যেহেতু অতিরিক্ত কিছু উপার্জন, বউয়ের গঞ্জনা (কারণ বউ মনে করে মাটি কাটার চাইতে রিকশা চালানোতে সম্মান বেশি) থেকে মুক্তি এবং এদিক-ওদিক বেড়ানোর খায়েশ নিয়ে আমাদের মনু মিয়া ঢাকা শহরে রিকশা চালাচ্ছে...
এই রিকশা চালাতে চালাতেই একদিন মনু মিয়া টের পেলো রাত ১১টার পর থেকে রিকশা চালানো টাকা-চোখ কিংবা জিহ্বার লালারস নিঃসরণের দিক দিয়ে বেশি লাভজনক কারণ তখন পুরুষ মানুষের চেয়ে বিশেষ বিশেষ মেয়ে মানুষ তার রিকশায় উঠে তাই মনু মিয়া কোনো কোনো রাতে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে শুরু করলো বউয়ের তীব্র ডাক বা আকাঙ্ক্ষা বা কামনা উপেক্ষা করে...
যদিও মনু মিয়া সচ্চরিত্রবান কিন্তু ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ আর কতোক্ষণ চরিত্র মুঠোবন্দি করে রাখতে পারে বিশেষ করে যে ক্ষুধা লাগে চোখে কিংবা খাবার বাড়িতে ফেলে ক্ষুধাকে যখন কেউ পুঁটুলি বেঁধে বন্ধে নিয়ে যায়...
মনু মিয়া তার রিকশার আরোহীর দিকে তাকায় না খুব একটা কেবল চোরা চাহনি ছাড়া এবং প্রতিবারই কামনা করে বাতাস এলে যদি শাড়ি ওড়ে, তবে মেয়েটির সাথে কোনো পুরুষ মানুষ বসলে মনু মিয়া রিকশা রেখে দূরে যখন বিড়ি ফুঁকতে যায় তখন রিকশার হুডের ফাঁক দিয়ে দেখতে চেষ্টা করে আসলে সেখানে কী হচ্ছে এবং পরে যখন তারা রিকশা ছেড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকে মনু মিয়ারই বৃষ্টি তাড়ানো প্লাস্টিকের কাপড় নিয়ে...
মনু মিয়া তখন কুলুপ নিয়ে রাস্তার ধারে বসে কিন্তু কুলুপ আর লাগানো হয় না তবে কিছু এটা হয় তখন তার বউয়ের কথা মনে পড়ে যে আজ রাতে না আসলেই হতো হতো...
ওদিকে দিনের পর দিন উপোস থাকতে থাকতে মনু মিয়ার বউ দূর সম্পর্কের এক দেবরের কাছ থেকে খাবার পেয়ে যায় ফলে রাতে আর না খেয়ে থাকতে হয় না এবং মনু মিয়াকেও আজকাল আর কেউ রাতবিরাতে রিকশা নিয়ে বেরুতে বাধা দেয় না...
ওদিকে মনু মিয়া কিছু টাকা পয়সা জমিয়ে রিকশার আরোহীকে নিয়েই একদিন ঢোকে সোহরাওয়ার্দীতে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর কাপড়চোপড় ঠিক করে চলে আসে তবে মেয়েটির বুদ্ধিতে সকালবেলা সেখানে একটি প্লাস্টিকের রক্তজবা পড়ে থাকতে দেখা যায়...
এবং মাঝেমাঝেই যেহেতু এটা হতে থাকে এবং বাসায় বউয়ের ওটা হতে থাকে তখন দুজনই একদিন নিজস্ব নারীমুখো-পুরুষমুখো হয় এবং তখনই বুঝে যায় তারা আসলে স্বাদ বদল করতে গিয়েছিলো তবে তাদের ভালোবাসাটা নাকি অটুট ছিলো...
এই গল্প অবশ্য এখানেই শেষ তবে আজকাল অবশ্য স্বাদবদল ঘনঘনই হয় তবে যেহেতু এ ব্যাপারে দুজনই দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদারতা প্রদর্শন করতে চেষ্টা করে এবং একটা সময় টের পায় দর্শনটা ঠিক উপাদেয় নয় তখন কাতরতা ফুটে উঠলেও আরেকজনের খাবার সবসময় লোভনীয় বলে দোটানায় পড়ে থাকে দুজনই এবং কাতরাতে থাকে...
ফলে গল্প শেষ হয়েও হয় না শেষ এবং প্রতিটা রাতই আসলে নতুন গল্পের জন্মবিধাতা।
মন্তব্য
-
এইজন্য বলি কি, বিয়া করার কাম নাই। আসেন, আমার পতাকা তলে আসেন। আমরা এই গ্যাড়াকলে পড়তে চাই না। আমাদের কাছে সবারই সবকিছু অসাধারণ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুঁ , শ্যালিকা নীতিই ভাল
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধুসর গোধুলির কথার উপ্রে কথা নাই। ইহাই চিরন্তন সত্য।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ও এইজন্যই ইদানীং গৌতমকে রাতে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়
ঠিক। আর লীলেন ভাইকে রাতের বেলায় রিকশায় ঢাকা শহর ঘুরতে দেখা যায়। সাথে কেউ থাকে কিনা বলতে পারবো না...
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ঘটনা কী? লীলেনদা যা কইলো তা কী করে অবিশ্বাস করি!!!!!!!!!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
- হৈ মেম্বর, আপনের নামে শালিস ডাকা হৈতাছে। রেডি থাইকেন। আপনেরে আবার পাকড়াও করা হইবে জা-কা-কা ভায়রা ভাই পরিষদ ওরফে মজলিশে শূরার তরফ থাইকা। আপনে বহুত তাফালিং শুরু করছেন ইদানিং!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই। ফোন বন্ধ থাকে। ঘুমানোর সময় ফোন খোলা রাখি না। তবে লীলেন ভাইরে একটা ফোন দিয়েন। দেখবেন রাতের বেলায়ও তাঁরে রিকশায় পাওয়া যাইবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
টুপির এইরকম একটা বদ নাম দিলেন!
হুমায়ুন আজাদ সাবে কইত রাবার।
- জার্মান ভাষায় যেইটা কয়, তারে বাংলা করলে রাবারই দাঁড়ায়।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একবার কম্পিউটারে একটা গেম খেলেছিলাম, তাতে বলত লাবার ( lubber ). মনে হয় lover এর সাথে pun মেরেছে আর কি ।
-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এইটা বদ নাম হইলো! বড় দুষ্ক পাইলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ, রণদীপম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শেষ লাইন্টাই মারাত্মক!!! ভালো লাগছে খুব ।
ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
শেষের লাইনটা আসলেই মারাত্মক। ভাল লেগেছে।
A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?
শিমুল, রানা মেহের, অতন্দ্র প্রহরী, আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য। উৎসাহিত হলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই গল্প লেখার উদ্দেশ্য কি বলতে পারেন? অন্যদের এবং আপনার মন্তব্য দেখে মনে হয় কিছুটা বুঝতে পারছি....
(জয়িতা)
গল্প লেখা ছাড়া গল্প লেখার উদ্দেশ্য আর কী থাকতে পারে, বলুন? তবে আপনি কি বুঝেছেন সেটি জানাবেন কি?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন