নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নতুন শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট তৈরি করার অঙ্গীকার করেছিলো। সে সময় অনেকেই বলেছিলেন, নতুন শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের দরকার নেই। সব সরকার এসেই নতুন শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট তৈরি করতে চায়, কিন্তু বাস্তবায়িত হয় না কোনোটিই। তাঁদের পরামর্শ ছিলো- পুরনো কমিশন রিপোর্টগুলোর আলোকে শিক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করা যেতে পারে। সরকার এই পরামর্শকে গ্রহণ করে ধন্যবাদার্হ হয়েছে।
সম্প্রতি সরকার ১৬ সদস্যের শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির কাজ হচ্ছে- ১৯৭২ সালের কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের আলোকে ২০০০ সালের শিক্ষানীতিটিকে সময়োপযোগী করে তোলা। জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই কমিটিতে আছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদিকা হালিম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জারিনা রহমান খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিতাইচন্দ্র সূত্রধর, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি কাজী ফারুক আহমদ, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সিরাজ উদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. আবু হাফিজ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান, নিহাদ কবির, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ আউয়াল সিদ্দিকী এবং নায়েমের মহাপরিচালক (প্রশাসন) শেখ একরামুল কবির।
কমিটিতে যারা আছেন, তাঁরা সবাই জ্ঞানীগুণী এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে যশস্বী সন্দেহ নেই। বিশেষ করে শিক্ষা নিয়ে তাঁদের নানামুখী কর্মকাণ্ড রয়েছে। শিক্ষা নিয়ে সংকটের মুখে তাঁরা সবাই তৎপর হন, শিক্ষার প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠার ফলে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অনেকটাই প্রাণসঞ্চার হয়েছে।
কিন্তু শিক্ষা নিয়ে নানাবিধ কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষানীতি পর্যালোচনা ও প্রণয়ণের মধ্যে একটি মারাত্মক ও বিশাল পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষা কমিশন মূলত কাজ করবে নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো নিয়ে। সেগুলোর সরাসরি বাস্তবায়ন নিয়ে নয়, যদিও সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে- তারও নির্দেশনা থাকবে শিক্ষা কমিশন রিপোর্টেই। সেই প্রথম থেকেই যেটা হয়ে আসছে- শিক্ষা নিয়ে যারা বিভিন্ন সভাসেমিনারে সচকিত, উচ্চকণ্ঠ, জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত এবং তারকা ব্যক্তিত্ব, সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশনগুলোতে তাঁরাই প্রাধান্য পান। এটা দোষের কিছু নয়, বরং এতে বাড়তি ফ্লেভার যুক্ত হয়; কিন্তু শিক্ষা ও শিক্ষাতত্ত্ব নিয়ে তাঁদের জানাশোনার পরিধিটা কতোটুকু? শিক্ষা ও শিক্ষাতত্ত্ব নিয়ে যারা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন, শিক্ষাকে কীভাবে প্রয়োগ করলে তা ফলপ্রসূ হবে- এই বিষয়গুলো নিয়ে যারা কাজ করছেন, তাঁরা এ ধরনের নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রগুলোতে উপেক্ষিত হচ্ছেন প্রায়ই। ফলে প্রতিবারই শিক্ষাতত্ত্বকে অগ্রাহ্য করে যে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের আঙ্গিকগত ও তাত্ত্বিক বৈসাদৃশ্য থেকে যাচ্ছে। বদলে নেওয়া হচ্ছে এমন কিছু জনপ্রিয় এবং ‘গুড আউটলুকিং’ সিদ্ধান্ত যেগুলো সাধারণ দৃষ্টিতে ক্ষতিকর বা অপ্রয়োজনীয় না হলেও সত্যিকার অর্থে সেগুলো অপ্রয়োজনীয়, অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষতিকর।
এই ১৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে কয়েকজন এসেছেন ‘শিক্ষকনেতা’ যোগ্যতায়। কয়েকজন শিক্ষাসম্পর্কিত প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব, উপাচার্য হওয়ার সুবাদেও এসেছেন কয়েকজন। এছাড়া কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাধান্য লক্ষণীয়। প্রশ্ন হলো, শিক্ষা সম্পর্কে তাঁরা কি এমন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ যে দেশের একটি শিক্ষানীতি প্রণয়নে তাঁদের ভূমিকাটাই হবে প্রধান? শ্রেণীকক্ষে পড়ানো, শিক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া, শিক্ষার পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করা, শিক্ষা প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করা, বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ চালানোর সাথে একটি দেশের সার্বিক শিক্ষা কীভাবে চলবে- সেটি ভেবেচিন্তে বের করার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, এই বোধটুকু কেন কোনো সরকারের হয় না? যদিও বলা হয়েছে- এই সদস্যবৃন্দ যে কোনো সময় যে কোনো ব্যক্তিকে সেখানে কো-অপ্ট করতে পারবেন, কিন্তু মূল কমিটিতে যাদের রাখা আছেন, তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই বুঝা যায়- কাদের কাদের কো-অপ্ট করা হতে পারে।
সামাজিক বিজ্ঞানের শাখা হিসেবে শিক্ষাবিজ্ঞানের বেশ কিছু ধারা আছে, পদ্ধতি আছে। সেগুলো সম্পর্কে তাঁরাই ওয়াকিফহাল যারা এগুলো নিয়ে কাজ করেন। এই পদ্ধতিগুলোতে এমন কিছু উপাদান ও প্রক্রিয়া আছে, যেগুলো শিক্ষাবিজ্ঞান সম্পর্কে যারা না পড়েছেন, তাঁদের পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন জনপ্রিয় কথা অনেকেই বলতে পারেন, কিন্তু কীভাবে সেটি ‘সারা দেশে’ প্রয়োগ করা যায়, বা আদৌ প্রয়োগ করা উচিত কিনা, সে সম্পর্কে একজন শিক্ষাবিজ্ঞানীই বলতে পারবেন সবচেয়ে ভালো। ‘দেশে মানসম্মত শিক্ষা হচ্ছে না, মানসম্মত শিক্ষা প্রয়োগ করা উচিত’ এই কথাটি খুব সহজে যে কেউ বলতে পারেন, কিন্তু মানসম্মত শিক্ষা যে হচ্ছে না সেটি নির্ধারণ করার ক্রাইটেরিয়া বা পরিমাপক বা সূচক কী এবং ঠিক কোথায় কোথায় পরিবর্তন আনলে মানসম্মত শিক্ষা ত্বরান্বিত হতে পারে, সেটি শিক্ষাবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্ক আছে যার, কেবল তিনিই ভালো বলতে পারবেন। পদার্থবিদ্যার গতিপ্রকৃতি কেমন হওয়া উচিত, সেটি একজন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকের চেয়ে খোদ পদার্থবিজ্ঞানী ভালো বলতে পারবেন। তা না হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষনা অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় একটি সরকারি গার্লস কলেজ, একটি সরকারি বয়েজ কলেজ ও একটি সরকারি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা, কিন্তু প্রথম দুটি বাস্তবায়িত হলেও তৃতীয়টি বাস্তবায়িত হয় নি। দেশের বর্তমান বাস্তবতার আলোকে প্রতিটি জেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক; (শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট, সভাপতি: মনিরুজ্জামান মিঞা, পৃ. ২৭৬)-এর মতো বিভিন্ন সুপারিশ আসতেই থাকবে কমিশন রিপোর্টগুলোতে।
এ প্রসঙ্গে সমীর রঞ্জন নাথের লেখা শিক্ষা: আশা, বাস্তবতা, নবআশা বইটি থেকে কয়েকটি লাইন তুলে দেওয়া যেতে পারে- ...শিক্ষানীতি প্রণয়নে যোগ্যতাসম্পন্ন লোকজন কারা? শিক্ষা কি এমনই এক বিষয় যে, যো কোনো মানুষই এ সম্পর্কে কথা বলতে ও নীতি প্রণয়নে যোগ্য? যো কোনো কাজই ঐ কাজে নিবেদিত ও দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের হাতে ন্যস্ত করা উচিত। আমাদের শিক্ষানীতি প্রণয়নে কমিটি/কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সবসময় তা রক্ষিত হয় নি বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে যাদের নেতৃত্বে শিক্ষা কমিটি/কমিশন গঠিত হয়েছিলো তাদের মধ্যে একমাত্র আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন ছাড়া আর কারোরই শিক্ষা বিষয়ে পড়ালেখা বা ডিগ্রি নেই (এখানে আমার দ্বিমত রয়েছে। আরো অনেকেরই শিক্ষাবিষয়ক ডিগ্রি তো রয়েছেই, শিক্ষাবিজ্ঞানে পণ্ডিত ব্যক্তিও ছিলেন বেশ কয়েকজন, তাঁরা বিভিন্ন কমিশন বা কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন - গৌতম)। শিক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও লেখালেখির মাধ্যমেও তিনি এ বিষয়ে তাঁর আগ্রহ, জানাশোনা ও চিন্তা-চেতনার সাক্ষর রেখেছেন। আরেকটি কথা, শিক্ষক ও শিক্ষাবিদ কথাদুটো আমরা প্রায়ই এক করে দেখি। একটা পার্থক্যরেখা থাকা দরকার। সকল শিক্ষকই শিক্ষাবিদ নন। আমাদের শিক্ষানীতি প্রণয়নে নেতৃত্ব দ ইয়েছেন রাজনৈতিক নেতা, বিচারপতি, বিজ্ঞানী, সামরিক বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যগণ। শিক্ষাসংক্রান্ত সামগ্রিক বিষয়ে এদের কোনো চিন্তাভাবনা আছে কিনা, শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য নিয়োগলাভের আগে কারোরই তা জানা ছিলো না। মূল কমিটি/কমিশনে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের দলে দলে উপস্থিতি এক বৈসাদৃশ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, হালে ঢুকছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণও। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা যেমন প্রাথমিক স্তরের মানসম্মত শিশুতোষ পাঠ্যবই রচনা করা সম্ভব নয়, উপাচার্যদের দ্বারাও তেমনই সার্বিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন সম্ভব নয়।
সকল শিক্ষক শিক্ষাবিদ নন, কিন্তু অনেক শিক্ষকই আছেন যারা একাধারে শিক্ষাবিদও। শিক্ষানীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তাঁদেরই প্রাধান্য থাকা উচিত। সেরকম দুতিন জন আছেনও এই কমিটিতে। শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাঁদেরই প্রাধান্য থাকা উচিত। সারা দেশে এমন শিক্ষক ও শিক্ষাবিদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা শিক্ষাবিজ্ঞানের সাথে সরাসরি জড়িত, তাঁদের সম্পৃক্ততা ছাড়া এ ধরনের শিক্ষানীতি বিষয়ক কমিটি পূর্ণতা পেতে পারে না।
অবাক ব্যাপার, দেশের শিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে যারা সবচেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো জানেন অর্থাৎ শিক্ষা গবেষকরা, তাঁরা প্রায় সব শিক্ষা কমিশনেই উপেক্ষতি থাকেন। এবারও তার ব্যাতিক্রম নয়। ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ মূলত অর্থনীতিবিদ, শিক্ষা নিয়ে তাঁর দু’একটি কাজ আছে, কিন্তু সেটিও শিক্ষায় অর্থায়ন বা এ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে। একটি শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট শিক্ষা গবেষকের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছাড়া তৈরি হতে পারে, এটা কেবল আমাদের দেশেই সম্ভব। হ্যাঁ, কথাটি জোর দিয়েই বলছি- কারণ শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের আদলে বা এরকম নীতিনির্ধারণী বিষয়ে যে কোনো রিপোর্ট প্রণয়নে উন্নত দেশগুলোতে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রতিবারই সরকার এই জায়গাটা বুঝতে ব্যর্থ হয়। এবারও হলো। শিক্ষকের কাজ আলাদা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাজ আলাদা, সচিবের কাজ আলাদা, শিক্ষকনেতার কাজ আলাদা, আলাদা শিক্ষা প্রশাসকের কাজও। একমাত্র শিক্ষাবিজ্ঞানীই পারেন সবার কাজকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে যথাযথ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে একসাথে ও যথাযথভাবে মিশাতে। কিন্তু এই শিক্ষাবিজ্ঞানীরাই উপেক্ষিত হন সবসময়। দেশের শিক্ষার যতোগুলো দুর্ভোগ আছে, এটি তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সেন্স, অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে সবসময় কাজ হয় না, এগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জ্ঞানটা মেশানো খুবই জরুরি।
মন্তব্য
এইসব যেদিন বুঝবে সেদিনই "পরিবর্তণ" টা আসবে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সমস্যা হলো, যারা এই বিষয়গুলো ভালো বুঝেন, তারা জনপ্রিয় ধারার কেউ না। ফলে তাদের কণ্ঠ যথাযথভাবে প্রকাশিত হয় না। জনপ্রিয়তা যদি জ্ঞানের মাপকাঠি হয়, তাহলে সর্বনাশের আর বাকি থাকে না। এর বাইরে ক্ষমতার চর্চা, দলীয়করণ ইত্যাদি যুক্ত হলে তো মহাসর্বনাশ। পাকিস্তান আমলে এই বৃত্তে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকে এখনও সেই একই সিস্টেমে শিক্ষা কমিশন গঠিত হচ্ছে।
একটু চিন্তা করে দেখুন তো, অর্থনীতি বিষয়ক কমিশন হলে সেখানে অর্থনীতিবিদদের বাইরে আর কারো ডাক পড়তে কিনা?
ঠিকই বলেছেন, এইসব যেদিন বুঝবে সেদিনই পরিবর্তনটা আসবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যেহেতু এই নতুন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব হবে শিক্ষাদানের বিভিন্ন ধারার মধ্যে সমন্বয় সাধন, এমন কিছু লোক প্রয়োজন ছিল যাঁরা শুধু একটি রাজনৈতিক দল বা মতাদর্শের প্রতি অনুগত নন, যাঁদের চিন্তা-ভাবনা যুক্তিভিত্তিক, সুদূরপ্রসারী এবং বিভিন্ন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকেবহাল।
তালিকা দেখে আমার মনে হয়েছে নাহিদ সাহেব নেত্রীর কাছে তাঁর বা মিডিয়ার পরিচিত ব্যাক্তিদের তালিকা দিয়ে দায় সেরেছেন। এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা প্রো-উপাচার্য হিসেবে তিনি যাঁদের যোগদান নিশ্চিত করেছেন, সেখানেও ব্যক্তিগত আনুগত্যই প্রাধান্য পেয়েছে। দুজন উপাচার্য জীবনে প্রথম শ্রেনী পান নি। দুজন মনোনীত ব্যক্তি দুর্নীতির জন্য কুখ্যাত।
এই ষোল জনের মধ্যে সব চেয়ে কৃতী যে জাফর ইকবাল, তিনিও দুর্নীতির জন্য কলঙ্কিত। বিভাগে নিজের চেয়ারম্যান পদটি ধরে রাখতে নতুন পদের বিজ্ঞাপন দেন না, অথচ সপ্তাহে তিন দিনই বইয়ের ব্যবসায়ে ঢাকায় কাটান। শিক্ষাদানকে তিনি কখনো সিরিয়াসলি নেন নি। সাদেকা হালিম সম্পর্কে সর্বশ্রুত খারাপ কথা এখানে বললাম না। খলিকুজ্জামান কখনোই শিক্ষার ব্যাপক প্রক্রিয়ার সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে জড়িত ছিলেন না। কাজী শহীদুল্লাহ ভালো ডীন ছিলেন, কিন্তু তাঁর কোন শিক্ষা দর্শন নেই। জেরিনা রহমানের বিশ্লেষণ শক্তি দুর্বল।
এঁরা কেউই হয়তো ঠিক অযোগ্য নন, তবে শ্রেয় কমিটি গঠন নাগালের মধ্যে ছিল।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ, মানিক ভাই। নিশ্চয়ই বুইড়া আঙ্গুলের চেয়ে আলোচনা উত্তম
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আলাচনার সুযোগ তো রাখেন নি , প্রায় সব কথাই মুল ব্লগ আর মন্তব্যে বলে দিয়েছেন । আমার একমাত্র 'সহমত' প্রকাশ করা ছাড়া আর কি বা করার আছে । তাই বুইড়া আঙ্গুল ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনাকে একটা পরামর্শ দিই মানিক ভাই। আপনার বুইড়া আঙ্গুলটা বীমা করিয়ে রাখেন। ওইটার ওপর আমার নজর পড়েছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
একমত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং এর ছাত্র ছিলাম। আমাদের ক্লাসে কিছু ছাত্রছাত্রী ছিল ওনার অন্ধ ভক্ত। আমি সে দলে পড়তাম না। কিন্তু উপরের অভিযোগগুলো আমি পুরোপুরি বুঝতে পারিনি।
১. বিভাগে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবার বিজ্ঞাপন আমরা ভর্তি হবার সময় একবার আরেকবার আমরা ৩য় বর্ষে থাকাকালে দেয়া হয়েছিল। কোনবারই কেউ আবেদন করেননি। আর নিয়োগ দেবার বা চাকরীর বিজ্ঞাপন দেবার ক্ষমতা ওনার নেই। প্রথমে পদের অনুমোদন দেয় ইউজিসি পরে বিজ্ঞাপন দেয় রেজিস্ট্রার। উনাকে প্রতিবছর দেখতাম বিজ্ঞাপন দেবার জন্য প্রশাসনের সাথে যুদ্ধ করতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপি সবার সাথে ওনার সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় আমরা শিক্ষক পেতাম না। আমাদের সবসময়ই শিক্ষক সংকট থাকত। আমাদের সময় কয়েক সেমিস্টার ওনাকে ৪০ ঘন্টা ক্লাস নিতে হয়েছে প্রতি সপ্তাহে। এই সেমিম্টারেও ওনার ক্লাস লোড ৩০ ঘন্টার উপরে। আমার সহপাঠী আনিকা, যে ওখানে জয়েন করেছে, তার লোড এখন সপ্তাহে ৪২ ঘন্টা ক্লাস। এই প্রেসারের কারণে এবার ভর্তির আগে স্যার প্রশাসন কে বলেছে নতুন টিচার না দিলে ঠিকমত ক্লাস নেয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে স্যার ১২০ এর ব্যাচ না করে ৫০ জন এর ব্যাচ করবেন। প্রশাসন অনেক আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু স্যার বলেছিল পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দেখা পর্যন্ত উনি ১২০জন ভর্তি করাবেন না। শেষপর্যন্ত প্রশাসন নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেয়নি, স্যার ও এই বছর ৫০ জন নিয়েছেন। আমার মনে হয় না নতুন চেয়ারম্যানের ব্যাপারে স্যার কোন ঝামেলা করছে। তবুও আরেকটু বিস্তারিত খবর নিব। স্যারকে ও জিজ্ঞাসা করব।
২.. স্যার প্রতি শুক্র ও শনিবার ঢাকায় থাকে। তিনদিন না। আমাদের টোটাল উনি ৪টা কোর্স নিয়েছিল।১ম বর্ষে উনি ২৬টা ক্লাসের সবগুলো নিয়েছিল। ২য় বর্ষে কোর্সটিতে ছিল ৩৯টি ক্লাস। একটাও বাদ দেননি। ৪র্থ বর্ষে ৫২ ক্লাস। একটা ক্লাস মিস হয়েছিল শুধু তাও মেকআপ করে দিয়েছিল। ক্লাসে কোনওদিন দেরি করে আসেননি। আরেকটা ব্যাপার ক্লাসে প্রিপারেশন নিয়ে আসতেন। উনি ছিলেন বলেই আমরা ৫ বছরে বের হতে পেরেছি। আমাদের ব্যাচের অন্য কোন ডিপার্টমেন্ট আমরা বের হবার ৬ মাসের মধ্যে বের হতে পারেনি। উনি ক্লাস এবং ডিপার্টমেন্টাল এডমিনিস্ট্রেশন ২ ব্যাপারেই খুব সিরিয়াস ছিলেন।
৩. এত ব্যস্ততার মধ্যেও উনি নিজের রিসার্চ ঠিকই করতেন। স্যারের ৩টি ইউ. এস. পেটেন্টের শেষেরটি ২০০৭ সালে বাংলাদেশেই করেছেন। আমি যখন ম্যাথ অলিম্পিয়াডের জন্য পিচ্চিদের শুক্রবার ক্লাস নিতাম নন লিনিয়ার অপটিক্স ল্যাবে উনাকে দেখতাম খুটখাট করতে।
৪. ৫ বছরে এটা আমি নিশ্চিত, উনি শিক্ষাদানের ব্যাপারে ভীষণ সিরিয়াস।
৫. স্যারের সাথে আমাদের টক্কর লাগতো বেশি পরীক্ষা নিয়ে। ব্যাটা আমাদের শেষ ৪ সেমিস্টার কোন পি. এল. দেয় নাই। ছুটি গ্যাপ পরীক্ষা এই সব নিয়ে কথা বলতে গেলেই মনে হত মঙ্গল গ্রহ থেকে নেমে আসছে। এই সব কারণে ওনার উপর মেজাজ খারাপ থাকত। কিন্তু অনৈতিক কিছু দেখিনি।
শেহাবের সাথে একমত, যদিও আমি জাফর ইকবাল স্যারের সরাসরি ছাত্র ছিলাম না। তাঁর ডেডিকেশন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। কিসের ভিত্তিতে তাঁকে দুর্নীতি এবং শিক্ষাদানে সিরিয়য়াসনেসের অভাবের দায়ে অভিযুক্ত করা হল, আমি জানি না! কিন্তু ঢালাও ভাবে কাউকে অভিযুক্ত করার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।
অভিযোগগুলো তাঁর অন্য প্রাক্তন ছাত্র, অন্য বিভাগের শিক্ষক এবং বর্তমান কিছু সহকর্মী করেছেন।
(১) চেয়ারম্যানের পদ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞাপিত হয় না, তিন বছর পর পর সিনিয়রিটি অনুসারে দায়িত্ব আসে, তবে নিম্নতর পদের শিক্ষকগণ সুযোগ পান না। জাফর সাহেব উচ্চতর পদের বিজ্ঞাপন আঁটকে রেখেছিলেন বলে সবাই সহমত । এখন অবশ্য তিনি উপাচার্য পর্যায়ে চলে গেছেন, এটা বরং অনাবশ্যক ভার মনে হতে পারে।
একজন পূর্ণ প্রফেসরের ক্লাস লোড বছরে ৩০০ ঘন্টা। অনেকেই এর বেশি নেন, কেউ কেউ দ্বিগুণ। তা ছাড়া গবেষণার লোড আলাদা। হিসেব করুন।
(২) তিনি বৃহস্পতিবার সিলেট ত্যাগ করে সেই দিন-ই ঢাকায় পৌঁছান, এবং রোববারের আগে সিলেটে আর ক্লাস নেন না। যে-কোন চেয়ারম্যানকে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিভাগে থাকা বাধ্যতামূলক।
(৩) তাঁর পিয়ার রিভিউড আন্তর্জাতিক ইন্ডেসড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের তালিকা কোথাও পাবেন না। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের ১০০-১৫০টি এরকম প্রকাশনা আছে।
(৪) এটা আপেক্ষিক ধারণা। তবে নাসিরুদ্দিন হোজার গল্প মনে আসে - এটা যদি বিড়াল হয়, তাহলে গোস্ত কোথায়, আর যদি গোস্ত হয় তাহলে বিড়াল কোথায়?
(৫) পরীক্ষার আগে ছুটি চাইলে সব শিক্ষকই বিরক্ত হন। যাঁদের ঝামেলা শেষ করে বাইরে সটকে পড়ার প্রোগ্রাম থাকে, তারা হয়তো বেশী। এ সময়টা অনেকে অতিরিক্ত রিভিউ ক্লাস নিয়ে ছাত্রদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করেন।
নিঃসন্দেহে জাফর ইকবাল মিডিয়ায় পরিচিত বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম মেধাবী। তিনি তাঁর বিবেচনা অনুসারে সময় ভাগ করে নিয়েছেন, সব ব্যাপারেই কিছুটা সফল হয়েছেন। অন্য বন্টনে হয়তো অর্থবহ একটি ক্ষেত্রে শীর্ষে পৌঁছতে পারতেন। সময়াভাবই তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু। এই কমিটিতে সময়ের প্রয়োজন।
আপনার জবাবটা পড়ে ভালো লাগলো। আশ্বস্ত হলাম। নইলে ভরসা করার মতো শেষ আশ্রয়টুকুও হারিয়ে ফেলতাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার মতে, এরকম একটা কমিটিতে বিভিন্ন বিষয়ে এক্সপার্ট ও স্মার্ট লোকের সমাবেশ ও সমন্বয় প্রয়োজন। যেমন, দেশের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বা মূল উদ্দেশ্যগুলোর একটি হলো অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করা। সুতরাং দেশের অর্থনীতির প্রয়োজনেই শিক্ষানীতি ঠিক করতে হবে। একজন যুগোপযোগী অর্থনীতিবিদ সাজেস্ট করবেন দেশের অভ্যন্তরীণ ও ম্যানপাওয়ার এক্সপোর্ট খাত মিলিয়ে কোন কোন বিষয়ে দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি প্রয়োজন। এরকম কমিটিতে রাজনীতিবিদও থাকবেন। আমাদের মত দেশে রাজনীতি সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সুতরাং ছাত্রদেরকে রাজনৈতিক বিষয়ের ওপরে কতোটুকু শিক্ষা দিতে হবে, তা গুরুত্বপূর্ণ। এদের ইন্টারফেসিংটা গুরুত্বপূর্ণ, যেমন অর্থনীতির চাহিদাটা যেন যারা সেটাকে শিক্ষার পরিকল্পনায় ট্রান্সলেইট করবেন, তারা বুঝতে পারেন।
তবে কমিটিতে এরকম নানাপদের লোক থাকার পরেও শিক্ষক ও ছাত্রদের ফিডব্যাক, শুধু ভার্সিটি নয়, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকও, খুবই প্রয়োজন। পরিসংখ্যান মিথ্যা বলে, তবু পরিসংখ্যান ছাড়া প্ল্যানিং অর্থহীন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার সাথে দ্বিমতের অবকাশ খুবই কম। এখানে আসলে বিশেষজ্ঞদের কমিটি না করে অভিভাবক কমিটি করা হয়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জরুরি কাজ।
এই লেখাটাকে পত্রিকার মতো করে দেবেন? দ্রতুই চাই। নাকি এখান থেকে নিয়ে নেব?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
...কিন্তু দুটো দিন সময় লাগবে ফারুক ভাই। ব্লগে অনেক কথা লেখা যায়, যেগুলো দৈনিক পত্রিকায় লেখা যায় না। লিখলেও ছাপা হয় না। আপনি চাইলে মূল বিষয়টাকে ঠিক রেখে একটি লেখা রোববারে পাঠাতে পারি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি গৌতমকে বলতে চাচ্ছিলাম এই জরুরি লেখাটি দৈনিকে দেয়ার জন্য ।
আপনি সে ব্যবস্থা নেয়ায় ভাল লাগল ফারুক ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ মানিক ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ মানিক। আর গৌতম, আপনি তাহলে ঠিকঠাক করে দিয়ে দেন।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হুম, আশা রাখছি। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যথেষ্ট বিশ্লেষণযুক্ত এবং সময়োপযোগী লেখা। আমি কিছুটা নিজের বিশ্লেষণ দিবো।
এখানে দুইটি ভাগ আছে। একটি হলো সামগ্রিক শিক্ষা ব্যাবস্থা এবং আরেকটি হলো এর প্রয়োগিক দিক। সামগ্রিক শিক্ষাটি এমন যে আপনার শিক্ষার মুলনীতি কি হবে তা ঠিক করা। আপনি বাংলায় কতো জোর দিবেন আর ইংরেজীতে কতো। আপনি বিজ্ঞান কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। আপনি বিজ্ঞানে ক্রিয়েশনিজম পড়াবেন না বিবর্তণ পড়াবেন। আপনি সব ধর্ম পড়াবেন না শুধু একটি। এ ধরনের হাজারো প্রশ্নগুলোর জবাব পাওয়ার পর আসবে এর প্রয়োগিক দিক।
আমি মনে করি প্রাথমিক পর্যালোচনার ক্ষেত্রে সকল পেশাজীবির মতামত গুরুত্বপূর্ণ। যখন সেটা ফাইনাল হবে তখন তা প্রয়াগ করা হবে শিক্ষা গবেষকের কাজ ।
এই যুক্তিটি লেখার কন্টেক্সটে মনে হয়েছে বেমানান। একজন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক নিজে একজন পদার্থবিজ্ঞানী হবেন এবং ভালো বলেই তিনি শিক্ষক হবেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। প্রতিটা শিক্ষা কমিশনের কাজ থাকে- কাজ শুরুর পর বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিদের মন্তব্য বা পরামর্শ গ্রহণ করা। এটা কখনও করা হয়, কখনও করা হয় না। কিন্তু এর জন্য কমিটিতে সব পেশাজীবিদের থাকার দরকার হয় না। সেখানে থাকতে হয় এমন ব্যক্তিদের যারা সব মতামতকে ধারণ করে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে সেগুলোকে সংমিশ্রণ করতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারবেন। এই কমিটিতে সেরকম ব্যক্তির অভাব আছে বলে আমি মনে করি।
একটি আদর্শ শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলে পদার্থবিদ্যার সব শিক্ষকই পদার্থবিজ্ঞানী হতেন। দুর্ভাগ্যজনক, সেটি বোধহয় কোথাও নেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন