সকালের অতি আরামের ঘুমটা মেরে দিয়ে বিছানা ছাড়তে বদরুদ্দীন ওরফে বদী বেপারীর একটু দেরি হয়ে যায়। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াতেই তার চল্লিশ বছরের ভাঙ্গাচোরা মুখটাতে একটা মিষ্টি হাসি দেখা দেয়। সেই হাসিতে তার দেহ আর মনের ষোল আনার উপর আরো দু' আনা তৃপ্তির রেশ। গত রাতের কথা মনে করে বদী বেপারী আরেকবার সুখানুভূতি লাভ করে। মনে মনে বলে "জব্বর একখান মাল আছিল" তারপর "ইয়ালিইই" বলে আড়মোড়া ভাঙ্গে, হাত দু'টা উপরের দিকে তুলে ঝাঁকি দেয়। মট মট করে হাতের গিরাগুলো ফুটে উঠে।
স্বভাব মত উঠোনে রাখা বদনা নিয়ে ছোট ঘরের দিকে যেতেই তার কেমন জানি সন্দেহ হয়। তার প্রিয় কুকুর কালু তাকে দেখে কেঁউ কেঁউ করে দূরে সরে যায়। তার মনে পড়ে, গত রাতে বাংলা খেয়ে নেশা হইছিল চরম, সে বাজারের জমিলা সুন্দরীর ঘরে বসে মাল টানতে আছিল আর মৌজ করতেছিল। কথায় কথায় সে জমিলাকে একাত্তুরে তার বাপের কুকীর্তির কথা বলে ফেলে। জমিলা শুনে কি করেছিল স্পষ্ট মনে নেই, তবে একটা কথা কানে বাজে "তোরে যদি আমি কুত্তা দিয়া না .... তাইলে আমার নাম জমিলা সুন্দরী না!"।
বদী বেপারী তার পরনের হাত কাটা সাদা স্যান্ডো গেঞ্জিতে ছোট ছোট কালো চুল দেখতে পায়। তার মনে হয় জমিলার চুলতো এত ছোট না! তাইলে কি সে রাতের বেলা.....!! তার হাতে ধরা বদনাটা টুপ করে খসে পড়ে, সারা গা কাঁপতে থাকে থরথর করে।
মন্তব্য
বেচারা কালু। ভাল লিখেছেন।
--------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
হা হা ..
সত্যি কালু বেচারার জন্য দুঃখ হয়।
ভালো লেগেছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন