মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)-ঢাকা আন্তনগর 'হাওর এক্সপ্রেস' ট্রেন উদ্বোধন হয় গত ৩০ তারিখে। উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কিছু খণ্ডচিত্র।
১. উদ্বোধনের আগের দিন গেলাম ২ তারিখের টিকিট কাটতে। বলা হলো, টিকিট আছে কিন্তু মন্ত্রী এসে উদ্বোধন না করা পর্যন্ত টিকিট দেয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করলাম, কেন, উদ্বোধন না হওয়ার কোনো শঙ্কা আছে কিনা! বলা হলো, শঙ্কা নাই, কিন্তু আমরা দিব না এখন।
২. উদ্বোধনের দিন বিকালে গেলাম টিকিট কাটতে। প্রথম প্রথম আন্তনগর ট্রেন, মোহনগঞ্জের মানুষের তাই বিশাল উদ্দীপনা। বিরাট লাইনে দাঁড়ালাম। ঘণ্টা দেড়েক পর যখন ২ তারিখের টিকিট চাইলাম, তখন বলা হলো, অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয় না। আমাদের কম্পিউটার নাই। জিজ্ঞাসা করলাম, এই কথাটা আগে বললে কী হতো? কিংবা একটা নোটিশ ঝুলিয়ে দিতে পারতেন! বলা হলো, আমাদের এতো টাইম নাই!
৩. দুজনে মিলে একটা একটা করে টিকিট দিচ্ছিলেন। একজন মুখে বলেন, অন্যজন টিকিটে সিট নম্বর আর অন্য সব তথ্য লিখেন। যিনি টিকিট দিচ্ছেন, তিনি আবার টাকা নেন না, টাকা নেন অন্যজন। সব মিলিয়ে একটা টিকিট বিক্রিতে তাঁরা সময় লাগাচ্ছিলেন কমপক্ষে ২০ মিনিট, জ্বী ২০ মিনিট। সুতরাং লাইনের অবস্থা অনুমেয়।
৪. ১ তারিখ সকালে গিয়ে টিকিট কাটা হলো। আমার পক্ষ থেকে অন্য একজন টিকিট কাটলো- প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে। যদিও তাঁর আগে এই আড়াই ঘণ্টায় টিকিট কেটেছে মাত্র আটজন।
৫. সেদিনই বিকেলে টিকিট হাতে পেয়ে দেখি প্রথম শ্রেণির টিকিট না এটা। শোভন চেয়ার। দুটো সিটের দাম আসে ৪১০ টাকা। কিন্তু যে টিকিট কিনেছে, তার কাছ থেকে টোটাল টাকা নিয়েছে ৩৪০ টাকা- যা কিনা শোভন চেয়ারের নিচের ধাপের টিকিটের দাম- ১৭০ টাকা করে। আমাকে ভুল টিকিট দিল নাকি টাকা কম দিল- জানতে পুনরায় গেলাম স্টেশনে। সমস্যা বলার পর ১০-১২ মিনিট সময় নিয়ে টিকিট চেক করে জানালেন টিকিট ঠিক আছে, ভুলে টাকা কম রাখা হয়েছে। বাড়তি ৭০ টাকা দেয়ার সময় ভদ্রলোক অমায়িক ভঙ্গিতে হ্যান্ডশেক করলেন। প্রথমবারের মতো কোনো টিকিট-দানকারী ব্যক্তির সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে আমিও আবেগে আপ্লুত হলাম। তিনি জানালেন, আগের দিন এভাবে ভুলে ১৯৫ টাকা শর্ট পড়েছে যা তারা নিজেদের পকেট থেকে দিয়েছেন। আজকেও নাকি প্রচুর শর্ট আছে। একজন পাওয়া গেল যে কিনা বাড়তি টাকাটা ফেরত দিয়েছে।
৬. টিকিট-প্রদানকারী ভদ্রলোককে অনুরোধ করেছিলাম ফার্স্টক্লাশের টিকিট পাওয়া সম্ভব কিনা। উত্তরে জানালেন, দুটো টিকিট আছে। নিতে পারি। কিন্তু সতর্ক করলেন, ওটা চিটাগাং রুটের পুরনো আন্তনগর ট্রেনের কামরা ঠিকঠাক করে দেয়া হয়েছে। এর চেয়ে শোভন চেয়ার ভালো। ওটা নতুন বগি। ভদ্রলোকের কথা বিশ্বাস করে চলে এলাম।
৭. সকাল সাড়ে আটটায় ট্রেন ছাড়বে। আটটায় ট্রেনে উঠলাম। ব্যাগ-বোচকা গুছিয়ে ভাবলাম পুরো ট্রেনটা একঝলক দেখে আসি। ফাস্ট ক্লাশ কামরা দেখে টিকিট-প্রদানকারী ভদ্রলোককে মনে মনে ধন্যবাদ জানালাম। ওটা একটা ফালতু কামরা- এর চেয়ে শোভন চেয়ার অনেক বেটার। অন্তত আরাম করে বসা যাবে। তবে মোটেই নতুন কামরা না। কোনো কামরাই নতুন না, পাওয়ার কার ছাড়া, পুরনোগুলো জোড়াতালি দিয়ে এই রুটে দেয়া হয়েছে।
৮. পুরো প্ল্যাটফর্ম একচক্কর ঘুরে এসে দেখি, যে বগিতে, অর্থাৎ 'চ' বগিতে আমরা বসেছি, সেটা অলরেডি 'ছ' বগি হয়ে গেছে। আমার মাথা ঘুরে গেল! নির্দিষ্ট বগিতে বসার ক্ষেত্রে এত বড় ভুল করতে পারলাম! তাও আবার আমরা দুজন জামাই-বউ মিলে! একটু পরে পাশেই শুনি মহাহাউকাউ। আমার মতো আরও কয়েকজন বিভ্রান্ত! কয়েকজন মিলে এক টিটিকে ধরলাম। তিনি জানালেন, 'চ' বগির আসন কম, 'ছ' বগির আসন বেশি। টিকিট কাউন্টার থেকে ভুলে উল্টিয়ে 'চ' বগির বেশি টিকিট ও 'ছ' বগির কম টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। তাই তাঁরা যাত্রা শুরুর ১৫ মিনিট আগে বগি পাল্টে ফেললেন। গাট্টিবোচকা নিয়ে আবার অন্য বগিতে যাত্রা শুরু। যারা গোঁ ধরে বসে রইলো কামরা চেঞ্জ করবে না, তাঁদের জন্য পরে যে কী ভোগান্তি হলো অন্যদের!
৯. আগে যে বগিতে বসেছিলাম সেখানে আসন এমনভাবে ছিল যেন সামনের দিকে যাচ্ছি। কামরা বদলানোর পর এখনকার আসনে পিছন দিকে যাওয়া- ট্রেনের এটা আমার কাছে খুবই বিশ্রি লাগে। হঠাৎ করেই মনে হলো, এই রুটে সামনে-পিছনে বলে কিছু নেই। যে আসনগুলো মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সামনের দিকে যাবে, সেগুলোই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা পর্যন্ত পিছনের দিকে যাবে। কারণ সিম্পল। ময়মনসিংহে গিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য উল্টা রাস্তা ধরতে হয়, ইঞ্জিন বদলে সামনে চলে আসে। সুতরাং, মদনমোহন, দুই দিনের দুনিয়া, সুযোগ সবারই আসে- কারও আগে, কারও পরে। ময়মনসিংহ থেকে আমরা ঢাকা এলাম সামনের দিকে মুখ করেই।
১০. ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ লোকাল ট্রেনে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। সব মিলিয়ে ১৩টি স্টেশনে থামে- মোহনগঞ্জ, অতিথপুর, বারহাট্টা, ঠাকুরাকোণা, বাংলা, নেত্রকোণা কোর্ট, নেত্রকোণা বড় স্টেশন, হিরণপুর, চল্লিশা নগর, শ্যামগঞ্জ, গৌরিপুর, বিসকা, শম্ভুগঞ্জ ও ময়মনসিংহ। আন্তনগর ট্রেন থামে ৫টি স্টেশনে। মোহনগঞ্জের পর বারহাট্টা, নেত্রকোণা বড় স্টেশন, শ্যামগঞ্জ, গৌরিপুর ও ময়মনসিংহ। তারপরও আন্তনগর ট্রেনের সময় লাগলো প্রায় তিন ঘণ্টাই। যে এলাকায় লোকাল আর আন্তনগর ট্রেনের সমান সময় লাগে- সেটি মোহনগঞ্জ এলাকা- বিসিএসের জন্য তথ্যটা মাথায় রাখতে পারেন।
১১. অন্য আন্তনগর ট্রেনগুলোকে আগে যাওয়ার জন্য হাওর এক্সপ্রেস ময়মনসিংহ স্টেশনে বসে থাকলো প্রায় দেড় ঘণ্টা।
১২. ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ার সময় যে গতিতে ছাড়লো, আমার আন্তনগর ট্রেন ভ্রমণে এতো গতি আর কোনো ট্রেনে দেখি নাই। দুটো বড় ক্রসিং সত্ত্বেও ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় চলে এলো তিন ঘণ্টায়।
১৩. মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার যতো যাত্রী, তাতে এরকম তিনটে ট্রেন দিলেও কুলোবে না। কিন্তু এই আন্তনগর ট্রেনে দেয়া হয়েছে মাত্র ১০টি বগি। তাও টিকিট ভাগ করা মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা, নেত্রকোণা, শ্যামগঞ্জ, গৌরিপুর ও ময়মনসিংহের জন্য। এতো মোহনগঞ্জের জন্য ভাগে আসে পাঁচভাগের এক ভাগ। অথচ উদ্বোধনের সময় বলা হলো মোহনগঞ্জসহ ভাটিএলাকা ও সুনামগঞ্জের অন্যান্য এলাকার মানুষের জন্যই এই হাওর এক্সপ্রেস চালু করা। নেত্রকোনা থেকে বাদবাকি এলাকার মানুষজন সহজেই ঢাকার সঙ্গে বাসে বা ট্রেনে যাতায়াত করতে পারে। ওই স্টেশনগুলোর জন্য এতোগুলো সিট রাখা কোনোমতেই বোধগম্য হলো না।
১৪. পুরো ট্রেনে মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত প্রচুর মানুষ দাড়িয়ে আসলো। ভিক্ষুক, হকার মিলে একাকার। লোকাল নাকি আন্তনগর বাইরে থেকে বুঝা মুশকিল। এমনকি যে ভিক্ষুক লোকাল ট্রেনে যে গান গেয়ে ভিক্ষা করে, সে আন্তনগর ট্রেনেও একই গান গেয়ে ভিক্ষা করছিল। আন্তনগরের জন্য নতুন একটা গান তৈরি করতে পারলো না?
১৫. নির্বাচনের কিছুদিন আগে তড়িঘড়ি করে এমন একটা অসম্পূর্ণ আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস শুরু করা হলো, যার ভোগান্তি লোকাল ট্রেনের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। মোহনগঞ্জবাসীর জন্য নির্বাচন উপলক্ষ্যে একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া হলো কিনা বুঝতে পারছি না।
১৬. ...তবু হাওর এক্সপ্রেস জিন্দাবাদ। রেল মন্ত্রণালয় জিন্দাবাদ। হাওর এক্সপ্রেসের মান উন্নত করা গেলে সিলেট, চট্টগ্রাম কিংবা রাজশাহীর তুলনায় কম যাত্রী হবে না- এতোই চাহিদা এর। তাছাড়া মোহনগঞ্জ টু ঢাকা বাসসার্ভিসগুলো এবং তাদের ড্রাইভার-হেলপারদের ব্যবহার এতোই জঘন্য যে, হাওর এক্সপ্রেস সেই তুলনায় মন্দের ভালো।
আমরা চাই সুন্দর একটি আন্তনগর ট্রেন। হাওর এক্সপ্রেস সবদিক দিয়েই বর্ষার হাওরের বিশালতা বহন করুক।
মন্তব্য
"এমনকি যে ভিক্ষুক লোকাল ট্রেনে যে গান গেয়ে ভিক্ষা করে, সে আন্তনগর ট্রেনেও একই গান গেয়ে ভিক্ষা করছিল। আন্তনগরের জন্য নতুন একটা গান তৈরি করতে পারলো না?" একটা ক্ষোভ-বিরক্তি-হতাশা-মরীয়া আশার পোস্টে এমন ঠা-ঠা হাসির লাইন পড়ে পুরাই মাটীতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা হইল।
- একলহমা
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভালো অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছেন। তবে আমার কাছে যেটা মনে হয়, বাংলাদেশে আগের তুলনায় রেলপথ বেশ কিছুটা উন্নত হয়েছে।
ভালো থাকুন অবিরত।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
অবশ্যই অনেক উন্নত হয়েছে। এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
লাইনে একটা ট্রেন তো নতুন যুক্ত হলো ! তবে চালু যখন হয়েছে নিশ্চয়ই সামনে সার্ভিস ভালো হবে এই আশাবাদ রাখতেই পারি !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অবশ্যই দাদা। আশা রাখি বলেই হাওর এক্সপ্রেসকে বর্ষার হাওরের মতো বিশাল অবস্থায় দেখতে চাই।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
খুব ভালো। আপনাকে অভিনন্দন গৌতম।
-----------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মোহনগঞ্জ দেখি এখনও এ্যানালগ সিষ্টেমে চলে, ডিজিটাল হয় নাই।
ওদিকেও একটি স্থান আছে দেখছি, যার নাম "বাংলা"। আমাদের ওদিকে একটি স্থান আছে, যার নাম একেবারে বঙ্কিম চট্টোপধ্যায় ষ্টাইলের, "বাঙ্গালা"।
দোষ শুধুই ভিক্ষুকের? হকারেরা কি আন্তঃনগরে এসে নতুন কিংবা উন্নতমানের জিনিস বিক্রি করছিল? কিংবা যাত্রীসাধারান কি আন্তঃনগরে এসে বেশী পরিপাটি পোষাক পরে ভ্রমন করছিল?
আব্দুল্লাহ এ এম
- একলহমা
১। মোহনগঞ্জ স্টেশনে কোনো কম্পিউটার নেই। সুতরাং হাতে লেখা টিকিটই ভরসা! আর বাংলা স্টেশনটা শুনেছি বন্ধ করে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে লোকাল ট্রেনও অধিকাংশ সময় সেখানে দাড়ায় না, কিছুদিনের মধ্যে হয়তো সাইনবোর্ড-সমেত পুরো স্টেশনটাই স্মৃতি হয়ে যাবে।
২। আমি তো দোষ ধরি নি ভাই!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হুমম... সম্প্রতি চালু হওয়া সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের অভিজ্ঞতা ৯০% একই
লেখা মজারু হয়েছে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমাদের শৈশবে ও কৌশোরেও রেল ভ্রমণ আনন্দময় ছিল। রেল, সঠিক সময়মতই গমণাগমণ করত।
আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনায় মজা পেয়েছি।
অনেকদিন পরে আপনার কোন লেখা পড়লাম !
পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেকদিন পরেই লিখলাম!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
হায়রে, আর যারা এতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁদের টাইমটা টাইম না - ছেলেখেলা!!
তবে আশায় বুক বাঁধুন - রাজশাহী-ঢাকা রূটে আমরা প্রায় ছয় বছর পরে ভালো ট্রেন পেয়েছি। আপনারাও পাবেন হয়তো - "আশা তার একমাত্র ভেলা"
____________________________
সিল্কসিটি-ধূমকেতু-পদ্মার কথা বলছেন তো! সাম্প্রতিক সময়ে শোভন চেয়ারে এই ট্রেনে যাতায়াত করেছেন কি? সিটগুলোর কী অবস্থা দেখেছেন কি?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
না, শোভন চেয়ারে ওঠা হয়নি অনেকদিন। রাতের ট্রেনে যাতায়াত- কেবিনেই বেশীরভাগ দিন যাওয়া আসা হয়। এগুলোর অবস্থা তো ভালোই দেখি!
____________________________
ওরে বাবা! আপনি তো দেখি উপরতলার মানুষ!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কী যে বলেন - বাসভাড়ার টাকায় ট্রেনের এসির টিকেট হয়ে যায় - তাই।
____________________________
মাঝখানে রেলওয়ের জনপ্রিয়তা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে গেছিলো। এখন অনেক বাড়ছে। এটা কি রেলওয়ের উন্নতি নাকি সড়ক যোগাযোগের অবনতি?
লেখা ভাল্লাগছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
রেলওয়ের উন্নতি। আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে, সারা দেশেই রেল যোগাযোগে অনেক উন্নতি হয়েছে (প্রত্যাশানুযায়ী না অবশ্য)। রেলখাতকে অগ্রাধিকার দিলে সড়ক যোগাযোগ অনেকটা কমে আসবে বলে আমার ধারণা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দুইখান টিকিটের জন্য যে খাটনিটা খাটলে সেই খাটনি দিয়ে তো মনে হয় ঢাকা টু ময়মনসিংহ দ্বিতীয় রেললাইনই বসিয়ে দেয়া যায়
ময়মনসিংহে রেললাইন দিলে আমার লাভ কী! ঢাকা-মোহনগঞ্জ দিলে না হয় দুইখান খাটনি না খেটে আরেকটা রেললাইন বসিয়ে দিতাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
লেখা ভাল লেগেছে।
তবে রেলওয়ে মনে হয় আগীর তুলনায় একটু ভাল হয়েছে। আশা করি আরও অনেক ভাল হবে।
রেলওয়ে আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
দুর্গতি আর দুর্গতি, ভিক্ষুকেও শান্তি দিল না। যা হোক তবু টিকেট পাইছেন এইটাই ভাগ্য। চেহারার কারণেই কিনা কে জানে, আমি কাউন্টারে গিয়া দাঁড়াইলেই উদাস গলায় বলে টিকেট নাই। অমোঘ বাণি। কোনো হেরফের নাই। রাজশাহী যাব টিকেট নাই, কয়দিন পর চিটাগাং যাব টিকেট নাই। এতই অহরহ ঘটতে থাকল যে, একবার সব কাউন্টার ঘুরে তিবিরক্ত হয়ে, বেহুদা সৈয়দপুর চলে গেলাম। কারণ ওখানকারই টিকেট ছিল। আর গন্তব্যের চাইতে ট্রেনের টিকেটই তখন গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল।
স্বয়ম
বলেন কি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যদিও দুঃখের লেখা কিন্তু পড়ে হাসি চাপতে পারলাম না
ইসরাত
ধন্যবাদ
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সেই ছোটবেলা থেকে এই ট্রেন টার অপেক্ষায় ছিলাম। যেদিন চালু হল, সারাদিন এই নিয়ে উত্তেজিত ছিলাম। মনে আছে, মাঝে মাঝে রেলের কোন বড় অফিসার আসলে আন্তনগর ট্রেনের বগি লোকাল ট্রেনের সাথে দিতো, তখন স্কুলে সেটা নিয়ে কি বিশাল উত্তেজনা।
এখন মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ আড়াই ঘন্টা লাগে, আধা ঘন্টা কমছে
নতুন মন্তব্য করুন