(গদ্য লেখার সাহস কখনো হয়নি। অনুবাদের ইচ্ছে ছিল কিন্তু বড় লেখায় হাত দিতে ভয়ও করত। অবশেষে ছোটখাটো একটা লেখা পেয়ে গেলাম, যেটা মনে হল সবার সাথে শেয়ার করা দরকার। অত্যন্ত প্রিয় লেখক পাউলো কোয়েলো এর Like the Flowing River এর The pianist in the shopping mall গল্পটা অনুবাদের দুঃসাহস দেখালাম। অভাজনের ধৃষ্টতা মার্জনীয়।)
শপিং মলের পিয়ানোবাদক
************
(মূলঃ পাউলো কোয়েলো)
একটা শপিং মলে এলোমেলো ভাবে হাঁটছি। সাথে আমার বন্ধু উরসুলা। মেয়েটা ভায়োলিন বাজায়। হাঙ্গেরিতে জন্ম এবং দু'টি আন্তর্জাতিক অর্কেস্ট্রাতে বাজায়। হঠাৎ সে আমার হাত চেপে ধরে বলল, "শোনো!"
আমি শুনলাম। বয়স্কদের কথা, বাচ্চার চিৎকার, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান থেকে ভেসে আসা টেলিভিশনের শব্দ , টাইলসে হাই হিলের খটখট শব্দ আর সব কিছুর সাথে মিশে আছে সেই সুর যেটা দুনিয়ার সব শপিং মলেই শোনা যায়।
"দারুণ না?"
আমি বললাম আমি দারুণ বা অসাধারণ কিছু শুনতে পাচ্ছি না।
উরসুলা আমার কথায় হতাশ হল। আমার দিকে চেয়ে বলল, "পিয়ানো বাজছে! লোকটা দারুণ বাজায়!"
"কোন রেকর্ড বাজছে হয়তো।"
"কি যে বলো না! ভালো করে শোনো।"
আমি একটু ভালো করে শুনে বুঝতে পারলাম সুরটা কোন প্লেয়ারে বাজছে না। লোকটা শোপিনের একটা সোনাটা বাজাচ্ছে। এখন যেহেতু আমি একটু খেয়াল করে শুনছি, আমার মনে হল সুরটা আমাদের চারপাশের সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। আমাদের চারপাশে মানুষ, দোকান, মূল্যছাড়, তোমার-আমার ছাড়া আর সবার কাছে আছে এমন সব পণ্যসামগ্রী (বিজ্ঞাপনে তো সেটাই বলে!)-এসবের মধ্যে দিয়ে আমরা এগিয়ে গিয়ে খাবারের দোকানগুলোর কাছে পৌঁছলাম। সেখানে লোকেরা খাচ্ছে, গল্প করছে, ঝগড়া করছে, পেপার পড়ছে আর সবকিছুর মাঝে দুনিয়ার আর সব শপিং মলের মত এখানেও একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।
একেক শপিং মলে একেকটি জিনিস থাকে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে, এখানে একজন পিয়ানোবাদক তার পিয়ানোতে সুর তুলছে।
লোকটা শোপিনের আরো দু'টো সোনাটা বাজাল। তারপরে শুবার্ট, এরপরে মোৎজার্ট। লোকটার বয়স ৩০ হবে। স্টেজের একপাশে ঝুলানো নোটিসে দেখলাম সে জর্জিয়ার (সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র) একজন বিখ্যাত বাদক। হয়তো অনেক দরজায় ঘুরেছে, কিন্তু কপাল ফেরেনি। অতঃপর মরিয়া হয়ে সব ছেড়েছুঁড়ে ঘাট বেঁধেছে এখানে।
কিন্তু আসলেই কি সে এখানে? তার দৃষ্টিতে সেই যাদুর পৃথিবী যেখানে সুরের সৃষ্টি, তার দুই হাত সবার মাঝে নিংড়ে দিচ্ছে তার ভালোবাসা, তার আত্মা, তার প্রেরণা, বহু বছরের সাধনা, একাগ্রতা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জিত তার সেরাটুকু।
কেবল একটা কথা মনে হয় সে বুঝতে পারছে না, এখানে কেউ তার বাজানো শুনতে আসেনি। লোকেরা কেনাকাটা করছে, খাচ্ছে, মজা করছে, দোকানে দোকানে ঘুরছে, আড্ডা দিচ্ছে, কিন্তু কেউ শুনছে না তার বাজনা, কেউ শুনছে না! একটা জুটি কিছুক্ষণ আমাদের পাশে দাঁড়ালো, তারপরে চলে গেলো। এসবের কিছুই লোকটার চোখে পড়লো না, সে এখনো মোৎজার্টের স্বর্গীয় দূতের সাথে আলাপে মগ্ন। তার চোখে পড়ে না এত বড় শপিং মলে দুইজন মানুষ তার শ্রোতা, যাদের একজন এক প্রতিভাবান ভায়োলিনবাদক, যার কিনা এই সুরে দু'চোখে পানি চলে এসেছে।
আমার মনে পড়ল একবার আমি একটা গীর্জায় হঠাৎ ঢুকে দেখেছিলাম একটা মেয়ে একা একা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বাজাচ্ছে।
কিন্তু সেটা ছিল একটা গীর্জায়, তার একটা অর্থ ছিল; এখানে তো কেউ শুনছে না...হয়তো ঈশ্বরও শুনছেন না।
মিথ্যে কথা! ঈশ্বর শুনছেন। ঈশ্বর আছেন তার দু'হাতে এবং আত্মায় কারণ সে বাজাচ্ছে তার হৃদয় দিয়ে, প্রাপ্ত অর্থ বা স্বীকৃতির দিকে চোখ না দিয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে মূর্ছনা সৃষ্টিতে। মনে হচ্ছে সে যেন মিলানের লা স্কালায় অথবা প্যারিসের অপেরাতে বসে বাজাচ্ছে। সে বাজাচ্ছে কারণ এই তার নিয়তি, এই তার সুখ, এই তার অস্তিত্বের অবলম্বন।
আমার মধ্যে এক গভীর শ্রদ্ধার বোধ এলো। এই লোকটির জন্যে শ্রদ্ধা, যার কাছ থেকে আমি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেলাম। শিক্ষাটি হল প্রতিটা মানুষকে কেবল তার নিজের কাহিনী পূর্ণ করতে হয়। সেখানে সে নিজেই কেন্দ্রীয় চরিত্র। অন্যরা তাকে সাহায্য, সমালোচনা, সহ্য বা অবজ্ঞা করলো কিনা তাতে কিছু যায় আসে না। সে তার কাজ করে যায় কারণ সেটাই তার নিয়তি, সেটাই তার আনন্দের একমাত্র উৎস।
লোকটা মোৎজার্টের আরেকটা সুর বাজানো শেষ করে প্রথমবারের মত আমাদের দেখতে পেল। মাথা সামান্য নুইয়ে একটা সংক্ষিপ্ত অথচ সম্ভ্রান্ত অভিবাদন করল। আমরা জবাব দিতেই আবার ফিরে গেল তার আপন স্বর্গে। আমাদের লাজুক হাততালি পৃথিবীর আর সবকিছুর মতই তাকে ছুঁতে পারবে না, তাই তাকে সেভাবে রেখেই আমরা চলে আসলাম। নিয়ে আসলাম সবার জন্যে এই শিক্ষা। যখন আমাদের মনে হবে আমরা কি করছি সেটা কেউ লক্ষ্যই করছে না, তখন যেন আমরা এই পিয়ানোবাদকের কথা চিন্তা করি। তার কাজের মাধ্যমে সে ঈশ্বরের সাথে আলাপে মগ্ন ছিল, আর কোন কিছুরই তাই কোন মূল্য ছিল না।
(সমাপ্ত)
মন্তব্য
এহেন দুরুহ কাজে হাত দেবার জন্য অভিনন্দন।
বাহ!!, এখন আমরা একই লেখকের ভিন্ন লেখার অনুবাদ পড়ছি, দেখা যাক কোন মিল পাওয়া যায় কিনা, তাহলে বোঝা যাবে, ২ অনুবাদক লেখকের বক্তব্য বোঝাতে পারছেন, আমার ধারনা ভুল হওয়ার চান্স ও খুব বেশী। চালিয়ে যান, বিনিময়ে বাংলায় দুটো গল্প পড়া হয়ে যাবে। কষ্ট করে ইংরেজি পড়া লাগবে না।
অনেক ধন্যবাদ। কঠিন কাজ দেখেই ছোট গল্প অনুবাদ করছি।
একই লেখকের ভিন্ন লেখায় লেখক ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে তার কলম চালান। তাই খুব একটা মিল না পাওয়া যেতেই পারে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
কোয়েলিও একটা জিনিয়াস!অনুবাদ ভালো লাগলো
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
লোকটা কিভাবে যে এত সহজ করে সব বলতে পারে!
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
--পড়ে একটা ধাক্কা খেলাম।
খুব চমৎকার অনুবাদ করেছেন তানিম । অভিনন্দন।
মামুন ভাই, এই লেখাটা কিন্তু কখনই সম্ভব হত না আপনি ওই অনুবাদটা শুরু না করলে। সত্যি কথা বলতে আপনাকে দেখেই সাহস করে এই ছোট অনুবাদটা শুরু করেছি।
এখানে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, কত সত্য, তাও কি আমরা সেভাবে ভাবতে পারি সবসময়?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
খুব, খুব সুন্দর একটা অনুবাদ পড়লাম!! আসলেই!
কিন্তু আসলেই কি সে এখানে? তার দৃষ্টিতে সেই যাদুর পৃথিবী যেখানে সুরের সৃষ্টি, তার দুই হাত সবার মাঝে নিংড়ে দিচ্ছে তার ভালোবাসা, তার আত্মা, তার প্রেরণা, বহু বছরের সাধনা, একাগ্রতা আর নিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জিত তার সেরাটুকু।
মূল লেখাটা তো পড়ি নি, কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে এই প্যারাটা অনুবাদ করা বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো, যদিও করা হয়েছে চমৎকার।
কেন যে এমন মনে হলো, জানি না যদিও
অনেক ধন্যবাদ, অনেক! আসলে আপনারা উৎসাহ দেন দেখেই এই দুঃসাহসগুলো করে ফেলতে পারি মাঝে মাঝে।
ঠিকই ধরেছেন। অনুবাদ করতে গিয়ে ঠেলা বুঝেছি। কিছুতেই লেখকের ভাবটা বুঝানো সম্ভব হয় না। বেশকিছু জায়গাতে এই সমস্যা হয়েছে। ভাষার পার্থক্যের সাথে যোগ হয়েছে নিজ ভাষায় দুর্বলতা।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
অসাধারণ অনুবাদ, জিএমটি ভায়া। গল্পটা পড়ে রীতিমতো মুগ্ধ হলাম। যেমন গল্প, তেমনই দুর্দান্ত অনুবাদ। আপনি নিয়মিত অনুবাদ করুন। অনেক ভাল করবেন, বিশ্বাস করি। আরো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। একটু বেশি বলে ফেলছেন মনে হয়। গল্পটা ছুঁয়ে গিয়েছিল, তাই চেষ্টা করেছি। আপনাদের উৎসাহ সবসময় এগিয়ে দেয়!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভালো লেগেছে। অনুবাদ পড়ছি মনে হয়নি। তার মানে সফল।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
অনেক ধন্যবাদ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
দারুন নকল করেছো হে তানিম!!! হিহিহিইহ
লেখা ভালাইছে!!
মুহাহাহাহা...
তরে থেঙ্কু!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভালো লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
অনুবাদ ভালো হয়েছে।
কিন্তু গল্পটার কোনো বিশেষ মাজেজা আমার চোখে পড়লো না।
এর চেয়ে ঢের ভালো গল্প আমাদের এই ব্লগের অনেকে ব্লগারের পোস্টে পড়েছি।
সবচেয়ে খারাপ লাগলো গল্পের শেষে 'ইহা হইতে আমরা কী শিখিলাম' টাইপ কথাবার্তা।
তবে আপনার অনুবাদ স্বচ্ছন্দ।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
অনেক ধন্যবাদ।
গল্পের শেষের বিষয়ে আপনার মন্তব্যের সাথে প্রায় একমত। কিন্তু আমি যখন গল্পটা পড়ি তখন এই কথাগুলো তেমন অপ্রয়োজনীয় লাগেনি। অবশ্য এক্ষেত্রে অনুবাদকের ভাবপ্রকাশে দুর্বলতাও কারণ হতে পারে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
উপরে শোমচৌ যা বলেছেন তা ক্রিটিক্যালি দেখলে অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু সকালবেলা বিছানাতেই শুয়ে পড়লাম বলেই কিনা জানি না, খুব ভালো লাগলো গল্পটা। এই ভালোলাগার পিছনে স্বচ্ছন্দ অনুবাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরের সব লেখাই সকালে বিছানায় শুয়ে পড়ুন।
অনেক ধন্যবাদ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
খুবই সুন্দর লেখা। চমৎকার অনুবাদ।
ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে।
ধন্যবাদ পাগল কবি!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভাল্লাগছে...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
কিছু মনে করবেন না,
লেখকের নাম পাওলো কোয়েলো না পাওলো চেলো? ইটালিয়ান নাম মনে হওয়ায় বললাম। আমার ধারনা ভুল হতে পরে। ধারনা থেকেই বললাম।
এখানে মনে হয় শুধু সনেট (সোনাটো না লিখে) হলেই চলে।
অনুবাদ খুবই ভাল হয়েছে। যে লোকটা সুরের আরাধনা বা সাধনা করে তার অন্য প্রাপ্তি মূখ্য নয়, এখানে শুধু বাজনার সৌন্দর্য্য দেখানোর জন্য
দেশে তো এখন অনেক রাত - জি এম তানিম জেগে থেকে এটা দেখছেন কিনা জানি না, আমিই অযাচিতভাবে একটু উত্তর দেই?
পাওলো কোএলয়ো (উচ্চারণটা পর্তূগীজ মতে ঠিক হলো কিনা জানি না) ব্রাজিলিয়ান লেখক।
আর, সনেট (কবিতা) এবং সোনাটা (মিউজিকাল কম্পোজিসন) তো আলাদা!
পাওলো কুয়েলহোর নাম নিয়ে আমার মধ্যেও অনেক সংশয় ছিল, কিছুটা এখনো আছি। আমিও শুরুতে তাকে পাওলো কোয়েলো ডাকতাম, একবার সাউথ আফ্রিকা গিয়ে শুনি সেখানে লোকে তাকে দাকে পাওলো চেলো। পরে এক পর্তুগীজ বন্ধুকে জিজ্ঞেস করায় সে বলল এটা হবে পাওলো কুয়েলহো। কোনটা সঠিক এখনো নিশ্চিত না, কেউ পাউলো মিয়ারে ফুন দিয়া জিগাইবেন?
অনেক ধন্যবাদ পুতুল। মনে করার কিছু নেই কারণ আলোচনার মাধ্যমেই অনেক ত্রুটি বেরিয়ে আসবে, যা পরের লেখাগুলোতে সাহায্য করবে। আপনার শেষের কথাগুলোর সাথে একমত। এই সময়ে তো "আশাটাও পণ্য এখন বাজারদরে"। তাই সেই দিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন নিজের কর্মে এমন কমিটেড হতে পারব।
ধন্যবাদ স্নিগ্ধাকে উত্তর দেওয়ার জন্যে। সোনাটার ব্যাপারে স্নিগ্ধার সাথে একমত। তবে লেখকের নামের উচ্চারণ নিয়ে আমি মামুন ভাই এর মতই কনফিউজড। গুগল সার্চে একটি লিঙ্ক পেলাম। জনৈক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবহারকারী এর মতে এটার উচ্চারণ "পাউলো কুয়েলু"। মানে শুনে তাই মনে হল। পরবর্তী কোন রেফারেন্স পাওয়ার আগে পর্যন্ত এটাই ব্যবহার করব ঠিক করেছি।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
'কুয়েলু' শুনে ভাল্লাগেনা!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গল্প হিসেবে তেমন কিছু মনে হলোনা আসলেই।
তবু শেষ পর্যন্ত পড়তে একটু ও সমস্যা হলোনা। নিঃসন্দেহে এ অনুবাদকের কৃতিত্ব। ভালো লাগলো। আরো অনুবাদ চাই।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ উৎসাহের জন্যে। ভালো করার চেষ্টা থাকবে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আহ!
লিংকনের এই টাইপের একটা কোয়োট ছিল... it's surprising how much you can accomplish if you don't care who gets the credit... কিন্তু এটা সাধারণত হয় না যদিও। আমরা ক্রেডিট-হোর, থুক্কু, আমি অন্তত।
সহমত। অনেকাংশেই আমরা এই তুচ্ছতাকে ছাড়িয়ে উঠতে পারি না... তারাই পারেন, যারা বড় মানুষ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
গল্পটা কোমল একটা আমেজ রেখে যায় ঠিকই। তবে ব্যক্তিগতভাবে কেন জানি এইসব বিদেশী পশ্চিমী কাহিনির সাথে দূরত্ব লাগে, খুঁজে পাই না নিজেকে। খুব নামডাক শুনে পড়লাম কিছু কিছু-ওয়ান হানড্রেড ইয়ার্স অব সলিচুড, ক্রিস্টাল ফ্রন্টিয়ার এইসব। কিছুই মিলল না। হয়তো আমারই অক্ষমতা।
তুলনায় রুশ গল্পগুলো কাছের লাগতো। হয়তো চেনা চেনা কিছু থাকতো-প্রথম শিক্ষক, জমিলা, সার্কাসের ছেলে,মা, ইস্পাত-কেন জানি আজও মনে আছে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমার পড়াশোনা খুব কম। এক কাজিনের কাছে প্রথম পাউলো কুয়েলু'র বই প্রথম পড়ি। গল্পের বিচারে হয়তো একটা দূরত্ব থেকেই যায়, তবে গল্পের ভিতরে যে ছোট গল্পগুলো থাকে তার সাথে অনেক মিল খুঁজে পাই। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
পাওলোর গল্প আর তানিমের অনুবাদ নিয়ে অন্যরা যা বলে দিয়েছেন তার আর পুনরাবৃত্তি করবো না। কারণ, আমার মতও অধিকাংশের মত।
তবে গল্পটা পড়ে আমার একটা কথা মনে হল। আমরা যারা ব্লগে লিখি তারা অনেক সময়ই অনেক বিষয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা-লেখাপড়া করে লিখি। তার জন্য আমাদের যথেষ্ঠ পরিশ্রম করতে হয়, সময় খরচ করতে হয়। সেগুলোর সবই যে আহা মরি কিছু হয় তা হয়তো নয়, তবে মাঝে মাঝে ভালো কিছুও হয়। দিন শেষে দেখা যায় জনাপঞ্চাশেক পাঠক সেটা পড়েছেন, এক-আধজন "ভালো হয়েছে" জাতীয় মন্তব্য করেছেন। তাহলে এই পরিশ্রম আর সম্পদ ব্যয় কি কেবল এইটুকু অর্জনের জন্য ছিল? অথবা এই অর্জনটুকুর জন্য কি এই পরিশ্রম আর সম্পদ ব্যয় দরকার ছিল? বলতে পারেন যিনি লেখার এই কাজটি করেন তিনি এসব ভেবে করেন না। তা ঠিক, তবে সভ্যতাতো একটা ক্রমাগত গবেষণা আর পরিশ্রমের ফল। যদি একজনের গবেষণা আর পরিশ্রম বাকিদের কাজে না-ই লাগলো তাহলে সভ্যতার অগ্রগতিতে তো সেই কাজের কোন অবদান থাকলো না। পরে আরো অনেক মানুষকে এরজন্য ভুগতে হবে, আরো অনেককে আবারো খেটেখুটে একই কাজ করতে হবে। বার বার চাকা আবিষ্কার করা তো কোন কাজের কথা না!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কিন্তু সৃষ্টি সুখের উল্লাস কে অস্বীকার করবেন কী করে?
আমার মতে সভ্যতা 'এগিয়ে যাবার' ব্যপারটাও আসলে কোনো 'বাধ্যবাধকতা' নয়। কিছু মানুষ সৃষ্টি সুখের উল্লাসেই করে নতুন সৃষ্টি। অন্য অনেকে হয়তো সেটাকে 'মার্কেটিং' করে ফেলে। অথবা হয়তো মানুষের কালেকটিভ ইন্টেলিজেন্সই সিদ্ধান্ত নেয় কোনটা এখনই দিকে দিকে ছড়িয়ে যাবে আর কোনটা আবার আবিষ্কার করতে হবে। মৌলিক আবিষ্কার আসলে ডেডলাইন ধরে হয়না। ওভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং সম্ভব।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। আমি কিন্তু আশাবাদী হতে চাই। এই একটু আধটু ভাল হয়েছে এর ভীড়ে হয়তো কোন শুভ ভাবনা পৌঁছে যাবে কারো কাছে। আর কেবল নিজের জন্যে করে গেলেও যে তা অন্যকে ছোঁবে না এমন তো নয়। হয়তো কোন ভায়োলিনবাদক শুনতে পারছে আমাদের সৃষ্টি কোন এক সোনাটা। এর পরে কখনো সেই হয়তো চাকা ঘোরাবে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভাল লাগল পড়ে। আপনার অনুবাদ ঝরঝরে, চালিয়ে যান।
------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ! চেষ্টা থাকবে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
দুইটি কথা বলার আছেঃ
১) অসাধারণ
২) আরও লেখা চাই
______________________________________
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়
______________________________________
লীন
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
অনুবাদের কাজটা খুব যে কঠিন শুধু- তা-ই নয়, খুবই বদখত্ও।
কপিরাইটিং জীবনে ট্র্যান্সলেশন জিনিসটাকে বহুদিন থেকে ঘৃণাই করে আসছি বরং।
এমন নিষ্ঠা আর অনুপুঙ্খতা নিয়ে এমন সুচারু অনুবাদ খুবই শ্রদ্ধার্হ।
খারাপ কাজটি আপনি খুউব ভালো ক'রে করেছেন তানিম।
কোয়েলো তো কোয়েলিয়া'র মতো নেশা ধরায়া দিচ্ছে!
মামুন ভাই আর আপনাকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ, এই মূর্খ পাঠকের পক্ষ থেকে।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অনেক অনেক ধন্যবাদ। করতে মজাই লাগছে। মান নিয়ে যদিও অনেক সন্দিহান। ধন্যবাদ উৎসাহের জন্যে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আবার মানের সন্দেহ তুলে পাঠকের উচ্ছ্বসিত মূল্যায়নরে অবমূল্যায়ন ক্যান্ করতেছেন রে ভাই?
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন