যেদিন সকালে জানতাম আমাকে বাজারে যেতে হবে আমার মুখটা শুকিয়ে যেত, আম্মার উপর রাগ লাগত ভীষন। কিন্তু তারপরও ঠিক ঠিক বাজারের থলে হাতে বেরিয়ে যেতাম। হয়তো ছোট মাছের একটা ভাগ, কিছু শাক আর সস্তা সবজী কিনে যেতাম বাকি দোকানে। বাকি দোকানের মালিক আমাকে দেখলেই চোখ-মুখ শক্ত করে ফেলত। বার বার বলত, তোমার আব্বাকে আসতে বলবা। বুঝছ, তোমার আব্বাকে আসতে বলবা। আমি বলতাম, জ্বি আংকেল। দোকানের মালিক তার কর্মচারিকে বলত, হাজার হাজার টেঁয়া বাকি ফড়ি রইসে-কোনো খবর নাই। আমি শুনেও না শোনার ভান করে থাকতাম। জানতাম টাকার অংক যত বেশি বলা হচ্ছে আসলে তত বেশি না। দেখতাম দোকানের কর্মচারী আমার দিকে কেমন করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। হয়তো মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করত, কী বাজার করছ বাবু? আমি সংক্ষেপে বলতাম, মাছ আর সবজী। অথবা কখনও কখনও শাক আর শুঁটকী।
আস্তে আস্তে বাকি দোকানের মালিকদের ব্যাপারে আমার ধারণা জন্ম নিল এমন, তারা কখনও মিষ্টি করে কথা বলেনা, সর্বদা সন্দেহ ভরা দৃষ্টি, বাঁকা কথা শোনাতে ওস্তাদ-যা শুনে গা জ্বলে যেত। তাই একবার এক বাকি দোকানির ব্যবহার আমাকে অবাক করল। হলো কী, আমি গেলাম আধা কেজি লবন আনতে। দোকানের কর্মচারী কই যেন গেছে, মালিক আমাকে বলল নিজে মেপে নিতে। আমি প্রথমে একটু অবাক হলাম, জীবনে কখনও এমন কথা শুনিনি। মালিক আবার বলতেই ধীরে ধীরে লবনের বস্তার কাছে গিয়ে একটা কাগজের প্যাকেটে লবন ভরলাম। প্যাকেটের গায়ে খুব সুন্দর হস্তাক্ষরে কিছু লেখা আছে, আমি মনে মনে বললাম বাসায় গিয়েই পড়ব। তারপর পাল্লায় মাপতে দিলাম, দেখি বরাবর আধা কেজি। একটু বেশিওনা একটু কমও না। এটা দেখে দোকানের মালিকের সেকি উচ্ছসিত প্রশংসা। বলে, একদম কারেক্ট! আমি হাবার মত তাকিয়ে থাকি।
বাকি দোকানের মালিকরা কিন্তু আমাদের দারিদ্র্যের সুযোগটা খুব ভালভাবেই নিতেন। দোকানের সবচেয়ে খারাপ চালটা, ডালটা অথবা পুরোনো মশলাটা গছিয়ে দিতেন। আমি ছোট ছিলাম বলে তেমন কিছু হয়তো বুঝতাম না বা বলতে পারতাম না। কিন্তু বাসায় গেলে আম্মার আবিরাম গালমন্দের মুখে পড়তে হতো। আম্মা এক একটা জিনিষ বের করে সেটার খারাপ দিকটা দেখিয়ে দেখিয়ে কষে বকা দিতেন। হয়তো কখনও কখনও অবস্থা এতই খারাপ থাকত যে আম্মা আবার সেগুলো ফেরত দিয়ে ভালটা নিয়ে আসতে বলতেন। আমি একটু গাঁইগুঁই করে শেষে আবার যেতাম, মুখ থাকত বাংলার পাঁচের মত, মনে থাকত আশংকা- দোকানি আবার কি বলে বসে! এতে যে লাভটা হলো, আমি আস্তে আস্তে জিনিষ পত্রের ভালমন্দ শিখে গেলাম। দোকানিকে দেখিয়ে খারাপ মাল আর নিতাম না। দোকানি মাঝে মাঝে একটু রুষ্ট হলেও একবারে গছিয়ে দিতে পারতনা।
আরেকবার মাসের শুরুতে বাকি দোকানে গেছি বাজার আনতে। দোকানির সেকি রাগ। বলে, এখন মাসের শুরু, সবাই আগের বাকি টাকা দিয়ে দিচ্ছে, আর তুমি আসছ বাকি নিতে। তোমার আব্বাকে বলবা আগের টাকা শোধ করতে, তারপর বাকিতে জিনিষ নিতে। অনেক টাকা বাকি হয়ে গেছে, আর দেয়া যাবেনা। ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি কিছু না নিয়েই বাসায় ফিরে আসলাম। মন খুব খারাপ ছিল, আম্মাকে সব বললাম। আম্মা উলটো আমাকে দিলেন ঝাড়ি। উনার কথা হচ্ছে, ঐ লোকতো এমন বলবেই, কিন্তু আমি কেন বুঝায়ে বললাম না। আমি কেন তাকে কনভিন্স করতে পারলামনা। এখন সবাই মিলে কি উপাস দিব? আমি ক্ষোভে, দঃখে ডুকরিয়ে কেঁদে ফেল্লাম। তখন ছোট ছিলাম বিধায় সব কথা হয়তো বুঝিনি, এখন বুঝি আম্মা আমার সেই ছোট্ট মনে একটা মন্ত্রের বীজ রোপন করেছিলেন। কখনও হাল না ছাড়বার, পরাজয় মেনে না নেবার মন্ত্র।
বাকি দোকানের চালে পাথরে ভরা বলে আম্মা রান্নার আগে ঝেড়ে বেছে নিতেন। একবার এমন অসহনীয় পর্যায়ের পাথর পাওয়া গেল যে, আমরা খেতে বসে দাঁতের নিচে ক্রমাগত পাথরের দানা চিবুতে লাগলাম-কটরমটর। আম্মার চোখ ফাঁকি দিয়ে সেগুলো রান্না হবার কারন, পাথর গুলোর সাইজ এবং রং অবিকল চালের মত! আম্মা আমাকে বললেন বাজারের চালের আড়তে গিয়ে দেখতে এই চালের দাম কেমন। যদি একই দাম হয় তাহলে সেখান থেকে কিনে নিতে। তারপর একদিন বাজারে গিয়ে একটা চালের আড়ত থেকে একই দামে আরও ভাল মানের চাল কিনলাম। এরপর বাকি দোকান থেকে শুকনো বাজার করতে গেলাম। দোকানি আমার ব্যাগ এমন ফোলা আর ভারী দেখে নিজে উঠে এসে উঁকি দিল। তারপরতো রেগে টং। তার কথা হচ্ছে, আমার দোকান থেকে বাকিতে জিনিষ কেনো, আর চাল কেনো অন্য দোকান থেকে নগদে। নগদেই যদি কিনবা তাহলে আমার দোকান থেকে কেন কিনবানা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি চুপ করে থেকে সব শুনলাম। কান দুটো লাল হয়ে গেছে লজ্জায়। আশ-পাশের দোকানিরাও তামাশা দেখতে চলে এসেছে, এসে এই দোকানির সুরে সুর মেলাতে শুরু করসে। আমি লজ্জায়, অপমানে, মরমে মরে গেলাম। তাড়াতাড়ি রিক্সা নিতে বের হয়ে গেলাম বাসায় যাব বলে। তবে আসার সময় বাকি সদাইগুলো নিতে ভুলিনি।
একটা রিক্সাও আমাদের বাসার ওদিকে যেতে চায়না। দাঁতে দাঁত চেপে হেঁটেই রওনা দিলাম। পথ হয়তো খুব বেশি না। কিন্তু ছোট সেই আমার জন্য পনের কেজির মত বাজার সদাই দুই হাতে করে বয়ে নেয়া অনেক কষ্টকর ছিল। দশ কেজি চালের ব্যাগটা একহাতে নিতে শরীর একদিকে বেঁকে যায়। আমি এভাবেই হেঁটে চলি, কিছু দূর যেতে তখনও শুনি দোকানি বেটা চিতকার করে কী যেন বলে চলেছে। রাগে, ক্ষোভে আর কিছুটা ক্লান্তিতে আমার সারা শরীরে ঘামে ভিজে ওঠে। কপালের ঘাম চোখে এসে পড়লে চোখ জ্বালা করে, ব্যাগ বহনকারি হাতের আঙ্গুলে সেই ঘাম সরাবার ব্যর্থ চেষ্টা করি আমি। তারপর চাপা গলায় বলি, ধুর শালা!
মন্তব্য
তবু এই স্মৃতিই সহায়। এর চেয়ে সহজে বলা যেত না। ৫ তারা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনেক ধন্যবাদ।
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। এত ঝরঝরে বর্ণনা যেন চোখের সামনেই দেখলাম। আপনার কথা শুনে নালাপাড়া বাজারের এক দোকানীর চেহারা ভেসে উঠলো। ওই বয়সে আমি সেই দোকান থেকে বাজার করতাম। পাশে ছিল একটা রেশন শপ। প্রথমে যেতাম রেশন শপে লাইন দিতে। রেশন কার্ডে চাল গম ইত্যাদি দেয়া হতো। চাল দিত জাপানী কি একটা। রিলিফের চাল হবে। সত্তর দশকের দিকে। আঠালো টাইপ, ওটা খেতে পারতাম না। কিন্তু মাঝে মাঝে আনতে হতো যখন বাবার হাতে যথেষ্ট টাকা থাকতো না। বাকী দোকান না থাকলেও টানাটানি যথেষ্ট ছিল এখনো মনে পড়ে। আপনার কথা শুনে আমারও প্রায় সেরকম চিত্রের শৈশবের কথাও মনে পড়লো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
৭২ এর পর থেকে বেশ কিছুদিন রেশন শপই ছিলো আমাদের ভরসা।
...........................
Every Picture Tells a Story
সিজিএস বিল্ডিংএ একটা রেশন শপ ছিল বোধহয়, তাই না? লোহার গরাদের মত জানালার বাইরে বিরাট লাইন, সেই লাইনে মাঝে মাঝে আমার বড়ভাইকে দেখা যেত।
আমাদেরও বাকির দোকান ছিলো, তবে কোনদিনই আব্বা কিংবা আম্মা আমাদের বাকির দোকানে পাঠাতেননা।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনি অনেক সৌভাগ্যবান মুস্তাফিজ ভাই।
পড়তে গিয়ে মন খারাপ হয়ে গেলো....
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমার মনও কি আর বেশি ভালরে ভাই? সেজন্যইতো স্মৃতি হাতড়ে এমন লেখা বের করেছি।
পড়তে গিয়ে আসলেই মন খারাপ হল
আমারও
ছোটবেলার কষ্টকর অনেক কিছুই ধুমধাম মনে পড়ে গেলো লেখাটা পড়তে গিয়ে। অনেক কিছু চেয়েও পাই নি। খুব বেশি আব্দার করতে শিখি নি তাই। অল্পতেই তুষ্ট হতে শিখতে পেরেছি বোধ'য় সেই সময় থেকেই, কখনো না পেয়েই। মজার ব্যাপার হলো ছোট বেলার সেই অপূরণীয়, না পাওয়া, অল্প পাওয়াগুলো যখন আজকে দেখি হাতের একেবারে নাগালের ভেতর, এই জাস্ট বাড়ালেই ধরা যাবে, আপন করা যাবে, ছোঁয়া যাবে, তখন ভেতর থেকে একটা কিশোর চেঁচিয়ে ওঠে, "পিষে ফ্যালো মিজান!" অথচ আমি এখনও দূর থেকেই দেখি ছেলেবেলার সেই না পাওয়া, না ছোঁয়া, অপূরণীয় সব ইচ্ছেগুলোকে। কখনো, কোনো একদিন গিয়ে খেলনার দোকান থেকে আমার ছেলেবেলার একটা খেলনা কিনে নিয়ে আসবো, এমন প্রত্যাশা নিয়ে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
-এটা আমারও কথা ধুগো।
অ.ট. এবার একটা মিউজিক্যাল ধুগো নামান দেখি। আপনাকে না ঠেলা দিলে কাজ হবেনা, সেটা বুঝতে পারসি।
পুরা ঘটনাটা চোখের সামনে দেখলাম, সৌভাগ্যক্রমে আমার জন্মের সময় আমার বাবা-মা মোটামুটি স্থিতিশিল হয়ে গেছিলেন, আমার বড় ভাই এতটা সৌভাগ্যবান ছিলেন না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার ছোটবেলার জন্য ঈর্ষা ছাড়া আর কীবা করার আছে সাইফ ভাই।
শুভেচ্ছা জানবেন।
আসলেই এর চেয়ে সহজভাবে আর বলা যেত না। আমেরিকায় অর্থনীতির মন্দা এখনো চলছে। মাঝে মাঝে টিভিতে দেখায় বিভিন্ন পরিবারের গল্প। আগের মতো টেবিল ভর্তি করে তারা পরিবারের জন্য খাবার দিতে পারছে না। আগের মতো করে কেনাকাটা করতে পারছে না। আমি মনে মনে বলি- তোমরা আসলে দেখো নি কিছু, তোমরা আসলে জানো না কিছু।
পাঁচ তারা।
আসলেই। মানুষ যে কত অল্পতেই হা-হুতাশ করে, মাঝে মাঝে আমিও অবাক হই।
অনেক ধন্যবাদ তানভীর ভাই।
দারিদ্র্য নজরুলের মত আমাকে মহান করতে পারেনি । বরঞ্চ হীনমন্যতায় ভোগা এক কীটে পরিণত করেছে । মানুষের সামনে আজো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারিনা । ইন্ট্রোভার্ট হবার ভান করি । তাই হয়তো বাকি দোকানের সামনে অপমানিত নতজানু কিশোরের মুখের জায়গায় নিজের মুখটাই বারবার ভেসে ওঠে ।
ধন্যবাদ ।।।।
শুভেচ্ছা জানবেন।
হুম
বাউলিয়ানা, কী বলবো ভাই! ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল। এত সহজ করে কঠিন সব স্মৃতির কথা লিখেছেন।
আজকে এত মন খারাপ করা সব লেখা পড়ছি।
আমি একটা লেজকাটা শেয়াল তো, আমার মন খারাপ ছিল বলে সবারটা খারাপ করে দিলাম। আশা করি সামনে মন ভাল করা লেখা দিতে পারব।
ভাল থাকবেন।
খুব ভালো মন খারাপ করা লেখা। চালিয়ে যান।
-আচ্ছা।
পুরনো কিছু কথা মনে পড়ল, সবার সব স্মৃতিচারণ তা করতে পারে না। মন খারাপ করে দিতে পারার মতন ক্ষমতাও সব লেখার নেই, আপনার এই লেখাটা সেটা করল অনায়াসে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর। শুভেচ্ছা জানবেন।
এ অভিজ্ঞতাগুলো কত কষ্টের, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে। ছোটবেলা থেকে জমানো এরকম অনেক অপমান আর যন্ত্রণার অনুভূতি গুলোর জন্যই অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান করতে শিখেছি।
সজল
অনেক শুভেচ্ছা রইল সজল।
ভাল থাকুন।
যেন নিজের চোখেই দেখলাম ভাই। খুব সহজেই কঠিন স্মৃতি লিখেছেন।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ তাসনিম ভাই।
অসাধারণ।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা জানবেন।
লেখাটা পড়ার পর আবারো ওপরে গিয়ে পরিচিতি দেখতে হলো, আসলে গল্পই পড়ছি নিশ্চয়?
নিজের জীবনের এই হীনদিনের কথা বলতেও ছাতি লাগে, সেটার জন্যে শাবাসি। আমিও যেতাম রেশন শপে, তবে বাকির অভ্যেস ছিল না, এখনো নেই। বাবা নিজের বহুযত্ন ও শ্রমসাধ্য শিক্ষকতার পরিচিত পরিমণ্ডল ছেড়ে অন্য পেশায় না গেলে হয়তো আমারও...
এখন যে-ভালোটা আছেন, সেটার শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক আরো, এর জন্যে শুভকামনা।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল। ভাল কথা অনেকদিন দেখিনা, কই থাকেন আজকাল?
অসাধারন ভাই। এত সহজ করে এই কঠিন স্মৃতিটাকে তুলে ধরেছেন, প্রশংসা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। জাস্ট ভার্চুয়াল পাঁচ তারা দাগিয়ে গেলাম
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ
আমাদের অনেক চমক বেড়েছে, ঝিলিক বেড়েছে, বেড়েছে প্রসাধন।
কিন্তু আমাদের প্রায় সকলের বেড়ে উঠার সময়ের গল্পগুলো আসলে এরকমই। বেশ মলিন, নিস্প্রভ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
অনেক ধন্যবাদ মোর্শেদ ভাই।
একটু দ্বিমত। শৈশব-কৈশোরে বারুদ জমেছিল বলেই না বন্ধুর পথে এখনও আগুন জ্বালিয়ে চলতে পারছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
নতুন মন্তব্য করুন