প্রবাসে আমরা এবং আমাদের কমফোর্ট জোন

গীতিকবি এর ছবি
লিখেছেন গীতিকবি (তারিখ: শুক্র, ২৭/০১/২০১৭ - ৭:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক দিন পর সচলায়তনে লিখছি।

সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং তা থেকে যা উপলব্ধি সেটি নিয়ে একটি লেখা লিখেছি। প্রথম আলো পত্রিকা লেখাটি প্রকাশ করেছে।

লেখাটি দীর্ঘ। কিন্তু সবাইকে, বিশেষ করে প্রবাসে যারা থাকেন তাদেরকে পড়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের যত বেশীজন লেখাটি পড়ে ব্যাপারটি নিয়ে একটু ভাববে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও উল্লেখ্য সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে যে কোন ব্যবস্থা নেবে, তবেই সম্মিলিতভাবে প্রবাসে আমাদের অবস্থান আমরা সুদৃঢ় করতে পারব। মূলধারার জনগণের মাঝে আমাদের সম্পর্কে যে অজ্ঞতা, অহেতুক ভয় বা শঙ্কা, সেটি দূর করতে পারব।

আমার প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশীদের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতেনতা তৈরী করতে সবাই সবস্থানে একযোগে কাজ করুক। আম্যাদের মাঝে যারা সুলেখক আছেন তাদের লেখনীতে বিষয়টি উঠে আসুক। যারা কমিউনিটি নেতা, সংগঠক আছেন তারা তাদের পরবর্তী কমিউনিটি কর্মকান্ডে আমাদের এই সমস্যাটি উত্তরণে কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তা নিয়ে একটু ভাবুক। আমাদের দাওয়াতগুলিতেও এই সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা হোক এবং এর উত্তরণে গঠনমূলক কোন পদিক্ষেপ বেরিয়ে আসুক।

আমাদের সবাইকে এটি করতে হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। তাদের জন্য এই দেশে আমরা যেন একটি সুস্থ সমাজ রেখে যেতে পারি - যেখানে তাদের ব্যাপারে কারো মনে কোন ভয় বা দ্বিধা থাকবে না। তারা যেন নির্দ্বিধায় মূলধারার জনগণের সাথে ওতোপ্রোতভাবে মিশে যেতে পারে। নিজের কর্মক্ষেত্রে এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আসনটিও যেন তাদের নাগালের মধ্যেই মনে হয়।

ধন্যবাদ।

প্রথম আলোঃ প্রবাসে আমরা এবং আমাদের কমফোর্ট জোন

-শেখ ফেরদৌস শামস


মন্তব্য

ইয়ামেন এর ছবি

আপনার লেখাটা আমি প্রথম আলোতে ইতিমধ্যে পড়েছি। চমৎকার লেখা এবং আপনার উপলব্ধির সাথে আমার নিজের আমেরিকাতে গত ১৬ বছর থাকার অভিজ্ঞতাও মিলে যায়, আপনার সাথে আমি ১০০% একমত। আপনি সচলে লিখতেন আগে জানা ছিল না, জেনে আরও ভালো লাগলো।
চমৎকার লেখাটার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

পাঠক এর ছবি

সচালায়তনে পুর্ব প্রকাশিত লিখা প্রকাশ করা হয় না বলে ফতোয়া জারি করা আছে। এই লিখাটা কোন লিখাও না, আলু পত্রিকায় ছাপা একটা লিখার লিংক মাত্র। আমরা যারা সচালায়তনে লিখা দেই কিন্তু প্রকাশিত হয় না, এই পোষ্টটি তাদের সাথে এক অবিচার। মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

সত্যপীর এর ছবি

ঠিক আছে।

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

তখন ঈদ ছিল, অনেককে আমি প্রার্থীসহ ঈদের জামাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তখন তাদের বলেছি যে আমি মুসলমান। তাদের প্রায় এক ঘণ্টা মুসলমানদের ঈদ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান দিতে হয়েছিল। বেশ কয়েকজন প্রার্থী ঈদের জামাতে এসেছিলেন মুসল্লিদের সঙ্গে পরিচিত হতে। তবে একটি সভায় ঈদের দাওয়াত দিতে গিয়ে কয়েকজনের চেহারা পরিবর্তন হতেও দেখেছি।

আপনি তাদেরকে বাংলাদেশি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে দাওয়াত দিয়েছিলেন, নাকি মুসলিম সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে দাওয়াত দিয়েছিলেন সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। আমার বছরখানেকের আমেরিকার অভিজ্ঞতায় আমি কোন আমেরিকান কে দেখিনি ক্রিসমাস এ আমাকে নিমন্ত্রণ করতে । সেমিস্টার এন্ডিং পার্টি, উইকলি আড্ডাবাজি পার্টিতে আমি আমন্রণ পেয়েছি। তাদের সঙ্গে মিশেছিও।

মন মাঝি এর ছবি

এটা 'লেখা' না, ব্লগপোস্ট না, এটা স্রেফ বিজ্ঞাপণ। সচল্যাতনের ঘোষিত নীতিমালার পরিপন্থী। এটা বড়জোর 'কলরব'-এ থাকতে পারে, পোস্ট হিসেবে না।

****************************************

গীতিকবি এর ছবি

অনেক দিন পর সচলায়তনে পোস্ট করেছি। কাজেই নীতিমালা এবং নিয়ম কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নই। "কলরব" সেকশনটা মনে হয় নতুন। ওখানে কিভাবে পোস্ট করে খুঁজে পাইনি। কোন নিয়ম ভংগ করে থাকলে সেটি না জানার জন্যই হয়েছে। সেজন্য দুঃখিত। আমি নিয়ম মেনে চলার লোক। কাজেই অ্যাডমিনরা যদি মনে করে অনিয়ম হয়েছে, লেখাটি মুছে দিতে পারে বা কলরব সেকশনে সরিয়ে দিতে পারে। কোনটিতেই আমি কিছুই মনে করব না।

আর এই লেখাটি বিজ্ঞাপন নয়। এটি আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি থেকে একটি গনসচেতনতামূলক পোস্ট। চেয়েছি - প্রবাসীরা সবাই পড়ুক এবং বিষয়টি নিয়ে ভাবুক। সময়ের অভাবে লিঙ্কের সাথে গতকাল খুব বেশী কিছু লিখতে পারিনি। আজ কয়েকটি লাইন যুক্ত করে দিলাম।

____________________________
শেখ ফেরদৌস শামস ভাস্কর
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।"

সন্দেশ এর ছবি

প্রিয় গীতিকবি,

সচলায়তনে আমরা সদস্যদের কাছ থেকে মৌলিক, নতুন লেখা আশা করি। পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা সচলায়তনে পুনর্প্রকাশ করা নীতিমালাবিরুদ্ধ। আপনি যদি লেখার বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে সচলায়তনে নতুন লেখার একটি সিরিজ লেখা শুরু করেন, সচলায়তনের পাঠকেরা অনুপ্রাণিত ও উপকৃত হবেন। পাশাপাশি সচলায়তনের লেখকবৃন্দ, যারা মৌলিক লেখা দিয়ে সুদীর্ঘ সময় ধরে সচলায়তনকে সমৃদ্ধ করে চলছেন, তাঁরাও অনুপ্রেরণা পাবেন।

আপনার এ লিঙ্কসর্বস্ব পোস্টটি নীড়পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।