বিবিসি বাংলার এই পডকাস্টে সাইবার যুদ্ধের বিভিন্ন মাধ্যম ও শাহবাগের আন্দোলনে তার ব্যবহার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। অনলাইনে শাহবাগের উপস্থিতির একটি সুন্দর ভিজুয়াল প্রকাশ করেছেন Christian Prokopp তার ব্লগে ।
প্রতিবাদের নানা মাধ্যমের মধ্যে সম্ভবত নতুনটি টুইটার। টুইটার ব্যবহারের নিয়মাবলী এবং শাহবাগের ঘটনা প্রমোট করার উপায় নিয়ে ব্লগার ইশতিয়াক রউফ লিখেছেন এই লেখাটি, তাই সেই বিস্তারিত আলাপে গেলাম না। আন্দোলনের শুরুর দিক থেকেই Facebook এবং ব্লগের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় টুইটারের হ্যাশট্যাগ #shahbag. দেশ বিদেশের অসংখ্য ব্যবহারকারী তাদের টুইটারের মাধ্যমে এবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশী বিদেশী মিডিয়ার মিথ্যাচার, বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার রুখে দিতে।
#shahbag কতটা বহুল ব্যবহৃত তার জন্যে দৈব চয়নের ভিত্তিতে নেওয়া একটি তথ্য দেই। গত ২ ঘন্টাতেই এই ট্যাগে শতাধিক টুইটার পোস্ট পড়েছে। শুরুর কয়েকদিনের টুইট তথ্যের ভিত্তিতে সচল প্রকৃতিপ্রেমিক এই পোস্টটি দেন। সেখানেই প্রতিদিন সহস্রাধিক টুইটার পোস্ট পড়ার খবর দেখতে পাই। গত কয় দিনে টুইটারে বাংলাদেশী ব্যবহারকারী অনেক বেড়েছে। কাজেই এই সংখ্যা যে বেড়েছে বহুগুণে তা আর বলে দেওয়ার নয়। এই লিঙ্কে ক্লিক করে নিজেই দেখে নিন, শাহবাগ নিয়ে অনলাইন যোদ্ধারা কতটা সোচ্চার। ডয়চে ভেল তাদের নিবন্ধে উল্লেখ করেছে এই #shahbag-এর কথা, ক্লাউডলিতে #bangladesh দিয়ে খুঁজে সবচেয়ে বড়ো যে ক্লাউডটি পাওয়া যায়, সেটি #shahbag. কাজেই অনলাইন সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত এবং টুইটার ব্যবহারকারী/ব্যবহারে আগ্রহী এদের কারো কাছেই এই হ্যাশট্যাগ অজানা হওয়ার কথা নয়।
এই রকম অবস্থায় আজ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডট কমে ছাপা হয়েছে এই লেখাটি । শাহবাগ আন্দোলনের খবর ছড়াতে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে লিখিত এই নিবন্ধ। আন্দোলন নিয়ে ব্লগে আলোচনা, শাহবাগে তথ্যপ্রযুক্তিগত ব্যবস্থা, বিভিন্ন গানের লিংক এবং সাইবার যুদ্ধের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে টুইটারে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে। টুইটারে শাহবাগের কথা বলতে গিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে বলা হয়েছে এক বিদ্ঘুটে ট্যাগের কথা, যেই ট্যাগ দিয়ে টুইটারে সার্চ করে দেখা গেল হাতে গোনা ২২টি টুইট হয়েছে। অর্থাৎ শাহবাগ নিয়ে কথা বলার যে মূল ট্যাগ, সেটির উল্লেখ না করে একটি অপ্রচলিত ট্যাগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে আজকের এই পত্রিকায়।
প্রথম আলো বাংলাদেশের একটি বহুল প্রচারিত দৈনিক। পাঠক সংখ্যায় শুরুর দিকে তাদের অবস্থান। শাহবাগ নিয়ে আন্তর্জালিক লড়াইতে তাদের এই ভুল তথ্যপ্রকাশের অবদান যে তাই কতটা ঋণাত্মক, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম আলো এই বিভ্রান্তি কি স্বেচ্ছায় করছে? আর যদি এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েও থাকে, তবে এই নিবন্ধের রচয়িতা বা বিভাগীয় সম্পাদক কি এর দায় এড়াতে পারেন? শাহবাগ নিয়ে টুইটারের লড়াইতে বিভ্রান্তি ছড়ালে কোন পক্ষ উপকৃত হয় সেটা তো কারো অজানা নয়। প্রথম আলো কি এই ভুল সংশোধন করবে?
পুনশ্চ ১: ঘন্টাতিনেক আগে ভুল ধরিয়ে দিয়ে এই লেখায় মন্তব্য করা হয়েছে। মন্তব্য এখনও প্রকাশিত হয় নি।
পুনশ্চ ২: পুরো লেখার কোথাও জামাত শিবিরের নাম মুখে আনে নি নিবন্ধটির রচয়িতা। সেটা লেখকের দায় নাকি পত্রিকার পলিসি, সেটা নিয়েও চিন্তা হচ্ছে।
মন্তব্য
এই পত্রিকার উপসম্পাদক আনিসুল হকের ফেসবুক পাতায় সেদিন দেখলাম তাদের সার্কাসের পাকি ক্লাউন হামিদ মীরসহ আরো এগারোটা পাতিক্লাউন একটা ব্যানার নিয়ে বসে ভুল ইংরেজিতে আমাদের "সরি" বলছে। সেই হাস্যকর ছবির ওপর আনিসুল লিখেছেন, জামাত কখনো ক্ষমা চায়নি।
আনিসুল হক, আপনি তো কানা বা ঠসা না। শাহবাগেও আপনাকে দেখা গেছে। সেখানে খুব পরিষ্কারভাবেই এখন জামাতি খুনীদের ফাঁসি আর জামাতশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এখন এই মুহূর্তে জামাতের "ক্ষমা" তো কোনো আলোচ্য বিষয়ই না। আপনার ফেসবুক পাতা প্রায় নব্বই হাজার আদম অনুসরণ করে। আপনি তাদের কাছে কোন বার্তা দিতে চাইছেন? জামাত হামিদ মীরের মতো ব্যানার চ্যাগায়ে দাঁড়ালে লোকজন তাদের মাফ করে বাসায় চলে যাবে?
বাসায় চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে বলতে হয়, আপনাদের অপ-এডে জাকারিয়া সাহেবের একটি লেখায় তিনি লিখেছিলেন, শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বাড়ি ফেরার পথ ক্রমশ সহজ হচ্ছে। জাকারিয়া সাহেব কি কানা? নাকি ঠসা? নাকি ভোদাই? জাকারিয়া কি জানে না যে লোকে ওখানে বাড়ি ফেরার তাড়া নিয়ে গিয়ে হাজির হয়নি?
প্রথম আলোর লেখাগুলো পড়লে মনে হয় কবে শাহবাগ সমাবেশটি ভেঙে যাবে, সেই চিন্তায় স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত সম্পাদক মতিউরের রাতে ঘুম হচ্ছে না।
আপনারা অনুগ্রহ করে সম্পাদককে কৃমির ওষুধ খাওয়ান, এইসব ধুনফুন বন্ধ করেন।
আমিষুলের সেই স্ট্যাটাসটার জবাবে আপনার কমেন্টসগুলা দারুণ ছিল হিম্ভাই
শুধু তাইনা আন্দোলন কতদিন চলবে সেটা নিয়েও ওদের মাথাব্যাথা, ১৪ তারিখের খবরে দেখুন http://eprothomalo.com/contents/2013/2013_02_14/content_zoom/2013_02_14_6_7_b.jpg
আনিসুল হকের আসল উদ্দেশ্য যে কী আমি একেবারেই ধরতে পারছি না। ওই ছবি পোস্ট করার পরের স্ট্যাটাস্টা ছিল একটা ভালবাসার কবিতা, যেখানে সব ঘৃণা ভুলে সবাইকে বুকে টেনে পুটু পেতে দেয়ার কথা বলা আছে। তার পরের স্ট্যাটাস ছিল, জামাত শিবিরের উদ্দেশ্যে দুষ্টু শ্লোগান দেয়া যাবে না, সুশীল ভদ্র ভাষায় শ্লোগান দিতে হবে। আর তার পরের স্ট্যাটাস আপাতত 'মা' এর পঞ্চাশতম সংস্করণ নিয়ে। এই লোক আসলে চায় কী?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যে কোন কিছুতে পাকি মতামত না নিলে প্রথম আলোর চলে না, কিন্তু শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর খুব মুশকিলে পড়ে গিয়েছিল রিসোর্সের অভাবে। আজ এক পাকি অধ্যাপক ওদের ধৈর্যের অবসান ঘটালো। ক্ষমা চেয়ে দুই দেশের সম্পর্কের 'নতুন অধ্যায়' শুরু করার কথা বলা ওনার লেখা আজকে অনুবাদ করে ছাপিয়েছে প্রথম আলো।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
কাল হয়তো এটির অনুবাদ আসবে।
এবং বলতে না বলতেই হাজির
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
প্রথমান্ধকার কৌশলে চুপাচাপা দিয়া আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করতেছে, যা তাদের স্বভাব!
_____________________
Give Her Freedom!
ক্ষ্মমা শব্দটি আজ কয়েক দিন হলো শুনছি। কাল আমাদের শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন শিবির কে ক্ষমা চাইতে হবে। এখানে উল্লেখ করে রাখি আমি সিলেটে থাকি। কদিন আগে তিনি চরমোনাই পীরের এক ওয়াজ মাহফিলে এসে বলেছিলেন শাবিপ্রবিতে কোন ভাস্কর্য নির্মান হবে না। নুরুল ইসলাম পীর সাহেবের দোয়া নিয়ে এসব কথা বলেছেন। এই চরমোনাই পীরের অনুসারি রা মাঝে মাঝেই শো ডাউন করে। মানুষকে আল্লার আইন দিয়ে ভয় দেখায়। এই সব মুর্খ মন্ত্রীদের আপনি কি বলবেন ? আমি বলি ছাগু।
মেজর জিয়া; আপনিই তো রাজাকারদের ক্ষমা করে দিয়েছেন, আর সে জন্যই শাহ আজিজের মতো রাজাকারদের দলে না নিয়ে আমার কোন উপায় ছিল না!
বঙ্গবন্ধু: হ, সব দোষ আমার।
লেখক; প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক।
গদ্য কার্টুন, মধ্যলোকে চন্দ্রালোক।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
মন্তব্য করার উপায় কি নেই?
শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখলাম। এখানে দিয়ে দিচ্ছি। এই ঘোষণার ১ আর ২ নম্বর পয়েন্ট পড়ে তো মনে হল এটা এই আন্দোলনের "beginning of the end"। এই আন্দোলনে মানুষ কারো নোটিশ পড়ে/শুনে যোগ দিচ্ছে না, দিচ্ছে প্রাণের তাগিদে। কেউ কি জানেন আসলে কি হচ্ছে, এবং কেন এই ঘোষণাটি দেয়া হল?
টুইটারে কিছু জামাতি:
:ttps://twitter.com/titumir13
https://twitter.com/ttorongo
https://twitter.com/notunbangali
https://twitter.com/Faridbdahmed
https://twitter.com/FreeGhulamAzam
https://twitter.com/0301kalam
https://twitter.com/Lubaaba_A
সহ আরো অনেকে।।।।।।।
নতুন মন্তব্য করুন