনা অফিসার। বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে আলাপে তাঁকে কখনোই কারো থেকে কম দেশপ্রেমিক মনে হয়নি। কাল সে তার একটি কথা বাক্য দিয়ে আমাকে চমকে দিয়েছে। সে বলেছে, ''দ্যাখ বন্ধু, কীভাবে স্থির থাকি? আমরা কি মাত্র ২৫-৩০ হাজার টাকার জন্য এই চাকরি করি? পেশার মর্যাদার জন্য দেশের সেবার জন্য আমরা জীবন হাতে নিয়ে সৈনিকতা করি। সেই সম্মানও যদি না থাকে তাহলে কী রইল আর?'' এটাই সৈনিকতার মূল চেতনা। পদ বা র‌্যাংক ব্যবহার করে বিত্ত কামানো কেউ এভাবে বলতে পারবে না। আমাদের অধিকাংশ সৈনিকের মনে এই চেতনাই বিরাজ করে বলে বিশ্বাস করতে চাই। সৈনিকতা কেবল একটি পেশা নয়, একটি উচ্চতর বৃত্তি। আমাদের সেনাবাহিনী আর আমাদের বিডিআর সেই বৃত্তিরই অনুসারী বলে ভাববো না কেন?

সেনাবাহিনী বা বিডিআর কেবল ব্যবহারের বস্তু নয়। তা রাষ্ট্রের প্রহরী, মাটি ও মানুষের বিশ্বস্ত রক। তাদের কেউ কেউ উচ্চাভিলাষী হতে পারে, অসত হয়ে পড়তে পারে, ভুল করতে পারে। কিন্তু গোটা বাহিনীকে আমরা সেই চোখে কখনো দেখতে পারি না। কিন্তু পাকিস্তান আমলে ও আশির দশকের অব্যাহত সেনাশাসন, বিভিন্ন সময়ে ক্যু ও তার সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক হত্যকাণ্ডসহ ব্যক্তি নায়কের উচ্চাভিলাষের জোয়াল বইতে বইতে সেনাবাহিনী সম্পর্কে আমাদের অনেকের মনে কড়া পড়ে গেছে। কিন্তু কি ভারত আর কি আমেরিকা, সেখানেও বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভুল-অন্যায় ইত্যাদি হয়েছে। তার প্রতিকারও তারা করেছে। বাহিনীর নৈতিকতা রার স্বার্থে এবং দেশের প্রহরীদের আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা রার স্বার্থে। আজ ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনী সম্পর্কে খবর আসছে যে, তারা ওই যুদ্ধের কোনো নৈতিক সমর্থন পাচ্ছে না বলে কেউ আত্মহত্যা করছে কেউবা দেশে ফিরতে চাচ্ছে আর কেউবা চাকরিই ছাড়তে চায়। আমাদের বেলাতেও এই সতর্কতা থাকতে হবে। তাদের অনেকে মতার সিঁড়ি বানাতে চান, চান অর্থ-বিত্তের পাহারাদার বানাতে। সেই দায় সেনাবাহিনী নেবে কেন? আমাদের সবাইকেই ভাবতে হবে, আজকের দুর্গত বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী, আমলাতন্ত্র আর জনসাধারণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করায় দেশের কারো কোনো লাভ নাই। এরা রাষ্ট্রের স্থায়ি খুঁটি। এই খুঁটির গোড়ায় বিশুদ্ধ জল ঢালা যেতে পারে, উস্কানির ধোঁয়া নয়। রাষ্ট্রের এক অঙ্গ অন্য অঙ্গের বিরুদ্ধে আর না দাঁড়াক, এটাই আজকের মিনতি।

সত্যিই যাকে বলে অভূতপূর্ব, আজ সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ যা কখনো হতাশ হয় না। শান্তিতে না হোক দুর্যোগে যে বাংলাদেশ এক হতে জানে। এটাই এদেশের জনমানুষের মৌলিক বৈশিষ্ঠ্য। এবং তারা ধৈর্য ধরতে জানে। আজ সেই ১৫ কোটি মানুষের খাতিরে, আমাদের এই ছোটো প্রাণে বড় ব্যথা পাওয়া দেশের খাতিরে, সবাইকেই ধৈর্যশীল, আশাবাদী ও ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। সরকারি আর বিরোধি বলে কিংবা সামরিক আর বেসামরিক বলে আজ কিছু থাকতে পারে না। এটা কোনো রাজনৈতিক বা গোষ্ঠীগত স্বার্থের কথা নয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক বুকে হাত দিয়ে বলবেন, তাঁদের মনের গভীরে এই কথা কটিই জিকিরের মতো বাজছে। দায়িত্বে যাঁরা, একবারের জন্য হলেও তাঁদের সেই মর্মবাণী কান পেতে শোনা উচিত।
এই সেনাবাহিনী এই বিডিআর আর এই রাষ্ট্র একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জন্ম হয়েছে। এরা জাতির জাতীয় সৃষ্টি। এদের শুদ্ধ করতে হবে, নিছক কলঙ্কিত বা অভিযুক্ত করায় সেই কাজ হবার নয়।


মন্তব্য

রাফি এর ছবি

দেখতে হবে যাতে কোনোভাবেই সত্য চাপা না পড়ে। প্রতিহিংসামূলক আচরণে সেই সুযোগটি হারিয়ে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই দুর্যোগে সেনাবাহিনী হারিয়েছে তার গুরত্বপূর্ণ অনেক কর্মকর্তাদের, আর বিদ্রোহী বিডিআররা হারিয়েছে তাদের সর্বস্ব। আজ আর তাদের কিছু নাই। তারা সব দিক থেকেই নিঃস্ব। কতিপয় ঘাতকেরা তাদের কলঙ্কিত করেছে, চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দানব হিসেবে। অথচ এই সেনাবাহিনী ছাড়া যুদ্ধ আর দুর্যোগে আমাদের আর কী আছে? অথচ জওয়ানদের মধ্যে যারা নিহত হয়েছেন, তাঁদের আপনজনদের আজ যেন প্রকাশ্যে কাঁদবার অধিকারটুকুও নাই। তাঁরা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদছেন, চোরের মতো তাদের জীবিত বা মৃত প্রিয়জনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এই কান্নার মাতম দেখেই বলতে হচ্ছে, আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।

চলুক চলুক

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

যাক আপনার এই লেখাটা আইএসপিআরের ভাষ্যের কাছাকাছি হয়েছে। চোখ টিপি
এরকম ভাষ্য যে এসময় ঐক্য বজায়ে দরকার এটা আপনি বুঝতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে অভিনন্দন।

উপরে জনগণের ছবি দিয়ে তাদের পক্ষ পরিবর্তনের জন্য যে কলংকলেপন করার চেষ্টা করলেন তা অকারণ। সচলায়তনে আপনার আগের পোস্টগুলো বলে আপনি বিডিআর জোয়ানদের কর্মকান্ডকে প্রলেতারিয়েত বিপ্লবের কাছাকাছি মর্যাদায় বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। একটা পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও তথ্য না জেনে আন্দাজে এরকম বিশ্লেষণ করাটা শুভলক্ষণ নয়। এরকম বক্তব্যকেই বলে হঠকারিতামূলক। আপনার পোস্টে গিয়ে দেখতে পারেন আমি শুরুতেই বলেছিলাম আলোচনার বাহানায় শক্তি প্রয়োগ করাটাই হবে সঠিক কাজ।

এখন এত দ্রুত আপনি আপনার বলা কথাগুলো ভুলে গেলেই হবে না। ভবিষ্যতেও মনে রাখতে হবে ঘটনার সব দিক বিবেচনা না করে হঠকারি মন্তব্য অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

অভিজিৎ এর ছবি

একটা পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও তথ্য না জেনে আন্দাজে এরকম বিশ্লেষণ করাটা শুভলক্ষণ নয়। এরকম বক্তব্যকেই বলে হঠকারিতামূলক।

চলুক চলুক চলুক মন্তব্যে উত্তম জাঝা! । আমিও ঠিক একই কথা বলেছিলাম আমার মন্তব্যে। সেই একই গৎবাধা ছকে ক্লাস, ক্লাস স্ট্রাগেল আর প্রলেতারিয়েতদের বিপ্লব নিয়ে এসে সব কিছু - এমনকি সন্ত্রাস, হত্যা, খুন রাহাজানিও -ব্যাখ্যা করার চিরন্তন প্রয়াস নেয়ার আগে ভবিষ্যতের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী লেখকেরা আরেকবার ভাববেন বলে আমি মনে করি। পরে গণেশ উল্টালে কিন্তু সত্যই বোকা বনে যেতে হয়! শয়তানী হাসি



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

অভিজিত আপনি একজন সম্মানিত ব্লগার, বিশিষ্ট পন্ডিত। আপনাকে এরকম শয়তানী আইকন নিয়ে হাঁসতে আর কাঁদতে দেখে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে।
আলোচনার আইল ছেড়ে আপনি বরাবরই এদিক-সেদিক যাচ্ছেন। আপনি এরকম করলে আমি বোধহয় পোস্টটাই মুছে দেব। কেউ উত্তম আর কেউ নিন্দা জানালে দুটোই আমি গ্রহণ করি, কিন্তু শ্লেষ নয়। এর মাধ্যমে আপনি অন্য মন্তব্যকারীদেরও অসম্মানিত করছেন। সম্ভাব্য মন্তব্যকারীদেরও বিব্রত করছেন। মাইনাস দেন যত ইচ্ছা, কিন্তু কার উদ্ধৃতি কার নামে কোট করছেন তা তো অন্তত ভেবে দেখবেন?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

অভিজিৎ এর ছবি

ঠিক আছে, আপনার পোস্টে আমি বরং মন্তব্য করা থেকেই বিরত থাকব।

আপনি ভাল থাকুন।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আপনার পোস্টে গিয়ে দেখতে পারেন আমি শুরুতেই বলেছিলাম আলোচনার বাহানায় শক্তি প্রয়োগ করাটাই হবে সঠিক কাজ।

এই লাইন আগেও ভুল ছিল, এখনও ভুল।

আর আমি আমার অবস্থান কিন্তু ছাড়িনি। কেবল বিতর্কটা পরিহার করেছি। আমাদের দেশে থাকতে হয় এবং সংকটের রাতে বাড়ির বাইরে পালিয়ে থাকতে হয়। গতরাতেও ছিলাম। আশা করি বুঝবেন।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

খোলসটা নয় শাঁসটা খেয়াল করেন।
উল্লেখ্য যে, এই জিনিসটা তৈরি করা হয়েছে জাতীয় দৈনিকের জন্য। সেখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ বা ঝুঁকিপূর্ণ কমেন্ট খাটে না। আমার এনালাইসিস আমি পরিস্তিতি আরেকটু শান্ত হলেই দেব। এখন তো আর বিতর্কের সময় না।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

ফারুক ওয়াসিফ, আগের লেখাগুলোর মত এ লেখায় কিন্তু ফুটনোটে আপনি উল্লেখ করেননি যে লেখাটা দৈনিকে ছাপা হয়েছে বা হবে। উল্লেখ থাকলে ভাল হত।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হয়নি, তবে হতে পারে। প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আচ্ছা, কীভাবে যেন শামসুর রাহমানের ছবি চলে এসেছে, অ্যাডমিনের কেউ সরিয়ে দেবেন?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

বিডিয়ার এর পক্ষে স্লোগান দেয়া জনগন সম্পর্কে আমার মুল্যায়ন অন্যরকম। নিউমার্কেট সংলগ্ন গেটে বিডিয়ার যখন মিডিয়ার কাছে তাদের ক্ষোভ দুঃখের কথা বলছিলো সে সময় আশেপাশের কিছু মানুষ তাদের কথায় সমর্থন/তাল দিচ্ছিলো। এ পর্যায়ে মিডিয়ার জনৈক কর্মী আর সাথের ক্যামেরা ম্যনের উস্কানিতে ওরা মিছিল শুরু করে।

আর আমাদের দেশে একবার কোন ইস্যূতে মিছিল শুরু হলে, বুঝতেই পারেন।

আমি এসব মিডিয়া কর্মীকে ঘৃণা করি

...........................
Every Picture Tells a Story

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হ্যাঁ, এই মিডিয়া প্রথমে ছিল অতি বিডিআর. এখন অতি মিলিটারি, কাল কি হবে কে জানে? এটা তাদের পরিণত ও দায়িত্বশীল আচরণ নয়।
কিন্তু জনগণের তলার অংশে বিডিআর সেপাইদের প্রতি সহানুভূতির জোয়ারে এখনও মনে হয় মরা কোটাল পুরোটা লাগেনি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

নিচের তলার লোকদের (বিডিআর জওয়ান, সেনাবাহিনীর জওয়ান) জন্য সহানুভূতি স্বাভাবিক। দেশের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে। বিডিআর জওয়ানরা দেশেরই মানুষ। মিডিয়া কি একা দেশের পাবলিক অপিনিয়ন তৈরিতে ভূমিকা রাখে? ব্যক্তি পর্যায়ে তথ্যের আদান প্রদান এখানে অনেক প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে। এ ঘটনায় স্পষ্টতই নিচুতলার সিপাহীদের অসন্তোষকে কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু চাপা এসব অসন্তোষ কি একদিনে জমেছে? তার জন্য কারা দায়ী? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দায় এড়াতে পারে কি? যারা এ সুযোগে এমন নৃশংস ঘটনার অবতারণা করল, তাদের পরিচয় উদ্ঘাদিত ও বিচার হওয়া প্রয়োজন গণতন্ত্রের স্বার্থেই? কাজটা কঠিন। তা না হলে আমাদের গণতন্ত্রের 'অ্যাকিলিজ হিল' হয়ে ষড়যন্ত্রের সংস্কৃতি রয়েই যাবে। সরকারকেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর, নিচুতলার মানুষদের অভিযোগের জায়গাগুলোতে সহানুভূতিশীল হয়ে এগুলো mitigate করতে হবে। না হলে এসব সুযোগকে সুযোগসন্ধানীরা কাজে লাগাবে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

মাহবুবুল হক এর ছবি

সহমত। শুধু ঘৃণা নয় নাক-ঝাড়া ঘৃণা করি।
.................................................................................................................

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

দময়ন্তী এর ছবি

শব্দটা "নেতৃত্ব' ৷ রেফ নেই, "নের্তৃত্ব নয় ৷
ভীষণ চোখে লাগছে, তাই না বলে পারলাম না ৷ দু:খিত৷
---------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

জ্বি নের্তৃত্বে একটা ‌'রেফ' লাগবে। আর কোথায় আর কোনো ভুল চোখে পড়েছে কি?
ধন্যবাদ।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

আসলে নেতৃত্বে রেফ থাকবে না।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

দময়ন্তী এর ছবি

না রেফ হবে না ৷ "কর্তা' থেকে "কর্তৃত্ব' আসে, তাই কর্তৃত্বে রেফ আসে ৷ আগে ত'য় ত'য় রেফ ছিল ৷ রেফের পরে দ্বিত্ব বর্জনের নিয়ম চালু হবার পর থেকে শুধু ত'য় রেফ ৷
কিন্তু "নেতৃত্ব' আসে নেতা থেকে, তাই রেফ হওয়া সম্ভব নয় ৷

আমার হাতের কাছে আছে শুধু জ্ঞানেদ্রমোহনের অভিধান ৷ তাতে "নেতৃ + ত্ব' দেওয়া আছে, বিস্তারিত ব্যুত্পত্তি দেওয়া নেই ৷ তাই এখন দিতে পারলাম না৷ আমি পরে সংসদ ও চলন্তিকা দেখে বিস্তারিত দিয়ে দেব ৷
------------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ ... মন্তব্যে পত্রিকার জন্য লেখা -- এই তথ্যটা জেনে বুঝলাম কেনো আসল ফারুক ওয়াসিফকে লেখাটিতে পাওয়া যায়নি

আমার মতে নাগরিকের মনোযোগ এখন যাওয়া উচিত বিডিআর জওয়ানদের কি হলো সেদিকে ... এটা কাউকে বোঝানোর দরকার নেই যে এই জওয়ানদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকীরা খুনোখুনি/লুটপাট করেনি ...

এই ঘটনায় আক্রান্ত অংশটি সেনাবাহিনীর এলিট অংশ ... এঁদের মৃত্যুর বিচার আমরা চাই বা না চাই, হবেই ... কাজেই সচেতন নাগরিকের মনোযোগ সেদিকে থাকুক বা না থাকুক কিছু যায় আসেনা

কিন্তু এখন আক্রান্ত হবার ভয় বিডিআর যুবকদের ... প্লাস, আক্রান্ত অংশে সেনাসদস্যদের সাথে সাথে বিডিআর সদস্যরাও আছে ... এদের ভাগ্যে কি ঘটে, সুবিচার এরা পায় কিনা -- সেটা নিয়ে নাগরিকের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত ... কারণ এদের হাতে এখন আর ক্ষমতা নেই, অন্যায়ের শিকার হলে এখন এরাই হবে, আর নাগরিক মনোযোগ সবসময় সেদিকেই থাকা উচিত যেখানে নির্বিচারে কিছু হবার সম্ভাবনা থাকে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

একমত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক সহমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

রোদ্দুর [অতিথি] এর ছবি

তুমি যদি আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা কর তাহলে তোমায় ক্ষমা করতে পারি কিন্তু বিশ্বাস কি করতে পারি?

বকলম এর ছবি

[quote]"বিডিআরের পক্ষে স্লোগান দেওয়া এরা কি ষড়যন্ত্রকারী না সহমর্মী জনতা? এরাই আজ সেনাকর্মকর্তাদের জন্য শোকার্ত। এক দেহে দুই ভাবই এই ঘটনার দ্বান্দ্বিকতা?"
আমি কিন্তু আম জনতার এই পক্ষবদলকে খুব খারাপভাবে দেখি না। হাজার বছর ধরে নিষ্পেষিত হতে হতে বন্চিতের/অত্যাচারিতের/শোষিতের পক্ষে যাওয়াটা এদের রক্তে ঢুকে গ্যাছে। প্রথম দিন এদের কাছে মনে হয়েছে বিডিআর ভুক্তভোগী, আবার সবকিছু জানার পর এরাই এখন কাঁদছে। যদি আর্মি কয়েকশ' বিডিআর মেরে ফেলতো, এরাই আবার ঘুরে দাঁড়াতো।

তবে media র instigate করার ব্যাপারটা জানিনা। হওয়ার সম্ভবনাই বেশী। ব্যাক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি - আমাদের media তে 'পদের' লোক নাই বললেই চলে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমরা ঢাকার লোকজন (সাধারন ভাবে) বড়ই অদ্ভুত চরিত্রের। ধরুন রাস্তায় নিতান্ত অত্যাচারিত গরীব কাউকে দেখলে তাকে সাহায্য করতে মন উঠলে উঠে, আমরা করিও। আবার খুব দামী একটা গাড়ী সামে দিয়ে হুস করে চলে গেলে নিজেকে মনে মনে ঐটার মালিক ভেবে স্বপ্ন দেখি, আবার সূযোগ পেলে ঢিল ও ছুড়ি।

...........................
Every Picture Tells a Story

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটা মনে হয় আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট।

দিগন্ত এর ছবি

এটা একধরণের অদ্ভুত মানসিকতা। পশ্চিমবঙ্গেও একই জিনিস রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে বসে আছে। যে লোকটা দামী গাড়িতে চড়ছে যে সে খেটেখুটে টাকা বানিয়ে থাকতে পারে, সে খেয়ালই থাকে না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

মুস্তাফিজ ভাইয়ের মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

দিগন্ত এর ছবি

আজ তাদের প্রতি সুবিচার না করলে তাদের অনেকেই ফেরারি হবে, অপরাধী হয়ে যাবে, জঙ্গিদলে নাম লেখাবে।

এইটাই খুব চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশে এখনও অবধি যারা জঙ্গীদলে আছে তারা নেহাতই সিভিলিয়ান, হয়ত বড়জোর বোমা বাঁধতে আর গুলি চালাতে পারে। কিন্তু যদি এদের সাথে বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ বিডিয়ার যোগদান করে তাহলেই সমস্যা গভীরে ঢুকবে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সৌরভ এর ছবি

আপনি একজন সম্মানিত কলামিস্ট, টিভি টক শো র নিয়মিত বক্তা। সেইজন্যে নিজের প্রায়মূর্খছোট মুখে নিতান্তই আনাড়ি কমেন্ট করতে লজ্জা পাই। কিন্তু আজকে কমেন্ট করতে ইচ্ছে করছে।

শুধু অনুমান ভিত্তিক বিশ্লেষণ করুন, সমস্যা নেই। আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে করুন। আপনার আগের দ্বিতীয় পোস্টটা আরেকবার পড়ে দেখুন তো। নানারকম গুজব আর অনুমান দিয়ে ভর্তি। এই পোস্টটাও সেইরকম। ফাক্টস আর হাইপোথিসিস এর মধ্যে সীমারেখাটা বোঝা যায় না।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সুহাস এর ছবি

উনার অনুমানভিত্তিক বিশ্লেষণ শুধু এই একবার নয়, আগেও করেছেন। বোম্বের ঘটনার পর অনুমান ভিত্তিক একটা পোস্ট লিখে ফেললেন হিন্দু উগ্রবাদীদের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে। পরে দেখা গেল এতে পাকিস্তানের হাত আছে। উনার সমস্যা হল উনি প্রচলিত নিউজ মিডিয়ায় বিশ্বাস করেন না, কিন্তু কাউন্টার কারেন্টসের যাবতীয় লেফিট উইং ট্র্যাশ গোগ্রাসে গিলেন। ওগুলোর প্রতি তার কোন সন্দেহ হয় না কখনো। হুট হাট লেখার আগে উনার আরো ভাবা উচিত।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমি অনুমানে কথা বলছি না, হাইপোথিসিসও ঝাড়ছি না। ঘটনার মধ্যে যে প্লটটি ধরা পড়ে সেটার দিকে ইঙ্গিত করছি। আমার আগের লেখাগুলো ডিজওন করিনি কিন্তু মনে রাখবেন।

দ্বিতীয়ত, এখন অজ্ঞানতাও বরং ভাল, ভুল জানা বা ভুল দিকে অঙ্গুলি তোলার থেকে। আবারও বলি মিডিয়া মেডিয়েটেড সিনারিও সত্যের অর্ধেক। বাকি অর্ধেক কেন, বাকির এক কণাও পুরো চিত্রকে অন্য চেহারায় দাঁড় করাতে পারে। এই লেখাটা সমঝোতার ভিত্তি কোথায় হতে পারে, তা ঠিক করার জন্য। বিশ্লেষণ বা অভিযোগ ঠিক করার জন্য না।

আমি মনে করি, বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংকটে আছে। এ মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য দরকার। বিপদ মোটেও কাটেনি, আমরা বোধহয় মাঝপথে আছি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

পড়ে দেখলাম সৌরভ ভাই। দেখি যে যা বলেছি সব ঠিকই আছে। সেগুলো ঘটেছে। এই যে, সেখানকার উদ্ধৃতি:

quote]মনে হচ্ছে, এটা পূর্বপরিকল্পিত। দরবার হলে অফিসাররা যখন সমবেত, তখন তাদের ঘেরাও করে ফেলার সংবাদ এসেছে। এর মধ্যে ভারি অস্ত্র ও বিমান বিধ্বংসী কামানও বসিয়েছে সৈন্যরা। এসব এক ঘন্টার নোটিসে করা যায় না। তবে আর্মিও মনে হয় কম রক্তপাতে এর শেষ করতে চায়। যদি বেশি রক্তপাত হয় সেটা যে বঙ্গভবন পর্যন্ত গড়াবে না তার কোনো নিশ্চয়তাই নাই। আর তা হলে সেটা হবে বাংলাদেশের চরম সর্বনাশের নতুন শুরু।

এর সঙ্গে নতুন পরিস্থিতিটাই কেবল যোগ করতে হবে। তা করলে দেখা যায় যে, বিদ্রোহ এই ঘটনার নির্ধারক তাতপর্য নয়, সঙ্গে এই হত্যকাণ্ড যোগ হয়ে মাত্রার বদল হয়ে গিয়েছে। সামনের দিনে নিশ্চয়ই আরো কিছু যোগ হবে। সেজন্যই উপসংহার টানছি না। তবে, আমার লেখা বছর খানেক আগে লেখা এ ব্লগে একাত্তরের অ্যান্টিথিসিস লেখাটা কিংবা আমার নতুন বই, জরুরি অবস্থার আমলনামাটা পড়ে দেখতে পারেন। আমি দাবি করছি, আমার পূর্বাভাস ও এখনকার বিশ্লেষণে ভুল হয়নি। বরং তার সঠিকতাই আবারো প্রমাণ হলো।

যদি এমন হয় যে, এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের কিছু লোক এবং আমাদের কোনো পরম 'বন্ধু' জড়িত, তাহলে কি খুব অবাক হবেন?
বরং সেখানে অনেকে যে অবস্থান নিয়েছেন, পরে রাডিক্যালি পাল্টেছেন। দয়া করে আবার পড়ে দেখে এসে বলবেন?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমার কাছেও আগের পোস্ট দু'টা তেমন একটা ফারুক ওয়াসিফ-সুলভ মনে হয়নি। আপনার লম্বা, গভীর বিশ্লেষণগুলোর আমি খুব মনোযোগী পাঠক। অনেক কিছু শেখার আছে আপনার বিশ্লেষণের ধরণ থেকে। কিন্তু গত পোস্ট দু'টা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ আর অস্থির মনে হয়েছে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ভাই ইশতিয়াক, অস্থির সময়ে অস্থির নিশ্চয়ই ছিলাম এবং আছি। কিন্তু বুদ্ধিনাশ হয়নি এবং প্রিকনসিভড আইডিয়ায় ভর করেও দৌড়াইনি। এই ঘটনার ইঙ্গিত আমার বইয়ে আছে, আমার একাত্তরের অ্যান্টিথিসিস লেখায় আছে, জরুরি অবস্থার আমলনামায় আছে।

বিডিআর বিদ্রোহকে বিশুদ্ধ ষড়যন্ত্র বলা, আবার হত্যাকাণ্ডকে বিদ্রোহীদের কাজ বলা দুটোই চরম অবস্থান। একটার মধ্যে আরেকটা ঘটনা ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। সাধারণ জওয়ান ও জনতার ভাবাবেগকে ব্যবহার করা হয়েছে। কেবল একটা জিনিস খেয়াল করুন না,
বিডিআর = ছত্রভঙ্গ এবং নৈতিকভাবে পর্যুদস্তু।
আর্মি = চরম লাঞ্ছিত, অপমানিত, নিহত এবং .....
সরকার = নিঃসঙ্গ, বিপন্ন, অবরূদ্ধ এবং পতনের হুমকির মুখে।
প্রধানমন্ত্রী = একাকি, সমস্ত দায় তার দিকে নিক্ষিপ্ত, বহুমুখী টানাপড়েনের শিকার, তাঁর জীবনও নিরাপদ নয়।
জনগণ= অস্পষ্ট, নিষ্ক্রি য়, প্রকৃত শত্রু সম্পর্কে প্রায় অনবহিত।

এই হচ্ছে, আমাদের রাষ্ট্রের অবস্থা। এই সংকটও হয়তো আমরা কাটিয়ে উঠবো। কিন্তু কিসের বিনিময়ে? কিন্তু ঘটনাগুলো যে ডিজাইন ধরে ঘটছে এটা তার মধ্যগগন। পরে কী আছে? সমস্ত পথ রোমে গিয়ে মেশে নাকি, সেই রোমটা কোথায়? এতে কাদের লাভ সেই হিসেবও করা দরকার।

আমার বিশ্বাস সময় আমাকে সঠিক প্রমাণ করবে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

দিগন্ত এর ছবি

আপনার লেখা সম্পর্কে একটা সাধারণ মতামত। আপনি আপনার চিন্তায় সবসময় প্রাধান্য দেন ঘটনায় কারা লাভবান হবে এই ব্যাপারটা। কিন্তু ঘটনা হল লাভ ব্যাপারটা সবাই নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখে। সুতরাং আপনি কোনো এক পক্ষকে যদি বলেন তাদের অনেক লাভ হয়েছে, তাদের দৃষ্টিকোণ সম্পর্কেও সঠিক মূল্যায়ণ হতে হবে।

আপনার কথার সূত্র ধরে বলি, কদিন আগে এক পাকিস্তানী চ্যানেলে এক ডিফেন্স এক্সপার্ট দাবী করে বসেন যে ১৯৭১-এ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বিভেদ ও পরবর্তী দেশভাগ বহিঃশত্রুর পরিকল্পনার ফল কারণ এই বিভেদ থেকে তারাই (পড়ুন ভারত) সবথেকে বেশী লাভবান হয়েছে। এখন এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে এতে ভারত লাভবানই হয়েছে। লোকসান হয়েছে পাকিস্তানের। তার মানে এরকম মনে করার নিশ্চয় কোনো কারণ নেই যে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর কোনো দায় ছিল না। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী নিজেদের লাভের একটা ভুল মূল্যায়ণ করেছিল। তারা এও মনে করেছিল আর্মি ব্যবহার করে সব বিক্ষোভ দমন করা সম্ভব। সেই ভুল মূল্যায়ণের সূত্র ধরেই কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষতি। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে লাভ-ক্ষতির হিসাবটা করলে তবেই হিসাব মিলবে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

জ্বি, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই মূলত ১৯৭১ কে তাদের যুদ্ধ বলে মনে করে। তাদের মধ্যে তখন একটা যুদ্ধ হয়েছিল কিন্তু মূল যুদ্ধটা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ।

* ভারত-পাকিস্তান জন্ম থেকেই শত্রু রাষ্ট্র। এবং জন্মের পর থেকেই তারা পরস্পরের ক্ষতিসাধনে ব্যস্ত। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ভারতপন্থি একটি সাংষ্কৃতিক-রাজনৈতিক স্ট্যাবলিশমেন্ট তারা তৈরি ও রক্ষা করে আসছে। পাকিস্তানও একই কাজ করছে। মার্কিন গবেষক ক্রিস্টিন ফেয়ার যেমন বলেছেন, ‌বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে ভারত-পাকিস্তানের প্রক্সিওয়ার জোন।

* বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতের প্রকাশ্য ও গোপন সমর্থন আগে থেকেই ছিল। যুদ্ধের সময় সেটা তারা প্রকাশ্যে করেছে। তাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেবল ত্বরান্বিতই হয়নি, বিশেষ একটি গড়নও পেয়েছে।

* ভারত মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক ও সামরিক নের্তৃত্বকে অনেকটা প্রভাবিত ও বাধ্য করেছে নানা প্রশ্নে। মুজিব বাহিনী তো র-য়েরই সৃষ্টি। কিন্তু এগুলো অনুঘটক। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে বাঙালিদের স্বাধীনতার দাবিতে, নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। অনুঘটক ঘটনার নায়ক নয়। ঘটনার নায়ক পূর্ব বাংলার অসাম্প্রদায়িক-উদার জনগণ। তাই লাভবানের হিসেব দিয়ে এ যুদ্ধকে বোঝা যাবে না, যেটা ভারত-পাকিস্তান বুঝতে চায়।

* এ ঘটনাতেও কেউ লাভবান হবে, কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাদের চিহ্নিত করা দরকার। তার আগে দরকার ঘটনার সঙ্গে কারা কেন জড়িত তা বের করা। কে লাভবান হবে সেটা জানা একটা শর্ত, কিন্তু সেটাই যে মূল শর্ত সেটা আমার লেখার কোন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত তা দেখাতে হবে। যেখানে ভাসুরের নাম আনা যায় না, সেখানে যেভাবে বলা দরকার সেভাবেই বলতে হবে। এখানে বলে রাখি, পাকিস্তান এখন কোনো স্বতন্ত্র সত্তা নয়, তা কিছুটা আমেরিকার কিছুটা তালেবানের। বাংলাদেশ বাংলাদেশেরই, তার একদিকে পাকিস্তানের কাঁধে সওয়ার আমেরিকা আরেকদিকে ভারতের কাঁধে সওয়ার আমেরিকা-ইসরেল।

আর হ্যাঁ, এ ঘটনা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নটি কী, তা জানলে ভাল হতো। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উতপত্তি তো স্বতন্ত্র বোঝাপড়া থেকে। সেটা জানাও তো আলোচনার জরুরি অংশ।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

দিগন্ত এর ছবি

যেখানে ভাসুরের নাম আনা যায় না, সেখানে যেভাবে বলা দরকার সেভাবেই বলতে হবে।
- হো হো হো আশাকরি সচলে লেখার সময় সব ভাসুরের নামই মুখে আনা যাবে হো হো হো.

এ ঘটনা সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নটি কী
- এই ঘটনায় আমি প্রচুর পরস্পরবিরোধী তথ্য পাচ্ছি, তাই আমার কাছে কোনো কনক্লুসন নেই এখনও। লেখার অপেক্ষায় আছি।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আপনার সঙ্গে আমিও সেই আশায় আছি। কিন্তু অট্টহাসি দিতে পারছি না।

কনক্লুসন ছাড়াও কিছু পয়েন্ট তো দিতে পারেন। মানে আমার লেখাটা পড়বার সময় আপনার যে কথা গুলো মনে হয়েছিল।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বিডিআর = ছত্রভঙ্গ এবং নৈতিকভাবে পর্যুদস্তু।
আর্মি = চরম লাঞ্ছিত, অপমানিত, নিহত এবং .....
সরকার = নিঃসঙ্গ, বিপন্ন, অবরূদ্ধ এবং পতনের হুমকির মুখে।
প্রধানমন্ত্রী = একাকি, সমস্ত দায় তার দিকে নিক্ষিপ্ত, বহুমুখী টানাপড়েনের শিকার, তাঁর জীবনও নিরাপদ নয়।
জনগণ= অস্পষ্ট, নিষ্ক্রি য়, প্রকৃত শত্রু সম্পর্কে প্রায় অনবহিত।

এই যে, এই ফারুফ ওয়াসিফের কথাই বলছিলাম। আপনার দু-তিনটা লেখার চেয়ে এই একটা মন্তব্যাংশ অনেক বেশি পরিষ্কার করে দিয়েছে সব। হাসি

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

তাহলে একসঙ্গে এতগুলো পাখি মারার শিকারি কারা? রাষ্ট্রের সবগুলো সংস্থাকে একযোগে আক্রমণ করার সামর্থ্য কারা রাখে?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এর থেকে ভালো সারমর্ম এখনো পড়িনি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

তীরন্দাজ এর ছবি

আমাদের ঘরে ঘরে অনেক ধরণের, অনেক গড়নের, বিভিন্ন রঙের চশমা আছে। আমরা সেগুলো সময়বিশেষে, হাওয়ার দিক আর গতি পরখ করে পাল্টাই। বেশ আরাম হয়, নিজেকে বেশ বিবেকবান আর শক্তিশালী মনে হয়। দেখবেন, বাজারে চশমার দাম এই ক'দিনেই বেড়ে গিয়েছে বেশ।

আপনার লেখা আর বক্তব্যের সাথে সেরকম কোন চশমা না পরেই সহমত প্রকাশ করছি ফারুক ওয়াসিফ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নদী এর ছবি

"আমাদের ঘরে ঘরে অনেক ধরণের, অনেক গড়নের, বিভিন্ন রঙের চশমা আছে। আমরা সেগুলো সময়বিশেষে, হাওয়ার দিক আর গতি পরখ করে পাল্টাই। বেশ আরাম হয়, নিজেকে বেশ বিবেকবান আর শক্তিশালী মনে হয়। দেখবেন, বাজারে চশমার দাম এই ক'দিনেই বেড়ে গিয়েছে বেশ।"

২৫ তরিখের অনেকের চশমার সাথে ২৬ তারিখের চশমা মিলেনা; ২৬ তারিখের সাথে আবার ২৭ তারিখেরও মিলেনা। যাদের হৃদয় আলোয় গড়া, এরপর সাদা চোখে একসময় সবাই এক রাস্তাতেই হাঁটবে, যেমন আমরা হাঁটি ২১শে ফেব্রুয়ারীতে খালি পায়ে।

বিচার চাই এই ভয়াবহ অপরাধের কারিগরদের। তেমনি চাই নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়।
ফারুক ওয়াসিফের সময়োপযোগী পোষ্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

নদী

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বেশ আরাম হয়, নিজেকে বেশ বিবেকবান আর শক্তিশালী মনে হয়। দেখবেন, বাজারে চশমার দাম এই ক'দিনেই বেড়ে গিয়েছে বেশ।

উত্তম জাঝা!
এজন্যই আপনার হাতে তীর-ধনুকটা এতো মানায় তীরুদা চলুক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

তী্রন্দাজ ভাইয়ের মন্তব্যে ( জাঝা)

আমাদের ঘরে ঘরে অনেক ধরণের, অনেক গড়নের, বিভিন্ন রঙের চশমা আছে। আমরা সেগুলো সময়বিশেষে, হাওয়ার দিক আর গতি পরখ করে পাল্টাই। বেশ আরাম হয়, নিজেকে বেশ বিবেকবান আর শক্তিশালী মনে হয়। দেখবেন, বাজারে চশমার দাম এই ক'দিনেই বেড়ে গিয়েছে বেশ।

আপনার লেখা আর বক্তব্যের সাথে সেরকম কোন চশমা না পরেই সহমত প্রকাশ করছি ফারুক ওয়াসিফ!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ধন্যবাদ তীরন্দাজ। সব তো বলতে পারছি না, লেখা তিনটি মেলালে একটা রেখা পাবেন। সেই রেখাটি শেষ হয়নি। শেষটা বলতে আরো সময় দরকার। এরকম মুহূর্তে অনুমানে ভর করে দরিয়া পাড়ি দেওয়া যায় না।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

সবার মন্তব্য পড়েছি। এবং আশাবাদী হয়েছি আমরা যারা কেবল নাগরিক হিসেবে এই রাষ্ট্রটাকে নিজের মনে করতে চাই, এর অস্তিত্বকে হেয় বা একে বাতিল করে দিয়ে জনগণের মঙ্গল চাই না, তাদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরির সামর্থ্য বাড়ছে। এরকম মুহূর্তে বিশ্বাস বা আবেগের দ্বারা চালিত হওয়াও উচিত নয়। আবার এই বিপ্লবীপনাও আমি সমর্থন করি না যে, এই রাষ্ট্র লুটেরাদের এই আর্মি সাম্রাজ্যবাদের, এই সরকার ভারতের ইত্যাদি বলে কোনো দায়দায়িত্ব না নিয়ে সবকিছুর নিরর্থক বিরোধিতা করা। জরুরি অবস্থা জারির আগে আমাদের বুদ্ধিজীবী সমাজ এই লাইনে ভেসে গিয়েছিল। তার ফল আমরা পেয়েছি।

এই লেখাটা আমি যাকে বলে, জাতীয় রিকনসিলিয়েশন, ন্যাশসাল প্যাথোস সেই জায়গাটাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের প্রতি ন্যায্য সমবেদনা জানাবার চেষ্টা করেছি। এখানে বিশ্লেষণ তেমন নাই। গতকালের পরিস্থিতিতে এটাই আমার কাছে করণীয় মনে হয়েছিল। যদি কাল এটা পত্রিকায় আসে তাহলে হয়তো কিছুটা বদলাব।

এখন, আমার অবস্থান হলো,

১. এটা একইসঙ্গে বিদ্রোহ এবং তার মধ্যে ভেতরের লোকের সহযোগিতায় বাইরের কোনো শক্তির নাশকতা।
২. বিডিআরের ভেতরে জনপ্রিয় বিদ্রোহ এটা না হলে সারাদেশের সকল ব্যাটালিয়নকে সামিল করতে পারতো না। মুষ্ঠিমেয় লোক ১৫ বা ১০ হাজার কেন একশ বিডিআরকেও তাদের সঙ্গে পেত না।
৩. তারা চেয়েছিল রাষ্ট্র তার সকল প্রতিষ্ঠানসহ ভেঙ্গে পড়ুক। সরকার পড়ে যাক, বিডিআর আর্মি গৃহযুদ্ধ করুক এবং এটা সুদান বা সোমালিয়ার দশায় পড়ুক।
৪. তারা সর্বোচ্চ প্রতিহিংসা দেখিয়ে আর্মির তরফে সর্বোচ্চ প্রতিহিংসা নিশ্চিত করতে চেয়েছে। চেয়েছে, চেয়েছে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি করে একে বেসামরিক এলাকাতেও ছড়িয়ে দেয়া।
৫. তারা মুক্তিযুদ্ধের তিন সৃষ্টি রাষ্ট্র, রাজনীতি, সেনাবাহিনী এ তিনকেই ধ্বংস করতে চেয়েছে।
৬. এত বড় চক্রান্ত ও বিপজ্জনক ঘটনা এর আগে এদেশে ঘটেনি। নেতা মারা গেলেও দেশ তাকে। রাষ্ট্র না থাকলে কিছুই থাকে না।

এখন কথা হচ্ছে, তাদের মোটিফ কী ছিল, তাদের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিচয় কী? এ বিষয়ে পরে বলব বলে মাফ চাইছি।

কৈফিয়ত: এত বড় ঘটনা যেখানে পরিস্থিতির স্বার্থে ভুল স্বীকারে আসলেই আমার কোনো কুণ্ঠা নাই। আসলেই নাই। কিন্তু আমার মুম্বাই লেখা, কিংবা বিদ্রোহ নিয়ে আগের দুটি লেখার মৌলিক স্বর বদলের সমর্থন আমার জ্ঞান-বুদ্ধিতে পাচ্ছি না। সব যদি এখানে বলা যেত আমি বলতাম।
যারা এ নিয়ে সন্দেহ করছেন, তাঁরা যুক্তি-তথ্য দিয়ে বলতে পারেন। কিন্তু এখন মুম্বাইয়ে ঢুকতে পারব না যে, বাংলাদেশ নিয়েই থাকতে হবে। আর প্রথম লেখাটা ছিল তাৎক্ষণিক তথ্য জানানো। দ্বিতীয় লেখায় বিদ্রোহের গাঠনিক চরিত্র কিছুটা বলে বলা হয়েছে পরের পর্বে বাকিটা বলা হবে। ফলে আমি আমার চিন্তার ঐক্য বজায় রেখেই বলছি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পিলখানার ঘটনায় হতভাগ্য সেনা অফিসারদের জন্যই কাঁদছি আমরা। যে বিডিআর জোয়ানেরা একই ভাগ্য বরণ করলো তাদের কোনো খবর নেই, না মিডিয়ায় না আমাদের আলোচনায়! আমরা এতোটা এক পাক্ষিক কেনো?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

আপনার সাহস আছে ব্রাদার।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

প্লটে তো এটাই লেখা ছিল, প্রথমে বিডিআর পরে আর্মি তারপরে হাহাকার। বিডিআর জওয়ানরা অপরাধী নয়। তার থেকে বড় কথা, তারা কোথায় এবং তাদের কী হলো এবং তাদের কী ব্যাখ্যা, সেটা না জানলে ঘটনার পুরোটা কখনোই জানা হবে না।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

পরবাসী  এর ছবি

প্রিয় ফারুক ওয়াসিফ
আপনার নিজের লেখাটাতে পুরোনো ফারুক ওয়াসিফ খুজে পাওয়া গেলো না
মন্তব্যে কিছুটা আলোর ছটা দেখতে পেলেও ঘটনা টা বেশিদুর সামনে বা পেছনে নিয়ে যেতে পারেন নি
আমি মুখ্য সুখ্য পরবাসী মানুষ
আমার মনে হয় বিডিয়ার বিদ্রোহ আরেকটা পচাত্তুরের বিজ বপন করে গেলো
জনগন নির্বাচিত সরকার এখনই যদি বিদ্রোহী দের ধরতে ব্যার্থ বলবো না কালক্ষেপন করে তাতে করে সেনাবাহিনী তে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বেড়ে অভ্যুত্থান আকারে বিস্ফোরন ঘটা মনে হয় সময় এর ব্যাপার মাত্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।