মাঝি তোর রেডিও নাই বইলা জানতেও পারলি না ....
১৯৭০ সাল। সামনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন। ৬ দফা সামনে নিয়া উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী এক ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হলো উপকূলীয় এলাকা। খাতাপত্রে মারা গেল ৫ লাখ মানুষ, আসলে আরো বেশী, এর দ্বিগুণ প্রায়। ভাসা ভাসা পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল ওই ঘূর্ণিঝড়ের। আর পশ্চিম পাকিস্তানের শাসককূল-তো দেখতেও আসলেন না দুর্গত এলাকা। ...
আবার নভেম্বর। আবার ঘূর্ণিঝড়। ঠিক যেখানে নিম্নচাপ হিসেবে প্রথমে তৈরি হয়েছিল ৭০ সালে, এবারও ওই এলাকাতেই নিম্নচাপ। এক দিনেই তা হ্যারিকেনে রূপ নিয়েছে। এখন ৪ মাত্রার (ঘণ্টায় ১৩১-১৫৫ মাইল বেগে) হ্যারিকেন হিসেবে বহাল আছে (বুধবার সকালের অবস্থান ১৩.৭ N এবং ৮৯.৫ E)। বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে তা উপকূলে আঘাত করতে পারে এবং বাংলাদেশের উপর দিয়ে চীনের দিকে সরে যাবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ততোক্ষণে তা ২ মাত্রার (ঘণ্টায় ৯৬ থেকে ১১০ মাইল) ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
সরকার প্রস্তুতি নিয়েছে। আসুন আমরা মানসিক প্রস্তুতি নিই।
মন্তব্য
প্রিয় নঈম,
অনেক দেরীতে হলেও বলছি।...মানসিক প্রস্তুতির আগেই কি ভয়ংকর ঘূর্ণি সব এলোমেলো করে দিলো!
----------
সচলায়তনে স্বাগতম। নিয়মিত লিখবেন প্লিজ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নঈম তারিকের আতিথ্যদশা দ্রুত কাটুক। স্বাগতম, নঈম!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
নতুন মন্তব্য করুন