১৫.
আগের রাতে দোচুয়ানি খেলাম আমি, আর টলতে লাগলো পুরো রাঙ্গামাটি শহর, মায় খাট-টেবিল-দরজা-জানালাশুদ্ধ সবকিছু। জিনিসটা কড়া শুনেছিলাম, কিন্তু তাই বলে যে খাবে তার কিচ্ছু হবে না; কিন্তু পাড়াপড়শির খবর হয়ে যাবে- এটা কেমনতরো ধারা? আগে জানলে কিছুতেই এ জিনিস খেতাম না! জগতে কতোই না রহস্য যে আছে! বাস্তবে কোনো মিসির আলী থাকলে অতি অবশ্যই তাঁর কাছে এ সমস্যা নিয়ে যেতাম- কোনো সুরাহা করতে না পেরে তিনি একটা সময় পর নোটবুকে Unsolved লিখে রাখতেন, আর তা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ একটা ছোট গল্পও লিখে ফেলতে পারতেন!
অসীম দাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম দোচুয়ানি কীভাবে বানায়। তিনি জানালেন, সাধারণত বিশেষ ধরনের চালের ভাত রান্নার পর ভালোভাবে ঠাণ্ডা করে সেটিতে পানি মিশিয়ে কয়েকদিন রেখে দেওয়া হয়। তারপর প্রায় গলে যাওয়া ভাতে আরো ঠাণ্ডা পানি ভালো করে মিশিয়ে সেটাকে শুকানো হয়। এই শুকনো মণ্ড বা কাইটাকে পরে কলসিতে পানি ও আরও কিছু স্থানীয় রস বা আরকে মিশিয়ে কলসিতে রাখা হয়। কলসির উপরে মুখ বন্ধ করে সেখান দিয়ে একটা ভি-আকৃতির পাইপ বের করে আনা হয়। পাইপের মুখ বা অপরপ্রান্ত থাকে অন্য একটি পাত্রে। তারপর প্রচণ্ড উত্তাপে কলসির মিশ্রণটা জ্বাল দেওয়া হয়। এ সময় উত্থিত বাষ্প পাইপের মধ্য দিয়ে এসে অপর পাত্রে জমা হতে থাকে। এটিই মূলত দোচুয়ানি।
তবে ভাতের মণ্ড বা কাইয়ের সাথে কী মেশানো হয় সেটা তিনি ভালোভাবে বলতে পারলেন না। যাই মেশানো হোক, সেটা নাকি ক্ষতিকর কিছু নয়- বরং পাহাড়ি লতাপাতার মিশ্রণে এক ধরনের রস সেটি, পরিমিত মাত্রায় খেলে যেটি নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। দোচুয়ানি বানানো একটা আর্ট- কারণ আরক বা রসের মিশ্রণ ঠিকমতো না হলে এবং বাষ্পটাকে ঠিকমতো পাইপের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতে না পারলে এতে ভাতের গন্ধ থেকেই যায়। সুতরাং সবাই ঠিকমতো দোচুয়ানি বানাতেও পারে না- এর মধ্যেও এক নম্বর, দু নম্বর আছে।
অসীম দার কথা শোনার পর আরেক ঢোক দোচুয়ানি গিললাম, জাস্ট ভাতের গন্ধ আছে কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য। না, নেই। তার মানে ভালো জিনিসই খাচ্ছি। এমনিতে জিনিসটা তেমন সুস্বাদু নয়- কিছুটা ভদকার মতো, দেখতে বর্ণহীন, পানির চেয়ে কিছুটা গাঢ়- তবে গলা দিয়ে নামার সময় আগুন হয়ে নামতে থাকে। স্থানীয়রা সাধারণত পেপসি বা সোডা মিশিয়ে খায়, তবে আমি প্রথমে কিছু না মিশিয়ে পরে খানিকটা পানি মিশিয়ে খেয়েছি। তারপরই না রাঙ্গামাটি কোমর দোলাতে শুরু করলো! এর মধ্যে অবশ্য রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য উপহার হিসেবে পিচ ফলের রসে তৈরি দোচুয়ানি দিয়ে গেছে। সেটিও চেখে দেখলাম- দারুণ!
১৬.
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর দেখি রাঙ্গামাটির দুলুনি থেমে গেছে। যাক! তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হলাম- অসীম দাও এসে গেছেন- এবার গন্তব্য রিজার্ভ বাজার, সেখান থেকে সুবলং।
এখানে বলে রাখি, রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আপনি ট্রলার বা বোট ভাড়া করতে পারবেন, সারাদিনের জন্য ভাড়া করলে দেড় থেকে দু হাজার পর্যন্ত টাকা নিবে। একটা মাঝারি আকৃতির বোটে ত্রিশ জন বসা যায়। পর্যটন থেকেও বোট ভাড়া করা যায়, তবে রেট বেশি। ছোট বোটের ভাড়াও কম নয়। রিজার্ভ বাজার থেকে বোট বা ট্রলার ভাড়া করলে একটু কম দামে পাওয়া যাবে। এক হাজার থেকে বারোশর মধ্যে হয়ে যাবে। তবে পর্যটন বা অন্যান্য সংস্থার ট্রলারের মতো দেখতে সুন্দর না বলে অনেকে সেগুলো ভাড়া নিতে চান না। এগুলো ছাড়াও কেয়ারি সিন্দবাদ আছে যেটি রাঙ্গামাটি থেকে সুবলঙের উদ্দেশ্যে দিনে দুবার যাতায়াত করে। অবশ্য নিজের মতো করে ঘুরতে চাইলে সেগুলো না নেওয়ার পরামর্শ দিবো। কারণ এই ট্রিপগুলো বুড়িছোঁয়ার মতো করে একেকটা জায়গায় যায় আর ফিরে আসে। এতে মন ভরে না।
অসীম দার এক বন্ধুর ট্রলার আছে- তিনি সেটা নিয়ে উপস্থিত রিজার্ভ বাজার ঘাটে। বিশাল ট্রলার- যাত্রী মাত্র আমরা তিন জন আর বোটম্যান। আস্তে আস্তে ট্রলার চলা শুরু করলো। এরই মধ্যে শুরু করলো ঝিরঝির বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আমরা ছাদে বসলাম- কাপ্তাই লেক আর পাহাড় দেখতে দেখতে এগুতে লাগলাম সুবলঙের দিকে।
পানি-পাহাড়, একে মিশেছে অন্যের সাথে
১৭.
এই পর্বে আসলে বর্ণনা দেওয়ার মতো কিছু নেই। ছবির মতো সুন্দর পাহাড়গুলো পেছনে ফেলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দুদিকে পাহাড়, মাঝখানে লেক। নানা ধরনের গল্প চলছে, বিশেষ করে অসীম দার কাছেই প্রশ্ন বেশি- পাহাড়ি মানুষ নিয়ে, তাদের জীবনযাত্রা নিয়ে। আমাদের অনেক প্রশ্নের জবাব তিনি বেশ সহজ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, পাহাড়িরা কীভাবে বাঙালি আর সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে, পাহাড়িদের মধ্যেও কীভাবে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, এই সমস্যার আশু সমাধান কীভাবে হতে পারে, পাহাড়ি-বাঙালি-সেনাবাহিনী- কার প্রতি কার মনোভাব কেমন ইত্যাদি অনেক কথা। অসীম দা এটাও জানালেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে এখনও বাঙালিরা যেতে পারে না। আবার শুধু বাঙালি নয়, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি হওয়ার পর অনেক পাহাড়ি-আদিবাসিও সেখানে যেতে পারে না। বিশেষ করে যারা শান্তিচুক্তির বিরোধী, তাদের এলাকায় শান্তিচুক্তির পক্ষের আদিবাসি-মানুষজন নাকি সহজে যেতে পারে না।
আমরা এগুচ্ছি আর টুকটাক এসব কথা বলছি। এর মধ্যে কচুরিপানায় বসে থাকা বক দেখছি, দেখছি জেলেদের মাছ ধরার চিত্র। লাইনের লঞ্চ যাচ্ছে আর আসছে- এগুলো এই পথে বরকল, জুরাইছড়ি, বাঘাইছড়ি, লঙগদু ইত্যাদি এলাকায় যাতায়াত করে। বেশ কিছু দম্পতি ছোট বোট এবং স্পিডবোট নিয়ে আমাদের আগে আগে চলে যাচ্ছে। একটি মেয়ে হাত নাড়লো কি আমাকে দেখে? ধন্দে পড়ে যাই।
এই লাইনে যাতায়াত করে লংগদু, বাঘাইঝড়ি, জুড়াইছড়ির লঞ্চগুলো
আমার যে একটা পাহাড় কেনার শখ আছে, সেটা আগেই বলেছি। অসীম দাকে জানালাম সে কথা। তিনি বললেন, এখন আর কেনা যাবে না। কারণ শান্তিচুক্তির পরে বাঙালিদের পাহাড় কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো উপায় নেই- আমার ব্যাকুল প্রশ্নে তিনি জানালেন, যদি গায়ের জোরে দখল করতে পারেন! আমি বিমর্ষবদনে বসে রইলাম।
এরই মাঝে কথা শুরু হলো লেকের ব্যবহার নিয়ে। অনেকের হয়তো জানা নেই, কাপ্তাই লেক হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় লেক- আয়তন ৭২৫ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু এর যথাযোগ্য ব্যবহার হচ্ছে কিনা বলা মুশকিল। অসীম দা, বোটম্যান এবং স্থানীয় আরও অনেকের সাথে কথা বলে জানলাম- এই লেকের ওপর নির্ভরশীল প্রায় পঞ্চাশ হাজার পরিবার। অধিকাংশই জেলে। তবে লেক থেকে মাছ প্রতিনিয়ত ধরা হলেও মাছ ছাড়ার কোনো উদ্যোগ প্রায় দেখাই যায় না। মাঝেমাঝে সরকারি উদ্যোগে কিছু পোনা বা ডিম ছাড়া হলে সেটা যথেষ্ট না। ফলে লেকের পানি আস্তে আস্তে মাছশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
মাছ ছাড়াও পাহাড়ঘেরা এই লেকটাকে আরো নানাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে পর্যটকদের আকর্ষণ করানোর জন্যই নানা উদ্যোগ নেওয়া যায় পুরো এলাকাটাকে ঘিরে। এমনিতেই এলাকাটা যা সুন্দর! সারাটা দিন শুধু বোটে ঘুরেই কাটিয়ে দেয়া যায়- তাকে কিছু সুবিধা বাড়ালে পর্যটকের আনাগোনা উল্লেখযোগ্যহারে বাড়তে পারে। অবকাঠামোগত সুবিধা বলতে পাহাড়ের মাঝখানে ইটের ঘরবাড়ি বা রাস্তা বানানো নয়, রাঙ্গামাটির সৌন্দর্যকে যথাযথভাবে প্রচার করা, যোগাযোগ সুবিধা বাড়ানো, খাবারের দোকান পরিকল্পিতভাবে বসানো, টেলিযোগাযোগ বৃদ্ধি ইত্যাদি সুবিধাগুলো বাড়ালে শুধু কাপ্তাই লেক থেকেই রাঙ্গামাটি বড় অংকের রাজস্ব যোগাড় করতে পারে।
যাই হোক, আমরা গেছি বেড়াতে- বেড়াতে গেলে এসব নানা মধ্যবিত্তসুলভ আবেগিয় চিন্তাভাবনা আসবে। গরীবরা তো আর বেড়াতে আসে না! সবকিছুই টাকাওয়ালাদের জন্য। সুতরাং আমাদের চিন্তাভাবনা সেদিকেই আবর্তিত হবে, সন্দেহ কি!
১৮.
এ এলাকায় একটা উপজেলার সাথে আরেকটার পার্থক্য করা কঠিন। এই যে বরকল উপজেলা- সেটার স্বাগতম চিহ্ন বসানো আছে একটা পাহাড়ের উপর, যেখান থেকে বরকলের সীমানা শুরু। আমরা দেখতে দেখতে সুবলং-এ চলে আসলাম।
সুবলং নামটা নিয়ে আরেক দ্বিধায় পড়লাম। ভদ্রসমাজে এমনকি সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ফলকে লেখা আছে শুভলং কিন্তু স্থানীয় বাজার কিংবা আদিবাসিদের উচ্চারণে সুবলং। অসীম দাকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনিও কিছু বলতে পারলেন না। তবে কি আদিবাসি এলাকার বাঙালি নামকরণ এই শুভলং? জয়দেবপুরকে যেভাবে গাজীপুর বানানো হয়েছে, সুবলংকে কি তেমনি শুভলং বানানোর চেষ্টা চলছে? শহরে এসেও অনেককে জিজ্ঞাসা করলাম, কিন্তু কেউই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারলেন না।
আস্তে আস্তে আমাদের ট্রলার সুবলঙে ভিড়লো। তবে সুবলঙের ঝর্ণা দেখে কিছুটা হতাশই হলাম। ক্ষীণ একটা ধারা প্রবাহিত হচ্ছে সেখানে। সাধারণত দু-তিন দিন বর্ষা থাকলে এই ঝর্ণার যৌবন নাকি উপচে পড়ে। গতকাল বৃষ্টি না হওয়াতে নাকি পানি বেশি নেই। তবে যা আছে তাও একেবারে কম নয়। আমরা আস্তে আস্তে ঝর্ণার পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। নায়াগ্রা, ভিক্টোরিয়া ইত্যাদি যারা দেখেছেন তাদের কাছে হয়তো এই ঝর্ণা কিছুই নয়, কিন্তু আমার মতো হাভাতের জন্য এই ঝর্ণার প্রতিটি ধারা অনুপমবিশেষ। মনে হলে প্রতিটি পানির বিন্দু আমার হৃদযন্ত্রটা পাশ দিয়ে শব্দ করে করে বয়ে যাচ্ছে।
তীব্র বেগে ধেয়ে আসা ঝর্ণার পানি
তীব্র বেগে নিচে পড়া পানি, ক্যামেরা এই বেগ সহ্য করতে পারে নি
কয়েকজন আদিবাসি ছেলেমেয়ে ঝর্ণার এই ক্ষীণ পানিতেই গোসল করছে। তাদের কাণ্ডকারখানা দেখে বেশ আমোদ পেলাম। বিশেষ করে একটা মেয়েকে আমার খুবই পছন্দ হলো , কিন্তু কথা বলার সাহস পেলাম না- যদি কিছু মনে করে! চোখের ক্ষুধা মেটানোই সার!
ঝর্ণার সামনে গেলে যুবতীরাও কিশোরী হয়ে যায়...
পাথরের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকা ঝর্ণা
এরই মধ্যে একটি মেয়েকে দেখলাম পিচ্ছিল পাথর বেয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করছে। তার সাহস দেখে আমার আক্কেলগুড়ুম অবস্থা। যে পিচ্ছিল পাথর, আছাড় খেলে জীবন শেষ সাথেসাথেই। অসীম দাকে জিজ্ঞেস করলাম ঝর্ণার ঠিক উপরে যেতে হলে কী করতে হবে। তিনি জানালেন পাশের পাহাড় দিয়ে ঘুরে যেতে হবে, তাতে যেতে আসতে মোট তিন ঘণ্টা সময় লাগবে।
১৯.
ঘণ্টাখানেক ঝর্ণার নিচে থেকে রওনা দিলাম সুবলং বাজারের উদ্দেশ্যে। দুপুর গড়িয়ে গেছে। মারাত্মক ক্ষুধা লেগেছে। ওখানকার হোটেল সৌদিয়াতে টাটকা মাছ দিয়ে খাওয়া শেখ করে, সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে ট্রলার ঘুরিয়ে রওনা দিলাম পেদা টিং টিং-এর উদ্দেশ্যে। পেদা টিং টিং একটা চাকমা শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ হচ্ছে পেট টান টান। অর্থাৎ মারাত্মকভাবে খাওয়ার পর পেটের যে টান টান অবস্থা থাকে, সেটাকেই বলা হয় পেদা টিং টিং। এই রেস্টুরেন্ট কাম হোটেলটি গড়ে তোলা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা কাপ্তাই লেকে ঘুরতে ঘুরতে এখানে এসে পেট টান টান করে খেয়ে যান।
পেদা টিং টিং-এ এর আগে একবার এসেছিলাম। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। সাথে ডিপার্টমেন্টের বান্ধবীরা ছিলো- ফলে চাইলেও ঘটনাগুলো ভুলা যায় না। এবার নেমে দেখি সেই একই অবস্থায় আছে পেদা টিং টিং। কিছুই বদলায় নি। আমরা বৃষ্টির বিকেলে বসে বসে কফি খেলাম, গল্প করলাম, আর এরই ফাঁকে আমি মনে করার চেষ্টা করলাম ওই বান্ধবীদের কার কার বিয়ে হয়েছে, কার কার হয় নি।
২০.
এই ঝিরঝির বৃষ্টির মধ্যেও বিকেলের সূর্য যাওয়ার আগে উঁকি দিয়ে গেলো। আমরা আস্তে আস্তে ভিড়লাম রিজার্ভ বাজার ঘাটে। অসীম দার বন্ধু, যিনি বোট দিয়েছিলেন তার লোক আসলেন টাকা নেওয়ার জন্য। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম অন্তত হাজার দেড়েক টাকা চাইবেন। কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে চাইলেন মাত্র সাড়ে পাঁচশ টাকা। কেন?
উত্তরের জানালেন, অসীম দার অতিথিদের কাছ থেকে তিনি টাকা নিতে পারবেন না। জাস্ট তেল খরচটা নিচ্ছেন। আমরা বললাম, আমাদের জন্য তো তাহলে আজকে আপনার লাভের টাকাটা মার গেলো! তিনি কী যেন ভেবে বললেন, টাকার চেয়েও বড় হলো সম্পর্ক।
বোটম্যানকে একশ টাকা বকশিশ দিয়ে আমরা আস্তে আস্তে রিজার্ভ বাজারে ঘাটের সিঁড়িগুলো মাড়াতে থাকি। আমরা, নাগরিক প্রজাতিরা যেখানে সম্পর্কের চেয়ে টাকাকে বড় করে দেখতে দেখতে দিনাতিপাত করছি, সেখানে ওই ধরনের একটা কথা বাকি দিনটাকেই মাটি (!) করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
মন্তব্য
পড়লাম। লেখা, ছবি এবং আপনার রসবোধ ভাল লাগলো।রাঙ্গামাটি বেড়ানোর লোভ বেড়ে গেলো।
নৈশী।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ, বেরিয়ে পড়ুন। রাঙ্গামাটি ভালোই লাগবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সিদ্ধার্থের গামছা পছন্দ হইছে।
আরে না। বৌদিরে নিয়ে যাই নাই তো! গামছা কেনা রাঙ্গামাটি থেকেই, বছরখানেক আগে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
চু নিয়া কিছু কইতে গেলেই মনে পড়ে, এইটা বেশ চুবানি খাওয়ায়। আমিও প্রথমে র মারসিলাম, কিন্তু পরে পানি দিতে হইসে। চু আসলেই একটা জিনিস।
সুবলং এর ঝর্না নিয়া আমার আজিব এক অভিজ্ঞতা আছে। যখন গেসিলাম, গিয়া দেখি কতিপয় অবুঝ দামড়া বালক জাঙ্গিয়া পইরা ঝর্নার পানিতে উদ্দাম নৃত্য করতেছে। আর একটু পর পর হুঙ্কার দেয় কুস্তির ভঙ্গিতে। ভাবগতিক সুবিধার না দেখে দূর থেকেই ঝর্না দেখে চলে এসেছি। আমি নিশ্চিত, অইগুলার পেটে চু ছিল।
পেদা টিং টিং জায়গাটা দারুন। আসলে রাঙ্গামাটির পুরো জায়গাটাই আমার ভালো লাগে।
আবারো আপনার লেখা এবং ছবি ভালো লাগলো
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
হা হা হা... আপনার অভিজ্ঞতা বেশ মজা লাগলো। আমরা অবশ্য কিছুটা রয়েসয়ে খেয়েছি।
লেখা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। পারলে সময় করে বেরিয়ে আসুন আরেকবার।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
চু আর দোচুয়ানি কিন্তু দুই বস্তু... কতটুকু রিফাইন্ড এইটার উপর নির্ভরশীল। গারো পাহাড়ে খাইছিলাম হাঁড়িয়া। সেইটা আর্ণিশ মান্দা সেইটা আমাদের সামনেই বানাইলো... তা দেইখা এমন গা ঘিনঘিন করতেছিলো... (কী করবো বলেন... যদি দেখি এক হাঁড়ি ভাতপোকা চটকায়া পানি মিশায়া খাইতে দিছে সেইটা খাওন যায়? কিলবিলে সাদা পোকাগুলো চোখ থেকে সরানো যায়?)
তবে খায়া সেই স্বাদ পাইছিলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ- ঠিক্কথা। চু-বানানোর পদ্ধতি দেখলে অধিকাংশ মানুষেরই খেতে ইচ্ছে করবে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এরকম অনেক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি জীবনে।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমিও হই মাঝে মাঝে। তখন খুব খারাপ লাগে, কেমন কেমন যেন লাগে।
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমরা যখন প্রথম রাঙামাটি যাই তখন সন্ধ্যা। আমার এক বন্ধু চু খাওয়ার পরে রাতে লেক দেখতে গিয়ে বলল- শালার এমন একটা সুন্দর দেশ আমরা শালা যুদ্ধ ছাড়াই পাইয়া গেলাম ভাবতেই মন খারাপ হয়।
আমি বললাম যুদ্ধ ছাড়া তো পাই নাই , তোর বাপ নিজেই তো মুক্তিযোদ্ধা।
সে বলল - আরে রাখ তোর বাপ , আমরা তো কিছু না কইরা পাইয়া গেলাম। কেমন হইয়া গেল না বিষয়টা। এরকম সুন্দর দেশের জন্য আমাদেরও কিছু রক্ত দেয়ার দরকার ।
ভালো লাগলো আপনার বন্ধুর উক্তি।
এমনিতে ঘটনাটা পড়ে বেশ মজা পেলাম। কিন্তু আপনার বন্ধুর শেষ বাক্যটা কিন্তু মারাত্মক।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
রাঙামাটি যেতেই হবে!! ছবি বর্ণনা সবই দুর্দান্ত!!
আগামীবার সময় নিয়ে আসেন। সবাই মিলে ওখানে গিয়ে সচলাড্ডা দিমু না হয়!!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ, রেনেসাঁ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পেদা টিং টিং এ bamboo chicken খেয়েছিলাম, চ্রম লাগসিলো
পরের পর্বে ব্যাম্বোর কথা আসবে। ...তবে পেদা টিং টিং-এ না, অন্য কোথাও খেয়েছিলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কোনটাতে নেশা বেশী হয়?
চু, দোচুয়ানি নাকি মদ?
ছবিগুলো ভালো লাগসে।
নাতাশা
সেটা ডিপেন্ড করে খাওয়ার সময়কার মানসিক অবস্থার উপর। তবে আমার সবগুলোকে একই রকম লাগে!
চু-আর দোচুয়ানি খেতে প্রায় একই রকম। চু-টা একটু বেশি ঘোলাটে। বানানোর পদ্ধতিটা বিশ্রি। সেই তুলনায় দোচুয়ানি দেখতে অনেকটা ভালো।
মদ মানে কী?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভালো লাগল। আসলেই আমাদের বিবর্তন এভাবেই চলছে......রাধানগর জয়দেবপুর সুবলং সবই একই গ্রাসে গিলে ফেলে.......জূলাইয়ে গিয়েছিলাম দুইদিন ঘুরে এলাম রাঙামাটি আর তার আশে পাশের সাইটগুলো। মিলিয়ে দেখলাম আপনার লেখা থেকে দোচুয়ানি পান করা হয়নি.......সুযোগ হয়নি। ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে নিজের আয়েশ মিস করতেই হয়। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। পাহাড়ের কোলজ ছবিগুলো ভালো হয়েছে।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
দোচুয়ানি পান না করে মিস করেছেন। ...তবে এটাও ঠিক ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে নিজের আয়েশ মিস করতেই হয়। এমন অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন