আমার অনেকগুলো বন্ধু আছে যাদের বয়স ধরতে পারেন ১০-এর নিচে। বন্ধু হিসেবে ওরা অত্যন্ত চমৎকার, কিন্তু সমস্যা হয় বন্ধুত্ব শুরু করা নিয়ে। লাজিমার কথাই যদি বলি- তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়েছে অনেক কষ্টে। তখন তার বয়স মাত্র চার। উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে বসে কথা বলতে বলতে তাকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয়ার পর সে কিছুক্ষণ চিন্তা করে উত্তর দিল- “তুমি আমাকে রাতে ফোন দিও। আমি তখন জানাবো”। রাতে তার মার মোবাইলে ফোন দেয়ার পর বললো, “উফ্, আমি তো এটা এখনো ভাবি নি। তুমি আমাকে কালকে ফোন দিও”। কী আর করা! পরেরদিন সকালে ফোন দেয়ার পর সে আরেকটু চিন্তা করে বললো, “ঠিক আছে, তুমি যখন বলছ, তখন আর কী করা!” সেই থেকে লাজিমা আর আমি বন্ধু। বন্ধুত্বের খাতিরে আমি তাকে মাঝেমাঝে ফোন করলেও তার দায়িত্ব শুধু ফোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সেই তখন থেকেই সে মাঝেমধ্যে কার্ড পাঠায়। ফেসবুকেও যোগাযোগ আছে তার সাথে। আমার ফেসবুক প্রোফাইলে একজনই আছে আত্মীয় হিসেবে- সে আমার ভাগনী- লাজিমা।
লাজিমার আরও কিছু কথা আরেকদিন জানাবো, কিন্তু উপরের অংশ থেকেই বুঝা যায় বন্ধুত্ব শুরু খুব সহজ কাজ নয়! আপনাকে আগে আস্থাবান হতে হবে তাদের কাছে; কোনটা গোলাপী আর কোনটা নীল সেইটা পার্থক্য করতে গিয়ে তিন-চারবার ভুল করতে হবে ওদের সামনে; তাদের জামার গোল্লা গোল্লা ফুলগুলো যে খুব সুন্দর এবং সেটায় যে তাদেরকেও মারাত্মক সুন্দর দেখাচ্ছে সেটা অন্তত কয়েকবার জানাতে হবে; বিশেষত আপনার জামাটা যে মারাত্মক পঁচা এবং সেই কারণে তাদের সাথে জামা বদলাবদলি করার জন্য প্রবল মুলামুলি করতে হবে আপনাকে! সবচেয়ে বড় কথা, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে আপনি তাদের চেয়েও মারাত্মক কম জানেন, কিছুটা বোকা কিসিমের এবং অতি অবশ্যই তাদের নানা কথাকে আপনার নিজের কথার চেয়েও শতগুণ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের সাথে বন্ধুত্ব হলেও হতে পারে, কিন্তু গ্যারান্টি দিতে পারি না। কাজটা আপনি যতো আন্তরিকতার সাথে করবেন, সম্ভাবনা বাড়বে ততো বেশি।
বন্ধু সিরাজুল ইসলাম আবেদের ছেলে অরিত্রের বয়স ছয় হলো মাত্র কয়েকদিন আগে। তার কাণ্ডকীর্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই মাঝেমাঝেই। তার সাথেও আমার বন্ধুত্ব অনেকদিন থেকে। গত মাসে জন্মদিন উপলক্ষে তার বাসায় যখন গেলাম, তখন বাসায় ঢোকার কিছুক্ষণ পর হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল সে। জানা গেল, সেটা একটা পাসপোর্ট। কয়েকদিন আগে সে তার বইতে পড়েছিল যে কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছে। তখনই সে ঠিক করলো সে নিজেও একটি দেশ আবিষ্কার করবে। সে অনুযায়ী সে তার নিজের রুমটাকে একটি আলাদা নতুন দেশ হিসেবে আবিষ্কার করলো এবং নাম দিল হরেস্ট কান্ট্রি (Horrest Country)। দেশটি যদিও জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত হয় নি, ফিফার তালিকাতেও নেই, কিন্তু সেই দেশে যে কেউ চাইলেই প্রবেশ করতে পারে না। সে দেশে যেতে হলে আগে পাসপোর্ট এবং টিকিট সংগ্রহ করতে হবে, না হলে কোনোমতেই সেখানে যেতে পারবেন না। সবচেয়ে বড় কথা, এই পাসপোর্ট আর টিকিট সবাই পায় না। সব দেশে কি আর সব মানুষ যেতে পারে!
হরেস্ট কান্ট্রি নিয়ে অরিত্রের নানা পরিকল্পনা ও কার্যক্রম থাকে। উল্লেখ্য, আমি যেদিন হরেস্ট কান্ট্রিতে যাই, সেদিন হরেস্ট কান্ট্রিতে কোনো নদী ছিল না। রাজধানী ছিল এক কর্নারে। একজন পর্যটক হিসেবে মতামত দিয়েছিলাম যে, রাজধানীটা মাঝখানে হলে আমাদের সুবিধা হয়, বসে বসে রাজধানী দেখতে পারি, কারণ বিছানাটা মাঝখানে। সে জানিয়েছে, এই দেশ নিয়ে তার কিছু রদবদল করার পরিকল্পনা আছে। নদী রাখা যায় কিনা সেটা সে পরে পরিকল্পনা করবে।
হরেস্ট কান্ট্রিতে সেদিন গিয়েছিলাম একজন পর্যটক হিসেবে। আজ সকালে অরিত্র ফোন দিয়ে জানালো, সে আমার জন্য তিনটি ডকুমেন্ট রেডি করেছে। একটি ডকুমেন্টে আছে পাসপোর্ট। একটিতে টিকিট। আরেকটিতে হরেস্ট কান্ট্রি থেকে আসা একটি চিঠি- কে লিখেছে কে জানে! সেও অবশ্য জানে না। পাসপোর্টের ফরমে সে আমার ফার্স্ট নেম, লাস্ট নেম, বাসার ঠিকানা, জন্মতারিখ, ব্রাদার্স নেম, সিস্টার্স নেম ইত্যাদি লেখার অপশন রেখেছে। সে দেশের আনুষ্ঠানিক ভাষা হচ্ছে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি। সুতরাং আমি হিন্দি জানি না বলে কোনো সমস্যা হবে না বলেও সে জানিয়েছে। ভাবছি, খুব শিগগিরই পাসপোর্ট হাতে করে নতুন দেশে বেড়াতে যাব। কী বলেন?
মন্তব্য
আহ্ শৈশব! পঙ্কিলতাহীন নির্মল শৈশব!
আপনার ও আপনাদের বন্ধুদের জন্য (গুড়) (গুড়) (গুড়) সেই সাথে শুভেচ্ছা।
নতুন দেশ ভ্রমণে দেরি করাটা ঠিক হবে না। বিলম্বে রদবদল হয়ে যেতে পারে অনেক কিছু।
নতুন দেশ তো অলরেডি ভ্রমণ করা হয়ে গেছে! তবে তখন পাসপোর্ট ছিল না, এখন পাসপোর্ট হয়ে গেছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার ছোট বন্ধুরা অনেক মজার। আরও বেশি মজা লাগলো যে, মাত্র ৪ বছরের বাচ্চারাও অনেক আধুনিক !
জয়তু Facebook !
Mesbahul Islam
হুমম। ওরা অবশ্য এখন অনেক বড়! কথা শুনলে মনে হবে না ওরা এখনো শিশু!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পোলাপানদের কান্ডকীর্তি আমাদের হিসাবের বাইরে।
সেদিন আমার ভাগনী আমাকে জানাল, 'আমাদের স্কুলে বাংলা, ইংরেজি আর ম্যাথ করায়। বাংলা, ইংরেজি বলতে পারি- ম্যাথে এখনও কথা বলতে শিখি নাই।'
হা হা হা! ওকে মাঝেমধ্যে ম্যাথে কথা বলার খবর জিজ্ঞাসা করবেন। বলবেন, আপনি নিজেও এটা জানেন না, ওর কাছ থেকে শিখবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
লেখাটা আরেকটু বড় করলে কি দোষ ছিলো????
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
তাইতো! কিন্তু আর কী লিখবো!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এই লেখাটা অনেক মজার লাগলো। গৌতমদা- হরেস্ট কান্ট্রির রাজধানীর নাম পড়েছেন কি ??
কোন রাজধানী? প্রশাসনিক নাকি বাণিজ্যিক?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
জয়তু বন্ধুত্ব !
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আপনার এখন দুটো পাসপোর্ট
হ। ওই দেশের আইনে সমস্যা নাই; কিন্তু মনে হয় এই দেশে আর সংসদ সদস্য হওয়া যাবে না। মন খারাপ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খুব ই মজার! কিন্তু এত ছোট লেখা?- হরেস্ট কান্ট্রির ভিসা পেতে হলে কি করতে হবে?
সেই উপায় তো জানা নাই! রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে খাতিরের সুবাদে আমি পাসপোর্ট পেয়ে গেছি। ভিসার ব্যাপার নিয়া আমাকে ভাবতে হয় না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
টারেকানু কে জানানো দরকার হরেস্ট কান্ট্রি 'র ব্যাপারে
বাচ্চা কাহিনী ভাল পাই।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এতো সুন্দর লেখা আর মাত্র এতটুকু!!
বাচ্চাদের বন্ধুত্ব শুধু বাচ্চারাই পেতে পারে - ওদের মত নিষ্কলুষ মন নিয়ে মিশতে হবে ওদের সাথে।
-অয়ন
একমত
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পড়তে বেশ মজা পেলাম।
বাচ্চারা আসলেই সব আনন্দের ঘাঁটি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ছানাপোনা আমার ব্যাপক ভালুলাগে। আপনি তো পিচকাপিচকিদের ভালোই পটাতে পারেন দেখছি। টাইটেলের শেষে ১ আছে দেখে বেশ ভরসা পাচ্ছি, এরম কাহিনী আর ও আসছে সামনে।
আপনি তাইলে ১-এর শানেনযুল বুঝতে পারেন নাই। যে সমস্ত লেখায় এরকম ১ দেয়া থাকে, ধরে নিবেন সমস্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সেই লেখার পরবর্তী পর্ব আসবে না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এক কথায় অসাধারণ লেখা। হঠাৎ শেষ করে দিলেন গৌতম দা। ভালো থাকুন সবসময়।
অনেক ধন্যবাদ। দেখি পরেরবার আরও বেশি কিছু লেখা যায় কিনা!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হরেস্ট কান্ট্রির ভিসা পলিসি জানতে চাই।
..................................................................
#Banshibir.
হ। ওই দেশের আইনে সমস্যা নাই; কিন্তু মনে হয় এই দেশে আর সংসদ সদস্য হওয়া যাবে না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কোনো পলিসি নাই মনে হয়! রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে খাতির থাকতে হবে। দেখেন না, এই খাতিরের সুবাদেই পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই একবার হরেস্ট কান্ট্রি থেকে ঘুরে এসেছি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খুব মজা পেলাম পড়ে বাচচাদের কান্ডকীর্তি আসলেই অসাধারণ ।
আসলেই অসাধারণ! আপনার-আমার মাথায় কোনোদিন হরেস্ট কান্ট্রির চিন্তা আসতো?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাল লাগলো।
তবে একটা জায়গায় ভালই ধাক্কা খাইছি:
আমি ধাক্কা খাই নাই। একটা শিশু একইসাথে তিনটা ভাষা রপ্ত করে ফেলেছে, আমার ভালোই লাগে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তিনটি ভাষা শেখা ঠিকই আছে, শুধু ভয় লাগে কুনো একদিন হিন্দী না বাংলাকে খেয়ে ফেলে !
ডরাইলেই ডর!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শুভকামনা আপনাদের বন্ধুত্বের প্রতি...
"বন্ধু সবুজ চিরদিন
বন্ধুত্বের বয়েস বাড়ে না..."
অনেক ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাল লাগলো আপনার পিচ্চি কাহিনী।
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আজকালকার ছানাপোনারা রক্স!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দারুন লাগলো।
তবে আপনার নিজের শিশুপালনের কি খবর? আর উই দেয়ার ইয়েট?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই পৃথিবীর সব শিশুই তো আমার শিশু!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বেশ মজার লেখা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
(গুড়)
facebook
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মজা পেলাম
হিল্লোল
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব করার একটা কৌশলই আমি জানতাম, ওদের চেয়েও বোকা হয়ে থাকা (নিজের বুদ্ধিবৃত্তির স্তর খুব ভালো সাহায্য করতো এ ব্যাপারে), আপনার কাছ থেকে আরও নতুন কয়েকটা শিখলাম। গল্প খুব ভালো লেগেছে। আশা করি অসম্ভবের বাধা টপকে পরবর্তী পর্বগুলো আসছে
চেষ্টা থাকবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যতযাই বলেন, নিধি কিন্তু আপনারে আঙ্কেল ডাকে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নিধিরেই জিগান!
ওরে নিয়াও একটা পর্ব আসতে পারে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এরকম আমারও কয়েকজন বন্ধু আছে। তাদের একজন সেদিন ফোন দিয়েছে তার বাবা’র মোবাইল থেকে, ফোন ধরতেই, ‘তুমি এমন কেন!’ আবার কি করেছি জানতে চাইলাম, তার উত্তর ‘এসব আমার জানতে চাইতে হয়!’ বেশ কিছুদিন ফোন না করায় প্রিন্সেস এর খুব রাগ হয়েছে।
তাঁর সাথে কথা বললে আমাকে বহুক্ষণ কথা বলতে হবে, কথা বলতে হবে তার পুতুলের সাথে, তারপর বলতে হবে পুতুলটা’র মন কেমন ছিলো এবং পুরোটা সময় থাকতে হবে কড়া শাসনে, বেশি জোরে হাসলে সমস্যা, না হাসলে সমস্যা, বেশি কথা বললে সমস্যা, চুপ করে থাকলে সমস্যা, হাঁচি-কাশি দিয়ে এক্সকিউজ মি না বললে সমস্যা, সরি বললে সমস্যা -- ব্যাপক শাসন! তার ধারনা আমি খুব বেশি আদরের কারণে ‘কোনকিছুই ঠিকমত করতে পারিনা’।
আপনার এই পোস্ট পড়ে কেন যেন এই দেবশিশুদের সবার কথা মনে পড়ে গেলো। প্রতিটি শিশু মানেই অনন্য পৃথিবী!
হে হে হে দারুণ তো!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মন ছুঁয়ে গেল।
ইমা
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন