নীতিনির্ধারণী বিষয় নিয়ে নির্বাচনী বিতর্কের সংস্কৃতি এদেশে অনুপস্থিত। তবে প্রতিটি দল নির্বাচনের আগে ইশতেহার প্রকাশ করে। সেখানে দল ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে, তার আভাস পাওয়া যায়। মেয়াদান্তে ইশতেহারের কতোটুকু অর্জিত হলো সে হিসেব অবশ্য পাওয়া যায় না। তবে বাস্তবায়িত হোক বা না হোক, ইশতেহার থেকে বুঝা যায় দলগুলো নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রগুলোতে কী চিন্তা করছে এবং অন্যদের থেকে তাদের পার্থক্য কোথায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রধান দলগুলোর ইশতেহারে মৌলিক পার্থক্য পাওয়া না গেলেও কৌশলগত কিছু পার্থক্য পাওয়া যায়।
ইশতেহার নিয়ে কথাবার্তা মূলত সংবাদ সম্মেলন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, পরবর্তী সময়ে এমনকি নির্বাচনী প্রচারেও সেগুলো গুরুত্ব পায় না। ভালো হতো যদি দলের নেতৃবৃন্দ ইশতেহারের বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতেন এবং কেন তাঁদের ইশতেহার অন্যদের চেয়ে ভালো তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতেন।
বলতে দ্বিধা নেই, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষার বিষয়টি তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পায়। হয়তো পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। তবে ইশতেহারে শিক্ষা সম্পর্কে যা বলা হয়, তা কতোটা বাস্তবসম্মত এবং শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনানুযায়ী, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। ফলে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে উচ্চাশা পোষণ করেন বলে মনে হয় না। শিক্ষা বিষয়ে দলগুলোর মতপার্থক্যের ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া যেমন কঠিন, তেমনি কৌশলগত দিক দিয়েও এক দলের সাথে অন্য দলের বেশি পার্থক্য দেখা যায় না। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া দলগুলোর আদর্শগত বা মৌলিক অবস্থানের জায়গাগুলোতে পার্থক্য বের করাটা তাই দূরূহ হয়ে পড়ে।
আওয়ামী লীগ ইশতেহারে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে। এছাড়া নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের পাশাপাশি ২০১০ সালের মধ্যে প্রাথমিক স্তরে শতভাগ ভর্তি, ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও পর্যায়ক্রমে স্নাতক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কথাও রয়েছে সেখানে। বিএনপির তালিকা অনেক দীর্ঘ। সেগুলোর মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিনের মধ্যে গণমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা কার্যকর করা, পাঁচ বছরের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করা, সব ধরনের বিদ্যালয়ে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা, আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষালাভ করার ব্যবস্থা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। জাতীয় পার্টি শিক্ষার উন্নয়নে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু ও প্রত্যেক উপজেলায় কারিগরি স্কুল স্থাপনের কথা বলেছে। জামায়াতে ইসলামীর ইশতেহারে প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর জন্য ইসলামী মৌলিক শিক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেওয়া, আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসাকে আরো যুগোপযোগী করা, ক্রমান্বয়ে এইচএসসি পর্যন্ত বিনাবেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষকদের রাজনীতিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় আইন করার কথা বলা হয়েছে। সিপিবি শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণের কথা বলেছে।
ইশতেহারে একটি বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মধ্যে মিল পাওয়া গেছে। দলগুলো ক্ষমতায় গেলে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত অবৈতনিক লেখাপড়ার ব্যবস্থা করতে চেয়েছে। সেটি করা গেলে তা দেশের জন্য যে সুখবর তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামো কি এতোটাই সবল যে রাষ্ট্র মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সবার শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম? প্রতি বছর যে বাজেট করা হয়, সেখানে শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ বা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেট থাকলেও অধিকাংশই খরচ হয় শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন ও ভবন নির্মাণখাতে। বাজেট দ্বিগুণও করা হলেও কি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে? যদি ধরেও নিই, সংশ্লিষ্ট দল কোনো উপায়ে সেটি বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর, তাহলে জানানো উচিত কীসের জোরে তারা এ ধরনের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করছেন। দুঃখজনকভাবে সেরকম কোনো বক্তব্য নেই। থাকলে দুটো বড় কাজ হতো। প্রথমত, বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেও যে সবাইকে মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনাবেতনে পড়ানো যায় সেই কৌশল জানা যেতো; দ্বিতীয়ত, প্রতিপক্ষকেও ভাবতে হতো কী উপায়ে তারা আরও ভালো কৌশল নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হতে পারবে। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ের পর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সবাইকে অবৈতনিক শিক্ষা দেওয়ার দরকার আছে কিনা, সেটিও ভেবে দেখা দরকার। আসলে এগুলো মনভুলানো কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। মনে রাখা দরকার, যোগাযোগের জন্য রাস্তাঘাট তৈরির প্রতিশ্রুতি আর সবার জন্য শিক্ষা বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি এক জিনিস নয়।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছে। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলা নেই। নিরক্ষরতা দূরকরণের নামে সার্বিক সাক্ষরতা আন্দোলন বা টিএলএমের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ইতোমধ্যে আমাদের হয়েছে। তাছাড়া ২০১০ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগ যে প্রাথমিক স্তরে শতভাগ ভর্তির কথা বলেছে, তা আদৌ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, তা কি তারা ভেবেছে?
অন্যদিকে বিএনপি ১০০ দিনের মধ্যে গণমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার মতো ভয়াবহ কথা বলেছে। গত ৩৭ বছরে যে দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতির দেখা মেলেনি, সেখানে ১০০ দিনের মতো কম সময়ে একইসাথে ‘গণমুখী ও কর্মমুখী’ শিক্ষাব্যবস্থা চালু আদৌ সম্ভব কিনা, তা ইশতেহার প্রণয়নকারীরা ভেবে দেখলে ভালো হতো।
জাতীয় পার্টি প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি স্কুল স্থাপনের কথা বলেছে যা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কীভাবে তা বাস্তবায়িত হবে এ নিয়ে বক্তব্য নেই। জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে প্রত্যেক মুসলিম নরনারী জন্য ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা করার কথা বলেছে যেখানে অমুসলিমদের শিক্ষা কী হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা নেই। দলটির এ বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, ধর্মীয় পরিচয়ের আলোকে তারা শিক্ষাকে কার্যত দুটো ভাগে দেখতে চায়।
শিক্ষার বিষয়ে সিপিবি একটি মৌলিক অবস্থান নিয়েছে। তারা পুরো শিক্ষাব্যবস্থাটাকেই জাতীয়করণ করতে চেয়েছে। এখানেও একই কথা বলতে হয়- পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে গেলে রাষ্ট্রের যে সামর্থ্য থাকা দরকার, সেটি কি আমাদের আছে। অনেক উন্নত দেশও বোধহয় এ সময়ে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়কারণ করতে সাহস পাবে না। দলটি একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের কথা বলতে পারতো, কিন্তু সেটি না বলাতে এ বিষয়ে তাদের রাজনৈতিক অবস্থানই পরিষ্কার হয়েছে, কর্মকৌশল পরিষ্কার হয় নি।
ইশতেহারে দলগুলো নীতিনির্ধারণী অনেক বিষয়ে দলীয় অবস্থান নিলেও জোটগতভাবে নির্বাচনের পর একাধিক দলের ইশতেহারের মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করা হবে তা বোধগম্য নয়। একই জোটভুক্ত একাধিক দলের ইশতেহারের বক্তব্যে বিরোধ রয়েছে। আর সমন্বয় করা হলে কাউকে না কাউকে ইশতেহারের বক্তব্য থেকে সরে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের বর্তমান এই বক্তব্যের বিরুদ্ধেই কি যুক্তি দিতে হবে না? অন্যদিকে দেশের সামাজিক ও অর্থনেতিক অবস্থার সাথে ইশতেহারের বক্তব্য কতোটুকু সাযুজ্যপূর্ণ এবং দলগুলো আন্তরিকভাবে চাইলেও সেগুলো বাস্তবায়ন করতে সমর্থ কিনা, সে সম্পর্কে দ্বিধা থেকেই যায়। ইশতেহারের শিক্ষাসম্পর্কিত বক্তব্যের অধিকাংশই অবকাঠামোগত দিকের সাথে সম্পর্কিত; যদিও ইশতেহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলিলে নীতি এবং প্রায়োগিক কৌশলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোরই স্থান পাওয়া উচিত। কারণ নীতিনির্ধারণী বিষয়ই নির্ধারণ করে দেশের শিক্ষা কীরূপ হওয়া উচিত। ইশতেহার রচনার সাথে যারা সম্পৃক্ত, তারা হয়তো অবকাঠামো দিক সম্পর্কে ভালো জানেন বা জনগণই হয়তো নীতিনির্ধারণী বক্তব্য শোনার চাইতে দৃশ্যমান উন্নয়নের আশাবাদ শুনতে চান। দুটোর একটিও সঠিক হলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক। দৃশ্যমান বক্তব্যে এক ধরনের চাতুর্যতা লুকিয়ে থাকে যেখানে রুটিন কাজ করেও বলা যায় যে ক্ষমতাসীন দল বা জোট শিক্ষাক্ষেত্রে বিপুল কাজ করেছে। নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো সহজে কোনো সূচক দিয়ে প্রকাশ করা যায় না বলে (এবং সেহেতু ভোটের রাজনীতিতে সরাসরি কোনো কাজে আসে না বলে) রাজনৈতিক দলগুলো হয়তো ইশতেহার বা নির্বাচনী প্রচারে সেগুলো নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী হয় না। ইশতেহার রচনায় শিক্ষাবিদের সংশ্লিষ্টতা থাকার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এটিও একটি কারণ হতে পারে।
শিক্ষা নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করার বাকি আছে। আমরা এখন পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ কার্যকর শিক্ষানীতিই পাইনি। পাইনি পরিকল্পিত জনসম্পদ তৈরিতে শিক্ষাকে কীভাবে সাজানো হবে, সে সম্পর্কিত কোনো রূপরেখা। শিক্ষায় বর্তমান বিনিয়োগ পরিকল্পিত কিনা এবং এর থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রতিদান রাষ্ট্র পাচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কিত কথাও দলগুলোর আলোচনা-ইশতেহারে আসছে না। সবচেয়ে বড় কথা, আগামী দিনে শিক্ষাকে আমরা কোথায় দেখতে চাই, সেরকম দূরবর্তী কোনো লক্ষ্য বা স্বপ্নও দেখাচ্ছে না এই ইশতেহারগুলো। সেখানে রূপকল্প বা ‘ভিশন’ শব্দটি থাকলেও একপ্রকার ‘ভিশনবিহীন’ শিক্ষার প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আমরা।
মন্তব্য
রাজনীতির মানে এখনো শুধুই ক্ষমতায় যাওয়া। এটা যতদিন না মানুষের জন্য মিশনারীতে পরিনত হবে-ততদিন মনে হয় না এ বিষয়ে কেউ কিছু ভাববে...
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
তাহলে ইশতেহার শুধুই ছেলেভুলানো (মানুষভুলানো) একটি ওষুধ?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তা নয় তো কি? এটা হলো -আমারো একখানা আছে।মুজতবা আলীর সেই বিখ্যাত উক্তির মতো।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
তাহলে আর কী! ঘরে গিয়ে লেপমুড়ি দিয়া ঘুমাই। আমার কিন্তু লেপ একটা আছে!
আর যাওয়ার আগে আপনার কাছ থেকে এক কাপ চা খেয়ে যাবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এক কথায় দারুন লাগলো লেখাটা পড়ে।প্রথমবার ভোটার হিসেবে আমার ভোটের গরুত্ব (কিছুই নেই) বুঝতে পারলাম।কতগুলো হনুমান আবার ক্ষমতায় আসবে যাকেই ভোট দেইনা কেন।তবে এবার না ভোট আছে,যদিও এটা কাজের কিনা বুঝতে পারছিনা। তারপরও এবার ঘর থেকে বের হব ভোট দিতে।আমরা যারা অনেক বুঝি প্রমান করতে তারের জগতে ঝড় তুলে ফেলি তারা মানুষের সামনে না আসলে সেই ঝড়ের কোন মূল্য থাকবেনা।তখন নিজের কাছে নিজেকে ছোট করা হবে...
( জয়িতা )
ধন্যবাদ, জায়িতা। তারপরও রাজনীতিকদের ওপরই আশা রাখতে হয়। কারণ দেশ চালানোর মতো দূরূহ গুরুভার কাজটা যে তাদেরই। আমাদের দুর্ভাগ্য এটুকুই- যে কমিটমেন্ট আমরা তাদের কাছে চেয়েছিলাম, তারা আমাদের সেটি দিতে পারেন নি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তাড়াতাড়ি আসেন।চা জুড়ায়ে গেলো।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ওকে, আজিজ মার্কেটে গিয়ে জানাবো। কিন্তু শিক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে আমি হতাশ, হতাশ, হতাশ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হুম, এতোটা গভীরে চিন্তা করি নাই। আসলেই তো! দলগুলা শিক্ষা প্রসংগে অর্ধশিক্ষিত মানুষের মত কল্পনা কইরা আমজনতারে আশাবাদ দেখাইছে। কিন্তু কাজের কাজ তো কিছুই হয় না।
আমার আবার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা হয়তো এভাবেই রাজনীতিকদের কাছ থেকে শুনতে চাই- কয়টা ব্রিজ দিবে, কয়টা স্কুল দিবে ইত্যাদি এবং এভাবে শুনে খুশি হই। দল যদি বলে প্রতি উপজেলায় একটা করে স্কুল দিবো, তাহলে আমরা যতোটা খুশি হবো, তার চেয়ে যদি বলে আমরা মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করবো- মানুষ কি তার চেয়ে বেশি খুশি হবে? আমার সেটা মনে হয় না। রাজনীতিকদের পাশাপাশি এগুলো নিয়ে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এদের ডিজিটাল বাংলাদেশ, ভিশন বাংলাদেশ শিক্ষার বিস্তার যাবতীয় কিছুই উন্নয়নের নামে নতুন শোষণের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার মাত্র। সেকারণেই শিক্সার মানের প্রশ্নটি আদর্শের প্রশ্নটিতে এরা নিরুচ্চার।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
শিক্ষার মান নিয়ে কথা বললে রাজনীতিকদের অনেক সমস্যা হবে, সুতরাং সে পথে না যাওয়াই ভালো। তাছাড়া শিক্ষার মান জিনিসটা কী- সেটা সম্পর্কে আদৌ কোনো কথা বলা নেই আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায়।
আর চমক লাগানো আতশবাজিমার্কা প্রচুর শব্দ তো আছেই আমাদের রাজনৈতিক-অভিধানে। পাঁছ বছরে অন্তত একবার সেগুলো ব্যবহার না করলে যে শব্দেও মরিচা পড়বে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সাকা ছাড়া বাকি সবাই পরাজিত। অভিনন্দন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম দা,
লেখাটা পড়তে দেরি হয়ে গেলো।আরও আগেই পড়া উচিত ছিল।ইশতেহার এ শিক্ষা সম্পর্কে কি বলা আছে তা জানার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা, এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোথায় পাব বলতে পারবেন?আমি কোনো ইশতেহার এর বই কারো কাছে পাচ্ছি না।
জিশা,
শিক্ষা ও গবেষনা ইনস্টিটিউট
১৩তম ব্যাচ
আপনার আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো। আমি একটি ইমেইল অ্যাড্রেস দিলাম। তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার কথা বললেই হবে। তার কাছে সবগুলো ইশতেহার আছে।
ইমেইল: আসাদ:
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন