প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে কয়েকটি কথা

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: সোম, ১৪/০৬/২০১০ - ৮:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে কয়টি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, তার একটি হচ্ছে প্রাথমিক স্তরে শিশুদের ভর্তির হার সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করা। ব্যানবেইসের হিসাবমতে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরে ভর্তিযোগ্য শিশুদের ৯৪ শতাংশই প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হচ্ছে। সাফল্যটির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হচ্ছে, বছরের পর বছর এ উচ্চ-অর্জনকে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ অর্জন বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে নতুন পরিচিতি দিয়েছে। প্রাথমিক স্তরে শিশুভর্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কথাবার্তা উঠলে বাংলাদেশ সেখানে উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

১৯৯০ সালে থাইল্যান্ডের জমতিয়েনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে বাংলাদেশ ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কর্মসূচিতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পর থেকেই মূলত প্রাথমিক শিক্ষায় সব শিশু ভর্তির বিষয়টি গুরুত্ব পেতে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬-১০ বছর বয়সী সব শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করা হয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনগুলোও এ কাজে এগিয়ে আসে।

কিছুদিন আগ পর্যন্তও প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের ভর্তির বিষয়টি সরকারের মূল ফোকাসে থাকলেও এ হার সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছার পর সরকার প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিসহ অন্য কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিতে শুরু করে। ভর্তির ক্ষেত্রে সাফল্য আসলেও শিক্ষার গুণগত মান ও ভর্তিকৃত সব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় নি। গবেষণা থেকে দেখা গেছে, প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিশুদের প্রায় অর্ধেক পঞ্চম শ্রেণী পাশ করে। মানে অর্ধেক শিশুই মাঝপথে কোনো না কোনো শ্রেণীতে ঝরে পড়ছে। গবেষণা থেকে এটাও দেখা গেছে, পঞ্চম শ্রেণী পাশের পর শিশুরা আসলে তৃতীয় শ্রেণীর যোগ্যতা অর্জন করছে; মাত্র দুই শতাংশ শিশু পঞ্চম শ্রেণীর উপযোগী সব যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে। এই ফলাফলই প্রমাণ করে, ভর্তির উচ্চ হার শেষ পর্যন্ত সফল সমাপ্তিতে পরিণত হতে পারছে না।

বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার সুস্থির হওয়ায় সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে অন্য দিকগুলোতে নজর দেওয়ার। সম্প্রতি সরকার প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। দুটো কর্মসূচিরই উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, এগুলো একাধারে শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও প্রাথমিক শিক্ষা সফলভাবে শেষ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম। পাঁচ বছর বয়সী সব শিশুর প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তারা প্রাথমিক শিক্ষায় প্রবেশের আগেই আনন্দদায়ক নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিদ্যালয়-ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হবে। এ সময় শিশুর কাছে শিক্ষাপ্রক্রিয়াকে যদি আকর্ষণীয় করা যায়, তাহলে শিশুর বিদ্যালয়ে আসার আগ্রহ তৈরি হবে যা পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করায় সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়া এ সময় নানা খেলা, সঙ্গীত বা হাতেকলমে কাজের মাধ্যমে বর্ণমালা, সংখ্যা, গণনা ইত্যাদির সাথে যে পরিচয় ঘটবে, তা শিশুর শিখনকে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী করবে। এখন প্রথম শ্রেণীতে যা যা শেখানো হয়, তার কিছু কিছু তখন প্রাকপ্রাথমিক স্তরেই শুরু করা যাবে এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় পরবর্তী শ্রেণীতে এই শিখনগুলো দৃঢ় করা যাবে। এতে শিশুর পরবর্তী শ্রেণীর শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও সেটিকে আরো ভালোভাবে বুঝার ক্ষমতা তৈরি হবে। অর্থাৎ প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষায় একদিকে শিশুর উপস্থিতি ও পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ তৈরি করা যাবে; তেমনি তা পড়ালেখার গুণগত মান বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাকপ্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আসা শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে তুলনামূলভাবে ভালো ফলাফল করে।

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিও একইভাবে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। যদিও সঠিক সংখ্যা জানা নেই, কিন্তু দেশের বিপুল সংখ্যক শিশু বিদ্যালয়ে যেতে পারে না বা গেলেও পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারে না খাবারের অভাবে। যে শিশু সকালে বাড়ি থেকে না খেয়ে আসে, বিদ্যালয়ের পড়ালেখায় স্বভাবতই সে মনোযোগী হবে না। ক্ষুধা পেটে কতোটুকু পড়ালেখা সম্ভব? উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় গত কয়েক বছরে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা কিছু জায়গায় পুষ্টিকর বিস্কুট খাবার কর্মসূচি শুরু করেছিল। এ প্রকল্পগুলো থেকে দেখা গেছে, পুষ্টিকর খাবার কর্মসূচি শিশুদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিস্কুট খাওয়ানো হয় যে বিদ্যালয়গুলোতে, সেখানে শিশুদের উপস্থিতি থাকে বেশি। খাবারের কারণে তাদের ক্ষুধা কিছুটা নিবৃত্তি হয় বলে তারা পড়ালেখায়ও মনোযোগ দিতে পারে। এর আরেকটি সরাসরি প্রভাব হলো, বিস্কুট বা খাবার পুষ্টিকর দেওয়া হলে তা শিশুর স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ একটি কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তিনটি অর্জন সম্ভব হচ্ছে।

এ কাজগুলো স্থানীয় পর্যায়ে দেশের নানা জায়গায় বাস্তবায়ন করছিল বেসরকারি সংস্থাগুলো। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এসব বিষয় নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। টাকার অভাব বা অন্য কোনো সীমাবদ্ধতার কারণে বিগত দিনে এগুলো নিয়ে তেমন কোনো সরকারি উদ্যোগ দেখা যায় নি। বর্তমান শিক্ষানীতিতে প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ায় এখন এ নিয়ে অনেক কাজ হবে বলে আশা করা যায়।

দেশে প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা চালু বা স্কুল ফিডিং কর্মসূচি কোনোটিতেই সরকারের অভিজ্ঞতা খুব একটা নেই। এ বিষয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলো বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছে। কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন সরকারের জন্য তাই চ্যালেঞ্জ বটে। এটা ঠিক, কোনো কাজ স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন আর পুরো দেশে বাস্তবায়ন করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সেই অর্থে বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্যও এটা চ্যালেঞ্জ যে, সরকারের এ কর্মসূচির সাথে তারা কতোটুকু ও কীভাবে কাজ করতে পারবে। যেহেতু বেসরকারি সংস্থাসমূহের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই সরকার তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে। প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক কাজ করছে। এ বয়সের শিশুদের উপযোগী বইপত্র ও অন্যান্য উপকরণ অনেক সংস্থা ইতোমধ্যে তৈরি করেছে। তাদের সাথে নিয়ে প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের কাজটি একসাথে করা যায়।

এ কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নে সমস্যা হতে পারে সঠিক ব্যবস্থাপনায়। দেশে বিরাশি হাজারেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটিতে প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করতে গেলে বিপুল সংখ্যক মানুষের অন্তর্ভুক্তি ও তাদের কাজ যাতে সূচারুরূপে সম্পন্ন হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। আর শুধু প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করলেই চলবে না, গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ধাপে যথাযথ মনিটরিং ও সুপারভিশন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী যখন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তখন সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাস্তবায়নের এ দিকটি সামাল না দেয়া গেলে পুরো কর্মযজ্ঞটি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। এর আগে যখন বন্যা বা অন্যান্য কারণে বিদ্যালয়ে শিশুদের খাবার বিতরণ করা হতো, তখন সেখানে নানা দুর্নীতির কথাও শোনা গেছে। আগে থেকে এসব বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন না করলে স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতেও যে এমনটি ঘটবে না তা বলা দূরূহ। আশা রাখতে চাই, সরকার এসব বিষয় চিন্তাভাবনা করেই এ কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।

*
প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষার প্রসঙ্গ যেহেতু এলোই, সেহেতু এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। দেশের বড় শহরগুলোতে নামিদামি বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য শিশুদের আগে থেকেই নানা বিষয় মুখস্থ করিয়ে ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী করে তোলা হয়। শিশুর যেসব বিষয় শেখার বয়স হয় নি বা যেগুলো তার বিদ্যালয়ে শেখার কথা, ভর্তি পরীক্ষার ফাঁদে পড়ে সেগুলো তাকে ভর্তির আগেই শিখতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক দুপক্ষই দায়ী, দায়ী এই শিক্ষাব্যবস্থাও। শিশুর মানসিক বিকাশ ও পড়ালেখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি শিশুর মনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। দেশে যেহেতু প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে নীতি তৈরি হচ্ছে এবং এ আলোকে সারা দেশে প্রাকপ্রাথমিক চালু হচ্ছে, সেহেতু ঢাকার মতো বড় বড় শহরের বিদ্যালয়ও যেন এ নীতির আওতায় চলে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নামিদামি বিদ্যালয়গুলোয় প্রাকপ্রাথমিকে ভর্তির আগেই শিশুকে যেন দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণীর সিলেবাস শেষ করে আসতে না হয়, তা নিশ্চিত না করা গেলে প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। ভর্তি ও পড়ালেখার নামে শিশুকে এ অত্যাচার থেকে রেহাই দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।


মন্তব্য

স্বাধীন এর ছবি

ভর্তি ও পড়ালেখার নামে শিশুকে এ অত্যাচার থেকে রেহাই দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

সহমত। আগামী বছর দেশে আসবো আর ভাবছি আমার মেয়ের কি হবে। ওর জন্য স্কুল পাবো কি? ও তো বাংলা বলতে পারে অল্প অল্প কিন্তু লেখা এখনো রপ্ত করে উঠতে পারেনি। অথচ এক বছর স্কুলে গেলে সবই শিখে ফেলতো সহজে। কিন্তু এখন স্কুলে যাওয়ার আগেই তাকে শেখাতে হবে। সমস্য হল বাবা-মার কাছে বাচ্চার পড়তে চায় না, কিন্তু টীচার যাই বলে তারা তা পালন করে।

এখানে এড়িয়া ভাগ করা। তুমি যে এড়িয়াতে থাকো, সে এড়িয়াতে তোমার বাচ্চার ভর্তি নিশ্চিত। আর অন্য এড়িয়াতে যদি যেতে চাও তবে যতজন আবেদন করবে যদি সিট তার চেয়ে কম হয় তবে সেটা লটারীর মাধ্যমে বাছাই করবে। এই ছোট ছোট বাচ্চা গুলোকে জীবনের শুরু থেকেই এক রকম অসুস্থ প্রতিযোগীতার মাঝে ঠেলে দিয়ে আমরা তাঁদের মাঝের যে প্রতিভা সেটাকেই মেরে ফেলি। এই ভর্তি ব্যবস্থার আসলেই পরিবর্তন হওয়া উচিত।

গৌতম এর ছবি

আপনি সম্ভবত একটু সুবিধা পাবেন। বিদেশ থেকে আসা মানুষদের বিদ্যালয় এই সুবিধাটুকু দিয়ে থাকে- যতোটুকু জানি। বাংলা না পারাটা এখানে অনেকক্ষেত্রে যোগ্যতা, ইংরেজি জানাটা বাড়তি যোগ্যতা। সুতরাং মেয়ের ভর্তি নিয়ে খুব একটা আশা করি ভাবতে হবে না।

বাংলাদেশে এ সমস্যাটা শুধু বড় বড় শহরে। কারণ এ শহরগুলোতেই 'ভালো' বিদ্যালয়গুলোর অবস্থান। সরকারকে এগুলো নিয়ে কিছু একটা করার জন্য অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে, কাজ হয় নি। এবার যেহেতু প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে নীতিমালাই তৈরি হয়েছে, আশা করতে পারি হয়তো সরকার এদিকে নজর দিলেও দিতে পারে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

দুর্দান্ত এর ছবি

প্রথমেই একটি সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। আদতেই বাধ্যতামূলক প্রাকপ্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুলে বিস্কুট খাওয়ানোর সুফল আমরা দেখবো। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যত। তাদের ছাত্রজীবনের শুরুটা পোক্ত হলে আমাদের সম্ভাবনার গন্ডিটি আরো বড় হয়। এর পাশাপাশি যদি আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাব্যাবস্থাকে একমুখী, জীবনমুখী করা যায় তাহলেই এই সজীব সম্ভাবনাগুলোর উপযুক্ত ব্যাবহার হবে।

গৌতম এর ছবি

...তবে আমি কিন্তু এটাও মনে করি (যদিও পোস্টে লিখি নি) স্কুল ফিডিং কর্মসূচি একটা ঠেকা দেওয়া কর্মসূচি। রাষ্ট্রের খুব বেশিদিন এই কর্মসূচি চালানো উচিত নয়। আর সব বৈষম্য জিইয়ে রেখে শুধু বিদ্যালয়ে বিস্কুট খাইয়ে শিশুদের বিদ্যালয়ে আনা দীর্ঘমেয়াদে সম্ভব হবে না। এটাকে স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করাটাই যুক্তিযুক্ত হবে।

ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আলমগীর এর ছবি

গৌতমের পুলাপানের কোন চিন্তাই করতে হবে না। সব চিন্তা তার বাপে করে রাখতেছে। দেঁতো হাসি

গৌতম এর ছবি

হা হা হা! আমার পুলাপানগুলা বদ হইব তো! তাই অ্যাডভান্স চিন্তা করে রাখছি। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একবার মন্তব্য করলাম সেটা কিভাবে যেন হারিয়ে গেল।

যতদূর জানি পশ্চিমবঙ্গের সরকারী স্কুলগুলোতে "মিড ডে মিল" ব্যবস্থা চালু আছে। এটা খুবই জরুরী বিষয়। পেট খালি রাখলে মাথায় বিদ্যা ঢুকবেনা। এই ব্যবস্থাতে অনিয়ম দুর্নীতির অনেক স্কোপ আছে সত্য, তবু "স্কুল ফিডিং"-এর ব্যাপারে সরকার সিরিয়াসলী ভাবুক।

স্কুলে ভর্তির ব্যাপারটা আরো বিস্তারিত আলোচনা হওয়া দরকার। এই ব্যাপারে স্বতন্ত্র ও বিস্তারিত পোস্টের দাবি জানিয়ে গেলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

১. ওই মন্তব্যটা আবার করেন।

২. যতদূর শুনেছি সরকার সিরিয়াসলিই ভাবছে। তবে ভাবনা আর বাস্তবায়ন পুরোপুরি ভিন্ন ব্যাপার। আমার উদ্বেগ বাস্তবায়নে।

৩. দাবি জানালেই রাখতে হবে নাকি? অন্তত কয়েকটা গাড়ি ভাংচুর করেন, দুএকটা হরতাল দেন, হরতালের আগের দিন লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করে পত্রিকার পাতায় শিরোনাম হোন- তাইলে না আপনার দাবির কথা চিন্তা করতে পারি। চোখ টিপি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. এই কথাগুলোই বলেছিলাম - শুধু ভাষাটা একটু ভিন্ন ছিল।

২. ভাবনা > পরিকল্পনা > বাস্তবায়ন। প্রতি ধাপে এক টার্ম করে সময় নিলে তো কথাই নেই। কে জানে আগামী কোন একবারে কোন দলের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে এটা ঠাঁই পেয়ে যেতে পারে।

৩. আন্দোলন/দাবি জানানোর যে সব পদ্ধতি বললেন সেগুলো পুরনো হয়ে গেছে। শুধু লুটপাটের ব্যাপারটা পছন্দ হয়েছে। আপনার সংগৃহীত বইয়ের ভাণ্ডার লুট করতে পারলে আপনার কাছ থেকে পোস্ট আদায় করা সহজ হবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

১. হায় হায়! নিশ্চয়ই খ্রাপ শব্দ ব্যবহার করেন নাই! চোখ টিপি

২. ভাবনা বলতে এখানে ভাবনা ও পরিকল্পনাকে বুঝিয়েছিলাম। যতোটুকু জানি, এদুটোর কাজই শেষ। এখন বাস্তবায়নের পালা।

৩. পুরনো হলেও বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই পদ্ধতি কার্যকর। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

Farhan Azim এর ছবি

চমৎকার একটি লেখনীর জন্য ধন্যবাদ দাদা...আরো ধন্যবাদ লিংকটি ফেসবুকে শেয়ার করার জন্য...

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ ফারহান। তবে এ বিষয়ে তোমার মতামত জানলে উপকৃত হতাম। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।