কালকে সমাজ-বিজ্ঞান পরীক্ষা, তারপর ধর্ম, তারপর শেষ- আহ্ কী যে শান্তি! এই শান্তির বাতাস পেয়ে এখনই পড়াতে আর মন বসছে না, ফলাফল কালকের সমাজ-বিজ্ঞান পরীক্ষাটা খারাপ হবে নিশ্চিত। তারপর একটু পড়ে নিই, তারপর আবার ভাবতে বসে যাই, বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলেই ব্যাডমিন্টন খেলার শুরু। শীতের কুয়াসা মোড়া বিকেল শুরু হতেই সবাই ব্যাডমিন্টন কোর্টে হাজির। আমাদের খেলা শেষ হতো সন্ধ্যায়, তারপর বাতি লাগিয়ে খেলা শুরু করত সিনিয়র ভাইয়েরা। আমরা তখন শুধুই দর্শক। কখনও সখনও পুরানো কর্ক তুলে নিয়ে জমাবার প্রতিযোগিতা অন্যদের সাথে।
আমার কোনো ব্যাডমিন্টন র্যাকেট ছিলনা। বন্ধুদের মধ্যে যাদের ছিল তারা নিজেদের র্যাকেট খুব সামলায়ে রাখত -কাউকে ধরতেও দিতনা। কারও কারও একটা-দুটো পুরানো স্ট্রিং ছেড়া অথবা কাঠের র্যাকেট ছিল যেগুলো অন্যদের খেলতে দিত। তো আমার খেলার টার্ণ আসলে তেমন একটা কাঠের র্যাকেট নিয়ে খেলতে নামতাম। অন্যরা আড় চোখে একটু তাচ্ছিল্য দেখাতো, আমি মনে মনে বলতাম আজকে যদি বাসায় গিয়ে আম্মার কাছ থেকে টাকা আদায় না করসি, তো কালকে আর খেলতেই আসব না।
বাসায় ফিরে গিয়ে সাথে সাথে পড়তে বসার ব্যাপার নেই, বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। তাই রান্না ঘরে আম্মার পাশে বসে নানা কাজে সাহায্য করি। কখনও আম্মাকে লাকড়ি তুলে দেই, হাঁস-মুরগির খোপের মুখ বন্ধ করে দেই অথবা কখনও আম্মার মনযোগের অভাবে ভাতের পাতিল থেকে উতরানো ফেনা চুলাতে পড়ে যাবার আগে একটা জোরেএএ ফু দিয়ে দেই। আর মনে মনে সুযোগ খুঁজি কখন আম্মাকে র্যাকেটর কথাটা বলা যায়। আমি খুব ভাল করেই বুঝতে পারি আম্মা টাকা পয়সার ব্যাপারে অতি সাবধানি। সংসারের সব খরচের হিসাব তিনি পাই পাই করে বুঝে নেন। আমাদের খাওয়া পড়ার জন্য কোনো অসুবিধা হতো না ঠিকই, কিন্তু বিলাসিতা করবার মত আর্থিক অবস্থাও ছিলনা। আব্বার মাসিক বেতন থেকে যে টাকা পান, আম্মা তা দিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালিয়ে নিতেন। সবসময় আয় ব্যয়ের একটা সম্মাবস্থা বজায় রাখতেন। তাই যেকোনো রকমের বেহিসাবি খরচ এই ব্যালেন্সটা নষ্ট করে দিতে পারে ভেবে আম্মা সর্বদা তটস্থ থাকতেন। বাড়ির ভেতরের দিকে আব্বার আওয়াজ খুব একটা শোনা না গেলে আম্মাকে বললাম, আম্মা আমাকে একটা র্যাকেট কেনার টাকা দিবেন?
আম্মা প্রথমে বুঝতে পারেননি আমি কি বলেছি। কিন্তু কিছু একটা কেনার কথা বলেছি, সেটা উনি ঠিক ঠিক নোটিস করেছেন। আমি আবার বললাম, "আমাকে একটা র্যাকেট কেনার টাকা দিবেন? খেলার সময় রিয়াজ, পুলক ওরা ওদের র্যাকেট দিতে চায় না।" আমি বন্ধুদের নাম নিয়ে একটু বাড়তি যোগ করলাম এই আশায় যে, যদি আম্মা বিষয়টা সিরিয়াসলি নেন।
আম্মা লাউ কুটছিলেন, শীতের শুরুতে আসা কচি লাউ। চামড়াটা ছিলে আলাদা বাটিতে রাখলেন যেগুলো পরে ভাজি করা হবে। তারপর লাউটাকে ফালি ফালি করে কাটতে কাটতে বললেন- আব্বাকে বলে দেখবেন, উনার কাছে টাকা আছে কিনা।
আমি ঠিক ভরষা পাই না। আমি গলায় আরেকটু জোর দিয়ে বলি- না কিনে দিতেই হবে। গতবছরও আমাকে কিনে দেন নাই।
উনি বললেন, ঠিকাছে কত টাকা লাগে সেটা জানাতে। আমি বললাম আগামিকাল মার্কেটে গিয়ে র্যাকেটর দাম দেখে আসব। উনি একমনে লাউ কুটতে লাগলেন। আমি কিছু একটা শোনার আশায় আম্মার মুখের দিকে চেয়ে থাকি- উনি একবারও আমার দিকে তাকান না।
পরের দিন গেলাম মার্কেটে। ছোট মফস্বল শহর। মার্কেট বলতে সেমি পাকা ঘর নিয়ে অল্প কিছু দোকান। সবচেয়ে বড় দোকানটা "মতি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর" সবার কাছে অতি জনপ্রিয়। দোকানের সামনেই নানা রকমেরর্যাকেট ঝোলানো। একটা র্যাকেট এত দারুন লাগল! ব্র্যান্ডের নামটা এখন আর মনে নেই। তবে মনে আছে, এই র্যাকেটটা কিনতে পারলে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষে পরিণত হতাম। আমি সন্তর্পণে ঝোলানো র্যাকেটটা নামাই। তার গায়ে চড়ানো চামড়ার একটা জ্যাকেট খুলে বের করতেই আমার চোখ ধাঁধিয়ে যায়, সিল্ভার রঙের একটা র্যাকেট। স্ট্রিং এর উপর কালো রঙ দিয়ে লেখা ইংরেজী ছোট হাতের "এ" (আসলে সেটা ছিল গ্রীক লেটার আলফা)। আমি দাম জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলে, এটার অনেক দাম, কিনতে পারবানা। আমাকে আরও কিছু র্যাকেট দেখিয়ে বলে, সেগুলো দেখ। আমি সেগুলো দেখি, কিন্তু মন পড়ে থাকে ঐটার কাছে। আমি বারবার ঐ র্যাকেটটাই নেড়ে চেড়ে দেখি। কেমন হালকা, স্ট্রিংগুলো কেমন শক্ত-এটা দিয়ে খেলতে কেমন লাগবে সেই ফেন্টাসিতে ডুবে যাই।
বাসায় এসে আম্মাকে বলতেই আম্মা টাকা দিতে রাজি হয়ে যান। আসলে ঘটনা হচ্ছে, আমার স্কলারশিপের টাকা গুলো আম্মা আলাদা জমিয়ে রেখেছিলেন। সেখান থেকেই আমাকে র্যাকেট কেনার টাকা দেয়া হবে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটা ছোট শহরে থাকতাম। সেখানে হাইস্কুলের ছাত্রদের বার্ষিক কিছু টাকা দেয়া হতো বই কেনার জন্য। কিন্তু সেই টাকা যখন আমাদের হাতে এসে পৌছাতো ততদিনে হয়তো বছরের অর্ধেক শেষ। আবার কখনও কখনও দুবছরের টাকা একবারে দেয়া হতো। সেই টাকাই আম্মা জমা করে রেখেছিলেন দু-তিন বছর ধরে। আমার খুশি আর কে দেখে, আমি বিকেলে মাঠে হাজির হয়ে সগৌরবে প্রচার করি কাল-পরশুর মধ্যেই আমি র্যাকেট কিনতে যাচ্ছি।
দুদিন বাদে আব্বা কী এক কাজে ঢাকা যাবেন, কিন্তু হাতে তেমন টাকা নেই। উনি কার কাছ থেকে টাকা ধার করতে গিয়েছেন, কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এদিকে পরদিন না গেলেই নয় খুব জরুরী। আম্মা আমার স্কলারশিপের টাকা গুলো নিয়ে আব্বাকে দিয়ে দিলেন। আব্বা সেগুলো নিয়ে ঢাকা চলে গেলেন। আম্মা আমার চুলে বিলি কেটে আদর করতে করতে বললেন, আমি যখন বড় হব এমন র্যাকেট অনেক কিনতে পারব। এখন সংসারের এরকম বিপদের দিনে টাকাগুলো কাজে লাগলো, এটা অনেক ভাল একটা কাজ হয়েছে। আমি কেঁদেছিলাম কিনা মনে নেই, তবে মনে আছে খুব একটা কষ্ট পাইনি। আমার টাকা আব্বার একটা কাজে লাগতে পেরেছে, এটা ভেবে ভাল লেগেছিল।
এরপর অনেক দিন চলে গেছে। অনেক র্যাকেটও হয়তো কিনেছি, ব্যাডমিন্টন খেলেছি রাতভর। দুদিন আগে মার্কেটে গিয়ে দেখি কত কত র্যাকেট- আয়োনেক্স, উইলসন, ভিক্টর আরও কত ব্র্যান্ড এর র্যাকেট। যেটা ইচ্ছা কেনা যায়, দামও হাতের নাগালে। কিন্তু হাত ছোঁয়াতে গেলেই মনে পড়ে যায়, সেই মফস্বল শহরের ছোট দোকানে দেখা র্যাকেটটার কথা। মনে হয় ওটার মত এত ভাল আর কোনো ব্যাডমিন্টন র্যাকেট হয়ই না। কত দাম দিলে সেই র্যাকেটটা কেনা যাবে কে জানে!
মন্তব্য
স্ম্তিচারণ ভাল্লাগলো।
---আশফাক আহমেদ
ধন্যবাদ
খুব ভাল লাগলো পড়ে। মন কে ছুঁয়ে গেলো।
এত অল্প বয়সে আপনার চিন্তার অসাধারন গভীরতা যা আজকাল অকল্পনীয়।
ভাল থাকবেন।
আমার আগের স্মৃতিচারনমূলক লেখাগুলো পড়লে বুঝবেন, আম্মা-ই মূলত আমার এমন মনোজগত গড়ে তুলেছেন।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শীত শুরু হয়ে গেছে। মাত্র দুবছর আগেও হলে প্রায় সারারাত ধরে চলত ব্যাডমিন্টন যজ্ঞ; আর এখন গাড়ির জানালা দিয়ে উপভোগ করি...খেলার সময় সুযোগ আর হয় না......মনে করিয়ে দিয়ে মনটা খারাপ করে দিলেন......
আমার যতদূর মনে পড়ে প্রথম র্যাকেট কিনেছিলাম মাত্র ৭০ টাকায় ক্লাস ফাইভে...অথচ সেটা দিয়ে প্রায় তিন বছর মনের সুখে খেলে বেড়িয়েছি...আর তার আগে আপনার মতই কখনও বন্ধু বা কখনও কাজিনদের র্যাকেট নিয়ে খেলতাম; আরও ছোট কালে ছিল আরও অভিনব ব্যবস্থা;খেজুরের ডালের গোড়া কেটে ছোট করে তা ব্যাট হিসেবে ব্যবহার হত। আর কর্ক হিসেবে ছিল বুনো কল্মির ফাঁপা কান্ডে গোঁজা একগুচ্ছ মুরগির পালক। খেলার সময় সেটার টক্টক্ আওয়াজ এখনও কানের কাছে বাজে...সেই যে মোর নানা রঙ এর দিনগুলি.........
-অতীত
অসাধারণ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার ৭০ টাকার একটা ম্যাক্স র্যাকেট এখনো আছে
অফটপিকঃ র্যাকেট লেখে কীভাবে? কেউ হেল্প করবেন? প্রথম বানানটা আমি কপি-পেস্ট করেছি
---আশফাক আহমেদ
ঘ্যাচাং
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন তাসনীম ভাই।
বাহ্ দারুনতো!
(কিছুই বুঝলাম না। উপরের তাসনীম ভাই আর ব্লগার 'অতীত' এর কমেন্ট এর নাম্বার একই-তিন! এই কমেন্টটা দুইবার দিলাম, দুইবারই তাসনীম ভাইয়ের কমেন্ট এর নীচে দেখাচ্ছে)
সুন্দর লাগলো।
আরেহ্ মূলদা!
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগলো...
@আশফাক আহমেদ
র্যাকেট=ryakeT
হয় না
আপনার কি পুরোনো ওএস - এক্সপি বা অমন কিছু? এই দুটো পড়ে দেখতে পারেন -
http://www.omicronlab.com/blog/support/bangla_ro-zofola_problem_and_solution/
এবং http://www.omicronlab.com/blog/support/replace-usp10-dll/
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
স্কুলজীবন-স্মৃতিচারণের ভাল মরসুম চলছে এখন। সুন্দর হয়েছে।
আরে মিয়া বার্ষিক পরীক্ষা শেষ না
ক্রেডিট গোজ টু তুলিরেখাদি। উনিই প্রথম এই শীতের মৌসুমে ইস্কুল্বেলার গল্প চালু করেছেন।
ছেলেবেলার পূরণ না করতে পারা তালিকায় যে কতো জিনিসের নাম! একেকবার ভাবি, যে দুয়েকটা জিনিসের কথা এখনও ভুলি নি, হাত বাড়িয়ে সেগুলো তুলে আনি রাঙতা কাগজে মুড়িয়ে, উপহারের রূপে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয়, ছেলেবেলায় না পাওয়া জিনিসটা রাঙতা কাগজে মুড়ানো গেলেও সেই সময়, সেই আনন্দ আর সেই শিহরণটাকে তো আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব না...!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারন মন্তব্য ধুগোদা। পুরোটাই কোট করতে ইচ্ছা করছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
সুন্দর লেখায় স্মৃতিচারণ, ধন্যবাদ। বারবার ফিরে যাই অতীতে। স্বৈরাচার এরশাদের অবদানে আমাদের পরিবারে যে সীমাহীন দুর্গতি নেমেছিলো তাতে শৈশবের অধিকাংশ সাধ-আহ্লাদ বিসর্জন দিতে হয়েছিলো। র্যাকেট বা ক্রিকেট ব্যাটের ক্ষেত্রেও এটা ঘটেছিলো।
২০০৮ সালে একটা দামি ইয়োনেক্স কারবোনেক্স কিনেছিলাম। কিন্তু খেলা হয়েছে মাত্র একদিন।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। স্বৈরাচার এরশাদের সময়ের অভিজ্ঞতা লিখে ফেলুন বস্।
বস্, লিখতে চাইলেও কলমে আনা খুবই কঠিন। বড়ই দুঃসময় গেছে আমাদের। অবর্ণনীয়। কারো যেনো এমন অবস্থা না হয়।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হুম বুঝতে পারছি...আশেপাশের অনেকেরই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানা আছে। এমনকি আমারও আছে কিছু। সচলেও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।
কলোনির মাঠে পাড়াতুতো বড় ভাইয়ারা যখন হইচই করে ব্যাডমিন্টন খেলতেন, কচিকাঁচা হিসেবে আমাদেরও কাজ ছিল কর্ক কুড়িয়ে আনা।
চমৎকার লেখা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছোটবেলায় আমার কোন র্যাকেট ছিল না, অন্যদের থেকে ধার করে খেলতাম। বড় হয়ে একটি র্যাকেট কিনেছিলাম যেটা এখনও আছে, কিন্তু সেটা কেনার পরে আর ব্যাডমিন্টনই খেলিনি।
স্মৃতিচারণ ভাল লেগেছে।
পাগল মন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাগল মন।
হুমম! বেদনাকাতর স্মৃতি পড়ে কিছুটা বিষন্ন হলাম! কিন্তু একবারও কি লক্ষ করেছেন, পাওয়ার চেয়ে ন পাওয়ার গল্পগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেই গল্পগুলোই 'অতীতের' আপনাকে আজকের 'আপনি' হতে পথ দেখিয়েছে! চাইলেই যদি পেয়ে যেতেন, তাহলে কি এই ঘটনাটা আপনারম স্মৃতিতে দাগ কাটত? এমন ঘটনা গুলোকে আমি আমার জীবনের রত্ন জ্ঞান করি, আর মাঝে মাঝেই নিজের রত্নগুলোর দিকে ফিরে ফিরে তাকাই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ঠিক বলেছেন সাইফ ভাই। ঐ রত্নগুলোর চকমকিতে এখনও চমকে চমকে উঠি চলার পথে।
ছোটবেলার অপূর্ণ চাওয়াগুলো এই বড়বেলায় পাওয়ার সুযোগ, সামর্থ্য থাকলেও সেই ছোটবেলার মতো করে আনন্দ পাবার ক্ষমতা কেন জানি নষ্ট হয়ে গেছে মনে হয়।
আমরাও যে নিজেদের ভেঙ্গে গড়ি প্রতিনিয়ত।
শুভেচ্ছা জানবেন।
ঘটনা কি? সবাই এইরকম নস্টালজিক লেখা লিখছে ক্যানো? শীতটা মনে হয় স্মৃতিচারণের মৌসুম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ওরে দুষ্টু, তাও তো লিখতেছে, কিন্তু তোমার কাহিনী কি? ভুটানের ভুট্টা কই?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শিগগিরিই আসবে। দৌড়টা শেষ হোক।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দৌড় শীঘ্রই শেষ হোক
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার গল্প!! তুলি
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন