সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইআর) বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অর্থাৎ দুই প্রজন্মের যে মিলনমেলা উপলক্ষ্যে যে অনুষ্ঠানটি হলো, তার স্লোগানটি ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বিসদৃশ লেগেছে। স্লোগানটি হুবহু মনে নেই, কিন্তু কথাগুলো এরকম- শিক্ষা-বিষয়ে ডিগ্রি না থাকলে কাউকে শিক্ষাবিদ বলা যাবে না। সকালে আইইআরে গিয়ে আইইআর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি করা ব্যানারে স্লোগানটি দেখে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও হতাশ হই, এই স্লোগান কে বা কারা ঠিক করেছেন এবং কেন ঠিক করেছেন তা জানার চেষ্টা করি। এ ধরনের অনুষ্ঠানে যেহেতু আনন্দ করা, আড্ডা দেওয়া, পরস্পরের সাথে দেখা করা কিংবা খোঁজখবর নিতে নিতেই সময় চলে যায় এবং বিশেষত গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিকভাবেই এড়িয়ে যাওয়া হয়, তাই বিষয়টি নিয়ে অন্যদের সাথে খুব একটা বেশি কথা হয় নি। তবে অনুষ্ঠান-প্রাঙ্গনেই আড্ডা দিতে দিতে কাউকে কাউকে স্লোগানটি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে যেমন শুনেছি, তেমনি স্লোগানের পক্ষে কথা বলেছেন এমনটিও দেখা গেছে।
ধারণা করেছিলাম, হয়তো তাড়াহুড়া থাকায় খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই এ ধরনের স্লোগান ঠিক করা হয়েছিল যা পরবর্তী সময়ে শুধরে নেয়া হবে। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার দু-একদিন পর দেখি ফেসবুকে নোটে বর্তমান শিক্ষার্থীদের একজন এই বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন এবং তিনি স্লোগানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তার নোটে কেউ পক্ষে, কেউ বা বিপক্ষে নিজের নিজের যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জেনেছি- সর্বসম্মতভাবে এই স্লোগান ঠিক করা হয় নি এবং আইইআর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যও স্লোগানের সাথে একমত নন। আশা করেছিলাম, আইইআরের ফেসবুক কিংবা ইমেইল গ্রুপে অ্যালামনাই কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কিছু একটা বলবেন। যেহেতু তেমন কিছু এখন পর্যন্ত দেখি নি, তাই ধরে নিচ্ছি অ্যালামনাইয়ের বর্তমান কমিটি এ স্লোগানের সাথে একমত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মনে হয়েছে আইইআরের একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে কিছু কথা বলা দরকার।
উপরে উল্লেখ করেছি, স্লোগানটি দেখে যারপরনাই হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছি, অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে আমি এই স্লোগানের সাথে একমত নই। কেন একমত নই সেই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার আগে বলা দরকার, আইইআরে পড়ার সময় বিভিন্ন কোর্সে শিক্ষা-সম্পর্কে যে সমস্ত সংজ্ঞা ও ধারণার কথা জেনে এসেছি, তার সাথে এই স্লোগান কোনোভাবেই মানানসই হয় না; বরং স্লোগানটি শিক্ষা ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের কাজ ও চিন্তার পরিসরকে মারাত্মকভাবে সংকুচিত করে দেয়। শিক্ষা একটি সামগ্রিক বিষয় এবং নির্দিষ্ট কোনো পরিপ্রেক্ষিত দ্বারা একে এমনভাবে আবদ্ধ করা যায় না যাতে কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট কিছু কোর্স পড়ে ডিগ্রি অর্জন করলেই তিনি শিক্ষাবিদ হয়ে যাবেন। একজন মানুষের শিক্ষাবিদ হয়ে উঠা মূলত শিক্ষাবিষয়ে তার সামগ্রিক মৌলিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক রূপ। কারো শিক্ষাবিজ্ঞানে পড়াশুনা থাকলে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মৌলিক শিক্ষা বিষয়ে বাড়তি কাজ করার ক্ষেত্রে নিজ থেকেই অনুপ্রাণিত হতে পারেন; প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান এবং পরবর্তী সময়ে একই বিষয়ে কাজ করলে তা হয়তো শিক্ষাবিদ হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে- কিন্তু শিক্ষাবিদ্যায় ডিগ্রি না থাকলে শিক্ষাবিদ হওয়া যাবে না, এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া শিক্ষার মূল স্পিরিটকেই নষ্ট করে দেয়।
শিক্ষাবিজ্ঞানে ডিগ্রি না থাকলে যদি শিক্ষাবিদ না হওয়া যায়, তাহলে যারা শিক্ষাবিজ্ঞানে পড়ালেখা করেছেন বা করছেন, তারা মূলত বিশাল শূন্যতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছেন। শিক্ষাবিজ্ঞানে যে সমস্ত কোর্স রয়েছে, সেখানে আবশ্যিকভাবেই শিক্ষা নিয়ে প্লেটো-সক্রেটিস কী বলেছেন, অ্যারিস্টটল শিক্ষাকে কীভাবে দেখতেন, রুশো-ভলতেয়ার কোন পরিপ্রেক্ষিত থেকে শিক্ষার প্রক্রিয়াকে কীভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা কী ছিল, মারিয়া মন্তেসরির শিক্ষাচিন্তা কীভাবে শিশুদের শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে ইত্যাদি নানা বিষয় পড়ানো হয় এবং নানা মনীষীর সংজ্ঞা ও কর্মের সাথে পরিচিত হতে হয়। কঠিন সত্য হলেও বলতে হয়, যাদের শিক্ষার সংজ্ঞা বা কর্মসম্পর্কে পড়ে পড়ে আজকে আমরা নিজেদের শিক্ষাবিদ বলে দাবি করতে চাই, তাদের কারোরই শিক্ষাসম্পর্কে কোনো ডিগ্রি ছিল না- অর্থাৎ তারা কেউই স্লোগান অনুসারে শিক্ষাবিদ নন। সেক্ষেত্রে ডিগ্রির জোরে শিক্ষাবিদ হিসেবে যদি আমরা নিজেদের দাবি করতে চাই, সেখানে আমাদের এই দাবির ভিত্তি নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুললে আমাদের অবস্থান কোথায় দাঁড়ায়?
শুধু তাই নয়, আইইআরে ভর্তি হওয়ার পর অন্তত প্রথম কয়েকটা ক্লাস করার পর কোনো শিক্ষার্থীই পরবর্তী জীবনে কোনো মানুষকে ‘অশিক্ষিত’ বলে অভিহিত করবে না, কারণ শিক্ষকরা খুব ভালো করেই বুঝিয়ে দেন একজন মানুষ নানা কারণে অক্ষরজ্ঞানহীন হতে পারেন, কিন্তু এই পৃথিবীতে কেউই ‘অশিক্ষিত’ নন। প্রত্যেকের মধ্যে কোনো না কোনো বিষয়ে শিক্ষা আছে এবং সেই শিক্ষা শুধু যে প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যম থেকেই অর্জিত হতে হবে- তা নয়। ঠিক এই কারণেই শিক্ষা অর্জনের যে তিনটি মাধ্যম- আনুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক- সবগুলোই একজন শিক্ষার্থীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আইইআরের পড়াশুনা থেকে শুধু আনুষ্ঠানিক বা সার্টিফিকেটমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বাকি শিক্ষাগুলোকে বাতিল করে দেওয়ার কোনো স্পিরিট পাওয়া যায় না; সেখানে অ্যালামনাইয়ের ব্যানারের স্লোগান বিস্ময়ের উদ্রেক করে, আমাদেরকে শিক্ষার স্পিরিটের বিপরীত অবস্থানে দাড় করিয়ে দেয়।
কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ না করলে ডাক্তার হওয়া যায় না, ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পড়াশুনা না করলে প্রকৌশলী হওয়া যায় না, পদার্থবিজ্ঞানে পড়ালেখা না করলে যেমন পদার্থবিদ হওয়া যায় না, ঠিক তেমনি শিক্ষাবিজ্ঞান থেকে ডিগ্রি না নিলে শিক্ষাবিদ বলে কাউকে অভিহিত করা উচিত নয়। এখানেও দ্বিমত পোষণ করে বলা দরকার- শিক্ষাবিদ তকমাটিকে যুক্তিযুক্ত করার ক্ষেত্রে এসব উদাহরণ মোটেও যৌক্তিক নয়। শিক্ষা বিষয়টি বৃহত্তর অর্থে সামাজিক বিজ্ঞানের অন্তর্গত একটি বিষয় এবং এর সাথে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার বেশকিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। যে উদাহরণগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো মূলত নির্দিষ্ট কিছু শর্ত (condition), কার্যকরণ এবং পরিপ্রেক্ষিত নির্ভর এবং এই বিষয় বা বিজ্ঞানগুলো এসব শর্ত এবং কার্যকারণকে কেন্দ্র করেই বিকশিত এবং এক্ষেত্রে বিশেষায়িত জ্ঞানের প্রাবল্য অনেক বেশি, যা সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- অক্সিজেন অণুর বাহ্যিক চরিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যা, ফার্মগেটেও তা। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর ভাবভঙ্গী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মগেটে ভিন্ন হতে পারে, কারণ এই ভাবভঙ্গী নির্ভর করে নানা বিষয়ের ওপর। অন্যদিকে শিক্ষাবিজ্ঞানে যে সমস্ত কোর্স পড়ানো হয়, সেগুলো কেউ যদি বছর দুয়েক নিজে থেকেই পড়াশুনা করে, তাহলেও শিক্ষা সম্পর্কে তার জ্ঞান একজন আইইআর গ্র্যাজুয়েটের চেয়ে কম হবে না। কিন্তু এই কাজটিই যদি আমি বা আমরা করতে যাই? সার্টিফিকেটের কথা বাদ দিলাম, আমরা কি দু-চার বছর নিজে থেকে পড়াশুনা করে একজন ডাক্তার বা প্রকৌশলীর সমান জ্ঞান অর্জন করতে পারবো? অতি-প্রতিভাধর কেউ হয়তো করতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা বলে এটি সম্ভব না। তাছাড়া একজন ডাক্তার বা প্রকৌশলী তার নিজ বিষয়েও শিক্ষাবিদ হতে পারেন, যেটি শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষাবিদ হয়ে করা সম্ভব না। একজন শিক্ষা বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট কি প্রকৌশল বা ডাক্তারি শিক্ষার কারিকুলাম তৈরি করতে পারবেন? দেশের শিক্ষার অর্থনৈতিক দিকটি কি অর্থনীতিবিদের সহায়তা ছাড়া শুধু শিক্ষা-গ্র্যাজুয়েটের পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব? সম্ভব হলে তো শিক্ষানীতি প্রণয়ন বা শিক্ষার নীতি-নির্ধারণী কাজে বিভিন্ন মহলের সম্পৃক্ততা বা যৌথ-কর্ম উদ্যোগের প্রয়োজন পড়ে না!
ফেসবুকের নোটটিকে লেখক দুঃখজনকভাবে মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে নামসর্বস্ব শিক্ষাবিদ বলেছেন। তার কাছে সবিনয়ে জানতে চেয়েছিলাম শিক্ষাবিদ কাকে বলে এবং জাফর ইকবাল কেন শিক্ষাবিদ নন? সুনির্দিষ্ট উত্তর পাই নি। শিক্ষা নিয়ে ধারাবাহিক কর্ম, মৌলিক চিন্তা, বা মৌলিক চিন্তা না থাকলেও অন্তত প্রেক্ষাপটনির্ভর চিন্তা যা প্রচলিত শিক্ষার নীতি ও ধারাকে বদলে দেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেটিকেও যদি শিক্ষাবিদ হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরে নিই, তাহলে জাফর ইকবাল কোনদিক দিয়ে শিক্ষাবিদ নন? বাংলাদেশের শিক্ষা নিয়ে একজন জাফর ইকবাল যে পরিমাণ ও যে মাত্রায় কাজ করেছেন, শিক্ষায় ডিগ্রি নেওয়া শিক্ষাবিদরা কিংবা শিক্ষাবিজ্ঞানের শিক্ষকরা কি তার ধারেকাছে যেতে পেরেছেন? যে পাওলো ফ্রেইরির কথা আমাদের কাছে শ্রদ্ধাভরে উচ্চারিত হয়, সে হিসেবে তাঁকেও তো শিক্ষাবিদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়!
এটা খুবই ঠিক যে, বর্তমান যুগের শিক্ষা একচ্ছত্রভাবে সার্টিফিকেটমুখী হওয়াতে একজন ব্যক্তি যে বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন সেই বিষয়েই তার কদর বেশি। বিশেষত এই স্পেশালাইজেশনের যুগে ব্যক্তি যে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন, সেই বিষয়ে তার কর্মের সুযোগও বেশি হয় এবং ফলে তার ক্ষেত্রে ওই বিষয়ে ‘বিদ’ হওয়ার সুযোগ এবং যোগ্যতা বেড়ে যায়। শিক্ষাও তার বাইরে কিছু নয়। শিক্ষা বিষয়ে পাঁচ বছর পড়াশুনার কারণে একজন আইইআরের শিক্ষার্থী শিক্ষাবিষয়টির প্রতি যেভাবে মমত্ববোধ করবেন, বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যত পড়াশুনা ও কাজ করতে উদ্যোগী হবেন, তেমনটি অন্যদের ক্ষেত্রে না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু তাই বলে অন্য কেউ যে শিক্ষা নিয়ে মৌলিক কিছু করতে পারবেন না, এমন ফতোয়া থাকা উচিত নয়; বরং এদেশে এমনটিই ঘটছে অহরহ। শিক্ষাবিদ পদবীটিও সার্টিফিকেটনির্ভর কিছু নয় বা হওয়া উচিত না- কারণ এই ‘বিদ’ শব্দটি ধারণ করে এমন কিছু যেখানে ব্যক্তির কর্মের সামগ্রিক প্রতিফলন ফুটে উঠে।
অবশ্য এটাও ঠিক- আমাদের দেশে নাম ও পদবীর ক্ষেত্রে এক ধরনের বালখিল্যতা সবসময় বিরাজ করে। আজকাল যে যার মতো পদবী-পরিচয় নিজের নামের শেষে বসিয়ে যাচ্ছেন। একজন শিক্ষক মানেই তিনি শিক্ষাবিদ নন। অন্য কোনো সম্পৃক্ততা না রেখে ক্লাসে অর্থনীতি পড়ালেই একজন অথর্নীতির শিক্ষক অর্থনীতিবিদ হয়ে যান না- যদিও হরেদরে এমনটিই দেখা যাচ্ছে। নামের ক্ষেত্রেও তাই। সর্বশেষ শিক্ষা কমিশন প্রণয়ন কমিটির একজন সদস্য কোথাও পরিচয় দিতে হলে নিজের নাম বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ অমুক’; তেল-গ্যাস আন্দোলনের একজন নেতার নাম ‘প্রকৌশলী মো. অমুক’ কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই ছাত্রনেতা তার নামটি রেখে দেন ‘কৃষিবিদ অমুক’। জানতে ইচ্ছে করেন, তাঁদের জন্মের সময় থেকেই কি এই অধ্যক্ষ, প্রকৌশলী বা কৃষিবিদ ইত্যাদি শব্দগুলো পিতামাতা জুড়ে দিয়েছিলেন? কোনটি নাম আর কোনটি পদবী, সেই পার্থক্যটুকু করার মতো সেন্স কি আমাদের নেই? দেশে এখন ‘ড.’-এর ছড়াছড়ি এবং এদের অধিকাংশই নিজের নামটি বলা বা লেখার আগে ড. শব্দটি জুড়ে দেন। পিএইচডি ডিগ্রি কি এই সাধারণ সেন্সটুকু শেখাতে অক্ষম? অবশ্য শুধু ব্যক্তিকে দোষ দিয়েও লাভ নেই, আমাদের মিডিয়া বলুন, বক্তৃতার মাঠ কিংবা আলোচনার টেবিল বলুন- বিশেষণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা সর্বদাই উদার। পত্রিকায় দু-তিনটা কলাম লিখলেই একজন কলামিস্ট হয়ে যান, বয়স একটু বাড়লে তিনিই হয়ে যান গবেষক, পরিবেশ নিয়ে লিখলে পরিবেশবিদ, শিক্ষা নিয়ে লিখলে শিক্ষাবিদ। যারা আজকে শিক্ষায় ডিগ্রি ছাড়া শিক্ষাবিদ হওয়া যাবে না দাবি তুলেছেন, তারা সম্ভবত এই বিষয়টি খেয়াল করেই তাদের দাবিটি তুলেছেন। মিডিয়ামারফত কিংবা নিজে নিজে শিক্ষাবিদ হয়ে গেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা এদেশে কম নেই! দেশের শিক্ষার কী অবস্থা তা এদের দেখলেই বুঝা যায়! কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো- যারা শিক্ষা নিয়ে পড়াশুনা করেছেন বা করছেন, তারা এই ফাঁদে পা দিবেন কেন?
শিক্ষাবিদ শব্দটি যতোটুকু না পদবী কিংবা পরিচয়, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এটি একটি স্বীকৃতি, সম্মান। স্বীকৃতি কিংবা সম্মান শুধু সার্টিফিকেট দিয়ে অর্জন করা যায় না, কাজের মাধ্যমই ফুটে উঠবে একজন মানুষ আদৌ শিক্ষাবিদ হওয়ার এই সম্মানটুকু অর্জন করেছেন কিনা! তা না হলে ডিগ্রির জোরে শিক্ষাবিদ হওয়ার দাবিটুকু কেবল হাস্যকর হয়েই থাকবে, নিজের পড়ালেখার আয়নায় নিজেকেই দেখাবে উল্টা প্রতিবিম্ব হিসেবে। শেক্সপিয়ার যা-ই বলুন, নাম-পদবীতে যে অনেককিছু আসে-যায়, সেটুকু ভাবার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাই।
মন্তব্য
হ ,শিক্ষাবিদ হিসেবে যাদের জানি তাদের অনেকেরই আইইআরের ডিগ্রি নেই
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ঠিক। আবার যারা পত্রিকার কলামে শিক্ষাবিদ হিসেবে নিজেদের দাবি করেন, তাদের অনেকেরই শিক্ষা নিয়ে বলার মতো কোনো কাজ নেই- এক পত্রিকার কলাম লেখা ছাড়া।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হ । আমার পরিচিত এক কলেজ শিক্ষক (শিক্ষা চিন্তা ও গবেষণা =জিরো)আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কলাম (আসলে বিদেশী মিডিয়ার নিউজ অনুবাদ করে নিজের নামে চালানো)লিখতেন ইঙ্কিলাব-দিনকাল ইত্যাদিতে তখন পরিচয় কলেজ শিক্ষক হিসেবেই ছাপা হতো কিন্তু আমারদেশে দেখলাম শিক্ষাবিদ হিসেবে তার নাম । কোনো এক কালে কোনো এক কলেজে কিছুদিন শিক্ষকতা করে যেখানে আজীবন প্রফেসর পদবী ব্যবহারের রেওয়াজ শেখানে এসব দেখে বিস্মিত হই না অবশ্য বিস্মিত হওয়াই ভুলে গেছি অনেক কিছুতেই
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এদের জন্যই শেষ প্যারার আগের প্যারাটা লিখেছি। আমাদের সাবেক তথ্যমন্ত্রীও কিন্তু অধ্যাপক ছিলেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে একটি বিষয়ে আপনাকে যুক্তি ধার দিতে চাচ্ছি। অনেকেই নাকি বলেছে ডাক্তারি পাশ না করে ডাক্তার হওয়া যায়না ইত্যাদি। এর বিপক্ষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি তুলে ধরছি। ডাক্তারি পাশ করার ইমেডিয়েট উদ্দেশ্য ডাক্তারি করার হলেও এর বৃহত্তর উদ্দেশ্য কিন্তু স্বাস্থ্যের উন্নতি। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুসারে এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের unanimous মত অনুসারে স্বাস্থ্য বলতে কেবল শারীরিক স্বাস্থ্যই বোঝায়না, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতাকেও বোঝায় (Health is a state of complete physical, mental and social well being and not merely an absence of disease and infirmity: WHO )। আর এই সামগ্রিক সুস্থতা, তথা স্বাস্থ্য অর্জনের পেছনে ডাক্তার ছাড়াও অন্যান্যদের ভূমিকা রয়েছে। উন্নত দেশে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নিয়োজিত থাকেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ: অর্থাৎ: রোগতত্ববিদ (Epidemiologist), চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী (Medical Anthropologist), জৈবপরিসংখ্যানবিদ (Biostatistician), স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ (Health Economist), স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ (Health System Specialist) সহ আরো অনেক পেশার বিজ্ঞানীগণ- যাদের অনেকেই ডাক্তারি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসেন না। কাজেই ডাক্তারি পাশ না করেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হওয়া যায়; শুধু তাই না- অডাক্তার এসব বিশেষজ্ঞই উন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্য বিভাগের এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
একইভাবে ইঞ্জিনিয়ারদের কথা যদি চিন্তা করি, প্রযুক্তির বিকাশে অনেক প্রযুক্তিবিদকেই দেখি যাদের হয়ত একাডেমিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ না করেও প্রযুক্তিবিদ হওয়া সম্ভব। যেমন সম্ভব শিক্ষা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা ছাড়াও শিক্ষাবিদ হওয়া।
প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো যোগ করায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বা ইত্যাদি জগতে অনেককেই দেখি প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা না থাকারও পরও অনেকে ভালো প্রোগ্রামার, প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও তাই। যা হোক, সেগুলোতে না হয় অংক-বিজ্ঞান ইত্যাদি পড়তে হয় বলে বিশেষজ্ঞ হওয়া তুলনামূলকভাবে কঠিন, কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আগ্রহটাই প্রধান বলে মনে করি। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা থাকলে তা সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আচ্ছা, আপনি কি ডা. তৌফিক জোয়ার্দার? এই নামে একজনকে চিনি তাই জিজ্ঞেস করছি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমি তৌফিক জোয়ার্দার; ডাক্তারিও পাশ করেছি; কিন্তু নামের আগে 'ডা.' যোগ করাটাকে উন্নাসিকতা এবং উগ্র অহঙ্কারের বহি:প্রকাশ মনে হয় দেখে সামাজিক যোগাযোগে কখনো ব্যবহার করিনা। তাই ওটা বাদ দিলে আপনি হয়ত আমাকে চেনেন । আমি কি আপনাকে চিনি?
আমি যে ডাক্তার তৌফিক জোয়ার্দারকে চিনি তিনিও নামের আগে ডা. লেখেন না। পরিচয় হয়েছিলো ২০০৯ সালে ঢাবি-তে একটা সার্টিফিকেট কোর্স (ইউডি-৬) করতে গিয়ে। আপনি যদি সেই তৌফিক হন তো নিশ্চিত করবেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নিশ্চিত করছি
আমাদের একটা গ্রুপ মেইল ছিল। ওটা যদি আপনার আয়ত্তে থেকে থাকে মেইল করুন। যোগাযোগ হবে। সার্টিফিকেট গিভিংয়ের একটা ভিডিও করেছিলাম; এডিট করে ইউটিউবে ছেড়েছি। দেখতে পারেন; পুরনো মুখগুলো দেখে ভাল লাগবে আশা করি। ভাল থাকবেন।
ভিডিওটা দেখলাম, অনেক ধন্যবাদ। সত্যিই পুরোনো মুখগুলো অনেকদিন পর দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফাল্গুণী ছাড়া আর কারও সাথেই নিয়মিত যোগাযোগ নেই। আপনার অনুমতির জন্যে অপেক্ষা না করেই এটা আমাদের গ্রুপের কিছু বন্ধুর সাথে শেয়ার করে দিচ্ছি, আশাকরি পোস্ট-ফ্যাক্টো অনুমতি দেবেন।
আশরাফ আর দিলিপের মাঝে ছাগুলে দাঁড়িওয়ালা পোঁদপাকা যে বাচালটা বসে, সেটাই এই অধম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনুমতি নেয়ার কি আছে? ওটাতো 'পাবলিক' ভিডিও, সবার জন্য। আমাদের সবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ইয়াহু গ্রুপটাকে কি একটিভ করা যায়না? ভাল থাকবেন আ......... ভাই
হুম, সেদিন আমিও অনুষ্ঠানে গিয়ে এই স্লোগানটা দেখি। ভালই লাগলো স্লোগানটা, কারণ শিক্ষায় একটি সার্টিফিকেট থাকার কারণে আমিও নিজেকে একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে দাবি করতে পারব ভেবে। আচ্ছা, বাংলায় না পড়লে কি কবি হওয়া যাবে না? চারুকলায় না পড়লে শিল্পী হওয়া যাবে না? ডাক্তার বা ইঞ্জি হতে গেলে অবশ্য জ্ঞানের পাশাপাশি হাতে কলমে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
বাহ্ আপনিও কি আইইআরের? মানে শিক্ষাবিদ?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জ্বী, সার্টিফিকেটটা পেয়ে গেলেই শিক্ষাবিদ হয়ে যাব।
বাহ! আগাম অভিনন্দন! কোন ব্যাচ?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমি রেগুলার ব্যাচ নই। সান্ধ্য প্রোগ্রামে এম.এড করছি এক বছরের কোর্সে। এইত, সামনের জানুয়ারিতে লাস্ট সেমিস্টার ফাইনাল।
শিক্ষাবিষয়ে আপনার লেখালেখি করা উচিত। কমেন্টগুলোকে মাত্র একশগুণ বড় করলেই তো একটা লেখা হয়ে যায়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
_________________
[খোমাখাতা]
ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নাৎসী মনোভাবের এইসব শিক্ষাবিদ(!)দের মানসিক উৎকর্ষ বিবেচনা করলে আইইআর-কে উগ্রপন্থী মৌলবাদী তৈরির কারখানা বলতে হয়! আশা করি এরা সংখ্যায় কম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এইভাবে বলে না রত্নাপা!
আমি যা লিখলাম সেটা বিশ্বাস করার মানুষই বেশি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এক কথায় চমৎকার কথা বলেছেন দাদা। ঐ দিন অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রথমে বাণীটি দেখে কিছুটা আনন্দিত বোধ করেছিলাম তা অস্বীকার করব না কিন্তু সাময়িক আবেগের অনুভূতিটা কাটতেই উক্ত বাণীর অসাড়তা প্রতীয়মান হয়। এঈ বাণী যারা ঐ দিন লিখে রেখছিলেন তারা সম্ভবত স্বঘোষিত কলাম-লেখক শিক্ষাবিদদের ওপর রাগ ঝাড়তে কাজটি করেছিলেন কিন্তু বিষয়টি শেষ পর্যন্ত বালখিল্যতায় পরিণত হয়। পূর্ণবয়স্ক বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা চাকরিজীবি কতগুলো ব্যক্তি কীভাবে এই কাজ করলেন তা বোধগম্য নয়।
ধন্যবাদ আনাম। আপনারা এখন আইইআরে আছেন, এসব বিষয়ে কিছু যদি করতে হয় সেই কাজগুলো আপনারাই ভালোভাবে করতে পারবেন। দেখেন কিছু করা যায় কিনা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ঠিকই তো আছে। পদার্থবিদ্যার জনক নিউটনের পদার্থবিদ্যায় ডিগ্রি নাই। সুতারাং, তাকে পদার্থবিদ বলা যাবে না। পিডা হালারপোরে।
আফসোস, দেশে সার্টিফিকেটধারী তৈরি হয় খালি, শিক্ষিত লোক তৈরি হয় না।
হে দুলুনিবিদ, আপনি যে দুলুনিবিজ্ঞান নিয়ে লিখেন, সার্টিফিকেট আছে তো?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দারুন ! ফেস্বুকে শেয়ার করলাম ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
দারুণ গুছানো একটি লেখা।
ধন্যবাদ ফারুক ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গেৌতম খুব ভালো লিখেছে। স্লোগানে লেখাটি ভুল।
ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সার্টিফিকেটধারীরা নিজেদের ঢোল পিটাচ্ছেন আর কি।
কলামিস্ট, পরিবেশবিদ সবাই নিজের ঢোল পিটাইলে এদের আর বসে থাকার কি মানে?
এইটা বাদ্য বাজনার যুগ। নিজের কোন ঢোল খানাতে বাড়ি দিব ভাবিচ্ছি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনার সার্টিফিকেট কিসে? বলেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ছোটবেলায় একখান ছড়া লিখছিলাম,
"ফ্যান ভেঙ্গেছে ফ্যান
গরম লাগে ক্যান?"
যদিও রবীন্দ্রনাথের ছোটবেলার ছড়ার মত হয় নাই, তাই বলে ছড়াকার এর ঢোল পিটাইতে তো কেউ বাধা দিচ্ছে না।
আমার আসল সার্টিফিকেট একখানও নাই। ফাইভ পাশের রিপোর্ট কার্ড আছে। প্রাইমারী শিক্ষাবিদ তকমা জুড়ে দিব না কি?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
স্যরি আপনাকে কোনো বিদ বলতে পারছি না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ডুপ্লি ঘ্যাচাং~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ফেইসবুক নোটের লেখাটা নজরে এসেছিল। বলতে দ্বিধা নেই ঐ নোটের সাথে বক্তব্য মেনে নিতে পারিনি। আপনার প্রতিক্রিয়া দেখে আশ্বস্ত হচ্ছি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই। এসব নোটে কমেন্ট করার সুযোগ থাকলে নিজের মতামতটা জানিয়ে দিয়ে আসবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পড়লাম। জানলাম। গৌতমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার মানসিকতাটি খুব ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হ,
শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রী না থাকলে যেমন শিক্ষাবিদ হওয়া যায়না, তেমনি দেশে না থাকলে দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না। (আমারে একটু আগে একজন কইছে, আমি দেশে থাকিনা, তাই আমার দেশপ্রেম নাই, তাই আমি যেন দেশ নিয়া কোন কথা না বলি। এই যুক্তি শুইনা এমনই টাস্কি খাইছি, আমার কথা বন্ধ হইয়া গেছে)।
দারুণ যুক্তি তো! আপ্লুত হলাম শুনে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনি কি সম্প্রতি প্রবাসী হয়েছেন? এই কথা আরও কত শুনবেন। দেশ ছেড়ে বাইর হইলে বুঝা যায় দেশের মাটি কইলজা ধরে কেমন টান দিতে পারে। দেশে থেকে এইটা কেউ বুঝে না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
লেখায় এবং বিশেষত এই মন্তব্যে
কয়দিন পর এরা বলতে পারে ঘোড়া না হইলে জকি হওয়া যাবেনা, গাড়ি না হলে ড্রাইভার হওয়া যাবেনা নাকি
মনে হচ্ছে শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রী থাকলেও অনেকে শিক্ষাবিদ না
লেখা ভালো লেগেছে
আমিই যেমন- শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রি আছে, কিন্তু শিক্ষাবিদ না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপ্নি শিক্ষাবিদ (শিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রিও আছে )
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
যাক, অন্তত একজন সম্মান দিল!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এইটার সাথে মনে হয় চাকরি যোগাযোগ থাকতে পারে। এপ্লাইড ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা যেমন দাবী জানিয়ে নিজেদের ডিপার্টমেন্টের নামে ইঞ্জিনিয়ারিং টেলি কমিউনিকেশন অনেক কিছুই ঢুকিয়ে দিয়েছিল - সেরকম কিছু একটা
সেটা তো অন্য বিষয়! চাকরির দাবি আলাদা এবং সেটা নানা জায়গায় নানাভাবে করা হয়- এর সাথে শিক্ষাবিদের কোনো সম্পর্ক নাই। ওই অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এসেছিলেন। চাকরি-সম্পর্কিত নানা কথাবার্তা-দাবিদাওয়া তাঁর কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
কিন্তু এটা একেবারেই আলাদা বিষয়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বুঝাতে পারিনাই। চাকরীর ব্যাপারটা উদাহরণ দিয়েছি, মূল যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হল সার্টিফিকেশন, আমরাই শিক্ষাবিদ তাই যেকোন মতামত বা এ সংক্রান্ত কাজের ব্যাপারে আমাদের ই সোল এজেন্সি।
আপনার মূল বক্তব্যটা বুঝতে পেরেছি।
অনুষ্ঠান থেকে যদি বলা হতো, শিক্ষাবিদ উপাধি দিলে আমাদের চাকরিবাকরির সুবিধা হয়, তাহলেও না হয় মেনে নিতাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হ, ঠিক কইছেন। সাহিত্যে ডিগ্রী না থাকলে সাহিত্যিক হওন যাইবোনা। উদাস ভাই, আপনার কুনো আশা নাই ।
নোবেল সাহিত্য পুরষ্কার আনতে গেলে কি সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হক কথা। ভালু কয়েছেন।
ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই জন্যেই তো আগে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে রাখছি যেন পরে কেউ আবার কোন প্রশ্ন তুলতে না পারে
লেখার সাথে সহমত
ধন্যবাদ স্বাধীন ভাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার পাও ো ফ্রেইরীর অনুবাদ োথায়? ওটা কি শেষ করেছেন?
অনুবাদ তো সেই কবেই শেষ! প্রকাশের অনুমতির জন্য ইমেইল পাঠিয়েছিলাম প্রকাশক বরাবর, কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয় নি। ফলে সবকিছুই স্থগিত!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতমদা আই ই আর এর ঐ স্লোগান এর আলোকে আপনি আমাদের " বিদ প্রবণতা " খুব স্বচ্ছ আর সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিলেন। " বিদ" শব্দটির ব্যাখ্যাটি চমৎকার লাগলো। (গুড়)
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সহমত পোষণ করছি......
~~~~মানুষের মেধাকে ধরা বাধা কোন কাঠামোর মেধ্যে ফেলতে যাওয়াটা বোকামী। কে কী হতে পারে বা হতে পারে না তা কোন শর্তসাপেক্ষ ব্যপার হতে পারে না। শিক্ষা সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্গত একটি বিষয় যার ধর্মই হল নিয়ত পরিবর্তনশীল। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দ্যেশ্য ডিগ্রী অর্জন নয়, মানুষ হওয়া।শিক্ষাবিদ হবার জন্য ডিগ্রী মূখ্য নয়, তবে নিজেকে শিক্ষাবিদ হিসেবে জাহির করার ক্ষেত্রে ডিগ্রী আপনাকে সাহায্য করতে পারে।~~~~
নতুন মন্তব্য করুন