Warning: Creating default object from empty value in theme_img_assist_inline() (line 1488 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/img_assist/img_assist.module).

এসএসসির ফলাফল: কিছু আশঙ্কা ও প্রশ্নের পর শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৫/২০০৯ - ১১:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
ফলাফল যদি মেধাপ্রকাশের সূচক হয়, তাহলে কোন জাদুমন্ত্রে জানি না, যতো দিন যাচ্ছে বাংলাদেশে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা শনৈ শনৈ বাড়ছে। গত কয়েক বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকেই এই সত্য স্পষ্ট। এবার রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেখিয়েছে মাদ্রাসা বোর্ড।

একজন জিজ্ঞেস করেছিলো, যতোজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের সবাই জিপিএ ৫ পেলে তোমার সমস্যা কী? পেতেই তো পারে! সবাই মিলে ধুমসে পড়ালেখা করেছে, সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়েছে আর শিক্ষকরাও যথাযথ নম্বর দিয়েছেন। এমন কি কোনো কথা আছে যে, সবাই জিপিএ ৫ পেতে পারবে না? তোমার তাতে সমস্যা কী?

ভদ্রলোকের উষ্মার কারণ বুঝতে পারি। যুক্তি ধরে কথা বললে, ৪৫ হাজার কেন, জিপিএ ৫ পাওয়া সংখ্যাটা দ্বিগুণও হতে পারে। আর যারা জিপিএ ৫ পাচ্ছে, তারা নিঃসন্দেহে মেধাবী। আর ফলাফলকে ভিত্তি ধরে কথা বললে, এমনকি সাধারণ শিক্ষাধারার শিক্ষার্থীর চাইতে মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে বেশি মেধাবী। এ আর এমন কি! হতেই পারে!

২.
প্রথমে প্রশ্ন জাগে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে এমন কী পরিবর্তনের বাতাস বইয়ে গেলো যে, হাজার হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়ে যাচ্ছে? মানুষজন কি দিন দিন দ্রুত মেধাবী হয়ে যাচ্ছে? নাকি উন্নয়নের জোয়ার দেখাতে ধরে ধরে জিপিএ ৫ পাওয়ানো হচ্ছে?

তার পরেই আশা জাগে, যারা জিপিএ ৫ পেয়েছে, তারা সবাই যদি সত্যিই মেধাবী হয়ে থাকে এবং এই ফলাফলের উপযুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে দেশের সামনে এক দারুণ ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।

ঠিক তার পরেই আশঙ্কা জাগছে, যদি তাদের একটি বিরাট অংশ সত্যিই মেধাবী না হয়, সিস্টেমের ফাঁকফোকর কিংবা রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কারণে যদি তারা জিপিএ ৫-এর অংশীদারিত্ব হয়, তাহলে অদূর বাংলাদেশকে কি এক ছদ্মমেধাসঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে না?

আমি জানি না। কোন দিক থেকে কী হচ্ছে, সত্যিই জানি না। চারপাশে আশঙ্কার জগতে প্যান্ডোরার বাক্সে বসে কেবল আশার বুক ঢিবঢিব করছে।

৩.
এই প্যারার সাথে উপরের দু’প্যারার কোনোই সম্পর্ক নেই।

সারা বছর পড়ালেখা করে, পরীক্ষায় একটা ভালো রেজাল্ট করার যে আনন্দ, সেই আনন্দ যারা ভোগ করছে, তাদের সবাইকে অভিনন্দন। অনুরোধ ও আশা একটাই- তোমাদের পঞ্চইন্দ্রিয় থেকে বের হওয়া এই আনন্দ দেখতে চাই জীবনভর।

যারা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল করতে পারো নি, তাদেরকেও অভিনন্দন। কারণ আগামী দিনগুলোতে তোমরা যে ভালো করবেই, সেই বিশ্বাস ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি সবসময়ই তোমাদের মুখে খেলা করে। সাময়িক প্রতিকূলতা হয়তো আকাঙ্ক্ষার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে পারে না, কিন্তু আকাঙ্ক্ষাকে দমিয়েও রাখতে পারে না।

যারা একেবারেই ভালো ফলাফল করতে পারো নি, তাদেরকেও অভিনন্দন। জানি, এই আগামীবারেই তোমরা দেখিয়ে দিবে, রবার্ট ব্রুসরা কেবল বিদেশেই থাকেন না; এই অভাগা বাংলাদেশেও প্রচুর রবার্ট ব্রুস আছে যারা সমস্ত প্রতিকূলতাকে ডিঙ্গিয়ে জীবনের সাফল্য অনায়াসেই উপভোগ করে।


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সারা বছর পড়ালেখা করে, পরীক্ষায় একটা ভালো রেজাল্ট করার যে আনন্দ, সেই আনন্দ যারা ভোগ করছে, তাদের সবাইকে অভিনন্দন।

আমি অভিনন্দন দিতে পারছি না; বরং করুণা হচ্ছে। একটা বাজে সিস্টেমের যাঁতাকলে পড়ে কিছু কিশোরের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে, এটা অভিনন্দনের বিষয় না, কষ্টের বিষয়।

যারা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল করতে পারো নি, তাদেরকেও অভিনন্দন। কারণ আগামী দিনগুলোতে তোমরা যে ভালো করবেই, সেই বিশ্বাস ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি সবসময়ই তোমাদের মুখে খেলা করে।

ইনফ্যাক্ট, যারা ৫ পায় নাই, তারা রেস থেকে অলরেডি বাদ। আগামী দিনগুলোতে তাদের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। খামাখা আশা দেখাইয়া লাভ নাই। ভালো কোনো কলেজে ভর্তির জন্য আবেদনই করতে পারবে না। বিপুল সংখ্যক ৫ পাওয়ায়, যারা একটু কম পেয়েছে তারা বেসিক্যালি ছাগোলের তিন নম্বর বাচ্চার মত আচরণ পাবে ভালো কলেজ থেকে। এই জিপিএর ক্যান্সার সিস্টেমের আগে বাংলায় ৩৩ পেয়ে, সমাজবিজ্ঞানে কোনোমতে পাস করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের সংখ্যা কম না। কিন্তু এখন সেটা কোনোমতেই সম্ভব নয়।

প্রথম ২ অংশ ভালো লিখেছেন। আরেকটু যোগ করা যায়। আমার ধারণা, জিপিএ ৫ এর ক্যান্সার মূলত প্রাইভেট ইউনি ব্যবসায় থেকে এসেছে। একটা ছাত্র ৫ কেন ৪ পেলেও তার মধ্যে যে উচ্চাশা জন্মায়, সেই উচ্চাশার সুযোগ নেবে প্রাইভেট ইউনিগুলো। ক লিখতে কলম তিনবার ভাঙ্গলেও ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, মেয়ে ডাক্তার, ভাগ্নে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর - সার্টিফিকেট বলে কথা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম সত্যি কথা বলছেন। আমি জ়িপিএ ব্যবস্থার ৩য় ব্যাচ। কপাল তাই ভালই বলতে হবে!
-------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

গৌতম এর ছবি

যদিও একটা কষ্ট ও ক্ষোভ থেকে লেখাটি তৈরি করা, কিন্তু শেষ দিকে এসে মনে হলো- এই যে এতো কষ্ট করে ওরা লেখাপড়া করেছে, তাদেরকে প্রাপ্য অভিনন্দনটা না দিলে তাদের প্রতি অন্যায়ই করা হবে। এমনিতেই তারা নানা ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষার শিকার। প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীদের এমনতর সব পরীক্ষার শিকার হতে হচ্ছে যেগুলো তাদের মানসিক বিকাশের পক্ষে না গিয়ে অন্তরায় হয়ে দাড়াচ্ছে। সেখানে দু'একটা উৎসাহমূলক কথাবার্তা তাদের না বলাটা ঠিক হবে না।

আমি কেবল উদ্বিগ্ন আমাদের সিস্টেম নিয়ে। এই সিস্টেম শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোন বিরুদ্ধ স্রোতে নিয়ে ফেলে, সেটা ভেবেই উদ্বিগ্ন, প্রবলভাবে উদ্বিগ্ন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তীরন্দাজ এর ছবি

পরের পর্যায়গুলোতে ভর্তি হতে যে নাভিশ্বাস হয়, তা ভাবলে করুনাই হয় সবার প্রতি। শিক্ষাব্যাবস্থা অন্যান্য খাতের মতো ধীরে ধীরেই ব্যাবসার মাধ্যম হয়ে উঠছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

গৌতম এর ছবি

শিক্ষা এখন পুরোপুরি ব্যবসা- এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রচলিত অর্থে যে অর্থে বিনিয়োগের ধারণাটি ব্যাখ্যা করা হয়, শিক্ষাতেও বিনিয়োগকে সেভাবেই দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষায় মানবিক দিকগুলোর বদলে আর্থিক দিকগুলো প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি। এ সময়ের ছেলেমেয়েরা এর শিকার হচ্ছে প্রত্যক্ষভাবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সালাহউদদীন তপু এর ছবি

আমি গ্রেডিং সিস্টেম নিয়ে সত্যিকার অর্থে এখনো পরিষ্কার নই। কথাটার অর্থ এই নয় যে কত নম্বর পেলে কোন গ্রেড সেটা আমি বুঝিনা, বরং আমি সন্দিহান এই পদ্ধতিটির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে।

৮০- ১০০ নম্বরের মধ্যে যত নম্বরই পাবে তাকে এ+ দেয়া হবে। আমার প্রশ্ন ৮১ এবং ৯০ পাওয়া ছাত্র কি সমান যোগ্যতা সম্পন্ন? যদি তাই হয় তাহলে নম্বরে পার্থক্য হওয়ার দরকার কি ছিল?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনো পর্যন্ত (৫৫-৫৯)% নম্বর পাওয়া খুব সহজ একটি ব্যাপার, অথচ ৬০% পাওয়া সাধনা ব্যতিত সম্ভব নয়।এর কারণ হলো কাউকে ভাল বলে স্বীকৃতি দেয়ার পূর্বে তাকে অনেক বেশি যাচাই করা। অর্থাৎ ৫৯ দিলে সে দ্বিতীয় বিভাগ পাবে কিন্তু ৬০ দিলেই সে প্রথম শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে। তাই তাকে ওই একটি নম্বর দেয়ার আগে অধিক পরিমাণ বিবেচনা করা হয় আদৌ সেই নম্বরটি তাকে দেয়া উচিত কিনা। উচ্চতর পর্যায়ে এমন বিবেচনা আবশ্যক।

কিন্তু এখন এসব বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি যদি জিজ্ঞাসা করা হয় দেশের সবচেয়ে ভাল ছাত্র কে? তা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, কারণ গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা সহস্রাধিক যারা সমান মর্যাদার অধিকারী। এটি কেমন করে যথাযথ মূল্যায়ন ব্যবস্থা হয় আমি বুঝতে পারি না।

গৌতম এর ছবি

দেশের সবচেয়ে ভালো ছাত্র কে- এটা নির্ধারণ করার বোধহয় দরকার নেই। এই নির্ধারণ করাটাও শিক্ষাবিজ্ঞানের দিক থেকে সমর্থনযোগ্য নয়। সবচেয়ে ভালো ছাত্রের সংজ্ঞাটা যদি হয় শুধু স্কিলের দিক দিয়ে, তাহলে সেটা খুব সহজেই নির্ধারণ করা যায়; কিন্তু শিক্ষার্থীর মধ্যকার যেসব গুণাবলী থাকা দরকার সেগুলো নির্ধারণ সাপেক্ষে কোনো একক শিক্ষার্থীকে কখনোই সেরা বলা যাবে না।

তবে দেশের মূল্যায়ন ব্যবস্থা যে যথাযথ নয়, সে ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"আর যারা জিপিএ ৫ পাচ্ছে, তারা নিঃসন্দেহে মেধাবী।"
কথাটি যে মোটেও সত্যি না, এটা আবার ১০০% সত্যি।
বাজে অবস্থা। কি দুর্বল দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীরা যে জিপিএ ৫ পেয়ে কলার ঝাঁকিয়ে বেড়ায়.... মন খারাপ
মেধার আসল মূল্যায়ন হওয়াটা, নিজের যোগ্যতা বুঝতে পারাটা খুব জরুরি। খুব জরুরি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রিয়াজ এর ছবি

জিপিএ ৫ পাওয়া যত সহজ হবে ভাল ছাত্র-ছাত্রিদের চেষ্টার মাত্রাও তত কমতে থাকবে। বেশি বেশি চেষ্টার যায়গাটিত আর দেখা যাচ্ছে না। খুবই চিন্তার কথা।

দেশের ছাত্রছাত্রিদের যেন একটি নিম্নবিন্দুর গড়ের দিকে ঠেলে নামান হচ্ছে। এটা রাজনিতিবিদদের জন্য ভাল। জনগন চুপ করে থাকতে শিখবে।

হিরক রাজার দেশ'এর যন্তর মন্তর ঘরের কথা মনে পড়ছে। এটা আধুনিক গনতান্ত্রিক যুগের যন্তর মন্তর ঘর। এখানে ঢুকালে যাকে বলতে বা ভাবতে শেখান হবে সে তাই বলবে বা ভাববে। উদয় পন্ডিতের মত কেউ আর প্রতিবাদ করে বসবে না।

আসলে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন কেবল ভাল ভাল ব্যবস্থা ভেবে বের করার ওপর নির্ভর করে না। নিতিনির্ধারকদেরকে বাধ্য করতে হবে এই বিষয়গুলোকে আমলে আনতে।

জিপিএ ব্যবস্থা এমনিতে খারাপ নয়; কিন্তু এর সাফল্যের সাথে খুটিনাটি অনেক ব্যপার জড়িয়ে আছে। ব্যপারটিকে এভাবে না দেখে যদি জিপিএ ব্যবস্থা উঠিয়ে দেবার প্রস্তাব করে কেউ তা খুব কজের কাজ হবে মনে করি না।

গৌতম এর ছবি

আপনার বক্তব্যটা খুবই ভালো লাগলো। আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

গৌতম এর ছবি

মেধার আসল মূল্যায়ন হওয়াটা, নিজের যোগ্যতা বুঝতে পারাটা খুব জরুরি। খুব জরুরি।

নম্বর সিস্টেম থেকে যখন জিপিএ সিস্টেমে আসলো, তখনই আসলে উচিত ছিলো মূল্যায়ন পদ্ধতিটাকে বদলানোর। নম্বর সিস্টেমে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, জিপিএ সিস্টেমে মূল্যায়ন করা উচিত আলাদাভাবে। কিন্তু আমাদের নীতিনির্ধারকরা শুধু পরীক্ষা পদ্ধতিটার কিছু পরিবর্তন আনলেন, মার্কিং-এ পরিবর্তন আনলেন; কিন্তু যারা মার্কিং করবেন বা মূল্যায়ন করবেন, তাদের মধ্য কোনো পরিবর্তন আনলেন না।

ব্যর্থতাটা বোধহয় এখানেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রেনেট এর ছবি

একটা কৌতুহল...গ্রেডিং সিস্টেম হওয়ার ফলে কি খাতা দেখার ধরন পালটে গেছে? সহজতর হয়ে গেছে? নাহলে বাংলা-ইংরেজি এগুলোতে এত লেটার মার্ক আসছে কিভাবে?
দ্বিতীয় কৌতুহল...নম্বর পদ্ধতিতে যেমন এক বিষয়ে একটু কম নম্বর পেলেও অন্যগুলোতে ভালো করে মোট নম্বর দিয়ে তা পুষিয়ে দেয়া যেত, এখন সেরকম কোন ব্যবস্থা কি আছে? নাকি ১১ টা বিষয়ে কাটায় কাটায় ৮০ পাওয়া (মোট ৮৮০) ছাত্রকে ৯ টা বিষয়ে ৯০ পাওয়া কিন্তু অন্য দুটোতে ৮০ না পাওয়া (ধরা যাক মোট নম্বর ৯২০) বেশি মেধাবী ধরা হয়?
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সালাহউদদীন তপু এর ছবি

দ্বিতীয় কৌতুহলটা আমারও হচ্ছে। আসলেই কে বেশি মেধাবী? ৮৮০ পাওয়া ছাত্রটি নাকি ৯২০ পাওয়া ছাত্রটি?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গ্রেডিং সিস্টেম আসার পরে প্রশ্নপত্রের ধরন পালটে গেছে। বাংলা-ইংরেজির সেই বিশাল রচনামূলকের ভার আর ১০ এ ৬ এর ওপরে দেওয়া যাবে না, এই জিনিসটা নাই।

গ্রেডিং সিস্টেমে পোষানোর ব্যাপারটা করা হয় ফোর্থ সাবজেক্টের গ্রেড যোগ করে। প্রথম ২/৩ বছর মনে হয় এটা ছিলো না, তখন ৫ পেতো সারাদেশে ৫০ টারও কম। ফোর্থ সাবজেক্টের ৫ থেকে ২ বাদ দিয়ে বাকি ৩ যোগ করা হয়। যেমন, মোট বিষয় (ফোর্থ সাবজেক্ট বাদে) ৮ টা থাকলে কেউ যদি ৫ টায় A+ পায়, বাকি ৩ টায় A, তাইলে মোট হলো ৫x৫+৩x৪+৩= ৪০। ৪০ কে ৮ দিয়ে ভাগ করে জিপিএ আসে ৫। সুতরাং যার ৪.৬২৫ (৩৭/৮) আসার কথা, সেও ৫ পাচ্ছে।

অফিশিয়ালি সব পাঁচের দাম সমান হওয়ার কথা, তবে আনঅফিশিয়ালি যে ৮ টায়ই ৫, সে গোল্ডেন, যে ৭ টায় সে সিলভার, যে ৬ টায় সে ব্রোঞ্জ, যে ৫ টায় যে দুধভাত। চোখ টিপি

কলেজে ভর্তির সময় আবার অনেকে গোল্ডেন/সিলভার দেখে সিলেক্ট করে। গোল্ডেন পাওয়াদের বাপ-মায় ছেলের রেজাল্ট বলার সময় শুধু ফাইভ বলে না, গোল্ডেন ফাইভ বলে, অন্যেরা সাধারণত চেপে যায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের সময় খালি ৫ ছিলো খাইছে
-------------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

সবজান্তা এর ছবি

প্রথম যেবার এস এস সি / এইচ এস সি তে চালু হলো, শুধু সেবারই কম পেয়েছিলো কিছুটা। এর পর থেকে রীতিমতো গুনোত্তর ধারায় সংখ্যা বেড়েই চলছে।

প্রথম বছর যেবার এস এস সি তে আনা হলো, সেবার পেয়েছিলো ৭৬ জন আর এইচ এস সি তে আনা হলো ৫.০০ পেয়েছিলো সম্ভবত ৫/৬ জন।


অলমিতি বিস্তারেণ

গৌতম এর ছবি

...অথচ প্রথম যখন জিপিএ সিস্টেম এসেছিলো, তখন অনেকে (যাদের মধ্যে এই বান্দাও ছিলো) গোল্ডেন ফাইভ নিয়ে অপব্যবহারের কথাটা তুলেছিলেন। তাদের কারো কথা কেউ কানেই তুলে নি। এখনই গোল্ডেন ফাইভ শব্দটা যেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে আগামীতে এর অপব্যবহার আরো বাড়বে বলেই ধরে নেওয়া যায়। অনেকে তো স্ট্যান্ড করা শিক্ষার্থী আর গোল্ডেন ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পান না মন খারাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

যেখানে সংখ্যা বেশী সেখানে গুণগত মান কমে যায় ।
শফিকুল /

গৌতম এর ছবি

এইভাবে জেনারেলাইজ করা বোধহয় ঠিক না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সিরাত এর ছবি

দারুন সময়োপযোগী লেখা গৌতমদা! আমিও আপনার মতই অপটিমিস্টিকালি সন্দিহান। মন খারাপ

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ, সিরাত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বিষয়টা আসোলেই কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে!
আমার এক প্রাক্তন ছাত্র গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে- তাতে অনেকই ভালো লেগেছে।
কিন্তু, সত্যিই, পুরো ব্যাপারটাতে ওইরকম ফিশি ব্যাপার-স্যাপার কতোটুকু কী আছে- তা তো আর বলতে পারবো না।
"লেট'স হোপ ফর দ্য বেস্ট পসিবিলিটি" ছাড়া হয়তো আমার মতো আউটসাইডারের ভাবার বা বলার কিছু নাই।
কম পরিসরেও বেশ ভালো আলোকপাত করেছেন গৌতমদা', যথারীতি।
হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সাইফুলাক্বর্খান ভাই। যে ভাবে খাতা দেখা হচ্ছে, তাতে আগামীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০০টা ফার্স্ট ক্লাশ পেলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ যদি এভাবে আত্মবিশ্বাসের শুন্যতাটুকু পূরণ করতে পারে,ক্ষতি কী?

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ক্ষতিটা হচ্ছে যারা পাচ্ছে তাঁদের। এ+ পাওয়া ৩০% শিক্ষার্থী যদি সার্টিফিকেট অনুযায়ী ভাল ছাত্র হয়েও ভবিষ্যতে কাচকলা পায় তখন? এ+ এর সিস্টেমটা উচ্চাভিলাষী এবং ননপ্রোডাক্টিভ একটা কনসেপ্ট যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে এমনভাবে, হয়ত বাংলামিডিয়াম শিক্ষাব্যবস্থার উপরই আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হবে।

হিমু এর ছবি

যে পদ্ধতিতে ৮১ আর ১০০র মধ্যে তফাৎ করা যায় না, সেটা বাতিল করাই ভালো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মইন এর ছবি

আমি বেশকিছু এস.এস.সি , এইচ.এস.সি এ জিপিএ ৫ পাওয়া ‌‌‌ছাত্রদের ইন্টারভিউর কথা জানি , যারা ভাইভায় বেসিক ফিজিক্স এর প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে না । আমার মনে হয় , বেছে পরার প্রবনতা অনেক বেড়ে গেছে এবং টার্গেট হলো ৮০% স্কোর করা , ‍‌জানার কোনো দাম নেই ।

গৌতম এর ছবি

আমার মনে হয় , বেছে পরার প্রবনতা অনেক বেড়ে গেছে এবং টার্গেট হলো ৮০% স্কোর করা , ‍‌জানার কোনো দাম নেই ।
- একমত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার খুব করুণা হচ্ছে এই ছেলেমেয়েদের জন্য! নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এদের অনেকেই একেবারে ঝরে যাবে নিজেদের নিয়ে অনেক উচ্চাশা আর ভুল ধারণার কারণে।

অংক-বিজ্ঞান এ ভাল করতে খুব বেশি না পড়লেও চলে। 'Extra' গুলো এখন আর কেউ করে বলে মনে হয় না- যা 'problem solving' ক্ষমতা বাড়ায় বলেই বিশ্বাস করি।

গত ৩/৪ বছর ধরে নতুন ধুন শুনছিঃ মিলন সাহেব বলতেন-এখন নাহিদ সাহেব বলছেন। দেশে কেউ আর নকল করে না!!!! GPA 5 কমে গেলে সরকার মনে হয় জনরোষে পড়ার আশংকায় ছিল।

কলেজ ভর্তির নিয়মটার মত হাস্যকর ব্যপার মনে হয় না বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও সম্ভব! এই নিয়মটা বদলানো খু্বই জরুরি।

গৌতম এর ছবি

কলেজে ভর্তির নিয়মকানুনগুলো কী কী এবং কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে কলেজে ভর্তি করলে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে- এ ব্যাপারে একটা পোস্ট দিতে পারেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

হিমু এর ছবি

আজ প্রথম আলোতে বেরিয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা প্রকাশ
জিপিএর ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি, বয়সের শর্ত বাদ
বিশেষ প্রতিনিধি

একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচনের শর্তটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরিবর্তে একই জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক সমাধান না হলে মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।

সিদ্ধান্তমতে, ভর্তি বা বাছাই পরীক্ষা ছাড়াই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজের (জিপিএ) ভিত্তিতে ভর্তি-প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। একই জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে প্রথমে কয়েকটি বিষয়ভিত্তিক অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। তাতেও সমাধান না মিললে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ডের কাছে একই জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মোট প্রাপ্ত নম্বর জেনে বেশি নম্বরধারীকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করবে।

গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির এই নীতিমালা ঘোষণা করে। নীতিমালা অনুযায়ী ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তি ও ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ ৭ জুলাই। ক্লাস শুরু হবে ১২ জুলাই।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে যারা একই মানের নম্বর পেয়েছে তাদের বিষয়টি নিষ্কপত্তির লক্ষ্যে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এতেও সমস্যার সমাধান না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনা হবে। এর পরও সমস্যার সমাধান না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার কেন্দ্রের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর সংগ্রহ করে প্রার্থী বাছাই করবে।

বিভাগ নির্বাচন: নীতিমালা অনুযায়ী ২০০৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্নুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে। বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়, মানবিক শাখার শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার যেকোনো একটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখা নির্বাচন করতে পারবে।

যদি সেই শেষতক নাম্বার দেখেই বাছাই করতে হয়, তাহলে কেন এই হুদা গিয়ানজাম?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

কলেজে কিভাবে ভর্তি হবে তার সমাধান করলেই কি হবে ? এদের শেষটা কোথায় ? কি করবে এরা সেটা কি আমরা বলতে পারবো ? আমাদের সামনে কোন গোল পোস্ট নেই কিন্তু পায়ে বল নিয়ে নিরন্তর ছুটে চলেছি...আবার আমরা ক্লান্তও নই ........

জয়িতা........

গৌতম এর ছবি

আমরা ক্লান্ত নই- কথাটার সাথে একমত হতে পারলাম না। বরং নিরন্তর ছোটাছুটিতে আমরা প্রবলভাবে ক্লান্ত। গোলপোস্ট না থাকলেও ছোটাছুটিটা অব্যাহতভাবে চলছে কারণ এটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। কেউ গোল দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এখন আর ছোটাছুটি করছে না।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।