অবাধ তথ্যপ্রবাহের জন্য চাই সম্প্রচার নীতিমালা

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন ফিরোজ জামান চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৭/০৯/২০০৯ - ১২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের বয়স ৩৮ আর বিটিভির বয়স ৪৫ পেরিয়ে গেল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একটি সম্প্রচার নীতিমালা বা সম্প্রচার আইন করা সম্ভব হলো না। কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়াই চলছে ১২টি টেলিভিশন আর চারটি রেডিও স্টেশন। এগুলোর একমাত্র ভরসা তথ্য মন্ত্রণালয়ের `দয়া। অন্যভাবে বললে সরকারের`শুভদৃষ্টি'। এটি কোনোভাবেই গণমাধ্যমের জন্য সহায়ক পরিবেশ নয়।

আমাদের দেশে যখনই যে দল মতায় আসে, তারাই মনে করে, মতার `চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' তারা পেয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন নেতারা সরকার আর রাজনৈতিক দলকে একাকার করে ফেলে। তাই তারা গণমাধ্যম-সহায়ক কোনো নীতিমালা বা আইন করতে আগ্রহ দেখায় না। কোনো উদ্যোগ একধাপ এগোলেও তোষামোদকারী আর রণশীলদের চাপে সরকার দুধাপ পিছিয়ে যায়। গত দুই দশকে সরকারগুলোর মধ্যে এ প্রবণতার পুনরাবৃত্তিই আমরা দেখে আসছি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার মতায় আসার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনেই তথ্য অধিকার আইন পাস করে অবাধ তথ্যপ্রবাহের দ্বার উন্মুক্ত করেছে। কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা দেখতে চাই অবাধ তথ্যপ্রবাহের পক্ষে সরকারের ইতিবাচক সাড়া হিসেবে। এখন সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের দিকে।

জাতীয় সম্প্রচার নীতি এমন কিছু মৌলিক নীতি, প্রথা, নিয়ম ও বিধিমালার সমষ্টি, যার মাধ্যমে দেশের সম্প্রচার-বিষয়ক যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সম্প্রচার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ বিভিন্ন সময় নেওয়া হলেও কখনোই তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ সালে তৎকালীন সরকার মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব মুজিবুল হকের নেতৃত্বে নয় সদস্যবিশিষ্ট একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করে। কমিশন ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সরকারের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে ঠিকই, কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর আগে-পরে নানা শিরোনামে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার কোনোটাই কোনো সরকারের টনক নড়াতে পারেনি। ফলে কিছু আংশিক নীতি-বিধান, অ্যাডহক সিদ্ধান্ত আর প্রথার ওপর ভিত্তি করেই সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে সম্প্রচার মাধ্যমগুলো সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রচার করে চলেছে। নিয়ম-নীতি ছাড়া একটি দেশের সম্প্রচার মাধ্যম সঠিকভাবে চলতে পারে না। তাই অবিলম্বে একটি জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রণয়ন অপরিহার্য।

১৯৯৬ সালের বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসন কমিশন প্রণীত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার কর্তৃক সংসদে জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠনের বিল আনতে হবে, জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠন ও তার কার্যপরিধি নির্ধারণ করতে হবে এবং জাতীয় সম্প্রচার কমিশন কর্তৃক সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে (আসাফ্উদ্দৌলাহ্ ও অন্যান্য ২০০৭)। কিন্তু জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, সরকার সে সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়নি।

বরং কিছুদিন পর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি বেতার-টিভির জন্য দুটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। ১৯৯৮ সালে `বেসরকারি মালিকানায় টেলিভিশন চ্যানেল স্থাপন ও পরিচালনা নীতি' এবং `বেসরকারি মালিকানায় বেতার কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতি' -এ দুটি খসড়া নীতিমালার আলোকে এখনো বেসরকারি রেডিও ও টেলিভিশনের সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও আইন না থাকায় সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর বিড়ম্বনার অন্ত নেই। একুশে টিভির (ইটিভি) কথাই ধরা যাক। সম্প্রচার আইনের অভাবে কীভাবে `বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে' তা আমরা দেখেছি সে সময়। ইটিভির লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে যেমন সরকারের আনুকূল্য ছিল, তেমনি এর টেরিস্ট্রিয়াল লাইসেন্স বাতিলের বিষয়েও পরের সরকার সচেতনভাবে তৎপর ছিল। আদালতের রায় ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যে ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট ইটিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়- সরকারের সেই ভূমিকা জাতিকে হতবাক করেছিল। এসবই সম্ভব হয়েছে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার অভাবে।

২০০৩ সালে সম্প্রচার নীতিমালার একটি মানসম্মত খসড়া প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত সরকার সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য উদার এ নীতিমালা গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে তাদের অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। মালয়েশিয়াভিত্তিক এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট অব ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) নামে একটি প্রতিষ্ঠান `বাংলাদেশ ব্রডকাস্টিং অ্যাক্ট' নামে সম্প্রচার আইনের খসড়াটি করেছিল। এ খসড়াটি ছিল অত্যন্ত মানসম্পন্ন একটি নীতিমালা। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি।

সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের পরিবর্তে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। কোনো সম্প্রচার নীতি না থাকায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দলীয় ব্যক্তিদের একের পর এক টিভি লাইসেন্স প্রদান করতে থাকে। মোসাদ্দেক আলী ফালু একাই দুটি টিভির (এনটিভি, আরটিভি) লাইসেন্স পেয়ে যান অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে। কিন্তু যোগ্য প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর চেষ্টা করেও অনেক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পায়নি। এসবই দেশে একটি সম্প্রচার নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। তাই অতি দ্রুত একটি সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের কাজে হাত দিতে হবে, পরবর্তী সময়ে যার ভিত্তিতে সম্প্রচার আইন প্রণয়ন করা সহজ হবে।

খ.
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত হওয়া অপরিহার্য এমন কিছু বিষয় সরকারের বিবেচনার জন্য উল্লেখ করা হলো:

১. সম্প্রচার নীতিমালায় বেসরকারি পর্যায়ে রেডিও-টিভির লাইসেন্সপ্রাপ্তির পূর্ণাঙ্গ বিধান থাকতে হবে। ন্যূনতম কী ধরনের অবকাঠামো ও লোকবল থাকলে একটি টিভি ও রেডিও স্টেশন সম্প্রচারের অনুমতি পাবে, নীতিমালায় তা স্পষ্ট করতে হবে। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে অবশ্যই যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরকার লাইসেন্স দিতে বাধ্য থাকবে। নিজ খরচে বেসরকারি পর্যায়ে টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচারের সুযোগ অবারিত থাকতে হবে। একটি টিভি স্টেশন একই লাইসেন্সের মাধ্যমে স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল- উভয় ধরনের সম্প্রচারের অধিকার লাভ করবে। ভবিষ্যতে কমিউনিটি রেডিও ও কমিউনিটিভিত্তিক টেলিভিশন কীভাবে পরিচালিত হবে, তার লাইসেন্স প্রক্রিয়া কী হবে, তা-ও নীতিমালায় থাকতে হবে।

২. প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ ও চাহিদার বিষয়টিও নীতিমালা প্রণয়নের সময় মাথায় রাখতে হবে। অদূর-ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনভিত্তিক টিভি, ইন্টারনেট টিভি ও ইন্টারনেট রেডিও চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। নীতিমালায় এ বিষয়গুলোও যুক্ত থাকা দরকার।

৩. সরকার-নিয়ন্ত্রিত বিটিভি ও বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে, যাতে তা মতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রচারযন্ত্রে পরিণত না হয়।

৪. বিটিভিসহ সব টিভি চ্যানেলে ফ্রিল্যান্স বা মুক্ত নির্মাতাদের তৈরি কমপক্ষে ২০ শতাংশ অনুষ্ঠান কেনার বিধান থাকতে হবে। এর মাধ্যমে অনেক মেধাবী নির্মাতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে; উন্নত দেশে মুক্ত নির্মাতাদের জন্য এ ধরনের কোটা রয়েছে।

৫. প্রতিটি রেডিও টিভিতে বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অন্তত ১০ শতাংশ শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

৬. রেডিও-টিভি কোনোখানেই এমন কোনো অনুষ্ঠান বা বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকা উচিত নয়, যার মাধ্যমে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে।

৭. স্পর্শকাতর বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে; অভিযুক্ত বা অভিযুক্তপরে প্রতিনিধির বক্তব্য ছাড়া কোনো সংবাদ প্রচার করা যাবে না।

৮. অনুষ্ঠান প্রচারের ক্ষেত্রে গ্রেডিং থাকতে হবে। কোনটি শিশুদের আর কোনটি প্রাপ্তবয়স্কদের অনুষ্ঠান, তার উল্লেখ থাকতে হবে।

৯. টিভিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের বিষয়ে নির্দেশনা থাকতে হবে।

১০. সম্প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। বিজ্ঞাপনে কখনোই অসত্য তথ্য এবং নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য ও ছবি প্রচার করা যাবে না।

যেকোনো সম্প্রচার নীতিমালা সে দেশের সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর জন্য গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের আতঙ্কিত করে। এ নীতিমালা যেন কোনোভাবেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার না হয়ে ওঠে, সে বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা জরুরি। নিয়ন্ত্রণমূলক নয়, আমরা চাই গণমাধ্যমবান্ধব সম্প্রচার নীতিমালা।

সুস্থ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি নির্মাণ ও সুশাসনের জন্য প্রয়োজন অবাধ তথ্যপ্রবাহ। তথ্য অধিকার আইন পাসের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকারকে সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকারের এখনই উচিত, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নে উদ্যোগী হওয়া। তথ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে দ্রুতই এ দায়িত্ব দিতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির প্রত্যেকেই সজ্জন ও উদার চিন্তার মানুষ হিসেবে পরিচিত।

শুরুতেই বিবেচনায় নিতে হবে এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট অব ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট (এআইবিডি) কর্তৃক ২০০৩ সালে প্রণীত `বাংলাদেশ ব্রডকাস্টিং অ্যাক্ট' নামে সম্প্রচার আইনের খসড়াটি (হোক না তা বিএনপি সরকারের সময় প্রণীত)। এটি একটি উন্নতমানের খসড়া হিসেবে গণমাধ্যম-গবেষকদের কাছে সমাদৃত হয়েছে। নতুন করে শূন্য থেকে শুরু করার কোনো মানে হয় না। এ ছাড়া রয়েছে ইউনেসকোর একটি সর্বজনীন সম্প্রচার নীতিমালা। ইউনেসকো নীতিমালার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাপানের সম্প্রচার নীতিমালাও পর্যবেণ করা যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ২০০৩-এর খসড়াটি কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে সংসদীয় কমিটি সহজেই চূড়ান্ত করতে পারবে। এরপর খসড়া সম্প্রচার নীতিমালাটি ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করে দিতে হবে, যেমনটা তথ্য অধিকার আইনের বেলায় করা হয়েছিল। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা যুক্ত হতে পারে, যা নীতিমালার একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে।
সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের কাজটা খুব কঠিন নয়। প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছার।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের দেশে যখনই যে দল ক্ষমতায় আসে, তারাই মনে করে, ক্ষমতার `চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' তারা পেয়ে গেছে।

-খুবই সত্যি কথা।

কিশোয়ার

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ কিশোয়ার।

(ইস্যু বহির্ভূত:
আপনি কি বাংলাভিশনের কিশোয়ার লায়লা,নাকি অন্য কেউ? ইচ্ছে হলে উত্তর দিতে পারেন?)

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

হাসিব এর ছবি

৩. সরকার-নিয়ন্ত্রিত বিটিভি ও বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে, যাতে তা মতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রচারযন্ত্রে পরিণত না হয়।

আমরা আসলে ভাবতে পছন্দ করি যে সরকার নিয়ন্ত্রনমুক্ত হলেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে । আদতে সেটা হয় না । মুক্ত মিডিয়ার তীর্থভুমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দলীয় প্রপাগান্ডা চালানোতে কয়েকটা বড় বড় চ্যানেল বিখ্যাত ।

৫. প্রতিটি রেডিও টিভিতে বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অন্তত ১০ শতাংশ শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে।

৬. রেডিও-টিভি কোনোখানেই এমন কোনো অনুষ্ঠান বা বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকা উচিত নয়, যার মাধ্যমে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে।

বড় বেশী সরকারি সরকারি শোনালো এই দুটো পয়েন্ট । অনুভূতির বাণিজ্য-রাজনীতি খুবই ভয়ঙ্কর বিশেষ করে প্রশ্নটা যখন নীতিমালা তৈরীর ।


১০. সম্প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। বিজ্ঞাপনে কখনোই অসত্য তথ্য এবং নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য ও ছবি প্রচার করা যাবে না।

অনেক দেশেই এই জাতীয় আইন রয়েছে এবং সেটা আরোও বিস্তৃতভাবে । উদাহরন - সরাসরি শিশুদের প্রলুব্ধ করে এরকম বিজ্ঞাপন জার্মান টিভিতে সম্প্রচার করা যায় না ।

হাসিব এর ছবি

একটা অফটপিক । আমি খেয়াল করেছি আপনি আপনার লেখার পরে ইমেইল এ্যাড্রেসটা সরাসরি দিয়ে দেন । এটা নিরাপদ না । এতে হাজারো স্প্যামের ভরে যেতে পারে আপনার ইমেইল ইনবক্স । আপনি এভাবে লিখতে পারে ইমেইল এ্যাড্রেসটি -

firoz.choudhury এ্যাট ইয়াহু ডট কম ।
অথবা,
firoz.choudhury [এ্যাট] ইয়াহু.কম ।
বা
firoz.choudhury [এ্যাট] yahoo [ডট ] com ।

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ হাসিব।
আপনার পরামর্শ কাজে লাগবে।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

গৌতম এর ছবি

অফটপিক: সামাজিক বিজ্ঞান পত্রিকায় পাঠ্যপুস্তকে জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিয়ে আপনার লেখা দেখলাম। ভালো লাগলো। তবে সময় পেলে এবং কপিরাইটজনিত সমস্যা না থাকলে লেখাটি এখানে তুলে দিতে পারেন। আলোচনা করা যাবে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ গৌতম।
দেখি, সময় পেলে আর্টিকেলটা এখানে তুলে দেবো।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।