ভদ্রলোককে আমি কখনো সামনা সামনি দেখিনি, তার গানও খুব বেশী শুনিনি । মাঝে মধ্যে হটাত দেখেছি টিভিতে, ঝাকড়া চুল আর গোঁফে বেশ লাগতো । গত কয়দিনে সেই লোকটাকেই চিনলাম বেশ আপন করে । যা জানলাম, শেষ ২/৩টা দিন বাদ দিলে বেচেঁ থাকার প্রতিটা মূহুর্ত উপভোগ করেছেন তিনি । অপরিমিত জীবন-যাপনের মধ্য দিয়েও লেখা-গানের পরিমিতি আর গুন বজায় রেখেছেন অতি সচেতনভাবেই । কখনো নামের বা অর্থের পিছনে ছোটেননি; সদাহাস্য, কথাবার্তায় অতি নম্র আর বিনয়ী ছিলেন । তার উপকার পেয়েছে পরিচিত-অর্ধপরিচিত-অপরিচিত সবাই । যে একবার পরিচিত হয়েছে সেই মনে রাখতে বাধ্য হয়েছে । মাত্র বছর ৪৫ বেচেঁছিলেন, যারা জীবনটাকে বছরের পাহাড় বানাতে ব্যস্ত তাদের দেখিয়ে দিয়ে গেলেন বাচাঁ কাকে বলে । যে ভালবাসা আর সম্মানের মধ্যে দিয়ে গেলেন, একটা জীবনে এর চেয়ে চাওয়া-পাওয়ার আর বেশী কিছু থাকতে পারেনা । আমাদের অবশ্য অপুরনীয় ক্ষতি হল, সাংবাদিকতা আর সংগীতের জীবন্ত মানদন্ড হারালাম আমরা । তার কাছ থেকে আরো অনেক কিছু পাওয়ার ছিলো এ পোড়া দেশের, তা পোড়া দেশের পোড়া কপাল আরো একটু পুড়লো । দূঃখ তার স্ত্রী-কন্যার জন্য, জানিনা কিভাবে চলবে তাদের দিন-মাস, ভালবাসা-সম্মানে তো আর পেট চলেনা ।
যা হোক একটাইতো জীবন...বাচঁতে চাই সঞ্জীবদার মত...জীবনের পেয়ালায় চুমুক...চিয়ার্স বস
~
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন