(
মাশীদাপু মানুষটা মানুষ হিসেবে খুব একটা খারাপ না হলেও কবি হিসেবে মোটেই সুবিধার না। ঈদে চাঁদে হঠাৎ হঠাৎ তার লেখা পাওয়া যায়, তারপরে আবার অনেক দিনের জন্যে উধাও।
তো আমি ভালো মনে তাকে সেই কথা বলতে গেলাম, উলটা তিনি বললেন আমি নাকি অনেকদিন লিখি না। কী যন্ত্রণা, কানাকে কানা যেমন বলতে হয় না, তেমনি যে লেখে না সে লেখে না সেটার এমন ঢোল পিটিয়ে বলার কী আছে? সে যাক গে, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠিক হলো সময় বেঁধে দেওয়া হবে, সেই সময়ের মধ্যে কে আগে লিখে শেষ করতে পারে। সময়ের যাতে অভাব না হয় সেজন্যে ঠিক হলো শুক্রবার থেকে শুরু করে হরতাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সময় দেওয়া যাবে। এটাই সেই ইনফেমাস হরতাল চ্যালেঞ্জ... আমি খুব ভাবের সাথে চ্যালেঞ্জ নিলাম, লিখলামও লাইনকতক। তারপরে সোমবার দিনশেষে দেখি হরতাল শেষ হলেও লেখা বাকি। তখন আগের একটা শেষ না হওয়া লেখার সাথে মিলিয়ে মিশিয়ে কোনমতে ছেড়ে দিলাম এই লেখা। হরতাল চ্যালেঞ্জে এই কবিতাটি কৃতিত্বের সাথে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। হুঁ হুঁ বাবা!
বাই দ্য ওয়ে, কবিতার নাম মাশীদাপুর সিরিজের সাথে মিলে যাওয়া "অনভিপ্রেত কাকতালমাত্র"! তবুও একই বিষয়ের লেখা নীড়পাতায় দেখে বিরক্ত হলে এবং পাবলিকের মাঝে তীব্র উষ্মা দেখা দিলে, মডুরা চাইলে এই লেখা নীড়পাতা থেকে সরিয়ে দিতে পারেন।)
এলোমেলো
যাচ্ছে কেমন, কেমন করে সময়গুলো,
যেমন নানান শহরে রেল গাড়ির ছোটা-
ঝড়ের বেগে উড়িয়ে চলে পথের ধুলো,
যায় না দেখা পুব আকাশে সূর্য ওঠা।
হঠাৎ ভোরে স্বপ্নভাঙ্গা স্মৃতির ভুলে
সেই পথে তোর একলা চলা অসম্ভবে।
হাফ পিরিয়ড, হঠাৎ ছুটি মনের স্কুলে,
এমনি করে সকাল হবে, দুপুর হবে।
থাকবি না হয় এমন করেই অনেক দূরে,
উদাস বিকেল নাম না জানা পাখির ডাকে।
কিংবা যেমন ঘুম মেঘেদের ছায়ায় উড়ে
সময়গুলো মুঠির ধুলো আঙুল ফাঁকে।
রাত দুপুরে চাঁদ হারানো তারার সাথে
বলবো কথা তুই অথবা আমিও আজ।
বুড়ি চাঁদের কী প্রয়োজন এমন রাতে?
কী লাভ মেখে গন্ধরাজের রঙিন মেজাজ?
পুরোনো যে স্বপ্নগুলো বিদায় নিলো
সবই কি তার যায় হারিয়ে কালের সাথে?
লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ কিংবা নীলও
মাখছি মনে তুই ও আমি আপন হাতে।
কার কতটা অবহেলায় দুমড়ানো দিন,
অথবা সব নষ্ট হলো সে কার দোষে?
যেটুক চাওয়া যেটুক পাওয়া হিসেববিহীন
কী লাভ তাতে যোগ বিয়োগের অঙ্ক কষে?
যাচ্ছে চলে দিনগুলো সব ছিঁড়ে নাটাই,
বেখেয়ালে, এলোমেলো, সগৌরবে,
সঙ্গী সে এক, একলা চলা ঘড়ির কাটা-ই,
আমার আঁধার সেটাই না হয় আমার রবে।
#১৪-০৬-২০১১
মন্তব্য
বেশ বেশ। মাশীদা'পু তানিম্ভাই দু'জনের কল্যাণে দু'জনকে দেখা গেলো দু'যুগ পরে আবার!
লেখা খাসা হইছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আইসে! বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা দিলাম একটা, পড়লেনই না
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
পড়ছি তো! তয় কমেন্ট করিনাই কেন বুঝতাছি না!!! যতদূর মনে পড়ে একখান কমেন্ট করছিলাম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রথম খণ্ড পড়সিলেন, পরেরটা পড়েন নাই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এ কেমন অবিচার। জোর করে পড়া পোস্ট না পড়িয়ে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানাই। বেশী কিছু কইলে আমার পাঁচতারা (সুদ সহ ৭.২৩ তারা) ফেরত নিমু।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সুদ খাওয়া হারাম, কিছু মুনাফা দিতে পারি বড়জোর...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই, রোমেল চৌধুরী, নজু ভাই, কবি-মৃত্যুময়, মুমু।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ধন্যবাদ!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
বেশ বেশ... দুটোই জবর হয়েছে। এ'রকম আরো চ্যালেঞ্জ চললে ক্ষতি কি?
অসাধারণ। স্বরবৃত্তের নুপুর পড়ে ছুট লাগানো এই রাঙা ঘোড়া যেন একটুকু হোঁচট না খেয়েই বীরদর্পে এগিয়ে গেল। আর কথাগুলোও কি মনকাড়া!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সচলে একটা কবির লড়াই মানে ছড়ার লড়াই হয়ে গেলে মন্দ হয় না...
আকতার ভাই আর মৃদুলদা আর সন্ন্যাসীদা আর স্বপ্নাহতরে এইরকম চ্যালেঞ্জ জানানো যায় না?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দ্যান দ্যান, চ্যালেঞ্জ দ্যান!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বেরি নাইস! ঠানিম, স্বদেশ্ত্যাগ নিয়ে কিছু লিকা দ্যাও!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
স্বদেশত্যাগ নিয়ে তো কিছু লিখি নাই, স্বদেশপ্রেম নিয়ে একটা রচনা শিখছিলাম ছোটোকালে...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
খুব ভালো লাগল তানিমভাই। নিয়মিত লেখার চেষ্টা করেন না যে!!
নাইস
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বাহ্! বাহ্! ছড়া-কোবতে, চ্যালেঞ্জ দুইটাই খাসা হয়েছে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাহ্! তোর কবিতা মন ছুঁয়ে গেল, বিশেষ করে শেষ আট লাইন।
বোয়মে থাবড়া দেবার জন্য তোকে অনেক ধন্যবাদ। হে হে হে!
ভাল আছি, ভাল থেকো।
নতুন মন্তব্য করুন