যখনই যমুনার উপর দিয়ে যাই, তখনই এই অনুভূতিটা হয়। এ নিয়ে কয়েকবার। যমুনা ছাড়াও অন্য নদীর বুকের উপর দিয়ে চাকা চলে, কিন্তু বারবার কেন যেন যমুনাকেই মনে হয় মানুষের কাছে পরাজিত। হতে পারে চোখের সামনে দিয়ে যমুনার উপর সেতুটি বড় হয়েছে বলে, হতে পারে যমুনার মাঝখানের চরের বিশালতা দেখে। নদীর বুকে এতো বড় চর আর কোথাও দেখি নি। অভিমানে যমুনা দেবী বুকের উপর চরকে শুতে দিয়ে পানিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে দিন দিন? কে জানে, অভিমানের চাপা ভারে চরের মাটিগুলো একদিন হয়তো পাললিক শিলা হয়ে যাবে! মানুষের অভিমান পোষ মানানো যায়, সহজেই। নদীর অভিমান নদীর ওপর নির্ভরশীল প্রতিটি গাছ, প্রাণী, বালুকণা কিংবা বাতাসের প্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে- সবাই তখন দেখাদেখি অভিমান করতে থাকে! আর কে না জানে প্রকৃতির যুথবদ্ধতা প্রকৃতির সবচেয়ে বড় শক্তি! সময় বাঁচানোর তাগিদে কিংবা সভ্যতা বিকাশের উন্মত্ততায় মানুষ হয়তো তা টেরই পায় না! সমস্যা হলো, যখন টের পাবে, তখন অভিমানে অভিমানে নদী নিজেকে পুরোপুরি লুকিয়ে ফেলবে মাটির তলায়! মানুষের হাহাকারে যমুনা, এখনও, অভিমান নিয়েও বুকের জল উথলায়-পাথলায়; মানুষের মুমূর্ষু কাতরতায় ফিরে তাকাবার শক্তিটুকুও ওই সময় যমুনার থাকবে না।
০১.১১.০৯
২.
কুমিল্লায় কুকুর-সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশের যতো হাইওয়ে আছে, তার প্রত্যেকটিতে অন্তত একবার করে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কুমিল্লায় রাস্তায় যে পরিমাণ কুকুর দেখা যায়, অন্য কোনো রাস্তায় শতভাগের এক ভাগও মেলে না। সমস্যা সেটা না- রাস্তার কুকুর তো রাস্তায়ই থাকে! কতো মানুষই তো রাস্তায় থাকে! অনেক কুকুরের পাকা মেঝেতে শোয়ার বন্দোবস্ত থাকলেও প্রচুর মানুষ আছে যারা কখনোই একটা পাকা বাড়ি চোখেও দেখে নি। যেটা বলছিলাম- কুমিল্লার কুকুরের কথা মনে হলো এই দিনাজপুরে এসে। বাঁশেরহাটের ঠিক আগে আগে রাস্তায় একটাকে মরে পড়ে থাকতে দেখলাম। উত্তরবঙ্গে গত দুদিনে এই প্রথম মৃত কুকুর দেখলাম। অথচ কাঁচপুর ব্রিজ পার হয়ে মোটামুটি ফেনী পর্যন্ত যে রাস্তাটা, এই ১২০ কিলোমিটারের মধ্যে সেখানে অন্তত ১০-১৫টি মরা কুকুর পড়ে থাকতে দেখা যাবে। এই আমার গাড়িই তো সেদিন একটা কুকুর মেরেছে!
এর কারণ কী? ধূর, মানুষ নিয়েই চিন্তায় বাঁচি না- এ সামান্য কুকুর! কুত্তা! কুত্তা মরলে আমার কী? আমার কিছু না। কিন্তু থ্যাঁতলানো, রক্ত-মগজ বের করা, দলা মাংসপিণ্ড দেখলে গা গুলায়! ভাত খাবার সময় মনে হলে পাকস্থলীর পিস্টন ভাতগুলোকে সহজে নামতে দেয় না! না হলে কুত্তা মরলে আমার কী? কুকুররা মানুষনির্মিত সভ্যতার সাথে এখনও একাত্ম হতে পারে নি- মরবেই; ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলার শিক্ষা ওদের দেওয়া হয় নি- তাই মরে পরে থাকে। কুত্তার বাচ্চা তো, একটাকে মরতে দেখেও শিক্ষা হয় না! আবার সে নিজেও রাস্তায় দুদিন পরে এভাবেই মরে পড়ে থাকে। খেতে পায় কিনা কে জানে! মানুষের কাছ থেকে কি প্রতিবাদের ভাষা শিখে এসেছে- রাস্তা না যাওয়া পর্যন্ত দাবি আদায় হবে না? খাওয়া না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়া যাবে না? কে জানে? হতেও পারে। দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব না! আর রাস্তায় নামলে কুত্তার মরণ এদেশে অস্বাভাবিক কিছু না।
আচ্ছা, এমন কি হতে পারে ‘কোন এক বিপন্ন বিস্ময়ের’ ঠেলায় কুকুরগুলো রাস্তায় দামি লেক্সাস-আরএমটু-ভলভো-স্ক্যানিয়ার নিচে মরে সুখ পেতে আসে?
০২.১১.০৯
৩.
যতো বঙ্গ আছে, তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের মানুষ রাস্তা পার হতে সবচেয়ে বেশি কেয়ারলেস। কথা নেই, বার্তা নেই- হুট করে দৌড় মারে! একটু আগে এক মুরুব্বি রাস্তা পার হলেন- মোটামুটি ঘাড় ঘুরিয়ে দুদিকে দেখে যে পার হতে হয়- সেই নিয়ম পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে। এদিকে আমার গাড়ি, ওদিকে হানিফ পরিবহনের গাড়ি- দুটোই কড়া ব্রেক কষলো। ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে গোটা তাবাড়িয়া বাজারে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হলেন মুরুব্বি- অথচ কোনো বিকার নেই! গাড়ির কাচ নামিয়ে শুনলাম অভিধানে না থাকা বেশ কয়েকটি শব্দ নিবেদন করছেন আমাদের উদ্দেশ্যে। বিমলানন্দ পেলাম। আচ্ছা, একটা গালিয়ভিধান বানালে কেমন হয়? বাংলা একাডেমী আবার সেন্সরশিপ আরোপ করবে না তো?
০৩.১১.০৯
৪.
নানা কারণে হিন্দি গান শোনা হয় কম। এখনও মোটামুটি তু চিজ বারি হায় মাস্তে মাস্তের জমানায় আটকে আছি। আহা! ওই কোমরের জন্য কতোদিন ঘুমাতে পারি নি! এর ঠিক পরের আমলের মোটামুটি জনপ্রিয় গানগুলো মাঝে মাঝে শোনা হয়েছে। অধিকাংশ হিন্দি গান আসলে শোনা হয় রাস্তার পাশের ক্যাসেটের দোকানে। যেতে যেতে একটুখানি সুর বাতাসে ভেসে আসে- পছন্দ হলে দাঁড়িয়ে পুরোটাই শুনে ফেলি। মাঝখানে যে হিন্দি গানে নানা কিসিম চলে এসেছে, সেটা জানাই হয় নি।
গাড়িতে বসে ল্যাপটপে গুতাচ্ছি- কালকের প্ল্যান। ড্রাইভার আক্কাস ভাই গান শুনতে শুনতে গাড়ি চালান, এবং যথারীতি হিন্দি। হঠাৎ করে শরীরটা কেমন যেনো নেচে উঠলো! বাইরে যদিও গাম্ভীর্যের মুখোশ যথারীতি পরা, কিন্তু শরীরে ভেতরকার রক্ত নাচানাচি শুরু করে দিলো। ব্রয়লারের বাইরের দিক দেখে ভেতরকার ফুটন্ত পানির নাচানাচি বুঝা যায় না। ওদিকে ভেতরে মনে হচ্ছে (এর পরে যা যা লেখা হবে সেগুলোর যথার্থতা কিংবা সঠিকতা নিয়ে অনার্য্য সঙ্গীত যাতে নাক না গলায়, হুশিয়ার!) হাইপোথ্যালামাস গ্রন্থি পামেলাকে নিয়ে একবার ডান হাতে, আরেকবার বাম হাতে যাচ্ছে। একবার উপরে উঠছে তো আরেকবার নিচে নামছে। ডিএনএর সাইটোসিন-গুয়ানিন-এডিনিনরা ধমনী ছেড়ে শিরায়, শিরা থেকে ধমনীতে কুর্নিকোভার সাথে ভরতনাট্যম করছে, কলজেটা মোটামুটি রাভিনা ট্যান্ডন ট্যান্ডন ট্যান্ডন ট্যান্ডন হয়ে গেছে ইতোমধ্যে, বামপায়ের কড়ে আঙ্গুল দেখি শাবনূরের মতো লাফাচ্ছে, পাকস্থলীর জারক রস দুলতে দুলতে ইয়ের (এর নাম বলা যাবে না) বৃষ্টিভেজা শাড়ি দেখছে- সে এক এলাহী কাণ্ড! মর জ্বালা, ঠোঁটও দেখি ক্রমাগত নিশপিশ করছে! মাঝখানে ঐশ্বরিয়া কোন ফাঁকে হৃৎপিণ্ডের লাল পানি সঞ্চালনেও স্পিড বাড়িয়ে দিয়েছে। আর আমি এদিকে চোখ বুঁজে রাণী মুখার্জির কোমরের একটু নিচে ধরে ঝাঁকাচ্ছি- আওওওসেইইওওওওও... আওসেইওও.. টুটে দিল কি ফির সাহি না যায়েয়েয়েয়েয়েয়েয়ে....
রাণীর সুড়সুড়ি লাগছে। আমার করার কিচ্ছু নাই । আহা! টুটে দিল কি ফির সাহি না যায়েয়েয়েয়েয়েয়েয়ে....
আচ্ছা, এই লাইনটার মানে কী?
০৪.১১.০৯
মন্তব্য
লেখার শেষের ঐ লাইনটা রাণী মুখার্জির উপর চিত্রায়িত নয়, ওটি 'তাল' ছবির গান। লাইনটা আদতে এই রকম:
আও সইয়াঁ, টুটে দিল কি পীড় সহি না যায়ে, অর্থাৎ এসো হে সাথী, ভগ্নহৃদয়ের বেদনা (পীড়া) আর সইতে পারি না।
মূলোপাঠুদা, রাণী মুখার্জির ওপর চিত্রায়িত হোক না হোক, আমি রাণীর কোমরের নিচের অংশ ধরেই নাচবো । রাণীকে আমার কাছ থেকে কেউউউ কেড়ে নিতে পারবে না ।
আর তাই তো, আমিও তো সেই একই কথা কই, রাণীকে- এসো হে সাথী, ভগ্নহৃদয়ের বেদনা আর সইতে পারি না।
হে মূলোদা, আপনার ভুল এইবার পাইসি- শব্দটা 'রাণী মুখার্জির উপর' হবে না, হবে 'রাণী মুখার্জির ওপর'। কী যে আনন্দ লাগছে আপনার লেখায় ভুল ধরতে পেরে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বিষয়গুলো নিয়ে আপনার মতো করে চিন্তা করা হয়ে উঠেনি।আপনার ভাবনার বিষয়গুলো বেশ চিন্তায় ফেলে দিল।
লেখাটা ভাল লেগেছে। তারা।
ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি নিজেও এরকম চিন্তা করি না। গাড়িতে অলস বসে থাকতে থাকতে চিন্তাগুলো হঠাৎ চলে এসেছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার বাকরুদ্ধ করার চেষ্টার 'তেব্র পিত্তিবাদ' জানাই
হেহে... নাক গলানোর জন্য না, আপনার সঠিক অবস্থাটা বোঝার জন্য গানটা আবার শুনলাম। হিন্দী গানের ক্ষেত্রে আপনার অবস্থানও আপনার মতো প্রাচীন প্রস্তর যুগে। কেবল এ আর রহমান এর সৃষ্টি আর কৈলাস খের ও রাহাত ফতেহ আলী খানের গান বাদে। এই কয়েকজনের ব্যপারে আমি আপডেটেড থাকার চেষ্টা করি। আপনি যে গানটির কথা বলেছেন সেটি এ আর রহমানের সৃষ্টি। তাই আমার সংগ্রহে ছিল।
কথাটি 'টুটে দিল কি ফির' নয় 'টুটে দিল কি পীড়' হবে। অর্থ, "এই ভাঙা হৃদয়ের ব্যথা সহে না..."
[শুধু গৌতমদা'র জন্য: মিউজিক ভিডিও'টা দেখে নিয়েন। বচ্চন পুত্রবধুর কোমর সংক্রান্ত জটিলতা দেখতে চাইলে ]
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনারে বাকরুদ্ধ করার চেষ্টা করলাম কই? শব্দটা কি 'নাকরুদ্ধ' হবে? মূলত পাঠক ভাইরে জিজ্ঞেস করা দরকার।
ভাইজান, মিউজিক ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন? গানটা দেখতে মঞ্চায়।
তবে গানে বচ্চন পুত্রবধু থাকুক বা না থাকুন, আমি যখন থাকবো আমার সাথে অবশ্যই রাণী থাকবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
০১.১১.০৯>
০২.১১.০৯>
০৩.১১.০৯>
০৪.১১.০৯>
ওয়াও, নাহ্ বলা হল না কি যেন বলা উচিৎ-অভিধান আর অনুধাবন কোন খানে খোঁজা গেল না। 'বেশ সুখ পাঠ্য' নিউরণ তাড়ানিয়া মধ্য রাতে কোথায় যেন সুড়সুড়ি লাগল। যাই।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কাঁচপুর পার হলেই রাস্তার দিকে লক্ষ্য রাখবেন- দেখবেন মরা কুকুর দেখা যাবেই।
হুমায়ূন আজাদ শুরু করেছিলেন কিনা জানি না, তবে একটা গালিয়ভিধান হলে মন্দ হতো না। অন্য কেউ যদি শুরু করতো!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সব নায়িকারে তো দেখি আপনে একলাই দখল করে নিলেন... ফাইজলামি পাইছেন? ডিজিএম কইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সব নায়িকারে দখল করলাম কই? আপনার জন্য মুনমুনরে রাখলাম না?
...আর ডিজিএম মানে কী?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ঘোরাঘুরি তাইলে ভালই চলছে। ভাল লাগছে লেখাটা গৌতম দা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
গাড়ির লগ অনুসারে মাত্র ১৫৬৪ কিলোমিটার ঘুরলাম।
লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি লাগছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এখনও মোটামুটি তু চিজ বারি হায় মাস্তে মাস্তের জমানায় আটকে আছি। আহা! ওই কোমরের জন্য কতোদিন ঘুমাতে পারি নি!
অনেকদিন পর নষ্টালজিয়ায় ভুগলাম।কতদিন ঘুমাতে পারি নাই। আহা রাভিনা তুমি স্বর্গে যেেয়া।
স্বর্গে যাবে কিনা জানি না, তবে আমি যেখানে যাবো, রাভিনা-রাণী, ওরাও সেখানে যাবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কিন্তু ট্রাক ড্রাইভার ছাড়া অন্যান্য যানবাহনের ড্রাইভাররা তো সাধারণত কুকুর বিড়াল দেখলে পাশ কাটিয়ে এড়িয়ে যায় বা অনেক দূর থেকে জোরে হর্ন দিয়ে তাড়িয়ে দেয়৷ মারে না তো৷ আর হাইওয়েতে হঠাত্ এসে পড়া কুকুর বা বিড়াল মারলে বেশ দু:খ পায়৷ ট্রাক ড্রাইভাররা অবশ্য গাঁ গাঁ করে চালিয়ে যায়৷ ওরা মনে হয় ঠিক সেন্সে থাকে না তখন৷ আপনি আগেও একবার রাস্তার ধারে অনেক মরা ছিন্নভিন্ন কুকুরের কথা লিখেছিলেন৷ ঐ রাস্তায় কি খুব ট্রাক চলে? কিম্বা স্পীড লিমিট নেই, তাই গাড়ীগুলো যথেচ্ছ জোরে চলে আর সামনে এলে আর সামলাতে পারে না?
আমি কুকুর খুব ভালোবাসি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ওই রাস্তা বোধহয় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাস্তা। ট্রাক তো বটেই, সবকিছুই বেশি বেশি চলে।
সমস্যা হলো, কুকুরগুলো হঠাৎ এসে পড়ে না। রাস্তায়ই দেখা যায় ঘোরাফেরা করছে, সংখ্যায় প্রচুর। আমার এমনও দেখা যায়, রাস্তা পার হতে গিয়ে কুকুরগুলো মারা পড়ছে। আমার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে যে কুকুরটা মারা গিয়েছিলো, সেটি রাস্তা পার হতে গিয়ে দেখে একদিকে আমার গাড়ি, অন্যদিকে আরেকটা গাড়ি আসছে, মাঝখানে সেটি। কোনদিকে যাবে বুঝতে না পেরে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে দুটো গাড়িরই অবস্থা এমন যে, ব্রেক কষার উপায় নেই, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। আর ব্রেক কষলেও গাড়িরই অ্যাকসিডেন্ট হবার সম্ভাবনা। ফলে কুকুরটিকে চাপা দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে জানলাম, এই রাস্তায় ঠিক এভাবেই প্রচুর কুকুর মারা যায়। আর মরে যাওয়া কুকুর কেই পরিষ্কার করে না। রাস্তায়ই পড়ে থাকে। ড্রাইভাররা তো এখন বলে- রাস্তায় উঠলে এক মাস। অর্থাৎ কুকুর যেদিন রাস্তায় উঠবে প্রথম, তার এক মাসের মধ্যেই সেটি মারা যাবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
উত্তরবঙ্গের রাস্তা মনে হয় কোরিয়ানদের বানানো
এটা অবশ্য একটা ভালো কথা বলেছেন। হতেও পারে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
একবার সিলেটে এক উপজাতীয় পল্লীতে গিয়েছিলাম। নামটা মনে করতে পারছি না। সেই পল্লীর মধ্যে অনেক কুকুর ছিল। ওই পল্লীর লোক ছাড়া এক পা চলার উপায় ছিল না।
নাচো ভালো কথা কিন্তু সাবধানে ...............ঃ)
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপু, উপজাতি শব্দটা শুনলে খুব অস্বস্তিবোধ করি।
নাচতে নেমে সাবধানে থাকা কেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপু, উপজাতি শব্দটা শুনলে খুব অস্বস্তিবোধ করি।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
উপজাতির চেয়ে 'আদিবাসী' কিংবা 'ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা' - যেটি প্রযোজ্য সেটি লেখা যায়।
আর জায়গাটার নাম মনে করতে পারলে জানাবেন। আমি তো নানা জায়গায় যাই, কখনও গেলে ঘুরে আসবো সেখান থেকে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন