জাতীয় সংসদের বর্তমান শীতকালীন অধিবেশনে নতুন শিক্ষানীতি গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি সরকারের আমলে শিক্ষা কমিশন গঠিত হলেও কোনো কমিশনের প্রতিবেদনই শেষ পর্যন্ত সরকারিভাবে নীতি হিসেবে গৃহীত হয় নি। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে যেটি গৃহীত হয়েছিল, সেটিও শামসুল হক কমিশনের প্রতিবেদনের আলোকে নানা মাত্রায় খণ্ডিত একটি অসম্পূর্ণ নীতি। ফলে বর্তমান শিক্ষানীতিই এখন পর্যন্ত দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতি। আগের কয়েকটি কমিশন প্রতিবেদন ও শিক্ষানীতিকে ভিত্তি ধরে তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও নানা কারণে সরকার সেটি সংসদে উত্থাপন করতে দেরি করে। শুরু থেকেই শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারি পর্যায়ের অনেকে ২০১১ সাল থেকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার যাবতীয় কর্মকাণ্ড নতুন শিক্ষানীতির আলোকে করার আশাবাদ ব্যক্ত করলেও মাঝখানে কিছুদিন এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় নি। কয়েকটি ছোট গোষ্ঠীর অব্যাহত বিরোধিতাই এর কারণ কি-না সে ধরনের আশঙ্কার কথাও উঠেছিল। বর্তমান শিক্ষা কমিশন প্রতিবেদনটি দেশের শিক্ষানীতি হিসেবে গৃহীত হওয়ায় বাংলাদেশ এখন শিক্ষাক্ষেত্রে নির্বাহী আদেশে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুগ থেকে সুনির্দিষ্ট নীতির আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুগে উত্তীর্ণ হলো। হয়তো একটা সময় পর বাংলাদেশে শিক্ষাবিষয়ক অনেক আলোচনাই শুরু হবে ‘শিক্ষানীতির আগের যুগে’ বা এ ধরনের কথাবার্তা দিয়ে।
বর্তমান শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়া ওয়েব সাইটে সবার মতামতের জন্য উন্মুক্ত করার পর যে সাড়া পাওয়া গিয়েছিলো, তাতে আশা ছিল সংসদেও এটি নিয়ে প্রচুর আলোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা স্বভাবতই দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সমালোচনা করতে পারবেন না। ফলে বিরোধী দল আলোচনা কী হবে, তারা কোথায় আপত্তি জানাবে বা সমালোচনা করবে- মানুষের আগ্রহটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু সংসদ বর্জনের ঐতিহ্য বজায় রাখার প্রয়াসে বিরোধী দলকে ঠেকায় কে! গণতন্ত্রচর্চার (?) অংশ হিসেবে বিরোধী দল নানা কারণে সংসদে না-ই যেতে পারে বা দৈনন্দিন ইস্যুতে আলোচনা নাও করতে পারে। কিন্তু দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টরের নীতি যখন সংসদে পাশ হতে যাচ্ছে; তখন ‘শুধু শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা করব’ ঘোষণা দিয়ে হলেও কি কিছু সময়ের জন্য তারা সংসদে যেতে পারতো না? সরকারের নির্দেশে শিক্ষা কমিশন তৈরি হয়, সরকার শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করে কিন্তু শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য তো সরকার নয়! দেশ ও দেশের জনগণের ভবিষ্যৎ গতিধারা যেখানে নির্ধারিত হয়, সেখানে শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয়েই আলোচনার জন্য সংসদে যাওয়া কি এক ধরনের ইতিবাচক প্রতিবাদ হতে পারে না?
এ অবস্থায় যে শিক্ষানীতি পাশ হলো, সেটিতে বিরোধী দলের কোনো অউনারশিপ (শব্দটির যুৎসই বাংলা এই মুহূর্তে মাথায় আসছে না) থাকলো না। সম্ভবত এ কারণেই পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তন হলেও শিক্ষানীতি যাতে পরিবর্তন না করতে পারে, সেই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিতে হয় সরকারপ্রধানকে। এই ধরনের ঘোষণা সুস্পষ্টভাবেই শিক্ষানীতির মূল চেতনার বিপরীত। শিক্ষানীতি তো এমন কোনো বিষয় না যা সময়ের সাথে পরিবর্তন করা যাবে না! বরং নির্দিষ্ট সময় পর শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করে সুস্পষ্ট তথ্যের আলোকে পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন করাটা জরুরি। একটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি কোন পর্যায়ে গেলে সরকারকে এমন ঘোষণা দিতে হয়! সংসদে গৃহীত হওয়া শিক্ষানীতিকে এ ধরনের আশঙ্কা নিয়ে চলতে হলে সেটি কতোটা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে, সেই প্রশ্ন এখানে তোলা যায়।
আর সরকারের ওই ঘোষণার যে ভিত্তি রয়েছে তাও পরিষ্কার হয়ে যায় আগামী ২৬ তারিখে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সংগঠন সম্মিলিত ওলামা-মাশায়েখ পরিষদের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থন জানানো দেখে। হরতাল আহ্বানকারীদের অদ্ভুত যুক্তি হচ্ছে- ‘পাস হওয়া শিক্ষানীতি ধর্মহীন’। কীভাবে? শিক্ষানীতির খসড়া প্রতিবেদনে তারা নাকি ১৭টি সমস্যা চিহ্নিত করেছিল, সংশোধনী দিয়েছিল কিন্তু সেগুলোর একটিও গৃহীত না হওয়ার প্রতিবাদে তারা এই হরতাল ডেকেছে। খসড়া শিক্ষানীতির মতো মূল শিক্ষানীতিও মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে দেওয়া হয়েছে। সেটি ডাউনলোড করে কেউ কি দেখাতে পারবেন এই শিক্ষানীতি কোন দিক দিয়ে ধর্মহীন? তাছাড়া যে ১৭টি সংশোধনীর কথা ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ উল্লেখ করেছে, সেগুলো তো প্রকৃতপক্ষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির নাজির আহমেদের সংগঠন ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির পুস্তিকা থেকে নেওয়া। তার মানে দেখা যাচ্ছে, পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীর এজেন্ডার বাস্তবায়নেই এ হরতাল ডাকা হয়েছে এবং জামায়াত-সংশ্লিষ্টতার কারণেই বিএনপি এ হরতালকে সমর্থন দিয়েছে।
পূর্ববর্তী শিক্ষা কমিশনগুলোর প্রতিবেদন প্রণয়ণের ইতিহাস যদি পর্যালোচনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে বর্তমান শিক্ষা কমিশন প্রতিবেদনের মতো এতো বেশি রাজনৈতিক আলোচনার ইতিহাস আর কোনোটিরই নেই। বিএনপির আমলে গঠিত মনিরুজ্জামান মিঞা কমিশন (২০০৩) প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোর কয়টি আলোচনার মাধ্যমে এসেছিল? বরং সেখানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু কিছু বিষয় জোরালোভাবে সুপারিশ করা হয়েছিল। মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ে মিঞা কমিশনের ১৫ নম্বর সুপারিশটি ছিল: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঘোষনা অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় একটি সরকারি গার্লস কলেজ, একটি সরকারি বয়েজ কলেজ ও একটি সরকারি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা, কিন্তু প্রথম দুটি বাস্তবায়িত হলেও তৃতীয়টি বাস্তবায়িত হয় নি। দেশের বর্তমান বাস্তবতার আলোকে প্রতিটি জেলায় একটি সরকারি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক; (পৃষ্ঠা ২৭৬)। সংশ্লিষ্টদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা বা গবেষণা না করে, তথ্য-উপাত্তের সাহায্য না নিয়ে একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের ঘোষণা কীভাবে ২৫ বছর পর গঠিত একটি কমিশন প্রতিবদনের সুপারিশ হতে পারে সেই প্রশ্ন বিএনপিকেও করা যায়। শিক্ষানীতি রাজনৈতিক আদর্শের বাইরে কিছু নয়; বরং রাষ্ট্রীয় মূলনীতির আলোকে ও সরকারি দলের আদর্শের প্রভাবে শিক্ষানীতি পরিচালিত হয়। সেই চেতনার আলোকেই বিএনপি মাদ্রাসা শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার চেয়েও বেশি প্রমোট করার চেষ্টা করেছে। বর্তমান শিক্ষানীতিতে মাদ্রাসা শিক্ষার মৌলিক সংস্কার বা বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের কথা নেই, কেবল কিছু ক্ষেত্রে যুগোপযোগী করার কথা বলা হয়েছে। এর বিরুদ্ধেও কিছু বলার থাকলে বিএনপি সেটি সংসদেই বলতে পারতো- না বলার গোয়ার্তুমি তারা দেখিয়েছে। শিক্ষানীতির খসড়া প্রতিবদনে মতামত দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক পর বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবি ড. এমাজউদ্দীন আহমদ কিছু মতামত শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়ছিলেন এবং শিক্ষামন্ত্রী সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়েরও অস্বাভাবিক সময় পরে মতামত দিলে তা স্বাভাবিকভাবেই গৃহীত না হওয়ার কথা, কিন্তু বিএনপি এটিকেও ইস্যু বানাতে পারে ভেবে হয়তো শিক্ষামন্ত্রী তখন সেগুলোকে গ্রহণ করেছিলেন। এরপরও বিএনপির বর্তমান শিক্ষানীতির বিরোধীতা কারণ খুঁজতে গেলে বলতে হবে- এর কারণ অন্যত্র।
ধর্মভিত্তিক দলগুলো তাদের অবস্থান থেকে নানা বিরোধিতা করতে পারে, কিন্তু কার কাছে কী চাইতে হবে সেই বিবেচনাবোধ থাকা দরকার সবারই। বর্তমান শিক্ষানীতি নিয়ে বামপন্থী দলগুলোরও সন্তুষ্ট হওয়ার কথা না, কিন্তু তারা তাদের প্রতিক্রিয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জানানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। কারণ তারা অন্তত এটা জানে যে, তারা যতোই বলুক না কেন মাদ্রাসা শিক্ষা বাদ দিয়ে পুরোপুরি একমুখী শিক্ষার বিষয়টি এ সরকার মাথায়ই আনবে না। আওয়ামী লীগের মতো মধ্যডানপন্থী দলশাসিত সরকারের কাছে ধর্মভিত্তিক শিক্ষানীতি যেমন আশা করা ঠিক না, তেমনি এই সরকার সমাজতান্ত্রিক আদর্শকে সামনে রেখেও শিক্ষানীতি প্রণয়ন করবে না। বর্তমান শিক্ষানীতিতে এমন কোনো বিষয় রয়েছে কিনা যেটি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনাধুনিক বা অদূর ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে- সে বিষয় মাথায় রেখেই বিরোধিতা করা উচিত। কিংবা বর্তমান সুপারিশের চেয়ে আরো বেশি কার্যকর অথচ সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে তা করে নি- সেরকম কোনো বিষয় থাকলে সেটির প্রতিবাদ করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, যারা বিরোধিতা করছেন, তারা সুস্পষ্টভাবে এমন কিছু এখনো দেখাতে পারেন নি।
শিক্ষানীতির একটি রাজনীতি আছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, শিক্ষানীতির এই দিকটি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো কোনোরূপ তর্ক-বিতর্কে যাচ্ছে না; বরং শুরু থেকেই শিক্ষানীতিকে কেন্দ্র করে নানা রাজনীতির খেলা চালানো হচ্ছে। শিক্ষানীতি এখন রাজনৈতিক ঘাত-আঘাতের একটি হাতিয়ারমাত্র। শিক্ষানীতির রাজনীতি নিয়ে আলোচনার বদলে রাজনীতির প্রতিহিংসায় শিক্ষানীতিকে যারা ব্যবহার করতে চাচ্ছেন, দুঃখজনক হলেও বলতে হয়, শিক্ষানীতি আসলে তাদের উপলব্ধির বাইরে।
মন্তব্য
সহমত গৌতম'দা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আচ্ছা, শিক্ষানীতিতে যদি ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া ভর করতে চায়, তখন কী করতে হবে? ইতোমধ্যে স্টেফাইলোকক্কাসরা কামড়ানো শুরু করেছে, কদিন পর পুরনো কোনো ভাইরাস হয়তো নতুন কৌশলে বংশবিস্তার করতে থাকবে। কোনো উপায়?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাক্ষেত্র সামলানোর দায়িত্ব আপনার! কারণ আপ্নে আমাদের শিক্ষাভাই
মানুষের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া হইলে খবর দিয়েন। দেখুমনে কী করা যায়!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। শিক্ষানীতি বিজয়ে লেখা বলে একটু মাইন্ড খাইলাম।
প্রকৌশল শিক্ষার কৌশলে
ইহা বঙ্গানুবাদ করলে যা দাঁড়ায়:
এটা দেখে প্রীত হলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই চ্যাপ্টারটার ওপর একটা রিভিউ দিতে পারেন। দাবি জানায়া গেলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিরোনামটা "শিক্ষানীতির রাজনীতি" হলে ঠিক হতো না?
শিক্ষানীতি পাশ হয়ে গেলেও এটা নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা বন্ধ থাকা উচিত না। এটা নিয়ে সচলে বিস্তারিত পোস্ট আশা করছি (প্রয়োজনে কয়েক পর্বে)।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
না, পাণ্ডবদা। শিক্ষানীতির রাজনীতি হলে তো কিছু বলার থাকতো না। ওটা তো ইতিবাচক দিক। শিক্ষানীতির ভেতরকার বিষয়বস্তু নিয়ে এখন আর রাজনীতি হয় না। কিন্তু শিক্ষানীতির ঘাড়ে ভর করে কিংবা একে খেলনা অস্ত্র বানিয়ে রাজনীতিকরা রাজনীতির ইট হিসেবে শিক্ষানীতিকে ব্যবহার করে বা করছে। সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবেই এই শিরোনাম। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে 'শিক্ষানীতির রাজনীতি' শিরোনামে কিছু একটা লেখার সুযোগ পাব।
আমার একটা আইডিয়া ছিল- শিক্ষানীতির প্রতিটা চ্যাপ্টারের ওপর আলাদাভাবে আলোচনা করা। কিন্তু বেশি বড় হয়ে যাবে সাহস করে হাত দিতে পারছি না। পাঠকও কীভাবে নেবেন সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপাতদৃষ্টিতে পাশ হয়ে যাওয়া শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ বলে মনে না হলেও এই আলোচনা ও বিশ্লেষণটা জরুরী। নিশ্চিতভাবেই অদূর ভবিষ্যতে এই শিক্ষানীতিতে পরিবর্তন আসবে। সংসদে বিল এনে পরিবর্তন করা না হলেও নির্বাহী আদেশের বলে অন্য কিছু করা হবে। তাই সচেতন মানুষের জন্যই আলোচনাটা চাই।
পাঠক আলোচনাটা কীভাবে নেবেন এটা পাঠকের ওপরই থাক। পাঠকপ্রিয়তা পাওয়া লেখা লেখার পূর্বশর্ত নয়। আলোচনাটা চাই, আমাদের প্রয়োজনেই চাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ।
ব্লগে লিখলে পাঠকের ব্যাপারটা মাথায় রাখতেই হয়। পাঠকপ্রিয়তা নয়, একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি দেখলে পাঠক বিরক্ত হবেন কিনা, তাই ভাবছিলাম। আপনার কথায় ভরসা পেলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বিরোধীদলের সময় কই, তারা তো দৌড়ের উপরে একজন ডিপজলের সাথে বিছানা ভাগ করতেছেন, আরেকজনের বাড়ি কেন কেড়ে নেওয়া হইছে এই নিয়া দুঃখে বিনিদ্র-রজনী যাপন করতেছেন অন্যদের মতলব আরোই খারাপ নাহলে আমাগো ট্যাকা বেতন নেন উনারা কিন্তু সংসদে আসেন না। লেখাটা পইড়া চোখে অন্ধকার দেখলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অন্ধকার দেখার কিছু নাই। অন্ধকারকে ঘুষি মারেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতমদা, শিক্ষানীতির কোন সফটকপি/লিঙ্ক পাওয়া যাবে?
পুরোটা একবার পড়া দরকার।
বন্ধুদের মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়ে গেছে এ নিয়ে।
---আশফাক আহমেদ
বন্ধুদের মধ্যে মনকষাকষি কেন হলো বুঝি নাই।
শিক্ষানীতির সফট কপিটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে পাবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন