আমরা অনেক সময় বর্তমানের বিভিন্ন অবস্থা দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করি। ঠিক একইভাবে অতীতের কার্যক্রম দেখে একজন ব্যক্তি বেঁচে থাকলে বর্তমানে তাঁর দ্বারা আমরা কীভাবে উপকৃত হতাম, সেরকম একটি অনুমান করা সম্ভব। যেমন মুনীর চৌধুরী বেঁচে থাকলে হয়তো বাংলা টাইপিঙের ক্ষেত্রে নতুন কোনো পরিবর্তন আসতো কিংবা নাটকের বর্তমান ধারা বিভিন্ন দিক দিয়ে আরো শক্তিশালী হতো। কারণ মুনীর অপটিমা নামে তিনিই প্রথম বাংলা টাইপিঙের ছাঁচ উদ্ভাবন করেন; জীবিত থাকা অবস্থায়ই তিনি অনেক শক্তিশালী নাটক লেখেন যা নির্দেশ করে পরবর্তী সময়ে বেঁচে থাকলে তিনি এরকম আরো কিছু কাজ করতেন, যা দিয়ে জাতি উপকৃত হতো।
শহীদ বুদ্ধিজীবিদের অতীত কার্যক্রমকে ভিত্তি ধরে এরকম কিছু কি লেখা যায় যেখানে তাঁরা বেঁচে থাকলে আজকের দিনে তাঁদের ভূমিকা কী হতো? তাঁদের দ্বারা এই বাংলাদেশ কতোটুকু ও কীভাবে সমৃদ্ধ হতো? জানি, ব্যক্তি বেঁচে থাকলে বদলায়। তাঁরা বেঁচে থাকলেই যে এগুলো করতেন, তাও হয়তো ঠিক নয়। আবার বেঁচে থাকলে তাঁরা হয়তো এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেন, যেগুলো আমরা কল্পনা করতেও অপারগ।
হয়তো এটা এক ধরনের রোমান্টিসিজম! কিন্তু অতীতের কার্যক্রমকে ভিত্তি ধরে এই কাজটুকু করলে যেটা হবে, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজন্মের মানুষ তারা জানতে পারতাম কী অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ও অমূল্য ব্যক্তিদের আমরা হারিয়েছি। যে বন্ধ্যা সময় আমরা পার করছি, তাতে এখন এই উপলব্ধিটুকু খুবই দরকার বলে আমার মনে হয়।
অথবা আদৌ এই কাজটুকু করার বা এ ধরনের ভাবনা ভাবার দরকার আছে কিনা, তাও বুঝতে পারছি না। কেমন যেনো এক হাহাকার বোধ থেকে লেখাটি লিখলাম।
মন্তব্য
কি লিখব বুঝতে পারছি না
আনোয়ার পাশা বেচে থাকলে আমরা পেতাম "রাইফেল রুটি আউরত " এর মত আরো উপন্যাস
জিসি দেব (যিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ছিলেন সক্রেটিস হিসেবে ) বেচে থাকলে আমরা পেতাম অনেক মৌলিক দর্শন
আর ..........................................................................................................
আগেও বলেছি -তাদের হত্যার পেছনে তাদেরই সহকর্মীগন জড়িত ছিলেন ।
ভিসি সাজ্জাদ কে বিশ্বাস করে যারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন তারা কম বেশি সবাই মারা পড়েছিলেন ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
উৎসাহ থাকলে আমার মনে হয় এ কাজে আপনি হবেন একজন যোগ্য ব্যক্তি। তবে শুধু কাজ নয়, ব্যক্তি হিসেবে তিনি কেমন হতেন, রাজনৈতিক দর্শনে কেমন হতেন ইত্যাদি নানা দিক নিয়ে লেখা যায়। প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে লেখা। লিখবেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অন্তত তাঁরা থাকলে আজকের অনেক কুতুব হালে পানি পেতেন না। বুদ্ধিজীবীতার একটা সম্মানজনক স্থান থাকতো। আবার কেউ কেউ সম্মান খুইয়ে যা তাও করতেন।
দেশভাগের সময় হিন্দু স্কলাররা চলে গিয়ে বিদ্বৎচর্চা, রাজনীতি ও সমাজচর্চার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছিল। তার মধ্যে দিয়েই আরেক প্রজন্ম দাঁড়িয়েছিলেন। একাত্তরে তাঁরাও বিনাশ হলেন। আর কোনো জাতির বোধহয় এরকম ধাক্কা এতবার সইতে হয়নি।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমি ঠিক এই কথাটাই বলতে চেয়েছি। শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে মনে হলো এই দিবসটা অনেকের কাছে ছুটি কাটানোর একটি দিবস হয়ে গেছে। কেউ কেউ তো আনন্দ-ফুর্তিও করছেন। তখনই সন্দেহ হলো এই দিবসের তাৎপর্যটা-গুরুত্বটা আমরা বুঝতে পারছি কিনা!
আপনাকে ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খারাপ লাগে ভাই আমারো খারাপ লাগে। তাদের জন্য বুকের ভেতর হাহাকার আমিও টের পাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কোনো এক শহীদ বুদ্ধিজীবিকে নিয়ে এ ধরনের একটি লেখা কি লিখবেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই হাহাকারটা সব সময়ই মনের মধ্যে করুণ সুর তোলে।
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ স্পর্শ, একাত্ম হওয়ার জন্য।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমরা স্বাধীনতার শুরু থেকেই ব্যাকফুটে। এই অসাধারণ মেধাবী এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষগুলো না থাকার কারণে একের পর এক ভুল পথে পা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ।
জহির রায়হানের বক্তব্যের একটি অংশ:
কত সাহস থাকলে একজন মানুষ এত রিস্ক নিয়ে এভাবে সত্য উচ্চারণ করতে পারে!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ, বলাই দা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
forward or backward propagation of a nation depends on the witful movement of its intellectuals, who are deeply related with patreotism. Unfortunately we have intellects devoid of patriotic sense.
ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বুদ্ধিজীবির মৃত্যু কোনো একক মৃত্যু না। একজন জি সি দেব বা মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর ক্ষমতা ছিলো আরো শতেক বুদ্ধিজীবি পয়দা করার। দেশভাগ এবং ৭১ নিধনের ফলে যেটা হইছে তা হইলো এই দেশে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার পথ পুরোটাই প্রায় ধ্বংশ হয়ে গেছে... একেবারে সমূলে উত্পাটন বলতে পারেন। যারা কয়েকজন বেঁচে ছিলেন তারাও কেন জানি খুব একটা উদ্যোগ নেননি। প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক অনেক জ্ঞানী ছিলেন কিন্তু তার সবই ভার্বাল... শোনা কথা... কোনো টেক্সট তিনি রেখে যাননি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য...
বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার এই বন্ধাবস্থা কাটাতে তেমন কাউকে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। শিখা আন্দোলনের মতো আর কিছু হয় নাই। ৮০র দশকে যা একটু সম্ভাবনা দেখা গেছিলো তা পারস্পরিক মারামারি, অহংবোধ আর মান অভিমান মারফত কেঁচে যায়। তারপর তো সব রাহেলিল্লাহ্...
তারপরো এই দেশটির দাঁড়ানোর একটা সম্ভাবনা রয়ে গেছিলো... কারন কিছু মেধাবী এবং সত্ রাজনৈতিক নেতা জীবিত রয়ে গেছিলেন। ৭৫-এ সেই কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকা শেষ হয়ে যায়। কাহিনী এখানেই সমাপ্ত।
আমরা এখন রসূন বোনার সবুরে বসে আছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেই জন্যই তো কিছু একটা করতে হবে। কিন্তু কীভাবে কী করা যায়?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বলা হয় , বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের মাষ্টারমাইন্ড ছিল রাওফরমান আলী ।
আমরা পাকিদের খামোকাই মাথাগরম বোকাচুদা ভাবি । পরাজয় নিশ্চিত জেনে ঠিকই সবথেকে ভয়ংকর ক্ষতিটা করে গেছে, যা হাজারবছরে ও আর পুরনীয় নয় ।
------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বুদ্ধিটা কি পাকিদের মাথা থেকে বের হয়েছিলো? নাকি কোনো রাজাকার-আলবদর এই বুদ্ধিটা ওদের মাথায় ঢুকিয়েছিলো?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন