প্রথম আলো পত্রিকায় গ্রামীণফোনের ফেসবুক বাংলা অনুবাদ-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনটি দেখে সাতসকালে হতভম্ব হয়ে যাই। অফিসে যাওয়ার তাড়া। কী করবো বুঝতে পারছিলাম না! যে কাজ অনেকে গত দুই-আড়াই বছর ধরে করে আসছে এবং ইতোমধ্যে কাজের ৭০%-এরও বেশি শেষ হয়ে গেছে, সেই কাজের জন্য এমন বিজ্ঞাপনের মাজেজা বুঝতে কিছুটা দেরি হয়। অফিসে গিয়ে পত্রিকাটা পুনরায় দেখি এবং নিশ্চিত হই- শুধু ধান্ধাবাজি করার জন্য এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের এতোদিনকার কৃতিত্ব হাইজ্যাক করা ছাড়া এই বিজ্ঞাপনের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। ইতোমধ্যে দেখি সচলে হাসিব ভাইয়ের একটি পোস্ট চলে এসেছে। সেদিনই ফেসবুক বাংলা অনুবাদকদের শীর্ষে থাকা লেনিন ভাইকে এ বিষয়ে একটা ইমেইল দিই এবং তাঁকে অনুরোধ জানাই কিছু একটা করার জন্য। তিনি জানালেন আরেক শীর্ষ অনুবাদক নাসির খান সৈকতের সাথে তিনি এ ব্যাপারে আলোচনা করবেন। আমি একই সাথে লেনিন ভাইকে পত্রিকায় এই বিষয়ে একটা লেখা দেয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু পত্রিকাগুলো গ্রামীণের বিরুদ্ধে কোনো লেখা ছাপবে কিনা সে বিষয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেও জানি, কর্পোরেট হাউজগুলোর বিরুদ্ধে পত্রিকাওলারা কিছু ছাপতে চায় না। এর আগে ইউনিলিভারের বিরুদ্ধে আমার একটি লেখা একটি শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করে নি। আমার শিক্ষাবিষয়ক অন্যান্য লেখা ছাপলেও ইউনিলিভারের বিরুদ্ধে লেখাটি তারা ছাপতে পারছে না বলে আমাকে জানানো হয়। কারণ জানতে চাইলে বলা হয়েছিল- ‘বুঝেন-ই তো!’ তারপরও একটি পত্রিকা না ছাপলে আরেকটি পত্রিকায় ছাপানোর চেষ্টা করে দেখার প্রয়াসে গ্রামীণের এই ধান্ধাবাজির বিরুদ্ধে একটি লেখা পত্রিকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই।
২.
একসময় সংবাদপত্রে কাজ করার সুবাদে পরিচিত কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিককে আমি সেদিনই ফোন দিই এবং পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। আমার কথা শুনে তাঁরা সবাই সংশয় প্রকাশ করেন- কোনো পত্রিকাই গ্রামীণের বিরুদ্ধে লেখা ছাপবে না। তারপরও তাদের কয়েকজন আমাকে লিখতে বলেন এবং এ ব্যাপারে তাঁরা সাধ্যমত সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন। তাঁদের আশ্বাস পেয়ে যেদিন প্রথম বিজ্ঞাপনটি ছাপা হয়, তার পরেরদিনই লেখাটি শেষ করে একটি অন্যতম শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে ইমেইলে পাঠিয়ে দিই।
যে দৈনিকে লেখাটি পাঠাই, সেখানকার একজন সিনিয়র সাংবাদিক আমাকে বিকেলে ফোন করে তাঁর অফিসে যেতে বলেন। অফিস শেষে গিয়ে দেখি, তিনি শুধু আমার লেখাটি নিয়ে আলোচনার জন্যই বসে আছেন। তাঁর সাথে আমার সেদিন যে কথোপকথন হয়, তা মূলত এরকম (স্মৃতি থেকে লিখছি, একদম হুবহু নাও হতে পারে):
সিনিয়র সাংবাদিক: তোমার লেখাটি পড়লাম। বেশ ভালো লিখেছ। কিন্তু এটি কেউ ছাপবে বলে মনে হয় না। আমি এখনও আমার সম্পাদককে দেখাই নি। কিন্তু দেখালে তিনিও ছাপবেন বলে মনে হয় না।
আমি: কেন?
সিনিয়র সাংবাদিক: কেন তা তো বুঝই। আমি আসলে তোমাকে অন্য একটা পরামর্শ দেয়ার জন্য ডেকেছি।
আমি: কীরকম!
সিনিয়র সাংবাদিক: তুমি আগে ওই পত্রিকায় (দেশের শীর্ষ জাতীয় দৈনিকের নাম উল্লেখ করে) লেখাটি ছাপানোর চেষ্টা কর। যদি সেখানে না হয়, তাহলে আমি তোমার লেখাটি নিয়ে সরাসরি সম্পাদকের সাথে কথা বলবো।
আমি: কিন্তু আমি তো ওই পত্রিকার ওই বিভাগের কাউকে চিনি না!
সিনিয়র সাংবাদিক: তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
...বলে তিনি ওই পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সাথে ফোনে কথা বললেন। পরে দেখলাম, যিনি ওই পত্রিকার এই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্বে আছেন, তাঁর সাথে আমার দহরম-মহরম সম্পর্ক না থাকলেও বেশ ভালো সম্পর্কই আছে। ফোনে আমাদের কথাবার্তা হলো এরকম:
সিনিয়র সাংবাদিক: ‘অমুক ভাই’, আমি তো আপনাকে পুরোটা বুঝিয়ে বললাম। এখন দেখেন আপনি কী করতে পারেন! আপনি একটু গৌতমের সাথেও কথা বলেন।
আমি ফোন নিয়ে তাঁর সাথে কথা বললাম। পুরো বিষয়টা আবার ফোনে বুঝিয়ে বললাম।
শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাই: আমি বিষয়টা বুঝছি। কিন্তু কতোদূর কী করতে পারবো তা বুঝতে পারছি না। তবে আজকে তো আর হবে না, আমি কাল এসে সম্পাদকের সাথে এটা নিয়ে কথা বলবো।
আমি তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে ফোন রেখে দিলাম। এবং ইমেইলে তাঁকেও লেখাটি পাঠিয়ে দিলাম। ইমেইলে লেখাটি পাঠানোর আগে সিনিয়র সাংবাদিক বললেন: তোমার লেখায় একটা সমস্যা আছে। তুমি হেডিংয়ে ধান্ধাবাজি, হাইজ্যাক শব্দগুলো ব্যবহার করেছ। এগুলো দেখলে শীর্ষ পত্রিকার সম্পাদক পুরো লেখা না পড়েই ফেলে দিবেন। তুমি শব্দগুলো বদলে দাও।
তাঁর পরামর্শ অনুসারে আমি ‘ধান্ধাবাজি’ শব্দের বদলে ‘চেষ্টা’ শব্দটি ব্যবহার করলাম। এতে লেখার শিরোনাম হলো: ফেসবুক বাংলা অনুবাদ: গ্রামীণের আহ্বান নাকি কৃতিত্ব দখলের চেষ্টা!
৩.
পরদিন দুপুরে শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাইকে ফোন দিলাম। তিনি মিটিং-এ ব্যস্ত। এদিকে সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাইয়ের সম্পর্ক ভালো থাকাতে আমি অনুরোধ জানালাম, আমার পক্ষ থেকে সিনিয়র সাংবাদিক যেন তাঁকে আবার লেখাটি ছাপানোর তাগাদা দেন। তিনি আমার অনুরোধ রাখলেন। বিকেলে আমি আবারো শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাইকে ফোন দিলাম। তিনি আমার ফোন ধরলেন না। সন্ধ্যায় দিলাম। তিনি আমার ফোন ধরলেনই না।
রাতে আমি আবার সিনিয়র সাংবাদিককে ফোন দিলাম। তিনি আমাকে যা জানালেন তা আসলে অনুমেয়ই ছিল! চলুন, শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাই এবং তাঁর সম্পাদকের কথোপকথন কী হতে পারে সেটি বাস্তব ভিত্তির আলোকে কল্পনা করি।
শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাই: ইয়ে ‘সম্পাদক’ ভাই, এই লেখাটা একটু দেখবেন!
সম্পাদক: কী লেখা!
শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাই: না, ওই গ্রামীণের একটা বিজ্ঞাপন নিয়ে একটা লেখা আছে। লেখকের মতে, তাদের দীর্ঘদিনের একটা কাজ গ্রামীণফোন হাইজ্যাক করতে চায়।
সম্পাদক: দেখি!
বলে তিনি লেখাটি নিয়ে পড়লেন। পড়তে বেশি সময় লাগলো না। মাত্র দেড় পৃষ্ঠার লেখা।
সম্পাদক: হুম। লেখাটা ভালো। কিন্তু এটা তো ছাপতে পারবো না।
শীর্ষ পত্রিকার অমুক ভাই: দেখেন কিছু করা যায় কিনা। কারণ তাদের যুক্তিগুলো তো ঠিক।
সম্পাদক: তা ঠিক। কিন্তু কী করবো বলেন! আপনি তো বুঝেনই!
...বলে লেখাটি ফিরিয়ে দিলেন।
৪.
পরদিন সিনিয়র সাংবাদিক তাঁর পত্রিকার সম্পাদকের কাছে লেখাটি নিয়ে গেলেন। একইভাবে তিনিও লেখাটি পড়লেন। বললেন- দেখেন, এটা আসলে ছাপা সম্ভব হবে না। লেখাটি যদি ‘রমুক’ কিংবা ‘এমুক’ ফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে হতো, তাহলে ইজিলি ছাপতে পারতাম!
৫.
সিনিয়র সাংবাদিক ফোন করে আমাকে তাঁর অপারগতার কথা জানালেন। বেদনাহত স্বরে বললেন, ‘এবার বুঝতে পারছো কোন বাংলাদেশে আমরা বাস করি!’
৬.
হতাশ না হয়ে আমি আরো মধ্যম সারির কয়েকটি পত্রিকার পরিচিত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলি। এবং শেষ পর্যন্ত সেই হতাশই হই।
৭.
তার পরদিন আমি সবগুলো পত্রিকার স্লোগানগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি। দেখি সবারই অবস্থান সত্যের পক্ষে, বদলে দেবার পক্ষে, জনগণের পক্ষে ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা সবাই মানুষের কথা বলে, জনগণের কথা বলে, আলোর কথা বলে, সুন্দরের কথা বলে। আমি বুঝে যাই, মিডিয়ায় সত্য-বদল-জনগণ-আলো-মানুষ কী কথা বলবে, তার সবই আসলে নির্ধারণ করে দেয় কর্পোরেট হাউজগুলো।
মন্তব্য
কর্পোরেট বিনিয়োগমুক্ত ব্লগই ভরসা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সেটাই হাসিব ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হক কথা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আশাহত হলাম
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি অবশ্য পরে আর আশাহত হই নি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মেহদীকে বলেন লেখার জন্য। তাঁর লেখার একটা আলাদা আবেদন আছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভুলে গিয়েছিলাম, টেকি ম্যাগাজিন গুলা এলেখা ছাপাতে পারে। ওদের একজন মেহেদীর লেখাটা ছাপানোর জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করেছিলো, আমিই মেহেদির সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।
...........................
Every Picture Tells a Story
এক মন্তব্য দেয়া জবাব অন্য মন্তব্যে চলে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই ‘বুঝেন-ই তো!’ জার্নালিজমের মুখে লাত্থি মারতেই শক্তিশালী মুক্ত গণমাধ্যমের খুব দরকার
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফেইসবুকেই এটা নিয়ে জনমত গড়ে তোলা যায় না?
লেখাটা পড়তে পড়তেই মেজাজ খ্রাপ হয়ে গেসে। দেশের সাংবাদিকতার কী অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে।
একটা অনুরোধ- এই লেখাটা অনেকেই পড়বেন। প্রাসঙ্গিক লিঙ্কগুলো জুড়ে দিলে বুঝতে সুবিধা হবে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
প্রস্তাবটা ভালো। আমি একটু সময় করে লিংকগুলো দিয়ে দিবো। অনেক ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগ একদিন সমস্ত গণমাধ্যমের চেয়ে শক্তিশালী হবে- এই আশা করি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অবাক হইনাই, খুব স্বাভাবিক একটা ব্যপার।
তারপরেও মন খারাপ হলো একটু।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি একটু আশাহত হৈসি। ছোটাছুটি না করলে হয়তো আশাহত হতাম না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এটা ভালো কিছুর আলামত বহন করেনা। সংবাদমাধ্যমগুলো হওয়া উচিত মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি বিকাশের প্লাটফর্ম। ওখানে বেনিয়াবৃত্তি দেখলে খারাপ লাগে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ওরা কর্পোরেট মুক্তিচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধি বিকাশের দায়িত্ব নিয়েছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম দা, মজার একটা কথা বলেছেন।
যেদিন কর্পোরেট চিন্তা এবং বুদ্ধি মুক্ত হবে সেইদিন আমি সানন্দে লুঙ্গির সামনে একটা জিপার লাগাবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এগজাক্টলি! এগজাক্টলি!! এজন্যই আমাদের দরকার কর্পোরেট/রাজনৈতিক থাবা মুক্ত ব্লগ। ঠিক এই নিশে জায়গাটাতেই সচলায়তন সরব হতে চায়।
ব্লগগুলোরও কিছু সীমাবদ্ধতা মাঝে মাঝে দেখতে পাই। সেটা অবশ্য ভিন্ন আলোচনার ব্যাপার। তবে এটা ঠিক, এখন পর্যন্ত স্বাধীন মাধ্যম হিসেবে ব্লগগুলো একটা স্বতন্ত্র অবস্থা বজায় রাখতে পেরেছে। ভবিষ্যতে এই অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সারা পৃথিবীই এভাবে চলছে। কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে ডেটা পেলে রিসার্চ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্যামেরা বসালে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাও চেষ্টা চলছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সেটাই। চেষ্টাটুকু অব্যাহত থাকুক।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অবাক হইনি।
অবাক হইনি। আশাহত হয়েছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পত্রিকাওয়ালাদের সম্পর্কে কিছু বলার নেই। গ্রামীনের বিপক্ষে কিছু বললে তারা আর গ্রামীনের বিজ্ঞাপন পাবে না। সংবাদে যখন কাজ করতাম তখন ইউনিলিভারের (তখন লিভার ব্রাদার্স ছিল) বিরুদ্ধে লেখা পাঠকের একটি চিঠি ভুলে ছেপে ফেলে উপসম্পাদক প্রায় চাকরি হারাচ্ছিল। ইউনিলিভারকে ডেকে হাতে পায়ে ধরে পরে রক্ষা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধরেন আজকে সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন-চারটা পত্রিকা এবং টেলিভিশন চ্যানেল গ্রামীণকে বিজ্ঞাপনের কিছু নীতিমালা বেঁধে দিল। এর বাইরে গেলে গ্রামীণের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হবে না। তখন গ্রামীণ কী করবে? দায়টা কার বেশি! গ্রামীণের নাকি চ্যানেল বা পত্রিকাগুলোর?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সেটাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভরসা থাকুক ব্লগের পাতায়।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মনে হচ্ছে কাল থেকে আর সংবাদপত্র পড়তে ইচ্ছা করবে না,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আরে না! এই ইচ্ছা করবেন না। ...এরকম হয়তো হাজার হাজার ঘটনা ঘটে। কয়টাই বা আমরা জানি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই অস্বাভাবিকতাই স্বাভাবিক। তবে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে, হবে। মানুষ তার কথা বলতে চাইবেই। ব্লগ এক্ষেত্রে একটা মাধ্যম। আরো মাধ্যমও আসবে। মানুষের যাত্রা সত্য প্রকাশের দিকে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পত্রিকায় অবস্থা পরিবর্তন হচ্ছে না। ব্লগ এবং এরকম মাধ্যমগুলোই এখন ভরসা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কী যুগে আমরা করি বাস। এখন প্রতিটি ঘরে
মিথ্যা দিব্যি পা তুলে রয়েছে ব'সে; প্রহরে প্রহরে
পাল্টাচ্ছে জামা জুতো। (শামসুর রাহমান)
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কবিতাটার জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগ কি আসলেও ভরসা?
ভিন্নমত ও ভিন্নবিশ্বাস এর অনেককেই তো দেখি যেভাবে সবাই মিলে আছড়ায়া পাছড়ায়া চাইপা রাখেন।
যাতে আর কথা কইতে না পারে।
এই কর্পোরেটরে দোষ দিয়া কি লাভ, আমরা সবাই এক রকম।
হুম।
ইন্টারেস্টিং। ব্যাখ্যা করবেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দুঃখ একটাই যে আজ থেকে হয়তো বছর খানেক পরে গ্রামীণ আবার বিজ্ঞাপন দেবে, 'ফেসবুক অনুবাদের কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমাদের সকল শুভাকাঙ্খি ও সকল স্বেচ্ছাসেবকদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।' আবার আমরা ব্লগে এর বিরুদ্ধে লিখব, কিন্তু আপামর জনতা জানবে এই মহৎ কাজটা গ্রামীণ ফোনের উদ্যোগে হয়েছে।
সত্যিই তো আমরা কতো অসহায়......
মনে হচ্ছে সেটাই হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অপ্রত্যাশিত নয়, বেশ কয়েকবার নিজের অফিসের সামনে গ্রামীণের চাকরিচ্যুতদের অনশন করতে দেখেছি, বিক্ষোভ করতে দেখেছি, পুলিশের পিটুনিও খেতে দেখেছি কিনা মনে করতে পারছি না। তবে কোন মিডিয়ায়ই একটা ছোট্ট খবরও দেখিনি।
আমাকে একজন সাংবাদিক পরামর্শ দিয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলন করার জন্য। আরেকজন বললেন, 'ভুলেও এ কাজ করো না। দেখা যাবে, যারা সংবাদ সম্মেলন করছো, তাদের এসে কেউ পিটিয়ে গেল!'
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এতো গেলো এক দিকের কথা। কিন্তু বলেন যারা এই ব্লগে মন্তব্য করে গেলেন তাদের ভিতরে কয়জন গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন না ?
গ্রামীণফোন ব্যবহার করার সাথে এর সম্পর্ক বুঝলাম না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
Problem ta Gautom er. Uni nijer aubhiggata theke kano shikkha nilen naa "taka ja-ha balibe tahai shatto" so patrikaguloto shatter pakkhei naaki?
আপনার কথার সাথে শতভাগ সহমত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার ড্যাপ (DAP)নিয়ে লেখাটার কথা মনে পড়ে যায়।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বারবার ওটার কথাই মনে পড়েছিল। আপনাকে তখন বলা হয় নি (নানা চেষ্টা করেও লেখাটা ছাপতে পারছিলাম না বলে লজ্জায় বলি নি), আপনার ওই লেখাটা নিয়ে আমি অন্তত চারটি পত্রিকা অফিসে সশরীরে গিয়েছি। কথা বলেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ আর লেখাটা ছাপলো না! তবে তখন একটা বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছিল। কে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লেখা ছাপে না, সেটা বেশ বুঝা গিয়েছিল।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনি যে পত্রিকায় গিয়েছেন, সেখানে আপাতত রমুক বা এমুক বিজ্ঞাপন দিচ্ছে না, তাই প্রতিদিন রমুকরা প্রথম পাতায় একটা লিড নিউজ এর জায়গা পাচ্ছে। যে নিউজগুলো আলু-কালুদের ক্রিকেট টিম বিরোধীতার মতোই হলুদাভ। আর জিপি'র বিরুদ্ধে ব্লগ এর এমন উদ্যোগের পরেও তাদের টনক নড়লোনা, দুঃখজনক ব্যাপার।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমি কিন্তু একাধিক পত্রিকায় গিয়েছি।
খেয়াল করেছেন বোধহয়, রমুকের বিরুদ্ধে নিউজ কমে যাচ্ছে। এমুকের বিরুদ্ধে বোধহয় কমে নি। মাঝখানে দুয়েকদিন দেখলাম রমুক কোম্পানি ওই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
মজার ব্যাপার কি জানেন? ব্লগে যে এতোকিছু হচ্ছে সেটা কোনো পত্রিকার উর্দ্ধতন ব্যক্তিরা জানেন না। অনেকের ব্লগ সম্পর্কেই আইডিয়া নেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
"ব্লগে যে এতোকিছু হচ্ছে সেটা কোনো পত্রিকার উর্দ্ধতন ব্যক্তিরা জানেন না। অনেকের ব্লগ সম্পর্কেই আইডিয়া নেই।"
খাইসে!
কস্কি মমিন!!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জ্বী। পত্রিকার ইয়ং জেনারেশন ছাড়া বাকিদের অধিকাংশ ব্লগ বিষয়টা সম্পর্কেই জানে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হাঃহাঃহাঃ!
আপনি এই দেশে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেও হয়তো কোনো পত্রিকা রিক্স নিয়ে ছাপিয়ে ফেলার সাহস দেখাবে, কিন্তু মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোনো লেখা ছাপাবে না। আপনার লেখাটি সম্পাদককে দেখানোর অপরাধে আপনার সেই ভাইয়ের চাকুরি যায় কি না সেটা নিয়েও আমি চিন্তায় আছি।
না, চাকুরি যাবে না। তিনি অনেক সিনিয়র।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এভাবে অবশ্য ভাবি নি। তবে কথাটা বোধহয় সত্য।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি সব সময় বন্ধু চক্রে একটা কথা বলি। সেটা হলো, কর্পোরেট আগ্রাসন সেনা আগ্রাসনের চেয়েও ভয়াবহ। আজ আপনার লেখাটা পড়ে আমার বিশ্বাস আরো সুদৃঢ় হলো।
টুইটার
এভাবে অবশ্য ভাবি নি। তবে কথাটা বোধহয় সত্য।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগেই ভরসা।
হুমম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হ। গ্রামীণ হলো "আহ্বায়ক"। "চেষ্টা"র জোরেই এদ্দূর এসেছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
হুমম
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সব কথা সারমর্ম এটাই। এই অস্বাভাবিকতাকেই স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছে পাঠকেরাও। ব্লগের বাইরে কাউকে প্রশ্নও করতে দেখি না মোবাইল কোম্পানির জোচ্চুরি নিয়ে এত কথা হয় ঘরে ঘরে, পত্রিকার পাতায় তা অনুপস্থিত কেন? পত্রিকা কার কথা বলে?
আমি আগেও লিখেছিলাম, স্বাধীন সংবাদপত্র বিষয়টা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
একমত।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমরা যে নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে বড় শত্রু আবারো প্রমাণিত হল।
'আমরা নিজেরা' কারা বুঝলাম না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
একটা দৈনিক পত্রিকা যতজন পড়ে, তার কতজন উপসম্পাদকীয় পড়ে?
আর যতজন উপসম্পাদকীয় পড়ে, ততজনের কতজন আসলে ব্লগের খোঁজ না রেখে চলে?
সংখ্যার তফাতটা কি খুব বেশি? আমার মনে হয় না...
পত্রিকায় লেখা ছাপার দরকার কী?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সংখ্যার তফাতটা যতো ছোটই হোক, পত্রিকায় লেখা ছাপানোর একটা ইম্প্যাক্ট আছে। উপসম্পাদকীয় না পড়লেও অনেকে চোখ বুলান। যেটা পাঠককে কাছে টানে, পাঠক সেটা পড়ে। অনেক পাঠক আছে (ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে বলা) যারা ব্লগের সাথে পরিচিত নন, কিন্তু উপসম্পাদকীয় পুরোপুরি না পড়লে চোখ বুলান ঠিকই।
আর এক ধরনের নীতিনির্ধারকদের কাছে পত্রিকার লেখা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা যে পাতায়ই ছাপা হোক না কেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সেটাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আবারো প্রমাণ হল ব্লগের গুরুত্ব কতখানি।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
বদলে দাও বদলে যাও - বাবার পত্রিকা ছেলের বিজ্ঞাপনী ফার্ম
তাই নাকি! এটা তো জানতাম না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বদলে যাওয়ার অগ্রপথিকের ছেলের রেস্টুরেন্টের একটি কার্ড পেয়েছিলাম, কার্ডে লেখা ছিল সেই রেস্টুরেন্ট নিয়ে চারবার "নকশা" করা হয়েছে। কার্ড প্রদানকারীর সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হই সেটি বদলে যাওয়ার অগ্রপথিকের ছেলের রেস্টুরেন্ট।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কষ্ট পেলাম কর্পোরেট সংস্কৃতির কাছে সত্যকে এভাবে মার খেতে দেখে। তবু স্বান্তনা পাচ্ছি অন্তত ব্লগে এদের ভন্ডামী তুলে ধরা যাচ্ছে বলে।
পলাশ মুস্তাফিজ
সেটাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী প্রডিজি থেকে:
"নুরুল ইসলাম দেশের জনপ্রিয় একটি পত্রিকার সম্পাদক, পত্রিকা কীভাবে চালাতে হয়, সেটা খুব ভালো জানেন কি না, সেটা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন করতে পারে কিন্তু ব্যবসা জানেন কি না, সেটা নিয়ে কেউ সন্দেহ করে না। টেলিফোন কোম্পানির ওপর কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বের হওয়ার পর থেকে কোম্পানিগুলো তার পত্রিকায় নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেয়। কৃতজ্ঞতাবশত, নুরুল ইসলামও তাঁর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বন্ধ রেখেছেন।"
দেশে আজ সব সম্পাদকই নুরুল ইসলাম।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
বইটা পড়া হয় নি। পড়তে হবে তো!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গেল জানুয়ারি মাসে গ্রামীণফোন এক টেলিভিশন মিডিয়াতেই বিজ্ঞাপন দিয়েছে ১৯৫ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন টাকার। পত্রিকায়ও কম দেয়নি। আপনি কোন স্যার যে লেখা ছাপিয়ে মিলিয়ন টাকার ব্যবসা বন্ধ করবে?
মুক্ত মাধ্যম-ই আমাদের ভরসা!
ওরে বাবা! টাকার এই অংক তো মাথায়ই ছিল না। এ তো দেখি এলাহী কারবার!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
kichui korar nai....
তাই মনে হচ্ছে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সংবাদপত্রকে বলা হয় সমাজের দর্পণ। একে চতুর্থ রাষ্ট্রও বলা হয়ে থাকে। দেশ এবং সমাজের বর্তমান অবস্থা এই বিষয় থেকেই প্রতিফলিত হয়।
খুব কঠিন কথা বললেন!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কষ্ট পেলাম কর্পোরেট সংস্কৃতির কাছে সত্যকে এভাবে মার খেতে দেখে। তবু স্বান্তনা পাচ্ছি অন্তত ব্লগে এদের ভন্ডামী তুলে ধরা যাচ্ছে বলে।
পলাশ মুস্তাফিজ
এরকম হাজারো ঘটনা ঘটে পত্রিকায়। তার কিছুই প্রায় আমরা জানি না। ব্লগ আস্তে আস্তে একটা শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে দাড়াচ্ছে। হয়তো একদিন পত্রিকার চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এই মাধ্যমটি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগই ভরসা
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমাকে মাঝে মাঝে কেউ কেউ পত্রিকায় লিখতে বলে। ছাপা পত্রিকায় নিজের নাম দেখতে পাওয়ার বিষয়টা লোভনীয় লাগে -- এইটাও সত্য।
কিন্তু
এইরকম কাহিনী পড়ে + একজনের লেখা সম্পাদক বা অন্য কারো নামে ছেপে দেয়ার মত চুরির ঘটনা পড়ে + লেখাকে ইচ্ছামত কাটাকুটি করে সেটা লেখকের সম্মতিছাড়াই ছাপানোর ---- কাহিনী দেখে পত্রিকায় লেখার ইচ্ছা বহু আগে নিহত হয়েছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
পত্রিকায় ছাপাতে চেয়েছিলাম কারণ পত্রিকার একটা বড় প্রভাব রয়েছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অনেক বছর আগে গ্রামীণ যখন হঠাৎ করেই সরকারকে প্রদেয় শুল্ক ব্যবহারকারীর উপর চাপিয়ে দিয়ে গ্রাহকের উপর এককালীন হাজার টাকারও বেশি বাড়তি বিল চাপিয়ে দিল, তখন পত্রিকাগুলোতে অভিযোগ করে একই ভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলাম।
সব মিডিয়া যদি এক হয়, তাহলে কিন্তু গ্রামীণকেও বাগে রাখা সম্ভব। ব্যবসা করতে হলে বিজ্ঞাপণতো তাকে দিতেই হবে। কিন্তু যারা বলেন 'বদলে যাও, বদলে দাও', তাদের বদলাবে কে?
-----------
চর্যাপদ
এটাই একটু আগে বললাম যে, কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা আর চ্যানেল এদেরকে অন্তত এক মাস বর্জন করলেও বাগে আনা সম্ভব। কিন্তু কেউই বোধহয় এটুকু ঝুঁকিও নেবে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সাপ্তাহিক বুধবারকে লেখাগুলো দিতে পারেন। আশা করি তারা এ লেখাগুলো ছাপবে। আপনারা যদি বুধবার পত্রিকাটি না দেখে থাকেন তবে দেখতে পারেন। আশা করি নিরাশ হবেন না। এদের ওয়েব সাইট আছে তবে তারা পুরো খবর আপলোড করে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে মুদ্রর্ণ সংক্ষরণ দেখতে হবে।
খবরটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। তবে আপাতত অন্য কোথাও দিচ্ছি না। তারা নিজে থেকে চাইলে সেটা অন্য কথা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যারা গ্রামীনফোনের বিজ্ঞাপন দেখে অনুবাদ করতে এসেছেন। তাদের জন্য জানা প্রয়োজন কতোগুলো সত্যি:
১. ফেসবুক প্রায় ৩/৪ বছর ধরেই বাংলায় অনূদিত হয়ে আসছিলো।
২. প্রায় ৫শতাধিক নিবেদিতপ্রাণ অনুবাদক প্রতিনিয়তই অনুবাদ করে চলেছেন।
৩. বর্তমানে প্রায় ৭৮% অনূদিত হয়ে আছে ফেসবুক। http://i56.tinypic.com/5ev71s.png প্রমান।
৪. ফেসবুক CrowdSourcing এর মাধ্যমে সবাইকে অর্থাৎ সকল ফেসবুক ব্যবহারকারিকে অনুবাদের অনুমতি দেয় তার নিজের ভাষায়।
৫. বাংলার জন্য ফেসবুকের কোড হচ্ছে bn_IN অর্থাৎ (ইন্ডিয়ান বাংলা)। কেবল বাংলার জন্য bn বা বাংলাদেশের বাংলার জন্য bn_BD কোডের ব্যবস্থা এখনও করেনি ফেসবুক।
৬. ফেসবুক বা গ্রামীনফোন কাউকে এই অনুবাদের জন্য কাউকে কোনো টাকা-পয়সা দেবেনা। আর তাই এটা কোনো চাকুরিও নয়। আপনারা অনুবাদ করলে বাংলাকে ভালোবেসেই অনুবাদ করবেন।
৭. মোবাইলে অপেরামিনি দিয়ে বাংলা সহজেই দেখা যায়। বাংলায় মোবাইলে লিখতে হলে বাংলা ফন্ট থাকতে হয়। এবং লিখনপদ্ধতিও থাকতে হয়।
৮. কম্পিউটারেও বাংলা লিখতে হলে কোনো একটি লিখনপদ্ধতি থাকা চাই। যেমন: www.omicronlab.com এর অভ্র-কীবোর্ড। সাথে বাংলা ফন্টও লাগে।(শুধু ফন্ট থাকলেই লেখা যায়না)
৯. ফেসবুকে বাংলা ৭৮% অনূদিত হয়েছে গত ৩/৪বছর ধরে। আর তা এমনকি বাংলাদেশের চেয়ে বড় জনগোষ্ঠীর দেশ ভারতের হিন্দীর চাইতেও তা এগিয়ে (ভারতের হিন্দী এমুহূর্তে মাত্র ৪০% অনূদিত আছে যা প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান)। অর্থাৎ বাংলায় অনুবাদ হচ্ছে অনেক অনেক বেশি।
১০. ফেসবুকের প্রায় প্রতিটি পাতা এখন বাংলাতেই আছে। অর্থাৎ খুবই সামান্য অনুবাদ বাকি।
আপনারা সবাই যদি সময় করে কীভাবে বাংলা লিখতে হয়, কীভাবে অনুবাদ করতে হয়, কীভাবে পুরানো অনুবাদের মধ্যে ভোটাভুটি করে ভালো অনুবাদ পছন্দ করতে হয় তা শিখে ফেলেন তবে একটি সুন্দর কাজ হবে।
গ্রামীনফোন হয়তো মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেতে চাইছে। কিন্তু এর সুফলও আছে। আপনারা যারা এই লেখাটি পড়ছেন, তাদের সিংহভাগই হয়তো এই গ্রামীনফোনের বিজ্ঞাপনটি দেখেই এখানে এসেছেন! অর্থাৎ গ্রামীনফোন আপনাদের ফেসবুকমুখি করেছে। বাংলায় কম্পিউটার তথা ইন্টারনেট চর্চায় আগ্রহী করেছে। সুতরাং এসুযোগকে কাজে লাগান। সবাই মিলে পারবোনা বাকি অনুবাদ শেষ করে ফেলতে? আর মাত্র ১৪হাজার বাক্যাং বাকি।
সেই সাথে আরেকটি কথা আমরা নিজেরা মনে করতে পারি এবং গ্রামীনফোনকে মেসেজ করতে পারি। সেটি হলো: মধ্যপ্রাচ্যের এই যে বিপ্লবের বন্যা চলতে তা কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমেই। উইকিলিকসের মাধ্যমে রাজা আমীরদের গোপন দুর্ণীতির নানান তথ্য জেনে জনগণ তাদের টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতাচ্যুত করে দিচ্ছে। গ্রামীনফোন আপনাদের সবাইকে একত্রিত করছে। কিন্তু তার পেছনে আছে দারুণ ফাঁকিবাজি। কী... সবাই মিলে পারবেন না গ্রামীনফোনকে একটা শিক্ষা দিতে? একদিনে হয়তো হবেনা। ফেসবুকে একসঙ্গে সবাই গর্জে উঠতে পারবেন না? শিক্ষা পেয়ে যাবেনা এমন দুষ্টেরা একসময়? মনে আছে নিশ্চয়ই সরকারও একসময় ফেসবুক রুদ্ধ করে দিয়েছিলো। দুষ্টেরা সবসময় ভালোদের একত্রিত সমাবেশকে ভয় পায়। আসুন, একত্রিত হই। একসময় নাহয় জেগে উঠবো সময় হলে....
@কালো ও সাদা:
যারাই আমার লেখা নোটটি শেয়ার দিতে চাচ্ছেন তাদের সবার জন্য জানাচ্ছি, আমি ফেসবুকে একটি পাতা খুলেছি গ্রামীনের এই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে। সেখানে যারা অনুবাদ করছেন তারা ছাড়াও সবাই সদস্য হতে পারেন।
http://on.fb.me/eqWKSW
উপরের ঠিকানায় সবার এধরণের পোস্টগুলো শেয়ার করা হচ্ছে। সব অনুবাদক এবং শুভানুধ্যায়ীকে ঐ পাতায় একত্রিত হবার আহ্বান জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আবারো ধন্যবাদ লেনিন ভাই। এই পেজটা ছড়িয়ে দিই সবার কাছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তথ্যগুলো জানানোর জন্য ধন্যবাদ লেনিন ভাই। এগুলো আশা করি অনেকের কাজে লাগবে।
ফেসবুক অনুবাদ কেন, যে কোনো বিষয়েই যে কেউ আহ্বান জানাতে পারেন। তবে সেটা হতে হবে যারা ইতোমধ্যে এই কাজের সাথে জড়িত, তাদের অবদানকে স্বীকার করে। গ্রামীণের আহ্বানে আহ্লাদিত হতে পারতাম যদি তাদের বিজ্ঞাপনে এই অবদানটুকু অস্বীকার করার টোনটুকু না থাকত।
গর্জে উঠতেই হবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হুম, আমাদের আসলে জাতীগত ভাবে হাড়ের ডাক্তার দেখানো দরকার ... মেরুদন্ডগুলো যেভাবে নুয়ে পড়ছে! আর বর্তমান পেপারওয়ালাদের কথা বলাটা তো সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। সব সম্পাদকগুলোর মেরুদন্ডের হাড় কর্পোরেট হাউজে বন্ধক দেয়া।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম দা,
আপনার লেখাটা সচলে পোস্ট করে দেন, তারপর আমরা সবাই না হয় ওটাকে FB তে শেয়ার করে দেব।
আপনাদের ডিজুসের উদ্ভট বিজ্ঞাপন গুলোর কথা মনে আছে? থাকলে নিশ্চয়ই এটাও মনে আছে যে , ওই বিজ্ঞাপনগুলো হোর্ডিং সহ রাতা রাতি সব উধাও হয়ে গেছিল, যদিও কোনো পত্রিকায়ই কিছু আসে নি এ ব্যাপারে। গ্রামিনের অন্যায় কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কিছু করা খুবই কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয় নিশ্চয়ই।
আর লেলিন ভাই, আপনার কমেন্ট টা আলাদা পোস্ট হিসেবে হলে শেয়ার করতে সুবিধা হতো।
--
কালো ও সাদা
আমার ওই লেখাটা আসলে নতুন করে দেয়ার কিছু নাই। হাসিব ভাই ও মেহদীর পোস্টেই সব বলা আছে। লেনিন ভাইয়ের মন্তব্যটা দেখেন। ওখানেও এগুলোই বলা আছে। আমি আসলে সেই তথ্যগুলোতে একত্র করে পত্রিকায় ছাপাতে চেয়েছিলাম। সেটা আর হলো না।
কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। এখন বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা করছি। কোনো উপায় মাথায় আসলে জানাবেন প্লিজ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম দা,
একটি পত্রিকা আছে, যারা আপনার লেখাটি ছাপাবেন। পাঠিয়ে দেখুন এখানে: http://motikontho.wordpress.com/
ম্যাক ভাই, ওটা ফান ম্যাগাজিন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
this is what daily star had to say about the "initiative" by Grameen - http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=175650
Third paragraph - "Although enthusiastic users started translating Facebook into Bangla earlier, there still remains a significant part unattended, the statement added." I wonder how significant the remaining 22% is.
Goutam-da, you should really put this up on sachal so that we can all share the truth.
আমার ওই লেখাটা আসলে নতুন করে দেয়ার কিছু নাই। হাসিব ভাই ও মেহদীর পোস্টেই সব বলা আছে। লেনিন ভাইয়ের মন্তব্যটা দেখেন। ওখানেও এগুলোই বলা আছে। আমি আসলে সেই তথ্যগুলোতে একত্র করে পত্রিকায় ছাপাতে চেয়েছিলাম। সেটা আর হলো না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এ ঘটনা থেকে মনে প্রশ্ন জাগে যে সাংবাদিকতার সংজ্ঞা এ যুগে আসলে কি। সত্যের পক্ষে এক সময়ের অতন্দ্র প্রহরী সংবাদ মাধ্যম কি তবে এখন কর্পোরেট হাউজের প্রহরী কুত্তায় পরিণত হয়েছে?
আপনি খুব সহজেই অনেক কঠিন প্রশ্ন করলেন। অনেক কঠিন এই প্রশ্নটা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এ ঘটনা থেকে মনে প্রশ্ন জাগে যে সাংবাদিকতার সংজ্ঞা এ যুগে আসলে কি। সত্যের পক্ষে এক সময়ের অতন্দ্র প্রহরী সংবাদ মাধ্যম কি তবে এখন কর্পোরেট হাউজের প্রহরী কুত্তায় পরিণত হয়েছে?
অনেক কঠিন একটা প্রশ্ন করলেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মন খারাপ হলো।
ব্যাপার না। এসব একদিন বদলাবেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হমমমমমম
এম এছ নিলয়
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গ্রামীণের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই অনুবাদের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনকে মামলাটি করতে হবে। এছাড়া ফেসবুক-এ গ্রামীণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায়, তাহলে ফেসবুক-এ এরা যে বিজ্ঞাপন দিয়েছে সেটাও অপসারণ করা হবে।
মামলা তো করাই যায়! কিন্তু ঝামেলা সামলাবে কে? যারা সারাদিন পরিশ্রম করে রাতের অবসরটুকুও এ কাজে ব্যয় করছে, তাদের কি শেষ পর্যন্ত মামলা বিষয়ক ঝামেলা সামলাতে সামলাতেই দিন যাবে? আর মামলা তো যে কেউই করতে পারে। অন্য কেউ কি এগিয়ে আসতে পারে না?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনি যে লেখাটা লিখেছিলেন, সেই লেখাটা কি e-mail করতে পারবেন।
mail:
.
কী করবেন জানাবেন?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন