খোমাখাতার এক বন্ধুর স্ট্যাটাসে নিচের সতর্কবাণীটি দেখলাম।
“এই মুহূর্তে ঢাকায় যারা অবস্থান করছেন, কাজে বা ঘুরতে বের হয়েছেন, সবাই একটু সাবধানে চলাফেরা করুন। পুরো ঢাকাতেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাপক বোমাবাজি এবং ভাঙচুর করছে। মতিঝিলে এরই মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। ”
দেশে ফোন করে জানতে পারলাম কিছু কিছু টিভি চ্যানেলে টিকারে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ভাংচুরের কথা বলা হচ্ছে। বাংলানিউজ২৪ এর সাইটে এই বিস্ফোরণের সংবাদ পেলাম। বিডিনিউজ২৪ -এর সাইটে কয়েক জায়গায় বিস্ফোরণ ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রথম আলোর এই লিঙ্কের খবরে বলা হয়েছে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলাকারীরা শিবিরকর্মী। এ সময় তারা দলের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। হামলা চালিয়ে কিছুক্ষণ পরই তারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এনটিভির টিকারে দেখছি বিএনপির সমাবেশ থেকে ২০০ জন গ্রেফতার, বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন এবং একজনের নিহত হওয়ার ঘটনা।
ঢাকাবাসী সচল এবং পাঠকেরা এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেন? আপনাদের অভিজ্ঞতা জানাবেন দয়া করে। খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
মন্তব্য
সবাই ঢাকায় পরিচিতদের সাবধানে চলাফেরা করতে জানিয়ে দিন। রাস্তায় আপনার কোনো উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করুন এই পোস্টে, সম্ভব হলে ছবিসহ।
এ পর্যন্ত যা যা শুনলাম,
* মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটা অনুষ্ঠানে জমায়েত নিয়ে IEB তে বিএনপি-জামাতের সঙ্গে পুলিশের মারামারি
*মতিঝিলে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত, আরেকজন গুরুতর আহত
*কারওয়ান বাজারে একটি এবং সম্ভবত শাহবাগে দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ, এবং ব্যাপক ভাংচুর
*এগারটার দিকে শাহবাগে পরপর দুটি বিকট আওয়াজ শোনা গেছে
শাহবাগ থেকে একেবারে মতিঝিল পর্যন্ত অবস্থা বেশ সিরিয়াস।
অবস্থা বেগতিক। সবাই সাবধানে থাকুন। বোমা ফাটাচ্ছে সম্ভবত শিবির-জামাতের সন্ত্রাসীরা। কে কোথায় ছড়ায় আছে কে জানে?
-অতীত
এই মুহুর্তে আমি বাসায় বসে আছি কিন্তু উদ্বিগ্ন হয়ে আছি বাইরে জীবিকা ও দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাইরে বাইরে বের হওয়া আমার পরিবারের অন্য সদস্য, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং ঢাকাবাসীর জন্য। বড় ভাইয়ের অফিস মিতিঝিলে, সেই উত্তরা থেকে সাত সকালে বিভিন্ন বাহনে বহু কসরত করে সময় মত অফিসে পৌছানোর জন্য যুদ্ধ শুরু করে দেন। আজ সেই জার্নি যুদ্ধের ভিতর জঙ্গি যুদ্ধে পড়তে হয়েছে। ভাইয়া ফোনে জানালেন তিনি পাব্লিক বাসে ছিলেন, শাহবাগের কাছে আসার আগেই বাসে কয়েকবার ঢিল মারা হয়েছে, তার পিছনের বাসেই কক্টেল মারা হয়েছে বলে ধারনা করছেন, মতিঝিলে আরো পরিস্থিতি খারাপ, সেই খানে একজন বোমার আঘাতে নিহত হয়েছে বলে জানালেন। দুলাভাই ফোন করে আমাকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন, তিনিও অফিসে যাওয়ার পথে ভাংচুরের নমুনা দেখেছেন বিভিন্ন যায়গায়। এক কাজিন কে ফোন করলাম কারওয়ান বাজারের কাছে তার অফিস। ওর মুখে শুনলাম ওইখানে নাকি রীতিমত রণক্ষেত্র হয়ে ছিল সকাল বেলা। বিকেলে ডাক্টারের কাছে আপয়েন্টমেন্ট ছিল, আমার হাজবেন্ড ফোন করে বাইরে বের হতে নিষেধ করে দিলেন। আমি না হয় বাসায় থাকলাম, কিন্তু যারা বাইরে আছে বা সারাদিন বাইরে থাকতে হবে, তারা কি এই রকম আতংক নিয়ে থাকবে?
মতিঝিলে ককটেল ফাটার সময় আমার বাবা ওখানেই ছিলেন। খবর পেয়েছি কোথাও কোনো আপডেট আসার আগেই, কিন্তু পরিস্থিতি এতো খারাপের দিকে যাচ্ছে তখন তা বুঝে উঠতে পারিনি। আমার বাবার ভাষ্যমতে যারা ককটেল ছুঁড়ে মেরেছিলো তাদেরই একজনের মৃত্যু হয়েছে।
=> ফার্মগেট, পান্থপথ, শাহবাগ, মতিঝিলে বাসে আগুন।
=> পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে ৫টি ককটেল বিষ্ফোরন।
=> সিলেটে প্রায় ২৫টি গাড়িতে আগুন।
মনে হচ্ছে আস্তে আস্তে এটা ছড়াচ্ছে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
সাবধানে থাকুন দেশের সবাই। কোন আপডেট থাকলে জানান।
আপডেট হল সিলেটেও একি রকম হামলা শুরু হয়েছে এবং বাসে জ্বালানো আগুনে একজন পুড়ে মারা গেছেন।
সকাল আটটার দিকে মতিঝিল হয়ে যখন অফিসের দিকে আসছিলাম তখনই দেখি জলকামান নিয়ে পুলিশ মুভ করছে। গুলিস্তানি-প্রেসক্লাব-ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রতিটি এলাকা পার করে এসেছি। আসার পরপরই শুনি প্রত্যেকটি এলাকায় নানা ধরনের গণ্ডগোল হয়েছে। দৌড়ানি থেকে একটুর জন্য বেঁচে গেলাম মনে হচ্ছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
টিভির খবর থেকে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে-
ঢাকায় বোমা হামলায় একজন এবং সিলেটে একজন মারা গিয়েছেন, ঢাকায় আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সারা ঢাকায় ৭টি গাড়িতে আগুন (পুলিশের গাড়ি সহ), প্রচুর বোমা বাজি, বিশেষ করে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, সংবাদ মাধ্যমের গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, বসে আগুন সহ পরিস্থিতি গুমোট, আপাতত শান্ত অবস্থায় আছে ঢাকা, কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগ, ফার্মগেট, গুলিস্থান এগুলো প্রধানত আক্রান্ত জায়গা...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কে যে কি চায় -
" রাজধানীর মতিঝিলে নিহত আরিফুজ্জামান বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী দাবি করে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আরিফকে পুলিশ গুলি করে মেরেছে।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়নে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এর আগে বলা হয়, রোববার সকালে মতিঝিল এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন আরিফ। "
টিভি তে দেখাল তার শরির ঝলসে গিয়েছে - গুলি লাগ্লে কি এমন হতে পারে? জানা নেই...
facebook
শান্তিনগরেও বেশ গন্ডগোল হয়েছে শুনলাম। অনলাইনে নতুন কিছু আসছেনা। মতিঝিলে ‘ঘরোয়া’-র সামনে মারা গেছে একজন।নগর ভবনের সামনেও শুনলাম ককটেল পড়েছে। আসল খবর বোঝা যাচ্ছেনা। সবই শোনা। মতিঝিল আসার পথে মোড়ে মোড়ে দেখলাম দাঙ্গা পুলিশ। সকালে ফার্মগেট থেকে মতিঝিল পুরো রাস্তায় ছিল প্রচুর জ্যাম ।
সরকার ও বাড়াবাড়ি করছে।আপ্নি মানুষ কে তুলে নিয়া গিয়া ধলেশ্বরী তে ফেলে দিবেন আর মানুষ চুপ করে থাকবে...?।prime minister shouldnt say that khaleda zia is involved in this abduction through rajakar......but killing innocent people by blasting coktel cant b also accepted.....
মতিঝিলে, আমার এক বান্ধবীর পায়ের কাছে ককটেল ফাটসে। ছোট ভাই গেছে বিটিভে প্রোগ্রামে গাইতে, কে জানে কী অবস্থা হয় রাস্তার!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শিবির এখন এসব করার চেষ্টা আরো বেশী বেশী করবে। বিচার সন্নিকটে। এখন তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইবে। এদের জন্য কোনো মানবাধিকার দেখানৈ উচিৎ না।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
শান্তিনগরে যে হাম্লাটা হয়েছে, তা আমার অফিসের নিচেই।
উত্তরায় বেলী কমপ্লেক্স এর সামনে র্যাব কে বোমা নিস্ক্রিয় করতে দেক্লাম ১ ঘন্টা আগে। তখন বুঝি নাই। এখন সচলে দেক্লাম এই পোষ্ট।
পুলিশের ভাষ্যমতে যে মারা গেছে সে শিবির কর্মী। কিন্তু তার পরিবার বলছে সে শিবিরের নামই শুনতে পারতো না। ওদিকে বিএনপি ওকে নিয়ে টানাটানি করছে।
সূত্র।
অফিসে ঢোকার মিনিট পাঁচেকের মাঝেই দুম দুম করে ককটেল ফেটেছে বাইরে। অফিসের সামনেই বেচারা মানুষটার মৃতদেহ পড়েছিলো অনেকক্ষণ। কলিগরা বলছিল সকাল থেকেই ওখানে বিএনপির লোক জড়ো হচ্ছিলো।
এখন এই সব হবেই। প্রস্তুত থাকতে হবে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বড় বড় রাজাকার যে কয়টা জেলে আছে, তাদের অতি সত্ত্বর ফাঁসির ব্যাবস্থা করা হোক। নইলে জামাত পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে চেষ্টা করবে।
## ৪০ বছর পার করেছে খুব বুক ফুলিয়ে, উল্টোপাল্টা কথা বার্তা বলে, একে ওকে তাল দিয়ে, সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে নাক গলিয়ে, সাহস কত্ত বড়!
> সকালে অফিসে গিয়ে বসতে না বসতেই ম্যানেজার স্যার এসে বললেন, "আশরাফ নিউজটা নামাও, প্রথম আলো থেকে" আমি আর দেরী না করে ডাউনলোড করে পড়লাম ককটেলের ঘটনাটি এবঙ স্যারকে দিলাম সাথে দেখলাম আমার ইনচার্জ উঁকি মেরে দেখছে। একটু পর তিনিও বললেন আশরাফ একটু নয়া দিগন্ত পত্রিকা থেকে নিউজটা নামাও, কে শোনে কার কথা? আমি তখন জামায়াত, এ মহান দলটির চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধারে রত এর মধ্যে নয়াদিগন্তের কথা শোনে আমার সারা শরীরে জালা ধরল। কিন্তু হঠাৎ ভাবলাম এবার বাপধন যাবেন কোথায়? এ ঘটনা তো আর নিত্যদিন ঘটেনা।আমি সুযোগ হাতছাড়া করলামনা। নয়াদিগন্ত থেকে পোষ্টটি ডাউনলোড করলাম এবার আমার ইনচার্জ হাসতে হাসতে বললেন"আশরাফ, সবসময় তো বেশী বোঝ! এবার পড়" ও আমার খোদা! দুইটি রিপোর্টের মিল শুধু ককটেলের নামে আর বাকিটা পুরোটাই নয়া দিগন্ত পত্রিকাটি উল্টো করে লিখেছে। সত্যি সেলুকাস! আমার তখন নির্বাক হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা...
# ভাবি আর আশ্চর্য হই, শুধু আশ্চর্য হই!
#পুনশ্চ: আমার ইনচার্জ একজন সক্রিয় জামায়াত কর্মী! নিয়মিত তাফহিমুল কোরআন পড়েন ও বাকী দলগুলোর প্রতি বিষোদাগার করেন। মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন: দেশটা যে কোনদিকে যাচ্ছে!
> সবাই ভাল থাকুন
শান্তি ফিরে আসুক।
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন