আলোকিত

জি.এম.তানিম এর ছবি
লিখেছেন জি.এম.তানিম (তারিখ: শনি, ২৫/০২/২০১২ - ১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাপা জিনিসের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক ছোটবেলা থেকে। খবরের কাগজ, বইয়ের পাতা কিংবা কাগজের ঠোঙ্গা যেখানেই কিছু লেখা আছে আমি ছোটবেলা থেকেই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতাম। তবে এটা শুনে আমাকে বিশাল পড়ুয়া ঠাউরানো কিন্তু উচিত হবে না। আমার পিয়ার (এর বাংলা যেন কী?) দের মধ্যে আমার পড়াশোনা বেশ কম। প্রায়ই বইপড়ুয়াদের আলাপে মাথা নেড়ে অনেক কিছু বোঝার ভান করি। পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কখনও দোষ দেই নিজের আলসেমিকে, কখনও ক্রমবর্ধ্মান অন্তর্জালমুখিতাকে। সে যাক গে, বই পড়া যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম শখ সেটা আমি মনে প্রাণে মেনে চলি। পড়ুয়াদের প্রতি তাই আমার অগাধ শ্রদ্ধা ও অবিমিশ্র হিংসা।

দেশ থেকে যখন আসি, তখন অনেক কিছুর সাথেই খুব টান লেগেছিল ফেলে আসা বইয়ের আলমারিটার জন্যে। সেই ছোটবেলা থেকে জমানো বইগুলো ছেড়ে আসতে হয়েছে। এমন হলে কতই না ভালো হতো, যদি একটা বইয়ের আলমারি সাথে করে ঘোরা যেত। যখন যেটা পড়তে ইচ্ছে করছে তখন সেটা পড়া যেত। এক সময় এই কথাগুলো স্বপ্নের মতো শোনালেই এখনকার পৃথিবীতে সেটা বাস্তব। আর এটা বাস্তব হয়েছে যার জন্যে, সেটা হলো ই-বুক রিডার।

ই-বুক রিডার হলো একটি বই পড়ার যন্ত্র। মনে করুন বইয়ের আকার আকৃতির একটি ট্যাবলেট, যাতে একটি পর্দা রয়েছে, যেই পর্দায় ভেসে ওঠে একটা বইয়ের বিভিন্ন পৃষ্ঠা। পছন্দ মতো পাতা ওলটানো যায় আর বই বদলে নেওয়া যায় স্বপ্নের সেই যন্ত্রে। ফ্ল্যাশ মেমরির কল্যাণে হাজার হাজার বই বহন করতে তেমন কোনো ভারই বহন করতে হয় না, আর হাজার বইয়ের ভীড়ে বেছে নেওয়া যায় মুড মতো নানান বই। ই-বুক রিডারের সামান্য কিছু খুঁটিনাটি আর আমার নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই লেখা।

খুব প্রাথমিক ভাবে ভাগ করতে গেলে ই-বুক রিডারকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এলসিডি ডিস্প্লে আর ই-ইঙ্ক ডিস্প্লে। এলসিডি ডিস্প্লের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। ই-ইঙ্ক ডিস্প্লে নিয়ে বলি শুরুতে। ই-ইঙ্ক হলো একটি বিশেষ ধরণের প্রযুক্তি যা দিয়ে পর্দায় কাগজে ছাপা লেখার অনুকরণ করা হয়। প্রযুক্তিটি বেশ সুবিধাজনক কারণ একটি লেখা একবার দৃশ্যমান হওয়ার পরে সেটি বদলানোর আগে পর্যন্ত অতিরিক্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। আবার প্রথাগত এলসিডি ডিস্প্লের মতো ব্যাকলাইটের ব্যবহার না থাকায় ই-ইঙ্ক ডিস্প্লের ট্যাবলেটগুলো অনেকদিন চলে। একবার চার্জ দিয়ে মাসের পর মাস চলা এই যন্ত্রগুলো বিশাল ভ্রমণে বের হয়ে যাওয়া কারো জন্যে খুবই প্রয়োজনীয়। তবে ই-ইঙ্কের বেশ কিছু অসুবিধাও আছে। বাজারে প্রচলিত বড়ো ব্র্যান্ডগুলোর ই-ইঙ্ক যন্ত্রগুলো কেবল সাদা কালো আর ধূসর বর্ণ দেখাতে পারে। রঙিন পাঠযন্ত্রের জন্যে এখনও তাই এলসিডি ট্যাবলেটগুলোই ভরসা। আবার ই-ইঙ্কের রিফ্রেশ রেট কম হওয়ায় এই যন্ত্রগুলো ভিডিও দেখার উপযোগী নয়। ই-ইঙ্কের যন্ত্রগুলোতে ব্যাকলাইট না থাকায় সেগুলো বাইরের তীব্র সূর্যালোকে পড়াও খুব সহজ, আবার অন্ধকারে পড়া একদমই সম্ভব নয়। এলসিডি ডিস্প্লের ক্ষেত্রে সেটা ঠিক উলটো। বাজারে যেসব এলসিডি ডিস্প্লের ট্যাবলেট পাওয়া যায় সেগুলোর সুবিধা হলো বই পড়া ছাড়াও অন্য কাজে এটি ব্যবহার করা যায়, কিন্তু কারও যদি কেবল বই পড়ারই উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে ই-ইঙ্কের যন্ত্রগুলোই বেশি কাজে লাগবে। দীর্ঘ সময় পড়ার জন্যে এদের পর্দা চোখের জন্যে খুবই ভালো। কোনো অতিরিক্ত চাপ পড়ে না ব্যাকলাইটসহ যন্ত্রগুলোর মতো।

ই-বুক রিডার বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের পাওয়া যায়। আমাজনের কিন্ডল, বার্ন্স এন্ড নোবলের নুক, কোবো রিডার এগুলো বেশ জনপ্রিয়। ট্যাবলেট পিসি হিসাবে আইপ্যাডের কথাও বলতে হয়। এছাড়া স্যামসাং-এর ট্যাবলেট আছে। আমাজন নতুন ট্যাবলেট কিন্ডল ফায়ার এনেছে। অ্যান্ড্রয়েডের প্রসারের সাথে সাথে বাজারে নতুন নতুন ট্যাবলেট আসছে। তবে পাঠযন্ত্র হিসেবে এগুলো তেমন পছন্দ নয় আমার। কমিক্স বা ম্যাগাজিন অর্থাৎ রঙের ঝকমারি দেখতে চাইলে অবশ্য ট্যাবলেটই ভরসা। আমি কিনেছি একটি কিন্ডল টাচ। কিন্ডলের টাচ ছাড়াও কী-বোর্ড সহ কিন্ডল পাওয়া যায়। এখানে বলে রাখি আমার আর জাফর স্যারের ই-বুক রিডারের ব্র্যান্ড একই। (ইন ইয়োর ফেইস ইউজারস অব অল আদার ব্র্যান্ডস! দেঁতো হাসি) যাই হোক, আমাজন, বার্ন্স এন্ড নোবল, কোবো-এদের সবারই এখন টাচ-সেন্সিটিভ ই-বুক রিডার এবং রঙিন বই পড়ার জন্যে ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায়। এখন আমার কিন্ডল নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। অন্য ই-বুক রিডারের ব্যবহারকারীরা আশা করি তাদের অভিজ্ঞতা বলবেন।

কিন্ডলে বই পড়তে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যেটি সেটি হলো এতে থাকা ডিকশনারি। যে শব্দের অর্থ বুঝতে পারছি না, সেটির উপরে আঙুল রাখলেই অভিধান থেকে তার অর্থ দেখিয়ে দেয়। পড়তে গিয়ে কিছু ভালো লাগলে সেটি হাইলাইট করে রাখা যায়। পড়তে পড়তে বুকমার্ক দেওয়া, এক বই পড়তে পড়তে অন্য বই পড়া শুরু করে আবার আগের বইয়ের সেই জায়গায় ফেরত আসা এইসব দারুণ দারুণ সুবিধা দেওয়া আছে কিন্ডলে। তারহীন অন্তর্জালের মাধ্যমে আমাজনের দোকান থেকে পছন্দ মতো বইও কেনা যায়। আবার ফ্রি বইয়ের বিশাল খনিও আছে আমাজনে। এছাড়া অন্তর্জালে তো ছড়িয়ে আছেই নানান চোরাই বই। সেসব ব্যাপারে আর জ্ঞান দিয়ে পাপের বোঝা ভারি না করি।

কিন্ডলের বই কেনাও ভারি সহজ। আমাজনের ওয়েবসাইট থেকে বই কিনে ফেললে কেবল কিন্ডলের ওয়্যারলেস চালু রাখলেই হয়। বই সরাসরি কিন্ডলে চলে আসে। এছাড়া কোনো পিডিএফ পড়তে চাইলে নিজের জন্যে বরাদ্দ কিন্ডলের ঠিকানায় ই-মেইল করলেও সেটা চলে আসে কিন্ডলে। আবার কিন্ডল যেহেতু ক্লাউড করে রেখেছে সব, তাই আপনার অন্য ডিভাইস (স্মার্টফোন, ট্যাবলেট) সেগুলো থেকেও আপনি কিন্ডল অ্যাপের মাধ্যমে বইগুলো পড়তে পারবেন।

কিন্ডল ব্যবহার করতে গিয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারটির সাথে পরিচিত হয়েছি, সেটি হলো ক্যালিব্রে(Calibre)। অন্তর্জালে এটি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি দিয়ে যেমন কিন্ডলের লাইব্রেরি ম্যানেজ করা যায়, তেমনি, এক ফরম্যাট থেকে অন্য ফরম্যাটে পরিবর্তন করাও যায়। যেমন সেদিন এক বন্ধুর কাছ থেকে ইপাব(নুকের ফরম্যাট) কিছু বই পেয়েছিলাম। এই সফটওয়্যার দিয়ে সেগুলো কিন্ডল বান্ধব মোবি ফরম্যাটে পরিবর্তন করে নিয়েছি। নতুন কিন্ডলে পরিবর্তন ছাড়াই পিডিএফ পড়া যায়। লেখার আকৃতি বাড়ালে কমালে মোবি ফরম্যাটে সেই অনুযায়ী পাতার আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়। এই সব কিছু নিয়ে এক দারুণ অভিজ্ঞতা কিন্ডলে বই পড়া।

তবে একটা সমস্যা রয়েই গিয়েছে। কিন্ডলে ফন্ট নির্দিষ্ট। রোমান হরফ ছাড়া অন্য হরফ দেখাবার ব্যবস্থা নেই। ছোটখাটো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এইসব বুঝতে পেরেছি। কিন্ডলে প্রথম পড়েছি হুমায়ূন আহমেদের লেখা বল পয়েন্ট বইটি। বইটির পিডিএফ কোথা থেকে যেন পেয়েছিলাম। যাই হোক, পিডিএফে বাংলা বই পড়তে অসুবিধা হয় নি, কারণ বইটি ছিল স্ক্যান করা। তাই ফন্ট দেখানোর ঝামেলা ছিলো না। কিন্তু বইয়ের চেয়ে যেহেতু কিন্ডলের আকার ছোট, তাই লেখাগুলো খুব ছোট ছোট দেখাচ্ছিল। জুম করে বেশ বড় করতে পারা গিয়েছিলো, কিন্তু তখন পাতার আকৃতি বড় হয়ে যাওয়ায়, পাতা ওলটানো বা এক পাতার ডান দিকের না দেখা অংশ দেখা এইসব করতে বার বার স্ক্রল করতে হচ্ছিল, যা ছিলো খুবই বিরক্তিকর। এরপরে ভাবলাম এমন একটা বই পড়ি যেটি স্ক্যান করা নয়। এমন একটি বইও পেয়ে গেলাম। সেটা পড়তে গিয়েও একই ধরণের সমস্যা হচ্ছিল, লেখার আকার খুবই ছোট। (এই সমস্যাগুলো কেবল বাংলা বই পড়ার ক্ষেত্রে বলছি, ইংরেজি বই পড়তে কোনো সমস্যা নেই দেঁতো হাসি)। বইটি ছিলো বিজয় দিয়ে লেখা। ক্যালিব্রে ব্যবহার করে মোবি ফরম্যাটে নিয়ে গেলাম আকার বাড়িয়ে পড়ার জন্যে। কিন্ডলে নিয়ে দেখি সব অদ্ভূত অদ্ভূত রোমান হরফ ফুটে উঠেছে। বুঝতে পারলাম, পিডিএফে এমবেড করা বাংলা ফন্ট মোবিতে থাকছে না। তাই মোবি ফরম্যাটে বাংলা পড়া এখনও অধরা স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে। ইউনিকোড কতটা সাপোর্ট করে কিন্ডল সেটা দেখা হয় নি এখনও। কারো কাছে ইউনিকোডে লেখা পিডিএফ থাকলে খোঁজ দিবেন আশাকরি। মোবিতে নিয়ে দেখবো কোনো লাভ হয় কিনা।

তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে?

যদি কমিক্স বা ম্যাগাজিন পড়তে চান, এবং বহুবিধ ব্যবহারের যন্ত্র চান, তাহলে ব্যাকলাইট ও এলসিডি ডিস্প্লে সমৃদ্ধ ট্যাবলেটগুলো কেনা উচিত। দামে ও মানে সবচেয়ে এগিয়ে আছে আইপ্যাড। এর পরে স্যামসাং-এর গ্যালাক্সি ট্যাব অথবা আমাজনের কিন্ডল ফায়ার। অ্যাপলের আইওএস বাংলা ফন্ট রেন্ডার সাপোর্ট করে কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডসমৃদ্ধ ট্যাবলেটগুলো কিছু ব্রাউজার ছাড়া বাংলা ফন্ট দেখাতে পারে না। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সনে বাংলা সাপোর্ট থাকলেও সেটা এখনও বেশির ভাগ ফোন ও ট্যাবলেটগুলোর জন্য রিলিজ দেওয়া হয় নি। ট্যাবলেটগুলোর ঋণাত্নক দিক হচ্ছে আকার বেশ বড় এবং ব্যাকলাইট চোখের উপর চাপ ফেলে দীর্ঘ সময় পাঠে।

ই-ইঙ্ক ডিভাইসগুলোর মধ্যে আকার আকৃতির পার্থক্য খুব কম। কিন্ডল, কিন্ডল টাচ, নুক, কোবো এর ফাইল ফরম্যাটগুলো একটা থেকে আরেকটায় বদলানো যায়, ক্যালিব্রে ব্যবহার করে। দামের দিক থেকে কিন্ডল সবচেয়ে সস্তা। নিজস্ব (এবং ভাই বেদারার) ফরম্যাটের বই পড়ার জন্যে এগুলো অসাধারণ। (অন্যদেরটা বলতে পারি না, কিন্তু কিন্ডল টাচে আমি মহাখুশি!) লেখার আকার আকৃতি ইচ্ছা মতো বাড়ানো কমানো যায়। ইংরেজি অচিত্র পিডিএফ থাকলেও সমস্যা নেই, সেগুলো কনভার্ট করে পড়া যায়। আর ইংরেজি অনেক পিডিএফ থাকে এসব ই-রিডারের মাপে বানানো, সেগুলোড় জন্যে কনভার্ট করাও দরকার নেই। সচিত্র ইংরেজি পিডিএফে সামান্য কিছু সমস্যা করছে কনভার্ট করতে গেলে, ছবির অবস্থান বদলে যায়, সেটা ক্যালিব্রের দোষ বলেই মনে হয় তাহলে কেবল সমস্যা হলো বাংলা পিডিএফ পড়া নিয়ে, বইয়ের আকার বড়ো এবং ছাপা ছোট হলে জুম করে পড়াটাই একমাত্র উপায়, যদিও সেটা চরম বিরক্তিকর। কিন্ডল ডিএক্সে সেই সমস্যা নেই আশা করি। তবে সেটার আকার বেশ বড়ো, বহনযোগ্যতা কম।

আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের আলোকিত মানুষ হতে চেয়েছিলাম, বই পড়ে পড়ে একদিন সেই অনেকগুলো চোখ গজানো আলোকিত মানুষ হবার স্বপ্ন দেখি। কিন্ডলের আলোতে এঙ্কিন্ডোল্ড হওয়ার জন্য নতুন উদ্যমে শুরু করলাম। তো আপনি আপনার পছন্দের ই-বুক রিডারটি কবে কিনছেন?


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

তবে একটা সমস্যা রয়েই গিয়েছে। কিন্ডলে ফন্ট নির্দিষ্ট। রোমান হরফ ছাড়া অন্য হরফ দেখাবার ব্যবস্থা নেই। ছোটখাটো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এইসব বুঝতে পেরেছি। কিন্ডলে প্রথম পড়েছি হুমায়ূন আহমেদের লেখা বল পয়েন্ট বইটি। বইটির পিডিএফ কোথা থেকে যেন পেয়েছিলাম। যাই হোক, পিডিএফে বাংলা বই পড়তে অসুবিধা হয় নি, কারণ বইটি ছিল স্ক্যান করা। তাই ফন্ট দেখানোর ঝামেলা ছিলো না।

[থিওরেটিকালি] যেইসব পিডিএফে ফন্ট এম্বেড করা থাকে সেইসব পিডিএফ যেকোন প্লাটফর্মে দেখা যাবে। যেখানে ফাইল ওপেন করা হচ্ছে সেখানে ফন্ট থাকলেও ঠিকঠাক দেখাবে, না থাকলেও দেখাবে। ফন্ট এমবেড করা আছে কিনা পরীক্ষা করতে পিসিতে পিডিএফ ওপেন করে প্রোপার্টিজ > ফন্টস লিস্ট দেখতে হবে। ওখানে ফন্টের সাথে এমবেডেড সাবসেট লেখা থাকলে বুঝতে হবে ফন্ট এমবেড করা আছে। একটা স্কৃনশট দেই।

আরেকটা কথা, যারা এফোর সাইজের পিডিয়েফ পড়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের আইপ্যাড বা একটু দামি এ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের পরামর্শ দেব। এফোর সাইজের পেপারে ১২ফন্টে লেখা বই পড়া কিন্ডলেতে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা।

জি.এম.তানিম এর ছবি

ধন্যবাদ।

দ্বিতীয় যেই বইটি পড়ছিলাম সেটিতে ফন্ট এম্বেড করা ছিলো। সেটিও পড়া যাচ্ছিল পিডিএফ ফরম্যাটে, কিন্তু মোবিতে নেওয়ার পরেই সব হিজিবিজি হিজিবিজি। কারণ তখন এম্বেড করা ফন্টটি গায়েব দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

হাসিব এর ছবি

মোবিতে [সম্ভবত] ফন্ট এমবেড করা যায় না। বাংলা পড়তে গেলে পিডিএফ সবচেয়ে ভালো বিকল্প। আমরা যেসব বই পাই অনলাইনে সেগুলো কোনভাবে কিন্ডল ফ্রেন্ডলি না। আইপ্যাডেই বেস্ট পারফর্মেন্স পাওয়া যায়।

জি.এম.তানিম এর ছবি

কিন্ডল ডিএক্সেও কি এই বাংলা পিডিএফগুলো পড়া সম্ভব না? ব্যবহারকারী কাউকে পাওয়া গেলে বেশ হতো।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

হাসিব এর ছবি

পিডিএফ তো প্রায় সবখানেই পড়া যায়। সমস্যাটা অন্যান্য ফরম্যাটে। আর ইঙ্কভিত্তিক রিডারগুলোতে বাংলা পড়তে সেটা বেশ জুম করতে হয়। রাতে বিছানায় শুয়ে জুম করে প্যানিঙ করে গলদঘর্ম হয়ে ইবুক পড়ার কোন মানে নাই।
কিন্ডল ডিএক্সের একটা ভিডিও। তবে ইংরেজি পিডিএফ সংক্রান্ত ইউটিউব ভিড্যু।

তাসনীম এর ছবি

কিন্ডল ফায়ার কিনেছি। বাংলা পিডিএফ পড়া যায় কিন্তু ব্রাউজারে বাংলা পড়তে পারি না। মনে হয় শুধু স্ক্যান করা নয়, স্মৃতির শহর ই-বুকটাও কিন্ডল ফায়ারে পড়তে পেরেছিলাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অমিত এর ছবি

অপেরা দিয়ে পড়তে পারার কথা

তাসনীম এর ছবি

ওকে, ডাউনলোড করব।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অমিত এর ছবি

সেটিংস সামান্য বদলাতে হবে। ব্রাউসার উইন্ডোতে যেয়ে opera:config, এরপর use bitmap font for complex script অপশনে yes ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

কৌস্তুভ এর ছবি

কিন্ডল ইউনিকোড সাপোর্ট করে, কিন্তু বাংলা ইত্যাদি ফন্ট নেই বলে বাংলা ডকুমেন্ট দেখাতে পারে না। আর ওদের সিস্টেমে ইউজার ফন্ট ঢোকাতেও পারে না। কেবল পিডিএফে ফন্ট এম্বেড করা থাকলে দেখাতে পারে।

কিন্ডলের আরেকটা সমস্যা স্ক্যানড ইবুক পড়ার ক্ষেত্রে। টেক্সট ছোট-বড় ইত্যাদি করার যেমন অনেক অপশন, ছবিতে জুম করার অপশন অনেক কম। হয় ফুল-স্ক্রিন নয়ত ১০০% জুম। কখনও বাংলা টিনটিন ধরনের ইবুক খুলে দেখতে পারেন।

সজল এর ছবি

দুই মাস আগে আমার কিন্ডলের(কিন্ডল ৩) একটা রিপ্লেসমেন্ট এসেছিলো, সেটাতে কিন্তু বাংলা পিডিএফ পড়া যেত। তাসনীম ভাইয়ের স্মৃতির শহর ওইটাতে খুলে দেখলাম, সব ঠিকঠাক মত পড়তে পেলাম, পুরানটাতে যদিও পড়তে পারিনি কখনো। ব্রাউজারে কিন্তু বাংলা পড়া যেত পুরানটাতেও। পিডিএফ জুম করারতো কয়েকটা ধাপ আছে যত দূর মনে পড়ে। তোমারটা কোন ভার্সন?

গচ্চা, স্মৃতির শহরে ফন্ট এমবেড করা ছিলো সম্ভবত।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

কৌস্তুভ এর ছবি

আমার হপ্তাকয়েক কিন্ডল ৩ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। নিজের নাইকো।

পিডিএফে জুম অতটা সমস্যা না, ছবি-বেসড যেগুলো সেগুলো বিরক্তিকর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তানিম, বইমেলায় আসবেন না এবার? চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

জি.এম.তানিম এর ছবি

কারো মনে তুমি দিয়ো না আঘাত, সে আঘাত লাগে কাবার ঘরে... ♪♫

ওঁয়া ওঁয়া

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

মরুদ্যান এর ছবি

আমার কিছুই নাই মন খারাপ

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

দেখা যাক তাহলে একটা কিনে!

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

দেশ থেকে যখন আসি, তখন অনেক কিছুর সাথেই খুব টান লেগেছিল ফেলে আসা বইয়ের আলমারিটার জন্যে।

কি যে খারাপ লেগেছিল বইগুলা ছেড়ে আসাতে। সেইসাথে মুভি এর কালেকশনও ছিল। ওইগুলা অবশ্য এক গাদা DVD সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম।

আমি অ্যাইপ্যাডে সচল থেকে শুরু করে সব রকম বই পড়ি। আমার লেখালেখিও কিছুটা সেটাতে করি। কিন্তু লেখালেখির জন্য অতো ইউজার ফ্রেন্ডলি না জিনিসটা।

জি.এম.তানিম এর ছবি

প্রথমবার এসেছি যেহেতু, ভয়ে ভয়ে ছিলাম, এই বুঝি হার্ড ডিস্ক নিয়ে কপিরাইট আইনে ফাঁসিয়ে দেয় দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

জিজ্ঞাসু এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ক্যালিব্রের ধারণা ছিল না। তবে আইপ্যাডে কিন্ডল, নুক এবং কোবোর অ্যাপলিক্যাশন বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। এখনও বাঙলা ই-বুক পড়া হয়নি।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

তানজিরুল আজিম এর ছবি

তানিম ভাই, আমি কিন্ডল বেসিকটা কিনলাম। এটাতে পিডিএফ এ জুম এ ঝামেলা মনে হচ্ছে বার বার কিল্ক করতে হয় বলে। টাচ টা মনে হয় বেটার হবে যেহেতু টাচ করে জুম করা যায়। কিন্ডল টাচ এর পার্ফরমেন্স কেমন? টাচ সেন্সিটিভিটি কেমন? আমার আইপ্যাড টু আছে বাংলা ওখানেই পড়ি, কিন্তু কিন্ডল এ নর্মাল বই অনেক আরামে পড়া যায়, ঝামেলা হয় যখন পিডিএফ এর সাইজ ম্যাচ করেনা। জুম এর প্রেসিশন খুবি খারাপ, কিছু ফিক্সড পয়েন্ট ছাড়া জুম হয়না, আর ক্লিক করে জুম মহা পেইন।

জি.এম.তানিম এর ছবি

ই-ইঙ্কের রিফ্রেশ রেট অনেক কম। তাই টাচ পার্ফরমেন্সে স্ক্রল করার চিন্তা বাদ দিতে হবে। সেটা বাদ দিলে এমনিতে টাচ সেন্সর খুব ভালো। আমি কিছু ওয়ার্ড গেইম খেলেছি। কী-বোর্ডটাও খারাপ না।

জুমের অবস্থা মনে হয় সবারই সঙ্গিন।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

রিসালাত বারী এর ছবি

একটা আইপ্যাড আর একটা কিন্ডল টাচ কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম দেঁতো হাসি

তানজিরুল আজিম এর ছবি

ভাল সিদ্ধান্ত। আমি কিন্ডল বেসিকটা ফেরৎ দিলাম, টাচ কিনব। আইপ্যাড আর কিন্ডল টাচ ২ টা একসাথে থাকলে আর চিন্তা নাই। খাইছে

সত্যপীর এর ছবি

কোবো কিনেছিলাম যখন প্রথম বেরিয়েছিল, খাইলাম ধরা। ওদের নিজস্ব কি এক ফরম্যাট আছে, ওইটার বই ভালো পড়া যায়। পিডিএফ পড়া যায়, কিন্তু স্ক্রল করে নিচে নামলে স্ক্রিন কেটে কেটে যায়। পুরা পয়সা পানিতে।

আইফোন/আইপ্যাডে আইবুকস একটি প্রেমে পড়ার মত অ্যাপ। অসম্ভব সুন্দর ইন্টারফেস, ন্যাভিগেশন। পিডিএফ পড়া যায় চমৎকার। সমস্যা হল শেয়ারিং। আমার বই অন্য কেউ আইফোনে চাইলে পাঠানো অতি কঠিন কর্ম, আইটিউন্স সিঙ্কিং ফিঙ্কিং কি সব হাবিজাবি মারতে হয়। ব্যাপক যন্ত্রনা। তাই এখন ইউজ করি পার্ফেক্ট রিডার অ্যাপ। ইন্টারফেস ন্যাভিগেশন আইবুকসের কাছাকাছি, আর যেকোন পিসিতে পিডিএফ ট্রান্সফার করা যায় সিঙ্ক ছাড়াই।

পাঁচতারা পোস্ট। হাততালি

..................................................................
#Banshibir.

জি.এম.তানিম এর ছবি

ধন্যবাদ। ই-ইঙ্কে স্ক্রল করার চিন্তা বাদ দেন। দেঁতো হাসি

আই-যুক্ত সব কিছুর এত্তো দাম ওঁয়া ওঁয়া

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

নাশতারান এর ছবি

চিন্তিত

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
জি.এম.তানিম এর ছবি

ইয়ে, মানে...

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

কান্দেন ক্যান ভাইডি?

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

কারো কাছে ইউনিকোডে লেখা পি,ডি,এফ থাকলে খোঁজ দিবেন আশা করি ।

এইখানে আমার নিজের লেখা আছে একটা ।

অভ্রতে লেখা । পি,ডি,এফ হিসেবে । ডাউনলোড করে নিতে পারবেন সঠিক চিহ্ণে ক্লিক করলে ।
চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।

জানাবেন কী হল ।
আর সময় পেলে লেখাটাও একবার পড়ে দেখবেন । হাসি

মড়ুমামা দোষ নিয়েন না । ইয়ে, মানে...

জি.এম.তানিম এর ছবি

অভ্রে লেখা একটি পোস্ট পিডিএফ বানিয়ে এবং মোবি ফরম্যাটে নিয়ে কিন্ডলে চালালাম। পিডিএফ বিনাকষ্টে পড়া গেল (উপরের আলোচনায় দেখা গিয়েছে সেটাই স্বাভাবিক) তবে মোবি ফরম্যাটে কিছু আশ্চর্য পর্যবেক্ষণ আছে। বাংলা ফন্ট দেখা যাচ্ছে (যেটা এম্বেড করা তার থেকে ভিন্ন) তবে বেশ কিছু বর্ণ ভুল দেখাচ্ছে,আর কিছু বর্ণ দেখাতেই পারছে না।

অচিরেই আপলোড করব স্ক্রিনশট।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হুমম
অপেক্ষায় থাকলাম ।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

আমার কিণ্ডল অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর না(বেসিকটা ব্যবহার করছি)। মোবি চমৎকার পড়া যায় তবে কিছু পিডিএফ বেশ অসুবিধা তৈরি করে। ফ্রী কনভার্টার দিয়ে মোবিতে রুপান্তর করেও ভাল ফল পাওয়া যায়নি(অবশ্য ক্যালিব্রে দিয়ে চেষ্টা করিনি)
বিপরীতে আইপ্যাড১ এ বই পড়ে সবথেকে মজা পেয়েছি। সবকিছুই অতি উত্তম(শুধু দামটা ছাড়া হাসি


love the life you live. live the life you love.

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ভালু লেখা। তবে আমি পিসি/ই-বুক রিডারে পড়ে শান্তি পাই না! তাই কিন্ডেল ফায়ার কিনতে গিয়েও কিনি নাই। হাতে নিয়ে বই পড়ার থেইকা শান্তির কিছু নাই। দেঁতো হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

জি.এম.তানিম এর ছবি

কিন্ডলের জন্যে একটি বোরখা কিনেছি। পর্দাপুষিদা সম্পন্না কিন্ডল হাতে নিয়ে বই পড়ার আনন্দ পাওয়া যায়। কাসাম সে!

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

দ্রোহী এর ছবি

কত গিয়ানজাম রে বাবা!

বইপত্র পড়ি না দেখে আপাতত বাঁইচ্চা গেছি। চোখ টিপি

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অনেক থ্যাঙ্কু, লেখা দেয়ার জন্য! অনেক কিছু জানলাম।

বাজারে প্রচলিত বড়ো ব্র্যান্ডগুলোর ই-ইঙ্ক যন্ত্রগুলো কেবল সাদা কালো আর ধূসর বর্ণ দেখাতে পারে।

তার মানে কি? ছোটখাট ব্র্যাণ্ডের কি রঙ্গীন ই-ইঙ্ক ডিসপ্লে আছে? কোনটার?

ইপাব(নুকের ফরম্যাট)

নুক এই ফরম্যাটটা ব্যবহার করে, কিন্তু এটা আসলে ওপেন সোর্স ফরম্যাট, নুকের না, তাই না?

জি.এম.তানিম এর ছবি

এখানে দেখুন রঙিন ই-ইঙ্ক ডিস্প্লে।

ইপাব ওপেন সোর্স ফরম্যাট। নুক এটা ব্যবহার করে। ধন‌্যবাদ!

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

পৃথ্বী এর ছবি

১) আমার প্রথম ইবুক অভিজ্ঞতা সনির কোন এক ইবুক রিডার, আমেরিকা থেকে আনার এক মাসের মাথায় ওটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এখন আইপ্যাড নিয়ে চরম আনন্দে আছি। আইপ্যাডের বিনামূল্যের ইবুকস্‌ এপটাতে ইপাব পড়ে খুব আনন্দ পাওয়া গেলেও পিডিএফ পড়ে কোন মজা নেই। পিডিএফ পড়ার জন্য আমি মূলত "গুডরিডার" নামক একটা এপ ব্যবহার করি(৪ ডলার দাম), এই এপে খুব সুন্দর করে পিডিএফের ভেতরে হাইলাইট ও নোট লিখে আইটিউন্স অথবা কোন ফাইল সার্ভারে পিডিএফ আপলোড করে ফেলা যায়, এরপর আপনি সেখান থেকে পিসিতে এনোটেট করা পিডিএফটি সংরক্ষণ করতে পারবেন(অবশ্য নোট করে পড়ার অভ্যাস না থাকলে আইবুকস্‌ই যথেষ্ঠ)। এছাড়াও এপটির অন্তর্গত ব্রাউজার দিয়ে সরাসরি ওয়েবসাইট থেকে বই ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন, আলাদা করে আইটিউন্স দিয়ে ঢোকানোর প্রয়োজন হবে না। এর পাশাপাশি অভিধান আর উইকির সুবিধা তো আছেই, যেকোন শব্দের উপরে হাত চেপে ধরে সেকেন্ডের ব্যবধানে অভিধান আর উইকি(যদি নেট কানেকশন থাকে) সার্চ করে ফেলতে পারবেন।

আমি মূলত নন-ফিকশন পড়ার জন্য গুডরিডার ব্যবহার করি, আর গল্প-উপন্যাসের জন্য আইবুকস্‌।

২)আইপ্যাডে বাংলা বই বেশ ভালমতই পড়া যায়। তাছাড়া বেশিরভাগ বাংলা বই স্ক্যান করা, তাই লেখা না পড়তে পারার কোন কারণ দেখি না।

৩)অনেক ইংরেজি বই আবার স্ক্যান করা থাকে, সেক্ষেত্রে পিডিএফের মধ্যে স্টিকি নোট লেখা গেলেও হাইলাইট করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। একান্তই নোট করার প্রয়োজন হলে "নাইট্রো পিডিএফ" নামক পিডিএফ পড়ার সফটওয়ার ব্যবহার করে ওসিআর স্ক্যান করে একটা searchabale image/text file তৈরী করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনটা সমস্যা হবে,

ক) প্রচুর বানান ভুল সৃষ্টি হবে
খ) তিন-চার মেগাবাইটের ফাইলের সাইজ কয়েক শত মেগাবাইট ছাড়িয়ে যাবে
গ) ফাইলে কোন চিত্র থাকলে তা হারিয়ে যাবে

এসবে কোন আপত্তি না থাকলে স্ক্যান করা ফাইলগুলো searchabale image/text file এ রুপান্তর করে নিতে পারেন।

আমার ১৪ গিগাবাইটের আইপ্যাডে ১০.৫ গিগাবাইটই বই। সবগুলো বইয়ের দাম গড়ে ১০০ টাকা ধরলে(সিংহভাগ বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩০০ এর উপরে) আমার মোট সংগ্রহের দাম দাঁড়ায় ৫০০০০ টাকা। অনেকের সারা জীবনের সংগ্রহ আমি মাত্র কয়েকদিনে অন্তঃর্জাল থেকে বিনামূল্যে নামিয়ে ফেলেছি। আইপ্যাডের দামের তুলনায় এই পাওনা কিছুই না।

তবে ইবুক পড়তে পড়তে এখন কাগজের বইয়ের প্রতি কেমন একটা বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। বইমেলা থেকে শখ করে কেনা বইগুলোর উপর ধূলো পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু পড়তে মন খুতখুত করছে।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

চলুক

ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন এর ছবি

মন খারাপ জীবনে মনে হয় প্যাড আর কিনতে পারবনা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

কাজের পোস্ট

রিসালাত বারী এর ছবি

এখন তাইলে দরকার একটা ভালো বাংলা ওসিআর। এটা নিয়ে অনেক আগে থেকেই অনেক গবেষণার কথা শুনে আসছি। কোন আপডেট কেউ জানেন নাকি?

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

পড়লাম।
আর বুঝলাম।
বুঝলাম যে আমি কতো কম বুঝি। মন খারাপ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পোস্টটা কাজে দিসে। আইপ্যাডে ভোট দিলাম, বাগাইতে হবে হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বই পড়ার জন্য আলাদা একটা ডিভাইস বহন করা ঝামেলার লাগে। তাই হয়ত কেনা হবে না। আমি হার্ড কপি পড়তেই পছন্দ করি। সফট কপি তেমন একটা পড়তে পারি না। আইপড টাচে আইবুকস অ্যাপ দিয়ে কিছু পড়েছি। যেহেতু খুব বেশি পড়া হয় না, তাই এতেই কাজ চলে যায় আমার, হোক না এলসিডি ডিসপ্লে।

বেশ দরকারি একটা পোস্ট। তথ্যবহুল। যারা ইবুক রিডার কিনতে চান কিন্তু সহজে সিদ্ধান্তে নিতে পারছেন না, তাদের জন্য অনেক কাজে লাগবে।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আমার কাছে সকলই কেবলই মায়া। দেশ এখনও ছাড়িনাই হেতু এখানকার বই হাতে নিয়েই পড়ি। আর নিজের ভাষাতেই এতো এখনো না পড়া আছে যে অন্য ভাষার বইয়ে আগ্রহও কম (আঙ্গুর ফল, অন্য দেশের ভাষা বুঝলেতো? মন খারাপ ) তবে মজা পেলাম তথ্যগুলো জেনে। কাগুর সুতনি ফন্টের লগে মারপিট কইরাও পিডিএফের লগে এম্বেড করাইতে পারিনাই একসময়। তাই সুশ্রী ফন্ট ব্যবহার করতে হয়েছিল কিছু পিডিএফ এর প্রয়োজনে। এবং বলাই বাহুল্য যে সুশ্রী মোটেও সু-শ্রী সম্পন্না ছিল না।

মাসুদ চৌধুরী এর ছবি

আমি দু এক মাসের মধ্যে একটা ইবুক রিডার কিনব। অন্তর্জাল চষে ঠিক করলাম কোবো ই-রিডার টাচ ভাল হবে। কিন্ডল আর নুকের চেয়ে বেশি ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট করে, কাস্টম ফন্ট যোগ করা যায় (আপডেটেড ভার্সনে দেখলাম, তাহলে বাংলা বই কি পড়া যাবে?) , ডিজাইনও সুন্দর, বেশ মনে ধরেছে হাসি

কেউ কি কোবো ব্যবহার করেন? কোবোতে বই পড়ার অভিজ্ঞতা কেমন? কোন সমস্যা কি চোখে পড়েছে? এই ব্যাপারগুলো একটু জানালে খুব ভাল হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।