সপ্তম শ্রেণীতে একবার ক্লাশ ক্যাপ্টেন হয়েছিলাম। ক্যাপ্টেনের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হতো, যার একটা হচ্ছে শিক্ষকের হুকুমমতো হেডস্যারের কক্ষ থেকে বেত আনা। এই কাজটা করতে খুব একটা ভালো লাগতো না, কারণ পড়া না পারলে বেতের বাড়ি থেকে ক্যাপ্টেনেরও রক্ষা নাই। তবে যেদিন নিজের মার খাবার বিষয় থাকতো না, সেদিন অবশ্যই বেত আনতে-যেতে স্বর্গীয় সুখ অনুভব করতাম। বিশেষ করে কয়েকটা দুষ্ট পোলাপান ছিল, ওদের শায়েস্তা হতে দেখে স্বর্গীয় সুখ দ্বিগুণ বা তিনগুণ না; কয়েকগুণ বেড়ে যেত । শিক্ষকের হাতে মার খাওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে এতোটাই স্বাভাবিক ছিল যে, কোনোদিন কোনো কারণে ক্লাশে মার না খেলে আমরা দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করতাম- না জানি কী কেয়ামত হতে যাচ্ছে! কারণ একবার কী এক অপরাধের পর (সম্ভবত পিটি ক্লাশে আমরা কয়েকজন ক্লাশে লুকিয়ে ছিলাম, সেই অপরাধে) নির্ধারিত শিক্ষক আমাদের মারলেন তো না-ই, বরং মিষ্টিমধুর অনেক কথা বলেছিলেন। আর পরবর্তী ক্লাশে এসে প্রধান শিক্ষক পুরো ক্লাশ ধরে পিটিয়ে অন্তত ৬/৭টা বেত ভেঙ্গেছিলেন। পরে জেনেছিলাম, নির্ধারিত শিক্ষক একটু কম পেটাতে পারেন বলে প্রধান শিক্ষককে দিয়ে এই অপরাধে আমাদেরকে পিটিয়েছিলেন। সুতরাং শিক্ষকদের হাতে মার খাওয়া আমাদের কাছে ক্লাশে ফাঁকি দিয়ে টয়লেটে যাওয়ার মতো স্বাভাবিক ঘটনাই ছিলো। তবে মাত্র দুটো ঘটনা শিক্ষকদের শারীরিক শাস্তি দেওয়ার কাজটিকে আমার কাছে মারাত্মক ভীতিপ্রদ, এমনকি ট্রমাটিক করে তোলে।
আমাদের এক বন্ধু, আলামিনের অভ্যাস ছিল গোসল না করে স্কুলে আসা। ওটা আরো অনেকেই না করে আসতো, কিন্তু আলামিনকে দেখলেই কেমন যেন মনে হতো সাতদিন ধরে পানির সাথে তার কোনো যোগাযোগ নাই। সেদিনও আলামিন গোসল না করে বিদ্যালয়ে এসেছিল। কোনো কারণে শ্রেণীশিক্ষক প্রচণ্ড রেগে ছিলেন এবং আমাকে বললেন বেত আনতে। কিছুটা ভয়ে ভয়েই হেডস্যারের কক্ষ থেকে বেত নিয়ে এসেছিলাম। ভয়ের কারণটা ছিল আজকে চোটটা কার ওপর যাবে, সেটি আন্দাজ করতে না পারা। বেত নিয়ে আসামাত্রই শুরু হলো স্যারের পিটুনি- একধার থেকে। মোটামুটি সবারই কোনো না কোনো দোষ পাওয়া গেল এবং সেই দোষের মাত্রানুযায়ী পিটুনি খেতে হলো সবাইকেই। কারো নখ কাটা নেই, কেউ চুলে তেল দেয় নি, কেউ পড়া তৈরি করে নি, কেউ বেঞ্চ থেকে পা বের করে বসেছে। আমার অপরাধ ছিল বেত আনতে দেরি করেছি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মার খেলো আলামিন- কারণ সে গোসল করে আসে নি। শ্রেণী শিক্ষক তাকে পেটাতে পেটাতে পাশের পুকুরে নিয়ে নামালেন; জামাকাপড়সহ তাকে গোসল করতে হলো এবং সেই ভেজা কাপড়ে তাকে হাঁটতে হাঁটতে তিন মাইল দূরের বাড়িতে যেতে হলো। স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তী কয়দিন জ্বরে ভোগে সে বিদ্যালয়ে আসতে পারে নি এবং এই অপরাধে তাকে আবারো পিটুনি খেতে হয়েছে। আলামিন আমার বন্ধু ছিল- বন্ধুর ওপর এই অত্যাচার সেদিন ছোট মনে বড় ব্যাথা হয়ে বেজেছিল।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছিল আমার ওপর। পড়া পারি নি বলে শিক্ষক আমাকে দিয়েই বেত আনালেন। এবং কোনো কারণে সেদিন আর কাউকে না পিটিয়ে আমাকে ইচ্ছেমতো পিটিয়েছিলেন। রক্তাক্ত হাত নিয়ে বাড়ি ফিরে বাবাকে জানিয়েছিলাম, ওই স্কুলে আমি আর পড়বো না। বাবা এসএমসির (স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি) সদস্য ছিলেন বলে পরবর্তী সময়ে এসএমসির সভায় এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন এবং প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ (শুধু পিটুনিদাতা শিক্ষক ছাড়া) আমাকে বাড়িতে এসে সান্ত্বনা জানিয়ে গিয়েছিলেন। এই মারের ফলে আমি একটানা ৮/১০ দিন জ্বরে ছিলাম, ঘুমের ঘোরে আবোলতাবোল বকেছি। আর এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিলো আরো অনেকদিন।
***
হঠাৎ করে এই পিটুনি-সংক্রান্ত স্মৃতিচারণ করার কারণ হলো, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীদের এখন থেকে আর শারীরিক শাস্তি দেয়া যাবে না- খবরটি পড়ে বেশ পুলকিত বোধ করছি। ছোট মানুষ বলে তখন অনেক কথাই বলতে পারি নি, অনেক প্রতিবাদ করতে পারি নি। কিন্তু বড় হওয়ার পর নানা কাজের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই শারীরিক শাস্তি বন্ধের জন্য ছোটখাট কিছু কাজ করেছি। অনার্স কোর্সে থাকার সময় মাইক্রোটিচিঙে ঢাকার একটি নামকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আমরা কয়েকজন আইইআরের শিক্ষার্থী হাতেকলমে (মানে ছয় মাস নিজেরা ক্লাশ ও পরীক্ষা নিয়ে) বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি কীভাবে ক্লাশ নিলে বেতের প্রয়োজন পড়ে না। বাংলাদেশে পরিচালিত বিভিন্ন গবেষণা থেকে (এডুকেশন ওয়াচের গবেষণাগুলো এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, তবে মূল গবেষণা প্রতিবেদনগুলো ইন্টারনেটে সহজলভ্য নয়। কেউ আগ্রহী হলে এখান থেকে কিছু কিছু গবেষণার সারসংক্ষেপ দেখে আসতে পারেন) দেখা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে অনেক শিক্ষার্থীই মাঝপথে ঝরে পড়ে কেবল শিক্ষকদের মারের ভয়ে। ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে দেখেছি, যেসব শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পেটান, তাদের অনেকেই পিটিআই থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পিটিআইতে শিক্ষকদের ভালোভাবেই জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের মার দিলে তাদের ওপর কী পরিমাণ প্রভাব পড়ে, কীভাবে পড়ালেখা করালে শিক্ষার্থীদের মার ছাড়াই ভালোভাবে সম্ভব। কিন্তু প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে তারা সবই ভুলে যান। অনেকে আগের চেয়েও বেশি পেটাতে থাকেন, এমন উদাহরণও আছে। সরকার যেহেতু এটিকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, তাই কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি।
তবে, অনেক শিক্ষক যেহেতু মনে করেন, পেটানো ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পড়া আদায় করা যায় না, তাই স্বস্তির নিঃশ্বাসটা পুরোপুরি ফেলতে পারলাম না। হয়তো তারা অন্য কোনো উপায় বের করে ফেলবেন এরই মধ্যে। যতদিন পর্যন্ত না আমাদের শিক্ষককে বুঝানো যাচ্ছে যে, শিক্ষার্থীরা ছোট হলেও মানুষ এবং শিক্ষক হলেও একজন মানুষ হিসেবে অন্য মানুষের গায়ে হাত তোলার অধিকার নেই- ততোদিন পর্যন্ত বোধহয় এই বিষয়টি নিয়ে একেবারেই নিরুদ্বিগ্ন থাকা যাবে না।
মন্তব্য
সব শারীরিক শাস্তিই প্রত্যক্ষ শারীরিক আঘাত নয়। আঘাতের বাইরে কায়িক শাস্তিগুলো সম্পর্কেও ভিন্ন আলোচনা হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ড্রিল করানো বা বোর্ডে/খাতায় ১০০ বার কোনো বিশেষ বাক্য লেখানো। আঘাত এবং কায়িক পরিশ্রম করানোকে একই দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যখ্যা করা যায় কি না ভাবছি।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ঠিক জায়গাটিতেই আলো ফেলেছেন এবং এ কারণেই ভাবছি শারীরিক শাস্তির বিকল্প হিসেবে শিক্ষকরা হয়তো অন্য কোনো উপায় বের করে ফেলবে। কায়িক পরিশ্রম করানো ও শারীরিক শাস্তিকে হয়তো একই দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা যাবে না, কিন্তু কায়িক পরিশ্রমটাকে শারীরিক শাস্তির পর্যায়ে নিয়ে গেলে ঘটনা সেই একই ঘটতে থাকবে। ...আর মানসিক শাস্তি তো আছেই। বিশেষ করে মাধ্যমিক পর্যায়ে কিশোর-কিশোরীদের অনেকেই মানসিক শাস্তিটাকে মারাত্মক ভয় পায়। এটা নিয়েও আলোচনা হওয়া দরকার।
আপনার ভাবা শেষ হলে আশা করি এ নিয়ে দারুণ একটা পোস্ট পাব।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বিকল্প ব্যবস্থা বের করা লাগবে না। আমি চোখ বন্ধ করে বলতে পারি, শিক্ষার্থীদের মারধোর করা এখনও বন্ধ হয় নাই। আর ধরেন, স্কুলে যদি বন্ধ হয়ওবা, তাতে কি? বাসায় মা-বাপ আছে না?
আমাদের সাথে একটা ছেলে পড়তো। তার মা তার বুকে পাড়া দিয়ে, গরম খুনতির ছ্যাকা দিয়েছিলো। সৎ মা না, আপন মা।
স্কুলের চ্যাংড়া ছেলেপেলেরাও যে কি রকম বিটলা হয়, তাও কি কেউ ভেবে দেখে? কিভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা বোঝানো যায়?
কঠোর নিয়ম বলতে যা বোঝায় আমি সেরকম স্কুলে পড়ে এসেছি। প্যারা মিলিটারি স্কুল। আইন-কানুন যে কতো মস্ত বড়ো ভন্ডামি আমি খুব ভালো জানি। আজ থেকে দশ বছর আগে, আমাদের স্কুল কাম কলেজে, ছাত্র পেটানো নিষিদ্ধ ছিলো। এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই, একজন মহান গণিতের শিক্ষক আমাদের মারতে মারতে নিজের শ্বাস কষ্ট উঠিয়ে ফেলতেন।
দুনিয়া বড্ডো কঠিন যায়গা রে ভাই....
সাজ্জাদ বিন কামাল
বিকল্প শাস্তির এই ব্যাপারটা মোটামুটি উদ্বেগের জায়গা। সম্প্রতি বেশ কিছু সূত্রে জানতে পেরেছি, শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে বেশ সচেতন। শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করা হলেও শিক্ষকরা যেন কোনো প্রকার মানসিক শাস্তি না দিতে পারে, সেজন্য শিক্ষকদের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশনাল কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে। আইন একদিনে সংস্কৃতি বন্ধ করতে পারে না, তবে মারামারির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে আইনটি হয়তো কিছুটা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমাদের স্কুলেও পড়া না পারলে মারের প্রচলন ছিলো। ছিলো আরো অনেক অজুহাতে মারার, কিন্তু সেটার একটা লিমিট ছিলো। আপনার স্কুলের মতো এমন বেধড়ক পিটুনি আমার স্কুলজীবনে কখনো দেখিনি।
তবে ভয়ঙ্কর এক দানবকে দেখেছিলাম কলেজে উঠে। একাউন্টিং এর ওই শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের মারার সময় গর্ব করে বলতেন- 'কলেজে ছাত্র পড়িয়ে বেতন নেওয়ার জন্য আসিনি, পিটিয়ে ছাত্র মানুষ করার জন্য এসেছি।' উনি ছাত্রদের টিভিতে দেখা রেসলিং এর কায়দায় পেটাতেন। আর তার মার বরাদ্ধ থাকত শুধুমাত্র সেই ছাত্রদের জন্য যারা তার কাছে ব্যাচে পড়ে নি। এই সব পিশাচদের বিরুদ্ধে যে এখন কিছু একটা ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব তাই সান্তনা।
---- মনজুর এলাহী ----
না, এরকম মার অনেক স্কুলেই দেখেছি; এমনকি এখনো দেখি। আর আপনার 'ভয়ঙ্কর দানব' তো আসলেই ভয়ঙ্কর!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বাংলাদেশে আইন শুধু কাগজে কলমে, এই নতুন নিষেধাজ্ঞাও কাগজে কলমে থাকবে বলে আমার মনে হয় আর পোলাপানগুলা মাইর খাইতেই থাকবো আমাগো মহান শিক্ষকগোর হাতে....লেখাটির জন্য ধন্যবাদ গৌতমদা..
মূর্তালা রামাত
শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া কোন পর্যায়ে গেলে সরকারের এরকম আইন করে সেটি বন্ধ করতে হয় ভেবে দেখেছেন? 'গাধা-গরু পিটায়া মানুষ' করার সংস্কৃতি যতোদিন থাকবে, ততোদিন আইন করে কতোটুকু লাভ হবে তা ভাবার বিষয়। তবে বিষয়টার ওপর সরকারের দৃষ্টি পড়েছে, মানুষজনও হয়তো একটু সচেতন হবে- এই আশায় মার দেওয়া কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করি।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য গৌতমদাকে ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে শিক্ষকের বেতের আঘাতে ছাত্র/ছাত্রী নিহত হবার ঘটনাও ঘটেছে। বড়ই কষ্ট হয় এরকম একটা শিক্ষাব্যাবস্থার মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয় বলে।
তারপরও যখন শিক্ষকদের মারামারি বন্ধ হয়না, বুঝতে হবে গলদটা কোথায়। এটা শোধরাতে ক্লাস নেবার পদ্ধতিরও পরিবর্তন করা দরকার।
পিটিআই থেকে প্রশিক্ষণ পাওয়া শিক্ষকদের অভিযোগ যে, তারা পিটিআইতে যা শিখেন সেগুলো নানা বাস্তবতায় শ্রেণীকক্ষে প্রয়োগ করতে পারেন না। এটা ঠিক যে, আমাদের শিক্ষকদের নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে পড়ালেখা করাতে হয়। কিন্তু একটু চিন্তাভাবনা করে নতুন কলাকৌশল উদ্ভাবন করে, আনন্দদায়ক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে অনেক অনীহা আছে। অনেক শিক্ষক এটিকে আরামের চাকরি মনে করেন। তার ওপর বয়স্ক অনেক শিক্ষকই আছেন যারা মনে করেন, সারাজীবন যেভাবে পড়িয়ে এসেছেন অর্থাৎ 'পিটিয়ে গরু-গাধা মানুষ করেছেন', সেভাবেই পড়ানোটা ঠিক। তাদের নতুন কিছু জানার নেই, শেখার নেই। খুব বেশি সমস্যা হয় এ ধরনের শিক্ষকদের নিয়ে।
তবে কিছুটা আশার কথা হচ্ছে, নতুন মনমানসিকতার শিক্ষকদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তারা এখন নানা ইন্টারঅ্যাকটিভ পদ্ধতিতে ক্লাশ নিতে না পারলেও অন্তত সেগুলো নিয়ে ভাবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতমদা, আপনার কি শিক্ষকদের নিয়োগের সময় কোন এলাকায় তার পোস্টিং হবে সেই নিয়ম জানা আছে? আমি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বাড়ীর পাশের স্কুলে পড়ানোটা স্যারদের গরু-ছাগল চড়ানো, ক্ষেতের পরিচর্যা বা আর পাঁচটা গৃহস্থালির কাজের বাইরে তেমন একটা পার্থক্য করেনা। বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের নিয়োগের সময় এটা মাথায় রাখা জরুরী, কারন প্রাথমিক শিক্ষাটাই একজন ছাত্রের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
পোস্টিঙের নিয়মকানুন জানা আছে; তবে আপনি যেটা বলেছেন সেটা কিছুকাল আগে পর্যন্ত ঠিক ছিলো যখন বিদ্যালয়গুলো মূলত কমিউনিটি উদ্যোগে গঠিত হতো কোনো রকম কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই। এখন নিয়মকানুন একটু বদলেছে। নানা ধরনের অনুমতি ও চেকলিস্টের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া কতোটুকু দূরত্ব পরপর বিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে, সেরকম কিছু নিয়মকানুন তৈরি করে দেওয়ায় এবং বিশেষত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চালু হওয়ায় আগের ওই পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। আরো পাল্টাবে আশা করি। তবে আপনার সাথে একমত যে, প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে শিক্ষক নিয়োগে আরো সেনসিটিভিটি দরকার।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শারীরিক শািস্ত চিরতরে উঠে যাক।
ঠিক। ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শারীরিক বা কায়িক শাস্তির বিকল্প হতে পারে এরকম, যে ভুল বা অপরাধের জন্য শাস্তি পাওনা হয়েছে, ছাত্রটিকে তার উপর একটি সুদীর্ঘ রচনা লিখতে হবে, কেন কাজটা করা তার ভুল হয়েছে, এতে তার বা অন্যের , দেশ জাতি সমাজের কি ক্ষতি হল/ হতে পারত, কেম্নে শোধরানো যায় বা সে ক্ষতি পূরন করা যায়, প্রস্তাবনা এবং ভবিষ্যৎ আচরণ ও কর্মপদ্ধতি পরিকল্পনা ইত্যাদি ইত্যাদি। এবং পরদিন ক্লাসে সেটা সবাইকে পড়ে শোনানো।
সচলায়তনের জন্য অনেক লেখা পাওয়া যাবে তাইলে।
-শিশিরকণা-
আপনি যেভাবে বললেন বিষয়টা সেভাবে হলে ভালো। কিন্তু ওই যে, অনিন্দ্য প্রশ্ন করেছেন, কায়িক শ্রমকে আবার এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে না তো যেখানে শিক্ষার্থীর কাছে এই কায়িক শ্রমই শারীরিক শাস্তির সমপরিমাণ হয়ে যাবে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনি স্কুলে মার খেতেন,ভাবতেই খারাপ লাগছে।
আকাশনীলা
কেন? খারাপ লাগছে কেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
স্কুলে কেন, আপনাকে দেখে মনে হয়না কেউ আপনাকে মারতে পারে। যাই হোক, স্কুলে মারামারি উঠে যাওয়া নিয়ে আপনার লেখাটি অসাধারন। আশা করি আপনি আরো অনেক ভালো ভালো লেখা আমাদের উপহার দেবেন।
আকাশনীলা
চেষ্টা করবো ভালো লেখার।
আচ্ছা, আমি কি আপনাকে চিনি?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার কি মনে হয়? আপনি আমাকে চেনেন??
আকাশনীলা
না। ...পরিচিতের মতো কথা বললেন তো, তাই জিজ্ঞাসা করলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ঢাকার বড় বড় ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়গুলোতে বোধহয় এই ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই কঠোর নিয়মনীতি মেনে চলা হয়। আমি একটা প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানে পড়তাম, সেখানে ক্লাস টু-থ্রীর বাচ্চাদের গায়েও শিক্ষক-শিক্ষিকারা কখনও হাত তুলতেন না। আসলে তাঁদের মারধোর করার মত মানসিকতা ছিলও না, কিন্তু কোন বাচ্চা যদি বাসায় গিয়ে নালিশ করে এবং অভিভাবক যদি অধ্যক্ষের কাছে এ ব্যাপারে কথা বলে, তবে ওই টীচারের চাকরী চলে যেতে বাধ্য। মাস্টারমাইন্ডের এক শিক্ষক/শিক্ষিকাকে একবার একারণে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
হুম, সেটা ঠিক। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে অন্য অনেক অভিযোগ থাকলেও শিক্ষার্থীদের মার দেবার ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া যায় খুবই কম। এর সাথে টাকাপয়সা বেশি দিয়ে পড়ানোর কোনো সম্পর্ক আছে কি?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অন্য স্কুলগুলোর কথা জানি না, তবে আমার স্কুলের বেশিরভাগ টিচারই ছিলেন নারী, যারা প্রায় সবাই উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের এবং কেউ কেউ আবার বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। আমার জানামতে প্রধান সারির ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের বেতনও বেশ ভাল। একারণেই হয়ত স্কুলগুলোর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছাত্র পেটানোর মানসিকতা নাই।
বেতন ভালো এটা তো একটা ব্যাপার অবশ্যই; কিন্তু মূল কারণটা বোধহয় ভিন্ন। একটা কারণ হচ্ছে আধুনিক শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় মার দেওয়ার কোনো সিস্টেম নেই। ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলো যেহেতু বিদেশি কারিকুলাম ব্যবহার করে এবং সে অনুযায়ী নিজেদের শিক্ষকদের ট্রেইনড করে, সুতরাং মারামারির ব্যাপারটা সেখানে পুরোপুরিই অনুপস্থিত থাকে। তাছাড়া উচ্চবিত্ত বা উচ্চমধ্যবিত্তের পিতামাতারা সন্তানকে মারার ব্যাপারে সচেতন থাকেন- এটাও একটা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
- এই আইনটা আরও আঠারো-কুড়ি বছর আগে হতে পারলো না!
কায়িক পরিশ্রম ব্যাপার না। এইটা এক সময় ফান হিসেবে নিবে পোলাপাইন। কিন্তু পিটনা দেয়াটা খুব বাজে।
আমাদের এক স্যার ছিলেন বেশ বয়স্ক। তিনি আমাদের হেড স্যারেরও স্যার ছিলেন। সাধারণত তিনি ক্লাসে এসে পেটাতেন না। শয়তানী-বান্দরামী করলে, পড়া না পারলে কান ধরে বেঞ্চের উপর দাঁড় করিয়ে রাখতেন। তো এক দিন অবধারিতভাবেই আমাকে সেই শাস্তি দেয়া হলো। আমি দাঁত কেলিয়ে স্যার কিছু বলার আগেই কান ধরে বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে গেলাম। দাঁড়াতে দাঁড়াতে অবশ্য পাশের কয়েকজনকে চোখ টিপ মেরে দিলাম। ব্যস, কাজ হয়েছে তাতেই। পনেরো মিনিটের মধ্যে দুয়েকজন বাদে ক্লাসের সব পুলাপাইন বেঞ্চের উপর কান ধরে দাঁড়ানো। অপরাধ তেমন কিছু না। কেউ হয়তো অকারণ হাসি দিয়েছে খিকখিক করে, কেউ আরেকজনের মাথায় ঠাস করে চাটি দিয়েছে, চাটি খেয়ে কেউ বেশ জোরে অ আল্লাগো বলে চিৎকার দিয়েছে, কেউ ইচ্ছে করেই পড়া পারে নি। তো সেদিন আমরা এটাকে একটা উৎসব হিসেবেই নিয়েছিলাম। আমার ধারণা পোলাপান এইসব জিনিসকে উপভোগই করবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
...আপনি তখন কুন কেলাশে সিলেন?
এইট-নাইনের ছাত্রছাত্রীরা কিন্তু অপমানিত বোধ করে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
- এইট নাইনে ক্লাশ করছি নাকি যে কানে ধরুম? কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেতাম কয়েকজন নামকরা স্যার আইসাই খুঁজতেন পিছনের বেঞ্চে গিয়া। আমরা কয়েকজন বেছে বেছে ঐ বিখ্যাত স্যারদের ক্লাশই বাং মারতাম। তারপর পেয়ারা বাগানে গিয়ে খাইষ্টা কৌতুক বলতাম।
যে ঘটনার কথা বললাম ঐটা সিক্সে থাকা কালীন। আরও আশার কথা হলো, আমাদের সেকশনে কোনো মেয়ে ছিলো না। ওদের জন্য আলাদা সেকশন। আর গুটি কয়েক 'ভালো ছেলে' বাদে পুরা ক্লাশের পোলাপানই যখন খাড়ায়ে যায় আর একটু পরপর থুতু ফেলা, টয়লেটের অজুহাতে বেঞ্চ থেকে নেমে বাইরে যায়, তখন আর সেটা অপমানের পর্যায়ে থাকে? ঐটা হয়ে যায় পার্টি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
...মহা সুখে ছিলেন। তবে পড়ালেখার আসল মজাটাই পান নাই। কো-এডুকেশন না থাকলে ওই বিদ্যালয়ে পইড়্যা লাভ আছে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ক্লাস এইটে আমি প্রথম ঢাকার একটি মিশনারি স্কুলে পড়ার সুযোগ পাই। এর আগে পর্যন্ত আমার জানা ছিল না শিক্ষকরা যে মারধোর করেন এইটা ঠিক না, অর্থাৎ এটাকে খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হিসেবে নিয়েছিলাম। সিক্স সেভেনে থাকতে আমিও আপনার মতো বেত-ক্যাপ্টেন ছিলাম... সেটার অভিজ্ঞতাও সব সময় ভালো ছিল না। পরে বুঝতে শিখেছি... প্রাইমারির পরে তো বটেই এমন কি প্রাইমারিতেও কীভাবে কিছু দানবীয় শিক্ষক পেয়েছিলাম ভেবে শিউরে উঠি।
নিয়মটির প্রয়োগ ঠিকমতো হোক। আর অল্টারনেট শাস্তির বিধান নিয়েও ভালো গবেষণা হওয়া উচিত। শারীরিক শাস্তির বদলে কমিউনিটি সার্ভিস দেওয়া যেতে পারে। মানে এমন কাজ যেটা তার মনে ছাপ ফেলবে না, কিন্তু হয়তো সে আর পাঁচ জন উপকৃত হবে। ভারি কিছু নয় অবশ্যই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
কিছু কিছু বিদ্যালয়ে এই ব্যাপারটা আছে বলে শুনেছি। কেউ যদি পড়া না পারে বা বাড়ির কাজ না করে, তাদের দিয়ে বিদ্যালয়ের কিছু কিছু কাজ করানো হয়। তবে সেটা বোধহয় প্রকৃত বিকল্প হতে পারে না। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, একজন শিক্ষক চাইলে শিক্ষার্থীকে দিয়ে সবকিছুই করাতে পারেন। শিক্ষার্থী নিজে থেকে পড়া তৈরি করবে, নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে- এ ধরনের মোটিভেশন দেওয়াও সম্ভব। এজন্য দরকার শিক্ষকের ইচ্ছা এবং বিদ্যালয়ে সময় দেওয়ার তাড়না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শারীরিক অথবা মানসিক আঘাত, দুটোই শিক্ষার্থীর জন্যে ক্ষতিকর... তবে একটা চড়ের ব্যথা হয়ত দুদিন পর ভোলা যায় কিন্তু শিক্ষকের করা বাজে কোনো কমেন্ট শিক্ষার্থীকে জীবনে অনেক পিছিয়ে দিতে পারে। "তোমার দ্বারা তো কিছুই হবেনা" "ওর পা ধুয়ে পানি খা" "তুই গাধা সারা জীবন গাধাই থাকবি" ইত্যাদি ইত্যাদি... আর মনে মনে প্রিয় এমন শিক্ষক যদি কখনো এমন কমেন্ট করে বসেন তাহলে তো কথাই নেই... আমার মতে শারীরিক আঘাত বন্ধের পাশাপাশি এধরণের কমেন্ট যাতে শিক্ষকরা না করেন সে দিকেও নজর দেয়া উচিত। কারণ "আমি দেখিয়ে দেব আমি কী" এই মনোভাবটা অথবা এই পজিটিভ জেদটা খুব কম মানুষেরই থাকে।
কাউকে সঠিক পথ দেখাতে নাইবা পারলাম, ভুল পথ দেখানোর দরকার আদৌ আছে কী?
"চৈত্রী"
ঠিক জায়গায় ফোকাস ফেলেছেন। সমস্যা হচ্ছে, শারীরিক শাস্তি যেরকম দৃশ্যমান এবং সেই কারণেই আইন করে সেটা বন্ধ করা সম্ভব কিন্তু মানসিক শাস্তির বেলায় সেটা করা কঠিন। অনেক নিরীহ বাক্য বলেও শিক্ষার্থীদের অপমান করা সম্ভব এবং শিক্ষকরা সেটা করেও থাকেন। "তোমার বাড়ি কোথায়?" "স্যার, গাইবান্ধা।" "ও আচ্ছা আচ্ছা, গাই বান্ধা! ছুটলো ক্যামনে সেটাই ভাবছি" -জাতীয় উক্তি মানসিক শাস্তির সমতুল্য। কিন্তু সেটা কীভাবে বন্ধ করবেন?
এই জায়গাগুলোর জন্যই শিক্ষকের মনোভাব পরিবর্তন করা জরুরি। একটু একটু করে হলেও সেই জায়গাটাতে হাত দিতে হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ক্লাস থ্রি থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত স্কুলের ৫৬ জন শিক্ষকের মাঝে এক বাপের ব্যাটাও বলতে পারবেন না যিনি আমারে পিটাইবার সুযোগ পায় নাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে বোধহয় এটা ঢুকে গেছে যে মা-বাবা এবং শিক্ষক কাউকে শারীরিক শাস্তি দেবার 'অধিকার' রাখেন। যথাযথ কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে যে যে কোন শিশুকে তার ভুল শুধরে দেয়া যায় এই ব্যাপারটাই অনেকের মাথায় থাকে না। ফলাফল - বেত্রাঘাত কিংবা চড় থাপ্পড়, এমনকি কিল-ঘুষি। কীভাবে একজন মানুষ শিক্ষক হয়ে একজন শিশু কিংবা কিশোরের গায়ে হাত তুলতে পারে সেটা আমার মাথায় আসে না। এটা দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। উন্নত বিশ্বে শিক্ষক তো দূরের কথা এমনকি মা-বাবা গায়ে হাত তুললেও সন্তান পুলিশ ডাকতে পারে।
আপাত দৃষ্টিতে আইনটি ছোটখাট কিছু মনে হলেও এর যথাযথ বাস্তবায়ন খুব ভাল ফল নিয়ে আসবে, কারণ শিক্ষক কর্তৃক শিশু/কিশোর নির্যাতন অনেক ক্ষেত্রেই নির্যাতিতের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠিকই ধরেছেন। আগে নাকি পিতামাতারা তাদের সন্তানদের শিক্ষকের কাছে দেওয়ার সময় বলে দিতেন, ফেরত দেওয়ার সময় কেবল হাড্ডি আর চামড়া ফেরত দিলেই হবে । অর্থাৎ মারামারিটা পিতামাতারই জায়েজ করে দিলেন!
আরেকটা কথাও চালু আছে- শিক্ষক যেখানে যেখানে মারবেন সেই অংশগুলো নাকি সরাসরি বেহেশতে যাবে।
এই সংস্কৃতিগুলো আমাদের মধ্যে বেশ ভালোভাবেই গেড়ে বসে আছে। শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করা হয়তো এটাকে পুরোপুরি দূর করতে পারবে না, কিন্তু কিছুটা হলেও বিদ্যালয়ে এই শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করার মানসিকতাটাকে আঘাত করতে পারবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
"মাইর" দিয়ে আসলেই কিছু করা যায় বলে আমার মনে হয় না। আর শারিরীক শাস্তি না দিয়ে অন্য যে শাস্তিই দেয়া হোক না কেন সেটা আসলে তেমন কষ্টকর হওয়ার কথা না। তবে সেটা কিরকম হওয়া উচিত তা নিয়ে গবেষনা হওয়া দরকার। নটরডেমে ক্লাসে উপস্থিতির হার ৮৫% এর নিচে নেমে গেলে কলেজের দুস্থদের স্কুলে ক্লাস নিতে হত অথবা বাগানে মালির কাজ করতে হত, ইত্যাদি নানা রকমের শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। এরকম করা গেলে খুবই ভালো হত।
সরকারকে ধন্যবাদ এরকম একটা উদ্যোগ নেয়ার জন্য। তবে এটা যাতে শুধুই কাগজে কলমে না থাকে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে।
পাগল মন
এই হইলো অবস্থা!
মুহম্মদ জাফর ইকবালের "রাশা" উপন্যাস থেকে নেয়া মনে হচ্ছে।
ইউটিউবে ভিডিওর বর্ণনায় লেখা "Student being tortured rudely by Mukhtar Ahmed,teacher of Notre dame College,Bangladesh just for nothing but side talking @ class."
আমাদের মানুষ গড়ার কারিগরেরা আদতে পিশাচ ছাড়া আর কিছু নন।
পঞ্চম শ্রেণীর গণিত শিক্ষক ক্লাস চলাকালীন সময়ে ম্যাজিক প্র্যাকটিসের অপরাধে বেদম পিটিয়েছিলেন। মাত্র ১০ বছর বয়স আমার। এত শক্ত মার সহ্য করতে পারিনি তাই হিসু করে দিয়েছিলাম প্যান্ট ভরে।
কয়েকদিন পর বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা থান ইট দিয়ে বাম পায়ের নল্লি দু ফাঁক। বিনিময়ে ডালিম গাছের ডালে পিঠের চামড়া বিসর্জন দিতে হয়েছিল দ্বিতীয়বারের মত। কিন্তু প্রতিশোধ নিতে পেরেছি তাই কোন আফসোস হয়নি।
শিক্ষকদের প্রতি আমার কখনো শ্রদ্ধা জন্মানোর সুযোগ হল না।
কি মাঝি, ডরাইলা?
- খুব বাজে লাগলো দেখতে মুখতার স্যারের কর্মকাণ্ড। আমার কেনো জানি মনে হয় নটর ডেমের স্যারেরা দোষের চেয়ে ঐতিহ্য বজায় রাখতেই পেটান ছাত্রদের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সবাই পেটান না মনে হয়
মুখতার আহমেদের এইসব কর্মকান্ড যেমন অসহ্য, তেমনই অসহ্য ওনার অশ্লীল কথাবার্তা। এমনকি ওই বয়সেও ওগুলো প্রচন্ড বিরক্তিকর ছিলো।
অসুস্থ লাগলো লোকটার কান্ডকারখানা দেখতে। লোকটারে সহ্যই করতে পারিনা। গরু-গাধা বল, ঠিক আছে, মাইর দে, তাও মানলাম, বাপমা তুইলা গালি দিবি কেন? এই লোকটা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য না মোটেও।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
শিক্ষক হিসেবে যেটুকু সম্মান পাইতো তার সব হারাইলো লোকটা। মারতো ঠিক আছে, কথা বলে আমিও নটরডেমে মাইর খাইসি কিন্তু বাপ মা তুলে গালাগাল আর লাথি দেওয়াটা একেবারেই সওয়া যায়না। মাথা খারাপ হয়ে গেসে মনে হয়।
দেখে স্তম্ভিত!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আসলেই ভালো হত এমন হলে। কিন্তু আরও অনেকের মত আমারো সন্দেহ, আদৌ এই আইনে কতখানি কি লাভ হবে। মনিটর করার দায়িত্ব, যা বুঝলাম, দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষকের উপর, পরিদর্শকের উপর। কিন্তু এখানে ২-৩টা কথা আছে।
১) কোন শিক্ষক একটা বাচ্চাকে পেটালে সেটার কথা প্রধান শিক্ষকের কাছে যাবে কিভাবে? কোন বাচ্চা মারের ভয় উপেক্ষা করে "বড় স্যারের" কাছে গিয়ে বলবে, "আমারে মারসে!"?
আমাদের সমাজে বড়দের কথার উপরে ছোটদের কথার দাম দেওয়াটা এখনও খুব বেশি হতে দেখিনা। "বড়রা সবসময় ঠিক", "বড়দের ভুল ধরতে নাই" বা "ছোট মানুষ, কি বলতে কি বলসে" - আদবলেহাজের সাথে এই ব্যাপারগুলা মিশিয়ে ছোটদের মতামতকে হেয় করাটা সবসময়ই চোখে লেগেছে। এই অবস্থায় একজন "বিশাল বড়" শিক্ষকের বিরুদ্ধে নালিশ করার সাহস ছোটদের দেবে কে? নালিশ করার পরে যদি সেই শিক্ষকের কিছু না হয়, সেই শিক্ষকের প্রতিশোধমূলক চিন্তা থেকে সেই বাচ্চাকে বাঁচাবে কে?
[প্রশ্নগুলো হাস্যকর মনে হলো নাকি জানিনা, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ধরে নিতে পারেন]
২) "মাইর ছাড়া পোলাপাইন মানুষ হয়?" এই চিন্তা দূর করতে না পারলে আইন দিয়ে কিছু হবে বলে মনে হয় না।
৩) গ্রামেগঞ্জে বা প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলে এইসব মনিটর করতে যাবে কে? বা ঐখানকার স্কুলগুলোতে এই ব্যাপারগুলো বোঝাতে যাবে কে? কাগজেকলমে দায়িত্ব দেওয়া হয়, পালনও হয়। রিয়ালিটি নিয়ে আমি বেশি চিন্তিত।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
১. সেটা সম্ভব নয়। কারণ হেডমাস্টার হচ্ছেন (মূলত) বাঘের ওপরে ঘোগ। আর নালিশ তো দূরের কথা, কেউ যদি পরিচিত অন্য শিক্ষককে এই ধরনের কথাও বলতে যায়, তাহলে সেটি বেয়াদবি হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
২. কাগজেকলমে এই মনিটরিঙের দায়িত্ব ইউআরসি (উপজেলা রিসোর্স সেন্টার) ইনস্ট্রাক্টর ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার। কিন্তু তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন না; অনেক সময় নানা কারণে তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালনও করতে পারেন না।
৩. বাস্তবতা বেশ কঠোর। এই আইনের সূত্র ধরে কেউ চাইলে হয়তো মার দেয়াটা প্রতিরোধ করতে পারবেন; কিন্তু কার ঠ্যাকা পড়েছে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাইয়া, আপনার লেখা সবসময় আমার খুব বেশী ভালো লাগে। কিছু মানুষের দেখা পেয়েছি জীবনে, যাদের কর্মের কারণেই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মে গেছে। তারা একটা একটা করে সেক্টর ধরে বাংলাদেশকে অগ্রযাত্রার পথে নিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনার লেখা পড়লে আমার তেমনই মনে হয়। যদি পারেন, আপনার চিন্তাশীল লেখা দিয়ে শিক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলুন, আর বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে বিশুদ্ধেকরণ করে বিশ্বমানের সমান্তরাল করে তুলুন, এমন ভাবে যেন শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা ব্যাপারটা ভিতীর কারণ না হয়ে আনন্দের কারণ হতে পারে। অনেক বিশাল দায়িত্ব দিয়ে দিলাম মনে হয় আপনাকে। এই কাজের জন্য কিন্তু আমাদের পুরো জীবনটা আছে।
আমি এখন যেই কাজটা করছি, যারা অগ্রযাত্রার পথে হাঁটতে চাই, এবং সেজন্য স্বউদ্যোগে কাজ করে যাওয়ার মানসিকতা আছে, তাদের খুঁজে বের করছি এবং মোটিভেট করে যাচ্ছি। এদের পরিচয় এখন প্রকাশ হওয়ার দরকার নেই। ২০ বছর পরে সারাদেশ তাদের কথা জানবে, যদি ততদিন পর্যন্ত তাদের এই পথচলা অব্যাহত থাকে।
শুভকামনা রইলো।
--------------------------------------------------------
শিশির ভেজা ঘাষ, ভোর বেলা যার ডগায় জমে থাকে একবিন্দু মুক্তো, হাসে মুক্তোটা, ঠিক শিশুর মত করে...
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার শুভকামনা নিশ্চয়ই আমাকে সহায়তা করবে। ভালো থাকুন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
স্কুলে থাকতে অকারণে পিটুনি(পড়তে হবে 'মাইর') খাবার অনেক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আছে। কলেজে উঠে একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম কারণ যে স্যার সবচেয়ে বেশি পেটাতেন আমি তার প্রিয় ছাত্র ছিলাম। পড়াশোনা তেমন করতাম না, তারপরেও স্যার কেন জানি আমার উপর খুশি থাকতেন।
আহারে! এই আইনটা আগে হলে আমার শৈশবটা হয়তো আরো আনন্দময় হতো।
এই আইনটা আগে হলে দেশের অধিকাংশ শিশুর শৈশব আনন্দময় হতো। গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রথম শ্রেণীতে ভর্তিকৃত প্রায় অর্ধেক শিশু পঞ্চম শ্রেণী সম্পন্ন করার আগেই ঝরে পড়ে এবং এর একটি বড় অংশ ঝরে পড়ে বিদ্যালয়ে মার খাবার ভয়ে এবং বিদ্যালয়ের নিরানন্দ পরিবেশের কারণে। সুতরাং আইন আগে হলে এই পরিস্থিতি এতোটা ভয়াবহ হতো না। তবে শুধু আইন নয়, মানসিকভাবেও আমাদের শিক্ষকদের বদলাতে হবে; না হলে আইন করেও লাভ হবে না। হাতের কাছে শারীরিক শাস্তি দেয়ার কতো বিকল্প যে রয়ে গেছে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
স্কুলের প্রতি ক্লাসেই মার খেতাম। মার খেতে খেতে ভোতা হয়ে গেছি। কয়েকদিন আগে আমাদের স্কুলের রিইউনিয়ন হলো। সেখানে কয়েকজন স্যার আমাকে চিনেছেন প্রতিদিন মারতেন বলে। বেশী মার খেতামতো তাই মার হজম করার কয়দাটাও রপ্ত করেছিলাম।
ওটা আমাদের সবাইকে কমবেশি রপ্ত করতে হয়েছে। শীতের দিনে মার খেতে খুব একটা কষ্ট লাগতো না। শার্টের ভেতর সোয়েটার, মার গায়েই লাগতো না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি মার খেয়েছি একবারই। ক্লাস ফোরে। আমার ডেস্কে একটা বেনামি খাতা পেয়ে সিস্টারকে বলতে গেছিলাম। উনি বলা নেই কওয়া নেই ঠাস করে চড় বসালেন আমার গালে। চোখ ফেটে জল এলো। তা দেখে আবার দাঁত কিড়মিড়িয়ে কী কী জানি বললেন। উনার মেজাজ খারাপ ছিলো হয়ত কোনো কারণে। সেই ঝড়টা আমার উপর দিয়ে গেলো। কিন্তু অভিযোগ করা হয় নি। শারীরিক শাস্তি আমাদের স্কুলে নিষিদ্ধ। কিন্তু টিচারের নামে যে অভিযোগ করা যায় তা-ই জানতাম না। অভিযোগ করলে উনার খবর ছিলো।
উঁচু ক্লাসে গিয়ে এক শিক্ষিকার মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছিলাম। তিনি ক্লাসে কিছু পড়াতেন না। নিজের ব্যক্তিগত গল্প শুনিয়ে ক্লাস পার করে দিতেন। উনার ব্যক্তিগত আলাপে আগ্রহ না থাকায় আমি ক্লাসে বসে ছবি আঁকতাম, লিখতাম বা গল্পগুজব করতাম। তিনি ক্ষেপে গিয়ে পড়া ধরলে আবার আমি পড়া পারতাম। গায়ে হাত তুলতেন না, কিন্তু কটু কথা বলতেন। বাসায় কমপ্লেন করার হুমকি দিতেন। অন্য টিচারদের কানভারী করার চেষ্টা করতেন। স্কুল ছাড়ার বেশ পরে একবার দেখা করতে গেছিলাম টিচারদের সাথে। উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম উনি এখনো আমার উপর ক্ষেপা কি না। উনি বলেছিলেন উনি সব ভুলে গেছেন, আমিও যেন কিছু মনে না রাখি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এরকমই হয়! ভেরি আনফরচুনেট।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার তো কানের উপর মার খেয়ে অল্প হিয়ারিং লস ও আছে। রক্তারক্তি ব্যাপার ছিল পুরা, দোষ ছিল বই না নিয়ে আসা। আইন হওয়াতে স্বস্তি পাচ্ছি। এখন আইন মানলেই হয়, ভিতরের দানবকে লুকানো তো এত সহজ নয়।
সজল
আপনার শেষ কথাটা মারাত্মক- ভিতরের দানবকে লুকানো আসলেই সহজ না। এ জন্যই হয়তো আইন করতে হয়! আইনের ফলে যদি কেউ কেউ ভিতরের দানবকে চাপিয়ে রাখে!
তবে আমি ভয় পাই অন্য জায়গায়- আমরা দারুণ কৌশলী তো! মারতে না পেরে অন্য কোনো পদ্ধতি শিক্ষকরা বের করে ফেলে কিনা সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি নিজেও ছাত্রাবস্থায় মার খেয়েছি, অহেতুক কারণেইবেশির ভাগ সময়। ভেবেছিলাম নিজে যদি কখনো শিক্ষক হই তাহলে কক্ষনো ছাত্রদের পিটাব না। মাঝে মাঝে নিজেকে জঘন্য শিক্ষক মনে হয়। কারণ আমি ওদের পিটুনি দিয়ে বসি। এসব সমস্যা হত চাকরির শুরুর দিকে। তখন আমি ভাল ক্লাস কন্ট্রোল করতে পারতাম না। এখন এসব সমস্যা কম হয়। তবে শাস্তি দিতে হলে,আমি সব সময়ই চেষ্টা করি ব্যথাবিহীন শাস্তি দেবার। আর একটা কথা উপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীরা, আমি বিশেষ করে ছেলেদের কথাই বলব, বেশ পাজি হয়। ক্লাস পণ্ড করার ব্যাপারে উস্তাদ একেকজন। আর তাদের শাস্তি না দিলে একদম মাথায় উঠে বসে থাকে। আর এখন তো ওরা জানে, শাস্তি দেয়া নিষিদ্ধ। সেই সুযোগটা এখন আরো বেশি করে নেয়। শিক্ষকের যদি ছাত্রকে শাস্তি দিতেই হয়, তবে তার পরবর্তী ভাল কাজের বা আচরণের জন্য সবার সামনে প্রশংসাও করা উচিত। যেটাকে শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের ভাষায় reinforcement বলে আর কি।
আমি শাস্তি দিয়ে থাকলেও, সাথে সাথে ওদের একটা সহজ কাজ বা সমস্যা সমাধান করতে দিই। সমাধান করতে পারলে তাকে দুটো মিষ্টি কথা বলি। সবার সামনে ওকে প্রশংসা করি। এটা ওদের আত্নবিশ্বাস বাড়ায়। বেশির শিক্ষকই ছাত্রদের সাথে ভাল করে দুটা কথা বলে না। আর বলবেই বা কি করে? স্কুল বা কলেজের বসেরা যে পরিমাণ কাজের চাপ দিয়ে রাখেন! এত্তগুলো ক্লাস একবারে করে ( তাও আবার মাঝে কোন গ্যাপ নেই), মিষ্টি কথা আসবে কোথা থেকে?
আরেকটি কথা না বললেই নয়। আমাকে প্রায়ই অভিভাবিকেরা বলেন, আপনার হাতে দিয়ে দিলাম। আপনি ইচ্চাহ মত মারবেন। এ কেমন কথা? গাধা পিটালে ঘোড়া হয় এমন থিওরিতে বাবা আমি বিশ্বাসী না। ববরং ঘোড়াকে বেশি পিটালে সেটা গাধা হয়ে যেতে পারে। আর সত্যি কথা বলতে কি দু একবার মেরে যে বসি না তা নয়। সে তো আগেই বললাম। কিন্তু এতে ওরা আদৌ ব্যথা পায় কিনা আমার সন্দেহ। আমার হাতই উলটো ব্যথা করে।
কোন শিক্ষার্থীর ব্যাপারে অভিযোগ থাকলে সেটা অভিভাবকদের জানানো উচিত। সেক্ষেত্রে সাধারণত ওদের ডায়রিতে লিখে দেওয়া হয়। আমি এ পর্যন্ত যতজনের অভিযোগ লিখতে গিয়েছি, ওরা ভয়ে কেঁপে উঠেছে। ওদের চোখে মুখে যে কি ভীতি! আমার যে কোন শাস্তি ওরা মেনে নেবে কিন্তু অভিভাবক যেন না জানে। আমি ওদের কাছে জানতে চেয়েছি, ভয়টা কিসের? বাসায় মারবে? ওদের সবার উত্তর সব সময় হ্যাঁ বোধক হয়। তখন আমাকে আবার লিখে দিতে হয়, যেন মারধোর না করা হয়। এ ছাড়াও প্রয়োজন মত অভিভাবকদের ডেকে নিয়েও যখন পরামর্শ দিই তাদের কঠোর ভাবে মানা করে দিই, মারধোরের ব্যাপারে। এমনকি আমার কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্লু ফিল্ম দেখার অভিযোগ যখন আমি পাই, ওদের আমি বিন্দু মাত্র বুঝতে দিই নি। ওদের বাবা-মাকে ডেকে পরামর্শ দিয়েছি কী করা উচিত। কিন্তু মারধোর? ওটাএকদম নিষেধ।
সবচেয়ে বড় কথা, ক্লাসে শিক্ষার্থীরা একটু আধটু দুষ্টামি করবেই। ওদের বয়সটাই এমন। তুচ্ছ ব্যাপারগুলোতে শিক্ষকেরা নাক না গলালেই পারেন। আর ক্লাসটা যদি প্রাণবন্তভাবে নেওয়া যায়, তবে ওদের মনোযোগটা পড়ার মধ্যেই চলে আসে। এরপরেও দুএকজন বাউণ্ডুলে থাকবে। তাদের অপরাধ বুঝে শাস্তি দেওয়াই উচিত।শাস্তি দেবার বেলায় খেয়াল রাখতে হবে কোন নিরীহ ছাত্র যেন শাস্তি না পায়। আর যদি মনের ভুলে শাস্তি দিয়েই থাকেন, তবে শিক্ষকের সাথে সাথে দু;খ প্রকাশ করা উচিত।
আপনার সাথে আসলে একমত নই। আমি নিজেও একসময় শিক্ষকতা করেছি। একদিনও মার দিতে হয় নি কাউকেই। মার না দিয়েও পাঠদান করা যায়। এরজন্য প্রয়োজন কিছু কলাকৌশল জানা। কিছু কৌশল নানা কোর্সের মাধ্যমে জেনে নিতে হয়, কিছু কৌশল নিজেকে বের করতে হয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাশে দুষ্টুমি করবেই, ওদের দুষ্টুমিকে ইতিবাচকভাবে আনন্দদায়ক কাজকর্মে ডাইভার্ট করা যায়। তাদের এই বয়সে তারা অপরাধ করতেই পারে। কিন্তু সেজন্য শাস্তি দেওয়াটা কোনোমতেই সমর্থনযোগ্য না।
শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের ভাষায় আপনি যেটাকে রিইনফোর্সমেন্ট বলেছেন, এখানে সেটার কেবল একটা দিক তুলে ধরেছেন। পজিটিভ ও নেগেটিভ দুধরনেরই রিইনফোর্সমেন্ট আছে। শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের কোথাও বলা হয় নি নেগেটিভ রিইনফোর্সমেন্ট দিতে। এক্ষেত্রে নানা ধরনের কৌশল প্রয়োগের কথা বলা হয়। আপনি যেহেতু রিইনফোর্সের মতো বিষয়গুলো জানেন, তাই আশা করি এই কৌশলগুলোর কথা জানেন।
তবে অভিভাবকদের ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন, তার সাথে আমি একমত। শাস্তির ব্যাপারে আসলে যেটা করা দরকার সেটা হচ্ছে- আমাদের মানসিকতা বদলানো। আপনি একজন শিক্ষক। এই কাজে আপনাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
একজন টিচারকে যখন একই ক্লাশ্রুমের অনেকগুলো ছাত্রকে মেইন্টেইন করতে হয় তখন কিছু এক্সেপশনাল দুষ্টু বাচ্চাদের মেনেজ করা কষ্ট হয়ে দাড়ায়......সেক্ষেত্রে পজিটিভ রেইনফোর্সমেন্টের সাথে নেগাটিভে রেইনফওর্সমেন্টটাও দরকার হয়ে পড়ে......কিন্তু আমার কথা হলো সরকার যদি ছাত্র শিক্ষকের অনুপাতটা ঠিক করে দেন তাহলে এই যে মানসিক শাস্তি যেটা অনেক শিক্ষক দিয়ে থাকেন সেটাও এড়ানো সম্ভব।
ধন্যবাদ jonakeeralo।
আমার মনে হয় আরেকজনের সন্তানকে পেটাতে বা কোন শাস্তি দিতে কোন শিক্ষকেরই ভাল লাগে না।
আরেকটি কথা, মুক্তার স্যারের একটা ভিডিও দেখলাম এই ব্লগের মন্তব্যে। ক্লাস পণ্ড করা্র ব্যাপারে কিছু ছাত্র সিদ্ধহস্ত। ঐ মুহূর্তে কিন্তু একজন শিক্ষকের পড়ানোর মুড সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। আর অন্য সাধারণ ছাত্ররাও দুষ্ট ছাত্রের সাথে সাথে নেচে উঠে। সেক্ষেত্রে অপরাধ বুঝে আসল পাজিগুলাকে ( মিষ্টি কথা, আদর কোন কিছুতেই যাদের পরিবর্তন হয় না, যারাস অচেতনভাবে ক্লাসে দুষ্টামি করে) শাস্তি দেওয়াই উচিত। তবে মুক্তার স্যার যে ভাষায় কথা বললেন, সেটা নিয়ে NO COMMENT.
আমি আমার ছাত্রদের অহেতুক ভীতির মাঝে রাখতে চাই না। আমি নিজেও তো ছাত্র ছিলাম একসময় ওদের মত। আর এখন অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে পাঠদানের ব্যাপারে সারা দেশের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী থাকবে সক্রিয়। ওরা একে অন্যের সাথে যা জানল তা শেয়ার করবে। নিজে নিজে শিখবে। খুশিতে উচ্ছ্বশিত হবে। এ পদ্ধতিতে একটু কথা, একটু বেশি শব্দ হবেই ক্লাসে। যদি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের একটু স্বাধীনতা দিতে চান। কিন্তু ঠিক তখনই যদি বস মানে প্রতিষ্ঠান প্রধান রাউন্ডে বের হয়ে দেখেন তবে তিনি নির্ঘাত ঐ শিক্ষককে শো কজ লেটার ধরিয়ে দেবেন। "এটা কি ক্লাস না মাছের বাজার?''
পিন ড্রপ সাইলেন্স না হলে আবার ক্লাস হয় নাকি? শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখল সেটা বড় কথা নয়, পিন ড্রপ সাইলেন্সটাই বড়। আর সেটা বজায় রাখতে শিক্ষকদের কঠোর ভূমিকা পালন করতে হয়।
তার মানে আপনার মূল ভয় বসকে!
উপরের জনকে যে প্রশ্নটা করলাম সেটা আপনাকেও করি- প্রত্যেকটা শিশুকে যদি আলাদা একেকজন ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন, তাহলে আপনার বা শিক্ষকের কী অধিকার আছে আরেকজনকে শাস্তি দেয়ার? অন্যের গায়ে হাত তোলা অপরাধ না?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতটা কমলে শিক্ষার্থীদের আরো সহজে ম্যানেজ করা যাবে- এটার সাথে পুরোপুরিই সহমত। কিন্তু শাস্তি দেবার ব্যাপারে একমত নই আবারো।
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন করি। প্রত্যেকটা শিশুকে যদি আলাদা একেকজন ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন, তাহলে আপনার বা শিক্ষকের কী অধিকার আছে আরেকজনকে শাস্তি দেয়ার? অন্যের গায়ে হাত তোলা অপরাধ না?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জ্বী, জ্বী, বসের ভয়েই আমি শিক্ষার্থীদের পিটাই না। কারণ তাতেও তিনি শো কজ ধরিয়ে দেবেন।
আমি বোঝাতে চাইছিলাম যে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে আমরা শিক্ষার্থীদেরকে অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে পড়াতে পারি না। বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ঠ। আর আপনি আমার কথাটার কী মানে করলেন! যাক আমি আর জল ঘোলা করার দলে নেই বাবা। বিদায়।
আপনার কথা বুঝতে না পারলে আমি আন্তরিকভাবেই দুঃখিত।
কিন্তু আপনি কি আপনার মন্তব্যগুলোতে আবার একটু চোখ বুলাবেন যে ইশারাগুলো ঠিক ছিল কিনা! এই যেমন লিখেছেন-
এটা যদি আপনার কথা হয়, তাহলে বলতে হবে আপনার শিক্ষার্থীদের কপাল বেশ খারাপ। যেখানে শিক্ষার্থীদের শেখার চাইতে পিন ড্রপ সাইলেন্স বড় হয়ে ওঠে, সেখানকার ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। না দেখতে পাওয়াটা আমার সীমাবদ্ধতা ছাড়া আর কিছুই না!
আর যদি এটা ইশারা হয়, তাহলে কি বলবেন ঠিক কীভাবে পড়লে এই বাক্যগুলোর হৃদয়ঙ্গম করতে পারবো? আপনি যদি বলেন, এখানে এই কথাগুলো আপনার না; অন্যদের- তাহলে সেটা কীভাবে আমার পক্ষে বুঝা সম্ভব?
আরেকটা কথা- বুদ্ধিমান না হতে পারি, কিন্তু আলোচনাকে আমি জল ঘোলা বলে মনে করছি না।
আপনি অনেক আলোচনা করেছেন। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে কোনো মন্তব্য লেখার আগে আমি অনেক ভাবনাচিন্তা করেছি (যেহেতু আপনি শিক্ষক, আপনার অভিজ্ঞতার একটা অন্য ধরনের ভ্যালু আছে)। এই ভাবনাচিন্তার সুযোগটুকু করে দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন