অর্জনে, গর্জনে

জি.এম.তানিম এর ছবি
লিখেছেন জি.এম.তানিম (তারিখ: বুধ, ০২/০৩/২০১১ - ৮:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(লেখার শিরোনাম ভাবছিলাম দেবো “পরিদর্শন: শেরে বাংলা নগর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম” কিন্তু লেখা শেষে দেখলাম একে তো সেটা বেশ কাঠখোট্টা শোনায়, তার উপরে মাঠে পরী-দর্শনের তেমন ঘটনা উল্লেখ করা হয় নি লেখাতে। কাজেই পরিবর্তিত টাইটেলই চলুক।)

প্রিয় খেলা কোনটা জিজ্ঞেস করলে আমি হয়তো ফুটবলের নামই বলব। তবে ক্রিকেটটাও ফলো করি মোটামুটি। মাঝে এক সময় ফলো করা প্রায় কমিয়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু এবারে ঘরের উঠানে বিশ্বকাপ, তাই আর চোখ নাক মুখ বন্ধ করে থাকা যায় না। কীভাবে কীভাবে বিশ্বকাপজ্বর আমাকেও পেয়ে বসল। ঘরে বসে বসেই এইবার দলকে উৎসাহ দিব ভাবছিলাম, কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। বিশ্বকাপে দেশের প্রথম ম্যাচের আপডেট দেখতে হয়েছে চার্জ নিভু নিভু মোবাইলে ক্রিকিনফোতে, ঢাকাগামী ট্রেনে চড়ে। ভাবছিলাম দ্বিতীয় ম্যাচটা অন্তত ঘরে বসে দেখব। কিন্তু ভূতের কিল খেলে যা হয়, শেষ পর্যন্ত সেই খেলা দেখা হলো শেরে বাংলা নগর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসে, দেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম জয়... সেটার প্রায় চব্বিশ হাজার লাইভ দর্শকের আমিও হয়ে গেলাম একজন। বলছি সেটারই কাহিনী।

টিকেট:
বিশ্বকাপের টিকেট কেনা নিয়ে হেনস্থা হওয়ার কথা কে না জানে। দুই তিন দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে একেকজন নিজের টিকেট মহার্ঘ্য অর্জন করেছেন। তাই কালোবাজারে টিকেটের মূল্য বেশি। আমি বোতাম আঁটা প্রাণ, তাই লাইনে দাঁড়াই নি। এমন কি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড না থাকায় অনলাইনেও কিনতে পারি নি সেই জুন মাসে।তাই ঘরে বসেই দেখার কথা খেলা। খেলার দিন দুই আগে এক কাজিন ফেইসবুকে টোকা দিয়ে বলল তার বন্ধুস্য বন্ধুর কাছে টিকেট আছে। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে এবং মূল মূল্যের চেয়ে ছ’গুণে বেচতে চায়। আমি রাজি থাকলে যেন তাকে জানিয়ে দেই।

এখানে বলে রাখি আমার ক্রিকেট মাঠে গিয়ে দেখা খেলার সংখ্যা মোটে দুই। সেই মিনি বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ, আর অস্ট্রেলিয়া ভারতের ম্যাচ। তাও পরের বার দেরি করে যাওয়ায় বসার জায়গা না পেয়ে ফিরে এসেছি। বাংলাদেশের কোন খেলাই দেখি নি মাঠে বসে। সেখানে এমন সহজ প্রতিপক্ষ পেয়ে জয় নিশ্চিত ধরে নিলে এটা হতে যাচ্ছে একটি ঐতিহাসিক ম্যাচ... দেশের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের ম্যাচ। আমরা দুই ভাই, সাথে সস্ত্রীক (অথবা সস্বস্ত্রীক) এক কাজিন, সবার সাথে কথা বলে চার টিকেটের অর্ডার দিয়ে দিলাম। পরদিন হাতে টিকেট পেয়ে ফেইসবুকে সেই টিকেটের ছবি আপ করে অনেকের ঈর্ষার ভাগিদার হলাম। এই হলো টিকেট জোগাড়ের কাহিনী।

কেনাকাটা:
দেশের পক্ষে প্রথম ম্যাচ দেখতে যাব, এমনি এমনি কীভাবে যাই? কিছু কেনাকাটা, কিছু সাজগোজের দরকার না? প্রথমেই দরকার একটা জার্সি। জার্সি নিয়ে গবেষণা শুরু করলাম। একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, বাংলাদেশের জার্সিতে হাতের নিচে আর পাশে একটা ঘিয়া টাইপ হলুদ রঙের অংশ রয়েছে। কিন্তু জার্সি নির্মাতারা এই রঙ নিয়ে নিজের ইচ্ছামতো এক্সপেরিমেন্ট করছে। কেউ পিওর হলুদ দিচ্ছে, কেউ কমলা, আর কেউ একেবারে ফ্লোরোসেন্ট। ঠিক রঙের জার্সি খুঁজে পেতে তাই বেশ কষ্ট করতে হলো। শুনলাম এক্সটেসিতে পাওয়া যায়। দোকানে গিয়ে দেখি ওদের স্টক শেষ। পরের দিন ম্যাচ, তাই স্টকের জন্যে যে অপেক্ষা করবো তা সম্ভব না। তাই বডি এন্ড স্পোর্টসে গিয়ে দেড়গুণ মূল্যে সংগ্রহ করলাম প্রাণের জার্সি। নাহ জার্সিতে প্রাণ স্পন্সর না, বাম হাতে বাটা, ডান হাতে বেক্সিমকো আর বুকে বাংলাদেশ। গ্যালারির কোথায় জায়গা, রোদ কেমন পড়ে সেটাও জানা নেই, তাই চলো নিউমার্কেট... একটা হ্যাটও যে দরকার।

যাত্রা শুরু:
মাঠের উদ্দেশ্যে দুপুর বারটার দিকে রওয়ানা দিলাম। অনেকের কাছে শোনা সিকিউরিটি চেকিংয়ের জন্যে সময় লাগবে, তাই তাড়াতাড়ি যাওয়া। মিরপুর এক নম্বর গোল চত্বরের কাছে নেমে যাওয়া লাগলো গাড়ি থেকে, এর পরে হাঁটা রাস্তা। চারপাশে দেখলাম আমাদের দলের মতোই ছোট বড় বিভিন্ন দল এক গন্তব্য সামনে রেখে এগোচ্ছে। অর্ধেকটা পথ যাওয়ার পথে প্রথম সিকিউরিটি চেক। সেখানে হালকা চেক করার পরে ছেড়ে দেওয়া হলো। এদিকে দুপুরের ভীষণ রোদ, তেষ্টায় অবস্থা খারাপ সকলের। পথে দেখলাম ফুটপাথে সাপোর্ট সামগ্রীর পসরা নিয়ে দোকানিরা। ছক্কা চার লেখা কাগজ, মাথার ব্যান্ড, আবার অনেকে রঙ তুলি নিয়ে গালে ছবি আঁকছেন। আশেপাশের কনফেকশনারি দোকানগুলোর ব্যবসাও রমরমা। দেদার বিকোচ্ছে কোল্ড ড্রিংকস আর পানি। দেখতে দেখতে ভেসে উঠল চোখের সামনে মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়াম। ভিআইপি গেটের পাশ দিয়ে আমাদের উত্তর গ্যালারির প্রবেশপথ। সামনে দাঁড়িয়ে ঘোড়সওয়ার পুলিশ বাহিনীর লোকেরা। তার সামনে র‍্যাবের একটা দল। নিরাপত্তার সিরিয়াসনেসের মাঝেও উৎসবের আমেজ সবার মধ্যে। এবারে তাহলে স্টেডিয়ামে ঢোকা যাক।

স্টেডিয়াম:
স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে প্রথমে মেটাল ডিটেক্টরে চেক। ক্যামেরার বিশাল ব্যাগ দেখে আমাকে একদিকে ঠেলে পাঠালেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তারপর ব্যাগ খুলে বোঝাতে হলো কোনটা কী লেন্স আর এদের একটাও তেমন জুম লেন্স কি না। আপাতঃদৃষ্টিতে স্টেডিয়ামে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু কোনো প্রকার ভিডিও ক্যামেরা অথবা বেশি জুমের ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা যাবে না। ঠান্ডা এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাজনিত কারণে এক প্যাকেট টিস্যু ছিল সাথে, সেটা দিয়ে যে নাশকতামূলক কিছু করা সম্ভব নয় সেটা বোঝাতেও সময় লাগল। এরপরে স্ক্যান মেশিনে সব ব্যাগগুলো দেওয়া হলো। স্ক্যানিং শেষ হলে আমরা গ্যালারির গেটের দিকে গেলাম। সেখানেও আরেক দফা চেকিং। সবশেষে আমাদের সিড়ি দেখিয়ে দেওয়া হলো, সিড়ি বেয়ে উঠে চোখের সামনে ভেসে উঠলো ঝকমকে সজ্জিত এক মাঠ, আর ক্রমশ ভরে ওঠা গ্যালারি। টিকেট মিলিয়ে নিজেদের আসন খুঁজে বের করলাম, উপরের থেকে দ্বিতীয় সারিতে। যাকে বলে প্রায় বার্ডস আই ভিউ। নিজেদের হালকা পাতলা ফটোসেশনের পরে তৈরি হলাম আসল আকর্ষণ অর্থাৎ খেলা দেখার জন্যে।

খেলা:
বসার সময় ঘড়ি দেখে বুঝলাম খেলা শুরু হতে তখনও অনেকটা সময় বাকি। একদিকে মাঠে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা গড়াচ্ছে, অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা দৌড়াচ্ছে। আশরাফুলকে দেখা গেল বারবার ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিতে। ওয়ার্ম আপ শেষ হলে সবাই ড্রেসিংরুমে ফিরল। দুই ক্যাপ্টেন এলেন টস করতে। টসে বিজয় বুঝতে পেরে পুরো গ্যালারি আবারও আনন্দে ফেটে পড়লো। সাকিব জানালেন ব্যাট নেওয়ার কথা। ধীরে ধীরে এদিকে গ্যালারি ভরে উঠছে। আড়াইটার সময় দুই ওপেনার নামল ব্যাটিং করতে। টানটান উত্তেজনা, চিয়ার করছে পুরো গ্যালারি... শুরু হলো বাংলাদেশের ইনিংস।

খেলায় কী হলো সেটা তো সবার জানা। আমি বলি গ্যালারিতে কী হলো। শুরুতে তামিম যখন পিটাতে শুরু করলো আমরা হিসাব করছি স্কোর ৪০০ না ৫০০ হবে সেটা নিয়ে। প্রতি ওভারে ১০ করে রান আসছে যে। প্রতি চারে চিৎকারে ফেটে পড়ছে স্টেডিয়াম। এর মধ্যে হঠাৎ ছন্দ পতন। বেশ কিছু উইকেট পড়ে গেলো। রানের গতি আসছে কমে। তাও উল্লাসে নেই তেমন ভাটা। বারবার মেক্সিকান ওয়েভ ভাসিয়ে দিয়ে যায় পুরো গ্যালারি। সাউন্ড বক্সে বাজছে ক্রিকেটের গান অথবা নানা জনপ্রিয় গান। এক সময় দেখা গেলো একটা সিঙ্গেল নিলেও মানুষ তালি দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। এই হলো আমাদের সমর্থকেরা। সাকিব যে বারবার এদের কথা বলেছে, তার এক বিন্দুই ভুল নয়। এমন সাপোর্ট নিয়ে খুব কম অধিনায়কই খেলতে পেরেছে ক্রিকেট ইতিহাসে। যাই হোক, একটা কথা উল্লেখ না করলেই নয়। অনুমান করুন তো, কে ব্যাট করতে আসার সময় সবচেয়ে বেশি হর্ষধ্বনি পেয়েছে? অনুমান যদি হয়ে থাকে আশরাফুল তাহলে ঠিক বলেছেন। অধিনায়ক সাকিবও এত উল্লাস পান নি। আশরাফুল আসার পুরো স্টেডিয়াম কেঁপে উঠছিল উল্লাসে। কিন্তু তার স্কোরের খাতাও থাকলো ১ এ। ফিরে যাওয়ার সময় তাই কিছু দুয়োধ্বনি হজম করতে হয় তাকে। টেইলের হাত ধরে বাংলাদেশ কোনমতে ২০০ পার হয়। গ্যালারিতে দর্শকরা ততক্ষণে বেশ বিষণ্ণ। দর্শক বেশ কমেও এসেছে বলে একবার মনে হলো মাঝের বিরতিতে। কিন্তু আমার সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। আয়ারল্যান্ডের ইনিংস শুরু হতে না হতেই দেখি গ্যালারি আবার টইটম্বুর। আশা কেউ ছাড়ে নি।

শুরুতে কয় ওভারে উইকেট পড়ে নি। তখন থেকে নিজের মনের সাথে হিসেব শুরু হয়ে যায়। ১০ ওভারে এই কয়টা উইকেট না পড়লে বাসায় চলে যাব। কীভাবে কীভাবে দেখি পড়েও যায়। ১০ ওভার বেড়ে হয় ১৫, ২০, ২৫ আর উইকেটের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। প্রথম উইকেট পড়ার পর থেকেই যেন গ্যালারিতে একটা বিদ্যুৎ খেলে গেল। চব্বিশ হাজার দর্শক যেন মাঠের এগারো জনের সাথে সহযোদ্ধা। দর্শকের উল্লাসের নমুনা দেখে স্টেডিয়ামের সাউন্ড সিস্টেমেও বাজছে মার উড়িয়ে, ও পৃথিবী এবার এসে-এসবের মতো বিশ্বকাপের গান, সেই সাথে জেমসের পাগলা হাওয়া এবং লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট মমতাজের নান্টু ঘটক। এর মধ্যে নান্টু ঘটকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। এটা বাজতে থাকলেই দর্শক গলা ফাটিয়ে গাইতে থাকে। তাই শেষ দিয়ে উইকেট পড়লেই এই গান বাজতে থাকে। সে এক অভূতপূর্ব উন্মাদনা আর উল্লাস-উৎসবের ছবি। যারা সেখানে ছিলো না, তাদের পক্ষে সেই অনুভূতি বুঝতে পারা মনে হয় সম্ভব না।

একটা সময় যখন জয় পরাজয়ের মাঝামাঝি অবস্থান দলের, খেয়াল করলাম পুরো স্টেডিয়ামের সাথে সমস্বরে চিল্লাচ্ছি “বাংলাদেশ, বাংলাদেশ” বলে। হঠাৎ একটা কেমন যেন অনুভূতি ছুঁয়ে গেল। মনে হলো, জয় পরাজয় এসবের কোনো মূল্য নেই। এভাবে লাল সবুজ পতাকাটা মাথার উপরে উচিয়ে নাড়তে নাড়তে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করে যাওয়াটাই জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়। এই আনন্দ, এই গর্ব অনেক রক্তে, অনেক বেদনায় কেনা। ধন্যবাদ মিরপুরকে, ধন্যবাদ ক্রিকেটকে এই অপূর্ব আনন্দকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্যে, হয়তো নতুন এক মোড়কে।

শেষের কথা:
শেষের ফলাফল সবার জানা। বাংলাদেশের নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের প্রথম জয়ের সাক্ষী হয়ে রইলাম। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরে রাস্তায় নেমে দেখি হাজার দর্শকের ঢলের সাথে এসে জুটেছে আনন্দিত মিরপুরবাসী। হইচই করে পটকা ফুটিয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে তারাও আনন্দ করছে। ভিড় ঠেলে এগুলাম বাসার দিকে। ভিআইপিদের রাস্তা করে দিতে গিয়ে পুলিশের ধাক্কার শিকার হয়েছি অনেকেই। এরমধ্যে দুই একটা ব্যাপার দৃষ্টিকটু লাগলো। পথে বেশ কয়েকজনের কাছে শুনলাম আনন্দ্প্রকাশের বাড়াবাড়িতে অনেক রিকশারোহী (বিশেষ করে নারীরা) লাঞ্ছিত হয়েছেন। ভিড়ের কারণে রাস্তায় চলাচলের উপায় হয়ে পড়ে কঠিন। আবার অন্যদিকে নিজের চোখের সামনে দেখা রাস্তায় শুয়ে থাকা বাস্তুহারার গায়ে মাথায় পা দিয়ে চলে গেছে অনেকে ভিড়ের কারণে। মানবতার এমন অপমান ভালো লাগে না। আশা করব আমরা আনন্দপ্রকাশে অন্য কোনো দেশের সমর্থকদের মতো উগ্র হব না। আনন্দকে বরণ করব সুন্দরভাবে। আবার পরাজয়েও কারও বাড়িতে গিয়ে হামলা চালাব না। যে আমাদের মিছিলে আসতে চায়, কেবল তাদের নিয়েই হবে আমাদের শোভাযাত্রা। দেশটা যে আমাদের, পাশে থাকবো নিজের দলের- উৎসবে, পরাজয়ে, অর্জনে, গর্জনে।

কিছু ছবি দিলাম সাথে... মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্যে...

Created with flickr slideshow from softsea.


মন্তব্য

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

যে আমাদের মিছিলে আসতে চায়, কেবল তাদের নিয়েই হবে আমাদের শোভাযাত্রা। দেশটা যে আমাদের, পাশে থাকবো নিজের দলের- উৎসবে, পরাজয়ে, অর্জনে, গর্জনে।

ভালো লাগল, তানিম ভাই! আপনার সৌজন্যে মাঠে না গিয়েও যেন বিজয় দেখে এলাম। এ বিজয় বাংলাদেশের, ক্রিকেটের। ধন্যবাদ আপনাকে।

কুটুমবাড়ি [অতিথি] এর ছবি

যে আমাদের মিছিলে আসতে চায়, কেবল তাদের নিয়েই হবে আমাদের শোভাযাত্রা। দেশটা যে আমাদের, পাশে থাকবো নিজের দলের- উৎসবে, পরাজয়ে, অর্জনে, গর্জনে।

ভালো লাগল, তানিম ভাই! আপনার সৌজন্যে মাঠে না গিয়েও যেন বিজয় দেখে এলাম। এ বিজয় বাংলাদেশের, ক্রিকেটের। ধন্যবাদ আপনাকে।

কৌস্তুভ এর ছবি

আহারে! দেশের মাঠে কদ্দিন খেলা দেখিনা...

তবে আপনি লিখেছেন দারুণ। একেবারে সাথে করে খেলা দেখাতে নিয়ে গেছেন যেন।

ম্যাচ চলাকালীন প্লেয়ারদের ছবি এট্টা মাত্তর দিলেন কেনে?

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শিশিরকণা এর ছবি

এভাবে লাল সবুজ পতাকাটা মাথার উপরে উচিয়ে নাড়তে নাড়তে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করে যাওয়াটাই জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়।

একদম খাঁটি কথা। চলুক

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এইসব মোটেই গ্রহনযোগ্য পোস্ট না! মাইনষের সুখ দেখলে আমার গা জ্বলে! এতো ঢং করে খেলা দেখতে যাওয়ার কী আছে! তার উপরে আবার বানিয়ে বানিয়ে কথা লিখে পোস্ট দেয়া! মন খারাপ
মাইনষের সুখে আগুন লাগুক! রেগে টং

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ইফতেখার ইনান এর ছবি

দুর্দান্ত বর্ণনা, স্টেডিয়ামে বসে খেলা না দেখার আক্ষেপ খানিকটা কমলো..

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশটা যে আমাদের, পাশে থাকবো নিজের দলের- উৎসবে, পরাজয়ে, অর্জনে, গর্জনে।

চলুক চলুক চলুক চলুক চলুক

তানিম ভাই, কেবল তো শুরু হলো; আনন্দের এমন জোয়ারের উৎসব নিশ্চয়ই আরো আসতেছে, আমি রিহার্সেল শুরু করে দিছি।

অতীত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুপ্রিয় দেব শান্ত (অতিথি) এর ছবি

বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আরে, এইটা দেখি চোখ এড়িয়ে যাচ্ছিলো।...

পুরো খেলায় একটা বলও মিস করি নাই। মধ্যহ্ন বিরতিতেও আশা ছাড়ি নাই। একটার পর একটা উইকেট যায় আর আমি চিল্লাই।

... খেলা শেষের একটু পরেই রাস্তার দৃশ্য যখন পালটে গেলো- তখন অদ্ভূত একটা অনূভুতি হয়েছিলো।

জি.এম.তানিম এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে।

লেখাটি প্রকাশ করে দেওয়ার পরে একটা কথা মনে পড়লো। আয়ারল্যান্ড ইনিংসের মাঝামাঝি যখন জয় প্রায় হাতছাড়া সেই সময় স্টেডিয়ামের আকাশে উড়তে দেখা গেল একটা ঘুড়ি, সবুজ জমিনে লাল বৃত্ত। অনেকক্ষণ স্টেডিয়ামে চক্কর দিয়ে অবশেষে গ্যালারির কাছাকাছি নেমে আসলো সেই ঘুড়িটা। খেলোয়াড়েরা সেটা থেকেও কি কিছুটা উৎসাহ পায় নি?

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

দারুণ হয়েছে লেখাটা। পড়ে একদম দেখতে পেলাম সব।

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নীলকান্ত এর ছবি

উত্তম জাঝা!
চলুক


অলস সময়

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"হঠাৎ একটা কেমন যেন অনুভূতি ছুঁয়ে গেল। মনে হলো, জয় পরাজয় এসবের কোনো মূল্য নেই। এভাবে লাল সবুজ পতাকাটা মাথার উপরে উচিয়ে নাড়তে নাড়তে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করে যাওয়াটাই জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়।"
দারুণ লাগলো, তানিম। চলুক

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

চলুক

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------------------------------

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

মনে হল মাঠে বসে খেলা দেখলাম। শেষ প্যারাটা পড়ে খারাপ লাগল।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

জিএমটির আজকেও মাঠে থাকা উচিত!

একটা সময় যখন জয় পরাজয়ের মাঝামাঝি অবস্থান দলের, খেয়াল করলাম পুরো স্টেডিয়ামের সাথে সমস্বরে চিল্লাচ্ছি “বাংলাদেশ, বাংলাদেশ” বলে। হঠাৎ একটা কেমন যেন অনুভূতি ছুঁয়ে গেল। মনে হলো, জয় পরাজয় এসবের কোনো মূল্য নেই। এভাবে লাল সবুজ পতাকাটা মাথার উপরে উচিয়ে নাড়তে নাড়তে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে চিৎকার করে যাওয়াটাই জীবনের সবচেয়ে সুখের সময়। এই আনন্দ, এই গর্ব অনেক রক্তে, অনেক বেদনায় কেনা। ধন্যবাদ মিরপুরকে, ধন্যবাদ ক্রিকেটকে এই অপূর্ব আনন্দকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্যে, হয়তো নতুন এক মোড়কে।

হিংসা উদ্রেক সার্থক লেখা-ছবিতে পাঁচ তারা দিলাম।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

শিরোনামটা দারুণ, সাথে ছবিগুলোও।

জি.এম.তানিম এর ছবি

আবারও ধন্যবাদ সবাইকে।

আজ মাঠে গিয়েছিলাম। দলের পরাজয়ে মুষড়ে পরা স্বাভাবিক, রাগ ওঠাটাও। কিন্তু হাতের ৬, ৪ এর কাগজ ছুঁড়ে মেরে, প্রতিপক্ষের বাসে আর নিজ অধিনায়কের বাড়িতে ঢিল মেরে সমর্থকরূপী লোকেরা দেশের নামে যে কালিমা লেপন করলেন, সেটা দেখে বিব্রত, লজ্জিত।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

Kuhu Mannan এর ছবি

আমার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ দেখার কথা মনে পড়ে গেল...
ইন্ডিয়া 'র সাথে সেই ম্যাচ এ যদিও আমার দেশ জেতেনি......... তবুও stadium এ প্রথম খেলা দেখা বলে কথা...
খুব ভাল লেগেছিল... কিন্তু আফসোস, ভয়ে ক্যামেরা নিয়ে যাই নি...... মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।