১।
একবার দুর্বল ফায়ারওয়ালের কারণে অনেকগুলো কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমন করে। নেটওয়ার্ক এ্যাডমিন সামাল দিতে পারছিল না। এর মধ্যে সিএসই বিভাগের কিছু কম্পিউটার ক্র্যাশ করে। বিভাগের মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয় যে আমাদের কিছু আপডেটেট সফটওয়ার এবং কম্পিউটার কেনা আর একজন সহকারি নেটওয়ার্ক এ্যাডমিন নিয়োগ দেয়া হোক। কিন্তু কিছুতেই ভিসি সাহেবকে বোঝানো যাচ্ছে না যে, কি করে ভাইরাসের কারণে কম্পিউটার নষ্ট হতে পারে। তিনি ব্যাপারটা বিস্তারিত জানতে চান। বিভাগীও প্রধান পড়লেন বিপদে, বুঝতে পারছিলেন না ভিসি-কে কতটুকু ট্যাকনিক্যালি ব্যাখ্যা করলে তিনি বুঝতে পারবেন। আবার একেবারে কিছু না বললে তিনি বলে বসবেন- এই লোকতো কিছুই জানেনা!
২।
একবার সিএসই বিভাগ থেকে প্রস্তাব দেয়া হলো যে, শিক্ষকরা বিভিন্ন কনফারেন্স এ দেশের বাইরে যেতে হলে কর্তিপক্ষ যেন আর্থিক সহায়তা দেয়। তো ভিসি এতে রাজি হলেন, এবং গর্ব ভরে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং এ তা প্রচার করলেন যে, এখন থেকে শিক্ষকরা দেশের বাইরের কনফারেন্সে যেতে চাইলে তাদের আর্থিক সাহায্য করা হবে। তো কদিন পরেই এক শিক্ষক গেলেন তার পেপার একসেপ্টেন্স লেটার নিয়ে সাথে পুরো মেইলের কপি। ভিসি সাহেব সবগুলো পেইজ পড়ে দেখেন, একটা লিষ্ট আছে যেখানে বাকী অথারদের নাম ও ইমেইল আইডি আছে। তিনি নাম দেখে একে একে বলতে লাগলেন, কে চাইনিজ, কে তাইওয়ানিজ, কে জাপানিজ ইত্যাদি। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে চাইনিজদের নাম ছিল বেশি। সব পড়ে তিনি বললেন এইটা তেমন ভাল কোন কনফারেন্স না! এখানে বেশিরভাগ লোকই চাইনিজ! এর জন্য আর্থিক সাহায্যে দেয়া হবে না! কুটনীতিবিদ থাকা কালে চাইনিজদের সাথে তার অভিজ্ঞতা বোধহয় সুখকর ছিল না!
৩।
সিএসই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ভাইবা চলছে, এক্সপার্টরা বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন। শেষে সবাই ভিসি সাহেবের দিকে তাকাতে তিনিও "একটাও প্রশ্ন না করলে ক্যামনে হয়" ভেবে জিজ্ঞেস করলেন, "মাইক্রোপ্রসেসর কি হার্ডওয়ার নাকি সফটওয়ার?"!!
৪।
নতুন ক্যাম্পাসের একটা বিশাল অংশে নেটওয়ার্ক এক্সপান্ড করা হবে। তিনি ভাবলেন সিএসই বিভাগের শিক্ষকরা সারাদিন শুয়ে বসে থাকে, তাদের একটু গতর খাটানো দরকার। এতে অনেক টাকাও সাশ্রয় হবে। তাই তাদের বিভাগীও প্রধানকে তলব করা হলো। ভিসি সাহেব বললেন যেহেতু নেটওয়ার্ক এক্সপানশনটা বিশ্ববিদ্যালয়েরই কাজ, তাই শিক্ষকদের উচিত কাজটা বিনা পারিশ্রমিকে করে দেয়া! বিভাগীও প্রধান বললেন শিক্ষকরা যদিও কম্পিউটার নেটয়ার্কিং জানে, কিন্তু এই ধরনের কাজের জন্য দরকার বিশাল পরিমানে ক্যাবলিং, মেসারমেন্ট এবং একটা ভাল ডিজাইন যাতে পরবর্তিতে আবার নেটওয়ার্ক এক্সপানশনের সময় যেন ঝামেলা না হয়। শিক্ষকরা হয়তো ডিজাইনটা করে দিতে পারেন কিন্তু ক্যাবলিং অবশ্যই প্রফেশনাল লোকজন দিয়ে করানো উচিত। ভিসি সাহেব সব শুনে তেমন একটা খুশি হলেন না। বললেন, এরা কী পড়াশুনা করে কে জানে!
৫।
শেষ করি ভিসি সাহেবের ইমেইল সমস্যা দিয়ে। তার ব্যাক্তিগত ইমেইলে প্রচুর স্প্যাম আসে। সেগুলোর ভিড়ে আসল মেইল পড়া কষ্টকর। তিনি অনেক সময় নিয়ে খুঁজে খুঁজে সেগুলো বের করেন, তারপর পড়েন। কিন্ত স্প্যামগুলো ডিলিট করেন না। অনেকদিন পরে তার এক ছোকরা পিএসকে বললেন, একটু দেখতো কী করা যায়? পিএস বলল, স্যার এই যে এখানে একটা স্প্যাম রিপোর্ট বাটন আছে। স্প্যাম সিলেক্ট করে সেটা ক্লিক করলে আর সেই আর স্প্যামটা আসবে না!
তিনি অবাক হয়ে বললেন, ব্যাস্ এতটুকুই!!
মন্তব্য
মজা পাইলাম, আসলেই ব্যাপারটা এতটুকুই। কিন্তু এতটুকু ব্যাপারগুলোই অনেক সময় বোঝানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
--শফকত মোর্শেদ
কি আর করা যাবে বলুন, আমরা যে বোঝানোর জন্য ভুল মানুষকেই বেছে নিই।
ভালোই লিখেছেন। আমাদের দেশের যে লোক যে কাজ জানেনা তাকে সেই কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। যেমন, ছাত্র জীবনে যে লোক ইতিহাস বা সমাজ বিজ্ঞান পড়েছে সে যদি রাজনীতিবিদ হয় এবং কোন সুভাগ্যবসত নেতা-নেত্রী স্নেহভাজন হয়ে মন্ত্রীত্ব পান, তাহলে দেখবেন তাকে দেয়া হবে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
যে সারা জীবন শ্রমিক রাজনীতি করে তাকে বানানো হয় শিল্প মন্ত্রী অথবা বানানো হয় খাদ্যমন্ত্রী। দেশ চলবে কী করে?
ধন্যবাদ।
কামরুজ্জামান স্বাধীন।
একদম হক কথা বলেছেন।
এটাই বাস্তবতা !
কারও যদি কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকে ,তিনিই সেই বিষয়ের কর্তা হয়ে ওঠেন !
আপনি যেই ভিসি সাহেবের কথা বললেন তিনি নিশ্চই অন্য কোনো ক্ষেত্রে কাজ করলে (ভিসি না হয়ে) অনেক ভাল করতেন। তিনি এমন এক জায়গায় আছেন ,যেখানে তার অভিজ্ঞতা গুলো খুব বেশি কাজে লাগানো সম্ভব নয়। যে কোন পেশায় কর্তব্যরত ব্যক্তি তার অদক্ষতার কারনে গোটা সিস্টেম টাকেই স্লো করে দেন। কিন্তু সেই একি ব্যক্তি তার দক্ষতা আছে এমন কোন ক্ষেত্রে কাজ করে নিজের , সিস্টেমের সর্বোপরি দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে পারেন।
<ভীত মানব>
আসলেই তাই। ভদ্রলোকের ক্যারিয়ার কিন্তু কূটনীতিক হিসেবে খুবই সফল।
জিজ্ঞেস করলেন, "মাইক্রোপ্রসেসর কি হার্ডওয়ার নাকি সফটওয়ার?"!!
হাসতে হাসতে শেষ ।হায়রে...............................................
আপনিতো এখন হাসতে হাসতে শেষ। চিন্তা করেন, এই লোকের সাথে যারা কাজ করত তাদের কী অবস্থা ছিল!
এটুকুই?
হুম...ঐটুকুই।
শেষের ঘটনাতে খুব মজা পেলাম! বেচারা!!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
হা হা...সত্যিকারের বেচারা ছিল সেই পিএস!
ভিসি হওনের জন্য তো এতকিছু না জানলেও চলবে। রাজনীতিটা জানলেই হয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হা হা...যা বলেছেন নজরুল ভাই।
আমাদের দেশটা গরীব হইতে পারে। কিন্তু রাজা-বাদশাহ্দের নীতি নির্ধারণী কার্যকলাপে আমাদের আগ্রহ অপরিসীম!!
রাজনীতি... রাজার নীতি! আমরা না খেয়ে মড়তে পারি, কিন্তু রাজার নীতি ছাড়বো না!
দেখা যাচ্ছে এটা একটা জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার
++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জনগুরুত্বপূর্ণ সেকি আর বলতে!
একেবারে জাতীয় জনগনমন গুরুত্বপূর্ণ!!
ব্যাপক কমেডি,
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আসলেই ব্যাপক কমেডি সাইফ ভাই। কিন্তু তার সাথের লোকজনের ট্রাজেডি হয়ে গেছিল সেই সময়গুলাতে!
ভদ্রলোকের কারিগরী জ্ঞান কম থাকতেই পারে। কিন্তু এটা বুঝতে হবে যে তারা আগের প্রজন্মের মানুষ, এসব বিষয়ে তাদের জানা-শোনা কম থাকতেই পারে। এটা নিয়ে হাসি-ঠাট্টার কি আছে? আপনার লেখাতেও তো প্রচুর ভুল-ভাল আছে।
যেমন,
'আক্রমন নয়', আক্রমণ
'বিভাগীও' নয়, বিভাগীয়
'ট্যাকনিক্যালি' নয়, টেকনিক্যালি
'অথার' নয়, অথর
'একসেপ্টেন্স' নয়, অ্যাকসেপ্টেন্স
'পরবর্তি' নয় পরবর্তী
'মেসারমেন্ট' নয়, মেজারমেন্ট
'ব্যাস্' নয়, ব্যস,
ইত্যাদি।
একটা বিষয় মনে রাখা ভালো যে একজন মানুষ সকল বিষয়ে পণ্ডিত হতে পারে না। আপনি হয়তো নেটওয়ার্কিং, কম্পিউটার প্রভৃতি বিষয়ে অনেক জানেন, কিন্তু অস্কার ওয়াইল্ডের নাম শুনলে ভাবেন যে ইনি সম্ভবত একজন হলিউডি তারকা।
নিজেকে বড় বানানোর জন্য অন্যের হুদাই সমালোচনা অনুচিত। আপনার লেখা পড়ে হতাশ হলাম।
আপনার উত্তর পড়ে ব্যথিত হলাম। মুর্খতার অজুহাত কখনও নিয়ম হতে পারে না।
ওও আর হ্যা অস্কার ওয়াইল্ড একজন সাহিত্যিক। তার রুপকথা গুলাও পড়েছি। যদিও ভালো লাগে নি।
একজন বয়স্ক লোক নতুন প্রজন্মের জিনিসপত্র জানেন না ভাল কথা। কিন্তু তিনি যদি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন, বোঝার চেষ্টা করেন, তাহলে মেনে নেওয়া যায়। না বুঝে পন্ডিতের মত আচরণ করলে সেটা খারাপ।
লেখাটার ৪ নম্বর ঘটনাটার জন্য ভিসি সাহেবকে তেমন দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু প্রথম ৩টি ঘটনা প্রমাণ করছে যে তিনি ঐ পদটির জন্য ততটা উপযুক্ত নাও হতে পারেন। কমপক্ষে তার একটা জিনিসে নীতি নির্ধারণের আগে জিনিসটা তার বুঝে নেওয়া উচিত।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
জনাব তারিক সালমন,
আপনাকে হতাশ করে দিয়ে আমিও কিছুটা ব্যথিত। কিন্তু কি আর করা। আপনি বোধহয় লেখার প্রথম প্যারাটা ভাল করে পড়ে দেখেননি। পড়লে বুঝতেন, কাউকে হেয় করে মাটির দশ হাত নিচে টেনে নামানো বা নিজেকে বড় করে এভারেষ্ট এর চূড়ায় ওঠানো কোনটাই আমার উদ্দেশ্য নয়। ভিসি ভদ্রলোক যে তার আগের ক্যারিয়ারে যথেষ্ট সফল ছিলেন সেটাও বলেছি। কিন্তু দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে, অজানাকে জানার আগ্রহের পরিবর্তে অহংকারের কারণে সিদ্ধান্তগুলো চাপিয়ে দিতে গেলে সেটা হঠকারিতা ছাড়া আর কিছুই না।
বাংলা বানানগুলোর জন্য ধন্যবাদ। আর অস্কার ওয়াইল্ড একজন বিখ্যাত কবি। তাঁর একমাত্র উপন্যাস "দি পিকচার অব ডোরিয়ান গ্রে" এখন সচলেই একজন অনুবাদ করছেন। আপনি কি জানেন এই উপন্যাস অবলম্বনে হলিউডে একটা চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে? সেই অর্থে তিনি একজন হলিউডি তারকাও বটে
এরকম এক্কেবারে খাঁটি ম্যাৎকার অনেকদিন পরে শুনলাম। মানুষকে সকল বিষয়ে পণ্ডিত হতে না হলেও, যে বিষয়ে তাঁর দায়ভার, সেই বিষয়ে জানতে হয়। লেখার আগে একটু চিন্তা ভাবনার অভ্যাস খুব দোষের না।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
হা হা হা। লেখা পড়ে বেশ বিনোদিত হলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
-সেটাই গৌতম'দা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ভুল মানুষদের বসিয়ে আমরা প্রতিদিন যে নাটক দেখতে পাচ্ছি, তার চেয়ে বড় কৌতুক আর কী হতে পারে!
খুব মজা পেলাম
একটু বানান নিয়ে মাতবরি করি, মাইন্ড খাবেন না - কূটনীতি, বিভাগীয়, কর্তৃপক্ষ, পরিমাণ, পরবর্তী।
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
------------------------------------------------------------------
It is impossible to be a mathematician without being a poet in soul.
অনেক ধন্যবাদ বানানগুলোর জন্য।
বহুত মজা পাইলাম। কেবল ভিসিরা না। আমাদের বহুৎ ডিপার্টমেন্টের বহুৎ স্যাররাও আছেন এমন।
অভদ্র মানুষ
মোবাইল অপারেটররা জনস্বার্থে কিছু বিজ্ঞাপন ছাড়তে পারে, "বাটন পরিচিতি"। এই বিজ্ঞাপন সিরিজে ফেসবুকের "রিপোর্ট অ্যাবিউজ বাটন", মেইলে "রিপোর্ট স্প্যাম" বাটন প্রভৃতি জনগুরুত্বপূর্ণ বাটনের অবস্থান আকার আকৃতি প্রকৃতি সম্পর্কে বিশদ ধারণা দেয়া হবে।
হা হা...ভাল বলেছেন।
আপনি যদি ইমেইল এর "স্প্যাম রিপোর্ট" সম্পর্কে জানতে চান ১ চাপুন।
আপনি যদি ফেইসবুকের "রিপোর্ট অ্যাবিউজ" সম্পর্কে জানতে চান ২ চাপুন।
আর আপনি যদি কোনটাই না চান তাহলে ০ চেপে গান শুনতে থাকুন,
"নাই টেলিফোন নাইরে পিওন নাইরে টেলিগ্রাম..."
কী মন্তব্য করবো বুঝে উঠতে পারছিনা। চারিদিকে এরকম মানুষ দেখতে দেখতে ক্লান্ত, বিরক্ত আর হতাশ!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হুম... কিন্তু এভাবে আর কতদিন!
সমস্যা খালি এটা নয় যে তারা বোঝে না, বড় সমস্যা হল এরা বুঝতেও চায় না ব্যাপারগুলো।
কি আর করা বলেন এদের নিয়েই আমাদের বাস করতে হবে।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
-একদম মনের কথা বলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার জন্য মূলত ম্যানেজমেন্টের দক্ষতা দরকার, উচ্চ লেভেলের কারিগরী দক্ষতার দরকার নেই। ইমেইলের স্প্যাম বাটনের ব্যবহার না জানাটাও কোনো অপরাধ নয়। তবে দরকারী জিনিস না জানতে চাওয়াটা অন্যায়। কারণ, তাতে কাজের বিঘ্ন ঘটে।
এবার আপনার দেয়া উদাহরণগুলোয় আসি।
১। টেকনিক্যাল বিষয়ের টেকনিকটা না জানলেও ক্ষতি নেই; কিন্তু বিষয়ের কার্য-কারণটা ডিসিশান মেকারকে জানতে হয়। নাহলে তিনি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারবেন না এবং বাজেট বরাদ্দও করতে পারবেন না। ঘটনার গুরুত্ব বোঝার জন্য নেটওয়ার্ক প্রটোকলের জ্ঞান দরকার নেই; কিন্তু ভাইরাসের অ্যাটাক কি জিনিস এবং তার ক্ষতিকর দিক কি, এটা তিনি বুঝতে চাইতেই পারেন। তাকে না বুঝাতে পারা টেকনিক্যাল জ্ঞানের অধিকারীদের নলেজ ট্রান্সফার ইন্টারফেসে অপারদর্শিতা হিসেবে দেখা যেতে পারে।
২। এখানেও কনভিন্স করার দায়িত্ব যার টাকাটা দরকার, তার। আঞ্চলিক (এখানে ট্যাগিংয়ের ভয়ে এশিয়ান শব্দটা বললাম না) অনেক কনফারেন্সই ভুয়া। এক্ষেত্রে কনফারেন্সের কোয়ালিটি নিয়ে উনার যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে তাকে পর্যাপ্ত কারণ দেখিয়ে বলা উচিত যে, কনফারেন্সের কোয়ালিটি ভালো। তিনি যদি গোয়ার্তুমি করেন, তাহলে ম্যানেজার হিসেবে তার দোষ; কিন্তু এতটুকু ব্যাখ্যা তিনি চাইতেই পারেন।
৩। এখানে সমস্যা ইন্টারভিউ প্রোসেসে, ভিসি যদি নির্দিষ্ট বিষয়ে টেকনিক্যালি জ্ঞানসম্পন্ন না হন, তাহলে টেকনিক্যাল কমপিটেন্স দেখার দায়িত্ব তার না। টেকনিক্যাল বিষয়ে সাধারণত সার্টিফিকেটই যথেষ্ট হওয়ার কথা, এর বাইরে দরকার হলে টেকনিক্যাল লোকদের সাথে আলাদা ইন্টারভিউ হতে পারে। ভিসি দেখবেন, যাকে নিবেন, সে তার প্রতিষ্ঠানের সাথে কতোটা ব্যক্তি হিসেবে ফিট। টেকনিক্যাল নলেজ যতো সহজে ইমপ্রুভ করা যায়, পার্সোনালিটি ততো সহজে ইমপ্রুভ করা যায় না।
বাই দ্য ওয়ে, মাইক্রোপ্রসেসর আসলে কি জিনিস?
৪। এখানেও সেই ইন্টারফেসের সমস্যা। তিনি যদি বুঝতেই না পারেন যে 'এরা কী পড়াশুনো করে', তাহলে তাকে আর কি বোঝানো হলো?
৫। অজ্ঞতা অপরাধ নয়, তবে দরকারী জ্ঞান না জানতে চাওয়াটা অপরাধ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১।
ঠিক বলেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জানতে চাওয়ার অ্যাপ্রোচটাতে। আপনি যদি ধরেই নেন যে আপনার অধীনস্তরা কোন কাজ পারেনা বা কিছু জানেনা, তাহলে তো কিছুই করা যাবে না।
২। উনি কিন্তু জানতে চাননি ঐ কনফারেন্সটা কোন গ্রেড এর, এটা কি আই-ট্রিপল-ই বা এসিএম স্পন্সরড নাকি অন্য কোন ইউনিভার্সিটির। এখানে সমস্যা ছিল এশিয়ান দেশগুলোর অংশগ্রহনে। অথচ আপনি হয়তো জেনে থাকবেন, সিএসই এর যেকোন কনফারেন্সে চাইনিজদের আধিপত্য থাকেই।
৩। ইন্টারভিউ প্রসেসটাও মূলত ভিসি সাহেবের গাইডলাইনে করা। মাইক্রোপ্রসেসর একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ বা আইসি, সহজ ভাবে বললে এটি একটি হার্ডওয়ার। এখন ক্লাস নাইন-টেনের বইতেই এ বিষয়ে লেখা থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে ইন্টারভিঊ বোর্ডে এই প্রশ্ন করাটা একটু বেশি সিলি হয়ে গেলনা
৪। এটা কিন্তু আসলে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যপার। তিনি অতীত আইসিএস অহংকার আর কূটনীতিক অ্যারিষ্টক্র্যাসির উপর এতটাই নির্ভর করতেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটা একটা নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে গিয়েছিল।
৫। এটাই শেষ কথা
কঠিন কথা
...........................
Every Picture Tells a Story
আসলেই!
নতুন মন্তব্য করুন