বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি ৫০টি প্রান্তিক যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে। আশা করা হয়, প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমাপ্ত করার পর শিক্ষার্থীরা এই ৫০টি প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করবে। এনসিটিবি এই প্রান্তিক যোগ্যতার পাশাপাশি শ্রেণী ও বিষয়ভিত্তিক কিছু অর্জন উপযোগী যোগ্যতাও নির্ধারণ করেছে। বলা হয়, এই অর্জন উপযোগী যোগ্যতাগুলো পরিমাপযোগ্য।
প্রথম শ্রেণীর একটি অর্জন উপযোগী যোগ্যতাতে বলা হযেছে- 'বাংলা ভাষায় এক থেকে পঞ্চাশ পর্যন্ত সংখ্যা ও সংখ্যাবাচক শব্দ বলতে পারবে।'
এখন যদি একজন শিক্ষার্থীকে আটচল্লিশ বলতে বলা হয় তাহলে শিক্ষার্থী কী উচ্চারণ করবে- ৪৮ নাকি আটচল্লিশ? দুটোর উচ্চারণ একই। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে, ৪৮ হচ্ছে সংখ্যা কিন্তু আটচল্লিশ সংখ্যাবাচক শব্দ। এখানে বলার সময় শিক্ষার্থী সংখ্যাকে মাথায় রেখে উচ্চারণ করছে নাকি শব্দকে উচ্চারণ করছে তা বলা অসম্ভব, যদি না শিক্ষার্থী নিজে থেকে বলে দেয়। শিক্ষার্থীকে ১০০ বার জিজ্ঞেস করলে ১০০ বারই শিক্ষার্থী সংখ্যা বলতে পারে, বা শব্দ বলতে পারে। তার মানে দাড়াচ্ছে, পরীক্ষকের পক্ষে কখনোই বলা সম্ভব না, তিনি শিক্ষার্থীর কোন্ দক্ষতাটি পরিমাপ করতে চাচ্ছেন। ফলে এটি এক ধরনের ভেগ অর্জন উপযোগী যোগ্যতা।
শিক্ষার গুণগতমান নিয়ে কথা হয় সবজায়গায়। কিন্তু যারা শিক্ষার্থীর কী শিখবে নির্ধারণ করে দেয়, তাদের গুণগতমান নিয়ে কথা বলার কি এখন জরুরি নয়? কিংবা তাদের জন্য একটি আলাদা অর্জন উপযোগী যোগ্যতার তালিকা তৈরি করা হলে মন্দ হয় না।
গৌতম
মন্তব্য
প্রিয় মডারেটর, অতিথি লেখকরা মন্তব্য করলেও কি মন্তব্যের পর নাম ও ই-মেইল লিখতে হবে?
লিখলে ভালো হয়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
-----------------------------------------
ভালো নেই,ভালো থাকার কিছু নেই
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কথা বলবে যারা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করে- শিক্ষা গবেষক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, বিষয়-বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি। কিন্তু সিস্টেমটা এমন করা উচিত যে, নীতিনির্ধারকেরা এদের মতামত না নিবেন এবং তা গুরুত্ব সহকারে শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।
গৌতম
'বাংলা ভাষায় এক থেকে পঞ্চাশ পর্যন্ত সংখ্যা ও সংখ্যাবাচক শব্দ বলতে পারবে' না বলে 'পড়তে পারবে' বোঝানো হয়েছিলো কি?
নতুন মন্তব্য করুন