দ্বিতীয় পর্ব: রাঙ্গামাটি ভ্রমণ: পথের কথা
প্রথম পর্ব: রাঙ্গামাটি ভ্রমণ: পূর্বাপরকথা
১১.
ঢাকায় বসে হোটেল সুফিয়ার বেশ প্রশংসা শুনেছি, কিন্তু থাকতে গিয়ে দেখি খুব একটা আহামরি কিছু না। হোটেলের রুমে ঢুকে আমি যে কাজগুলো প্রথমেই করি, কমোডের ফ্ল্যাশ কাজ করে কিনা সেটা চেক করা তার মধ্যে একটি। এ বিষয়ে একটি করুণতম অভিজ্ঞতা হওয়ার পর থেকে এ সাবধানতা! এবং এখানেও যথারীতি ফ্ল্যাশ নষ্ট। হোটেল বয়কে ডেকে আনলাম- মিনিট দশেক চেষ্টার পর সে হাল ছেড়ে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে পাশের রুমটিতে ট্রান্সফার করে দিলো আমাদের। বাঁচোয়া! না খেয়ে দিন কাটানো যায়, কমোডের ফ্ল্যাশ না টেনে থাকা যায় না!
দু'জনেই খুব ক্লান্ত। গোসল সেরে রুমেই নাস্তা করে দিলাম ঘুম। বিকেলে বেরুবো।
১২.
তিন পার্বত্য জেলায় আমার একটা প্রজেক্টের কাজ চলছে- যে কাজে আগের সপ্তাহেও একদিনের জন্য রাঙ্গামাটি এসেছিলাম। ওই প্রজেক্টেই রাঙ্গামাটির ছেলে অসীম চাকমা বেশ কিছুদিন ধরে যুক্ত আছেন- তিনি পালা করে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে কাজ করছেন। ঘুম থেকে উঠে তাঁকে ফোন দিলাম। আমাদের আসার খবর তিনি আগে থেকেই জানেন। জানালেন, বিকেলে তিনি এসে আমাদের নিয়ে বেরুবেন।
এর মধ্যে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় বসলাম। বিকেলের কাপ্তাই লেক সত্যিই অপূর্ব! ঘণ্টাখানেক পর অসীম দা এসেই জানতে চাইলেন, কোথায় যাবো? আগামী তিনদিন আমাদের কী কী করার প্ল্যান? যেহেতু রাঙ্গামাটি সম্পর্কে আমাদের খুব একটা ধারণা নেই আবার তিনি এই এলাকার মানুষ, তাই অসীম দাকেই অনুরোধ করলাম তিনদিনের একটা প্ল্যান করে দেওয়ার জন্য। সেটা এমনভাবে করতে হবে যেন মানুষের কাছে গপ্প করা যায় এমন কোনো জায়গা যাতে বাদ না পড়ে। এর বাড়তি কোনো আকর্ষণ থাকলে তো আরও ভালো! সে অনুযায়ী প্রথম দিনেই কেনাকাটা করার পালা ও অসীম দার সাথে এক জায়গায় যাওয়া। দ্বিতীয় দিন সুবলং, পেদা টিং টিং, টুক টুক ইকো ভিলেজ, কাপ্তাই লেকের নানা অংশ ভ্রমণ এবং রাতে অসীম দার বাসায় খাওয়াদাওয়া। তৃতীয় ও শেষ দিনে পর্যটন, ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি, রাজবনবিহার ও শহরের নানা এলাকা।
নাস্তা সেরে বেরুলাম। অনেকেই হয়তো জানেন না- রাঙ্গামাটি শহরে কোনো রিকশা নেই। বাংলাদেশে এটিই একমাত্র শহর যেখানে কোনো রিকশা চলাচল করে না। কারণ পুরো শহরটাই ছোট ছোট পাহাড়ের উপর অবস্থিত এবং উঁচুনিচু। স্বাভাবিককারণেই রিকশা চলার অনুপযোগী। চলাচলের মূল বাহন সেখানে অটোরিকশা। ভাড়াও নির্দিষ্ট করা- কোনো দরাদরি করতে হয় না, অটোরিকশা চালকের মুখে না শুনতে হয় না- যেগুলো ঢাকায় আমাদের নিত্যসঙ্গী। তবে শহরের বাইরে গেলে কিছুটা দরাদরি করতে হয়- তাও নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে বেশি কেউ নাকি ভাড়া চায় না, দরাদরি শুধু কমানোর! আহা! আমাদের ঢাকা শহরটা এদিক দিয়ে যদি রাঙ্গামাটি হতো!
পরে সময় পাই কি না পাই- কেনাকাটা সারার জন্য তবলছড়ি গেলাম। রাঙ্গামাটিতে কেনাকাটার জন্য তবলছড়ি এলাকাটা বিখ্যাত। আদিবাসিদের তৈরি কাপড়চোপড় বা অন্যান্য জিনিসপত্রের অধিকাংশ দোকানই সেখানে। আমরা সেখানে ঘুরে টুকটাক জিনিসপত্র কিনলাম, যার মধ্যে কয়েক প্যাকেট কাজুবাদামও রয়েছে।
কেনাকাটা করতে করতেই আমাদের দোচুয়ানি খাওয়ার শখ আর অসীম দার দোচুয়ানি খাওয়ানোর সখ ক্যামতে ক্যামতে এক হয়ে গেলো। সানন্দে ও সাড়ম্বরে ট্যাক্সি করে আমরা রওনা দিলাম, দোচুয়ানি খাওয়ার উদ্দেশ্যে- গন্তব্য বনরূপা বাজার।
১৩.
রাঙ্গামাটি শহরে অনেক জায়গাতেই দোচুয়ানি পাওয়া যায়। এমনকি হোটেলবয়কে বললেও নাকি এনে দেয়। পর্যটনে এসব খাওয়ার জন্য নাকি আলাদা বার পর্যন্ত আছে। হোটেল সুফিয়া কর্তৃপক্ষ অনুমতি চেয়েছিলো বার বসানোর, পায় নি। অসীম দা বললেন, আপনাদের ভিন্ন একটা জায়গায় নিয়ে যাবো, যেখানে বসে খেতে আপনাদের ভালো লাগবে।
বনরূপা বাজারের ঘাটে গিয়ে ছোট্ট নৌকা করে কাপ্তাই লেকের মধ্যে ছোট্ট একটা দ্বীপে পৌঁছলাম- নাম রং রাং। এখানে অসীম দার-ই এক বন্ধুর একটা রেস্টুরেন্ট কাম বার আছে- ছোট্ট কিন্তু সুন্দর। মূল রেস্টুরেন্ট ছাড়াও ছোট ছোট কটেজ আছে- সেখানে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে পানি-টানি-পানীয় সবই খেতে পারবেন। বেশ সুন্দর ব্যবস্থা! আমাদের পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে বলে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ হয় নি, ছবি তোলারও কোনো চান্স পাই নি। আদিবাসী তরুণদের অনেকেই বিকেল থেকে ভিড় জমায় এখানে- আড্ডার সাথে পান করার উসিলায়। তাছাড়া দোচুয়ানির সাথে খাওয়ার জন্য আলাদা কিছু সুস্বাদু তরকারিও আদিবাসিদের কায়দায় রান্না করা হয় এই রেস্টুরেন্টে, যেগুলো নাকি রাঙ্গামাটিতে খুবই পপুলার। এর একটা হলো মুরগির মাংসের চচ্চড়ি, আরেকটা ঝাল ভেজিটেবল। এরকম আরও কয়েকটা আইটেম আছে। আমরা এই দুটোর অর্ডার দিলাম।
মুরগির মাংসের চচ্চড়িটার বিশেষত্ব হলো এটা রান্নার সময় তেল একেবারেই ব্যবহার করা হয় না। মুরগি টুকরো টুকরো করার পর সিদ্ধ করা হয়। সাথে বাঁটা কাঁচামরিচ ও আলাদা ভিজিয়ে রাখা কাঁচামরিচের পানি যোগ করা হয়। পাশাপাশি ধনে পাতা এবং এ ধরনের আর কী কী যেন দেওয়া হয়। খুবই ঝাল লাগে খেতে! ভেজিটেবলেরও একই অবস্থা। বরবটি সিদ্ধ করা হয় কাঁচকি মাছের সাথে। সেখানেও প্রচুর ঝাল! মজার ব্যাপার হলো- হোটেল ম্যানেজার জানালেন- যারা ঝাল খেতে পারে না, তারাও নাকি এই প্রচুর ঝালের তরকারি আগ্রহ নিয়ে খায়। আমি বলি- আগ্রহটা কি দোচুয়ানি পেটে পড়ার আগে আসে নাকি পরে? ম্যানেজার হাসেন।
আমাদের পক্ষ থেকে অসীম দা অর্ডার দিলেন। বোতলভরে নাচতে নাচতে দোচুয়ানি আসলেন! আহা! আমরা পান করতে ও খেতে শুরু করি। সাথে কিনে আনা কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিই আরেকটা প্লেটে।
খেতে খেতে গল্প করি, কথা বলি, আড্ডা দিই। এরই মধ্যে মাথার মধ্যে ভূমিকম্প হয়।
১৩.
রাঙ্গামাটিতে প্রথম দিনটি কাটে মোটামুটি। দোচুয়ানি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মোটামুটি টাল। আমি নিজে ঠিক থাকি, কিন্তু বাকি পৃথিবীটা দোলে। এ কী ঝামেলা! (চলবে)
মন্তব্য
হোটেল সুফিয়াতে আমারো একি অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তবে সব যন্ত্রনা ভুলে গেছি সূর্যোদয়ের সময় পিছনের ওই কাঠের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে।
আর দোচুয়ানি সত্যি দুলুনি দিয়ে চুবানি খাওয়ায়। বেশ লেগেছিল। আমি খাগড়াছড়ি গিয়ে চু (ওরা দেখলাম চু বলে) খেয়েছিলাম। ওটাও ভালো লেগেছিল।
রাঙ্গামাটি এম্নিতেই আমার প্রিয় জায়গা। আপনার লেখাগুলো পরে মনে হচ্ছে আবার যাইগা।
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
চলেন যাই আবারও। আমার এমনিতেই বেড়াতে ভালো লাগে, খুবই। ...তবে দিন দিন মানুষের উপস্থিতি যেভাবে বাড়ছে, এই ভালোলাগাটুকু কতোদিন থাকে- কে জানে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পড়েই ফেললাম দোচুয়ানিপান, কেমন খেতে সেটার একটু বর্ণনা দেন না। লালায়িত হইতেছি খুবই।
খাসা চলছে। চলুক আরো।
সেটা পরের পর্বে থাকবে বলে আশা করছি। প্রথম দিনের দোচুয়ানি পানের মজাটা তেমন টেরই পেলাম না, শালার দুনিয়াটা দুলতে থাকলো, ঘুরতে থাকলো । খাওয়ার পর এরকম করলে মজা টের পাওয়া যায় নাকি!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, মূলোদা ও পাঠুদা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সেই ১৯৯৮ এ গিয়েছিলাম,দোচুয়ানি টা খাওয়া হয়নি। আপনার লেখা পড়ে আবার যেতে ইচ্ছে করছে।
_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
দোচুয়ানিটা না খেয়ে মারাত্মক মিস করেছেন। দেশে আসেন, সম্ভব হলে জোগাড় করে খাওয়াবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আহ্ এত্ত দিকে গেলাম, রাঙামাটি কোনদিন যাওয়া হয়নি। পরের বার মিস হবেনা। গাইডঃ গৌতমদা
অবশ্যই। এক কাজ করেন- আগামী বছরের শুরুতে চলে আসেন। শীতের সিজনে ঘুরে আসি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
রাঙ্গামাটি যাইবাম
দোচুয়ানি খাইবাম।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
লইন, যাইগা। গিয়া ঘুইরা আসি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জমে উঠেছে সেইরকম! কী যে লোভ হচ্ছে রং রাং আর দোচুয়ানি'র!
আর শুবলং (নাকি শুভলং?!), পেদাটিংটিং-য়ের গল্প কিছু আমার শোনা আছে আগে, তেমন অবশ্য সবিস্তার না। আর, গিরিশোভা গেছিলেন?!
হায়! কবে যে যাবো!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
চলেন একটা প্রোগ্রাম করে সবাই মিলে যাই। গিয়ে আমরা নৌকায় বসে দোচুয়ানি খাই।
পেদা টিং টিং, সুবলং-এর কথা আসবে পরের পর্বে। কিন্তু তার আগেই সেখানে যাওয়ার একটা প্ল্যান করে ফেলেন তো!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
"যার হয় তার হয়, আমার হয় না"
থ্যাংকস।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনার হবে, ভালোভাবেই হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ডিসেম্বরে দেশে আসিতেছি, আমারে বাদ দিয়া রাঙামাটি যাওনের প্রোগ্রাম করন যাইবে না! এইবার হাচাই রাঙামাটি যাইবাম, দোচুয়ানি খাইবাম!
_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আসেন, দেখি রাঙ্গামাটি যাওয়ার একটা প্রোগ্রাম করা যায় কিনা! কয়েকজন মিলে যেতে পারলে বেশ হয় কিন্তু!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পানির ধারে পান করতে নেই
পানির ধারে পান করলে কী হয় আলমগীর ভাই?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অযথা পানি-বিয়োগের ইচ্ছা চাপতে পারে :;
আবার প্রাণ-বিয়োগও ঘটতে পারে
পানি-বিয়োগের ইচ্ছা তেমন দূষণীয় নয়; প্রাণ বিয়োগ হলে সেটা হবে ট্র্যাজেডি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দো-চুয়ানিতে মজতে নেট প্র্যাকটিস লাগে।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আপনারে কোচ মানলাম। প্র্যাকটিস করায়েন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আবার যাইতে চাই।]
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
লন, যাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আবার কবে যাইবেন?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আবার কবে যাবো তা তো জানি না। দেখেন, ওখানে গিয়ে একটা মাশ্রুমাড্ডার ব্যবস্থা করা যায় কিনা! তাহলে হয়তো অনেকের যাওয়া হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আহ্ চোয়ানি ....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
বদ্দার মনে হয় খাওয়ার সাধ জাগছে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার ভাই বোনেরা বন্ধু বান্ধব ও প্রতিবেশি সহ পঁয়ত্রিশজন কয়দিন আগে রাঙ্গামাটি বেড়িয়ে এসেছে। ওদের হোটেলও কাঠের সিড়ি ছিল। ছবিতে দেখেছিলাম। সব হোটেলেই কাঠের সিড়ি নাকি শুধু সুফিয়াতে?
বোনতো এসে থেকেই সব্বাইকে পটাচ্ছে, রাঙ্গামাটিতে একটা কটেজ বানাতে বা কিনতে, এতোই নাকি সুন্দর।
বাই দা ওয়ে, লেখা পড়ে প্রথমে ভেবেছিলাম অফিসের কাজে গেছো, আদৌ কি কোন কাম কাজ হইছে ????
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অন্য হোটেলগুলোতে কাঠের সিঁড়ি আছে কিনা তা তো জানি না আপা!
তবে কটেজ বানালে ভালো হয়- আমরাও গিয়ে মাঝেমধ্যে থাকতে পারবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দোচুয়ানি তো আরো পরের ব্যাপার, রাঙ্গামাটিতে কোক খাইলেই আমার মাথা ঘুরায়। হোটেল সুফিয়া রাঙ্গামাটির সবচাইতে ভালো থাকার জায়গা গুলোর একটি।
আমার এক চাকমা বন্ধু ছিলো রাঙ্গামাটিতে, কাকলী সিনেমা হলের মালিক, দোচুয়ানির এতই ভক্ত ছিলো সে যে ঢাকায় আসার সময় স্যালাইনের ব্যাগে ভরে মুখে নল লাগিয়ে চলে আসতো। যখন চট্টগ্রাম থাকতাম সপ্তাহে দুইদিন সেখানে নিয়মিত যেতাম। দুপুর বারোটার আগে চট্টগ্রাম থেকে আর বিকেল ৩টার পর রাঙ্গামাটি থেকে কোন গাড়ী ছাড়তোনা। কীযে আনন্দের দিন ছিলো সেসময়। বন্ধুটি মারা গেছে আর আমিও এখন আর রাঙ্গামাটি যাইনা অনেকদিন।
...........................
Every Picture Tells a Story
মন্তব্যের শেষ প্যারাটা পড়ে কী বলবো বুঝতে পারছি না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নিয়া আইতেন একটু... আমরাও খাইতাম... কতদিন খাই না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আনার কথা ছিলো, সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও করেছিলাম। কিন্তু পরে জানা গেলো, তল্লাশীর সময় সেনাবাহিনী এগুলো পেলে নাকি সমস্যা করে- বিশেষত বাঙালিদের কাছে পেলে। সে কারণে আর আনা হয় নি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন