এফ ২/৮, আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনী

বাউলিয়ানা এর ছবি
লিখেছেন বাউলিয়ানা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০২/০৮/২০১০ - ৭:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বিভাগীয় শহর আর বিভিন্ন জেলা শহরে সরকারি কলোনী অথবা সরকারি বাংলো থাকে। কলোনীগুলোতে থাকার অভিজ্ঞতা কখনও কখনও খুব বিচিত্র, বিশেষ করে কলোনীগুলো যখন হয় বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রীয় বা প্রধান সরকারি কলোনী। আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা নিয়ে শৈশবের বড় একটা সময় কেটেছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস (সেন্ট্রাল গভার্ণমেন্ট ষ্টাফ)কলোনীতে। এ লেখাটা সেসময়ের কিছু ঘটনা নিয়ে। যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য বলি, কলোনীগুলোতে ছোট থেকে বড় অনুসারে বাসাগুলোকে বিভিন্ন টাইপে ভাগ করা থাকে। এই টাইপগুলো সাধারণত জি টাইপ থেকে সি টাইপ পর্যন্ত (ছোট থেকে বড়) হয়। কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদবি অনুসারে সেই বাসাগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়।

১৯৮৮ সাল। চট্টগ্রামে সিজিএস কলোনীর ছোট ছোট দুরুমের একটা এফ টাইপ বাসাতে আমরা থাকি। আমরা মানে তিন ভাই, বাবা আর মা। ছোট ভাইয়ের বয়স তখন মোটে এক বছর। বাবা-মা আর ছোট ভাই এক রুমে আর অন্য রুমে আমি আর বড় ভাই থাকি। আমাদের রুমটা ছিল বাসার ড্রইং কাম ডাইনিং কাম লিভিং রুম। সেখানে একটা বড় চৌকি ছাড়াও ছিল, একটা ডাইনিং টেবিল আর এক সেট সোফা। অন্যরুমে খাটের সাথে গাদাগাদি করে রাখা আলমিরা, শোকেস ইত্যাদি। দুরুমের সাথেই লাগানো বাসার একমাত্র কমন বারান্দা। আমরা দু'ভাই ডাইনিং টেবিলেই পড়াশোনা করি, টেবিল আর চৌকির মাঝের চিপা জায়গাতে কখনও কখনও বল খেলি, আর খাবার সময় পাকের ঘরে পাটি পেতে বসে যাই। মা একটা জল চৌকিতে ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে আমাদের খাবার বেড়ে দিতেন। বিকেলে অবধারিত ভাবে বাসার সামনের মাঠে খেলতে যেতাম।

একদিন খেলতে গিয়ে হঠাত হৈ চৈ শুনে দেখি কলোনীতে দলে দলে পুলিশ ঢুকছে। এই পুলিশগুলো অন্যরকম, সাধারন পুলিশ থেকে আলাদা। নীল রঙ এর পোশাক পরা, মাথায় কেমন জানি হেলমেট আবার মাথার পিছন দিকে পাগড়ীর লেজের মতো একটুকরো নীল কাপড় ঝুলে আছে। একহাতে বর্ম, আরেক হাতে মোটা লাঠি। সারি বদ্ধ ভাবে যখন কলোনীর নয় নম্বর মাঠের পাশ দিয়ে আসছিল, আমাদের কাছে মনে হলো ছন্দে ছন্দে এগিয়ে আসা এক পাল নীল জন্তু। তাদের চোখে মুখে থাকা প্রবল আক্রোশ হেলমেটে ঢাকা পড়ে গেলেও যেকোন মূহুর্তে তা ফেটে বেরিয়ে আসবে। কেউ একজন ফিসফিস করে বলে "দাঙ্গা পুলিশ"!!

কদিন আমাদের মন খুব খারাপ হয়ে থাকে। খেলাধুলা আর আগের মত করা যাচ্ছে না, বাসায় থাকতে হচ্ছে বেশি। কলোনীতে প্রচুর ধরপাকড় হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই পুলিশ রেইড দিয়ে কোন না কোন ছেলেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কপাল খারাপ থাকলে কোন দিন দু'তিন জন একসাথে ধরা পড়ছে। আমরা ছোটরা বেশি কিছু বুঝতামনা কিন্তু বাতাসে উত্তেজনাটা ঠিকই টের পেতাম। আমাদের আশ পাশের বিল্ডিংগুলো থেকেই কাউকে না কাউকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। পুলিশের রেইডের সময় তাদের লুকিয়ে থাকার গল্প, ধরা পড়ার গল্প, তারপর থানায় নেবার আগে একচোট প্রহার আর তাতে শরীরের জখমের রগরগে বর্ণনা তখন বড়দের মুখ থেকে আমাদের মধ্যে সংক্রমন করা শুরু করেছিল। একদিন অনেক রাতে শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলাম। বাসায় কে যেন এসেছে। উঠে দেখি আমার এক দূর সম্পর্কের মামা তার আরও দুই বন্ধু নিয়ে হাজির। তারা এসেছে ঢাকা থেকে এবং হাবভাব দেখে কিছুতেই মনে হচ্ছে না তারা বেড়াতে এসেছে। বরং তিন জনেরই মুখ শুকনো, গালে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। আমাকে আদর করে কাছে ডাকতেই যেয়ে দেখি শরীরে কেমন বিচ্ছিরি গন্ধ। মা তাদের জন্য ভাত চড়ান, আগের রাতের বেচে যাওয়া তরকারি আর ডিম ভেজে আনেন। তারা খেতে বসেন। সেই প্রথম শব্দটা শুনি "স্বৈরাচার"!!

তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে মজার ছিলেন বাবু মামা। উনি কয়েনের যাদু দেখাতেন। হাতের মুঠোয় কয়েন নিয়ে বলতেন, "কওতো পয়ছাটা এখন কই?" আমি যা-ই বলি না কেন, উনি একবার শার্টের পকেট, একবার প্যান্টের পকেট, একবার মাথার চুল এভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বের করে দিতেন। আর আমি বেকুব বনে যেতাম। লিটন মামা আর জাকির মামা সারাদিন ঝগরা করতেন ঢাকাইয়া ভাষায়। তখনো এ ভাষায় কথা বার্তা শুধু টিভিতে দেখেছি, কখনো কাউকে বলতে শুনিনি। তাদের কথা শুনে আমার মনে হতো কোন সিনেমার পার্ট! মামারা সচরাচর দিনের বেলায় বের হতেন না, শুধু রাতে বের হতেন।

আমার দিন ভালই কাটে, ছোট হওয়াতে তেমন কিছু একটা বুঝিনা। বরং যতক্ষন বাসায় থাকি মামাদের ঢাকাইয়া ভাষায় কুদাকুদি দেখি, রাতের বেলায় তাদের সাথে বেরিয়ে চকলেট খাই। মামারা রাতের বেলা সোফা সেট উলটে রেখে ফ্লোরিং করে শোয়। আমি আর বড় ভাই যথারীতি চৌকিতে। কোন কোনদিন ঘুম আসার আগে মামাদের চাপা কথা বার্তা শোনার চেষ্টা নিই, যদিও কিছু বুঝিনা। এদিকে সংসার চালাতে মা'র ত্রাহিমধুসূদন অবস্থা। রাতের বেলা মা বাবার সাথে টুকটাক সাংসারিক আলাপ করেন পাশের রুমে। আমার কানে সেই কথোপকথন পৌছেনা। আমার স্বল্প বেতনের চাকরী করা বাবার জমানো টাকায় টান পড়েছে, ধার করতে হচ্ছে মাঝে মাঝে, বাকী দোকানের হিসেবে প্রচুর টাকা বাকী- এতসব টানাপেড়নের কথা আমি তখন শুনতে পাইনা। সেই ছোট বাসাটিতে সাড়ে সাতজন মানুষ গিজাগিজি করে কোন রকমে দিন রাত্রি পার করছি। বাবা তার সামর্থের শেষটুকু দিয়ে চেষ্টা করছেন কাউকে আর্থিক কষ্টের কথা জানতে না দিতে। কিন্তু তারপরও কখনও কখনও কুতসিতভাবে ব্যাপারটা বেরিয়ে পড়ে আর সেজন্য উনার লজ্জার সীমা থাকেনা। ঘুমাবার আগে হয়ত মা'র সাথে সেগুলোই শেয়ার করেন সাথে থাকে দীর্ঘশ্বাস যার কিছুই আমার কানে পৌছেনা। মাস ছয়েক পর মামারা যখন বিদায় নিলেন তখন শীত কাল। ভোরে উঠে উনারা চলে গেছেন আমি তখন ঘুমে।

সেই শীতেই একদিন শুনি আমরা শহর ছেড়ে চলে যাব। তারপর একটা কুয়াশা মোড়া ভোরে আমরা আগ্রাবাদের সেই ছোট এফ টাইপ বাসা ছেড়ে চলে যাই। কিছুদিন পরপর বাবার বদলি হয় ভিন্ন ভিন্ন শহরে, আমরাও তাঁর সাথে বদল করি আমাদের ঘর। আমাদের থাকার জায়গা যেমন বদল হয় তেমনি বদলে যায় আমাদের বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী কিংবা খেলার ধরণ। বাবার যখন প্রমোশন হয়, আমাদের থাকার জন্য বাসার টাইপও বদল হয়। আমরা বড় বড় বাসায় থাকতে শুরু করি-গায়ে গতরে বড় হতে থাকি বলে সেসবগুলো অবশ্য বড় মনে হয় না। সরকারি কলোনীর ই, ডি তারপর সি টাইপ বাসার পর, বাবা যখন রিটায়ার করেন আমরা আপাতত এক জায়গায় স্থির হই। তারপর অনেক অনেক বছর পর আবার ফিরে গিয়ে সিজিএস কলোনীর সেই বাসাটা খুঁজে বের করি। সেটা আগের মতই আছে, এখনো দেয়ালের ডিস্টেম্পারের নিচে রয়ে গেছে আমার ছোটবেলার স্মৃতির কাঁচা প্রলেপ। শুধু বদলে গেছে সময়। এই বাসা থেকেই নানা ভাইকে আর্মিরা ধরে নিয়ে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়। একবার নয়, দুই দু'বার। মুক্তিযুদ্ধের সময়টাতে ইপিআরদের খাবার জন্য এই বাসা থেকেই প্রতিদিন মা-খালাদের বানানো রুটি আর ডাল নিয়ে যেতেন আমার মামা। আমার মা আমদের সেসব দিনের গল্প শোনান আর দেয়ালে হাত বুলিয়ে একবার সেই সময়ে ফিরে যেতে ব্যর্থ চেষ্টা করেন।

 


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

৮৮ থেকে ৯০-৯১ সময়টা আমার গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। অনেক স্মৃতি আছে। কিন্তু লেখার সময় নাই।

বাউলিয়ানা এর ছবি

-পিপিদা লেখার জন্য একটু সময় বের করেন। আমাদের বঞ্চিত করে কী লাভ?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

'৮৮-৮৯'র এক শীতের সকালের কথা মনে পড়ে আমার। স্বৈরাচারের শেষ সময়। কার্ফিউ চলতো তখন। আমরা তখন থাকি বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সে। সেই সকালে আমার ছোট ভাই কান্নাকাটি শুরু করে দিলো তাকে বাইরে নিয়ে যেতে। আব্বা তখন বাধ্য হয়ে সেই কার্ফিউ ভেঙ্গেই তাকে নিয়ে বের হয়েছিলো। পুকুরের পাড় ছাড়িয়ে কমপ্লেক্সের গেটগুলোতে তখন অপরিচিত পুলিশের সশস্ত্র পাহারা...!

আমাদের সেই বাসাটাকে ঘিরেও অনেক স্মৃতি জমা হয়ে আছে। আসলেই অনেক।

কখনো সুযোগ হলে স্মৃতিগুলোতে একটু হাত বুলিয়ে দেখে আসবো গিয়ে। আমার স্মৃতি আর সময়গুলো সব আটকে আছে ওখানে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বাউলিয়ানা এর ছবি

কখনো সুযোগ হলে স্মৃতিগুলোতে একটু হাত বুলিয়ে দেখে আসবো গিয়ে। আমার স্মৃতি আর সময়গুলো সব আটকে আছে ওখানে।

-দেখবেন এখনও তারা আপনাকে আঁকড়ে ধরতে চাইবে পরম মমতায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক

আমার মা'রা নানুর চাকরির সুবাদে পোর্ট কলোনীতে থাকতেন। তাঁদের স্মৃতিকাতরতার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে এ লেখা পড়ে...

_________________________________________

সেরিওজা

বাউলিয়ানা এর ছবি

পোর্ট কলোনী? আমার কিছু বন্ধু বান্ধব এখনও ঐদিকটায় থাকে।

পরেরবার দেশে গেলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

ওডিন এর ছবি

স্মৃতিচারণ চমৎকার লাগলো বাউলিয়ানা ভাই। সবারই মনে হয় এইরকম কিছু জায়গা আছে, সময় আর স্মৃতি- সব আটকে ফেলে।
__________________________________ ____
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

বাউলিয়ানা এর ছবি

ধন্যবাদ ওডিন ভাই।

অ.ট. আমি রীতিমত আপনার ব্যানারের ভক্ত হয়ে গেলাম হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

স্মৃতিচারণ চমৎকার লাগলো।
এই সময়ে আমারও দারুণ কিছু স্মৃতি আছে। কিশোর আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল আর টিএসসিতে ঘুরে ঘুরে দেখি তাণ্ডব। মিছিল, কাঁদানো গ্যাস, তাণ্ডব। নিজেও না বুঝেই মিছিলে মিশে গেছি। আর ৬ ডিসেম্বর রাতে স্বৈরাচারের পতনের খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে যে আনন্দ মিছিলটা হলো। সারারাত ট্রাকে করে মিছিল করেছিলাম আনন্দের চোটে। আহ সেইসব দিন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বাউলিয়ানা এর ছবি

ধন্যবাদ বস।

আমাদের জন্য কিছু স্মৃতিচারণ করেন না বস। ঢাবি-টিএসসিতে পরিস্থিতি তখন কেমন উথাল-পাথাল ছিল সেটার একটু বয়ান শুনি।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভীষণ স্মৃতিকাতর হলাম লেখাটা পড়ে।

আপনাদের বাসার উত্তরপাশের ফ্ল্যাটের সামনে বিশাল ঝাকড়া আম গাছ ছিল একটা। তাই না? শীত গ্রীষ্ম সব ঋতুতে নিরবিচ্ছিন্ন ছায়া দিয়ে যেত।

আর দক্ষিণ দিকে একতলা একটা দালান 'পাওয়ার হাউস' নামে পরিচিত। তার সামনে এক চিলতে পরিষ্কার চকচকে সিমেন্টের বারান্দা। সেই চকচকে বারান্দায় একদল কৈশোর পেরুনো সদ্য তরুণকে সকাল সন্ধ্যা আড্ডা দিতে দেখা যেতো, কখনো বা লুকিয়ে সিগ্রেট খেতে। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯২..দীর্ঘ একটা সময়। আজ কে কোথায় হারিয়ে গেছে। জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘতম আড্ডা দেবার ইতিহাসের কলোনীতে যাওয়া হয় না কতদিন!!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই স্মৃতিটা ফিরিয়ে আনার জন্য। আমার বিশাল স্মৃতিকথা জমে আছে ওই কলোনীকে ঘিরে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বাউলিয়ানা এর ছবি

আরে আপনিতো দেখি আমার পাড়াতো ভাই হাসি

আপনাদের বাসা কত নম্বরে ছিল? পাওয়ার হাউজের আড্ডাতে কি নিয়মিত ছিলেন? তাইলেতো চান্দু, জীবন, দুলাল মামাদের সবাইকে চেনার কথা।

কিছু স্মৃতিকথা নিয়ে একটা পোষ্ট দিন বস, আরেকবার কলোনীর দিনগুলিতে ফিরে যাই।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আমরা ভাড়াটিয়া ছিলাম এফ-৯, জি-১২, জি-১ ইত্যাদি বিল্ডিংএ আমার কৈশোরের সবচেয়ে সুন্দর অংশটা কেটেছে। ৮৬ তে কলোনী ছাড়লেও কলোনীর সব আড্ডায় নিয়মিত ছিলাম ৯২ পর্যন্ত। নয় নম্বর মাঠের দক্ষিনপূর্ব কোনাটি যেন লীজ নিয়েছিলাম আমরা, এত আড্ডা আর আড্ডা। কতো কিসিমের বিচিত্র বন্ধু ছিল তা লিখতে গেলে উপন্যাস হয়ে যাবে।

আপনি যাদের বলছেন তাদের কাউকে চিনছি না। আমরা অনেক বুড়ো দলের, ৮৪তে এসএসসি। হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বাউলিয়ানা এর ছবি

ও আচ্ছা। ছোট ছিলাম তো আম্মা বেশিদূর যেতে দিতেন না। নয় নম্বর মাঠের পাশে যে মেডিক্যাল হল, সে পর্যন্ত ছিল আমার সীমানা।

'৮৪-তে এসএসসি! এহেম এহেম আপনিতো ভাই প্রাগৈতাহাসিক লোক চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমমম.........

সাধারণ

বাউলিয়ানা এর ছবি

আপনার নিকটা "সাধারণ" চোখ টিপি

তিথীডোর এর ছবি

বাবা- মায়ের চাকরির সুবাদে জন্ম, বেড়ে ওঠা.. 'বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি', চট্টগ্রামে| বছরখানেক আগে ছেড়ে আসা পুরানো বাড়িটাকে নিয়ে একটা অখাদ্য আবজাব লিখতে শুরু করেছিলাম ক'দিন আগে, আর শেষ করা হয়নি...

পোস্টে উত্তম জাঝা!
কিন্তু মনটা বড্ড খারাপ করিয়ে দিলেন বাউলদা!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বাউলিয়ানা এর ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি (বিবিসি)-তে ছিলেন আপনারা!

আমার প্রাইমারী স্কুলের শুরুটা সিজিএস এ হলেও আমি বিবিসি স্কুলেও পড়েছি। বোরহান স্যারের বিখ্যাত হাতের "কিল" এখনো ভুলি নাই। মনে আছে জবা আপা আর হেডস্যার নাসির উদ্দিনের কথাও। স্কুলের সামনের বিশাল মাঠটা বোধহয় এখন আর নেই, তাই না?

আবঝাব লেখাটা শেষ করে ফেলুন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।