ভাল থেকো শুভ

গান্ধর্বী এর ছবি
লিখেছেন গান্ধর্বী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২২/০৯/২০১৩ - ৯:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝাঁ চকচকে সুন্দর একটা সকাল। ঝিরিঝিরি বাউরী হাওয়ায় তিরতির করে কাঁপছে গাছের পাতাগুলি। যেন কি এক আনন্দযজ্ঞে মেতে আছে সমস্ত প্রকৃতি! এমন একটা সকাল নিয়ে যেকোনো যুবক দিব্যি দু-চার লাইন কবিতা আওড়ে যেতে পারে বা গুনগুনিয়ে গাইতে পারে রোম্যান্টিক কোনো গান! কিন্তু শামীম আর দশটা সাধারন যুবকের মত নয়। তার মনের আবহাওয়াটা একটা হিমঘরের মত নিরেট, গুমোট হয়ে আছে। ক্ষুধায় পেট চুঁইচুঁই। কখন থেকে হেঁটে চলেছে গন্তব্যহীনের মত। পকেটে ভাঁজ করা প্রেসক্রিপশনটা ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে। সাদা এপ্রন পরা ডাক্তারের ধমক কানে বাজছে এখনো। তবু কাল সারাটা দিন হসপিটালে পা দেয়নি শামীম। সাহসে কুলোয় নি! পকেটে বয়ে বেড়াচ্ছে পাহাড় সমান বোঝা। টিউশনিটা বিকেলে, সেও আরো অনেক দেরি। সে ঠিক করেছে তার ছাত্রের মাকে বলবে টাকাটা বেতন থেকে কেটে রাখতে। নইলে তার ভাই শুভর কেমোথেরাপির ওষুধ কেনা হবে না। কিন্তু সে খুব ভাল করেই জানে ওই টাকা দিয়েও সবকটা ওষুধ কেনা যাবে না। দ্বিতীয় দফা কেমোথেরাপি দেবার জন্য তিনদিন ধরে হসপিটালে ভর্তি ছেলেটা। টাকার অভাবে কেমো শুরু করা যাচ্ছে না, ডাক্তার তাগাদা দিয়ে যাচ্ছেন। সিভিয়ার এনিমিয়াও হয়ে গেছে, চার ব্যাগ ব্লাড লাগবে। মাত্র এক ব্যাগ দেয়া হয়েছে। আরো তিন ব্যাগ রক্ত তাকেই যোগাড় করতে হবে।
‘ভাই, তুই ভাল আছিস তো? আমাকে দেখতে আসিস না কেন?’ সকালে ফোনে শুভর ক্ষীণ কণ্ঠস্বরটা শুনতে পেয়ে শামীম ঘোরগ্রস্তের মত রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল, একটা কিছু ব্যবস্থা করতেই হবে। ব্যথায় পা টনটন করছে। ফুটপাতে বসে পড়ল শামীম, চুল খামচে ধরেছে নিজের, ক্লান্ত বিপর্যস্ত লাগছে খুব। হঠাৎ গত রাত্রের কথা মনে পড়তেই শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল একটা স্রোত বয়ে গেল। সবচেয়ে সহজ পথটাই ভুলে বসে আছে সে।
কাল পথে পথে ঘুরে মাঝরাত্তিরে যখন বাসায় ফিরল তখন দেখে তার রুমটা ভেতর থেকে বন্ধ করা। কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করার পর দরজাটা খুলে গেল। ভেতর থেকে তার রুমমেট সোহাগ বেরিয়ে এল। দরজাটাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছে সোহাগ। ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখতেই আঁতকে উঠলো শামীম। একটা দশ বারো বছরের বাচ্চা ছেলেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে উপুড় করে ফ্লোরের মধ্যে শুইয়ে রাখা হয়েছে। শামীম সোহাগকে ঠেলে রুমের মধ্যে ঢুকে পড়ল। তার মুখ দিয়ে কথা সরছে না।
-এসব কি?
ছেলেটা অস্ফুট স্বরে কি যেন বলতে চাইছে। চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়াচ্ছে তার। শামীম এখন লক্ষ্য করল যে ছেলেটার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা! সোহাগ বলল
-বাইরে আয়, এত জোরে কথা বলিস না।
শামীমকে বাইরে নিয়ে এসে সোহাগ দরজাটা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিল।
-কি ব্যাপার এইসব? একটা বাচ্চা ছেলেকে ধরে এনে বেঁধে রাখছিস কেন?
-শুন শামীম। প্ল্যানটা সবুজ করছে, ও একটু সিগারেট খেতে গেছে, আসুক । পুরা প্ল্যানটা তোকে বুঝায়ে দিবে। মাথাটা ঠাণ্ডা কর, জালে খুব বড় মাছ ধরা পড়ছে রে...
-এ কে কোত্থেকে এনেছিস? কখন এগুলা করেছিস? তোরা কি বুঝতে পারছিস না যে খুব বড় একটা ঝামেলায় জড়িয়ে যাবি ?
খ্যাক খ্যাক করে অশ্লীল ভঙ্গিতে হেসে উঠলো সোহাগ। বলল
-শুনো বন্ধু, ঝামেলায় জড়ালে তুমিও বাদ যাবা না। শত হলেও তো বন্ধু মানুষ, তুমিও ভাগ পাবা।
শামীম ভয়ে সরু হয়ে গেল। নিতান্ত বাধ্য হয়ে সোহাগ আর সবুজ নামের এই ছেলে দুটোর সাথে একই বাসায় ভাড়া থাকতে হচ্ছে তার। এদেরকে কখনোই তেমন সুবিধের মনে হয় নি। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, মাস ছয়েক ধরে বেকার জীবন কাটাচ্ছে। শামীম নিজেও মাস্টার্সের পর হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজে বেড়াচ্ছে, জুতার তলা ক্ষয়ে যাবার পর্বও শেষ। ছোট ভাইটা ক্যান্সারে ভুগছে গত একটা বছর ধরে। গ্রাম থেকে শহরে এনে দুবার অপারেশন করানো হয়েছে। জমিজমা, সঞ্চিত টাকা পয়সা সব চলে গেছে চিকিৎসার পেছনে। টাকার প্রয়োজন তাই সবচেয়ে বেশি এখন তারই। সে হতদরিদ্র ঘরের ছেলে, যেকোনো মূল্যে এখন টাকা তার চাইই চাই। কিন্তু ওর রুমমেটদের কি এমন প্রয়োজন পড়ল যে সাংঘাতিক কিছু একটা করার চিন্তা করেছে! কিছুই ভাবতে পারছে না শামীম, সব তালগোল পেকে যাচ্ছে।
-দ্যাখ সোহাগ, বাচ্চাটাকে ছেড়ে দে। তোরা ওর সাথে কি করবি? নাহলে বল কোত্থেকে এনেছিস ওকে, আমি দিয়ে আসি। কেমন করে কাঁদছে ছেলেটা, দ্যাখ একবার।
-এইসব ভাবলে আর তোর ভাইকে বাঁচাতে হবে না। অনেক টাকার ব্যাপার, ডাক্তার নাকি বলছিল যে কেমো আরো চারবার দেওয়া লাগবে। তারপরও অপারেশন লাগতে পারে! এত টাকা কোত্থেকে যোগাড় করবি? দেখ আমারও টাকা লাগবে, সবুজও খুব কষ্টে আছে। এখন ছেলেটারে নিয়ে আসছি, কেমনে টাকাটা হাতে আসে সেই ধান্ধা না করে তুই আছস তোর আদর্শ নিয়ে!
-আমি কি বলছিলাম এমন কিছু করতে? নাকি আমাকে জিজ্ঞেস করে তোরা কাজটা করেছিস? তোরা দুইদিন ধরে কিসব ফিসফিস করলি, আমার সন্দেহ লাগলেও কিছু বলি নি। কিন্তু আমি তোদের পাল্লায় পড়তে মোটেও রাজি নাই। সামনে থেকে সর, আমি ওকে দিয়ে আসব।
প্রায় ধাক্কা দিয়ে সোহাগকে সরিয়ে শামীম দরজার দিকে এগিয়ে গেল।
-যা দিয়ে আয়। ওকে এনেছি কি এখন নাকি? সেই কোন সকালে এনেছি! এতক্ষনে পুলিশেও খবর দিয়ে দিয়েছে বাপ-মা। তোর মাথার ঠিক নাই, তাই তোকে না জানায়ে প্ল্যানটা করা হয়েছিল।
বজ্রাহতের মত তাকিয়ে আছে শামীম।
-আরে বোকা শুন না আমার কথা। তোকে তো বলেছিলামই যে ছেলেটার বাবা কোটিপতি…
-তুই জানিস কিভাবে?
-আরেহ, ওকে তো সবুজ পড়ায়। ওদের বাসার সব খবরই সে তলে তলে জেনে নিয়েছে।
শামীম রীতিমত বোবা হয়ে গেল!
- দারুন প্ল্যান করেছে রে সবুজ। ওর কথা মত আমি ওই ছেলেকে স্কুলের গেইট থেকে ধরে নিয়ে আসছি। বাস, এই হল কাহিনি। এখন সবুজ বাসায় ফিরলেই তুই ফোন করবি ওই ছেলের বাপকে। এই যে নাম্বার আমার কাছে আছে…
সবুজের দিকে তেড়ে গেল শামীম
-তোদের কেনা গোলাম নাকি আমি…
সাথে সাথে শার্টের কলার চেপে ধরে শামীমকে দেয়ালে ঠেসে দিল সোহাগ।
-আরেকটা কথা বললে দেখবি কি করি। দাঁতে দাঁত চেপে জ্বলন্ত চোখে হিসহিস করে কথাগুলো বলল সে।
এখন ওকে দেখে মনে হচ্ছে ঠাণ্ডা মাথায় দু’চারটা খুন করা ওর জন্য কোনও ব্যাপার না। শামীম স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে। ওকে ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে একটা আধময়লা রুমাল বের করে মুখটা মুছল সোহাগ।
-তোর নিজেরও অনেক টাকা দরকার। এখন সাধু সাজার সময় না। আরে ব্যাটা শুন, ওই ছেলের বাবার কাছে এক কোটি টাকা হল হাতের ময়লা…
-কি!! এক কোটি?!
-হুম এক কোটি না তো কি, তিন ভাগ হবে। টাকা দিবে, ছেলে নিবে। ছেলের গায়ে টোকাও দিব না। কেইস ফিনিশ। তিনভাগ করে যার যার টাকা নিয়ে নিব আমরা, আরেহ ব্যাটা তুইও ভাগ পাবি তো। তোর ভাইটা দেখবি পুরা সুস্থ হয়ে যাবে। হে হে।
সোহাগের কথাগুলো এখন আর ওর কানে যাচ্ছে না। ভীষণ অসহায় লাগছে তার। মনটা চলে গেছে হসপিটালে, ওর ভাই আর মায়ের মুখটা মনে পড়ছে খুব। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল শামীম।

একটু পরে সবুজ ফিরতে না ফিরতেই ওরা শামীমের দিকে ফোনটা এগিয়ে দিল। শামীম যন্ত্রচালিতের মত নাম্বারটাতে ফোন করল আর শেখানো কথাগুলি এক নিঃশ্বাসে উগড়ে দিল। যথেষ্ট হয়ে গেছে,আর কিছু চিন্তা করতে পারছে না সে। মাথার ভেতরে দপদপ করছে, বাইরের ঘরের ফ্লোরেই ক্লান্ত শরীরটা ছেড়ে দিল।
সকালে ভাইয়ের ফোনে ঘুম ভেঙ্গেছে শামীমের। সাথে সাথে হন্তদন্ত হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে। গতরাতের সব কিছুই এখন মনে হচ্ছে যেন ভয়ংকর একটা দুঃস্বপ্ন।

বিকেল গড়িয়ে গেছে। পঙ্গপালের মত অনবরত রোগী আসছে আর যাচ্ছে, সরকারি হসপিটাল। শামীম ওয়ার্ডের বারান্দায় পায়চারি করছে। ইচ্ছে করেই বাইরে ঘুরছে সে, ভেতরে গেলে মায়ের কান্নাকাটি দেখতে হয়, আরো মুষড়ে পড়ে। আজ শুভকে আরেক ব্যাগ ব্লাড দেয়া হবে। ডোনার এখনো এসে পৌঁছায় নি। অপেক্ষা করতে করতে সবগুলো কড়িকাঠ মুখস্ত হয়ে গেছে তার। ডোনার এল আরো এক ঘণ্টা পর। আজও ওষুধ আনতে পারেনি শুনে ডাক্তার আবারও একগাদা গালমন্দ করল তাকে, গাল খেয়ে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে পড়ল শামীম।
টিউশনিতে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি, ছাত্রের বাসায় গিয়ে দেখে ওখানে ‘না’ এর মত করে নিষ্ঠুরভাবে একটা বিশাল তালা ঝুলছে! এখন বাসায় ফিরতে হবে। ভাবতেই বুকটা ঢিপঢিপ করছে তার। গিয়ে কি যে দেখবে কে জানে। সারাটা দিন ইচ্ছে করেই একবারও ওদিকে যায় নি। এতক্ষণে তো টাকা হাতে চলে আসার কথা। কিন্তু যদি অন্যকিছু হয়! ছেলেটাকে কিছু করে ফেলবে না তো ওরা? হঠাৎ এরকম মনে হতেই দ্রুত পা চালালো শামীম। একবারও এ কথাটা মনে হয় নি কেন তার? রাগে নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।
ব্যস্তভাবে দরজায় নক করছে শামীম। কোনো সাড়া নেই। সোহাগকে ফোন করল, ফোন বিজি। সবুজকে ফোন করতেই ফোনটা ধরল সবুজ, শামীম তাকে দরজাটা খু্লে দিতে বলল। দরজা খুলতেই দেখল সবুজের মুখটা থমথমে। জিজ্ঞেস করতেই বলল
-এখনো টাকা দিয়ে যায় নাই। সোহাগ দুই ঘণ্টা ধরে রাস্তায় অপেক্ষা করছে। ব্যাপারটা সুবিধার মনে হয় না। বেশি ঘাউরামি করলে কেইসটাই একদম ফিনিশ করে দিব...
শামীম চমকে গেল শুনে। সে যা ভেবেছে, পরিস্থিতি সেদিকেই গড়াচ্ছে। সে ভেতরের রুমে উঁকি দিল। দরজা খোলা, পায়ে পায়ে এগিয়ে গেল সেদিকটায়। কি পাংশুটে হয়ে আছে ছেলেটার চোখমুখ। তার ভাইয়ের চেয়েও কম বয়স হবে। কোটিপতির ছেলে, শরীরে স্বাস্থ্যের ঝিলিক। এর জীবনের মূল্য তার ভাইয়ের চেয়েও বেশি! সব আনন্দে তার অগ্রাধিকার, আরো অনেকদিন পৃথিবীর আলো হাওয়ায় অবগাহন করবে সে, জীবনের সমস্ত স্বাদ লুটেপুটে নিবে, আর তার ভাই ধীরে ধীরে মৃত্যুকে করবে আলিঙ্গন! শুভর জীবনটাই কেন এমন অশুভ হয়ে গেছে? ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবনা মাথার ভেতরে গোত্তা খাচ্ছে। হঠাৎ বিদ্যুৎ খেলে গেল। ছুটে পাশের ঘরে গেল শামীম।
ফ্যাসফ্যাসে গলায় বলল
-যা তো সবুজ ব্যবস্থা কর। যদি শেষমেশ টাকাটা না দেয় তাহলে দেরি করা যাবে না। ও আমাদের মুখ দেখে ফেলেছে, ওকে ছাড়লে আমরা রেহাই পাব না...
-ঠিকই বলছিস তুই। সবার আগে তো আমাকেই ধরবে। দাঁড়া আমি এক্ষুনি বাইরে থেকে জিনিসপত্র নিয়ে আসি, দরজাটা ভাল করে বন্ধ করে রাখ।

সবুজকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েই শামীম দ্রুত সেই নাম্বারটাতে ফোন করল। ছেলেটার বাবা সত্যিই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। শামীমের ফোন পাবার কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশ তার দেয়া ঠিকানায় পৌঁছে গেল। নিচে গাড়ির শব্দ শুনতে পেয়ে ছেলেটার বাঁধন খুলে দিল শামীম।
-তোমার নাম কি ভাই?
-শুভ।
শামীমকে চমকে দিয়ে ছোট্ট করে উত্তর দিল ছেলেটা।
ক্লান্ত পায়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছে শুভ। শেষ ধাপে পৌঁছে ঘাড় ঘুরিয়ে শামীমকে একবার দেখল। হয়তো যাবার আগে এক টুকরো হাসি উপহার দিয়ে গেল তাকে।
জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছে শামীম। নিয়ন বাতির আলোতে দেখতে পেল দারুন সুখময় এক মিলনমেলা। যেন একটা সিনেমার শেষ দৃশ্য। বিড়বিড় করে বলল শামীম –ভাল থেকো শুভ, আরো বহুদিন মাখো এই আলো-হাওয়া।

----------------------------------------------

লেখিকাঃ গান্ধর্বী


মন্তব্য

এক লহমা এর ছবি

আমার যে ভাল কথা ছাড়া কিছু বলতে ইচ্ছা করে না, কি করি!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

গান্ধর্বী এর ছবি

প্রশংসা করতে জানা অত্যন্ত মহৎ গুণ! হাসি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

কেন যেন মনটা খারাপ হয়ে গেলো গল্পটা পড়ে!

বরাবরের মত লেখা খুব সুন্দর। তবে এবারের গল্পে, বিশেষ করে শেষের দিকে এসে একটু দ্রুত মনে হয়েছে লেখার তাল। জানি না এটা আমার বোঝার ভুল কিনা।

লিখতে থাকুন।

____________________________

গান্ধর্বী এর ছবি

তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে আমার বেশ প্রাচীন একটা অভ্যাস!কি করা যায় চিন্তিত
যাউকগা, লেখা ভাল লাগছে জেনে খুব ভাল লাগছে! এত ভাল ভাল লেখার মধ্যে আমার হালকা লেখাগুলো পড়ার জন্য আর মন্তব্য করার জন্যও আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

"এর জীবনের মূল্য তার ভাইয়ের চেয়ে বেশি।" এই লাইনটা যেন মাথার ভেতরে গিয়ে লাগল গুরু গুরু

গল্প ভাল হয়েছে, আরো লিখুন।
শুভেচ্ছা হাসি

গান্ধর্বী এর ছবি

অনেকদিন পর লিখতে বসেছি। আর আপনাদের কারনেই এখন নতুন করে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। খুব ভাল লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ হাসি

সন্দেশ এর ছবি

প্রথম পাতায় একজন লেখকের একটির বেশী লেখা প্রকাশিত হয় না। অনুগ্রহ করে, প্রথম পাতা থেকে এ লেখাটি সরে গেলে আবার লেখা সাবমিট করুন। জমা দেয়া লেখা গুলো আপাতত মডারেশন কিউ থেকে মুছে ফেলা হলো।

গান্ধর্বী এর ছবি

আমি সত্যিই খুব দুঃখিত। ব্যাপারটা আসলে পরে খেয়াল করেছি যখন নীতিমালাটা পড়ে দেখলাম।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

গান্ধর্বী এর ছবি

চিন্তিত

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো হাসি
ওআসিকা

গান্ধর্বী এর ছবি

ধন্যবাদ! হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।